এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • শ্যামলী আর সোনালী

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৬ মার্চ ২০২০ | ৮৫৮ বার পঠিত
  • ***পোস্টিং-এর গন্ডগোলে এই অংশটা বাদ পড়ে গিয়েছিল । তাই আবার দিলাম।

    শ্যামলীদের নিয়ে হিমাংশু শোভাবাজারে পৌঁছল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ। বাতাস থেকে শীতের হিম পড়ছে। ট্রামলাইন ধরে একটু হাঁটার পর ডানদিকের গলিতে ঢুকবে। গলির মুখে পৌঁছয়নি এখনও। একটা সোনালী রঙা কুকুর একলা বসে আছে। বসে থাকার ভঙ্গী ঠি ক রাস্তার আর পাঁচটা কুকুরের মতো নয়। কেমন যেন অসহায়, উদ্বিগ্ন, বিভ্রান্ত , ব্যথিত দৃষ্টি। মোলায়েম সোনালী পশমি লোমে ঢাকা শরীর। কান দুটো একটু ঝোলা। কৌতূহলবশত হিমাংশু ওর একদম সামনে গিয়ে দাঁড়াল। পেডিগ্রি কুকুর। হিমাংশু কুকুর চেনে। সে এক নজরেই বুঝতে পারল —গোল্ডেন রিট্রিভার। রজত সেন বলে একটা কুকুর ব্যবসায়ীর সঙ্গে সে কিছুদিন কাজ করেছিল। বিলিতি কুকুর ব্রিড করে কুকুর বিলাসিদের বিক্রি করত। এক একটার দাম পঞ্চাশ ষাট হাজার টাকা। এক একটা মাদী কুকুরকে দিয়ে মেশিনের মতো বছরের পর বছর বাচ্চা পাড়ানো হত। বুড়ি হয়ে গেলে যখন আর বাচ্চা দিতে পারত না তার অযত্নের আর শেষ থাকত না। মালিক কুকুরটাকে ঘাড় থেকে ঝেড়ে ফেলতে চাইত। এই দুনিয়ায় কে আর কাকে বসিয়ে খাওয়ায়। রজত সেন প্রসব ক্ষমতা ফুরিয়ে যাওয়া মা কুকুরগুলোকে প্রায় না খাইয়ে রাখত। ফালতু খরচ কে করবে ? অনেক মালিক এ কুকুরগুলোকে ইঞ্জেকশান দিয়ে মেরেও ফেলে। তারপর ভাগাড়ে ফেলে দিয়ে আসে। খুব সদয় হলে দূরে কোথাও ছেড়ে দিয়ে আসে... একাকী নি:সঙ্গ। সম্পূর্ণ অনভ্যস্ত জীবনে উদ্বেগাকুল ও অনাহারে দীর্ণ হতে হতে বেশির ভাগই মারা যায়। ওরা কেউ কেউ কোনক্রমে বেঁচে থাকে দু চার মাস।
    হিমাংশুর অভিজ্ঞ চোখ বুঝতে পারল এটা সেই রকম সারা জীবন ধরে নিংড়ে নেবার পর একটা পরিত্যক্ত কুকুর।
    হিমাংশু কুকুরটার সামনে দাঁড়িয়ে গেল। শ্যামলী আর তার ছেলেমেয়েও দাঁড়িয়ে গেল । নির্জন চুপচাপ রাস্তা। একটা ময়লা ফেলার গাড়ি গেল ঢ্যাক ঢ্যাক করতে করতে আহিড়িটোলার দিকে।
    কুকুরটা কিন্তু উঠে সরে গেল না।প্রত্যাশাভরা দৃষ্টিতে করুণ চোখে হিমাংশুর দিকে তাকিয়ে রইল। চার পায়ে উঠে দাঁড়াল। ল্যাজ নাড়তে লাগল। ঘেঁসে এল হিমাংশুর কাছে। হিমাংশু দরদী উষ্ণ হাত রাখে ককুরটার মাথায়। বনে বাদাড়ে অনাদরে অবহেলায় ফুটে থাকা চোরকাঁটার মতো হিমাংশুর মনের পরতে অলক্ষ্যে জড়িয়ে যাচ্ছে সোনালী কুকুরটা। হিমাংশুর মনে হল কুকুরটা ক্ষিধেয় কাতর। সে হাঁটু গেড়ে বসে পড়ল ওখানে। পলিথিনের প্যাকেটে চারটে পরটা ছিল ।সে কুকুরটার মুখের কাছে পরটার টুকরো ধরল। অজানা দ্বিধা দ্বন্দ্বের পাকে পড়ল বোধহয় গোল্ডেন রিট্রিভার। কয়েক সেকেন্ড চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইল। মুখ তুলে দু একবার হিমাংশুর মুখের দিকে তাকাল দ্বিধান্বিত চোখে।ওর বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করার জন্য হিমাংশু ওর মাথায় পিঠে হাত বোলাতে লাগল। কুকুরটার ভীতি ও সংশয় কেটে যায় এবার। মুখ নীচু করে সুবোধ বালকের (বালিকার ) মতো হিমাংশুর হাত থেকে পরটা খেতে লাগল খুব শান্তভাবে এবং সনাতন প্রথায় কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপক লেজ নাড়ানো শুরু করল।
    রাত বেড়ে যাচ্ছে। পথবাসী কুকুরগুলো অতি ব্যস্তভাবে কোন জরুরী কাজের তাড়ায় রাস্তার এধার থেকে ওধার ছোটাছুটি করছে। ডাকাডাকি হাঁকাহাঁকি চলছে থেকে থেকে । খাওয়া থামিয়ে বয়স্কা গোল্ডেন রিট্রিভার অনভ্যস্ত উৎকন্ঠায় একবার ঘাড় ঘুরিয়ে ওদিকে তাকায়। খুব সম্ভবত: নিরাপদ আস্থাভাজন বিবেচনায় হিমাংশুর আর একটু কাছ ঘেঁসে এল কুকুরটা । শ্যামলী এবং তার বাচ্চারা গভীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে দেখছে এক গোটা ব্যাপারটা।
    রাত বেড়ে যাচ্ছে। হিমাংশুকে এবার যেতে হয়।তার জীবনে যে আকস্মিকভাবে সন্তানসহ শ্যামলীরা তিনটে চোরকাঁটা লটকে গেছে। এখন ছাড়িয়ে ফেলা কি সহজ কাজ ! চলতে আরম্ভ করল হিমাংশু। আশ্চর্যের ব্যাপার, অতি আপনজনের মতো গোল্ডেন রিট্রিভারও ওদের সঙ্গে হাঁটতে লাগল। সমানে চলছে লেজের দোলন। ও-ও চোরকাঁটার মতো আটকে গেল বুঝি কে জানে বুকের কোন ভাঁজে।
    ়়়়়় ়়়়় ়়়

    অনেক অলিগলি পেরিয়ে টালির চালার ঘরটায় পৌঁছন যায়। ঘরটার দুপাশে লেদ কারখানা। সকাল থেকে মাঝরাত পর্যন্ত ঘর্ঘর শব্দ এখানে।

    শ্যামলী এই ঘরে আছে একবছর। টালির চাল। দুপাশে লেদের কারখানা। রাত বারোটা পর্যন্ত ঘর্ঘর শব্দ। প্রায় চব্বিশ ঘন্টা এফ এম রেডিও বাজে। মাঝে মাঝেই হৈ হল্লা খিস্তি খেউড় উড়ে আসে। শ্যামলীর দিকে অবশ্য চোখ তুলে তাকায় না কেউ। কারণ হিমাংশুর রাজনৈতিক খুঁটির জোর এরা সবাই জানে। কারখানার ছেলেরা প্রায়ই বলে, ‘ কিছু দরকার হলে বলবেন বৌদি ...’।
    শ্যামলী কমদামী রেডিমেড গারমেন্টের ব্যবসা শুরু করেছে। প্রাথমিকভাবে একহাজার টাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিল হিমাংশু। এ পি সি রোডে হরি সাহা মার্কেটের হাট থেকে মাল তোলে শ্যামলী শনিবারে। কমদামী শায়া ব্লাউজ কুর্তি এইসব। বেনিয়াটোলা অাহিরিটোলার অলি গলিতে বেশ কিছু স্বল্পবিত্ত পরিবার তার নিয়মিত খরিদ্দার হয়ে গেছে। ছেলেমেয়ে দুটোকে মানুষ করাই এখন তার একমাত্র লক্ষ্য। পাড়ার একটা পৌরনিগমের স্কুলে পড়ে এখন ওরা। হিমাংশু চেষ্টা চালাচ্ছে এ বছরে শৈলেন্দ্র সরকার কিংবা শ্যামবাজার এ ভি স্কুলে ভর্তি করার জন্য।
    শ্যামলী ঠি ক করেছে হাতে একটু টাকা জমলে একটা সেলাই মেশিন কিনবে । শাড়ীর ফলস লাগানো, ব্লাউজ সেলাই এইসব করবে।
    ওখানে হিমাংশু গিয়েছিল বিকেলবেলায়। ছেলেমেয়ে দুটোর জন্য চকলেট নিয়ে গিয়েছিল।
    — ‘ তারপর তোমার কারবার কেমন চলছে বল।’ হিমাংশু ফোল্ডিং খাটে শরীর এলিয়ে দিয়ে জিজ্ঞাসা করল।
    — ‘ ভালোই চলছে দাদা। এখন মার্কেট একটু খারাপ। তবে পুজোর সময় আবার উঠবে মনে হয়। ‘ একটু থেমে বলে, ‘ একদিন বেলুড় মঠে গেলে হয় না দাদা।’
    হিমাংশু উঠে বসে বলে, ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ চল একদিন। বেলুড়, দক্ষিণেশ্বর দু জায়গাতেই যাব। চল পরশুদিন শুক্রবারে যাই।’

    দক্ষিণেশ্বর ঘুরে বিকেল চারটে নাগাদ ওরা বেলুড় পৌঁছল।এখানে একটু অন্যরকম হাওয়া।ভীষণ শান্তির পরশ লাগল শ্যামলীর মনে। ছেলেমেয়ে দুটো খুশিতে উচ্ছল হয়ে ছোটাছুটি করতে লাগল। ওদের সামলে নিয়ে ওরা মূল মন্দিরের ভেতরে ঢুকল।শ্যামলী পরম আবেশে সম্পৃক্ত হয়ে গেল। খুব ছোটবেলায় মায়ের সঙ্গে একবার এসেছিল এখানে। সঙ্গে আরো দুই ভাইবোন ছিল। কে কোথায় ছিটকে গেছে ! তারা সব কেমন আছে কে জানে।
    অনেকে বসে আছে নিবিষ্টচিত্তে।
    শ্যামলীও বসে পড়ল । কি ভাল লাগছিল তার। তার দেখাদেখি বাচ্চা দুটোও বসল। হিমাংশু একটা থামের ধারে দাঁড়িয়েছিল।শ্যামলী তাকে হাতছানি দিয়ে ডেকে ইশারায় বসতে বসল। হিমাংশু ওদের কাছে গিয়ে বসল।
    তার মাথায় নানারকম চিন্তা ঘুরছে রমেনবাবুকে নিয়ে।রমেন তপাদারের মতিগতি ভাল ঠেকছে না। তাকে বোধহয় ছেঁটে ফেলতে চাইছে। রফিকুলের মতো একটা জানোয়ার এখন তার নয়নের মনি। এর কারণ মোটামুটি অনুমান করতে পারে হিমাংশু। রমেন তপাদারের এলাকা দখলের অন্যায় রাজনীতি সমর্থন করতে পারেনি হিমাংশু।হিমাংশু বুঝতে পারে অন্য পার্টির লোক হলেও মানব মন্ডলের মতো সৎ, জনদরদি মানুষ খুব কমই আছে। রমেন তপাদার মনে হয় বুঝতে পেরেছে যে মানববাবুর সঙ্গে তার যোগাযোগ আছে। তাছাড়া হিমাংশু এখন সোজাসাপটা তোলাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলে। সেটাও রমেন তপাদারের গাত্রদাহের কারণ। কিন্তু রমেনবাবুর সঙ্গ ছেড়ে দিলে অত:পর তার রোজগার আসবে কোথা থেকে ? চিন্তার ব্যাপার.....
    হিমাংশু সোজা রামকৃষ্ণদেবের ধ্যানস্থ প্রস্তরমূর্তির দিকে তাকিয়ে ছিল। তাকিয়ে থাকতে থাকতে তার মনে হল এইভাবেই যদি সারাজীবন বসে থাকা যেত এখানে। কত লড়াই যে আরো করতে হবে বেঁচে থাকার জন্য, টিকে থাকার জন্য ! বড় ক্লান্তি আসে তার। একদৃষ্টে তাকিয়েছিল শ্বেতশুভ্র প্রশান্তিময় মূর্তির দিকে। ভাবল, এইভাবেই যদি বসে থাকা যেত সারাজীবন।
    নীরব সুগন্ধময় পরিবেশ। নীচু গলায় পাশ থেকে কে যেন বলল, ‘এই তো ইনারা কেমন সুন্দর পুরা ফেমিলি লয়্যা আইসে। আর আমাগো ভাইগ্য দ্যাখ.... সব থাইক্যাও কিসু নাই। জীবনে কোনদিন শান্তি পাইলাম না....’।
    ভদ্রমহিলার কথা শুনে তার সঙ্গের ভদ্রলোক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বললেন, ‘ হ হ হ... ..অ ...ঠি- কই কইস, হায় ভগবান.... ‘
    বয়স্ক দম্পতি বোধহয় তাদের পুত্রকন্যার অবিবেচনাপ্রসূত কোন অপকর্মের ব্যাপারে আফশোস প্রকাশ করছিলেন। তাদের চারজনকে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ স্বাভাবিক পরিবার ভাবায় হিমাংশু এবং শ্যামলী দুজনেই একটু অস্বস্তি বোধ করতে লাগল।
    ঠিক ছটার সময় ওরা বেরিয়ে এল। বাইরে একটা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে দুটো করে সিঙ্গাড়া নিল। তারপরে চা খাবে।সিঙ্গাড়া দুটো খেয়ে চায়ের ভাঁড়ে একটা চুমুক দিয়েছে হিমাংশু ঠি ক সেই সময়ে বুকপকেটে মোবাইল বেজে উঠল। পকেট থেকে বার করে ফোনের স্ক্রিনে দেখল— কলিং মানব মন্ডল । বিরোধী পার্টির নেতা। নিশ্চয়ই তার দলের হয়ে কাজ করার জন্য লোভনীয় কোন অফার দেবে।মোবাইল বেজে যেতে লাগল। হিমাংশু এসব কথা শোনার বা আলোচনা করার মুডে নেই এ মুহূর্তে । নিশ্চয়ই দেখা করতে বলবে ওর বাড়িতে। ওসব কিচ্ছু ভাল লাগছে না হিমাংশুর। সোনালীকে ( গোল্ডেন রিট্রিভারের শ্যামলীর ছেলের দেওয়া নাম ) রেখে এসেছে
    লেদ কারখানার ছেলেগুলোর কাছে। কুকুরটার জন্য কেমন মন ছটফটিয়ে উঠল হিমাংশুর। সে তাগাদা লাগাল শ্যামলীকে, ‘ চল চল ..... এবার যাই... অনেকক্ষণ হয়ে গেল .....’ ।
    বাস থেকে নেমে একটু হেঁটে বাড়ির গলির মুখে পৌঁছে থমকে গেল হিমাংশু। অধীর প্রতীক্ষায় রাস্তার দিকে উদ্বিগ্ন চোখ মেলে তাকিয়ে আছে সোনালী। ঠি ক যেমন কোন মা অধীর দৃষ্টি মেলে দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকে ছেলে বাড়ি ফিরতে দেরি করলে। অনুভূতির চোরকাঁটারা লটকে থাকে মনের থাকে থাকে। টোকা মারলেই ঝরে পড়ে না।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে মতামত দিন