এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মাওবাদী

    শ্যামল পাইন লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১১ অক্টোবর ২০০৯ | ৭৫১ বার পঠিত
  • গত সপ্তাহে মাওবাদী সন্দেহে ধরপাকড় শুরু হবার পর আমরা এই বিষয়ে লেখা চেয়েছিলাম। সেই আহ্বানে সাড়া দিয়ে যে কটি লেখা পাওয়া গেছে, এটি তার মধ্যে একটি। প্রসঙ্গটি মত প্রকাশের স্বাধীনতা, অতএব, এ বিষয়ে যে কোনো মতের লেখাই আমরা প্রকাশ করব।


    আমি একটু ৩০০০০ ফুট ওপর থেকে ভারতের অবস্থা দেখতে চাই যাতে প্রতিটি গাছে চোখ না পড়ে পুরো বনভুমিতে চোখ পড়ে। যদি তাই দেখি তো বলব স্বাধীনতার পর থেকে , বিশেষত: ১৯৯১ এর পরে ভারতের উন্নতি হয়েছে স্পেকট্যাকুলার। এটা বলছি পৃথিবীর অন্য উন্নয়নশীল দেশের সঙ্গে তুলনা করে। ভারতের গণতন্ত্র সম্বন্ধে গুচর কিছু মানুষের সন্দেহ থাকলেও পৃথিবীর ছয় বিলিয়ন মানুষের কোন সন্দেহ নেই। তবে আমেরিকা, ব্রিটেন সহ কোন দেশেই গণতন্ত্র পারফেক্ট নয়। আর ১৯৯১ এর পর ১৫ বছরে ভারতে যা গ্রোথ হয়েছে তা চীনের ১৯৭৯ থেকে প্রথম ১৫ বছরের গ্রোথের সঙ্গে তুলনীয়। এটা হয়েছে ভারত গণতন্ত্র হওয়া সত্বেও।

    অবশ্যই সবার সমান উন্নতি হয়নি। কিন্তু কিছু উপজাতি ছাড়া মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিবের প্রচুর উন্নতি হয়েছে। ইন্দিরা যখন গরিবী হঠাও স্লোগান দিয়েছিলেন তার তুলনায় অনেক অনেক বেশী লোক, সম্ভবত: ৯৯% লোক আজ দুবেলা পেট ভরে খেতে পায়। তখন বহু লোক পেত না। যারা গরিব, যারা BPL , তারাও অধিকাংশ পেট ভরে খেতে পায়। সেজন্যই আজ পরের লেভেলের জিনিষ নিয়ে চাহিদা, যেমন বাসস্থান, রাস্তা, বিজলি, পানি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা। গণতান্ত্রিক কাঠামোর মধ্যে এই সাফল্য কম নয়।

    ভারতের সঙ্গে স্বভাবতই চীনের তুলনা চলে আসে। চীন যেহেতু অনেক আগে রিফর্ম শুরু করেছে তাই তারা এগিয়ে আছে। কিন্তু কমিউনিষ্ট একনায়কত্বের মূল্য তো দিতেই হয়! নয়তো সবাই গণতন্ত্র না বলে কমিউনিজমকে শ্রেষ্ঠ বলত। তার ফলে আজ চীনের উচ্চমধ্যবিত্ত ( ওপরের ২০%) ভারতের ওপরের ২০% এর চেয়ে অনেক অনেক ভাল আছে। কিন্তু সবচেয়ে নীচের ২০% এর ক্ষেত্রে ভারত আর চীনে বিশেষ ফারাক নেই। অর্থাৎ ভারতে , এমনকি পাকিস্তান, বাংলাদেশেও গরিব আর ধনীর ফারাক চীনের চেয়ে অনেক কম। তবে চীনে মাওবাদীরা অ্যাক্টিভ নয় কেন? কারণ চীন প্রথমেই গলা কুচুত করে কেটে দেয়। ভারতে মাওবাদীরা গ্রেপ্তার হওয়ার পর কি হয় জানিনা। কিন্তু মাওবাদীদের কার্যকলাপ, যেমন মাইন পাতা, বেআইনী অস্ত্র রাখা এগুলো সব চীনে মৃত্যুদন্ডের আওতায় পড়ে। পৃথিবীতে চীনে সবচেয়ে বেশী মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়। প্রায় ৫০০০ থেকে ৬০০০ প্রতি বছর, যেখানে দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশ হল ইরাণ । সেখানে মৃত্যুদন্ডের সংখ্যা ৩৪৬ (গত বছর)। ভারতে গত দশ বছরে শুধু একজনকে মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয় -- কি যেন চ্যাটার্জি যে কলকাতায় একজন দারোয়ান ছিল ও বাড়ির একটি গুজরাতি মেয়েকে রেপ করে মেরেছিল।

    গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল এদিক ওদিক ধাক্কা খেতে খেতে ব্রাউনিয়ান মোশনের মত সে শেষে ঠিক পথেই চলে। কিন্তু সময় হয়তো একটু বেশি লাগে। সেজন্যই সত্তরের দশকে নক্‌শাল আন্দোলন ফেইল করে। কারণ অবশেষে কেন্দ্রীয় ও প্রতিটি রাজ্য সরকার কিন্তু গরিবের উন্নতি করতে বাধ্য হয়েছে। সর্বত্র সমান হয়নি। বিহারে কম, গুজরাত, হরিয়ানা, কেরলে বেশী। আরেকটি বড় কারণ হল সারা ভারতে গত ৬০০০ বছরের সনাতন ধর্মের প্রভাব। হতদরিদ্রও ভাবে এ আমার পুর্বজন্মের কর্মফল। ভগবান যা দেয়নি, মাওবাদী কিভাবে বদলাবে?

    সামগ্রিক বিচারে অধিকাংশ ভারতীয় মনে করে দেশ ঠিক ভাবে এগোচ্ছে, যদিও গুরুচন্ডালীর অনেকে তা মনে করেন না। তবুও মনমোহনজি বলেছেন যে মাওবাদীরা হল ভারতে সবচেয়ে বড় মেন্যাস। আর এরা আছে ঠিক সে জায়গাগুলোতে যেখানে ট্র্যাডিশনাল গরীব মানুষ নেই, আছে হতদরিদ্র আদিবাসিরা। এরা যে গরীব থেকে গেছে তার বড় কারণ সরকার হলেও ছোট কারণ এরা নিজেরা। পৃথিবী থেমে থাকেনা। রবীন্দ্রনাথের ছোটবেলাতে তিনি দেখেছেন বাবুরা বেলা এগারোটায় পান চিবাইতে চিবাইতে আপিস অভিমুখে রওয়ানা হইতেন। আজ কিছু বাবু ওরকম থাকলেও বেশীর ভাগকেই সকাল নটায় বেরোতে হয়। বাপ ঠাকুর্দা চাকরী করেনি এরকম অনেক লোক কলকাতায় এসে চাকরী নিয়েছে একশো বা পঞ্চাশ বছর আগে। আদীবাসীরা যদি ভেবে থাকে যে হান্টার-গ্যাদারার হয়ে বা দড়ি পাকিয়ে তা বিক্রি করে জীবন চলে যাবে তবে মুশকিল আছে। তাদেরও কেরানী, দোকানদার, প্রোগ্রামার, বিজ্ঞানী, এম এল এ হতে হবে। এর কোন বিকল্প নেই। তাদের জঙ্গল ছাড়তেই হবে নিজেদের স্বার্থে, খনি মালিক বা গাছের মালিকের জন্য নয়।

    মাওবাদীরা এদের বেছে নিয়েছে কারণ তাদের মূল উদ্দেশ্য হল তাদের নির্বোধ আদর্শবাদকে ইমপ্লিমেন্ট করা। সেজন্য এমন বেস চাই যেখানে মানুষ বঞ্চিত। কিন্তু মুশকিলের কথা হল প্রায় সবাই , এমনকি গরিব লোকও খুব একটা বঞ্চিত বোধ করছেনা। তাই আদিবাসীদের ধরা। আর এতে সোনায় সোহাগা হয়েছে পুলিশের ভূমিকা। বহু ক্ষেত্রে আদিবাসীরা নকশালদের সন্দেহের চোখে দেখেছে। কিন্তু যখন পুলিশ গাধার মত কিছু গ্রামের লোক তু্‌লে নিয়ে তাদের জেলে পুরে পিটিয়েছে এই ভেবে যে তারা মাওবাদীদের সাহায্য করছে, তাতে কিছুলোক মাওবাদী হয়ে গেছে। লোকে বলে ছত্রধর মাহাতোর ভাই মাওবাদী হয় এভাবেই।

    অনেকে বলছেন মাওবাদীদের সঙ্গে বৈঠক করতে। আমি মনে করি সরকারের সেই গ্রুপের সঙ্গেই ডায়ালগে বসা উচিৎ যাদের কিছুটা জনসমর্থন আছে। কারণ সরকারের দায়িত্ব হল জনগণের গ্রীভ্যান্স শোনার। কিন্তু মাওবাদীদের কোন মাস বেস নেই। তাদের বন্দুক কেড়ে নিলে ৯০% আদিবাসী আজ তাদের পশ্‌চাদ্দেশে লাথি মারবে। কিন্তু অপর পক্ষে সরকারের দায়িত্ব হল ওয়ার-ফুটিংএ আদিবাসীদের উন্নয়নের প্রকল্প নেওয়া ও ইমপ্লিমেন্ট করা। তাদের জন্য স্কুল, রাস্তা, কাজের সুযোগ, NREGA , ইন্দিরা আবাস ইত্যাদি করা। এই প্রচেষ্টা চালানো যাতে এক প্রজন্মে তারা অন্য ভারতীয়দের সমান হতে পারে কাজের দিক দিয়ে।

    একই সাথে আর্মি ও এয়ারফোর্স ব্যবহার করে মাওবাদীদের নিশ্‌চিন্‌হ করা। অলরেডি তারা হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালাচ্ছে। আমার মনে হয় প্লেন ও চপার সহ প্যারাট্রুপার ব্যবহার করা যারা প্রত্যন্ত জঙ্গলে নেমে মাওবাদীদের ঘাঁটি ধ্বংস করবে ওপরে এয়ার কভারের সাহায্যে। কোন ডায়ালগ নয়। একই সঙ্গে সরকার ঘোষণা করবে কোন মাওবাদী যদি মেইনস্ট্রীম সমাজে যোগ দিতে চায় অস্ত্র সংবরণ করে তবে সরকার তার সব অপরাধ মকুব করবে আর তাকে চাকরির ব্যবস্থা করে দেবে বা একটা থোক টাকা দেবে ব্যবসা শুরু করার জন্য। নকশাল ও খালিস্তান আমলে এই প্রক্রিয়া খুব কাজে দিয়েছিল।

    শাইনিং ইন্ডিয়া ও ম্রিয়মাণ ভারত
    ----------------------------
    একটা যে শাইনিং ইন্ডিয়া আর ম্রিয়মাণ ভারত রয়েছে তা অনস্বীকার্য। যদিও আগেই বলেছি যে শাইনিং চীন আর হতাশ চীনের মত খারাপ অবস্থা নয়। তাও এই ২০০৯ এ ১২০ কোটি ভারতীয়ের মধ্যে প্রায় ৫০ কোটি মানুষ সরকারী হিসেবে গরিব। গরিব বলা হয় তাদের, যাদের পারিবারিক খরচ (আয় নয়) মাসে ৩০০০ টাকার কম। ভারতে গড় পরিবারের সাইজ গ্রামে ও শহরে মোটামুটি একই : পাঁচ। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হল যে এই ৫০ কোটি গরিবের ৯০% হচ্ছে গ্রামের মানুষ। শহরের বস্তিতে যারা থাকে তারা প্রায় সবাই গ্রামের মানুষের চেয়ে অনেক ভাল অবস্থায় আছে, আয়ের দিক দিয়ে ও সুযোগ সুবিধার দিক দিয়ে।

    গ্রামের সবাই এত গরীব কেন? তিনশো বছর আগে এত খারাপ অবস্থা ছিল না তুলনামুলকভাবে। তখন গ্রামে চাষী, জেলে, কামার, কুমোর, তাঁতী ও আরো নানা প্রফেশনের মানুষরা খেতে পরতে পেত। যদিও রাজা, নবাব বা জমিদারের খাজনার অত্যাচার ছিল ভীষণ। ইংরেজ আসার পরেই হল শিল্প বিপ্লব। ইংরেজ ভারতে কোন ফ্যাকটরি করতে দিল না। উপরন্তু ভারতীয়দের বাধ্য করল ব্রিটেনের ফ্যাক্টরীতে উৎপন্ন জিনিষ কিনতে। ব্রিটেন থেকে ভারতে আমদানী শুল্ক ছিল প্রায় শুন্য। ভারত থেকে ব্রিটেনে রপ্তানী শুল্ক প্রায় ৮০ থেকে ১০০%। ফলে রাতারাতি কামার, কুমোর, তাঁতী ও আরো লোকেরা বেকার হয়ে গেল। মিলের জামা তাঁতীর চেয়ে সস্তা। মেশিনে লোহা দিয়ে কামারের চেয়ে অনেক ভাল জিনিষ তৈরী হয়। এরা সবাই এসে জুটল অগতির গতি চাষে। ফলে চাষী ও কৃষি শ্রমিকের সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেড়ে গেল। সেই ট্র্যাডিশন আজও চলেছে।

    আজ ভারতে মোট কর্মীর সংখ্যা ৫২৩ মিলিয়ন। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ মিলিয়ন চাষ ও সেই সংক্রান্ত কাজে আছে। মোট কর্মির ৬০%। সেখানে আমেরিকায় মোট কর্মির ২%, ব্রিটেনে ১ .৮%, অস্ট্রেলিয়ায় ৪%। অথচ এরা প্রতি হেক্টরে ভারতের চেয়ে প্রায় তিনগুণ ফসল ফলায়। ভারতে কৃষি কর্মির মাথাপিছু ভ্যালু-অ্যাড মাত্র ৩৮৫ ডলার বছরে। সে যায়গায় আমেরিকায় এই ফিগারটি হল ৩৯০০০ ডলার। আপনি যা ভ্যালু-অ্যাড করছেন তার চেয়ে তো আপনার আয় বেশী হতে পারেনা। মেকানাইজড কর্পোরেট ফার্মিং করলে ভারতেও ৪% অর্থাৎ ২০ মিলিয়ন লোককে দিয়ে বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশী উৎপাদন করা যায়। ভারতে উর্বর জমি অনেক দেশের চেয়ে বেশী। তার মানে কি দাঁড়াল? যে কাজ ২০ মিলিয়নকে দিয়ে হয় সেটা করছে ৩০০ মিলিয়ন। ধরুন আপনার মাইনে মাসে ৩০০০০ টাকা। মোটামুটি ভালই চলে যায়। এবারে আপনার কাজটুকু করার জন্য আরো ১৪ জনকে চাকরী দেওয়া হল। মানে আপনি যে কাজ একা করছিলেন তা এবার থেকে ১৫ জনে করবে। সবার মাইনে হবে ২০০০ টাকা। সবাই এবারে গরীব। ঠিক এই জিনিষটা হয়েছে ভারতে আর সব অনুন্নত দেশে। যে দেশে কৃষি শ্রমিক মোট শ্রমিকের যত বেশী অংশ, সে দেশ তত গরীব।

    এর একমাত্র সমাধান হল, চাষে ২০ মিলিয়নকে লাগিয়ে বাকী ২৮০ মিলিয়নকে অন্য কাজে লাগাতে হবে। কাজ আছে প্রচুর। ভারতে ২২৫ মিলিয়ন পরিবার। তাদের বোধ হয় ৫০ মিলিয়নের বাথরুম-সহ পাকা বাড়ী আছে যার রিয়েল এস্টেট মূল্য রয়েছে। বাকী ১৭৫ মিলিয়ন বাড়ি বানানো হোক ৩০ বছরের লোন নিয়ে। তাতেই কয়েক কোটি লোক কাজ পাবে। এছাড়া আরো বহু উপায় আছে। কিন্তু কেন্দ্র ও রাজ্য সরকাররা যতদিন পর্যন্ত এই বাস্তবকে স্বীকার না করবে ততদিন কিস্যু হবেনা।

    অক্টোবর ১১, ২০০৯
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১১ অক্টোবর ২০০৯ | ৭৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা মনে চায় প্রতিক্রিয়া দিন