এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • গ্রামের নাম নিঠারি

    শমীক মুখোপাধ্যায়
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ জানুয়ারি ২০০৭ | ৭১৪ বার পঠিত
  • নিঠারি গ্রামে আমি যাই নি কোনওদিনও, তবে নয়ডা সাতাশ সেক্টরে গেছি বেশ কয়েকবার, ইন ফ্যাক্ট, ওর কাছাকাছিই যেতে হয় আমাকে প্রতি সপ্তাহেই, বাড়ি থেকে খুব দূরে নয়। এ রকম আরও অনেক খুচরো খাচরা অখ্যাত গ্রাম পাওয়া যায় নয়ডার বিভিন্ন সেক্টরে ... হরোলা, সলারপুর, ভঙ্গেল ...

    এ হেন নিঠারি গ্রাম আজ সমস্ত খবরের কাগজের প্রথম পাতায়, সব নিউজ চ্যানেলের সুর্খিয়াঁতে। খবর আজ সকলেরই জানা, তার ধারাবিবরণী দেবার আর বিশেষ কোনও প্রয়োজন নেই, কেবল বাড়ির পাশের ঘটনা বলেই, একটু খুঁজে ফেরার চেষ্টা।

    সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা আমাদের দেশে নতুন নয়, এর আগেও অনেক সিরিয়াল কিলিং হয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের গ্রামে। অটো শংকরকে নিয়ে সিনেমাও হয়ে গেছে। এককালের নাম করা সিরিয়াল কিলার চার্লস শোভরাজ এখন জেলের পেছনে জীবন কাটাচ্ছে। কিন্তু এই নিঠারি গ্রামের সিরিয়াল কিলিংয়ের ঘটনা যেন সব কিছুকেই পেছনে ফেলে দিয়েছে। বিকৃতির কোন পর্যায়ে যে একটা মানুষ নামক দ্বিপদ জীব পৌঁছতে পরে, রোজ খবরের কাগজের পাতা ওল্টাচ্ছি, আর জানতে পারছি।

    শিউরে উঠছি।

    অনেক কিছুই জানা ছিল না। মণিন্দর সিং পান্ধের, চন্ডীগড়ের নামকরা বিজনেসম্যান, সেই অভিশপ্ত বাড়ির মালিক দিল্লির নামকরা স্কুলের উজ্জ্বল ছাত্র ছিল। সে এমনকি আইএএসও ক্লিয়ার করেছিল, কেবল বিজনেস তার প্রায়োরিটি ছিল বলে সে সেই চাকরি করে নি।

    বিকৃতির অনেক কাহিনি আমরা পড়েছি এতকাল। মধ্যপ্রাচ্যে উটের দৌড়ে বাচ্চাদের ব্যবহার, তালিবানদের গল্প, তান্ত্রিকের কথায় শিশুবলি, পান্ধেরের কাহিনি বোধ হয় তার সবার ওপরে যায়।

    এমনিতে বেশ ডাকাবুকো লোক, কলেজজীবনে বাঘও মেরেছে (নিশ্চয়ই পয়সার জোরে তার কোনও শাস্তি হয় নি বাঘ মারার জন্য), তার বিকৃতির একমাত্র লক্ষ্য ছিল, বাচ্চারা। ছেলে হোক, মেয়ে হোক, ছোটো ছোটো বাচ্চাদের নগ্ন নাচ দেখার জন্য সে বারে বারে গেছে লস অ্যাঞ্জেলস, সুইজারল্যান্ড, দুবাই, চীন, আরও অনেক জায়গায়। সেই সব নগ্ন নাচের ফটো তুলতে ভালোবাসতো পান্ধের।

    কিন্তু কেবল নাচ দেখে কি পেট ভরে? নিজের ঘরেও ভরপুর বাচ্চা না পেলে খেলা তো জমে না। জুটে গেল সুরেন্দ্র। অপরাধ বিজ্ঞানের ভাষায়, এটা খুব রেয়ার কেস, যে একই মানসিকতার দুজন লোক একত্র হয়ে এই ধরণের ক্রাইম করেছে। সাধারণত সিরিয়াল কিলাররা নিজেদের অপরাধ একা একাই করে থাকে, তাদের কোনও পার্টনার হয় না। এক্ষেত্রে দুই সিরিয়াল কিলার, একসাথে। চকলেট টফির লোভ দেখিয়ে বাচ্চাদের নিয়ে আসা হত, যৌন শোষণ চালানো হত, তারপর সেই সব বাচ্চাদের স্রেফ মেরে ফেলা হত ছুরি বা জাস্ট ব্লেড ব্যবহার করে।

    সেক্টর সাতাশের ডি-৫ বাড়ির পেছন থেকে এখনও পর্যন্ত ২২টি করোটি পাওয়া গেছে, সাথে কিছু হাড়গোড়। পুরো দেহ কারুরই পাওয়া যায় নি, তার প্রধান কারণ, 'খেয়ে' ফেলার পরে তারা সেই সব মৃতদেহ টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলত, আর ফেলে দিত পেছনের নালায়। সেই নালা এক বড় ঢাকা ড্রেনের সাথে যুক্ত, যে ড্রেন নয়ডা শহরের বর্জ্য নিয়ে ফেলে যমুনার ধারে। কত শিশুর শেষ চিহ্ন যে ঐ ঢাকা ড্রেন বেয়ে যমুনায় বয়ে গেছে, তা আর কোনওদিন জানা যাবে না।

    নারকো অ্যানালিসিস টেস্টে ধরা পড়েছে এই সব ভয়ঙ্কর ঘটনা। সুরেন্দ্র বাচ্চাদের মলেস্ট করত তাদের মেরে ফেলার পর। মৃতদেহের ওপর যৌন অত্যাচার, এবং তারপর সেই সব বাচ্চাদের লিভার ... হ্যাঁ, খেয়ে ফেলত সুরেন্দ্র। এই জন্যেই কোনও বাচ্চার দেহাবশেষেই সম্পূর্ণ শরীর পাওয়া যায় নি। কেবল করোটি গুণে জানানো হয়েছে ২২টি বাচ্চার মৃত্যুর খবর।

    বাচ্চা, যুবতী আর প্রৌঢ় মিলিয়ে মোট ৪০ জন নিখোঁজ এখনও। হয় তো বাকিদের খোঁজও পাওয়া যাবে না। হত্যাকারীরা হত্যার ব্যাপারে এতই নির্লিপ্ত ছিল, সেই সব ছুরি ব্লেড রক্তমাখা অবস্থাতেই তারা ফেলে রেখেছিল রান্নাঘরে, নিহতদের জামা, সোয়েটার, হাওয়াই চটি স্তুপ করে রেখেছিল একতলার ঘরে।

    অনেক কিছু জানা ছিল না, এই কাহিনির সূত্র ধরে গা ঘিন ঘিন করা অনেক বিকৃত মানসিকতার কাহিনি জানা গেল। অপরাধী ধরা পড়েছে, সন্তানহারা মায়েদের বিলাপ এখনও থামে নি, আমরা হয় তো একটু আ-হা বলে চায়ের কাপে চুমুক দিতেই পারি।

    কিন্তু পারছি না। সমস্ত ঘটনায়, সব কিছু ছাপিয়ে, সবচেয়ে বেশি অভিযোগের তির গিয়ে বিঁধছে যাদের দিকে, তাদের নাম, পুলিশ। বীভৎস এক নির্লিপ্তির নৃশংস চিহ্ন রেখে দিয়েছে পুলিশ, দিনে দিনে, পরতে পরতে, আজ হাজার চেষ্টা করেও সে চিহ্ন মেটানো যাচ্ছে না। এত ঘৃণা জমা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে, এক প্রাক্তন পুলিশ চিফ কাগজের প্রথম পাতায় পুলিশকে গাল দিচ্ছেন 'কুকুর' বলে! Police have gone to the dogs ! কুকুরের পর্যায়ে পৌঁছে গেছে পুলিশ। বলেছেন, কেবল পলিটিকাল পার্টি আর পলিটিকাল লিডারদের নির্লজ্জ তাঁবেদারি ছাড়া পুলিশ আর কিছুই বিশেষ করে না!

    কী করেছে পুলিশ?

    কিচ্ছু না। জাস্ট কিচ্ছু না। বাচ্চা আর মোবাইল ফোন তাদের কাছে এক। ছিনতাই বা কিডন্যাপিংয়ের কেস তারা লিখবে না। নয়ডার মুখ্য থানা সেক্টর কুড়িতে। এর পেছনেই আমি এককালে থাকতাম। নিঠারি গ্রাম সেখান থেকে দু-তিন কিলোমিটার হবে। গ্রামের বাসিন্দারা, গ্রাম শব্দেই সহজবোধ্য, গরীব। কাজের লোক, ড্রাইভার, দারোয়ান, এই সব কাজের মাধ্যমেই সেখানকার লোকেদের জীবিকা অর্জিত হয়। এক দিকে খুব খুব গরীব লোকজন, অন্যদিকে অভিযোগের আঙুল যার দিকে, সে রীতিমতো প্রভাবশালী। বিশাল পয়সাওলা লোক। পার্টির নেতারাও তার বাড়িতে আসত টাসত। এহেন লোকের বিরুদ্ধে গরীব লোকের অভিযোগ পুলিশ কেন নেবে?

    'সামহাল নহি পাতি হ্যায় তো বচ্চা পয়দা কিঁউ করতি হ্যায়?'
    'ঘর জা। বচ্চা তেরা অগর মিল জাতা হ্যায় তো হম তেরা ঘর পঁহুছা দেঙ্গে।'
    'পুছ লে কিসি সে, লড়কি তেরি কিসিকে সাথ ভাগ গয়ি হোগি। শাদি করা দে।'
    'পাকড়কে লা দে কিসনে তেরে বচ্চা কো মারা, হম উসে জেল ভেজবা দেঙ্গে।'

    বাচ্চার জন্ম দিস কেন? তোর মেয়ে কারুর সাথে ভেগে গেছে। খুনিকে এনে দে, আমি জেলে পুরে দেব।

    জাস্ট এই কথাগুলো বলার জন্য সদাশয় সরকার পুলিশকে মাইনে দিয়ে পোষেন। গরীব মানুষ, তারা আবার মানুষ নাকি? তাদের স্বচ্ছন্দে তুই তোকারি করা যায়। তাদের এফআইআর নিতে অস্বীকার করা যায়। তাদের গায়ে অকারণে হাত বা লাঠি তোলা যায়। কারণ, ওরা গরীব মানুষ। আর, এরা, পুলিশ।

    কেবলমাত্র পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার জন্য আজ এতগুলো প্রাণ এইভাবে নৃশংসভাবে বলি হয়ে গেল। অনেক দিন আগে যখন নিঠারিবাসীরা সন্দেহ প্রকাশ করেছিল এই ডি-৫ বাড়ির ওপর, পুলিশ হেসে উড়িয়ে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, পান্ধেরের বাড়ির পেছনের ড্রেন দিয়ে নিকাশী জল বেরোচ্ছে না, তারা সন্দেহ জানিয়েছিল ঐ ড্রেনে মৃতদেহ জমা হয়ে আছে। পুলিশ যদি একবার না রসিকতা করে সেদিনই পান্ধেরের বাড়ি না হোক, অন্তত বাড়ির পেছনের ড্রেনটা খুঁজে দেখত, অনেকগুল প্রাণ বাঁচত। করে নি। ওরা ও গরীব মানুষ। ওদের সন্দেহের কোনও মূল্য আছে নাকি?

    পুলিশ সম্বন্ধে অনেক খারাপ খারাপ গালাগালি আমরা করে এসেছি এযাবৎ, নানা সময়ে। জেনারেলাইজেশনের দোষে দুষ্ট হয়েছি। ছোটবেলায় নীতিশিক্ষার বইতে আমরা পড়ে এসেছি ডাক্তার পুলিশ ঝাড়ুদার এরা সমাজবন্ধু। জেনারেলাইজেশন শিক্ষার আমাদের সেই শুরু। তারপর অনেক রকমের নীতিশিক্ষাই হয়েছে আমাদের এতদিনে। জেনেছি, ডাক্তারির প্রফেশনেও অসৎ লোক আছে এবং সৎ লোকও আছে, ঝাড়ুদার কমিউনিটিতেও তাই। অবশ্যম্ভাবীভাবে পুলিশেও তাই আছে। তাহলে জেনারেলাইজেশনের কোন রুল স্বতস্ফুর্তভাবে আমাদের বাধ্য করছে পুলিশকে 'শালা শুওরের বাচ্চা' বলতে, ডাক্তার বা ঝাড়ুদারদের তো বলতে ইচ্ছে করছে না? কোন্‌ জেনারেলাইজেশনের তত্ত্বে প্রাক্তন পুলিশের চিফ আজ পুলিশকে কুকুরের সাথে তুলনা করে ছিছিক্কার করছেন? কোন পর্যায়ে আজ নেমে গিয়ে পুলিশকে উঁচুতলা থেকে নিচুতলা পর্যন্ত নির্বিশেষে গালি হজম করতে হচ্ছে? জেনারেলাইজেশনের একমাত্র ভিক্টিম এই বিশেষ প্রজাতির সমাজবন্ধুরাই কেন হচ্ছে?

    খুব বেশি ভাবার কি দরকার আছে?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ জানুয়ারি ২০০৭ | ৭১৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ক্যাবাত বা দুচ্ছাই প্রতিক্রিয়া দিন