এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • লোক আদালত, নারী ও আদালতের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে

    প্রতিভা সরকার লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ০৮ মার্চ ২০১৮ | ১০৪৫ বার পঠিত
  • ১)নারী ও সংসার।
    'তবুও আমি স্বামীর ভাত খেতে চাই।'

    বায়না আর কি, চাইলেই দিচ্ছে কে ! বরং স্বামীর উত্তর হতে পারে, ' ওরে আমার কে রে ! আমি যে কেবল কিল মারবার গোঁসাই।'

    কোন কম্পানী কত ডিসকাউন্ট দিচ্ছে প্রডাক্টে তার জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দিনের প্রতীকী মর্যাদা হরণ করতে হবে নাকি, যখন এখনো গ্রামে গঞ্জে এবং শহরেও সমাজ এবং পিতৃতন্ত্র কিল মারার গোঁসাইয়ের ভূমিকাতেই রয়ে গেছে!

    কত কত দিন সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে, ভ্যালেন্টাইনস ডেতে কত জাঁক, সেসব দিনে ব্যবসা ভালো হয় কিনা, তাই তাদের অন্তঃসারশূন্যতা প্রমাণের দায় নেই কোন গয়না উৎপাদকের।

    সব ব্যাটাকে ছেড়ে বেড়ে বেটাকে ধরার এই প্রবৃত্তি আসে একটি বিশেষ মানসিকতা থেকে যে মেয়েরা লিঙ্গের কারণে চরম সুবিধাভোগী। ট্রামে বাসে তাদের সিট আলাদা, তারা বিশেষ সামাজিক সম্মানের অধিকারী, মাতৃরূপেন সংস্থিতা। এমন কি দেশের আইন আদালত তাদের স্বপক্ষে আইন প্রণয়ন করেছে। ফলে ডিসকাউন্ট-অজুহাতে নিজেদের প্রতীকী সম্মান জানাবার এই দিন, উৎসাহ উদ্দীপনা ভরে ওঠবার এই অছিলাকে মোমবাতির মতো এক ফুঁয়ে নিভিয়ে দাও।

    শুরুর সংলাপটি একেবারেই কাল্পনিক নয়। নির্যাতিতা মেয়েদের কান্না শুনছিলাম শহর থেকে দূরে এক এন জি ওর শেল্টার হোমে। ছ'টি মেয়ের মধ্যে পাঁচজনই স্বামীর 'ভাত' খেতে চায়। এমনকি চারবার হাতবদলের পর আশ্রয় পাওয়া ঈষৎ মানসিক টালমাটাল মেয়েটিও মুখে হাসি নিয়ে বলে, 'আছে আছে, ভালো ছেলেও আছে। তারা এইরকম করবে না।' ভাত মানে তো তার কাছে শুধু আটপৌরে দুবেলার উদরপূর্তি নয়, শান্তি ও প্রেমভরা গার্হস্থ, সন্তান, এমনকি গোয়ালের গরুটিও ভাতের গন্ধের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকে। সেই মায়া সেই মোহ থেকে সরে আসা অনেক শিক্ষিতা শহুরে মেয়ের পক্ষেও অসম্ভব হয়ে পড়ে।

    যেমন বলি উনিশ বছরের কালো অল্প পোড়া মেয়ে সুখবাঁশির কথা। এমন রোমান্টিক নাম তার বাপ মা কি ভেবে রেখেছিল কে জানে, কিন্তু আটবোনের এক বোন সে ছোটবেলায় ধানসেদ্ধ করার উনোনে পড়ে গিয়ে অল্প পুড়ে যায়। তাতে তার দীঘল চোখ বা সরল মনের কোথাও কোন কমতি হয়নি, কেবল পাত্রপক্ষের তাকে নিতান্ত অযোগ্য ভাবা ছাড়া। তাই ক্লাস এইট অব্দি পড়বার পর গরীব বাপমা তার বিয়ে দেয় নিজেদের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে ! ৮০ হাজার টাকা, কাঁসার বাসন, গয়না দেবার পরও বিছানাপত্র দেওয়া হয়নি বলে তাকে শুতে হত মাটিতে।

    বিয়ের পর সুখবাঁশি প্রেগন্যান্ট হলে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় জেলাশহরের এক মেডিক্যাল সেন্টারে। সেখানে 'ছবি' তোলা নির্বিঘ্নে সাঙ্গ(কি করে হয় কে জানে !) হলে তার সব সুখ উবে যায়। স্বামী, শাশুড়ির উগ্র মূর্তিতে হতভম্ব মেয়েটি প্রতিবেশীর কাছে জানতে পারে তার পেটে রয়েছে যমজ বাচ্চা এবং তারা মেয়ে। অত্যাচার চূড়ান্ত মাত্রায় পৌঁছলে একদিন তাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে দেবার চেষ্টা সে কি করে ব্যর্থ করে বাপের ঘরে পালিয়ে আসে সেকথা এখন নিজেও ঠিকমতো বুঝিয়ে বলতে পারেনা।

    তবুও সুখ যেখানে বাঁশির মতো বাজে তার কাছে, তা তার স্বামীর ঘর। সেও সেখানকার ভাত খেতে চায়, কেউ যদি স্বামীকে বুঝিয়ে সুপথে আনতে পারে, তবে সে মেয়েদের নাম রাখবে হাসিবাঁশি আর খুশিবাঁশি। তার স্বপ্ন ফুৎকারে ওড়াতে হয়, কারণ তার স্বামীর এটি তৃতীয় বিয়ে, প্রথম ও দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীও বিতাড়িত, তারা কোথায় কেউ জানে না। বাচ্চাগুলোকে এডপশনে দেবার কথা এই সরল মেয়েটিকে বলতে ভয় হয়, কারণ স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচে না, আসন্নপ্রসবার পথ্য আর যত্নের সঙ্গে স্বপ্ন না মিশলে আরোগ্য কঠিন হয়।

    বিয়ে একটা ইন্ডাস্ট্রি, পশ্চিমবঙ্গের বিশেষ করে গঙ্গার এপারের এই প্রাচীন ভূখন্ডের গ্রামাঞ্চলে। ক্যাশ ও অন্যান্য সামগ্রী নিয়ে বিয়ে করা, তারপর সেগুলো রেখে তিন চারমাসের মাথাতেই বধূ বিতারণ। আবার বিয়ে, আবার পণ। বাপ মায়েরা খবর পেলেও কখনো অসহায়, কারণ এক মায়ের জবানীতে, 'এই জাতের মধ্যে বড় কথা।' সব জাতেই এখনো পুরুষমাত্রেই কুলীন।

    আইবুড়ো মেয়েকে নিয়ে কথা সব জাতেই। বড় জ্বালা ওঠে, ফোস্কা পড়ে সমাজের গায়ে। আইবুড়ো অবস্থায় সে বাইরে গেলেই সন্দেহ খারাপ কাজে যাচ্ছে। বিয়ে তাই এই রাজ্যেও সামাজিক অসম্মান এড়াবার অন্যতম রাস্তা। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী কোন কিছুই এই দৃষ্টিভঙ্গীর তেমন রূপান্তর ঘটাতে পারেনি এখনো। গাইগরুর মূল্য মেয়ের চাইতে বেশি, তাই পণের পাখার হাওয়া খাওয়া বধূটির কপালে জোটে না। অবিশ্বাস্য লাগলেও অনেক বাড়িতে গাভীন গরুর গোয়ালে ঘোরে সে পাখা।

    আমরা ভাবি খাপ পঞ্চায়েত এ রাজ্যে নেই। ওসব গোবলয়ে হয়। একেবারেই ভুল ধারণা। এন জি ও গুলির তথ্য ভান্ডার ঘাঁটলেই দেখা যাবে এখানে খাপ পঞ্চায়েতের উদ্যোক্তা স্বয়ং পুলিশ। গার্হস্থ হিংসার ঘটনায় দু পক্ষকে ডেকে তারা মিটমাট করে নিতে বলে। কিছু টাকার বিনিময়ে স্বামীটির স্বেচ্ছাচারকে আইনি তকমা দেবার চেষ্টা করে। এতে দু তিনটি উদ্দেশ্য সাধিত হয়।

    এক, এলাকাকে শান্তিময় দেখানো, দুই আদালতের ঝামেলা এড়ানো এবং সর্বোপরি জাতীয় অপরাধপঞ্জীতে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সে রাজ্য যেন এগিয়ে না থাকে সেটি সুনিশ্চিত করা। কন্যাপক্ষও আদালতে দৌড়োদৌড়ি, উকিলের পয়সা দেবার অপারগতা, এবং পণের টাকার যেটুকু ফেরত আসে তাইই সই, এই মনোভাব থেকে পুলিশি মধ্যস্থতায় রাজি হয়ে যায়। আর স্বামীটি পুলিশের পকেটে কিছু ঢুকিয়ে নিশ্চিন্ত প্রস্তুতি নিতে থাকে পণসহ পরবর্তী শিকারটির জন্য।

    এছাড়া 'সমাজ' নামক খাপ পঞ্চায়েত তো রয়েইছে। পুলিশের কাছে না যাবার জন্য এবং আদালতের সাহায্য না নেবার জন্য এইগুলিতে প্রবল চাপ সৃষ্টি করা হয়।

    ২)নারী ও লোক আদালত।
    এইখানে দৃষ্টান্তমূলক কাজ করছে লোক আদালত এবং এবং কিছু স্থানীয় এন জি ও।নির্যাতিত মেয়ে ও তার পরিবারকে এন জিও ভলান্টিয়াররা বোঝাচ্ছে কোন ফয়সালা যদি করতেই হয় তা থানায় হবে কেন! পারিবারিক লোক আদালতে ফয়সালা হলে মেয়েটি অনেক বেশি অর্থ পাবে। শুধু তাইই নয় মহিলা কমিশনের নির্দেশে পুলিশই তখন তাকে সুরক্ষা দিতে বাধ্য। ডেট পড়লে এন জিও ভলান্টিয়ারই মেয়েটিকে পরিবারের লোকসহ আদালতে নিয়ে যাচ্ছে। একদিনে ফয়সালা হয়না, কোর্টের নির্দেশেই ঠিক হয় মেয়ে তখন শেল্টার হোমে থাকবে না বাবার বাড়িতে। যেখানেই থাকুক অত্যচারের হাত তখন তাকে ছুঁতে ইতস্তত করে। যেমন হয়েছে আসন্নপ্রসবা সুখবাঁশির ক্ষেত্রে। বাচ্চা ভূমিষ্ঠ না হওয়া অব্দি সে মায়ের কাছে রয়েছে আদালতের নির্দেশে। কেস চলছে। যদি আর ফিরে যাবার সম্ভাবনা একেবারে বিনষ্ট হয়েই যায়, তবু পণের আশি হাজার ফেরৎ পেলেই অনেক। তার বাপ মা যে বড় গরীব, আর এখনো দুটো বোন বিয়ের বাকি, সুখবাঁশির হাতদুটো স্ফীত পেট চেপে ধরে, চোখের কোণা চিকচিক করে।

    জেলার এই পারিবারিক লোক আদালতগুলি ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস অথরিটির আওতাভুক্ত। স্টেট অথরিটি অব লিগ্যাল সার্ভিসেস ডি এল এস এর মাথার ওপর রয়েছে। এরা নির্যাতিতার জন্য সম্পূর্ণ নিখরচায় আইনি সাহায্যের ব্যবস্থা করে থাকেন। ২৫ জন নির্যাতিতার কেস কিছু আগে বহরমপুর ডি এল এস এর কাছে পাঠানো হয়েছিল। তাদের মধ্যে একটি চল্লিশ হাজার টাকায় রফা হয়েছে, যেখানে প্রথমে নির্যাতনকারীরা প্রায় নিখরচায় বধূ বিতারণের ব্যবস্থা পাকা করে ফেলেছিল। কয়েকজনের বিপদের আশংকা থাকায় তারা বাবার বাড়িতে রয়েছে। বেশিরভাগ মিটমাটে ইচ্ছুক থাকায় তাদের পতিগৃহে পাঠানো হয়েছে, আর অত্যাচারের পুনরাবৃত্তি ঘটবে না এই প্রতিশ্রুতি পেয়ে।

    ৩)আদালতের চৌহদ্দি ছাড়িয়ে।
    এখন এই মায়া, এই বশ্যতা স্বীকারের প্রবণতা কন্যাসন্তান খুব ছোট থেকে অর্জন করে পরিবার, পারিপার্শ্ব এবং সমাজের তার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী থেকে। সংসার আগলে রাখা তার প্রধান কর্তব্য, কারণ সে ঘরের লক্ষ্মী, মাতৃত্বেই তার সেরা পরিণতি এসব তার মাথায় ঢুকে যায় অতি মসৃণভাবে, অত্যন্ত শিশুকাল থেকেই। নির্ভরশীলতাই তার নারীত্বের প্রধান লক্ষণ হয়ে ওঠে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে।

    এই মেয়েকে শুধু অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতার গল্প শোনালে নারীমুক্তি কতটা সার্থকতা অর্জন করবে তা বোঝা বড় মুশকিল। একটি ছাগল, কয়েকটি মুরগি বা একটি সেলাই মেশিন তার সার্বিক মুক্তি আনবে কি ? নিজের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ এবং মর্যাদাপূর্ণ বাঁচার জন্য দরকার যে মানসিক ধাঁচা তার জন্য মাছ চাষ, সেল্ফ হেল্প গ্রুপ, ছাগদুগ্ধ বা ডিম বিক্রয় কোনটাই যথেষ্ট কার্যকরী হয় না, যদি না অর্থনৈতিক দিকটির সঙ্গে সঙ্গে নারীমুক্তির রাজনৈতিক তাৎপর্যটিও মাথায় না রাখা হয়। সার্বিক নারীমুক্তি মূলত একটি পরিশ্রমী ধারণা যেটি শুরু থেকেই প্রশ্নহীন লিঙ্গানুগত্য বর্জন করতে শেখাবে, অন্যান্য দমনমূলক ধাঁচার চিনহিতকরণ ও তার বিরুদ্ধাচরণ শেখাবে, এবং সবশেষে সামূহিক রাজনৈতিক চেতনার অগ্রগমনকে সম্ভব করবে।

    আমাদের দেশে ও রাজ্যে কোথাও এই লক্ষ্যে কোন কাজ হয় না, তার বদলে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, হাঁসমুরগি, সেলাইমেশিনের নারীমুক্তির প্রয়াস চলতেই থাকে, সুখবাঁশিদের সুখবর্জিত অত্যাচারিত অস্তিত্ব সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি ও আদালতের মুখাপেক্ষী হয়েই থাকে।

    রাজনীতিবর্জিত এই "মুক্তি" আর যাকেই হোক সেই নারীটিকে মোটেও কোথাও এগিয়ে নিয়ে যায় না, যার মুক্তির জন্য বিদেশি এন জি ও থেকে স্বদেশী নারীবাদী, সবাই বেজায় ব্যস্ত।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০৮ মার্চ ২০১৮ | ১০৪৫ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • প্রতিভা | 37.63.134.140 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০২:২৯84995
  • ঋণস্বীকার করতে ভুল হয়ে গেছে। এই লেখার জন্য ঋণী সুপ্রভা পঞ্চশীলা / মিসিং লিংকের কাছে।
  • স্বাতী রায় | 69.97.222.205 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ০৪:১৫84996
  • কেই বা শেখাবে! সুখবাঁশির কথা তো ছেড়েই দিলাম - মধ্যবিত্ত বাড়ির ক'টা মেয়ে মানসিক নিগ্রহকে মানসিক নিগ্রহ বলে চিনতে পারে? এরকম তো হয়েই থাকে বলে ছেড়ে দেয় না! আর স্রোতের উল্টোদিকে হেঁটে যারা মুখ খোলে, তারাও অচিরে মুখ বন্ধ করে বাপের বাড়ী- শ্বশুর বাড়ী দু তরফের থেকেই বেঁকা কথা শুনে শুনে। কটা মেয়ের সে মুরদ থাকে যে চারদিকের "খারাপ মেয়ে" চেঁচানর মধ্যে জোর গলায় বলবে, হ্যাঁ আমি খারাপ মেয়েই। ভালো মেয়ে হতে চাই- ও না।
  • সুতপা | 57.11.186.15 (*) | ০৮ মার্চ ২০১৮ ১০:০২84994
  • যতক্ষন না মেয়ে অনুভব করতে পারছে তাকে শারীরিক নিপীড়ন ও মানসিক নিগ্রহ তার নারীত্বের অপমান , তার অস্তিত্বের অপমান ততক্ষন কিছুই তাকে 'শ্রীমন্ডিত' করতে পারবে না। কিছু পাইয়ে দেবার রাজনীতি কখনোই নিজের অপমানকর পরিস্হিতি থেকে বের হয়ে আসার শিক্ষা দেবে না মেয়েদের, তাহলে 'নির্ভরতা' কমে যাবার সমূহ সম্ভাবনা যে! পুরুষানুক্রমে শেখানো হয় মেয়েদের, যে সয় সেই রয়, কিন্তু মেয়েদেরই কেন? এমন সর্বংসহা শিক্ষা যে প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে অচিরাত, তার জন্যে শ্বশুরকুলের সাথে পিতৃকুলেরও কিছুদিন হাজতবাস তো 'বনতা হ্যায়'! আমার রাগ হয় বাবা মা য়ের ওপর, যারা জেনেশুনেও মেয়ে অত্যাচারিত হতে পাঠায়,রাগ হয় 'কন্যাদায়' উদ্ধার পেতে খাঁই মেটায় পাত্রপক্ষের, কুম্ভীরাশ্রু বর্জন মনে হয় সন্তানহারা হবার পরের কান্না কে। তেতো কথা বললাম আজকেও কলহপ্রিয়া নারীর মতো, স্যরি!
  • h | 213.99.211.133 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:৪৮85000
  • প্রতিভা সরকার কে আমার একটা কোশ্চেন আছে, অ্যানেকডোটাল উত্তর দিলে হবে না ঃ-)) বম্বের বস্তিতে শিব সেনার মহিলা বাহিনী নিয়ে কাজ করেছিলেন , ডক্টোরাল থিসিসের জন্য, আত্রেয়ী সেন নামক একজন গবেষক, আপাতত সম্ভবত কোপেনহাগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে সমাজতত্ত্বের অধ্যাপিকা । ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় যা বুজেছিলাম, ওনার একটা অবসারভেশন ছিল যে বাম নারীবাদী আন্দোলনের একটা চ্যালেঞ্জ হল, মারিটাল ডিসকর্ড এবং ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স এর সমস্যা নিয়ে ইউনিয়ন গুলোর কাছে মহিলারা কাউন্সেল চাইতে এলে, যখন ই তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদ বা আইনগত ভাবে স্বাধীন জীবন যাপন করার কথা সাজেস্ট করছেন, তখন ই চাপ হয়ে যাচ্ছে, এবং শিব সেনার নারীবাহিনী যখন প্রায় দেশী মদ বিরোধী অভিযানের মত দল বেঁধে পাড়ার পুরুষ দের পাতি মার দিচ্ছে, তখন সেটাতে তারা খুব এমপাওয়ার্ড বোধ করছে। এটা শুধু অশিক্ষার , বা একলা থাকার সামাজিক সমস্যার সঙ্গে জড়িত না অন্য কোন ব্যখ্যা আছে। মানে পোবোন্দো আছে কিছু এই বিষয় টা নিয়ে? যদি পড়তে হয় কি পড়বো। এই একলা থাকতে আপত্তি টা অনেকের মধ্যে আমি দেখেছি, ক্লিয়ারলি অ্যাবিউসিভ বা জেনেরালি ইনসালটিং রিলেশন এও থেকে যাচ্ছেন? তো যাই হোক যে যা করছেন করছেন, সদুত্তর পেতে গেলে কি প্রবন্ধ পড়তে হবে? আমি শুধু কেস স্টাডি গোছের লেখা পড়তে চাই না, বিশ্লেষণ নেসেসারি।
  • | 144.159.168.72 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৮ ০৫:৫৪84997
  • আত্মবিশ্বাসের জায়গাটা সত্যিই বড্ড ফাঁকা বেশীরভাগেরই। মনে মনে ভুল ভাবলেও, অন্যায় ভাবলেও "এরকমই তো হয়, হয়ে আসছে, সবাই করে' জাতীয় ঘোমটা টেনে নেয় সড়াৎ করে।
  • Mandi | 96.15.164.55 (*) | ০৯ মার্চ ২০১৮ ১১:২৬84998
  • কিন্তু সুখবাশি এর আটটি বোন হয় কেন? এখনেও সেই একই চাহিদা।।পুত্রসন্তান এর চাহিদা।।।এটাও ভেবে দেখার।আটটি বোন না হোলে বাবা মার আর্থিক অবস্থা ভালো হত। এর থেকে সমাজ না বেফোরে পারলে কোনো আদালত ই বা কি করতে পারে
  • Prativa Sarker | 213.212.241.132 (*) | ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪২85001
  • একলা থাকার পেছনে নানা অসুবিধে আছে। প্রবন্ধ অবশ্যই আছে, কিন্তু এমনি খালি চোখে দেখার অসুবিধে নেই তো।
    আমি এটা অনুভব করি যে লিঙ্গের সামাজিক নির্মাণের মধ্যেই এই সারেন্ডার করার বীজ লুকিয়ে থাকে। ছোটবেলা থেকে একটি মেয়েকে যেমন ভাবে বড় করা হয়, যে মূল্যবোধ (?) ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাতে বিবাহে মোক্ষলাভ এবং পতি পরমগুরু। মাতৃত্বই মেয়ের পূর্ণতা ইত্যাদি।
    এছাড়া সামাজিক চাপ বড় কম নয়। ডিভোর্সি একলা মেয়েদের এই শহরেও বাড়িভাড়া পেতে অসুবিধে হয়। পেলেও বাড়িওয়ালা বা অন্য কেউ অন্যায় সুযোগ নিতে চস্য। মফস্বলে এসব অনেক বেশি। এই মেয়েরা যেন বেওয়ারিশ মাল।
    গ্রামে গেলে দেখি মা বাবা বাল্যবিবাহেও রাজি মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবে। পাছে পরিবারের অসম্মান হয়। এমন কি বধূ হত্যার কেসও পার্সুড হয় না এই মিথ্যে সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে। পরের মেয়ের বিয়ে হবে না এইসব ছাইভস্মও ভাবতে বাধ্য হয় বাপমা।
    কোন ভরসায় মেয়ে পিতৃগৃহে ফিরে আসবে। যতো বধূহত্যা হয় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা মায়ের এপ্যাথি দায়ী খানিকটা।
    প্রথাগত শিক্ষা জরুরী, খুব জরুরী । কিন্তু আজকাল সীতার মতো সর্বংসহা হও এবং শতপুত্রের জননী হবার আশির্বাদের মধ্যে উল্টোপুরাণের বীজ লুক্কায়িত আছে।
    যে মডেলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ফলো করা হয় এদেশে তাতে আর যাই হোক একা মেয়েদের কোন সুবিধে হয় না। পিতৃতন্ত্র যে একটি গূঢ় রাজনীতি যার বয়স কয়েক হাজার বছর এবং তার মোকাবিলায় ভাববাদের চর্চা অত্যন্ত বিপজ্জনক, এই শিক্ষাটি মেয়েদের ছোটবেলা থেকে মজ্জাগত হওয়া উচিৎ। যূথবদ্ধ প্রতিরোধ, স্বাধিকার সম্বন্ধে সঠিক ধারণা এবং পরিস্থিতির বস্তুগত বিশ্লেষণে ঘাটতি থাকে বলেই বাল্যবিবাহ, গার্হস্থ হিংসা, বধূহত্যা এবং কমল কুমারের সেই বিখ্যা মায়া রহিয়া গেলর মনোভাব মেয়েদের কিছুতেই ঘোচে না।
  • Prativa Sarker | 213.212.241.132 (*) | ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪৩85002
  • বিখ্যাত
  • Prativa Sarker | 213.212.241.132 (*) | ১০ মার্চ ২০১৮ ০৫:৪৭85003
  • প্রবন্ধের নাম আপনাকে দেব h. আপাতত এই বইটি পড়তে পারেন,
    Butterfly Politics by Catharine A.Mackinnon.
  • pi | 24.139.221.129 (*) | ১১ মার্চ ২০১৮ ০৪:০১85004
  • এই কথাগুলো নিয়ে অনেকটাই একমত প্রতিভাদি। এই 'যে মডেলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ফলো করা হয়' র মডেলটা নিয়ে আরেকটু বিস্তারিত হবে ?

    'ছোটবেলা থেকে একটি মেয়েকে যেমন ভাবে বড় করা হয়, যে মূল্যবোধ (?) ঢুকিয়ে দেওয়া হয় তাতে বিবাহে মোক্ষলাভ এবং পতি পরমগুরু। মাতৃত্বই মেয়ের পূর্ণতা ইত্যাদি।
    এছাড়া সামাজিক চাপ বড় কম নয়। ডিভোর্সি একলা মেয়েদের এই শহরেও বাড়িভাড়া পেতে অসুবিধে হয়। পেলেও বাড়িওয়ালা বা অন্য কেউ অন্যায় সুযোগ নিতে চস্য। মফস্বলে এসব অনেক বেশি। এই মেয়েরা যেন বেওয়ারিশ মাল।
    গ্রামে গেলে দেখি মা বাবা বাল্যবিবাহেও রাজি মেয়ের সুরক্ষার কথা ভেবে। পাছে পরিবারের অসম্মান হয়। এমন কি বধূ হত্যার কেসও পার্সুড হয় না এই মিথ্যে সামাজিক সম্মানের কথা ভেবে। পরের মেয়ের বিয়ে হবে না এইসব ছাইভস্মও ভাবতে বাধ্য হয় বাপমা।
    কোন ভরসায় মেয়ে পিতৃগৃহে ফিরে আসবে। যতো বধূহত্যা হয় তার বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাবা মায়ের এপ্যাথি দায়ী খানিকটা।
    প্রথাগত শিক্ষা জরুরী, খুব জরুরী । কিন্তু আজকাল সীতার মতো সর্বংসহা হও এবং শতপুত্রের জননী হবার আশির্বাদের মধ্যে উল্টোপুরাণের বীজ লুক্কায়িত আছে।
    যে মডেলের অর্থনৈতিক স্বনির্ভরতা ফলো করা হয় এদেশে তাতে আর যাই হোক একা মেয়েদের কোন সুবিধে হয় না। পিতৃতন্ত্র যে একটি গূঢ় রাজনীতি যার বয়স কয়েক হাজার বছর এবং তার মোকাবিলায় ভাববাদের চর্চা অত্যন্ত বিপজ্জনক, এই শিক্ষাটি মেয়েদের ছোটবেলা থেকে মজ্জাগত হওয়া উচিৎ। যূথবদ্ধ প্রতিরোধ, স্বাধিকার সম্বন্ধে সঠিক ধারণা এবং পরিস্থিতির বস্তুগত বিশ্লেষণে ঘাটতি থাকে বলেই বাল্যবিবাহ, গার্হস্থ হিংসা, বধূহত্যা এবং কমল কুমারের সেই বিখ্যা মায়া রহিয়া গেলর মনোভাব মেয়েদের কিছুতেই ঘোচে না।'
  • অর্জুন অভিষেক | 37.131.213.77 (*) | ১২ মার্চ ২০১৮ ০৮:৪৩85005
  • ভাল লেগেছে প্রতিভাদি। তবে এই নিয়ে বিশদে আরো মন্তব্য আছে।

    বলবো।
  • h | 213.99.211.135 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৬:২০85006
  • থ্যাংক ইউ, প্রতিভা।
  • অর্জুন অভিষেক | 149.5.228.250 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৮ ০৮:০০85007
  • গত নভেম্বরে ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে একটি এক্সজিভিশন হয়েছিল 'উইম্যান ইন দ্য ডার্ক'। সুইস শিল্পী ও মনস্তত্ত্ববিদ ফ্রান্সেস্কা গ্রেবের এর একটি আর্ট প্রোজেক্ট ছিল এটি। জিম্বাবওয়েতে ২০১৬ তে উনি প্রথম শুরু করেন এই প্রোজেক্টটি। তারপর ভারতে, বাংলায়।

    কলকাতায় 'স্বয়ম' এন জি ওর সঙ্গে যৌথভাবে অনুষ্ঠিত হল এক্সজিভিসন। 'স্বয়ম' এর অনুরাধা কাপুর নাম দিলেন ' ভয়েসেস অফ কারেজ অ্যান্ড সরোঃ উইম্যান ইন দ্য ডার্ক স্পিক্স আউট'।

    ২১৬ জন মহিলা তাদের জীবনের দুঃখ, কষ্ট ও নির্যাতনের কাহিনী লিখেছেন লাল পাড়ের সাদা শাড়িতে, বাংলা, হিন্দী, উর্দু এবং ইংরেজিতে।

    লেখাগুলো পড়তে পড়তে অনেকের চোখ সজল হয়ে উঠেছিল। অনেক লেখাই অসমাপ্ত, কিছু কথা বলে তারপর ডট ডট বা কোনো মেয়ের মুখের আকৃতি। নিজের যন্ত্রণার কথা কি এত সহজে বলা যায়!

    নির্যাতিতা মহিলাদের অনেকেই সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিল, যারা দর্শকদের সঙ্গে কথা বলছিল। অনেকে এখন স্বয়ং নির্ভর, কিছু ফিরে পেতে চান সংসার।

    'বেটি বাঁচাও' প্রকল্পের কথা ভাল জানিনা কিন্তু অ্যাপলিটিক্যালিী বলছি 'কন্যাশ্রী' কিন্তু সাহায্য করেছে বাংলার প্রত্যন্ত গ্রামে গঞ্জে।

    যখন শুনি লতিকা বা মালতি কি সন্ধ্যা স্থানীয় থানায় অভিযোগ করে বিয়ের আগের দিন বন্ধ করে দিতে পারছে নিজের বিয়ে, বা বরপক্ষের সঙ্গে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে কনের সাজেই বলে দিতে পারছে ' আমি এ বিয়ে করব না' তখন অল্প হলেও সময় বদলাচ্ছে আর তখন এই 'কন্যাশ্রী' টাইপের প্রকল্প তাদের কাজে লাগছে।
  • প্রতিভা | 125.96.159.150 (*) | ১৪ মার্চ ২০১৮ ০২:০৭85008
  • হ্যাঁ পাই, তথ্য সংগ্রহে আছি। বিশদে লিখব। অর্জুন পরের লেখাটা দেখো। আরো তথ্য আনবো।
  • স্বাতী রায় | 781212.194.1245.88 (*) | ১৬ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৫:৫৪85009
  • কিন্তু কোন রাজনীতিই বা পিতৃত্ন্ত্রের হাত ছাড়িয়ে মেয়েদের দিক দেখবে ? আছে নাকি এমন কিছু ?
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। সুচিন্তিত মতামত দিন