এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • মাওবাদী সম্পর্কে মমতা ব্যানার্জীর সাক্ষাৎকারঃ একটি প্রতিক্রিয়া

    অনিন্দ্য পাত্র লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ২২ নভেম্বর ২০১১ | ৭৩২ বার পঠিত
  • ১৫/১১/২০১১

    মাইরি বলছি, পিত্ত কিঞ্চিৎ প্রজ্জ্বলিত হয়ে আছে। মানে এতটাই প্রজ্জ্বলিত যে ফোন করে সক্রিয় তৃণমূল কর্মী এক অত্যন্ত ভালোমানুষ বন্ধুকে ঝেড়ে গালাগাল না দেওয়া অব্দি ঠিক শান্তি হল না। ওটা একটা প্রতিক্রিয়া? তাও দিচ্ছে কে? না একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আজ্ঞে হ্যঁ¡, গতকালের (১৪/১১/২০১১) কথা বলছি। তারানন্দের ঐ পশ্চাৎপক্ক সাংবাদিক ভাইটু, যিনি কিনা মাঝেমাঝেই নিজেকে সবজান্তা দে-র সমগোত্রীয় বলে ভাবেন (বলে মনে হয়), অত্যন্ত বাজে বকেন, নিউজ-এর চেয়ে নিজের ভিউজ দিতেই বেশী পছন্দ করেন এবং সবজান্তা দে-র মতই বোঝেনও না যে একটু ভাবনাচিন্তা করা মানুষজন বিমান বসুর পরে শ্রেষ্ঠ খোরাক হিসেবে এঁদেরকে স্থান দিয়েছে - সেই ভদ্রলোকের নেওয়া মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার এবং তাতে প্রশ্নকর্তা এবং উত্তরদাতা উভয়ের ভূমিকা মিলিয়ে যে টোটাল প্যাকেজটা - সেটা, সত্যের পথ থেকে বিচ্যুত না হয়ে বলছি, ইয়েতে যাকে বলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।

    ১৯/১১/২০১১

    এই অব্দি লিখেছিলাম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায়। তারপর যা হয়। রাগ কমে যায়। লেখার সেই তাগিদটাও থাকে না। এই নিয়ে অনেকবার হল। লেখা শুরু করেও শেষ করতে পারি না। কিন্তু এবার মনে হল অন্তত: কর্তব্য হিসেবেও কিছু কথা লেখা যেতে পারে। গায়ের ঝাল ঝাড়াটুকু অবশ্যই দরকারি। ওটা বাদ দিলে আমাদের মত অক্ষমের আর থাকে কি? কিন্তু কিছু ব্যাপার হয়তো তার চেয়েও একটু বেশী সিরিয়াস। যেটা মনে হতে থাকে রাগটা থিতিয়ে আসার পরে। বৃহত্তর তাৎপর্য। সুদূরপ্রসারী প্রভাব। ইত্যাদি ইত্যাদি।

    মমতা ব্যানার্জীর সরকারের ছমাস বয়েস হল। সরকারের মূল্যায়ন ইত্যাদি জাহাজের কারবার আদার ব্যাপারি হয়ে এক্ষুণি না করাই ভালো। কিন্তু সাক্ষাৎকারটা শোনা ইস্তক কিছু ভাবনা বারবার ঘুরেফিরে আসছে, ইরিটেট করছে, আর তারপর? না, চলে যাচ্ছে না। পেইন ইন দ্য অ্যাস হয়ে থেকেই যাচ্ছে। আজ বরং সেগুলো নিয়েই একটু স্বগতোক্তি করা যাক।

    ১) সাক্ষাৎকারটা নিয়েই শুরু করা যেতে পারে। প্রথমবার শুনেই আমার মনে হল বুদ্ধবাবু তাঁর খারাপতম ফর্মেও এত কুৎসিতরকমের ঔদ্ধত্য দেখাননি। মূলত: দুটো বক্তব্য ছিল - ক) মাওবাদীরা কত খারাপ সেটা প্রমাণ করা, খ) মাওবাদী এবং তাদের মদতদাতাদের হুমকি। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য, এই সাক্ষাৎকারটা এমন একটা সময়ে যার আগের দিনই মাওবাদীরা নৃশংসভাবে খুন করেছে রাজেন সিং সর্দারের বাবা ও ভাইকে। অত্যন্ত ন্যক্কারজনক এই খুন। রাজেন সিং সর্দার প্রতিরোধ কমিটি করতেন। মাওবাদীদের যুক্তি মোতাবেক তিনি যদি "শ্রেণীশত্রু' এবং সেই কারণে মৃত্যুদন্ডের যোগ্য হয়েও থাকেন (আমার যুক্তি নয়, মাওবাদীদের যুক্তি), তাহলেও তাঁকে না পেয়ে তাঁর বাবা ও ভাইকে হত্যা করা কোন বিপ্লবী যুক্তিতে সম্ভব - সে আমার কেন যেকোনো সুস্থ লোকেরই মাথায় ঢোকা মুশকিল। কাজেই এই খুন নিয়ে মমতা যে মাওবাদীদের প্রতি একটা কড়া প্রতিক্রিয়া দেবেন - সেটা প্রত্যাশিতই ছিল। অনেকসময় এই ধরণের কড়া প্রতিক্রিয়াগুলো তৃণমূলস্তরের কর্মীদের মনোবল ধরে রাখতেও দেওয়া হয়ে থাকে। এটা মূলত: যুদ্ধের যুক্তি। আর রাজনীতিও যেহেতু ক্ষমতার জন্য যুদ্ধ বই অন্য কিছু নয়, তাই এই কর্মীদের মনোবল ধরে রাখার যুক্তিকাঠামোটা অত্যন্ত: স্বাভাবিক নিয়মেই রাজনীতির যুক্তিকাঠামোয় স্থান পেয়ে গেছে। কাজেই নিজের দলের লোক খুন হলে অন্য দলের প্রতি হুমকির ভাষা প্রয়োগ করাটা কিছুটা দূর অব্দি আমরা মেনেই নিয়েছি। এক্ষেত্রে কোনও "পরিবর্তন' মমতার জমানায় রাতারাতি ঘটে যাবে - সেরকম প্রত্যাশা আমার অন্তত: ছিল না। আমাদের প্রত্যাশাটা থাকে মূলত: সেই হুমকির মাত্রা, ভাষা - ইত্যাদিকে ঘিরে। বিরোধী দলের নেতা/নেত্রী যে ভাষায় বা ভঙ্গিতে হুমকি দিতে পারেন, শাসক দলের নেতা/নেত্রী সেই মাত্রায়, সেই ভাষায়, সেই একই ভঙ্গিতে তা করতে পারেন না। সত্যি বলতে, এটুকুই আমাদের এক্সপেক্টেশন। তাই বিনয় কোঙার শাসকের আসন থেকে "ওদের চারদিক দিয়ে ঘিরে ধরে লাইফ হেল করে দেব' বললে জনমানসে যে প্রতিক্রিয়া হয়, মদন মিত্র বিরোধী থাকা অবস্থায় টিভি ক্যামেরার সামনে ২৪ ঘন্টার সাংবাদিককে হুমকি দিলে সেই একই প্রতিক্রিয়া হয় না। আর আজকে এটা প্রমাণিত যে সিপিএমের পতনের অন্যতম কারণ ছিল শাসকের অবস্থান থেকে বুদ্ধ, বিমান, বিনয় বা গৌতমদের এই ধরণের হুমকি/ঔদ্ধত্যপূর্ণ কথাবর্তা, ভাবভঙ্গি। মানুষের আশা ছিল নতুন শাসকদের কাছে তাদের এই ন্যূনতম প্রত্যাশাটুকু হয়তো যথাযথভাবে পৌঁছে দেওয়া গেছে।

    কিন্তু সেটা যে যায়নি, তার জ্বলন্ত প্রমান হয়তো মমতার দেওয়া এই সাক্ষাৎকারটা। প্রথমত: মাওবাদীদের খারাপ প্রমাণ করতে আজগুবি লাগামছাড়া মিথ্যে বলতে শুরু করলেন। দু-একটা নমুনা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে। যেমন - "ওরা হোটেলে খেয়ে লক্ষ টাকার বিল করে। কোথা থেকে আসে সেই টাকা?' (স্মৃতি থেকে লিখছি। ছোটোখাটো ভুল হতে পারে। তিনোমূলের সাপোর্টাররা মানহানির মামলা করবেন না মাইরি) মনে পড়ে যায় সেই যে সিপিএম জমানায় পুলিশের ডিজি একবার ছত্রধর মাহাতোর এক কোটি টাকার জীবন বীমার গল্প দিয়ে কেস খেয়েছিলেন। মমতা এক্ষুণি কেস খাবেন না হয়তো। কারণ উল্টোদিকে বিমান বোস ইত্যাদি কনসিস্টেন্ট পারফর্মাররা আছেন। কিন্তু একটু সেন্সে ফিরবেন সেটুকু আশা তো নাগরিক সমাজ করতেই পারে। নিতান্ত অযৌক্তিক দুটো খুন, যা ইন ইটসেল্ফ এতটাই নিন্দার যোগ্য যে তার জন্য বিবৃতির দরকারও পড়ে না। মিথ্যা ভাষণের তো নয়ই। এই খুনের জন্য মাওবাদীরা এমনিই মানুষের দরবারে ঘৃণিত হবেন, অথচ তা সত্ত্বেও এর প্রতিক্রিয়ায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে হাবিজাবি মাথামুন্ডুহীন মিথ্যা বলতে হবে?

    দ্বিতীয় নমুনাটি গায়ে কাঁটা দেওয়া টাইপের নোংরা। মমতা বলতে চাইলেন ওনার কাছে খবর আছে "ওদের' (জনসাধারণের কমিটির বা মাওবাদীদের, কি বলতে চাইলেন পরিষ্কার নয়) কিছু মেয়ে আছে, যারা যৌথ বাহিনী কোনো জায়গায় গেলেই ইজ্জত নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করে। এর মানে কি? প্রথমত: মমতার সরকার ক্ষমতায় আসার পর যৌথ বাহিনীর নামে "ইজ্জত নেওয়া' জাতীয় অভিযোগ উঠেছে একটিমাত্র ক্ষেত্রে। মমতা যেদিন জঙ্গলমহলে গিয়ে মাওবাদীদের "সুপারি কিলার' ইত্যাদি বলে এলেন, ঘটনাচক্রে সেদিনই বেলপাহাড়ি অঞ্চলে এরকম একটি অভিযোগ ওঠে। অভিযোগকারী পরিবারটি সিপিএম সমর্থক। মমতা তাঁর সভায় অনেক কথা বলেছেন, কিন্তু যথারীতি এই নিয়ে একটি শব্দও খরচ করেননি। তাহলে এই সাক্ষাৎকারে তিনি কি প্রমাণ করতে চাইলেন ঐ কথার মধ্যে দিয়ে। পূর্বোক্ত অভিযোগটি সাজানো? নাকি এযাবৎকাল পর্যন্ত, সিপিএম জমানাতেও যৌথ বাহিনীর নামে মহিলাদের উপর অত্যাচারের যা যা অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে, সেগুলো সবই সাজানো? "ওদের' ফিট করা মেয়েরা এইসব অভিযোগ তুলে গেছে, আর যৌথ বাহিনী গিয়ে গ্রামের মেয়েদের মাতৃজ্ঞানে প্রণাম করে এসেছে? বুদ্ধবাবু চরম ভীমরতি ফেজেও এতটা নামেননি। হ্যঁ¡। অনিল বসু নেমেছেন। মমতা যদি ক্ষমতায় গিয়ে অনিল বসুর সমতুল্য হওয়ার প্রতিযোগিতায় নেমে থাকেন তাহলে অন্য কথা। নাহলে, একটা রাজ্যের প্রধান হিসেবে কি বলছেন, কেন বলছেন, কোথায় বলছেন - এটুকু বোধবুদ্ধির উদয় তাঁর হবে এই আশা করাটা খুব অন্যায় বলে মনে হয় না।

    দ্বিতীয় যে বিষয়টা ঐদিনের সাক্ষাৎকারে ঘুরেফিরে এল সেটা হল কলকাতার মাও সমব্যাথীদের হুমকি। এই অংশটা রিপিট টেলিকাস্ট। বুদ্ধবাবুও এর আগে একই কাজ করেছেন। প্রায় একই ভাষায়। একভাবে দেখলে এইধরনের হুমকিগুলো একটা মাত্রার খোরাক বই নয়। কারণ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কোন অধ্যাপক মাওবাদীদের সমর্থক, কোন কোন ছাত্রছাত্রী মাওবাদীদের ফ্রন্টাল অর্গানইজেশনগুলো করে - সেসব যারা একটু রাজনীতির ময়দানে ঘোরাফেরা করে তারা সবাই জানে। পুলিশ তো জানেই। এবং একই সাথে এটাও ভালো করে জানে যে জঙ্গলমহলে যে অ্যাকশন মাওবাদীরা করে তার পরিকল্পনা এই শহরের ছাত্র শিক্ষকরা বসে করে না। সেটা সম্ভব নয়। কাজেই এই হুমকিগুলো আসলে বাজার গরম করা হুমকি ছাড়া অন্য কিছু নয়। এটা দিয়ে একটা বেশ যুদ্ধ যুদ্ধ পরিবেশ তৈরী করা যায়। ব্যাস, সেইটুকুই। কিন্তু দুর্ভাবনার বিষয় হল মমতা তাহলে কেন খামোকা এই হুমকি প্রদর্শনের রাস্তায় হাঁটলেন? যেখানে এর আগে এই একই পথ নিতে গিয়ে বুদ্ধবাবুর মুখ পুড়েছে? এমনকি চিদাম্বরমেরও। এটা কি তাহলে মমতার অদূরদর্শিতা হিসেবে দেখব? নাকি ঘরপোড়া গরু বলেই সিঁদুরে মেঘ দেখে আর একটু ভয় পাবো? মমতা কি বাজিয়ে দেখতে চাইছেন? পাব্লিক কতটা তাঁর তোলা যুদ্ধ জিগিরে নাচে? যদি দেখেন যে এইসব হুমকি বিনা প্রতিবাদে সকলেই দিব্যি হজম করে নিল, তাহলে কি এরপর সমস্ত "বাম'কেই এক খোপে ফেলে বাম গণসংগঠনগুলোর উপর ক্র্যাকডাউন শুরু হবে? নাকি এরমধ্যেই সেটা শুরু হয়েছে? সিপিএম, এমনকি কংগ্রেসও তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছে। বহু জায়গায়। তবে কি মমতা বিরোধীশূণ্য প্রশাসন চান? যেমনটা আনন্দবাজার চায়? নাকি এটা এখুনি একটু বেশী বেশী ভাবা হয়ে যাচ্ছে?

    ২) মমতার কথা বাদ দিন। শাসকের কাজ শাসক করবে - এ আর নতুন কথা কি? আঙুলটা উল্টো দিকে ঘোরানো যাক। বিরোধীরা কি করছেন? গণতন্ত্রকে উন্নত করার দায় যতটা শাসকের, ততটা বিরোধীরও। মমতা যখন ক্রমশ: ক্রমশ: মাওবাদীদের প্রতি সুর চড়াচ্ছেন, একই সাথে তাঁর ভাষা হুমকির ভাষায় রুপান্তরিত হচ্ছে, তখন আমাদের প্রধান বিরোধী দলের সে কী উল্লাস! কেন? না, এর মাধ্যমে প্রমান হয়ে গেল যে মাওবাদী প্রসঙ্গে তাঁরাই ঠিক ছিলেন। আর এই ঠিক প্রমাণিত হওয়ার প্র্যাগম্যাটিক আনন্দযজ্ঞে চাপা পড়ে গেল শাসকের ভাষা/প্রতিক্রিয়া কেমন হওয়া উচিৎ, গণতন্ত্রের জন্য লং রানে অনেক বেশী গুরুত্ত্বপূর্ণ সেই প্রশ্নটা। কেউ একটা বাক্যও ব্যয় করলেন না সেই নিয়ে, যে কেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া সংযত হবে না? কেন ঐরকম একটা পদে আসীন থেকেও তিনি আজগুবি মিথ্যেভাষণ করে যাবেন, হুমকি দিয়ে যাবেন দায়িত্বজ্ঞানহীনের মত?

    ৩) শেষপাতে মিহিদানার মত নাগরিক সমাজ এবং বিদ্বজ্জনদের নিয়ে দুচারটে মিষ্টি কথা বলে লেখাটা শেষ করব। মমতা ঐ জঘণ্য সাক্ষাৎকারটা দেওয়ার পরে আমার সীমিত দৃষ্টিতে এনাদের কাউকে কোথাও একটা বিবৃতিও দিতে দেখলাম না। আনন্দবাবুরা এখন মমতা বন্দনায় এবং মমতা টিউনিং এ ব্যস্ত। জ্যাঠামশাই বাঙালীকে ঠিক পথে আনবেনই। নবজাতকের কাছে এ ছিল তাঁর বহুদিনের দৃঢ় অঙ্গীকার। জ্যোতিবাবু, বুদ্ধবাবুকে প্রায় হাতের নাগালে পেয়েও ফস্কে গেছে। কিন্তু এবার আর কোনো ভুলচুক নয়। বহুদিন পর অবশেষে এ সরকারের হাতের নাগালে টি সরকার। কাজেই মমতার সাক্ষাৎকার নিয়ে কেউ অস্বস্তিকর প্রশ্ন তুলতে গেলে আনন্দবাবুরা তাঁকে মাথায় তুলবেন না - এটা বোঝা কঠিন নয়। কিন্তু বাজারে কি মিডিয়া কম পড়িয়াছিল? একটা টোকেন স্টেটমেন্টও কি দেওয়া যেত না? অন্তত: একটা মেসেজ তো যেত মমতা শিবিরে যে তিনি যা ইচ্ছে করলেই নাগরিক সমাজ সেটাকে ক্লিন চিট দেবে না। এই মেসেজটা যাওয়া কি জরুরী নয়? গণতন্ত্রে কি এটা একটা চেক অ্যান্ড ব্যালান্সের কাজ করে না? সেখানে সিপিএমের হাত শক্ত হওয়াটাই বড় হল? মমতা যদি ভবিষ্যতে আর একটা সিপিএম হয়ে ওঠেন, তার পিছনে কি এই প্রতিবাদহীন দিনগুলো একভাবে দায়ী থাকবে না? প্রতিবাদহীন একটা দীর্ঘ সময় "৭৭-এর সিপিএমকে, অপারেশন বর্গার সিপিএমকে '০৭ এর সিপিএম, নন্দীগ্রামের সিপিএম বানিয়েছে। সেখানেও জুজু ছিল দক্ষিনপন্থীদের হাত শক্ত হওয়ার। আর আজকের জুজু সিপিএমের হাত শক্ত হওয়ার। চিরকালই এই প্র্যাগম্যাটিক জুজুগুলো নৈতিক প্রশ্নগুলোকে ব্যকফুটে ঠেলে দেয়। আমাদের নৈতিকতাও তাই আর সামনের দিকে এগোয় না। প্রশ্ন হল, এবার কি একটু অন্যভাবে ভাববো?
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ২২ নভেম্বর ২০১১ | ৭৩২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন