এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  বিবিধ

  • বিমুদ্রাকরণ তর্কের একদিক : ক্যাশলেস ইকনমি ও খুচরো ব্যবসায় একচেটিয়া কারবার

    শৌভিক ঘোষাল লেখকের গ্রাহক হোন
    আলোচনা | বিবিধ | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৬৫১ বার পঠিত
  • ডিমানিটাইজেশন বা বিমুদ্রাকরণের যে নীতিটি সরকার আম জনতার ওপর চাপিয়ে দিলেন কালো টাকা উদ্ধারের নাম করে, তার নানাবিধ সমস্যা নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রবল আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। অধিকাংশ বিরোধী দল সংসদ থেকে রাস্তায় প্রতিবাদে সামিল। জনগণ অবর্ণনীয় কষ্টের মুখোমুখি। ব্যাঙ্ক কর্মী থেকে লাইনে দাঁড়ানো বৃদ্ধ মানুষ - শহীদের সংখ্যা আশি পেরিয়ে গিয়েছে।

    যথেষ্ট বিকল্পের ব্যবস্থা না করেই বিমুদ্রাকরণের নীতিগ্রহণ জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে একথা অনস্বীকার্য। কিন্তু শুধু পরিকল্পনার স্তরে ব্যাপক ভ্রান্তিই বিমুদ্রাকরণের নীতির প্রধান সমস্যা নয়। সরকার পক্ষ থেকেই ক্রমশ প্রকাশ করে দেওয়া হয়েছে ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে তারা ভারতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান। কেনাবেচায় ইলেকট্রনিক কার্ডের ব্যবস্থা, মানি ওয়ালেট এর ব্যবস্থা ইত্যাদির কথা জোরের সাথে বলা হচ্ছে। এর অবশ্যম্ভাবী ফলাফল ব্যবসার ধরণটির পরিবর্তন। খুচরো ব্যবসা থেকে ক্রমশ সংগঠিত বড় ব্যবসার দিকে সরে যাওয়া। পাড়ার অসংগঠিত ছোট ছোট দোকানের চেহারাটা শপিং মল, বিগ বাজার, স্পেনসার, রিলায়েন্স ফ্রেস, মেট্রো ক্যাশ অ্যান্ড ক্যারির দিকে সরে যাওয়া। এর সামাজিক অর্থনৈতিক রাজনৈতিক প্রভাব স্বাভাবিকভাবেই হবে ব্যাপক।

    অসংগঠিত খুচরো ব্যবসার জায়গায় সংগঠিত খুচরো ব্যবসা চালু হলে লাভ নাকি অনেক রকম, এরকম প্রচারও কয়েকটা মহল থেকে ব্যাপক।

    এই সমস্ত কারণে ডিমানিটাইজেশন সংক্রান্ত বিতর্কের আবহে খুচরো ব্যবসায়ে দেশি বিদেশি একচেটিয়া পুঁজি লগ্নী সংক্রান্ত বিতর্কটিকে বারবার ফিরে দেখা প্রয়োজন। এই লেখাটিতে মূলত খুচরো ব্যবসায়ে এফ ডি আই সংক্রান্ত কিছু তর্ক বিতর্কের দিকে আমরা এগোতে চাইবো। প্রথমেই দেখে নিতে চাইবো খুচরো ব্যবসার বর্তমান চালচিত্র সংক্রান্ত কিছু তথ্যকে :-

    • সাড়ে চারশো বিলিয়ন ডলার (প্রায় ২৫ লক্ষ কোটি টাকা) মূল্যের ভারতীয় খুচরো ব্যবসা দেশের জিডিপির প্রায় ১৪ শতাংশ, মোট পরিমাণের দিক থেকে বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম।
    • খুচরো ব্যবসা চার কোটির বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের উপায়, কৃষির পরে ভারতে এটিই প্রধান জীবিকার ক্ষেত্র।
    • সাম্প্রতিককাল পর্যন্ত খুচরো ব্যবসার অসংগঠিত ধরণটাই ছিল প্রায় সর্বাংশ, ৯৮ শতাংশ। সংগঠিত খুচরো ব্যবসা ছিল মাত্র দু শতাংশ।
    • প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ আসার আগেই রিলায়েন্স, টাটা, ভারতী, গোয়েংকার মত দেশীয় একচেটিয়া কারবারিরা গত কয়েক বছরে নেমে পড়েছে খুচরো ব্যবসায়।
    • ১৯৯৯ এ কর্পোরেট নিয়ন্ত্রিত খুচরো ব্যবসার পরিমাণ ছিল ২৫০০০ কোটি টাকা, ২০০৫ এ এটা ৩৫০০০ কোটি টাকায় পৌঁছয়।
    • সংগঠিত খুচরো ব্যবসা ৫ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান ঘটায়, অসংগঠিত খুচরো ব্যবসা প্রায় ৪ কোটি মানুষের রুজিরুটির পথ।
    • খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এলে লাভের দিকটিই প্রধান, এটা যারা বলছেন, তাদের যুক্তিগুলো প্রথমে দেখা যাক –

    যেসব যুক্তি রাখা হচ্ছে খুচরো ব্যবসায় একচেটিয়া বিদেশি পুঁজির সপক্ষে

    • নতুন বিনিয়োগকারীরা যে পুঁজি লগ্নী করবেন, তা নতুন কর্মসংস্থানের জন্ম দেবে।
    • চাষীরা সরাসরি খুচরো বিক্রেতাদের কাছে ফসল বেচবেন। মধ্যস্তরীয় দালাল চক্রের অবসান ঘটবে। চাষীরা ফসলের বেশি দাম পাবেন, ক্রেতারাও কম দামে কৃষিপণ্য কিনতে পারবেন।
    • উন্নত পরিষেবা ও প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রেতার আগ্রহ বাড়িয়ে ব্যবসার সীমানা ও সেইসূত্রে অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সহায়ক হবে।
    • পচনশীল কৃষিপণ্য বিক্রেতাদের লাভ হবে সবচেয়ে বেশি। বর্তমানে এসবের উৎপাদকেরা বিক্রয় মূল্যের পনেরো শতাংশের বেশি পান না, সংরক্ষণের উপযুক্ত ব্যবস্থা না থাকায় খুব কম দামে তা বেচে দিতে হয়। এই অবস্থার পরিবর্তন ঘটবে।
    • খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে যে বিপুল পরিকাঠামোগত ব্যয় দরকার, বাজেট ঘাটতি ভারাক্রান্ত ভারতীয় সরকার তা করতে পারবে না। কিন্তু বিপুল শস্য অপচয়ের ঘাটতি থেকে বাঁচতে হিমঘর ইত্যাদি পরিকাঠামো নির্মাণ জরুরী। বিদেশি লগ্নি এই কাজটি করবে।
    • খুচরো ব্যবসায় বিদেশি বিনিয়োগের বিভিন্ন পদক্ষেপের ওপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ থাকবে।

    এক এক করে দাবিগুলি দেশ বিদেশের ব্যবসায়িক গতি প্রকৃতি সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যের আলোতে বিচার করা যাক। প্রথমেই আসা যাক কর্মসংস্থানগত দাবীর ক্ষেত্রে। 

    কর্মসংস্থান ও খুচরো ব্যবসায় এফ ডি আই :-

    এই প্রস্তাবিত সংস্কার শেষপর্যন্ত রূপায়িত হলে যে সমস্ত অতিকায় বহুজাতিক দৈত্যরা আসতে চলেছে খুচরো ব্যবসার দুনিয়ায়, তাদের আকৃতি প্রকৃতির সাথে মূলত অসংগঠিত প্রকৃতির ভারতীয় খুচরো ব্যবসার তুলনা করলেই বোঝা যাবে এটা একটা অসম লড়াই হতে যাচ্ছে, যা ভারতীয় খুচরো ব্যবসায়ীদের একটা বড় অংশকেই বিলীন হওয়ার দিকে ঠেলে দেবে।

    কারা আসতে চলেছে ? তাদের সাথে ভারতীয় খুচরো ব্যবসার তুলনা 

    যারা খুচরো ব্যবসায় আসতে চলেছে তাদের মধ্যে আছে ওয়ালমার্ট, ক্যারিফোর, টেসকো, মেট্রো, ক্রুগার ইত্যাদি। আমরা সবচেয়ে বিখ্যাত ওয়ালমার্ট এর ব্যবসার পরিমাণের একটা খতিয়ান ভারতীয় খুচরো ব্যবসার প্রতিতুলনায় দেখতে পারি।

    • ওয়ালমার্ট পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রিটেল চেন। তার ব্যবসার মোট পরিমাণ ২০০৪ সালে ছিল ২৫৬০০ কোটি ডলার অর্থাৎ প্রায় পনেরো লক্ষ কোটি টাকা।
    • গোটা পৃথিবীতে তার প্রায় পাঁচ হাজার দোকান, যার এক একটির গড় আয়তন ৮৫০০০ হাজার বর্গফুট।
    • যে ১৪ লক্ষ কর্মী এই হাজার পাঁচেক দোকানে কাজ করেন তাদের মাথাপিছু হিসাবে ওয়ালমার্ট এর ব্যবসা বছরে ১ লক্ষ ৭৫ হাজার ডলার বা ৯০ লক্ষ টাকা।
    • এর তুলনায় ভারতীয় খুচরো ব্যবসায়ীদের বার্ষিক গড় ব্যবসা ১ লক্ষ ৮ হাজার টাকা।
    • আমাদের দেশে ১ কোটি ২০ লক্ষ দোকানের মাত্র চার শতাংশের আয়তন পাঁচশো বর্গফুটের বেশি।
    • ৭ লক্ষ ৩৫ হাজার কোটি টাকার অসংগঠিত খুচরো ব্যবসা থেকে জীবিকা নির্বাহ হয় ৩ কোটি ৯৫ লক্ষ মানুষের।

    বোঝা শক্ত নয় বহুজাতিক বৃহৎ পুঁজির সঙ্গে ভারতীয় অসংগঠিত খুচরো ব্যবসার কোন প্রতিদ্বন্দ্বিতা কার্যত অসম্ভব। এই সংক্রান্ত একটি সমীক্ষার দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে। শপিং মল ছোট খুচরো ব্যবসায় কেমন প্রভাব ফেলে সে সংক্রান্ত একটি সমীক্ষা করা হয়েছিল মুম্বাইতে। এই সমীক্ষার রিপোর্ট সমীক্ষকদের পক্ষ থেকে অনুরাধা কলহন তুলে ধরে জানিয়েছেন আনাজপাতি, ফল, শাকসব্জি, প্রক্রিয়াকরণ করা খাবার, পোষাক আশাক, জুতো, বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি ইত্যাদি সমস্ত ধরণের জিনিসের বিক্রেতাদের ৫০% ই শপিং মলের প্রভাবে ভালোরকম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। মাত্র ১৪% বিক্রেতা প্রতিযোগিতায় থাকতে পারছেন। মনে রাখা দরকার এই সমীক্ষাটি ছোট দোকানের ওপর অতি বৃহৎ বহুজাতিক ওয়াল মার্ট বা মেট্রোর মত হাইপার মার্কেট এর চেয়ে অনেক ছোট মাপ ও ক্ষমতার শপিং মলগুলির প্রভাব নিয়ে করা। নিশ্চিতভাবেই ওয়াল মার্ট ইত্যাদির আগমন এই প্রভাবকে অনেক বেশি ব্যাপ্ত করে তুলবে।

    খুচরো ব্যবসা কৃষির পরে ভারতের সবচেয়ে বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের জায়গা। ভারতীয় সমাজে এই পেশা অনেক ক্ষেত্রেই বেঁচে থাকার শেষতম উপায়। বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার মজুর, বেকার যুবক, বৃদ্ধিহার হারিয়ে ফেলা কৃষিক্ষেত্রের বাইরে থাকা উদবৃত্ত গ্রামীণ মানুষ সপরিবার যে খুচরো ব্যবসাকে অবলম্বন করে টিঁকে থাকেন তাকে সামান্যতম আঘাত করার অর্থ দেশে অনাহার মৃত্যুমিছিল ও সামাজিক নৈরাজ্যের পথ খুলে দেওয়া। অর্থনৈতিক প্রসঙ্গ বাদ দিয়েও মানবিক ও সাংস্কৃতিক সামাজিক দিক থেকে কোটি কোটি মানুষের জীবন জীবিকার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা খুচরো ব্যবসার প্রচলিত রূপটির বিচার হওয়া উচিৎ।

    কৃষক ও অন্যান্য উৎপাদকের দৃষ্টিকোণ থেকে খুচরো ব্যবসায় এফ ডি আই :-

    খুচরো ব্যবসার পক্ষের প্রচারকদের বড় দাবির জায়গা খুচরো ব্যবসায়ে এফ ডি আই এলে প্রত্যক্ষ উৎপাদক অর্থাৎ কৃষকদের সমূহ লাভ হবে। কেননা মধ্যসত্ত্বভোগী ফড়েরাই কৃষকের লাভের গুড় খেয়ে যায়। বহুজাতিকরা খুচরো ব্যবসায় এলে তারা কৃষকের থেকে সরাসরি ফসল কিনবেন, ফলে কৃষক ফসলের বেশি দাম পাবেন। ফড়েচক্র লোপ পেলে ক্রেতারাও কম দামে কৃষিপণ্য পাবেন। একইভাবে বস্ত্র, হস্তশিল্পর ক্ষেত্রেও উৎপাদক ও ক্রেতা উভয়পক্ষই অনেক লাভবান হবেন। খুচরো ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগের পক্ষের উকিলরা এই দিকটিতে সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন, এমনকী ধনী কৃষকদের একাংশও এই দাবির পক্ষে সওয়াল করেছেন। এই দাবিটিকে তাই বিভিন্ন তথ্যের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখা দরকার।

    সমীক্ষা রিপোর্টগুলি কি বলছে ?

    বহুজাতিকদের নিয়ন্ত্রিত সংগঠিত খুচরো ব্যবসায় উৎপাদকেরা বিক্রিত পণ্যের দামের ঠিক কতটা অংশ পান সে সংক্রান্ত একটা সমীক্ষা করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জ স্বয়ং। ১৯৮১ সালে করা সেই সমীক্ষার তথ্য থেকে জানা যায় ফিলিপিন্সের কলা উৎপাদকেরা জাপানের বাজারে বিক্রিত পণ্যের দামের ১৭ শতাংশ পেয়ে থাকেন। টাটকা আনারসের দাম হিসেবে থাইল্যাণ্ডের রপ্তানিকারকেরা আমেরিকার বাজারে পেয়েছেন বিক্রিত পণ্যের ৩৫ শতাংশ। এই ৩৫ শতাংশের মধ্যে উৎপাদক চাষীদের প্রাপ্য অর্থ ছিল মাত্র ১০ শতাংশ। বিশ্বব্যাঙ্কের ১৯৯৪ সালের ‘বিশ্বের আর্থিক সঙ্কট এবং উন্নয়নশীল দেশ’ সংক্রান্ত রিপোর্ট অনুযায়ী তুলো উৎপাদকেরা শেষহাতে বিক্রিত মূল্যের মাত্র ৪ থেকে ৮ শতাংশ পান। তামাকের ক্ষেত্রে এটা ৬ শতাংশ, কলার ক্ষেত্রে ১৪ শতাংশ, পাটজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ১১ থেকে ২৪ শতাংশ, কফির ক্ষেত্রে ১২ থেকে ২৫ শতাংশ, প্যাকেট চায়ের ক্ষেত্রে ইংলন্ডে ৪৭ শতাংশ হলেও আমেরিকার টি ব্যাগের ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ। কিন্তু এই শতাংশ মাত্রার হিসেবকেও অনেকে বেশি করে ধরা বলে মনে করেছেন। মিচেল চোসুদোভস্কির হিসাবমতে এই সময়পর্বে উত্তর আমেরিকার কফির বাজারে বিক্রিত দামের মাত্র ৪ শতাংশ উৎপাদকদের পকেটে গেছে। সাম্প্রতিক সময়কালে অক্সফ্যাম এর করা একটি সমীক্ষা রিপোর্ট দেখায় যে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদকের লভ্যাংশ আরো কমেছে। 

    Sector  % share of income
    Farm labour 5
    Farm income 4
    Supermarket  42
    Importer's commission and duty 7
    U.K. handling 7
    Shipping  12
    Transport and customs 6
    Farm inputs and packaging 17

     Source: Oxfam (2004)

    যারা বলছেন খুচরো ব্যবসায়ে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ এলে কৃষক তথা উৎপাদকদের প্রভূত লাভ হবে, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এইসব সমীক্ষাজাত বাস্তবতাকে উপেক্ষা করতে চাইছেন। 

    কম দামে পণ্য ? না উৎপাদকের (কৃষক/শ্রমিক) লাগামছাড়া শোষণ ? :-

    অক্সফ্যাম তার সমীক্ষায় এটাও দেখিয়েছে ঠিক কি কি কারণে গোটা ব্যবসায় উৎপাদকদের লভ্যাংশ এত কম থাকে আর সুপারমার্কেট চেনগুলি লাভের সিংহভাগ নিয়ে যায়। বিশ্বের বিভিন্ন বাজার জমি শিল্প কারখানায় ছড়িয়ে থাকা নিয়ন্ত্রণের দৌলতে দৈত্যকার এইসব বহুজাতিক কোম্পানীগুলির দরাদরির শক্তি স্বাভাবিকভাবেই মারাত্মক। নতুন প্রযুক্তি, উদার বাণিজ্যনীতি, পুঁজির অনায়াস গতির ওপর ভর করে এই অতিকায় শক্তিগুলি বিশ্বের কোণায় কোণায় ক্রমশ নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করে চলেছে আর সেইসঙ্গে ব্যবসায়িক শর্তগুলিকে বেশি বেশি করে নিজেদের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা আরো বাড়িয়ে তুলছে। একচেটিয়া আধিপত্যের সুযোগে তারা বদলে দিচ্ছে ব্যবসার যাবতীয় ধরণ, কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করছে উৎপাদনের সময়সীমা, মর্জিমত মান, দাম, পণ্য বাতিলের অধিকারের ওপর। গোটা ব্যবসা পদ্ধতির সবচেয়ে বড় আঘাতটা এসে পড়ছে দুর্বলতর গ্রন্থি উৎপাদন প্রক্রিয়ায় জড়িত শ্রমিকের ওপর। রপ্তানির চূড়ান্ত অনিশ্চিত শর্তের পরিমাপে শ্রমিক নিয়োগ করা হচ্ছে, যাদের ভাগ্যে থাকছে নিয়োগের সাময়িক চুক্তি, যখন তখন ছাঁটাই, কম মজুরীতে দীর্ঘক্ষণ কাজের চাপ, দ্রুত উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা, অনিশ্চিত বেতন। আর ক্ষোভ বিক্ষোভকে সীমায়িত রাখার জন্য উপেক্ষা করা হচ্ছে ট্রেড ইউনিয়নের অধিকার। অতিকায় সাপ্লাই চেনগুলোতে মাল সরবরাহকারী তৃতীয় বিশ্বের কারখানাগুলো সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম নীতিরও কোনও ধার ধারে না, কারণ অত্যন্ত সুলভে মাল সরবরাহের জন্য চুক্তিবদ্ধ থাকায় সুরক্ষা বাবদ ব্যয়কে তারা বিলাসিতা হিসেবেই গণ্য করে। বস্তুতপক্ষে বন্টনকারীই এখানে উৎপাদককে সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। সুরক্ষার অভাবে কারখানাগুলোতে প্রায়ই ঘটে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। সাম্প্রতিককালে আমরা বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানায় শতাধিক মানুষের আগুনে পুড়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা ভাবতে পারি। সেখানে কোনও সুরক্ষা ব্যবস্থা ছিল না, অত্যন্ত কম মজুরিতে উদয়াস্ত পরিশ্রমকারী শ্রমিকরা অতর্কিতে আগুনে বেরোনোর পথ রুদ্ধ হয়ে মারা গেল শুধু না, আগুন লাগার পরেও জনৈক ম্যানেজার নীচ তলায় আগুন লেগেছে বলে ওপর তলায় কাজ চালিয়ে যাওয়ার ফরমান দেন, নীচে নামার কোলাপসিবল গেট বন্ধ করে রাখা হয়। অবিশ্বাস্য হলেও এধরণের পাশবিক আচরণের কারণ হিসেবে কাজ করে মাল রপ্তানীর নির্দিষ্ট ‘ডেটলাইন’। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য বাংলাদেশের ওই বস্ত্র কারখানা ওয়ালমার্টের জন্য পোষাক সরবরাহ করে থাকে। ওয়ালমার্টের মত রিটেল জায়ান্টদের তথাকথিত কম দামে পণ্য বিক্রির পেছনে থাকে ব্যাপকতম মাত্রায় শ্রমিক শোষণ, যা জবরদস্তি উৎপাদন ব্যয়কে কমিয়ে রাখে। আর এটা তারা সম্পন্ন করে অতিকায় পুঁজির জোরে। নিজেদের লভ্যাংশ কম রাখে বলে ওয়ালমার্ট ইত্যাদিদের বিক্রি করা দ্রব্যের দাম কম হয়ে থাকে, এমনটা আদৌ নয়। বরং বাস্তব চিত্র ঠিক এর বিপরীত। শ্রমিক সরবরাহকারী ও ওয়ালমার্টের লাভের হারের অনুপাতটা ঠিক কেমন ? বাংলাদেশএর বস্ত্রশিল্প ও আমেরিকান বাজারের সংযোগ নিয়ে করা একটি গবেষণায় চোসুদোভস্কি জানিয়েছেন একটি জামা আমেরিকায় ১০০ টাকায় বিক্রি হলে তার মধ্যে ১ টাকা ৭০ পয়সা পায় উৎপাদক শ্রমিক, ১ টাকা পায় সরবরাহকারী আর অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে ৭১ টাকা ৮০ পয়সা পায় মলের বিক্রেতা। যারা ওয়ালমার্ট ধরণের অতিকায় বহুজাতিক সংগঠিত খুচরো ব্যবসার পক্ষে ওকালতি করছেন তারা দেশের অগণিত খুচরো ব্যবসায়ীর স্বার্থকেই শুধুমাত্র উপেক্ষা করছেন তাই নয়, কৃষক শ্রমিক সহ যাবতীয় উৎপাদকদের সামনে যে নতুন শর্ত ও দাদনপ্রথার ভয়াবহতা আসতে চলেছে, তাকেও বুঝতে চাইছেন না। অতিকায় রিটেল চেন এমন একটা মডেল যেখানে বিপুল পুঁজি সমৃদ্ধ বন্টন ব্যবস্থা উৎপাদক ব্যক্তি বা সংস্থাকে পুরোপুরি তার শর্তে গ্রাস করে নেয়।

    ওয়ালমার্ট ইত্যাদির ওপর সরকারী নিয়ন্ত্রণ সুরক্ষা দেবে, এটা কতটা বাস্তব ?

    এই প্রসঙ্গে কেউ কেউ রাষ্ট্র প্রদত্ত নিরাপত্তার ধুয়ো তুলছেন, যা প্রয়োজনে অর্থাৎ ওয়ালমার্ট ইত্যাদির বাড়াবাড়ি দেখলে ব্যবহার করা হবে। আমদের দেশের বৃহৎ পুঁজির লুঠতরাজের ক্ষেত্রে সরকারের হস্তক্ষেপের অনীহা নিতান্ত স্পষ্ট। এমনকী বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্র, যারা ইতোমধ্যেই খুচরো ব্যবসায় অতিকায় আন্তর্জাতিক পুঁজিকে ছড়ি ঘোরানোর ছাড়পত্র দিয়েছে, তারা অভ্যন্তরীণ চাপে পরবর্তীকালে একে নিয়ন্ত্রণ করতে চেয়েও ব্যর্থ হয়েছে। এই প্রসঙ্গে থাইল্যাণ্ড সরকারের অভিজ্ঞতা আমরা পর্যালোচনা করতে পারি। গ্যাট চুক্তির আগেই ১৯৮০ সালে থাই সরকার তার খুচরো ব্যবসার বাজারকে বিদেশি পুঁজির জন্য খুলে দিয়েছিল। টেসকো, রয়্যাল আহোল্ড, ক্যারিফোর সেখানে ব্যবসা শুরু করে। একচেটিয়া পুঁজির সাথে অসম প্রতিযোগিতায় স্বাভাবিক নিয়মেই অনেক পুরনো খুচরো বিক্রেতার ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেল। দেশীয় খুচরো ব্যবসায়ীদের লাগাতার সমালোচনার মুখে পড়ে সরকার ঘোষণা করল অঞ্চল ভিত্তিকভাবে খুচরো ব্যবসার ওপর বেশ কিছু নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হবে। ২০০২ সালে এই মর্মে খুচরো ব্যবসা আইন চালু করে একচেটিয়া কারবারীদের নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা হল। কিন্তু আন্তর্জাতিক পুঁজি ও তার মুখপাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন এর চাপে থাইল্যাণ্ড সরকার এই নিয়ন্ত্রণ মুলতুবি রাখতে বাধ্য হল, কেননা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন গ্যাট চুক্তির ধারা তুলে জানাল সেখানে অঞ্চল ভিত্তিক নিয়ন্ত্রণকে ‘ব্যবসা প্রতিবন্ধক’ হিসেবে গণ্য কর হয়েছে। ভারত রাষ্ট্র তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী হলেও রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রকদের শ্রেণিচরিত্র কতটা ওয়ালমার্ট ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণ করতে যত্নবান হবে, সে প্রশ্ন থেকেই যায়। অধিকন্তু আশঙ্কা থেকেই যায় এদের নিয়ন্ত্রণের এজেন্ডা নিয়ে কোনও জনপ্রিয় সরকার ক্ষমতায় আসার পরিস্থিতি তৈরি হলে বা সরকারে এলে এদের অতি বৃহৎ পুঁজি মুনাফা অব্যাহত রাখার তাগিদে সেই গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষাকে ধ্বংস করার কাজেই নিয়োজিত হবে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয় গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করতে একচেটিয়া বিদেশি পুঁজির অস্তিত্ত্ব আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা সি আই এ – ইত্যাদির মাধ্যমে বারবার সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে। চিলির আলেন্দে সরকারের অভিজ্ঞতা সকলেরই জানা আছে।

    বিদেশি বিনিয়োগের পক্ষে অন্যান্য যুক্তির একদেশদর্শিতা ও ভ্রান্তিগুলি

    • বিদেশি বিনিয়োগের পক্ষে ওকালতি করে যে সব যুক্তি দেওয়া হচ্ছে, তাতে ধরে নেওয়া হচ্ছে সরকার একটি জড়ভরত। সংরক্ষণ সংক্রান্ত পরিকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজনীয় দিকটিতেই আসা যাক। কৃষিনির্ভর ভারতীয় অর্থনীতিতে কৃষি ও শস্য সংরক্ষণ পরিকাঠামো নির্মাণ সরকারের প্রাথমিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। স্বাধীনতার পর থেকে বিভিন্ন বুর্জোয়া শাসক যারা দেশ শাসন করল, তাদের চূড়ান্ত ব্যর্থতাকেই শুধু এই যুক্তি তুলে ধরছে না, বিদেশি পুঁজিকে নিজের পঙ্গুত্ব ঢাকার সর্বরোগহর ওষুধের জায়গাতেও নিয়ে যাচ্ছে।
    • একদিকে সরকারী খাদ্য সংগ্রহ ব্যবস্থাকে জোরদার করা ও অন্যদিকে গণবন্টন ব্যবস্থাকে মজবুত করার সহজ প্রক্রিয়াতেই ফড়ে সংক্রান্ত সমস্যার সহজ সমাধান তথা কৃষক ও ক্রেতার বিনিময় মূল্যের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষার পথটি রয়েছে। সরকারী সদিচ্ছা ও কার্যকরিতার অভাবের দিকটিকে আড়াল করতেই এক্ষেত্রে বিদেশি পুঁজির অপরিহার্যতার দিকটিকে সামনে আনা হচ্ছে।

    খুচরো ব্যবসায় একচেটিয়া বিদেশি (এমনকী একচেটিয়া দেশী) পুঁজির বিরোধিতার পাশাপাশি দাবী তোলা দরকার হিমঘর ইত্যাদি পরিকাঠামোগত নির্মাণ ও খাদ্য সংগ্রহ ও বন্টনের ভেঙে পড়া ব্যবস্থার ক্ষেত্রে প্রভূত সরকারী উদ্যোগের। কৃষিকে লাভজনক করার ক্ষেত্রে সার সেচ বীজ বিদ্যুতে সরকারী সাহায্য বাড়ানোর। সমস্যার মূলকে ছুঁতে তলা থেকে অর্থনৈতিক সংস্কার জরুরী, কিন্তু দেশের শাসক শ্রেণি ও তাদের সরকার নিজেদের শ্রেণিস্বার্থ চরিতার্থ করতে একচেটিয়া বিদেশি পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে মৌলিক সমস্যাগুলির সমাধানের নিদান দিচ্ছে। ইউ পি এ আমলে যে জঘন্য প্রক্রিয়ায় সংসদে শেষপর্যন্ত খুচরো ব্যবসায়ে এফ ডি আই এর প্রবেশ সংক্রান্ত বিষয়টি ছাড়পত্র পেল, আর তখন তার বিরোধিতা করে এখন বিজেপির অর্থমন্ত্রী জেটলি যে আবার তার পক্ষে ওকালতি শুরু করলেন, তা আরেকবার প্রমাণ করল দেশের শ্রেণিশক্তির ভারসাম্য বদলানোর লড়াইয়ের ওপরেই দাঁড়িয়ে আছে খুচরো ব্যবসায় এফ ডি আই এর প্রবেশ ও অন্যান্য সংস্কারের প্রতিরোধ সহ সমস্ত গণতান্ত্রিক আকাঙ্ক্ষার সফল রূপায়ণের প্রশ্নটি।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ | ৬৫১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • দেবারুণ মিত্র | 176.62.53.94 (*) | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৭:২৬81791
  • লেখাটা একদম ই আশঙ্কা নিয়ে লেখা। ক্যাপিটালিজম এর জুজু দেখানো হয়েছে সাময়িক পরিস্থিতি দেখে। বাস্তব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে একদম না। খুচরো ব্যাবসার কোনো রূপ ক্ষতি অন্তত আমি দেখতে পাচ্ছিনা। মুদির দোকান, ফল এর জুস এর দোকান, সবজি ওয়ালি, ধোসা বিক্রেতা সবাই কে পে টিম এ পে করছি আমি। এত সহজ ব্যাবহার করা যে কোনো অসুবিধা হওয়ার কথা ই না। খুচরো নিয়ে ঝঞ্ঝাট নাই, হিসাবের ঝঞ্ঝাট নাই। একদম বিন্দাস। যারা মোবাইল ব্যবহার করে তারা খুব সহজ এই এটা রপ্ত করে নিতে পারছে, চোখের সামনে দেখছি। হয়তো শুরু তে একটু অসুবিধা কারোর হচ্ছে, কিন্তু ধীরে ধীরে একদম নরমাল হয়ে যাবে। আর কালোটাকা যদি বন্ধ করতে হয় তবে ক্যাশ লেস সিস্টেম ছাড়া গতি নাই। ছোট্ট উদাহরণ দিচ্ছি,ধরুন আমার কাছে 50000 কালো টাকা আছে ক্যাশ, আমি সেই 50000 দিয়ে ল্যাপটপ কিনে নিলাম। কালোটাকার সদ ব্যবহার হয়ে গেলো, কেউ কিছু ধরতে পারলোনা কারণ বিক্রেতার ভ্যালিড ইনকাম ওটা। এটাই যদি আমার ওয়ালেট/আকাউন্ট এ থাকতো তো সেটা অলরেডি সরকারি হিসেব/ট্যাক্স প্রদান করে যা থাকার থাকতো। কালোটাকার আর প্রশ্ন থাকতোনা।
  • ছোটোলোক | 176.62.53.94 (*) | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৯:০৫81792
  • সেক্স ওয়ার্কারদের কি কার্ডে পেমেন্ট করা হচ্ছে? তাদের কীভাবে চলছে এই ডিমানির যুগে জানতে চাই।
  • PP | 176.62.53.94 (*) | ১২ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:৩৬81793
  • হিসাবের ঝঞ্ঝাট নাই .... কত টাকা আ্ছে মশাই?
  • shibir | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৩৭81794
  • PTM দিয়ে সেদিন মোবাইল রিচার্জ করতে গেলাম, টাকাতো কেটে নিলো কিন্তু ফোন রিচার্জ হলোনা । ১২/১৪ ঘন্টা পরও যখন হলোনা তখন ক্যানসেল করে দিলাম । এখন ক্যাশ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই রিচার্জ করার ।

    আজ গ্যাস বুক করতে গেলাম জিজ্ঞেস করলাম ক্যাশ ছাড়া কিভাবে বুক করবো ? বললো ক্যাশ ছাড়া হবেনা । অনলাইন এ করতে হবে । কিন্তু মা-বাবা কিভাবে করবে ? মা বাবা তো আর ইন্টারনেট জানে না ।

    আমি নিজেই এখন ম্যাক্সিমাম জিনিস এক km দূরে সুপার মার্কেট থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনছি যদিও আমার বাড়ির কাছেই একগাদা ছোট গ্রোসারি আর ভেজেটাবলে আউটলেট আছে যেখানে আমি সস্তায় ভালো জিনিস পেতাম ।

    দেবারুণ মিত্র- "খুচরো ব্যাবসার কোনো রূপ ক্ষতি অন্তত আমি দেখতে পাচ্ছিনা" দেখতে পাচ্ছেননা না দেখতে চাইছেনা ?
  • সিকি | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১০:৫৮81795
  • দেখতে না চাইলে না দেখার অনেক রাস্তা আছে অবশ্য। আমি কিন্তু খালি চোখেই দেখতে পাচ্ছি। খুচরো সবজিবিক্রেতা মাছবিক্রেতাদের মুখ কী রকম দিস কাইন্ড অফ স্মল হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। সবজি আমি গ্রোফার্স থেকে অনলাইন কিনছি, ভালই রেট পাচ্ছি। তবে ওই পাড়ার ঠেলাওলারা যদি নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়, তার পরদিন থেকে গ্রোফার্স বা বিগবাস্কেট আর আমায় কমপিটিটিভ রেট দেবে না।
  • Arpan | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:০৩81796
  • বাড়ির কাছের গ্রসারি শপে খাতা করানো হয়েছে। শুরুতে দুহাজার টাকা দিয়ে। অবশ্য পাশেই একটা বড় সুপার মার্কেট খুলেছে (নন-ব্র্যান্ডেড) তারা কার্ড নিচ্ছে বলে বেঁচে গেছি। তবে ছোট গ্রসারি শপে খাতাটা দরকারি। চেনা খদ্দেরদের মাঝে মাঝে বড় নোটের খুচরো করে দেয়।

    দুধওলার কাছ থেকে ঐ দুই হাজার টাকার কুপন কিনে নিয়েছি। যদ্দিনে খরচ হয় হবে।

    গাড়ি সাফাইওলা, বাড়ির পরিচারিকা আর রান্নার গ্যাসের জন্য ক্যাশ আলাদা করে রাখতে হয়েছে। কী ভাগ্য, খবরের কাগজওলা এ মাস চেক নিয়েছে।

    বাকিসব মোটামুটি ক্যাশলেস। মেয়ের নাচের স্কুলেও। ফোন রিচার্জ এয়ারটেল/আইডিয়ার সাইটে গিয়ে নেটব্যাঙ্কিং ইউজ করেই করি। পেটিএম যতই ক্যাশব্যাকের লোভ দেখাক না কেন, একবার ট্রানজানকশন ফেল হলে টাকা ফেরতের আশা ছেড়ে দেওয়া ভালো।
  • গ্রসারি | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:৩৭81797
  • যারা বিরোধিতা করছেন তাদের একটাই রিকোয়েস্ট - গ্রফার্স, বিগবাসকেটের থেকে না কিনে পাড়ার চেনা খুচরো সব্জিবিক্রেতা,মাছওয়ালাদের 2000 নোট দিয়ে খাতা করান আর ওদের থেকেই রেগুলার কিনুন,ওদের ব্যবসাও বাঁচবে,অনলাইন কম্পিটিটিভ রেট লংরানে বেঁচে থাকবে ।টাকা মার্ যাবে না, বহুদিন ধরে নিম্নবিত্তরা খাতা মেন্টেন করেই চালান,বিশ্বাসের ওপর ব্যবসা চলে ।
    আর ক্যাশলেস অপশনে যেতে চাইলে প্রাইভেট পেটিএম,ফ্ৰিচাৰ্জ ইত্যাদির ক্যাশব্যাকের লোভে না গিয়ে আর বি এই-এর প্রবর্তিত ইউপিআই ( স্মার্টফোন থাকলে ) , ইউএসএসডি ( ফিচার ফোন থাকলে) কষ্ট করে শিখে নিন,বিদেশী কার্ড কোম্পানিকে পয়সা দেওয়া আটকাতে রূপে কার্ড ইউজ করুন ।
  • Arpan | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১১:৫৯81798
  • বাড়িতে ডেলিভারি দিলে নিয়মিত নেওয়া যায়, নইলে মুশকিল। এমনো হয়েছে সকালে আপিস যাবার সময় বলে গেছি, বিকেল অব্দি ডেলিভারির দেখা নেই। ফোন করলে বলে এক ঘন্টার মধ্যে যাচ্ছে। বুঝতে পারি লোকের অভাবে সময়মত ডেলিভারি দেওয়াও মুশকিল।

    সেদিক থেকে বিগবাস্কেট এগিয়ে থাকবে।
  • robu | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:০৯81799
  • "যারা বিরোধিতা করছেন তাদের একটাই রিকোয়েস্ট - গ্রফার্স, বিগবাসকেটের থেকে না কিনে পাড়ার চেনা খুচরো সব্জিবিক্রেতা,মাছওয়ালাদের 2000 নোট দিয়ে খাতা করান আর ওদের থেকেই রেগুলার কিনুন,ওদের ব্যবসাও বাঁচবে,অনলাইন কম্পিটিটিভ রেট লংরানে বেঁচে থাকবে ।টাকা মার্ যাবে না, বহুদিন ধরে নিম্নবিত্তরা খাতা মেন্টেন করেই চালান,বিশ্বাসের ওপর ব্যবসা চলে ।" - যাও বা স্পেনসার থেকে কিছু জিনিস কিনতাম, এখন ফুডকার্ড এবং তৎসংক্রান্ত ৬০০ টাকা প্রতিমাসে ট্যাক্স উপেক্ষা করে লোকাল দোকান থেকে সমস্ত জিনিস কিনছি, যে দু-তিনটে জিনিস একদম পাওয়া যায় না সেগুলো বাদে। এই ডিসেম্বর মাস থেকে।
    নিতান্ত নিরুপায় না হলে এখন ওলা উবের নেওয়া বন্ধ করে হলুদ ট্যাক্সি নেওয়া শুরু করেছি। এদের মধ্যে যারা ট্যাক্স ফাঁকি দেয়, তাদেরকে আমি সাপোর্ট করছি, গর্মেন্ট তো আর এদের ট্যাক্স ব্রেক দেয় না, আমিই দেওয়া শুরু করি।

    রূপে কার্ডে যেতে পারলাম না। আমাকে নিজেকে উদ্যোগ নিয়ে যেতে হবে কেন? গর্মেন্টের সৎ উদ্দেশ্য থাকলে পরের বার ভিসা কার্ড এর বদলে রূপে কার্ড নেবো কিনা জিজ্ঞেস করুক।
  • Arpan | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:১১81800
  • আর দ্বিতীয় ইস্যুটা হল বাজারে যখন যাই তখন চার-পাঁচটা দোকান ঘুরে ঘুরে সব্জি বা মাছ কিনি, দরদাম করে, অথবা এমনও হয় একজনের কাছে সব জিনিস পাওয়া যায় না। সেখানে একজনের কাছে আগাম দিয়ে কাছে খাতা করানো মুশকিল।

    পাড়ার মুদির দোকান হলে অবশ্য এই সমস্যাটা হয় না।
  • রোবু | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:১৪81801
  • সবজি আর মাছে কিস্যু করার নেই।
  • Arpan | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:১৪81802
  • সরকারি ব্যাংকে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললেই রূপে কার্ড গছাবে। ভিসার অপশন দেবেই না।

    রোবুর তাতে কি অভিমান কমবে?
  • d | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৩৯81803
  • আমার একটা ২০০ টাকার নোট আমার যিনি ঘর পরিস্কার করে দেন সেই সুশীলা আন্টি ভাঙিয়ে দিয়েছেন।

    কিন্তু মজা হল দুধওলারা কার্ড নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
  • d | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৪০81804
  • ২০০০ টাকার নোট
  • রোবু | 176.62.53.94 (*) | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ১২:৪২81805
  • আমার এতো বছর ধরে একটিই একাউন্ট, এইচডিএফসি-তে। আবার একাউন্ট খুলবো কেন?
  • Firspost | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:০৫81806
  • In a somewhat unexpected move, the trading community in India — the drivers of the country's cash-based economy — has decided to throw its full weight behind Prime Minister Narendra Modi's demonetisation move, by signalling its intention to turn India into a 'less cash' economy.
    Responding to Modi’s clarion call for a ‘less cash economy’, the trading community — a section of the economy that thrives largely on cash transactions, and often bears the stigma of doing so to avoid paying taxes — has come up with a roadmap to give a push to digital transactions.
    Keeping in mind the fact that in India 98 percent of small business units lack the ability to transact digitally, the Confederation of All India Traders (CAIT) has chalked out a ‘10-point plan’ with an aim to change the contours of traditional trade transaction methods — from cash payment to the digital platform.
  • sm | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:১২81807
  • সর্বদাই একাধিক একাউন্ট খুলবেন। বিশেষজ্ঞ দের সৎ পরামর্শ। অনেকটা ইঁদুর দের ঢোকা- বেরোনোর হরেক পথের মতন।
    কারণটা পোষ্কার করে বলি ।রিসেশনের আগে ইউকে তে পার ব্যাংক একাউন্ট ৩০০০০ হাজার পাউন্ড মতন সিকুরিটি গ্যারান্টি ছিল। অর্থাৎ ব্যাংক ফেল করলে ইন্সুরেন্স কোম্পানি(বকলমে সরকার) ৩০০০০ পাউন্ড অবধি ক্ষতিপূরণ দেবে। রিসেশনের আগে কেউই ভাবে নি ব্যাংক ফেল করতে পারে। দেখা গেলো ইউ কে র সবচেয়ে বড় ব্যাংক ও ফেল করলো। সরকার বেইল আউট করে বাঁচায়। তখন থেকেই বিশেষজ্ঞ দের পরামর্শ মাল্টিপল একাউন্টে অল্প করে করে টাকা রাখুন।ইন্সুরেন্সের লিমিট বেড়ে যাবে ও সবটাই ফেরত পাবেন।
    মাইন্ড ইট, ভারতে এই সিকুরিটি ইন্সুরেন্স পার একাউন্ট সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা। সুতরাং--

    দ্বিতীয় পয়েন্ট হলো; যে সব একাউন্ট এর সঙ্গে অনলাইন ট্রানজ্যাক্সন করবেন; সেসব একাউন্টে ৩০-৪০ হাজারের বেশি না রাখাই বাঞ্চনীয়।কারণ চোট খেলেও ধাক্কা সামলাতে পারবেন।
  • sm | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৪:২২81808
  • আচ্ছা, শোনা যাচ্ছে ব্যাংক গুলো নাকি প্রচুর ঘাপলা করেছে? এ টি এম এ টাকা না ভরে এবং একাউন্টে ৫-৬ হাজার ঠেকিয়ে ;ব্যবসায়ী ও লালু কাস্টমার দের প্রচুর টাকা সাপ্লাই করেছে ও এক্সচেঞ্জও করেছে।
    আগের দিন একটা পেপারে দেখলে 14 লক্ষ কোটি টাকা জমা পড়ার হিসাব নাকি ঠিক নয়।করুন বহু ব্যাংক নাকি দুবার করে টাকা গুনেছে। এটা কি সম্ভব ?ব্যাংক কি প্রতিদিনের আয়-ব্যয় এর হিসেবে রাখে না?
  • ঘাপলা | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:১৬81809
  • ব্যাংকে নতুন নোট জমা পড়লে সেটাকে পুরোনো নোট বলে দেখিয়ে ওই জমা পড়া নতুন নোট দিয়ে ঘাপলা করে ব্যবসায়ী ও লালু কাস্টমার দের প্রচুর টাকা সাপ্লাই করেছে ও এক্সচেঞ্জও করেছে,তাই আর বি আই ব্যাঙ্ক গুলোকে কত পুরোনো নোট কত নতুন নোট জমা পড়ছে আলাদা করে পার কাস্টমার হিসেবে রাখতে বলছে
    http://profit.ndtv.com/news/banking-finance/article-banks-must-keep-deposits-record-of-scrapped-valid-notes-says-government-1636797
  • ranjan roy | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:২৯81813
  • অজ্জিত,
    কাল কথা বলতে চাই, তোমার সুবিধে মত।
    আমার নম্বর ৮৫৮৩০৪১৩৯৫।
  • d | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৬81810
  • হুঁ অনলাইন ট্র্যানজাকশানের অ্যাকাউন্টে বেশী টাকা না রাখাই উচিৎ। অতিরিক্ত টাকা শর্টটার্ম ফিক্সড রাখুন।
  • d | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৮81811
  • আর মোবাইল বা পিসি কোথাও কখনও পাসওয়ার্ড সেভ করে রাখবেন না, প্রতিবার টাইপ করার অভ্যেস করুন। তাহলে পাসওয়ার্ড চট করে ভুলবেনও না আর অপেক্ষাকৃত নিরাপদ থাকবে।
  • কিক্কড় সিং | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:০২81812
  • এবং পাসওয়ার্ডে স্পেশ্যাল ক্যারেক্টার, নিউমারিক ক্যারেক্টার, ক্যাপিটাল/স্মল লেটারের মিক্স ইত্যাদি রাখুন, অবভিয়াস জিনিস - যেমন নিজের জন্মদিন, বাড়ির নম্বর, নাম ইত্যাদি রাখবেন্না। প্রতি মাসে বদলে ফেলুন।

    টেক স্যাভি পাসওয়ার্ড জেনারেটর চাইলে মেল করুন:-p
  • কিক্কড় সিং | 176.62.53.94 (*) | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৬ ০৬:৪৩81814
  • রঞ্জনদা - দিল্লী এসেছি, কাল ফিরবো - রাত্তির হবে। শনিবার ফোন করবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে প্রতিক্রিয়া দিন