এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

  • সুদর্শন দর্শন: পর্ব ৩

    সহস্রলোচন শর্মা
    আলোচনা | বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১৭৬৯ বার পঠিত
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
    ৯০তম জন্মবর্ষের শ্রদ্ধাঞ্জলি—
    আগে যা ঘটেছে: সুদর্শনের V-A তত্ত্ব ব্যবহার করে নিবন্ধ প্রকাশ করলেন ফাইনম্যান-জেল-ম্যান। তার ফলে তৈরি হয় বিতর্ক। S+P-T তত্ত্ব ব্যবহার করে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পান সালাম-গ্লাশো-ওয়েইনবার্গ। কিন্তু S+P-T তত্ত্ব তো V-A তত্ত্বের পরিপূরক। তাহলে সুদর্শন-মারশাক কেন বঞ্চিত হলেন নোবেল সম্মান থেকে?


    অন্যায় কি হল না সুদর্শনের সাথে? অধিকাংশ তথ্যাভিজ্ঞ মহলই মনে করেন, হ্যাঁ, অন্যায় হয়েছে সুদর্শনের সাথে। একবার নয়, একাধিকবার। সুদর্শনের আবিষ্কৃত তত্ত্বের উপর কাজ করে অন্য বিজ্ঞানীরা নোবেল লাভ করলেও সুদর্শন রয়ে গিয়েছেন প্রদীপের নীচের অন্ধকারেই। সত্যি, এ বড়ো বেদনার। এ এক দুঃসহ ট্র্যাজেডি।

    কর্মজীবনের সূচনায়, V-A তত্ত্ব তরুণ সুদর্শনের স্বপ্নভঙ্গের কারণ হলেও তা কখনোই তাঁর পরবর্তী জীবনে স্বপ্ন দেখাকে ঠেকাতে পারেনি। সুদর্শন ছিলেন এক স্বপ্ন-সন্ধানী, অক্লান্ত গবেষক। সহযোগী গবেষকদের সাথে যৌথভাবে সারা জীবনে ৫১০টা গবেষণাপত্র লিখেছেন তিনি (যার মধ্যে ৯টা স্ত্রী অধ্যাপিকা ভামথির সাথে)। এখনও ৬৫টা গবেষণাপত্র অপ্রকাশিত রয়েছে তাঁর। পদার্থবিজ্ঞানের উপর ৯টা পাঠ্যবই লিখেছেন সুদর্শন। সুদর্শন-অনুরাগী ছাত্রমহলের মতে, এই বিপুল গবেষণা পত্রের মধ্যে অন্ততপক্ষে ৭টা এমন গবেষণা পত্র আছে যার মধ্যে যে-কোনো একটার জন্য নোবেল সম্মানে ভূষিত হতে পারতেন সুদর্শন। দুঃখজনক ভাবে প্রতিবারই সেই সম্মান থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। সুদর্শনের এমনই এক নোবেল বঞ্চনার ইতিকথা—‘কোয়ান্টাম অপটিক্স’।

    ৬০-এর দশকের শুরুতে আলোর সংবদ্ধতা (কোহেরেন্স) ধর্মকে কোয়ান্টাম তত্ত্ব প্রয়োগে বিশ্লেষণ করতে শুরু করেন সুদর্শন। ইতিপূর্বে আলোকে এই ভাবে বিশ্লেষণ করেননি কেউই। সে অর্থে সুদর্শনই এই ধারার পথিকৃৎ। পদার্থবিজ্ঞানে সংযোজিত হল নতুন এক অধ্যায়—কোয়ান্টাম অপটিক্স। এই তত্ত্ব দিয়ে সদ্য আবিষ্কৃত লেসার রশ্মিকে চমৎকার ভাবে ব্যাখ্যা করা গেল। তাত্ত্বিক ভিত্তি পেল লেসার রশ্মি।

    ১৯৬৩ সালে কোয়ান্টাম অপটিক্স নিয়ে গবেষণার কাজ শেষ করেন সুদর্শন। পরিসংখ্যানবিদ্যার প্রয়োগে তাঁর তত্ত্বকে ব্যাখ্যা করলেন তিনি। তাঁর ব্যাখ্যা করার পদ্ধতিকে ‘ডায়াগনাল রিপ্রেজেন্টেশন’ বলে উল্লেখ করলেন সুদর্শন। এই পত্রের প্রাক্‌মুদ্রণ পাণ্ডুলিপির প্রতিলিপি পাঠান হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ রয় জে গ্লবারের কাছে। বর্তমানে একই রকমের গবেষণায় নিরত আছেন গ্লবার নিজেও। গ্লবারের সুচিন্তিত মতামতের আশায় তাঁর কাছে এই পত্র প্রেরণ করেন সুদর্শন। সুদর্শনের পত্র মোটেও পছন্দ হল না গ্লবারের। সুদর্শনের তত্ত্বকে সমালোচনা করলেন গ্লবার। গ্লবারের সমালোচনায় বিস্মিত হলেন সুদর্শন। কারণ, নিজের লেখায় কোনো ভুল খুঁজে পেলেন না তিনি। ১ এপ্রিল ১৯৬৩, সুদর্শনের লেখা ‘ইকুইভ্যালেন্স অব সেমিক্ল্যাসিকাল অ্যান্ড কোয়ান্টাম মেকানিক্যাল ডেসক্রিপশনস্‌ অব স্ট্যাটিসটিক্যাল লাইট বিমস্‌’ শীর্ষক ৩ পাতার রচনা প্রকাশিত হয় ফিজিক্যাল রিভিউতে। পরবর্তী কালে এই বিষয়ের উপর আরও ৬টা পেপার লেখেন তিনি।

    ১৫ জুন ১৯৬৩, ফিজিক্যাল রিভিউতে প্রকাশিত হয় গ্লবারের গবেষণাপত্র ‘দ্য কোয়ান্টাম থিয়োরি অব অপ্টিক্যাল কোহেরেন্স’। প্রায় সুদর্শনের তত্ত্বই ব্যাখ্যা করেছেন গ্লবার। শুধু সুদর্শনের ‘ডায়াগনাল রিপ্রেজেন্টেশন’-কে গ্লবার নাম দিয়েছেন ‘পি রিপ্রেজেন্টেশন’। গ্লবার ও সুদর্শনের লেখা দুটোর মধ্যে সুদর্শনের পত্রটাই অধিক সুসংহত বলে মনে করলেন বিশেষজ্ঞমহল।

    এরপর কেটে গেছে ৪০টা বছর। আলোর কোহেরেন্সের কোয়ান্টাম তত্ত্ব এখন ‘গ্লবার-সুদর্শন পি রিপ্রেজেন্টেশন’ নামে পরিচিত। ৪ অক্টোবর ২০০৫, নোবেল কমিটি ঘোষণা করে, ‘আলোর কোহেরেন্সকে কোয়ান্টাম তত্ত্ব দিয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য’ রয় জে গ্লবারকে নোবেল সম্মানে ভূষিত করা হল। পুরস্কার মূল্যের ১/২ অংশ পাবেন গ্লবার। লেসার নির্ভর স্পেক্ট্রোস্কপির জন্য জন লুইস এবং থিওডর উলফগ্যাং হাঞ্চ উভয়ই পুরস্কার মূল্যের ১/৪ অংশীদার হবেন। বাদ পড়লেন সুদর্শন।

    ফের অন্যায় হল সুদর্শনের সাথে। বিস্মিত পদার্থবিজ্ঞান মহল। সুদর্শন নোবেল না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হলেন অনেকেই। স্থির হল প্রতিবাদপত্র পাঠানো হবে নোবেল কমিটিকে। সেই মতো লেখা হল এক চিঠি। চিঠিতে লেখা হল, “আমরা সবিনয়ে জানাতে চাই... সুদর্শনের আলোর কোয়ান্টাম তত্ত্বের মৌলিক অবদানের প্রতি উদাসীন থেকে ন্যায়ের জন্ম দিতে ব্যর্থ হয়েছে” কমিটি। ১০ জন (মূলত ভারতীয়) পদার্থবিদের সই সম্বলিত এই পত্র পাঠানো হয় নোবেল দফতরে। প্রতিবাদ জানিয়ে নোবেল দফতরে পত্র লেখেন সুদর্শনও। লিখলেন, “এই বছরের ঘোষণায় আমি প্রকৃত অর্থেই বিস্মিত এবং হতাশ।”


    * * *


    সুদর্শন-ঘনিষ্ঠ ছাত্রমহলের মতে, ‘নোবেল অর নো নোবেল’ দিয়ে কখনও বিদ্যাকে বিচার করেননি সুদর্শন। তিনি ছিলেন একজন বিদগ্ধ পণ্ডিত। তাঁর ছাত্রমহল মনে করেন, শুধুমাত্র V-A বা কোয়ান্টাম অপটিক্সের মধ্যেই তাঁর গভীর মনীষার বিচ্ছুরণ ঘটেছে এমন নয়, তাঁর প্রস্তাবিত আরও অনেক তত্ত্বের মধ্যেই তাঁর গভীর পাণ্ডিত্যের পরিচয় পাওয়া যায়। তাঁর অনেকগুলো তত্ত্বই কালোত্তীর্ণ, কালজয়ী। তাঁর এমনই এক বিস্ময়কর তত্ত্ব হল—সুপারলুমিনাল ‘ট্যাকিয়ন’ কণা।

    আইনস্টাইনের মতে, ভরযুক্ত কোনো বস্তুর পক্ষে, আলোর বেগের থেকে বেশি বেগ লাভ করা সম্ভব নয়। কারণ, সেক্ষেত্রে বস্তুর ভর শূন্যে অথবা কাল্পনিক রাশিতে পর্যবসিত হয়ে যাবে। সুদর্শন বললেন, আলো যখন সৃষ্টি হয়, তখনই সে একটা নির্দিষ্ট বেগে যাত্রা শুরু করে। এ কথা ঠিক যে আলোর থেকে কম গতিসম্পন্ন ও ত্বরণযুক্ত কোনো বস্তুর পক্ষে আলোর বেগ লাভ করা সম্ভব নয়। কিন্তু প্রকৃতিতে এমন কণার অস্তিত্ব অসম্ভব নয় যা জন্ম থেকেই আলোর থেকে বেশি বেগে ধাবমান। এই জাতীয় কণার ক্ষেত্রে আলোর সর্বোচ্চ গতিসীমা অতিক্রমের প্রশ্নই উঠে না কারণ এই কণাগুলো জন্ম থেকেই আলোর থেকে বেশি বেগে ধাবমান। গণিত প্রয়োগে সুদর্শন দেখালেন, সেক্ষেত্রে এই জাতীয় কণার ভর হবে কাল্পনিক।

    ১৯৬০ সালে ছাত্র ভি কে দেশপান্ডের সাথে যৌথ ভাবে এই বিষয়ে গবেষণাপত্র লিখলেন সুদর্শন। এই পত্র তাঁরা পাঠালেন ফিজিক্যাল রিভিউ দফতরে। পত্রিকার তরফে তিনজন বিচারকই, সুদর্শনের প্রস্তাবিত তত্ত্বকে খারিজ করে ফেরত পাঠিয়ে দেন পত্রটা।

    মে ১৯৬২, সুদর্শনের সহকর্মী ও এম পি বিলানিউক ‘আলোর থেকে দ্রুতগামী কণা’ বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সুদর্শনকে তাঁর পুরোনো রচনা পরিমার্জনের কথা বলেন তিনি। তাঁরা তিনজনে মিলে একই বিষয়ের উপর নতুন এক নিবন্ধ রচনা করলেন। এবার আর ফিজিক্যাল রিভিউ নয়, এবার ‘আমেরিকান জার্নাল অব ফিজিক্স’-এ পাঠালেন তাঁদের লেখা নতুন নিবন্ধটা। অক্টোবর ১৯৬২, আমেরিকান জার্নাল অব ফিজিক্সে প্রকাশিত হল বিলানিউক-দেশপান্ডে-সুদর্শনের ৬ পাতার গবেষণাপত্র ‘মেটা রিলেটিভিটি’। এই রচনা প্রকাশের পর পাঠকমহলে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। আলোর থেকে বেশি গতিসম্পন্ন কণার প্রস্তাবে বিতর্ক ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় বিজ্ঞানমহলে। আলোর থেকে অধিক বেগে গতিশীল কণার অস্তিত্ব নিয়ে সেই বিতর্ক আজও জিইয়ে রয়েছে।

    সুদর্শনের নিবন্ধ প্রকাশের পর ৫টা বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল। আলোর থেকে অধিক বেগে গতিশীল কণার অস্তিত্ব নিয়ে অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করছেন তখন। ২৫ জুলাই ১৯৬৭, ফিজিক্যাল রিভিউতে প্রকাশিত হয় পদার্থবিদ জেরাল্ড ফাইনবার্গের নিবন্ধ ‘পসিবিলিটি অব ফাস্টার-দ্যন-লাইট পারটিকেলস্‌’। এই নিবন্ধে ‘ফাস্টার-দ্যন-লাইট পারটিকেলস্‌’-কে ‘ট্যাকিয়ন’ নামে অভিহিত করেন তিনি। এরপর থেকে সুদর্শনের প্রস্তাবিত ‘আলোর থেকে বেশি বেগে ধাবমান কণা’ ট্যাকিয়ন নামে পরচিত হয়ে উঠে। ট্যাকিয়ন হয়ে ওঠে পদার্থবিদদের নতুন চিন্তার খোরাক। ট্যাকিয়নের অস্তিত্ব নিয়ে আজও বিতর্ক বিদ্যমান। ট্যাকিয়নের ভর যহেতু কাল্পনিক তাই এই কণার অস্তিত্ব নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। অনেকেই আবার বলছেন এই কণার ভর মাপার জন্য আমাদের প্রচলিত পরিমাপ পদ্ধতি ও চিন্তাপদ্ধতি যথেষ্ট নয়। তাই এই কণার সন্ধানে এখনও নিরলস প্রচেষ্টা জারি রেখেছেন কেউ কেউ। তাঁদের মতে, আগামী দিনে, অনন্ত মহাবিশ্বের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যোগাযোগের একমাত্র ভরসা হল ট্যাকিয়ন। ট্যাকিয়ন নিয়ে নিজের চিন্তাকে আরও বিস্তৃত করে চললেন সুদর্শন। ট্যাকিয়ন নিয়ে ইতিমধ্যেই মোট ১১টা গবেষণাপত্র লিখে ফেলেছেন সুদর্শন। ট্যাকিয়ন কণার অস্তিত্ব প্রমাণিত হয়নি বলে, ট্যাকিয়ন নিয়ে নোবেল পুরস্কার পাননি কেউই। কিন্তু এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে পদার্থবিজ্ঞান পরিমণ্ডলে আগামী দিনের নতুন দিশা দেখাবে ট্যাকিয়ন। আর সেই নতুন দিশার দিশারি হলেন সুদর্শন।


    * * *


    সুদর্শনের গবেষণার বিষয়বস্তুগুলো ছিল যেমন আকর্ষণীয় তেমনই উচ্চমানের। তাঁর গবেষণাগুলো আজও সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। কোনো সন্দেহ নেই, নোবেল না পেলেও, পৃথিবীর প্রথম সারির পদার্থবিদের সাথে এক পঙ্‌ক্তিতে আসন পাবেন সুদর্শন। পশ্চিম দুনিয়ায় রামানুজন, রমন, বোস (সত্যেন্দ্রনাথ), চন্দ্রশেখরের সাথ এক নিশ্বাসে উচ্চারিত হয় তাঁর নামও। অথচ জন্মভূমি ভারতবর্ষে তাঁর মলিন উপস্থিতি মনটাকে বিষণ্ণ করে তোলে।



    পরিশেষে রইল সুদর্শনের সংক্ষিপ্ত জীবনপঞ্জি:
    (১) জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১
    (২) জন্মস্থান: পাল্লোম, কোট্টায়াম জেলা, কেরালা।
    (৩) বাবা: এনাকেল ইপে চ্যান্ডি, রাজ্য সরকারি কর্মচারি, মা : কৈথালি ভার্গেসে আচাম্মা, স্কুল শিক্ষিকা।
    (৪) জন্মসূত্রে খ্রিস্টান। পরে হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেন।
    (৫) দাদা: জোসেফ, ভাই: থমাস আলেকজান্ডার।
    (৬) ১৯৪৬-৪৮: কোট্টায়ামের সি এম এস কলেজে পড়াশোনা করেন।
    (৭) ১৯৪৮-৫১: বিএসসি (অনার্স), মাদ্রাজ খ্রিস্টান কলেজ।
    (৮) ১৯৫১-৫২: এমএ, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়।
    (৯) ১৯৫২-৫৫: হোমি জাহাঙ্গির ভাবার ডাকে ‘টাটা ইন্সটিটিউট অব ফান্ডামেন্টাল রিসার্চ, বম্বে-র সহযোগী গবেষক পদে যোগদান। এখানেই তিনি ইউএসএর পদার্থবিদ রবার্ট ইউজিন মারশাকের সাথে পরিচিত হন এবং তাঁর অধীনে পিএইচডি করতে মনস্থির করেন।
    (১০) ১৯৫৪: বিবাহ, স্ত্রী: গোপালকৃষ্ণান ভামথি, পদার্থবিদ, এইচওডি, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়।
    (১১) সন্তান: প্রদীপ আলেকজান্ডার (১৯৫৯), অরবিন্দ জিউএট (১৯৬২), অশোক জন (১৯৬৬)।
    (১২) ১৯৫৫-৫৮: রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি।
    (১৩) ১৯৫৭-৫৯: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পোস্ট-ডক্টরল রিসার্চ ফেলো।
    (১৪) ১৯৫৯-৬৩: সহযোগী অধ্যাপক, পরে অধ্যাপক, রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়।
    (১৫) ১৯৬৩-৬৪: ভিজিটিং প্রফেসর, বার্ন, সুইটজারল্যান্ড।
    (১৬) ১৯৬৪-৬৯: অধ্যাপক, সাইরাকিউস বিশ্ববিদ্যালয়, নিউইয়র্ক।
    (১৭) ১৯৬৯-২০১৬: অধ্যাপক, টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়।
    (১৮) ১৯৭১-৯১: সিনিয়র প্রফেসর, ইন্ডিয়ান ইন্সটিটিউট অব সায়েন্সস্‌, ব্যাঙ্গালোর।
    (১৯) ১৯৭৫-২০০?: বিচারক, ফিজিক্যাল রিভিউ।
    (২০) ১৯৮৪-৯১: ডিরেক্টর, ইন্সটিটিউট অব ম্যাথামেটিক্যাল সায়েন্সস্‌, চেন্নাই।
    (২১) ১৯৯১: আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ।
    (২২) ২০১৮: ১৩ মে, মৃত্যু। অস্টিন, টেক্সাস।

    সুদর্শনের প্রাপ্ত সম্মান:
    (১) ১৯৭০: স্যর সি ভি রমন প্রফেসর অব ফিজিক্স, মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়।
    (২) ১৯৭৪: পদ্মভূষণ, ভারত সরকার।
    (৩) ১৯৭৭: বোস মেডেল।
    (৪) ১৯৯৮: দেশিকোত্তম, বিশ্বভারতী।
    (৫) ২০০৭: পদ্মবিভূষণ, ভারত সরকার।
    (৬) ২০১০: ডিরাক মেডেল।
    (৭) বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের ৭টা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডিএসসি প্রদান করেছেন।

    (সমাপ্ত)


    সূত্র: এই নিবন্ধ লেখা পর্যন্ত সুদর্শনের কোনো জীবনী মুদ্রিত আকারে প্রকাশিত হয়নি। অনলাইন সাইটে প্রদত্ত তথ্যের ভিত্তিতেই এই নিবন্ধ রচিত হয়েছে। বিবিধ সাইটের মধ্য উল্লেখযোগ্য সাইটগুলো হল—
    1) Friends of George Sudarshan
    2) The Life and Works of E C George Sudarshan by N Mukund.
    3 a) Physical Review. 1 January 1958.
    3 b) Physical Review. 1 March 1958.
    4) Theory of Fermi Interaction, by R P Feynman and M Gell-Mann. semanticscholar.org
    5) Chirality Invariance and the universal Fermi Interaction, by E C G Sudarshan and R E Marshak. repository.ias.ac.in
    6) Nature of the Four Fermion Interaction, by E C G Sudarshan and R E Marshak. web2.ph.utexas.edu
    7) Nobelprize.org and nobel.org

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • আলোচনা | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ | ১৭৬৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ranjan Roy | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৭:৪১97347
  • সহস্রলোচন শর্মা 


       এর পর জয়ন্ত বিষ্ণু নার্লিকর নিয়ে  এরকম একটি  হবে নাকি? বা  ফ্রেড হয়েল + জে ভি নার্লিকর?

  • সহস্রলোচন শর্মা | 223.223.145.234 | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:৫২97351
  • রঞ্জন রায়


    সুন্দর প্রস্তাব। তবে আমি প্রস্তুত নই। সুযোগ পেলে প্রস্তুতি নেবো। 

  • Ranjan Roy | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২০:৫৮97354
  • ওকে। লেখা খুব ভালো লেগেছে।

  • সায়ন্তন চৌধুরী | ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২১:৩০97669
  • সায়েন্সের লেখায় আরও টেকনিক্যাল ডিটেল চাইছি। ফিজিক্সের ক্ষেত্রে কিছুটা ম্যাথ। টার্গেট অডিয়েন্সের ক্লাস টুয়েল্ভ অব্দি বিজ্ঞানের ব্যাকগ্রাউন্ড আছে ধরে লিখলে ভালো লাগবে।

  • সহস্রলোচন শর্মা | 223.223.151.32 | ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:১৬97816
  • সায়ন্তন চৌধুরী, রচনাটা পড়া ও মন্তব্য করার জন্য কৃতজ্ঞ রইলাম। আপনার মতামত সাদরে গ্রহণ করলাম। তবে আলোচ্য আক্সিয়াল ভেক্টর, টেনসার ইত্যাদি দ্বাদশ শ্রেণীর পাঠ্য নয়।  

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন