এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খবর  খবর্নয়

  • খবর্নয় খবর্দার (জুলাই ২৯)

    মিঠুন ভৌমিক ও দ্বৈপায়ন বসু লেখকের গ্রাহক হোন
    খবর | খবর্নয় | ২৯ জুলাই ২০০৭ | ১২০৫ বার পঠিত
  • এ সপ্তাহের খবর্নয় -- দ্বৈপায়ন বসু
    --------------------------------
    একা কুম্ভ
    -----------------
    ট্যাক্স নিয়ে ট্যাকটিসের কোনো শেষ নেই। উচ্চ, মধ্য, নিম্ন সর্ব ধরনের বিত্তবান মানুষের কাছেই ট্যাক্স মানে আতঙ্ক, ট্যাক্স মানেই তর্ক, ট্যাক্স মানেই সরকারি নীতির সমালোচনা, সরকার জনগনের ট্যাক্সের পয়সায় কোন অকাজ, কুকাজ করে বেড়াছে তার ফিরিস্তি। তো এত তর্কে না গিয়ে সবাই মিলে ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিলেই তো হয়। আমার দেওয়া এই সলিউশান টা খুব অদ্ভুত লাগছে কি শুনতে? তবে সোজা চলে যান লস অ্যাঞ্জেলেসের প্লেন ফিল্ডের ব্রাউন দের বাড়ি তে।
    ষাটোর্ধ দম্পতি ওঁরা, Ed এবং Elaine , সরকার কে ইনকাম ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করেছেন ১১ বছর আগে, সেই ১৯৯৬ তে। এই মুহুর্তে বকেয়া ট্যাক্সের পরিমান ১ . ৯ মিলিয়ন ডলার, যা বার বার চেষ্টা করেও ওঁদের কাছ থেকে আদায় করা যাচ্ছে না। এই পরিবারের দাবী যে সাধারন শ্রমিক দের কাছে সরকার ট্যাক্স দাবী করতে পারে না। সরকার নিজেই বেআইনি কাজ করছে ওঁদের কাছে ট্যাক্স চেয়ে। ট্যাক্স না দেয়ার অধিকার আছে ওনাদের আর তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে এটা ওনাদের দুজনের এক রকম স্বাধীনতা যুদ্ধ।
    ব্রাউন পরিবারের বাড়ি টাও এখন যুদ্ধ ক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে। বাড়ির সাথে লাগোয়া আছে উঁচু ওয়াচ টাওয়ার। ৮ ইঞ্চি পুরু কংক্রীটের দেয়াল, তার ভেতরে বন্দুক ধারি বাড়ির কর্তা। ইতিমধ্যে FBI agent রা চেষ্টা করেছে হানা দেয়ার, কিন্তু অস্ত্র ধারী দুর্গ মালিকের কাছা কাছি পৌছতে পারে নি। অকারন এবং অতিরিক্ত রক্ত পাতের আশঙ্কায় পিছিয়ে এসেছে।
    এর পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে প্রশাসন পুরো এক ঘরে করে দিয়েছে ঐ পরিবার কে। কেটে দেয়া হয়েছে ইলেকট্রিকসিটি, ইন্টারনেট, ফোন, মোবাইল সব। দুর থেকে ব্যারিকেড বানিয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। কিন্তু তাতেও কুছ পরোয়া নেই ব্রাউন দের। ওনাদের দুর্গে আছে সোলার প্যানেল, ইলেকট্রিকের জন্য এবং নিজেদের স্যাটেলাইট। ঘরে খাবারের ও কোনো অভাব নেই। কারন এই ব্রাউন পরিবারের ফ্যান সংখ্যা প্রচুর। এদের সমর্থনে ইন্টারনেটে চালু হয়েছে সাইট, রয়েছে ব্লগ। ফলে অসংখ্য গুনগ্রাহীরা প্রস্তুত সাহায্যের জন্য। খাবার ভর্তি প্যাকেট, প্রি পেড মোবাইল ফোন সব কিছু পাঠায় তারা। এমন কি দুর থেকে এই ফ্যানেরা সাদা পতাকা উড়িয়ে দেখা করতেও আসে ব্রাউন দের সাথে। সরকারি নীতি, অর্থনীতির তুমুল তর্কা তর্কি চলে ঘরের ভেতর। দুরে ব্যারিকেড করে দাড়িয়ে থাকে কিংকর্তব্যবিমুঢ় পুলিশের দল।
    Ed এর মতে যে সরকার যে ভাবে বিভিন্ন যুদ্ধের পেছনে খোলাম কুচির মতন টাকা নষ্ট করছে, তাতে সকলের উচিত স্বাধীনতা ঘোষনা করা আর সরকার কে একটা পয়সাও না দেয়া। নিজেকে তিয়েন আন মেন স্কোয়ারের সেই " little gentlemen " দের সাথে তুলনা করে, সরকার কে Ed এর চ্যালেঞ্জ " You can scare me, you can kill me, but you can't intimidate me "। ওনাদের দাবী আমেরিকার সব সাধারণ মানুষের হয়ে এই লড়াই ওনারা লড়ে যাবেন আমৃত্যু। ওনাদের এই লড়াই সরকারের সমস্ত অন্যায় দাবী দাওয়া এবং জন বিরোধী সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে। ইরাক যুদ্ধের পর থেকে ব্রাউন ফ্যামিলির সমর্থক দের সংখ্যা ক্রম বর্ধমান। এই মুহুর্তে এই দেশে ট্যাক্স প্রোটেস্টার সংখ্যা প্রায় পাঁচ লাখ। এরা সকলেই ব্রাউন পরিবার কে আদর্শ হিসেবে মানছে।
    কিন্তু ব্রাউন পরিবারের প্রতিবেশী রা আদৌ খুশি নয় তাদের এই বিখ্যাত প্রতিবেশী পরিবারের ওপর। তাদের আশঙ্কা যে, যে কোনো সময় পুলিশের সাথে এই পরিবারের একটা রক্তক্ষয়ী লড়াই শুরু হয়ে যাবে আর তাতে আশে পাশের বাড়ির মানুষদের ও ক্ষতির সম্ভাবনা থাকবে।
    প্রশাসন আপাতত ধীরে চলো নীতি নিয়েছে, যাতে খুব বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো যায়। দেখা যাক সরকার কি ভাবে এই পরিস্থিতি সামলায়। বিনা রক্ত পাতে আদৌ সামলাতে পারে কিনা।

    বিড়াল জ্যোতিষী
    -------------------------
    বিড়াল নিয়ে দেশে বিদেশে প্রচুর সংস্কার আছে। বিড়ালের কান্না নাকি প্রচন্ড অশুভ, বিড়াল রাস্তা পার হলে নাকি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা, এরকম অজস্র। এত দিন শিক্ষিত, বিজ্ঞান মনস্ক সমাজ সে গুলোকে উড়িয়ে দিয়েছে কুসংস্কার বলে। কিন্তু এই বারে হয়তো সত্যি ভেবে দেখা যেতে পারে এটা নিয়ে, কারন এমন এক বিড়াল এর খোজ পাওয়া গেছে যে মানুষের মৃত্যু আগে থেকে টের পায়।
    অস্কার নামের এই বিড়াল টির বাসস্থান Steere House Nursing Rehabilitation Center এর তিন তলায়, যেখানে পার্কিনসন্স, আলজেইমারের মতন রোগের চিকিৎসা হয়। প্রায় ২ বছর বয়সী এই বিড়াল টা কে এখানে এনে রাখা হয়, যখন নেহাৎ ছানা ছিল বিড়ালটা, তখন ই আদর করে নাম রাখা হয় অস্কার। এমনিতে কোনো দুষ্টুমি না করলেও, সারাক্ষন চারদিকে চক্কর দিয়ে বেড়াতো বিড়ালটা। মাস ছয়েক পরে লক্ষ্য করা যায় যে বিড়াল টা বেশ নিয়ম মেনে, রুটিন করে চক্কর দিচ্ছে সব রোগীদের কাছে। যেমন করে ডাক্তার রা রেগুলার ভিসিটে আসেন এখানে, তেমন করেই অস্কার প্রতিদিন প্রত্যেক রোগীর পাশে যায় আর তার গা হাত পা শোঁকে, খোজ খবর নেয়। এরপর এক রোগী ছেরে অন্য রোগীর দিকে চলে যায়। কিন্তু যদি গা হাত পা শোঁকার পর কোনো ভাবে সেই রোগীর পাশে পা মুড়ে বসে পড়ে অস্কার, তার অর্থ হলো সেই রোগীর মৃত্যু একদম নিশ্চিত এবং তা ঘন্টা চারেকের মধ্যে।
    এই বছর দেড়েকে প্রায় ২৫ টা এরকম ঘটনা ঘটেছে এবং ২৫ বারেই নির্ভুল ভাবে মিলে দেখতে পাওয়া গেছে এক চেনা ছবি। রোগীর গা হাত পা শোঁকার পর তার পাশে পা মুড়ে বসে পড়ছে অস্কার।
    Dr Joan Teno একটা বিশেষ ঘটনার কথা বলেছেন এই ব্যপারে। সেটা ছিল অস্কারের ১৩ নং কেস। এক পেসেন্ট কে ভিসিট করার সময় ডাক্তার দেখেন যে সেই রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হয়ে গেছে, সাথে চামড়াও নীল হয়ে এসেছে। অর্থাৎ মৃত্যু একদম শিয়রে, অথচ অস্কার তাকে শুঁকেই চলে গেছে, বসে থাকে নি। স্বভাবতই ডক্টরের মনে হয় যে অস্কার এই বারে আর ধরতে পারলো না যে কি হতে চলেছে। কিন্তু সবাইকে ভুল প্রমান করে অস্কার ঠিক চলে আসে সেই রোগীর পাশে, তাঁর মৃত্যুর ঘন্টা দুয়েক আগে। ডাক্তারের সেই ভিসিটের পর ঐ রোগী আরো ঘন্টা দশেক বেঁচেছিলেন।
    আপাতত রোগীদের বাড়ির আত্মীয় রা অস্কারের ব্যবহারে বেশ খুশি, কারন এর ফলে তাঁরা আগে থেকে খবর পেয়ে, প্রিয়জনের শেষ মুহুর্তে এসে, তাঁদের কে সঙ্গ দিতে পারছেন। Tufts University র গবেষকরা ইতিমধ্যেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে এই ব্যপারে এবং খুব শিগ্গিরি তারা অস্কারে সারাদিনের কাজ মনিটর করা শুরু করবে। অতদিন বিজ্ঞানী দের ধারনা ছিল যে প্রাকৃতিক অনেক দুর্যোগ জীব জন্তু রা আগে থেকে টের পায়। এখন হয়তো সেই তালিকায় নতুন আর একটা ঘটনা যুক্ত হতে চলেছে।
    "There are more things in heaven and earth, Horatio, than are dreamt of in your philosophy"

    ঠান্ডা যুদ্ধে বুশ
    ---------------------------
    গ্লোবাল ওয়ার্মিং নিয়ে চিন্তার শেষ নেই মানুষের। মাধ্যমিকের সাজেশান থেকে, UN এর সন্মেলন সব জায়গায় এখন টপ প্রায়োরিটি পাচ্ছে গ্লোবাল ওয়ার্মিং। সবাই যখন এই ব্যপারে এত মাথা ঘামাচ্ছে, তখন প্রেসিডেন্ট বুশ তাঁর টা ঘামাবেন না, তা হয় নাকি?
    তাই আমেরিকা কে গ্লোবাল ওয়ার্মিং'র হাত থেকে বাঁচাতে প্রেসিডেন্টের প্ল্যান হলো, দেশ জুড়ে একটা বিশাল এয়ার কুলিং মেশিন তৈরি করা। তাই খুব শিগ্গিরি এখানে শুরু হতে চলেছে এই নিয়ে গবেষনা। যাতে ২০১৫ সালের মধ্যে তৈরি করা যায় এই "Giant National Air Cooler" । আপাতত শুধু গবেষনা খাতেই বরাদ্দ হয়েছে ১০০ ট্রিলিয়ান ডলার। ইতিমধ্যেই কুলার বানাবার কোম্পানি গুলোর সাথে বৈঠক হয়ে গেছে প্রেসিডেন্টের। Lennox প্রায় ৩০ ট্রিলিয়ান ডলারের কনট্র্যাক্ট পাচ্ছে। পেছনেই রয়েছে Carrier Corporation, Trane ও Amana ।
    যদি সত্যি এই প্রোজেক্ট সফল হয়, তবে এটাই হবে এখনো অব্দি দেশের সবচেয়ে বড় public works project । House Speaker Nancy Pelosi জানান যে এই প্রোজেক্ট শেষ হলে দেশের প্রচুর লোকের জন্য নতুন চাকরীর ব্যবস্থা হবে। এই বিশাল কুলারের ফিল্টার পরিষ্কার করতেই প্রায় হাজার দশ লোক লাগবে বছরে। তবে প্রোজেক্টের ব্যপারে খুব আশাবাদী না অর্থ মন্ত্রক। এত বড় সিস্টেমের চালাবার জন্য পাওয়ার কোথা থেকে আসবে, কে খরচ দেবে এই নিয়ে বেশ চিন্তায় তারা। ওদিকে আন্তর্জাতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে চাপান উতোর। কানাডা প্রতিবাদ জানিয়েছে যে এই ভাবে ঠান্ডা হাওয়া টেনে নিতে পারে না আমেরিকা।
    তো এই ঠান্ডা যুদ্ধের ফাঁকে ফাঁকে আমরা আপাতত দেখতে থাকবো যে কি ভাবে এগোয় কাজ। এই কাজের কত টা অংশ আমাদের এশিয়াতে আউট সোর্সড হয় আর এর জন্য H1B ভিসার কোটা বাড়ে কিনা। আর তার সাথে মনের ভেতর খচ খচানি টা থাকবে যে প্রতিদিন এই সিস্টেম থেকে যে গরম হাওয়া বেরোবে, সেটা যাবে কোথায়?

    এই সপ্তাহের মাতালরা
    --------------------------
    এই অল্প কিছুদিন আগে, ওয়াশিংটনের ক্যাপিটল হিলের কাছে এক বাড়িতে রাত্রি বেলা ছোট খাট পার্টি চলছিল। গৃহ কর্তার কিছু বন্ধু বান্ধব আর পরিবারের সবাই উপস্থিত সেখানে। বেশ রাতের দিকে হঠাৎ সেখানে উপস্থিত হয় এক রাইফেল ধারী ব্যক্তি। বাড়ির কনিষ্ঠ তমা সদস্যা এক ১৪ বছরের মেয়ের মাথায় বন্দুক ধরে যথা রীতি টাকা পয়সার দাবী করতে থাকে সে। হঠাৎ গৃহ কর্ত্রী সেই ডাকাত ভদ্রলোক কে বলেন যে, টাকা নিয়ে আসার ফাঁকে সেই ভদ্রলোক যদি চায় তো অল্প ওয়াইন খেতে পারে সবার সাথে। ব্যাস, এক কথায় রাজি ডাকাত ভদ্রলোক টি চুমুক মারেন Chateau Malescot St-Exupery তে। তারপরেই যাকে বলে লাভ অ্যাট ফার্স্ট সিপ, তাই হয়। ওয়াইন খেয়ে প্রচন্ড খুশি ডাকাত বন্দুক ফেলে দিয়ে ক্ষমা চায় গৃহ কর্তার কাছে। তারপর সবার সাথে কোলাকুলি করে, ওয়াইনের বোতল টি বগলে করে নিয়ে ফিরে যায়। প্রচন্ড অবাক গৃহ কর্তা যদিও এর পরে ৯১১ তে ফোন করেছিলেন, কিন্তু সে অন্য গল্প।

    শুধু আমেরিকা না, মাতালদের দরাজ হৃদয়ের পরিচয় দিতে ইউরোপ ও পিছিয়ে নেই। লন্ডনের ক্র্যিস্টাল ক্লাবে তাই এক রাতে এক ভদ্রলোকের পানীয়ের বিল হয়েছে ১০৫,৮০৫ . ২৮ পাউন্ড বা প্রায় ২১০,০০০ ডলার। গত শনিবার ঐ ভদ্রলোক ক্লাবে ঢোকেন নয়জন মহিলা এবং আট জন পুরুষ সঙ্গীর সাথে। ঢুকেই অর্ডার করেন ২৫ পাউন্ডের এক বোতল হোয়াইট ওয়াইন। সেই হোয়াইট ওয়াইন শেষ হওয়ার শুরু হয় আসল গল্প। এর পরেই আসে Dom Perignon , যার দাম প্রায় ৭০০ পাউন্ড প্রতি বোতল। চমকাবার কিছু নেই, কারন তার পরেই অর্ডার হয় ৩০,০০০ পাউন্ডের শ্যাম্পেন এবং সব শেষে Belvedere vodka , যার প্রতি বোতল প্রায় ১৪০০ পাউন্ড। ট্যাক্স নিয়ে বিল হয় ১০৫,৮০৫ . ২৮ যার মধ্যে অবশ্য ৬ টা কোকা কোলাও আছে। ক্রিস্টালের এক কর্মচারী জানান যে তাঁর ২০ বছর চাকরী জীবনে কোনোদিন এমন ঘটনা দেখেন নি। এখনো অব্দি জানতে পারিনি ভদ্র লোক কত টিপস দিয়েছেন, জানতে পারলেই সেটা জানিয়ে দেবো সবাইকে।

    এ সপ্তাহের খবর্দার -- মিঠুন ভৌমিক
    --------------------------------

    রাজকন্যা ও দেবদূত
    ------------------
    সেই রূপকথায় আমরা পড়েছিলাম দৈত্য ও রাজকন্যার কথা। এবারের এপিসোড দেবদূত ও রাজকন্যা। নরওয়ের রাজকন্যা মার্থা দাবী করেছেন যে তাঁর অলৌকিক ক্ষমতা আছে এবং তা তিনি অন্যদের শেখাতে চান। শুধু তাই নয়, ঐ অলৌকিক ক্ষমতা কাজে লাগিয়ে নাকি তিনি বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি চালু করতে চলেছেন। একটি ওয়েবসাইটে সেই পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করে তিনি জানিয়েছেন, খুব ছোটবেলা থেকেই তাঁর অদ্ভুৎ সব ক্ষমতা আছে। তিনি সহজেই মানুষের মনের কথা পড়তে পারেন, দেবদূতদের সাথে কথা বলতে পারেন এবং সেই সুবাদে মানুষের রোগব্যাধি-ও নাকি সারিয়ে দিতে পারেন। মার্থা একটি শিক্ষাকেন্দ্র খুলে সেখানে এইসমস্ত গুপ্তবিদ্যা শেখাবার মহান দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। তাঁর ভাষায়, "" এখানে ছেলেমেয়েরা শিখবে কিভাবে নিজেদের জীবনে অলৌকিক সব ঘটনা ঘটানো যায়।'' তিন বছরের ঐ কোর্সের জন্য মাত্র ৪১৫০ ডলার দিলেই হবে।
    মার্থার মতিগতি রাজপরিবারে মোটেই স্বস্তির হাওয়া বয়ে আনেনি। তড়িঘড়ি সেখান থেকে ঘোষণা করা হয়েছে, মার্থার পরিকল্পনার সাথে রাজপরিবারের কোনই সম্পর্ক নেই।
    এরপরেই ব্যাপারটা নিয়ে একটু খোঁজখবর করে দেখা গেছে, মার্থা সিংহাসনের দাবিদার। গদিতে বসার লম্বা লাইনে তিনি চতুর্থ স্থানে আপাতত। এখন, এটা কিছুতেই বোঝা যাচ্ছেনা সিংহাসনে বসার জন্যে দেবদূতেরা কতটা নির্ভরযোগ্য, এবং তাঁরা মর্ত্যের পোড়খাওয়া, পাষন্ড নেতাদের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত কিনা। তবে প্রচারের আলো টেনে নিতে যে তিনি পারদর্শী, সেকথা প্রমাণ করে দিয়েছেন এই অঘটনঘটনপটিয়সী।

    টুকরো খবর
    ------------
    পুরুষদের তুলনায় মহিলারা ই-মেল বেশি করেন, এক সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে এই তথ্য। ""সুইচ্‌ড'' নামের এক সংস্থার আয়োজিত ঐ সমীক্ষায় প্রকাশ পেয়েছে, মহিলারা বেশিবার ই-মেল চেক করেন, উত্তর-ও দেন জলদি। পরিচিতদের ধন্যবাদ বা জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে ই-মেল-ও মহিলারাই বেশি করেন বলে দেখা গেছে।

    এদিকে, সাংহাইতে গরম এবং অত্যধিক ক্লান্তি এড়াতে চাকুরেদের স্যুট-টাই এর বদলে শর্টস আর টি-শার্ট পরতে অনুরোধ জানিয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সাংহাইতে এখন তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রী সেলসিয়াস ছুঁতে চলেছে প্রায়।

    ক্যালিফোর্নিয়ার একটি গবেষণাগারের বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, এবার বাজারে আসতে চলেছে এমন এক কম্পিউটার যে খুব ছোট বাচ্চাদের কথা বুঝে ফেলবে। শুধু তাই নয়, শিশুব্রেনের কার্যপদ্ধতি ম্যাপ করে এবার জেনে যাওয়া যাবে কিভাবে মানুষ কথা বলতে শেখে। বিশ্বের বহু মানুষ কমিউনিকেশান ডিসর্ডারে ভোগেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নিয়ে গবেষণা হয় অনেকদিন ধরেই। সেইসব কাজকর্ম যে জলে যায়নি, তা এবার প্রমাণ হল।

    চোর জিনিসপত্র নিয়ে চম্পট দিল, কিন্তু রেখে গেল ঠিকানা। বার্লিনে এই অভাবনীয় ঘটনা পুলিশকে অবাক করেছে বললেও কম বলা হয়। ঐ ব্যক্তি এক ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে চুরি করে পালাবার আগে একটা চিরকুটে লিখে যায়, ""চুরি করলাম। পুলিশে খবর দিন।'' প্রায় দস্যু মোহন কায়দায় এরপর সেই চিরকুটে পাওয়া গেছে চোরের নির্ভুল ঠিকানা। সেখানে ফোন করামাত্র সেই সদাশয় ব্যক্তি দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন। আচমকা কিছু জিনিসের দরকার হওয়ায় এবং তক্ষুনি টাকা হাতে না থাকায় নাকি ""বাধ্য হয়ে'' চুরি করতে হয়েছে, এরকম-ই দাবী ঐ ভদ্রলোকের।

    জুলাই ২৯, ২০০৭
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খবর | ২৯ জুলাই ২০০৭ | ১২০৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন