এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • জ্বলন্ত দিল্লিঃ এক মৌলবাদী হিন্দুত্ব ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রের নরমেধ যজ্ঞ।

    সৈকত মিস্ত্রী
    অন্যান্য | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | ২৫৮১ বার পঠিত
  • "নারীঘাতি শিশুঘাতি কুৎসিত বিভৎসা পরে/ ধিক্কার হানিতে পারি যেন।"
    ২০০২ সালে স্কুলের ছাত্র। সম্ভাব্য বিষয় হিসেবে গুজরাট দাঙ্গার রচনা লেখাচ্ছিলেন মাস্টার মশাই।তিনি কোন রাজনীতি করেননি।আজও না।খোলা মেলা চিন্তার মানুষ।কর সেবকেরা গর্ভবতী মায়ের পেট চিরে ভ্রুণ বের করে ত্রিশূলের মাথায় চাপিয়ে বন বন ঘুরিয়ে আগুনে ঝলসেছে!!এই বর্ণনা শুনে আঁতকে উঠেছিলাম সেদিন।পরে কুতুবউদ্দিনের অসহায় মুখের ছবি বহুবার দেখেছি।কয়েকদিন গুজরাটকে অবরুদ্ধ করে, প্রশাসনের মদতে দাঙ্গাকারীরা তান্ডব করেছিল।
    ১৮ বছর পর ক্ষতে ভরা,সর্পিল সেই রক্তাক্ত ইতিহাস জন্মাতে দেখলাম।দিল্লির অশোকনগর চত্বরে একটি মসজিদে ঢুকে গেল কিছু ষন্ডা।মুখে " জয় শ্রীরাম"। বুঝতে অসুবিধা হয়না কারা তারা।মসদিনের মাথায় ওড়ানো হল হনুমানের ধ্বজা।
    এক ষন্ডা ফেসবুক লাইভ করতে করতে " শ্রীরাম " শ্লোগান তুলে নির্দ্ধিধায় জানাল -" তারা আগুন লাগিয়েছে।পুলিশ জিন্দাবাদ।" পুলিশ শুধু দর্শক না, তাদের সহকারী।
    সিএএ বিরোধী কিছু মানুষেরা বাসকরেন ফইজাবাদে। গতরাতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বালাল " শ্রীরাম বাহিনী"। পথে থিক থিক করছে পুলিশ।
    ১৪ বছরের কিশোরকে গুলি ছুঁড়ছে " শ্রীরাম " বাহিনীর ষন্ডা।রক্তাক্ত কিশোর লুটিয়ে পড়ল মাটিতে।অদূরে পুলিশ।অ্যাম্বুলেন্সকেও আসতে দেওয়া হল না।
    দিল্লির নানা হাসপাতালে ২০০ জনের বেশি আহত মানুষ ভর্তি।কেউ কেউ মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।মারা গেছে অনেকে।তবে আশঙ্কা সংখ্যা আরও বাড়বে। হাসপাতালে ট্রলিতে শোয়া এক কিশোরের নিথরের দেহ।পাশে ছোট ছেলেটি নাগারে কেঁদে চলছে -" মেরে ভাই কেয়া বিগারে থা", তার নাম রমজান।কিংবা অন্যকিছু।এই মৃত্যুর উপত্যকা আজ দিল্লি।শকুন উড়ছে আকাশে।গলিত শব আর অসহায় মানুষের আর্তনদা।পাশাপাশি " শ্রীরাম" হায়না বাহিনীর শ্বাপদ চিৎকার ও বিভৎস মজা।
    এমন অসংখ্য নির্মম ছবির জন্ম হচ্ছে দিল্লিতে।জ্বলছে আগুন।এন ডি টিভির এক সাংবাদিককে " শ্রীরাম বাহিনী" প্যান্ট খুলে দেখতে চাইল - তার কি জাত?
    এক দরিদ্র মুসলিম সহনাগরিক রক্তাক্ত হয়ে লুটিয়ে পরল রাজ পথে।একদল মত্ত "শ্রীরাম বাহিনী" লাঠির পর লাঠি দিয়ে তাকে আঘাত করে গেল যতক্ষণ সে চুপ করে না যায়।ছবিতে দেখে চমকে উঠতে হল।সে বেঁচে আছে কিনা জানিনা।
    ২০২০ সালে দিল্লিতে বিজেপি, মৌলবাদী হিন্দুত্ব আর ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র নগ্নতার যে ছবি জন্ম দিল, এককথায় তা বর্ণনারোহিত।মনে হয় হিটলার জার্মানির কালো দিন ফিরে এসেছে।এই রাতে হয়ত কোন মা,কোন বোন "শ্রীরাম " বাহিনীর হায়নার দ্বারা লাঞ্ছিত হচ্ছেন।কোন অসহায় মা- বোন হায়নার আক্রমণে তীব্র যন্ত্রণা ও অপমানে ককিয়ে মাটিতে মিশে যাচ্ছেন।ঠিক জানিনা।কোন সহনাগরিককে হয়ত ওরা অত্যাচার করছে।মারতে মারতে রক্ত ঝরিয়ে নিথর শরীর ছুঁড়ে, ছিড়ে ফেলছে রাজপথে।দর্শক রাষ্ট্রের পুলিশ।ব্যথায় আমরা ছটফট করছি।হ্যাঁ করছি। তবে ভরসা এটাই ইতিহাসে অত্যচারী শেষ কথা বলে নি।মুসোলিন ল্যাম্প পোস্টে ঝুলে যান,তার জন্য জমা হয় ঘৃণা।হিটলার নিজের কবর খোঁড়েন নিজে। ঘৃণা জমছে। বিপন্ন অসহায় মানুষ মার খেতে খেতে উঠে দাঁড়াবে একদিন। ঘৃণার থুতু উগরে আসবে ভিতর থেকে।ফ্যাসিস্ট সেদিন আসবে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • এলেবেলে | 162.158.158.116 | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০০:৪৭729739
  • এখানেও থাকুক এটা

  • বিপ্লব রহমান | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৫:৪৮729753
  • এই খোপে একটি এঁড়ে বাছুর ঢুকে পড়েছে দেখছি।  আবার রোস্ট না হয়ে যায়। 

    শিরি রাম আর গেরুয়া পুলিশ নিপাত যাক।।         

  • দোবরু পান্না | 162.158.227.69 | ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ১৬:৩৬729758
  • হুঁ এই এঁড়ে বাছুরটি সর্বত্র একই গোবর ছড়াচ্ছে। দেখা যাক

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন