এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  বিবিধ

  • বস্তার-দুঃশাসনীয় (সপ্তম পর্ব)

    অতীন্দ্রিয় চক্রবর্তী লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | বিবিধ | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১১৭২ বার পঠিত
  • অস্ট্রিক-দ্রাবিড় মানুষদের ক্রমঃআর্য্যায়ণের অনুসন্ধান এক জীবনভর উইসডম-জার্নি। উত্তরকালে এই প্রসঙ্গ আবারও আবারও আসতে থাকবে, আমরা সবাই মিলে শিখতে থাকব এই অতল আঁধারিয়া পতনগাথা। আপাতত, এই সব সমস্তকিছুর ফলে মুছে যেতে থাকা কিছু প্রাকৃত-যাপনের কথা লিখে রাখি। 

    ঘোটুল প্রথা –

    ঘোটুল-প্রথার বিষয়ে কিছু আধাসেদ্ধ ও দরকচা তথ্য গ্রিয়ার্সন ও ভেরিয়ার এল্বিন লিপিবদ্ধ করে গিয়েছেন। যদিও হরিহর বৈষ্ণব এই বিষয়ে আরও সহজিয়া-গভীরে নিমগ্ন হয়ে তুলে ধরছেন এই বিষয়ে। ঘোটুল প্রথার প্রচলন ও লালন মূলতঃ গোঁড়-মুড়িয়াদের মধ্যে। ঘোটুল হল জীবন তথা যাপনপাঠের পাঠশালা। গোঁড়দের আদিগুরু ছিলেন লিঙ্গো-পেন বা লিঙ্গোবাবা – যাঁর উদযাপনে আমাবেরা-হুররা-পিঞ্জোরি সংলগ্ন গভীর জঙ্গলের শান্ত ছায়াস্থিত সেমারগাঁও (বাংলা করলে দাঁড়ায় – শিমূলগাঁ)-তে মেলা লাগে ধুম। কতদিন লাগবে আর জানা নেই, কারণ এর পাশেই তৈরী হয়েছে কুখ্যাত বি-এস-এফ ক্যাম্প হুররা-পিঞ্জোরি ক্যাম্প – এবং সেই ক্যাম্পের ফৌজিদের করে চলে অনবরত ধর্ষণ ও খুনের ভয়কথা ফিসফিস ছড়ায় বনের পাতায় পাতায়। 

    ফিরে আসি ঘোটুল প্রসঙ্গে। লিঙ্গো-পেনকে মানা হয় ঘোটুলের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে। এরই সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত গোঁড়দের ব্যবহৃত বাদ্যযন্ত্রের উদ্ভব ও প্রচলন – যাও, মানা হয় যে লিঙ্গোপেনই করে গিয়েছিলেন। এই প্রথা আসলে এক অদ্ভুত প্রাকৃত-শৃঙ্খল – যার মারফৎ মানুষ স্বেচ্ছায় একে অপরের সুখ দুঃখ শ্রম স্ফুর্তি সমস্ত একক থেকে সামূহিকে বাটোয়ারা করে নেয়, তৈরী হয় কৌম-সমাজ। পল্লীসমাজের বিভিন্ন কাজ – নানান পুজো-আচ্চা থেকে শুরু করে কুঁয়ো-খোড়া, মাটির বাঁধ বেঁধে বণ্যা ঠেকানো, ইন ফ্যাক্ট, কৌম-সামাজিক যাপনের প্রতিটা আঙ্গিকই ঘোটুলের যুবক-যুবতীরা একসাথে করে ফেলে। শ্রমের সমবণ্টনের পাঠ এঁদের দিয়েছে এই হাজার হাজার বছরের প্রাকৃত-প্রথাই – কোনো মার্ক্স বা গান্ধীর প্রয়োজন হয় নি। 

    ধরা যাক, কারুর বিয়ে ঠিক হল। তখন ঘোটুলের সদস্যরা বসল, হবু বর বা বৌ বা দুইজনকেই কিছু ভেট দিলো, এবং বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলল। তারপর ঘোটুলের যুবতীরা বনে গেল প্রয়োজনীয় ফুল-পাতা সংগ্রহ করতে, যুবকেরা গেল কাঠকুটো সংগ্রহ করতে। তারপর যত দিন এগোতে থাকল, সবাই মিলে শিকার করল, শিকারের বাঁটোয়ারা করে নিলো, রাঁধলো, মহুয়া-সালফি বানালো, বাদ্যযন্ত্র-গুলো বের করে রাখলো। তারপর শুভদিনে শুভলগ্নে সকলে মিলে নাচলে গাইলো খেলো সমস্ত আচার পালন করল এবং, এইভাবেই সম্পন্ন হল পরিণয়।

    আবার দুঃখের দিনে – কোনো ঘরে মৃত্যু বা দুর্যোগ হানা দিলে – দল বেঁধে পাশে দাঁড়ায় ঘোটুলের যুবক যুবতীরাই। গ্রাম থেকে গ্রামে পয়গম নিয়ে চলে এরাই। অসুস্থ মানুষটার বা মরে যাওয়া মানুষটার আত্মীয়-স্বজনদের এই সব কালব্যাথী মুহুর্তে খবর করতে গ্রাম থেকে গ্রামে পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে করে খবর করে এরাই।  

    ঘোটুলের বিষয়ে নারায়ণ সান্যালের ‘দণ্ডক শবরী’ থেকে কিছু জানা যায়। এর প্রধান হয় ‘সায়দার’, যিনি হন ‘চেলিক’ মানে ঘোটুলের যুবকদের সর্দার। আর যুবতীরা হবে মোটিয়ারিন। তাঁদের মধ্যে প্রধান হবেন ‘বোলেসা’ ও ‘দুলেসা’ – এই সব পদগুলো বেছে নেওয়া হয় নৈপুণ্য, কর্মপটুতা, ব্যক্তিত্ব ইত্যাদির ভিত্তিতে।

    কালের সাথে সাথে কিছু পেট্রিয়ার্কি ঢুকে পড়েছিলো ঘোটুলে। নিয়ম হয়ে গিয়েছিল, চেলিকেরা বনে কাঠ কুটো কুড়োবে, মোটিয়ারিরা ঘোটুল প্রাঙ্গন সাফ-সুতরো করবে, ‘পানেয়া’ বানাবে। আসলে গোঁড় সংস্কৃতির মধ্যে, হয়তো কিছুটা আর্য্যায়ণ এবং অন্যান্য বাহ্যিক প্রভাবে, অনেকটাই পেট্রিয়ার্কি ঢুকে পড়েছে কালপ্রবাহের চোরাস্রোতে। এমনকি কিছু মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়েছে, কিছু পল্লীসমাজে মাসিকের সময় মহিলাদের আউটহাউসে থাকতে হয়। আসলে ইংরেজ এবং তারপর ব্রাহ্মণ্যবাদে লালিত লেখক-পর্যবেক্ষকেরা অত্যাধিক রোম্যাণ্টিসাইস ও এক্সটিসাইস করেছে আদিবাসী কৌমপ্রাকৃতকে – এই ইম্পোসিশানের দায়ভার ভেরিয়ার এল্বিনের মত বিদ্বজ্জনের যতটা, বিভূতিভূষণের মত অতিগূণীজনেরও ততটাই। বাস্তব স্বাভাবিকেই কঠোরতর। 

    যাই হোক, ঘোটুল প্রথাকে লালন ও পালন করার দায়ভার ন্যাস্ত চেলিক ও মোটিয়ারিদের উপর, সায়দারের উপর, এবং কিছুটা গ্রামের প্যাটেল ও গাইতার উপরেও। গাইতার বিষয়ে প্রথম পর্বে লিখেছি, পুনরাবৃত্তি নিষ্প্রয়োজন। ঘোটুলের ভিতরে প্রয়োজনীয় অর্গ্যানাইসেশানাল স্ট্রাকচার ধরে রাখতে এরা নিজেরাই নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন পদ বানিয়ে নিয়েছে ও নিপুণতা, কর্মদক্ষতা, ব্যক্তিত্ব অনুসারে পদাধিকারী বেছে নিয়েছে – বানিয়েছে নিজেদের কোটাল, হাবিলদার, সায়দার, দফাদার, দুলোসা, বোলেসা, অতকারি, বুদকারি-দের – বিভিন্ন পদে পদাধিকারীরা নিযুক্ত হয় সর্বসম্মতি-ক্রমে। গণতান্ত্রিক প্রথার থেকেও বুঝি কিছুধাপ এগিয়ে এই স্বাধীন ও মুক্ত ইচ্ছা-প্রসূত কন্সেন্সাস-ড্রিভেন সোসাইটাল স্ট্রাকচারখানি।     

    সমাজপাঠের পাঠশালা ঘোটুলের বেশ কিছু নিয়মকানুন আছে। কিছু বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া বিবাহিত-বিবাহিতাদের প্রবেশ নিষিদ্ধ। আবার নির্দিষ্ট কাজ না করলে শাস্তি-বিধান রয়েছে। যেমন কোনো মোটিয়ারি যদি ঘোটুল-প্রাঙ্গনের দৈনন্দিন সাফ-সাফাইতে হাত না লাগায়, পরের-দিন তাকে একা একাই প্রাঙ্গণ পরিষ্কার করতে হবে। আবার কোনো চেলিক যদি মেজর লেভেলের ত্যাঁদড়ামো করে, তাহলে তাকে হাঁটু ও কনুইতে ভর দিয়ে উবু হয়ে বেতের বাড়ি খেতে হবে। আরেক অদ্ভূত শাস্তির প্রথা হল – দণ্ডিত দণ্ডায়মান হবে এক পা-এয়, তাকে ঘিরে বিষাদী সঙ্গীতে, বিষাদী নৃত্যে শোকমগ্ন হবে বাকিরা। আসলে আরণ্যক এই গোঁড় মানুষেরা সুখে, শোকে জীবনের প্রতিটা প্রবাহে – নাচে, গায়ে। তাই, বাকীরা নাচছে, গাইছে দেখে দণ্ডিত হবে শোকাচ্ছন্ন, তার শোক ছড়িয়ে পড়বে বাকিদের বিষাদমেদুর সঙ্গীতে, নৃত্যে – একের দুঃখে কাঁদবে বহু, তাই বহুর দুঃখে কাঁদবে এক – দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদবে সমান আঘাতে – অলীকসুন্দর নয় কি সেই বিচার?      

    ১৯৬১-৬২ সালে যখন দলিত বাঙালী রেফিউজিদের জন্য ‘দণ্ডকারণ্য ডেভেলপমেণ্ট জোন’-এর ১৩২ টা কলোনী-গ্রাম তৈরী হচ্ছিলো শহীদ গেঁদ সিং শহীদ গুণ্ডাধূরদের স্মৃতিবিজড়িত অবুজমাড়ের কোল-ঘেঁষা পরলকোট অঞ্চলে, তখনও ঘোটুলপ্রথা পুর্ণোচ্ছ্বাসে প্রচলিত ও উদযাপিত। অথচ আজ সমগ্র বস্তারের গ্রামে গঞ্জে গেলে দেখা যায়, শুন-শান ঘোটুল প্রাঙ্গন – নিভে গেছে পাঠশালার যাপনপ্রদীপ। ক্ষয় হতে হতে শেষ ১৫-২০ বছরে সম্পুর্ণভাবে ফুরিয়ে গেলো ঘোটুল – শেষ হয়ে গেলো উপমহাদেশের গভীরতম সহজিয়া-জীবনদর্শনের শেষ প্রতীকগুলির এক। এই নিঃশেষিত হয়ে যাওয়ার কারণগুলো বোঝা যায় আদিবাসীদের উপর ক্রমাগত নেমে আসা সামগ্রিক কালচারাল জেনোসাইডের ভয়দর্পণের করালচ্ছায়ায়। আর্য্য-বৈদিক অনুপ্রবেশের সাথে সাথেই পেট্রিয়ার্কির বিষকামড় পড়তে থাকে আদিবাসী জীবনে, ক্ষয়িষ্ণু হতে থাকে প্রাজ্ঞপ্রাকৃত কৌমদর্শন – এবং এর সাথে সাথে আর্য্য-বৈদিক ঔপনিবেশিক চক্রান্তের অংশ হিসেবেই আদিবাসীদের মধ্যে ফুটিয়ে দেওয়া হয় হীনমন্যতার হুল। জঙ্গল সাফ করে চাষ করতে হবে যে! খেত উজার করে শহর বসাতে হবে যে! 

    বহিরাগত মুনাফাকামী বাণিজ্যিকদের ও ইম্পিরিয়ালিস্টদের হাত ধরেই এলো তাঁদের বানানো লোভবাদী, খণ্ডবাদী জীবনদর্শন – যার কুঠারাঘাতে টুকরো টুকরো হতে থাকলো সমবেত আদিবাসী শ্রেণীচেতনা। এমনকি পয়সা ও লোভের অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে ঘোটুল-গুলোকে রেণ্ডিখানায় পর্যবসিত করার চেষ্টা করতে লাগল। ঘোটুল-স্পেসিফিক উদাহারণ না হলেও, অরণ্যের দিনরাত্রী পড়ে বা দেখে, অথবা বোলপুরের আশেপাশের ঝোপে-ঝাড়ে আমাদের নিজেদের ও প্রিয় বন্ধুদের কার্য্যকলাপ প্রত্যক্ষ করে বা তাতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আমরাও কি দেখি বুঝি নি কিভাবে আমাদেরই শাঁসালো কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া ও জ্ঞানী-গুণী বাবুমশাই-ইণ্টেলেকচুয়ালেরাও এই একই পন্থায় হাত মিলিয়েছি আর সমস্ত অনুপ্রবেশকারীর সাথেই?     

    আর গ্রিয়ার্সন-এল্বিনেরা, এবং তাদের প্রজ্ঞানে পুজো করা ‘স্বদেশী’ মিস্টার গামিশ-রূপী ইতিহাসবেত্তারা, যারা অনেক সাবান মেখেও চামড়ার রঙ সাদা করতে পারে নি, তারা সবাই মিলে এই প্রথাকে হয় এক্সটিসাইস করেছে, নয় এর দিকে ছিটিয়েছে কলঙ্ক-কর্দম – আর সমস্ত আইডেণ্টিটি স্ট্রীপ করে ঘোটুল-কে কলমের ডগায় প্রেসেণ্ট করেছে আদিবাসী যুবক-যুবতীদের প্রাক-বিবাহ যৌন-স্বেচ্ছাচারে লিপ্ত হওয়ার আগার হিসেবে, উগরে দিয়েছে তাদের আধসিদ্ধ জ্ঞানবমি আমাদের কিতাবে-কিতাবে, সিলেবাসে সিলেবাসে।  

    গত কয়েক দশক ধরে বস্তারে যখন হু হু করে ঢুকে পড়তে লাগল গেরুয়া-ঝাণ্ডা হাতে শঙ্করাচার্য্যের চেলারা, লাল ঝাণ্ডা হাতে মাওয়ের চেলারা, এবং তার পর পর ভয়াল অত্যাধুনিক অস্ত্র হাতে ভারতরাষ্ট্রের সউর্দি চেলারা, তখন সেই প্রহার আর সইতে পারল না এই কৌম-কমনীয় যৌব-যাপন। চিরতরে বন্ধ হয়ে গেলো শান্ত অরণ্যের বিটপীছায়ায় লালিত যৌবনের পাঠশালাগুলো। আর্য্য-হিন্দু সিদ্ধান্ত অথবা কালচারাল-রেভলিউশান-মণ্ডিত সিদ্ধান্ত – কোনোটাতেই যে এর স্থান নেই! গ্রামের গাইতা-প্যাটেলেরাও যে তাদের হাজার হাজার বছরের টোটেম হারিয়েছে পঞ্চায়েতের সরপঞ্চ-সচিবদের অশোকস্তম্ভিত শিলমোহরের সামনে। তাই এখন গ্রামকে গ্রাম অতীতসমৃদ্ধ যাপন-স্মৃতির হারিয়ে যাওয়াদের ব্যথা বুকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে শূন্য ঘোটুল-প্রাঙ্গণ। ঘোটুলের প্রসঙ্গ বস্তারকে চেনায় বারবার এসে চলেছে। এর পরেও, ‘কোলাং’ নামের অদ্ভুত উদযাপন-উচ্ছ্বাসের কথা লিখবো যখন, এখানকার নানান বিয়ের নানান রীতিপ্রথা নিয়ে লিখবো যখন, চলেই আসবে। বলা হয় এই ঘোটুল-প্রথার আদিগুরু হলেন সেমারগাঁওর লিঙ্গোবাবা। হালের হুরে-পিঞ্জরী গ্রামের বি-এস-এফ ক্যাম্পের দোর্দণ্ডপ্রতাপ-পীড়িত একটা ছায়াঢাকা গ্রাম সেমারগাঁও। অন্তাগড় গঞ্জ ছাড়িয়ে নারায়ণপুর-রোড রাওঘাট পাহাড় শুরু হওয়ার আগেই ডান দিকে পাহাড়ঘাটি-পাকদণ্ডী-জঙ্গলে ঘেরা যে রাস্তাটা আমাবেড়া গিয়েছে সেই দিকে এই সেমারগাঁও। এই সব রাস্তাঘাটে মাটির নীচে থাকথাক বক্সাইট। তাই ফৌজি আর কিছু প্রাইভেট মাইনিং সংস্থার  তর্জনগর্জনও প্রবল। এরই কাছে বুধিয়ারমারহি নামের একটা গ্রাম প্রাইভেট বক্সাইট মাইনিং এজেন্সি বাগমার মিনারেলস এবং ফৌজিদের ধর্ষকামে সাফ হয়ে গিয়েছে। মাইনের অ্যাপ্রোচরোডে যে দু’ঘর মানুষ পড়ে আছে তাদের উপরেও, ফিসফিস শোনা যায়, নারী-পুরুষ-আণ্ডাবাচ্চা নির্বিশেসে চরমতম বেআবরু করা হয়ে গিয়েছে, কিছু রেপ হয়ে থাকতে পারে, কিন্তু এ’বিষয়ে থানায় এফ-আই-আর করার চেষ্টা করলে আবার সেই ধর্ষকামী বি-এস-এফ ক্যাম্প থেকে ফৌজিরা ধেয়ে আসতেই পারে। এ’হ্যানো অঞ্চলে ঘোটুলের আদিগুরু লিঙ্গোবাবার থান। চার বছর অন্তর মেলা হয়। তবে লোহা ও বক্সাইট সমর্দ্ধ এই অঞ্চলে দুই কিলোমিটার ছাড়া ছাড়া বি-এস-এফ ক্যাম্প। দুপুরে সূর্য্য পশ্চিমে একটু ঢললএই শুরু হয়ে যায় এদের সার্চ-পার্টি-অপারেশান্স বা ‘গশ্ত’। ঘোটুলপ্রথার বন্ধ হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই য্যানো ঘোটুলের আদিগুরুর থানে মেলা বন্ধ হয়ে আসার ভয়ে থমথম চারিদিক।  

    কাঁকের
    ১৪-০৭-২০১৬


    এই লেখার কোনো ব্যক্তি মালিকানা নেই। আমরা সবাই মিলে লিখছি, পড়ছি, চিনছি বস্তারকে।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ | ১১৭২ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    বকবকস  - Falguni Ghosh
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • রৌহিন | 113.214.137.246 (*) | ২৭ অক্টোবর ২০১৬ ০৭:০৩81961
  • এ লেখা পড়ে আর কিছু বলার থাকে না - শুধু এক বিষণ্ণতা ঘিরে ধরে। আর ভয় হয়। ভীষণ ভয়।
  • Soumyadeep Bandyopadhyay | 122.133.223.2 (*) | ০১ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:৩৭81962
  • দুঃখ যাপনের লেখা, শিকড়ের ও বটে
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন