এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  আলোচনা  বিবিধ

  • এক্সট্রা দিন

    দ্যুতি
    আলোচনা | বিবিধ | ০১ মার্চ ২০২০ | ১৫৩০ বার পঠিত
  • ছোটতে লিপ ইয়ার কি জানাটা বেশ বাহাদুরি ছিল। তবু ঠিক কত ঘন্টা ওই এক্সট্রা ঘোরে পৃথিবী, ঠিক ঠিক সংখ্যাটা মুখস্থ না বলাটা ডিস্ক্রেডিট। স্কুলে গিয়ে ২৯ শে ফেব্রুয়ারী লিখতে কেমন বেশি ভালো লাগতো। এসব নেহাত আমাদের ছোটবেলাই ছিল। বড় হয়ে আর এ দিনের কদর বুঝিনি কত কাল। জীবনের গতির সাথে কোথায় যেন এসব এক্সট্রা ফেক্সট্রা হারিয়ে যায়। সেই হাওড়া স্টেশনের ভিড় মনে আসে। সবাই কি ব্যস্ত। সবাই ছুটছে। তার মাঝেই কিছু লোক কনুই মারছে, পাছায় হাত বোলাচ্ছে কিম্বা পকেট কাটছে। আমরা মেয়ের দল কেমন সামলে চলতে অভ্যস্থ হয়ে যেতাম তবু কত হাত কত বার, কত বিরক্তি, গা ঘিন ঘিন, রাগ ঝন ঝন হয়েছে। সেরকমই যাদের পকেট কেটে নেয়, ভাবুন তাদের কথা। কি বোকা বোকা ব্যাপার, কি সাহস! একবার বাবার হয়েছিল মনে হয়, দেখেছিলাম, সেই খয়েরি রঙ এর পকেট টা মা বার বার দেখছে। হে হে লিপ ইয়ার থেকে পকেট মারে এসে গেছি। আরে এক্সট্রা দিন আর এক্সট্রা গল্প হবে না। সেরকমই লিপ ইয়ার, এই ২৯ শে ফেব্রুয়ারী কত এল গেল খোঁজ আর কে রেখেছে। তবু কারুর জন্মদিন আসে এই দিনে। আরো কারো কিছু দিন স্পেশাল হয় এসব দিনেও। যাদের তেমন কিছু থাকে না তারা তেমন কদর বুঝি না।

    বয়স বাড়লে বুদ্ধিশুদ্ধি পাকা হয়। আমার তেমন এবছর বোধ হয়েছে এই এক্সট্রা দিন, ২৪ টা ঘন্টা এ বছরে এক্সট্রা এল, ভাবা যায়। আজকাল কাজকম্ম কমে গেছে তো তাই ভাবনা বেশি। সারাদিন বসে হাবিজাবি ভাবি। সব সময় এই করবো সেই করবো ভেবে দিন গড়ায়, রাত গড়ায়। আমার শরীরে মেদ বেশি না ল্যাদ বেশি কে জানে। তবু চেনা মানুষ বলে তুমি তো কি এক্টিভ। আমি হাসি, আমায় বোঝা তোমার কম্ম নয়। এ বছর লিপ ইয়ার কোথা থেকে ল্যাদ এনে দিল আমার প্রাণে। ছেলে গেল পাটনা একদল মিলে, ক্যুইজ করতে,হোস্টেল থেকেই গেছে। আমার কিছুই করার নেই।তবু কি করি? হোয়াটসঅ্যাপে কি রে ট্রেন ছাড়লো? খেয়ে বেরুলি? ঠিক করে যাস এসব পাঁচ বার না লিখলে কেমন লাগে। আবার নামার সময়, নামলি? স্পট খুঁজে পেলি? এসব করতে করতে এক্সট্রাদিনের ভোর রাত বিনিদ্র কাটে। সকাল আজকাল আমার দেরিতেই হয়। সকাল মানেই কিছু জনহিতকর কাজ। নিজে চা খাই না সংসারের জন্য চা করো। চা কর থেকেই চাকর শব্দ এসেছিল এসব আওড়াই মনে মনে।হেলতে দুলতে ইন্ডাকশনের কাছে শরীরটাকে নিয়ে গিয়ে মনে হয়, এইজন্যই সেই বিয়ে দেবার সময় সবাই মানিয়ে গুছিয়ে থেকো বলে চারবার। সেই মানিয়ে গুছিয়ে দিন চালাই, তবু স্বেচ্ছাচার পাহাড় হয় জীবনে। রোজ মনে হয় কত সময় লাগে রে বাবা জল ফুটতে। এ কাজটা পুরো অন্যের জন্য করি। অন্যের জন্য মানেই বেগাড় খাটা সেই এক্সট্রা এসব মনে দানা বাঁধে। আরেক মন বলে, তোকে যে মা একটু গরম জল খেতে বলে, একটু লেবুগুলোর সদগতি করি, একটু কি ওই গ্রীন টি খাবো? এসব ভাবতে ভাবতেই জল ফোটে। জল ফুটলে আনন্দ হয়। ওদিকে আমার মিল ফিল কে উঠতে বলি। বয়স হলে আমরা কেমন হবো কে জানে। রোজ চোখের সামনে এই বুড়ো-বুড়ি জীবন দর্শন এও এক কাজ আমার। সকাল শুরু হয়ে যায় আমার। মন বড় তেঁদড়। সে বলে, চা দিয়ে আর কি কাজ, চল শুতে। রাত তো জেগেই কাটালি। চা দিয়ে গুটি গুটি আবার খাটে আসি। মনে পাপেরা দাপাদাপি করে। ঠাকুমা চিমটি কাটে। মা বকবে আজো কেমন ভয়টা ঘাপটি মারে। ধুর ধুর বড় হয়ে গেছি বস। জীবন আমার। খাট ডাকছে। মোবাইলে কে কি বলছে একটু দেখতে দেখতে পঁয়তাল্লিশ মিনিটের জন্য নিদ্রাদেবী হাজির। জীবনে এই পঁয়তাল্লিশ, আধ ঘন্টা, পনের মিনিটের দাম এসব সময় বোঝা যায়। এলার্ম হার মানে আমার কাছে। আমি আবার গিয়ে ব্রেকফাস্ট করি।রোজ এক খবার খুব নাপসন্দ। তাই খাবার হাল্কা হবে, সুপাচ্য হবে, মিল ফিল খেয়ে তৃপ্ত হবেন, বর নাক না সিঁটকে খেয়ে অফিস যাবেন, সর্বোপরি আমার রসনা তৃপ্ত হবে এসব মাথা খাটিয়ে সেসব করি। আমার কাজের বৌ এসে গেছে ততক্ষণে। তাকে কিছু কাজ বুঝিয়ে সটকে পরি। বর বাবাজী অফিস গন, আমি বিছানায় আবার অন। আগের দিন বিয়ে বাড়ি ছিল, শ্যাম্পু ট্যাম্পু করেছি, আজ শালা মাটাও সব, এ ল্যাদ কি রোজ আসে? চার বছরে একবার। ব্যাস, আর কে পায় আমায়। আবার পৌনে এগারোটা থেকে বারোটা। এর মাঝে জগৎ সংসারে কত কি ঘটে। মা, ক্লায়েন্টরা, কাকা বাবা বন্ধুরা সবাই লিখে রাখে, ফোনে মিসড কল থাকে এমন কত কি। আমার ঘুম পুরো চাই।রাতের কোটা দিনে পূরণ। ঠিক বারোটায় ঘুম ভাঙে। বেশ ঝর ঝরে লাগে, মোবাইল হাতে নিয়ে দেখি ছানা লিঙ্ক দিয়ে লিখে রেখেছে, ক্যুইজটা লাইভ দেখো টাইম থাকলে। সাথে লোকজন অনলাইন দেখে ফোন শুরু করে। ওদিকে রান্না বাকি। দেড়টার মধ্যে গোটাতে হবে সব। এসব আমার রোজের কেরামতি। আজ এঁচোড় টা নাকি ফাটাফাটি হয়েছিল। হাতে ছেলের লাইভ লিংক। ইন্ডাকশন, চিমনির আওয়াজ, বাপীর মোবে গান এসব এড়াতে কানে কড গুঁজে ছোট ছানাকে দেখতে দেখতে রান্না নামছে, উঠছে। আমার জুলি দাই পাশ থেকে বুঝে যায়, মেমসাব ছোটনকে দেখছে। কি আপন লাগে ওকে। ডেকে দেখাই, দ্যাখ দ্যাখ। বাপীকে লিংক দিলেও আর কি কি দেখতে শুনতে ব্যস্ত। লিংক টা আর কিছু নিকটদের দিই। তাতে ছেলের বাপ, দিদা, দিদি,মামা, মামি সব ছিলেন। এর মাঝে নেট স্লো, এয়ারটেল,জিও, ওয়াইফাই করেও মায়ের মন ভরে না। হাতের কাজ চলতে থাকে। মিল ফিলের খাবার সময় হয়েছে, খেতে দি, আর দুটো রাউন্ড বাকি। জুলিকে ওনাদের একটু দেখতে বলে ঘরে এসে ওয়াইফাইতে চালাই। আজ সব নেট ঝোলা। এক রাউন্ড বাকি ছেলের বাবা এলো, ডাক দিলাম। সে ওসব হোয়াটসঅ্যাপ অত দেখলে আর হয়েছে। দুজনে বসে দেখলাম ভাবছেন? আজকের অফিস ফেরতা চা টা জুলিকে করতে বললাম। সে পাঁচ মিনিট বসার লোক না। বলে আমার টেনশন হয়। এদিকে সব সেই সময় দিয়ে বাঁধা। ওতে আমাতেও খেতে বসি। আজ ডায়েটের নিকুচি।ছেলেটা কি করে দেখি, তাই নিজের ভাত না নিলেও আজ এক গাল ভাত নিলাম জুলির ভাগ থেকে। মোবাইল জলের ভর্তি বোতলে হেলান দিয়ে দেখতে থাকি ফাইনাল রাউন্ড। শুরুতে সেকেন্ড পজিশনে থকলেও শেষ মেষ থার্ড হয় ধানবাদ আই আই টি টিম। দেখতে পাচ্ছি সেই ফার্স্ট সেকেন্ড থার্ডের স্ট্যান্ড এনেছে স্টেজে। ওদিক থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল, জিও ছোটন। মনে হয় আমার মা হওয়া সার্থক। ছেলে জিতে আমাকেই খুঁজছে। এ আনন্দ এ সুখ বড় আপনার। বাবাকে ফোন দিই। দাদাই তখনো শুতে গিয়ে আর কোনো লিংকে। তারপর হাঁকডাক শুনে পাশে চেয়ার নিয়ে এসে বসেন। থার্ডদের প্রথম প্রাইজ দিচ্ছে, এতেই কি খুশি ছানার মা। এসব শেষ হতে হতেই খাওয়া শেষ, প্রাইজ পাবার সময় জুলিকেও ডেকে নিলাম, সেও খাচ্ছিল, ছুটে এল। হ্যাঁ, স্ক্রিনশট ওই এঁটো হাতেই মনে আসতেই। এবার ছড়িয়ে দেবার আনন্দ। আমার এক্সট্রা দিন তা ধিন তা ধিন এগোয়। জুলির কাজ সারা। দরজা বন্ধ করে আবার বিছানা ডাকে। আর তেমন তাড়া নেই ঘুমের। এখন ফেবুর কমেন্ট লাইক দেখার পালা। তবু চোখ বুজে যায়, আবার জাগে, কলিং বেল শুনে ওঠে সে, আবার জুলি এসে যায়, আজ একটু বিফোর টাইম, বলে ও বাড়ি কোথাও গেল। ভালো ভালো। আয়, বোস, কাজ তেমন নেই। ওই মা বাবা উঠলে কাজ। ওটুকু সে দেখবে। মা কে নিয়ে হাঁটাতে যায়। আমি তেঁদড়, ঘাপটি মেরে থাকি। ডায়েটে কিছু হোক গো, আবার হাঁটা কেন! এসব বিড়াম্বনা জীবনে থাকা ভালো। ডাক্তাররা ক্যালোরি মাপতে বার্ণ করতে শিখিয়েছেন। মাথা নিচ্ছে, মন নিচ্ছে না। দুই জ্ঞান পাপী জীবন, একজন আরেকজনকে বলে তুই তো একটা সিগু কম খেলে পারিস, আমি কেমন ডায়েট করছি দেখ। সে বলে শুনেই একটা সিগু তেষ্টা পেল। দুটো তেঁদড় কি করে একসাথে হয় কে জানে। সারা সন্ধ্যে বাকি। কেউ আসার নেই,কোথাও যাবার নেই। বই পড়া একটা কাজ কিন্তু তারচেয়ে গিলছে মোবাইল। তাও ওই দিল্লি টিল্লির খবর নিয়ে মুখ বুজে থাকি। আমাদের মত আনাড়িদের বেশি রিয়াক্ট করতে নেই। আমরা ছা পোষা। ভাই বকবে সবার আগে দিদির তেজ দেখলে, তাই ওসব লিখি না। পড়ি, দেখি, দুখ চেপে থাকি। জানোয়ার বলে গাল দি। কেউ কেউ হিন্দু হিন্দু করলে বলি মানুষ ভাবো নিজেকে। আমি খুব কষ্ট পাই এসবে। আমার কত্তাও তাই। দুনিয়ার কিচ্ছু আসে না তাতে। মেয়েকে ফোন করি, সব সময় বিজি আর বিজি। একবার বাড়ি আসবে কবে কে জানে। আবার দুক্কু চেপে রাখি। বলে ভাইরা জিতল দেখলাম। হ্যাঁ, থার্ড আসাও জেতা। সে এখন ব্যস্ত জানি, তাই আর ঘাঁটাই না। এসব স্বপ্ন গড়ার বয়স। শুধু আশীর্বাদ দিই। যাকিছু চাইছো সব পাও। তবু জানি সব পেলে নষ্ট জীবন। আমাদের এখন সেই নষ্ট জীবন। সব পেয়েছি। সব। তবু দেখতে হয় বাবা মায়ের শরীর খারাপ, রোজের ওষুধ গেলা জীবন, আমার বাবা মা বয়স একটু কম, তাই সচল আছেন, জ্বালা যন্ত্রণা গুলো গিলতে পারে এখনো। ভাইয়ের সাথে কত কম দেখা হয় আজকাল।ভাইঝি দুটো কেমন ধাঁই ধাঁই বড় হয়ে যাচ্ছে। সব আছে কারোর টাইম নেই। এটাই তো নষ্ট জীবন। এক্সট্রা দিন এক্সট্রা ভাট, হে হে। আজ আমি রুটি আর বাকিদের এঁচোড় দিয়ে লুচি। দাদাগিরি দেখবো তাই তার আগে মা কে ফোন সেরে লুচি টুচি করে সেরে নিলাম। মিল এখন আবার এক্টিভ। তার মাথার ব্যামো। তাতেই ভালো থাকেন, রাখার চেষ্টা চালাই। আজ বার বার আমায় দাও, আমি বেলে দিচ্ছি বলে টানাটানি। তাকে বুঝিয়ে আবার টেবিলে বসতে বলি। মিল পুরোটাই ওষুধের গোলাম এখন। কি জীবন। হঠাৎ সব ভুলে যেতে পারি এমন। কে এল কে গেল কিছুতে মতলব নেই। এত ভাই ছেলে মেয়ে কারোর কথা ভাববো না, সব ভুলে যাবো... এ কি অসুখ রে বাবা। তাই দাদাগিরি দেখি। বাগবাজারের কোন ডাক্তার উনি, কেউ তো চিনবেই। কেমন হেসে গড়ালেন।ওই ভালো। ওই টোটকাই ভালো। আমার সবেতে ফাজলামি আসে। কিছুদিন আগে জ্যেঠি ইহলোক ত্যাগ করলো। তখন আমি কলকাতায়। অনেক দিনের শখ শ্মশানে থাকার কিছু সময়। সে সাধ মিটলো। কত কি চাক্ষুষ করলাম। সুনীলের একটা উপন্যাসে শ্মশানে রাতে মরা পোড়ানো, তার দৃশ্য পড়ে খুব টেনেছিল শ্মশান। ক্যাওড়াতলায় বেশ অনেকটা সময় রইলাম। সব বুঝি, বেশি বুঝি। তাই খুব সামলে থাকি। অন্যের জায়গায় নিজেকে বসিয়ে বসিয়ে দেখা অভ্যাস। সেই দাবার ঘুঁটি মনে হয়, চাল দিতে গিয়ে আগে পিছে কত ভাবি। জীবনে এত ভাবি কি? না ভাবলেই কত ভুল থাকে। রসিকতা করাটা বাবার থেকে পেয়েছি। বাবার নাম সঞ্জীব চ্যাটার্জি। মাঝে চন্দ্র আছে। দুটো নামেই লেখক আছেন। কিন্তু সঞ্জীব চাটুজ্জেও যে আমার বড় প্রিয় লেখক আর মানুষ আর তাঁর সেই রসিক মনের আমি দেদার ভক্ত। আমার বাবাও তাই খুব রসিক মানুষ। সেই শ্মশানে বসে বাবা মনের কথা জানায়। আজকাল এই গাড়ি করে ডেডবডি এলো, গুটি কয়েক লোক, চুল্লিতে ঢোকালো আর শেষ এসব প্যাকেজিং বাবার ভালো লাগে নি। ওই বাঁ সাইড দিয়ে কিছু মৃতদেহ সেই পুরানো পাড়ার কথা মনে করায়। এক পাড়া লোক, হরিনাম সংকীর্তন, জোরে ' বল হরি ' ধ্বনি। এই আমাদের চেনা ছবি। সেই কাঠের উপর লাশ, সবার 'লালু' গল্প মনে আসবেই। নাহ, রসিকতাগুলো আর লিখে কাজ নেই। সে আমার আর বাবার মাঝেই থাক। সেদিন আমার মনে হচ্ছিল মানুষের যাবার লাইনেও কি ভিড়। কত মৃত্যু ওই ক ঘন্টায় দেখলাম। শুধু বোধ বাড়ালাম। এসব নিয়ে আরো গভীর লেখা লিখবো পরে। ফিরতি পথে চোখে পড়লো সেই গীতার লাইন। এই সব। এর উপর আর কিছু নেই। আমার জ্যেঠির থেকেও সেদিন বড় হয়ে উঠলো আমার দাদা দিদিরা মা কে হারালো। জ্যেঠু কি করে থাকবে। মন যতই রসিকতা করুক জীবন তোমায় সবের উপর বুঝিয়ে দেয় সব মানে। যে কটা দিন আছো তাই দাদাগিরি করে যাও। আছো মানে কি সুস্থ ভাবে আছো। হাসো আর বাঁচো আর বাঁচতে দাও।

    এক্সট্রা দিন, এক্সট্রা কিছু লেখাও মাথায় খাবি খাচ্ছিল। কি আর করি। নামিয়ে ফেললুম।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aranya | 162.158.62.184 | ০২ মার্চ ২০২০ ০৭:৪১729806
  • বাঃ
  • একলহমা | ০২ মার্চ ২০২০ ১১:০৬729808
  • এক্সট্রা ভালো :)
  • দ্যুতি | 162.158.166.56 | ০২ মার্চ ২০২০ ২৩:৪৫729816
  • থ্যাংকু
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন