এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  ধারাবাহিক  অপর বাংলা

  • আমার কারাবাস এবং - চতুর্থ কিস্তি

    আসিফ মহিউদ্দীন লেখকের গ্রাহক হোন
    ধারাবাহিক | অপর বাংলা | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১০০৪ বার পঠিত
  • ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে একটি বৃহৎ উপাসনালয়, পাপ মোচন জেলখানায় নিঃসন্দেহে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার; কারণ পাপ মোচন না হলে পরবর্তী পাপের প্রেরণা কোথা থেকে আসবে? ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটির উপাসনালয়ে যাওয়ার জন্য কারা কর্তৃপক্ষ নিদেনপক্ষে একজন সাধারণ কারা প্রহরীর অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হয়না। অথচ কারাগারের লাইব্রেরীতে প্রবেশের জন্য জেল সুপারসহ তিন স্তরের কারা প্রহরীর অনুমতি গ্রহণের প্রয়োজন হয়। তবে বেশিরভাগ সময়ই কেউ এত ঝামেলা পোহাতে চায় না, বা এই অনুমতিই মেলে না।

    উপাসনালয়ে কেউ গেলে তাতে আমার বিন্দুমাত্র আপত্তি নেই, যার খুশি যাক উপাসনালয়ে যার খুশি যাবে নাপিতালয়ে। কিন্তু লাইব্রেরীতে যাবার ব্যাপারে পরোক্ষ নিষেধাজ্ঞা, বাধা সৃষ্টি করা কয়েদীদের অপরাধ প্রবণতা কতটা কমাবে নাকি বাড়াবে, সেই সম্পর্কে চিন্তার অবকাশ রয়েছে। কারাগারের নিয়ন্ত্রণ আরোপ এবং কঠোর শৃঙ্খলা মানুষের মনকে কতটা মুক্ত করে, স্বাধীন করে আর কতটা পরাধীন করে তাকে অপরাধ চক্রের মধ্যে আবদ্ধ করে, তার পরিসংখ্যান খুব সহজেই মেলে। মিশেল ফুকো এনলাইটমেন্টের মানবতাবাদী শাস্তি প্রয়োগের তত্বকে ফালাফালা করে দেখিয়ে দিয়েছেন, ওগুলো সবই আরো শক্তিশালী ও সূক্ষ্ণভাবে মানুষকে শৃঙ্খলিত করে। উল্লেখ্য, আমাদের কারাগারে ছোট অপরাধী প্রবেশ করে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত অপরাধী হয়েই বের হয়, আর পাপ মোচনের সুব্যবস্থা থাকলে তো কথাই নেই।

    কারাগারের লাইব্রেরীটি মধ্যযুগীয় গালগল্পমূলক বইপত্রে পরিপূর্ণ স্বাভাবিকভাবেই। জেলখানায় গিয়ে লাইব্রেরীর খবর নেয়ার চেষ্টা করা হলে খুব সন্দেহের দৃষ্টিতে তাকানো হয়। কারা প্রহরীদের দৃষ্টি দেখে নিজেকে একজন ভিনগ্রহের প্রাণী বলেও মনে হতে পারে। শুধু তাই নয় কারাগারে কোন বিদ্যালয়ও নেই, অশিক্ষিত নিরক্ষর মানুষগুলোকে অক্ষরজ্ঞানটুকু পর্যন্ত দেয়ার কোন ব্যবস্থা নেই। সাধারণত ধারণা করা হয় কারাগার ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর সব অপরাধীতে পরিপূর্ণ। তবে সত্য হচ্ছে, কারাগারের অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত নিম্নবিত্ত পরিবারের, যারা আইনের মারপ্যাঁচ বোঝে না বা ভাল উকিল ধরতে পারেনি, বা তাদের কোন উকিলই নেই। যাদের টাকা আছে তারা আইনের ফাঁক ফোকর গলে ঠিকই বের হয়ে গেছে, আর যারা বের হতে পারে নি তারাই হতভাগার মত পরে আছে। প্রচুর সংখ্যক মানুষকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে, একজন ২ বছর তিন মাস ধরে জেলে বসে আছে, তার কোন শাস্তিও হয় নি! এমনকি সে এই বিষয় নিয়ে প্রতিবাদীও না, এটাকে নিজের নিয়তি মনে করে জেলে বসে আছে। আল্লাহ যেদিন চাইবে সেদিন তার জামিন হবে, এমনটা ভেবে আশায় দিন গুনছে শিক্ষা-বঞ্চিত এই হতভাগা মানুষটি।

    কারাগারের কয়েদীদের সাথে কথা বলে জানা গেল, কারা হাসপাতালের ঔষধ খেয়ে কোন কাজ হয়না, বরঞ্চ পেট খারাপ বা বুকে ধড়ফড় জাতীয় সমস্যা হয়। কথাগুলো শুনে ব্যাপারটা আমার তদন্ত করতে ইচ্ছা হলো, কিন্তু সুযোগ ছিল না। তাদের এই কথাগুলো পরবর্তীতে পরিষ্কার হল।

    পৃথিবীর প্রতিটি দেশে জীবনরক্ষাকারী ঔষধের মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার তারিখ কঠোরভাবে মনিটর করা হয়। জীবনরক্ষাকারী ঔষধের মেয়াদ চলে গেলে তা শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়ে দাঁড়ায় এমনকি তা বিষ বলেও গণ্য হতে পারে। মেয়াদ-উত্তীর্ণ ঔষধের জন্য অনেক বড় বড় কেলেঙ্কারি ঘটে গেছে পুরো পৃথিবীতে। বেশ কিছুদিন কারা হাসপাতালের ঔষধ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ার পরে খেয়াল করে দেখলাম, মেয়াদ লেখা অংশটি তারা ঔষধের পাতা থেকে কেটে ফেলে তারপরে দেয়। এভাবে বেশ কিছুদিন যাবার পরে একপাতা ঔষধ পেলাম যেখানে মেয়াদ অংশটি ছিল। দেখলাম ঐ ঔষধটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই তারা ঐ অংশটি কেটে কয়েদীদের দিচ্ছে। এই পাতাটির মেয়াদ অংশটুকু কোনভাবে তারা কাটতে ভুলে গেছে।

    প্রিজন সেল, পিজি হাসপাতালের ডিরেক্টর বরাবর এই বিষয়ে জানানোর পরে পিজির ডিরেক্টর থেকে একটা চিঠি যায় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে, এবং জেলের ফার্মাসিস্ট আস্বাদ এসে দেখা করে। সে এসে এমন একটা ভাব করে যে, এত সামান্য বিষয় আমি কেন পিজির ডিরেক্টরকে জানালাম! এই ঔষধ খেয়ে তো আর আমি মারা যাই নি! মারা গেলে তারপর একটা কথা ছিল! অর্থাৎ মারা যাবার পরে কেন আমি অভিযোগ করলাম না, সেটা একটা মস্তবড় অপরাধ হয়ে গেছে! যদিও আমি বুঝতে পারলাম না যে, মারা যাবার পরে আমি কীভাবে অভিযোগ দায়ের করতাম, আর সেই অভিযোগ দায়ের করে ফায়দাটাই বা কী হতো!

    সে আরো জানালো, এরকম তো হতেই পারে। এই নিয়ে এত বাড়াবাড়ির কি আছে! আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি ফার্মাসিস্ট হয়েছেন কি যোগ্যতায়? আপনি জানেন, এটা একটা মস্তবড় অপরাধ? এই অভিযোগে আপনার জেল হতে পারে?

    সে আমাকে জানালো এইসব কথাকে সে পাত্তা দেয় না একটুও। সে পয়সা পাতি খরচ করেই এই পজিশনে এসেছে, একটু পয়সা না কামালে চলবে কীভাবে?

    আমি জানতে চাইলাম, পয়সা কামাবার ধান্ধায় হাজার হাজার মানুষের জীবন ঝুঁকির মধ্যে ফেলছেন, আবার বড় গলায় কথা বলছেন? এরপর আমি ব্যাপারটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অথবা পত্রিকাতে ছাপাবার কথাও বললাম। সে অবলীলায় জানালো, পত্রিকার সাংবাদিকরাও জেলের নানা দুর্নীতির ভাগ প্রতিমাসেই পেয়ে যান, তাই এই বিষয়ে প্রথম সাড়ির কোন দৈনিক পত্রিকা কোনদিন উচ্চবাচ্য করবে না। সে আমাকে রীতিমত হুমকি দিল যে, এই নিয়ে আমি যেন আর উচ্চবাচ্য না করি। উচ্চবাচ্য করলে আমার সমস্যা হবে।

    একই সাথে, সে আমাকে জানালো আপনি তো একজন নাস্তিক। রোগ শোক এগুলা সৃষ্টিকর্তা দেয়, এবং তিনিই তা সারিয়ে তোলেন। ঔষধ তো অছিলা মাত্র। স্রষ্টা চাইলে এই ঔষধেই কাজ হবে, আর স্রষ্টা না চাইলে ভাল ঔষধেও কিছু হবে না! তার কথা শুনে আমি হতভম্ব হয়ে গেলাম!

    কোন সাংবাদিকের যদি আমার এই লেখাটি নজরে আসে, তার কাছে অনুরোধ জানাবো, ব্যাপারটি নিয়ে পত্রিকাতে লিখুন, প্রয়োজনে তদন্ত করে দেখুন। প্রচুর কয়েদী, কারা প্রহরী ও তাদের পরিবারের জীবন এই সব লোকদের হাতে জিম্মি হয়ে আছে। আমরা ভেজাল খেয়ে খেয়ে এখন মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধও হজম করে ফেলি, কিন্তু সবাই তা পারে না। যারা পারে না, তাদের মৃত্যুকে হত্যা হিসেবেই গণ্য করতে হবে, এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কারাগারের নিরক্ষর মানুষগুলো, এমনকি অনেক পড়ালেখা করা মানুষও ঔষধের মেয়াদ খেয়াল করেন না। কারাগারে নিয়তির উপরে নির্ভর করানোর শিক্ষা দেয়া হয়, কোন বিদ্যালয় বা পাঠাগার বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের কোন চিন্তা নেই। কোন কারা কর্তৃপক্ষের যদি এই স্ট্যাটাসটি নজরে আসে, অনুগ্রহ করে কারাগারে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করুন, এবং কয়েদীদের লাইব্রেরীতে প্রবেশের অধিকার দিন। তারা যেন একটি করে বই রাতের বেলা তাদের সেলে নিয়ে আসতে পারে, পড়তে পারে। প্রয়োজনে আমি সেই বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে শিক্ষকতা করতেও রাজি আছি।

    কারাগারের মানুষগুলো বিজ্ঞান শিখুক, যুক্তিবাদ পড়ুক, মহাবিশ্ব এবং পৃথিবী সম্পর্কে জানুক-বুঝুক। যারা বইয়ের খোঁজ পায়, মহাবিশ্বের বিশালতা যাদের কাছে ধরা দেয়, জানার আগ্রহ যাদের তাড়িত করে, তারা তুচ্ছ ইয়াবার ব্যবসার জন্য অন্যের পেটে ছুরি চালাতে পারে, এমনটা আমি বিশ্বাস করি না।

     


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • ধারাবাহিক | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ | ১০০৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:০৯75208
  • " রোগ শোক এগুলা সৃষ্টিকর্তা দেয়, এবং তিনিই তা সারিয়ে তোলেন। ঔষধ তো অছিলা মাত্র। স্রষ্টা চাইলে এই ঔষধেই কাজ হবে, আর স্রষ্টা না চাইলে ভাল ঔষধেও কিছু হবে না! "

    এলাহী ভরসা। :ডি
  • সে | 203.108.233.65 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৯:৩০75204
  • সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছ হলে কারাগারে ঠিক ঔষধ, বিদ্যালয়, লাইব্রেরী ব্যবহারের অধিকার সমস্তই হবে। সবই নিয়তি!
  • aranya | 154.160.226.53 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১০:০২75209
  • কি আর বলব, কুর্ণিশ, অসংখ্য কুর্ণিশ। অনেক দিন বাঁচুন, আসিফ ভাই। আপনার মত মানুষ যেন বাংলাদেশে ঘরে ঘরে জন্মায়।
    ওপার বাংলার লেখক-রা যে গুরু-তে নিয়মিত লিখছেন, এটা খুবই ভাল, দরকারী একটা ব্যাপার। সম্পাদকদের ধন্যবাদ।
    দুই বাংলার সেতুবন্ধন হোক।
  • de | 190.149.51.68 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৩২75205
  • আসিফভাইয়ের লেখাগুলো অন্যভাবে ভাবায় -- দুনিয়ার যে কোণাটা দেখা হয়নি, সেটাতে বেশ স্পষ্ট করে চোখ পড়ে --

    আশা করি উনি এখন জেলের বাইরেই আছেন--
  • san | 113.245.14.11 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৩৫75206
  • ভাল্লাগলো।
  • she jai hok | 24.99.39.82 (*) | ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৪২75207
  • এই একটা লেখা ভালো লাগলো অনেক দিন পর।
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:০১75211
  • এ তো "সোনার বাংলা"
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 (*) | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৩২75210
  • "৭-১৪ বছরের কারাদন্ড দেয়া হতে পারে ফেসবুকের একটা স্ট্যাটাস অথবা ব্লগের একটা লেখা যদি অপরাধ হিশাবে বিবেচিত হয়। ৭ থেকে ১৪, একি মেয়াদের কারাদন্ড দেয়ার বিধান রেখে এই বছর আরেকটা আইন হয়েছে। এর নাম নিরাপদ খাদ্য আইন। খাদ্যে ভেজাল মিশানোর অপরাধে আপনাকে ৭ থেকে ১৪ বছরের কারাদন্ড দেওয়া হইতে পারে। তবে যদি অপরাধ করতে চান, তো খাদ্যে ভেজাল মিশিয়ে মানুষ মেরে ফেলাটা ফেসবুকে বা ব্লগে কিছু লিখে মানুষের মনে আঘাত দেয়ার চেয়ে অনেক নিরাপদ অপরাধ। ভেজাল খাইয়ে মানুষের জীবনবিপন্ন করলে আপনাকে জরিমানা দিতে হতে পারে ১০ থেকে ২০ লক্ষ্য টাকা। কন্তু অনলাইনে কিছু লিখে কারো 'অনুভুতি' বিপন্ন করলে আপনার জরিমানা হতে পারে ১ কোটি টাকা। অবশ্য এই দেশে অনুভুতি বাঁচানোর নামে মানুষ মেরে ফেলা, অথবা শহীদ হতে রাস্তায় নামিয়ে দেয়ার বিভিন্ন ঘটনায় আমরা আরো আগেই বুঝেছিযে মানুষের দাম মানুষের অনুভুতির চেয়ে বেশি কোনভাবেই না। অবশ্য আপনি রাজাকার হইলে ভিন্ন কথা। আপনার জীবনের জন্যে ধর্মীয় অনুভুতি এবং মানুষের জীবন সবই সস্তায় আপনার পায়ের কাছে লুটিয়ে দেয়া হবে।
    ব্লগার হওয়ার চেয়ে ভেজাল খাদ্য ব্যাবসায়ী হওয়া ভালো। সবচেয়ে ভালো রাজাকার হওয়া।"

    -- পারভেজ আলম [কারাভোগকারী ব্লগার]

    *সংযুক্ত: fb.me/2aDGt0KJb
  • Asif Iqbal | 68.97.248.126 (*) | ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৫:৩০75212
  • শালার পুত নাস্তিক।দাড়া তোকে আবার জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।
  • debu | 82.130.151.116 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০২:৩২75213
  • আসিফ জেনে খুসি হলাম যে আপনার "শালা"brother in law" এক জন নাস্তিক , আপনার স্ত্রী ও কি নাস্তিক? সবাইকে জেলে পাঠাবেন? হ্যা ,সোনার বাংলায় সবই সম্ভব।
    check the position of Bangladesh "Global Corruption Barometer 2013" http://www.transparency.org/
  • siki | 127.192.31.88 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:২২75214
  • বাংলাদেশের এখন হাজারে হাজারে, লাখে লাখে আসিফ দরকার।
  • debu | 180.213.132.253 (*) | ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০৭:৩৫75215
  • আছে আছে ! সংখাটা কোটি তে !
    হাজার - লাখ তো সংখা লঘু হয়ে যাবে
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:০৬75220
  • আরে এই ধরণের স্পিসিসগুলোর ঘটে বিশেষ বুদ্ধি থাকে না। দিনরাত আল্লা নবী আল্লা নবী করে চেঁচাতে থাকলে এই রকমেরই গবেট হয়। ঐ জয় শ্রীরাম বা জয় মাতাদি ক্যাটেগরির যেমন গবেট হয়, সবই এক, শুধু চাড্ডির রংটা আলাদা।

    বিরক্তিকর!
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:১৫75221
  • এরা কথায় কথায় নাস্তিক বলে চেঁচায়, এর মানে জানে? তারপর কৃষ্ণভক্ত মানে তোমাকে নিরামিষ খেতে হবে। গরু খাওয়া মানে হিন্দু নয়। এগুলোর সারাদিন আর কোন কাজ নেই লোককে অসহ্যরকমের জ্বালানো ছাড়া।
  • pi | 118.22.228.16 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:১৬75222
  • আসিফ ইকবাল, আপনাদের বিএনপি শিবসেনা বিজেপির থেকে আলাদাটা কীসে ?
  • Blank | 180.153.65.102 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ০১:৩৭75223
  • ধুর যতদিন না ট্যাগিং চালু হচ্ছে গুরুতে ততদিন চাড্ডি বাজানোতে মজা নেই
  • asif iqbal | 190.149.21.137 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:১২75216
  • আসিফ সে ভাল লেখক হল কি করে? সে একটা ইসলাম বিদ্বেষী । ইসলাম ধর্ম ও আমাদের প্রান প্রিয় নবীজি (স)কে নিয়ে প্রতিদিন বাজে লিখা লিখতো। তার কাছে পৃথিবীর সব ধর্ম ঠিক আছে কিন্তু ইসলাম ধর্ম খারাপ।আরে শালা হিন্দু ধর্ম নিয়ে লিখ এই ভারতে।দেখ শিব সেনা আর মহান (!) হিন্দু ধর্মের ধারক বাহক বিজেপির সেনারা কিভাবে তোর বিচি গেলে দেয়। মুক্তচিন্তার নামে পৃথিবীর আর কোন দেশের নাস্তিকরা কিন্তু এইভাবে কোন ধর্মকে হেয় করে না। বাংলাদেশের আদালতে আসিফের বিচার চলছে।বিএনপি ক্ষমতায় আসলে আসিফ ও তার অনুসারির কবর রচিত হবে বাংলার মাটিতে।
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:১৫75217
  • খাপ খুলব নাকি? অ সদা!
  • siki | 131.243.33.212 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:১৯75218
  • এমন সবুজ চাড্ডি দেখলেও প্রাণে পুলক জাগে। রোজ গেরুয়া চাড্ডি দেখে দেখে চোখে চড়া পড়ে যায়।
  • 4z | 152.176.84.188 (*) | ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ১২:৪৬75219
  • আসিফ (ইকবাল) - নাস্তিক মানে কি?
  • su | 86.118.6.148 (*) | ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ ০১:০৫75225
  • সিকি র এই লিঙ্ক টাতে গিয়ে যে কমেন্ট গুলো দেখে মন ভরে গেল তো ।।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে প্রতিক্রিয়া দিন