এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লোকপরিত্রাণ

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৮০০ বার পঠিত
  • শখ বা হবি তো অনেকেরই অনেক রকমের থাকে, নিজের পড়াশোনা, চাকরি বাকরির বাইরে। লিস্টি করতে গেলে হেজে যাব, কিন্তু রাজনীতি কখনও কারুর হবি হয়, শুনেছেন কখনও?

    সেদিন আপিসের তরফে একটা ভাটের সফ্‌ট স্কিলের ট্রেনিং প্রোগ্রাম ছিল। কর্পোরেট আপিস তো, তাই ভেনুগুলো বড় বড় হোটেলে হয়। এটা ছিল দিল্লির পার্ক হোটেলে। অবশ্য এইখানে অফলাইন জানিয়ে রাখি বড় হোটেলের ঘ্যামা লাঞ্চের লোভে পড়ে কেউ যদি কখনও এই রকমের কোনও ট্রেনিংয়ে নিজের নাম এনরোল করেন, তবে অফলাইনে জানিয়ে রাখি, সযত্নে পার্ক হোটেল দিল্লিকে এড়িয়ে যাবেন। অতি রদ্দি হোটেল, রদ্দি খাবার দাবার (ঐ ক্যাটেগরির হোটেলের পরিপ্রেক্ষিতে), ওভারঅল অ্যামবিয়েন্সও তেমন ইমপ্রেসিং নয়।

    যাক সে সব বাজে কথা। এই ধরণের ট্রেনিংয়ের শুরুতে প্রত্যেককে নিজের একটা করে ছোটখাটো ইনট্রো দিতে হয়। নাম ধাম কাম, কদ্দিন জোয়াল টানছে, চকরির বাইরে কী কী ভালোলাগে। সবাই বলে গান খেলা বার্ড ওয়াচিং, মানে সফোদের যেমন যেমন হবি হয় আর কি।

    এইবারের ট্রেনিংয়ে একটা ছেলে, দেখে বেশ মুখচোরা বলেই মনে হল প্রথমে, দাবি করল তার হবি হল পলিটিক্স। রাজনীতি। তার একটা পলিটিকাল পার্টিও আছে, এবং রিসেন্টলি তারা গুজরাটের নির্বাচনে লড়েও এসেছে।

    সেই শুভক্ষণেই মস্তিষ্কে জেগে উঠলেন লালমোহান গ্যাংগোলি, এবং কানের কাছে খুব বিনবিনিয়ে বলে উঠলেন, লোকটিকে তো কালটিভেট করতে হচ্ছে মশাই!

    অত:পর সফোদের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত সফট স্কিলের কোর্সের ফাঁকে ফাঁকে টফি আর হাই তোলা দিয়ে সময় বয়ে চলল। এল প্রতীক্ষিত লাঞ্চ ব্রেক। লাঞ্চের বিবরণ আর দিলাম না, অনেক জিমে যাওয়া পাবলিকদের কাছে সে বড় লোভনীয় লাঞ্চ হতে পারে।

    ধরলাম পলিটিশিয়ানকে। আমাদেরই অফিসের এমপ্লয়ি। আনাড়ি মানুষ, কোনওদিন পলিটিক্সের চৌহদ্দিতে ঢুকিনি, তবু শুরু করলাম, যতটা জেনে নেওয়া যায় আর কি ...

    -- পড়াশোনা কোথায়?
    --আইআইটি পাওয়াইয়ের বিটেক। মেকানিকাল।
    --তোমাদের পার্টির কী নাম? কীভাবে এর সম্বন্ধে ইনফর্মেশন পাব?
    -- আমাদের একটা ওয়েবসাইট আছে। http://www.lokparitran.org । এখানে গেলেই অনেক ইনফর্মেশন পাবে।
    -- কীভাবে এর শুরু? কবে থেকে শুরু?
    -- স্বপ্ন দেখার শুরু ফাইনাল ইয়ার থেকেই। আমাদের কয়েকজন বন্ধুর একটা টিম আছে। এটা আমাদের সম্মিলিত ব্রেইনচাইল্ড বলতে পারো। আমরা খুব ক্লোজ ফ্রেন্ড। এতটাই ক্লোজ, যে উই ক্যান ডাই ফর ইচ আদার। আর যখন বলছি ক্যান ডাই ফর ইচ আদার, আই মিন্‌ ইট।

    বিটেক পাস করার পর আমরা প্রত্যেকেই চাকরি করেছি অনেকদিন। আমি গোল্ডম্যান স্যাক্‌সে কাজ করেছি পাঁচ বছর। ইউএসএতে। আইআইটির বিটেক হিসেবে জিএসে স্যালারি খুব কম ছিল না। শুরু থেকেই আমি খুব ভালো মাইনে পেয়ে এসেছি। সেটা ছেড়ে যখন এই কম্পানিতে জয়েন করলাম, তখন আশা করি বুঝতেই পারছো, আমেরিকায় বসে টাকা রোজগার করে জীবন কাটানোটাই আমার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল না। ভারতে থেকেই আমি ভারতের কাজ করতে চাই।

    -- তা হলে পাঁচ বছর আমেরিকায় চাকরি করলে কেন?

    -- ইনিশিয়াল ফান্ড জমা করার জন্য। আমি ব্যাচেলর এখনও, এবং এই কম্পানিতে আমি যা পাই, তার সেভেন্টি পার্সেন্ট আমি এই পার্টির জন্য খরচা করি। আমি বা আমরা খুব সিম্পল লাইফ লীড করি। আমার নিজের এই মোবাইলটা ছাড়া আর কিছুই তেমন নেই। গাড়ি নেই, টিভি নেই।

    --তোমার টিমের বাকি বন্ধুরাও এখন তা হলে ভারতেই আছে?

    -- না। সবাই সমান অ্যাক্টিভ হয় না। দরকারও হয় না। তা ছাড়া ফান্ডের নিরন্তর জোগানটাও দরকার একটা পার্টি চালানোর জন্য। অনেকেই ভারতে আছে, অনেকেই বিদেশে আছে। যে যেমনভাবে পারে কাজ চালাতে সাহায্য করছে।

    -- তা হলে তোমাদের পার্টির বেশির ভাগ খরচ খরচাই কϾট্রবিউশন বেস্‌ড?

    -- হ্যাঁ। সে তো যে কোনও পার্টিরই। পার্টি তো আর কোনও লাভজনক সংস্থা নয়। কϾট্রবিউশনেই চলে যে কোনও পার্টি।

    --কী রকম কϾট্রবিউশন পাও? কত মেম্বার তোমাদের?

    -- সেটাই সবচেয়ে বড় পেইন এরিয়া, অ্যাজ ইউজুয়াল। ওয়ার্ল্ডওয়াইড আমাদের সদস্যসংখ্যা এখন প্রায় চল্লিশ হাজার মত, কিন্তু টাকা পয়সা দেয় খুব বেশি হলে দুহাজার জন।

    --তা হলে তো খুবই মুশকিল। এত কম টাকায় নিশ্চয়ই একটা পার্টি চলতে পারে না, বিশেষত ইলেকশনের সময়ে, ক্যাম্পেনিংয়ের খরচ আসে কোত্থেকে?

    --ঐ তো বললাম, কিছুটা চাঁদা তুলতে হয়, আর বাকিটা আমরা নিজেদের পকেট থেকেই খরচা করি। বিশাল স্কেলে ক্যাম্পেনিং আমরা করতে পারি না ঠিকই, কিন্তু মোটামুটি একটা দাঁড়িয়ে যায়। এবারের গুজরাট ইলেকশনে আমরা কুড়ি হাজারের মত ভোট পেয়েছিলাম।

    --অফ কোর্স জেতো নি?

    -- অফ কোর্স না। কিন্তু জেতাটাই তো সব নয়। আমাদের তো সবে শুরু।

    -- কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াতে গেলে তো একটা সার্টেন অ্যামাউন্টের টাকা জামানত রাখতে হয় নির্বাচন কমিশনের কাছে। হেরে গেলে সেই টাকা বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।

    -- এমন কিছু নয়। পার ক্যান্ডিডেট পাঁচ হাজার টাকা জমা রাখতে হয়।

    (এইখানটায় আমি মনে মনে একটু বিষম খেলাম, এত কম টাকা জামানত রাখা হলে তো যে কেউই ইলেকশনে দাঁড়াতে পারে। সঠিক অ্যামাউন্টটা কী, জানা না-থাকায় আমি আর এ নিয়ে কথা বাড়ালাম না।)

    -- তা হলে এটুকু তো বোঝাই যাচ্ছে এই রকমের ইনফ্রাস্ট্রাকচার নিয়ে তোমাদের জেতা মুশকিল। তোমরা তা জেনেও লড়ো একটা আইডিওলজির প্রভাবে, কিন্তু তোমাদের যারা টাকা দেয়, তারাও তো এটা বোঝে, তা জেনেও কেন টাকা দেয়? কোনও বিশেষ সুযোগ সুবিধা পায় তোমাদের পার্টির কাছ থেকে?

    এই সময়ে তার প্লেটের মাংস ফুরিয়ে যাওয়াতে এর আর ডিটেইল্‌ড উত্তর পাওয়া গেল না। যেহেতু প্রশ্নগুলো ইনফর্ম্যালি চলছিল, তাই এ প্রশ্ন আর রিপিট করা হয় নি।

    আরেক ব্যক্তি পাশ থেকে ফুট কাটলেন, তোমাদের ভিশন কী? কী ভিশন সামনে রেখে তোমরা তোমাদের পার্টিকে প্রজেক্ট করতে চাইছো? আলটিমেটলি তোমরা কী অ্যাচিভ করতে চাও?

    পলিটিশিয়ান বলল, মহাশয়, আপনি ভোট দেন?

    ব্যক্তি বলল, হ্যাঁ দিই।

    পলি: লাস্ট টাইম যে পার্টিকে ভোট দিয়েছিলেন, ভোট দেবার আগে তাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন, তাদের ভিশন কী? তারা কী অ্যাচিভ করতে চায়?

    ব্যক্তি: না, মানে ...

    পলি: তো, তাকে যখন জিজ্ঞেস করেন নি, আপনার আমাকেও জিজ্ঞেস করার কোনও রাইট নেই। আমি বলব না।

    এইবার আমি মাঝখানে এলাম, কাম অন বস, তুমি এই কথা বলতে পারো না। এটা গণতান্ত্রিক দেশ, যে কাউকে এ কথ অজিজ্ঞেস করার অধিকার আমার আছে। আমি অমুককে জিজ্ঞেস করি নি তার ভিশন কী, তার মানে এই নয় যে আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করতে পারি না। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করতেই পারি, আর তুমি যদি আমার ভোট চাও, তুমি আমাকে উত্তর দিতে বাধ্য।

    পলিটিশিয়ান এইবার একটু ব্যাকফুটে গেল, আমাদের ওয়েবসাইটেই ভিশন বড় বড় করে লিখে দেওয়া আছে, দেখে নেবেন।

    এর পর ঢং ঢং করে ক্লাসের ঘন্টা পড়ে গেল, আমরা গেলাম ভাটের ক্লাস করতে।

    ট্রেনিং ছিল দুদিনের। ফলে দ্বিতীয় দিনেও তাকে প্রশ্ন করার সুযোগ পাওয়া গেল।

    -- গুজরাট ভোট নিয়ে কিছু বলো। কেমন এক্সপিরিয়েন্স? নরেন্দ্র মোদীর কেমন প্রভাব?

    -- প্রভাব আর কী বলব? ওখানে তো একটাই লোক আছে, গোটা গুজরাটকে কিনে রেখেছে। ঐ সময়ে আমি অন্য ফোন ইউজ করতাম, থাকলে আমি দেখাতাম, কী কী ভাষায় তার দল থেকে আমাকে এসএমএস করা হয়েছে, ভয় দেখানো হয়েছে, প্রাণে মেরে ফেলার থ্রেটনিং পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে। তোমরা খবরের কাগজ পড়ে আর কতটুকু জানো। তার বাইরে অনেক অনেক ঘটনা ঘটে ইলেকশনের ক্যাম্পেনিংয়ে। সব খবর ইলেকশন কমিশনের কাছেও পৌঁছয় না।

    -- কেন?

    --প্রমাণ করা যাবে না। ভোটের ক্যাম্পেনিংয়ের সময়ে আমাদের নিজেদের গুন্ডাবাহিনী অ্যাপয়েন্ট করে রাখতে হয়, নিজেদের সিকিওরিটির জন্য। পুলিশকেও ওখানে বিশ্বাস করা যায় না, তারা সকলি নরেন্দ্রভাই বলতে অজ্ঞান। নরেন্দ্রভাইয়ের জন্য তারা সব করতে পারে। আমাদের তাই নিজেদের সিকিওরিটির ব্যবস্থা নিজেদেরই করে রাখতে হয়।

    -- কনফ্রন্টেশন হয়েছিল তার মানে?

    -- হয়েছিল। তবে রক্তারক্তি কিছু হয় নি। তেমন কিছু চিন্তা বাড়াবার মত বড় সাইজ নয়ও আমাদের পার্টির। কিন্তু নরেন্দ্র মোদী এতটুকুও বিরোধিতা সহ্য করতে পারে না। আমি তো ব্রাহ্মণ, আমার নামে জাতপাতের ধুয়ো তুলতে পারে নি, কিন্তু আর যা যা পেরেছে করে গেছে। যখনই র‌্যালিতে বেরিয়েছি, তার পার্টির লোকে দূর থেকে আমাকে ফলো করে গেছে।

    -- শুধু ভোটের আগেই এসব হয়? ভোট শেষ হয়ে গেলেই সবাই নিরাপদ? এই যে এখন তুমি দিল্লিতে একটা বড় হোটেলের হলঘরে রয়েছো, তোমার চারপাশে তোমার কোনও বডিগার্ড নেই, গুন্ডা নেই, নরেন্দ্র মোদী চাইলে তো তোমাকে এখানেই লোক পাঠিয়ে শেষ করে দিতে পারে!

    -- না! সে তা করবে না। পলিটিক্সে কিছু অলিখিত কনডাক্ট থাকে, ও সবাই মেনে চলে। এখানে ও আমাকে কিছু করবে না। আবার পরের ভোটে আমি যখন ওর প্রার্থীর আগেইনস্টে দাঁড়াব, তখন আবার গল্প শুরু হবে।

    -- তা, এই যে কুড়ি হাজার লোক তোমাদের ভোট দিল, তারা কী জন্য দিল? অনেকেই তো আছে কাউকে পছন্দ হয় না বলে নিজের ভোট নষ্ট করার জন্য ছোটোখাটো পার্টিকে ভোট দেয়। এটাও কি সেই রকমই?

    -- বলতে পারো, তবে এদের একটা বড় অংশই আমাদের লোক। আমরা দেশের জন্য কাজ করার কথা অত লার্জ স্কেলে এখনই ভাবি না। আমাদের মটো হল, আমাদের যারা যারা সাহায্য করে, পয়সা দিয়ে, সময় দিয়ে, ভোট দিয়ে, আমরা কেবল তাদেরই জন্য কাজ করি।

    অ্যায়সা কিঁউ? পলিটিশিয়ানের জবাব: আমাদের বক্তব্য সোজা। আমাদের পার্টিকে স্মুথলি চালাতে গেলে টাকার দরকার। সাহায্যের দরকার। আমরা যখন সাহায্যের জন্য তোমাদের কাছে আসি। তোমরা পয়সা দাও না, খালি পলিটিক্সে এই, পলিটিক্সে ওই বলে ক্রিটিসাইজ করো। নিজেরাও এগিয়ে আসো না। তা হলে তোমাদের যখন সাহায্যের দরকার, তখন আমরা কেন আসব? আমরা তাই তাদেরই সাহায্য করি যারা আমাদের সাহায্য করে।

    পুনরায় সময় শেষ হয়ে গেল এবং আমার আর কোনও প্রশ্ন করার বা ভাবার সময় সুযোগ হল না। পলিটিক্সে অত দড় তো নই, তবু এটুকু বোঝা গেল এ পলিটিশিয়ানকে চাটার গুচ্ছ সুযোগ আছে, একটু তৈরি হয়ে আসলে, আর হাতে একটু সময় নিয়ে বসলে।

    ক্লাসে ঢোকার আগে তাই গলাটাকে যথাসম্ভব গম্ভীর করে বললাম, আমি একটা বাংলা ওয়েবজিনের সাথে যুক্ত আছি, আমি তোমার পার্টির সম্বন্ধে একটা ডিটেইল্‌ড রিপোর্ট ছাপাতে চাই, সময় করে কোথাও একদিন বসতে পারলে ভালো হত ...

    পলিটিশিয়ান আমার থেকেও ডবোল ফর্মাল হয়ে গিয়ে বলল, ইন্টারভিউ আমি দিই না। আমাদের পার্টির সম্বন্ধে যে কোনও কথা অফিসিয়ালি বলবার জন্যে একমাত্র লোক হচ্ছেন আমাদের প্রেসিডেন্ট। তিনি দিল্লিতেই থাকেন, অ্যাপ্রোচ করতে হলে তোমাদের পত্রিকার তরফ থেকে তাঁকেই কোরো। আমি অফিসিয়ালি কোনও ইন্টারভিউ দিতে পারি না।

    এখন কোশ্চেনেয়ার তৈরি করে লোকপরিত্রাণের প্রেসিডেন্টের ইন্টারভিউ নেওয়া তো আমার পক্ষে এক্ষুনি সম্ভব নয়, তাই এই ইনফর্মাল ইন্টারভিউটাকেই এখানে ছাপিয়ে দিলাম জনতার জ্ঞানবর্ধনের জন্য।

    ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ | ৮০০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন