শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ডিজিটাল দক্ষিণ এশীয় পাঠাগার'-এর অধিভুক্ত দক্ষিণ এশীয় ডিজিটাল অভিধানরাজি (https://dsal.uchicago.edu/dictionaries/)। এর খবর আমি পেয়েছিলাম শ্টাইনগাসের এক ফারসি-ইংরেজি অভিধানের অ্যাপের মাধ্যমে; আর ইয়োজ়েফ শ্টাইনগাসের (Joseph Steingass) নামোচ্চারণ লভেছিলাম সৈয়দ মুজতবা আলীর 'দেশে বিদেশে'-তে। উক্ত ডিজিটাল পাঠাগারে স্টাইনগাস বাদেও সংসদের অভিধানেও রয়েছে।
গ্রন্থাগারটি অভ্যুপপন্ন তো বটেই—তবে সংসদের লেখস্বত্বের ব্যাপারে সমস্যা আছে কি না?
এবার আসি গুরুচণ্ডা৯ প্রসঙ্গে। প্রথম কথা: অ্যাপটায় বারংবার গুগল কি ফেসবুক দিয়ে প্রবেশ করতে তথা ক্রোম দিয়ে ঢুকতে ভালো লাগে না; এটা ফেসবুকের মতন একবারে পৃথক অ্যাপ হলেই ভালো হয়। মেজো কথা: কিছু কারিগরি উন্নয়ন নিয়ে। যেমন এই খেরোর খাতা আর ব্লগের মধ্যকার স্বাতন্ত্র্য কী? তারপর একটু আগে যে লিঙ্ক দিলাম, সেটা আলাদা করে সংযুক্তি বোতামে চেপে দিয়ে দিতে হয়েছে, সরাসরি লিঙ্ক দিলেই যাতে ক্যোরা বাংলার মতন লেপ্টে যায়, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
এখানে লিখছি, তা 'ছাড়া' লিখতে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে ছাাা, পরে এন্টার চেপে নিচের পঙ্ক্তিতে নেমে লিখতে হচ্ছে। সেজো কথা: খেরোর খাতায় ছবি যোগ করে কীভাবে? ফেসবুকের মতন মসৃণ নকশায় সাজাতে হবে কিন্তু এই পাটাতন (প্ল্যাটফর্ম)—নইলে লিখে-পড়ে আয়েশ পাওয়া যাবে না।
শেষ কথা: হরফ শৈলী। যে বাক্সে এখন লিখছি এবং প্রাক-দর্শনে (প্রিভিউ) ও সবশেষে যে হরফে লেখাটা দেখা যাবে—দুটোই বড্ড গতানুগতিক। এই হরফে লিখেও আরাম পাই না, আর ঐ হরফে পড়ে। বেঙ্গল ফন্টস, লিপিঘর বা লিপিঘরের বিনামূল্য হরফ শৈলীর আকর অক্ষর৫২ কিন্তু বর্ণতনু চয়নে কাজে আসতে পারে। আনন্দবাজার পত্রিকা যে নোটো সেরিফ বেঙ্গলি হরফ শৈলী ব্যবহার করে, তা আপাতত আমার পছন্দের তালিকায় এক নাম্বার ও শেষ নাম্বার—আরো নিরীক্ষা চলছে।
এত নামধাম দেখে গুলিয়ে যাচ্ছে? আসলে আপনি এতদিন ইংরিজিতে সামাজিক মাধ্যম দেখে এসেছেন। এবার টুক করে বাংলায়ও সড়গড় হয়ে নিন। কটা তো মাত্র নাম।
গুরুর বিভাগ সমূহ, যা মাথার উপরে অথবা বাঁদিকের ভোজনতালিকায় পাবেনঃ
লগিন করে থাকলে ডানদিকের ভোজনতালিকায় যা পাবেনঃ