এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • একই বৃন্তে দুটি ঢ্যাঁড়শ

    সৈকত বন্দ্যোপাধ্যায় লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৪৫১৭ বার পঠিত
  • প্রশ্নটা স্রেফ এনআরসি নিয়ে নয়। "অবৈধ অনুপ্রবেশ"এর সন তারিখ ১৯৫১ বা ৭১ বা ৮১ বা ২০১১ যাই হোক না কেন, তাতে কিস্যু এসে যায়না, কারণ প্রশ্নটা সালতামামি নিয়ে নয়। প্রশ্নটা "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক একটি অদ্ভুত ধারণাকে নিয়ে। বলা ভালো "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক বস্তুটির বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" শব্দটি নতুন। বৃটিশ ভারত এই শব্দটির অস্তিত্ব জানতনা। ভারতে তখন শাসক ছিল, শাসিত ছিল, শোষক ছিল, শোষিত ছিল, ঔপনিবেশিক ছিল, সায়েবসুবো ছিল, জমিদার ছিল, জাতপাত ছিল, চোর-চোট্টা-চিটিংবাজ ছিল, ধান্দাবাজ্ব রাজনীতিবিদ ছিল, বহু রকম উঁচু-নিচুর বিভাজন ছিল, কিন্তু কোনো অনুপ্রবেশকারী ছিলনা। উপমহাদেশের মানুষের এই নতুন শ্রেণীবিভাজনটি একদম খাঁটি বাদামী চামড়ার "গণতান্ত্রিক" শাসকদের সৃষ্টি, যাঁদের কাউকে কাউকে আমরা জাতির পিতা বলি। ১৯৪৭ সাল অবশ্য আমাদের জাতির অভিধানে এই একটিই শব্দ দিয়েছে তা নয়। বহু মানুষ, যাঁরা বাদামী চামড়ার শাসকদের কৃপায় ভিটেমাটি হারিয়েছেন, তাঁরা স্বাধীনতা বলেননা, বলেন পার্টিশন। স্বাধীনতার এই প্রতিশব্দটি নতুন। ১৯৪৭ সাল আমাদের দিয়েছে "উদ্বাস্তু" নামক আরও একটি ঝকঝকে সংস্কৃত ঘেঁষা শব্দ। একটি আস্ত ভূখন্ডের মধ্যে যে "পার্টিশন" বানানো যায়, একদল লোককে ভিটে-মাটি থেকে উচ্ছিন্ন করে মনুষ্যাধম "উদ্বাস্তু" আখ্যা দিয়ে ক্যাম্পে ক্যাম্পে ঘোরানো যায়, কিংবা অনুপ্রবেশকারী স্ট্যাম্প মেরে দলবদ্ধভাবে জেলের মধ্যে আরও কোনো অন্ধকার কুঠুরিতে ভরে রেখে দেওয়া যায়, এসবই আমাদের উত্তর-৪৭ সালের শিক্ষা।

    প্রশ্নটা তাই এসবের বৈধতা নিয়েই। "অনুপ্রবেশ" এর বৈধতা নিয়ে নয়। উদ্বাস্তুরা বৈধ আর অনুপ্রবেশকারীরা নয়, এসব কূটকচালির কোনো মানেই নেই, কারণ, এসবের জন্ম যে "পার্টিশন" থেকে, সেই "পার্টিশন"টির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার সময় এসে গেছে। ১৯৩০ এবং ৪০ এর দশকের ইতিহাস অব্যর্থভাবেই আমাদের একথা জানায়, যে, এই "পার্টিশন" কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়। এ নিয়ে কোনো গণভোট হয়নি, স্রেফ কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগ নামক দুটি ক্ষমতালোভী দল, উভয়েই সর্বেসর্বা হতে চেয়ে একটা আস্ত উপমহাদেশকে বাঁটোয়ারা করে নিয়েছিল। যেকোনো সভ্য দেশে প্রধানমন্ত্রী বা রাশ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জনতার ভোটে, যিনি হারেন তিনি বিরোধী আসনে বসেন। কিন্তু এখানে আগে ঠিক হয়েছিল, রাষ্ট্রনায়ক, তারপর দেশকে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তাতে কোটি-কোটি লোককে সীমান্ত পার করে 'নিজের দেশ'এ যেতে হয়েছিল সর্বস্ব হারিয়ে। অনেকেই অবশ্য পৌঁছতে পারেননি। এর চেয়ে ঢের কম আকারে একই রকম কান্ড ঘটিয়ে, দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে সমস্ত দিল্লীবাসীকে নিয়ে যাবার ফরমান দিয়ে ইতিহাসে চিরনিন্দিত হয়ে আছেন মহম্মদ বিন তুঘলক। কিন্তু এই অতি-তুঘলকি কান্ডের নায়করা সীমান্তের দুই পারে জাতির নায়ক।

    এবং এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই, যে দুটি জাতি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই বিভাজনে, দ্বিখন্ডিত হয়েছিল, সেই বাঙালি এবং পাঞ্জাবিরা কেউই এই বিভাজন চায়নি। পাঞ্জাবে পার্টিশনের সময়ই তার বিরুদ্ধে তীব্র আওয়াজ উঠেছিল, বাঁটোয়ারাকারীরা কেউ কান দেননি। বাংলায় সেসব যাতে না হয়, তাই দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সুভাষ ও শরৎ বসুকে কংগ্রেস থেকে বিতাড়ন, নির্বাচনে কংগ্রেসের কেবলমাত্র হিন্দু আসনে অংশগ্রহণ, ফজলুল হকের সঙ্গে সরকার না গড়া, কংগ্রেসি রাজনীতিতে গান্ধী ঘনিষ্ঠ বিড়লা-খৈতানদের অনুপ্রবেশ, স্থানীয় নেতাদের হাইকম্যান্ডের রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করে ফেলা এবং দেশভাগের পক্ষে সংগঠিত প্রচার চালানো, সবই এর অংশ। এমনকি কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা, সম্ভবত ১৯৪৬ সালে নিজেদের মতো করেই একটি সমীক্ষাও ছেপে ফেলেছিল, হিন্দুরা দেশভাগ চায় এই সিদ্ধান্ত প্রচার করতে। আর মুসলিম লিগ তো সরাসরি ডায়রেক্ট অ্যাকশান ডের ডাকই দিয়ে দেয়।

    তা, এইসব পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটার জন্য এই লেখা নয়। বস্তুত এটা কোনো প্রবন্ধই নয়। এখানে স্রেফ ছোটো করে কাজের কথাটা বলা হচ্ছে। কথা হল, অনুপ্রবেশকারীরা বৈধ বা অবৈধ এটা কোনো প্রশ্নই নয়। অনুপ্রবেশের জন্য আগে প্রয়োজন পার্টিশন। সেই পার্টিশনটিই গণতান্ত্রিক নয়। অতএব অবৈধ। এই অবৈধ কাজটি না করলে গোটা উপমহাদেশে কোথাও কোনো অনুপ্রবেশ হতনা। হওয়া সম্ভব ছিলনা। কাজেই পাপ কিছু হয়ে থাকলে সেটা যেমন উদ্বাস্তুদের পাপ নয়, তেমনই অনুপ্রবেশকারীদেরও পাপ নয়, আদি পাপটি এনআরসির চতুর্দশপুরুষের, যাঁদের মধ্যে আমাদের জাতির পিতারাও অন্তর্ভুক্ত। যাঁরা অর্ধেক অর্ধেক তেল ভাগাভাগি করবেন বলে তেলের শিশিটি দু ভাগ করেছিলন। বেচারি অন্নদাশঙ্কর রায় পিতাদের সম্পর্কে হয় এই তথ্যটি জানতেননা, কিংবা সম্ভবত ভদ্রতাবশে উল্লেখ করেননি।

    এখানে "আমাদের পিতারা", বা "পিতাদের" শব্দগুলি লক্ষ্য করবেন। সবই বহুবচন। অর্থাৎ এপারের পিতা এবং ওপারের পিতা সকলকেই গাল দেওয়া হচ্ছে। সবাই "আমাদের" পিতা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে। এবং ছানা-পোনাদের মধ্যে কোনো আমরা-ওরা করা হচ্ছেনা। দুর্ভাগা পিতাদের মাতৃহারা সন্তানদের (দেশেদের শুধু পিতারাই ছিলেন, লক্ষ্য করবেন) মধ্যে বিভাজন, এই লেখায় করা হচ্ছেনা। ওসব নেতাদের বা পিতাদের কারবার, যা তাঁরা করে ফেলেছেন। সেই আদিপাপ ঢাকতে পাবলিকের টাকার শ্রাদ্ধ করে অবিরত যুদ্দু-যুদ্দু খেলে চলেছেন। কখনও পূর্ব-পাকিস্তানে, কখনও কাশ্মীরে। কখনও উগ্রপন্থী ঢোকাচ্ছেন, কখনও এজেন্ট। কখনও মুম্বাইতে বিস্ফোরণ হচ্ছে, কখনও করাচিতে। এপারের লোককে বোঝানো হচ্ছে, ওপারটা স্রেফ সন্ত্রাসবাদীদের আখড়া, আর ওপারের লোকরা জানেন, এপারে গরুখেকো দেখলেই কেটে ফেলা হয়। এই অ্যাজেন্ডারই সুসংহত রূপ হল অনুপ্রবেশ জুজু। নেপাল থেকে লাখে লাখে লোক ভারতবর্ষে কাজ করতে এলে কারো কোনো সমস্যা দেখা যায়না, সমস্যা হল বাংলাদেশের লোক ঢুকলে। আফগানিস্তান-পাকিস্তানে অবাধ মুজাহিদিন চলাচলে কারো কোনো সমস্যা নেই, সমস্যা হল কোনো ভারতীয় 'এজেন্ট' ঢুকে পড়লে।

    তা, এসব আটকানোর একটাই উপায়। আদি-পাপের প্রতিকার। আমরা কিছু বাইবেলীয় মনুষ্যসন্তান নই, যে, আদম-ইভের পাপকার্যের বোঝা আমাদের প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে বয়ে চলতে হবে। তদুপরি আমাদের কোনো মাতা নেই, সবই পিতা। তাঁদের পাপ আমাদের ঘাড়ে বয়ে চলার কোনো কারণ নেই, জাস্ট ঝেড়ে ফেললেই হয়। অর্থাৎ, অনুপ্রবেশ নয়, প্রশ্ন তুলুন পার্টিশান নিয়ে। সে পার্টিশান এখনই মুছে ফেলা সম্ভব নয়। কিন্তু যাতায়াত তো উন্মুক্ত হওয়া সম্ভবই। খুলে যাক ওয়াঘা। খুলে যাক পেট্রাপোল। আর্মি আর সিক্রেট সার্ভিসের দাপাদাপি বন্ধ হোক। লোকে অবাধে এপার থেকে ঠুংরি-ভজন গাইতে হাইতে ওপারে যাক, ওপার থেকে এদিকে আসুক গজল-কাওয়ালির বোল। ১৯৪৭ সালের বিভাজন চুলোয় যাক। প্রতিকার হোক আদি পাপের। ভারতবর্ষে কস্মিনকালেও কোনো অনুপ্রবেশকারী ছিলনা। এখনও থাকবেনা।

    এই দাবী তুলতে হলে আপনাকে আমাকেই তুলতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠিত হল তুলবেনা। কারণ, আদি-পাপের ভাগীদার এরা সবাই। আর ভুল স্বীকার করা উপমহাদেশের রাজনীতির উত্তরাধিকারে কোথাও নেই। যদি দাবী তুলতেই হয়, এই আমি যেমন লিখছি, "অবৈধ অনুপ্রবেশ" নামক হযবরলর চক্করে না পড়ে আপনাকেও লিখতে হবে। পার্টিশনের পাপকে অস্বীকার করে, "অনুপ্রবেশ" এর ডিসকোর্সে ঢুকে, তারপরে সম্প্রীতির হাজারটা বাণী দেবার কোনো মানে নেই। তার চেয়ে বরং নজরুলের গানকে প্যারডি করে গানঃ মোরা একই বৃন্তে দুটি ঢ্যাঁড়শ, হিন্দু-মুসলমান।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ৩১ জুলাই ২০১৮ | ৪৫১৭ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • I | 7845.15.015623.5 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০১:০৪64869
  • ইশেন খুব রেগেমেগে লিখে দিয়েছে।ও নিজেও জানে এই সমাধান অবাস্তব।অনেক দেরী হয়ে গিয়েছে।খোলাখুলি হিংসার চাষ শুরু হয়েছে তাও প্রায় ১০০ বছর হতে চলল।যদি ১৯২২ এর অসহযোগ-খিলাফৎ আন্দোলনের অবসানকে ওয়াটার শেড ধরি।আমরা বহুদিন ধরেই ভীষণ ভাবে সাম্প্রদায়িক ।আমরা মানে বাঙ্গালী হিন্দু এলিটরা।তার প্রতিক্রিয়ায় যে বাঙ্গালী মুসলিম এলিট তৈরী হয়েছে তারাও তথৈবচ। ৭১ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একটা মিলনের চেষ্টা করা যেতো।কিন্তু এশিয়ার মুক্তিসূর্য ও তাঁর সঙ্গী পুঁজিপতিদের দাদাগিরিতে বিষয়টা ভেস্তে যেতে শুরু করে।তার সাথে ছিল বাংলাদেশের নিজস্ব ফ্যাক্টর।
  • পারমিতা | 7845.15.0167.185 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০১:২০64870
  • সত্যি যদি সীমান্ত মুছে যেত।
  • sm | 7845.11.9002312.152 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০১:২৪64871
  • কল্লোল বাবু কিছু ভুল করলেন। সিকিমের আদি লোক নেপালি দের অভিবাসী হিসাবেই দেখে। খুব উঁচু চোখে দেখে না। কারণ মোট জনসংখ্যার অর্ধেক এর বেশি নেপালি।
    সংখ্যাগরিষ্ঠ।
    ভুটানের লোকজন ও ওই রকম মনোভাব পোষণ করে।
    কেন বলুন তো?
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০১:৫৫64872
  • দুটো বিভৎস বিশ্বযুদ্ধের ঘৃণা ও হত্যাকে ভুলে পশ্চিম ইওরোপ যদি সীমান্ত খুলে দিতে পারে নিজেদের মধ্যে, আমরা পারব না কেন?
  • h | 230123.142.34900.102 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০২:৩১64873
  • পিটি কে টোটাল চুমু। ও কল্লোল দা , ফলো মি। না সত্যি ভালো লেগেছে, বাংলা কথা বাংলায় বলা হয়েছে। থ্যাংক্স।
  • Ekak | 670112.200.565623.244 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৪64874
  • ওয়ার্কিঙ্গ ভিসা প্রসেস কে স্বচ্ছ করুক। ওটাই আপাতত যথেস্ট।

    তিন দেশের লোক যেন স্বচ্ছন্দে আসা যাওয়া , ব্যাবসা পাতি কর্তে পারে , এটা খুব বড় চাওআ নয় এবঙ্গ হাইলি সম্ভব।

    ধরুন , এই মুহুর্তে পাকিস্তানে সিসিডি খুলে লাভ নেই। কিন্তু ইমরান যদি এক্টু স্টেবিলিটি আন্তে পারেন, মারকাট এক্টু কমে তাহলে কি সিসিডি ওখানে ব্রান্চ করবে না ? বা ধরুন ইন্ডিয়া তে মাইনিঙ্গ কোম্পানি গুলো এরা কি তাকিয়ে নেই পাকিস্তানের মিনরেল রিচ অরিয় র দিকে ?

    এই পরিস্থিতি গুলো কাল নয় পর্শু আসবেই, বর্ডার শিথিল করে ব্যাবসা বানিজ্য উন্মুক্ত করা ছাড়া পথ নেই। আমাদের রাজনীতির একদিকে নেকড়ে আরেকদিকে ভেড়া হয়ে মুশকিল হয়েছে। সেটা পাল্টাতে সময় লাগবে, কিন্তু বর্ডার এর এপাশ ওপাশ একদম অর্থনৈতিক তাগিদেই হাত মিলবে একদিন।
  • sm | 7845.11.1290012.200 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৬64875
  • প্রথমত, ইওরোপের লোকজন চালাক। তাদের বোঝানো হয়েছে,বর্ডার খুলে দিলে অর্থনৈতিক লাভ আছে।
    ব্রিটিশরা বেশি চালাক, তাই ব্রেক্সিট এ ঝুঁকেছে।
    দুই, ইওরোপীয় দের ধর্ম মূলত একই।এ জন্য টারকি এখন ও জয়েন করেনি বা করতে দেওয়া হয়নি।
    তিন,ব্রিটেন আর ফ্রান্স ছাড়া, কারোর বড় মিলিটারি ফোর্স নেই।
    কড়া আইন করা হয়েছে, যাতে দেশের মধ্যে বিদেশী দের চাকরি দেওয়া যায়।
    ধীরে ধীরে ইওরোপ নিজেদের মধ্যে ভেদাভেদ কমিয়েছে।
  • Du | 237812.58.890112.106 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:১৭64876
  • এই লেখা অনেকের ভালো লেগেছে জানিয়ে গেলাম।
  • PT | 340123.110.234523.24 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪০64877
  • নাৎসিদের ও নাৎসিবাদের প্রতি বাকি ইওরোপের যে গগনচুম্বি ঘৃণা ছিল (এবং এখনো মনে মনে আছে) তার তুলনায় হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ তুলনাতেই আসেনা। তার ওপরে হিন্দু-মুসলমানের বিভেদ সেরেফ ভোটের অঙ্কের কারণে চাগিয়ে রাখা হয়েছে ও হচ্ছে। এ নিয়ে তো তক্কে লাভ নেই। কি হচ্ছে সেতো চোখের সামনেই দেখা যাচ্ছে। একদিকে ঘৃণা কমানোর বদলে ঘৃণাকে সার-জল দিয়ে লালন-পালন করা হচ্ছে আর অন্যদিকে সেই ত্রাসকে ব্যবহার করে ভোটব্যঙ্ক ধরে রাখার চেষ্টা চলছে। ইওরোপের সরকার ও মানুষ ঘৃণা ও বিদ্বেষ কমানোর জন্যে প্রোএক্টিভ হয়ে চেষ্টা চালিয়েছে।
  • h | 230123.142.34900.102 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৩:৪৭64878
  • সম্পূর্ণ একমত। ৪০০ বছরের আইরিশ সেক্টারিয়ানিজম, প্রায় দুশো বছরের আফ্রিকার কলোনী/১৯৪৮ থেকে অফিশিয়াল অ্যাপারথাইড, ইংরেজ ফরাসী দের ১০০০ বছরের যুদ্ধ, কসোভো র ঝামেলা, সব কিছুতে প্যাক্ট হচ্ছে, অ্যাকর্ড হছে, কোনমতে হলেও মারামারি কমছে, এখানে সালা ১৯৩০ এ তৈরী এখনকার চেহারার কমিউনালিজম থামানো যাবে না? চেষ্টা নেই ।
  • sm | 7845.11.675612.252 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:০২64879
  • তাহলে ব্রিটেন কমন ওয়েলথ কান্ট্রির জন্য ভিসা তুলে দিক আর জার্মানি ও ফ্রান্স আফ্রিকার সব দেশের জন্য ভিসা তুলে দিক। তাহলে বুঝবো কেমন ফাইট বা আন্দোলন হতেছে।
  • Sakyajit Bhattacharya | 2345.110.234512.14 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:১৪64854
  • এই সমাধান প্র্যাক্টিকালি অসম্ভব। বর্ডার খুলে দেবার দাবী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে এই মুহুর্তে জাস্ট সম্ভব নয়। আগুন জ্বলে যাবে।
  • PT | 340123.110.234523.20 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩২64880
  • তার আগে এই উপমহাদেশে সেরেফ ভোটে জেতার জন্যে ঘৃণা ও ত্রাস সৃষ্টির প্রক্রিয়া বন্ধ হোক। অন্ততঃ নিজেরা আগে ভদ্র-সভ্য হয়ে তার পরে না হয় অন্যদের দিকে আঙুল তোলা যাবে।
  • sm | 7845.15.5667.39 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৪৬64881
  • ইওরোপের লোকজন এমন কিছু বেশি ভদ্র নয়।
    এদের যেটা আছে, সেটা হল আইনের শাসন।
    একজন ভারতীয় স পরিবারে, পাকিস্তানে বেড়াতে যেতে ভয় পাবে কারণ ওখানে আইনের শাসন কম বিদ্যমান বলে।
    পক্ষান্তরে একজন ব্রিটিশ গ্রিসে যেতেও ভয় পাবে না কারণ আইনের শাসন গ্রিসেও ভালো রকম আছে, তাই।
  • dc | 670112.203.890112.24 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৪:৫৭64882
  • পাকিস্তান, ইন্ডিয়া আর বাংলাদেশ তিনটে আলাদা দেশ, মনে হয়না এদের এক হওয়ার দরকার আছে। তবে তিনজন নিজেদের মধ্যে ফ্রি ট্রেড জোন করতেই পারে, নাফটার মতো। তিনটে দেশ মিলে একটা কমন মার্কেট হলে তো খুবই ভালো হয়। তবে পাকিস্তানের এখন যে লেভেলের ডেট, সেই লায়াবিলিটি মনে হয় ইন্ডিয়া নিতে চাইবেনা। তার ওপর চীন পাকিস্তানকে গিলে নিচ্ছে ওবর প্রোজেক্ট দিয়ে। কাজেই তিনটে দেশের ইকোনমিক ইন্টিগ্রেশান হওয়াও মুশকিল, যদিও ফ্রি ট্রেড জোন বানাতে পারলে তিনজনেরই লাভ।
  • PT | 340123.110.234523.20 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:০৩64883
  • বেশ তবে আইনের শাসনের প্রয়োগ শুরু হোক অন্যদের দিকে আঙুল তোলার আগে।
    আর পাকিস্থানে অন্ততঃ ট্যুরিস্টদের দেখার জায়গাগুলোতে আইনের শাসন নেই সেটা ক্যাম্নে জানা গেল?
    "There is a misconceived notion Indians have about Pakistan. We always fail to look beyond the bombs and terrorists, beyond the political and military rivalry, and beyond cricket statistics. Our neighbours are as open-minded and affectionate as we are. We just have to keep our prejudices aside and give them a chance to prove how wrong we are. Provided that we get a visa, every Indian should visit Pakistan, at least once in a lifetime."
    https://www.indiatimes.com/culture/who-we-are/10-reasons-why-every-indian-should-visit-pakistan-228741.html
  • | 670112.193.345623.128 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:১৩64884
  • অন্তত কারাকোরাম হাইওইয়েটা আমাদের যাবার জন্য খুলে দিলে তো পারে।
  • sm | 7845.15.5667.39 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:২০64885
  • ওই সাংবাদিক প্রতি বছর নিজের রিলেটিভ দের নিয়ে বেড়াতে যাক।
  • সিকি | 894512.64.78.45 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:২০64886
  • মাইরি যে যার ধান্দায় আছে। তবে বেশিখানি আবেগ আর কমখানি লজিক দিয়ে তিন দেশের এক হয়ে যাওয়া ভাবতে ভালো লাগলেও, সেইটুকুতে আবার আরেসেসের ভারতের ম্যাপ মিলবে না। ওদের তো পশচিমে আফগানিস্তান থেকে শুরু আর পূবদিকে জাভা সুমাত্রা অবধি ভারতমাতা। কোথায় শুরু করবে আর কোথায় থামবে?
  • dc | 670112.203.890112.24 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:২৩64887
  • ওই জায়গাগুলো জিওপলিটিকালি ভয়ানক সেনসিটিভ। মনে হয়না চীন ওসব জায়গায় ভারতকে ছাড় দেবে।
  • কল্লোল | 342323.191.90045.210 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৩৯64888
  • লেখাটার ইংরাজি অনুবাদ চাই। ফেসবুকে ইংরাজিটাও যাক।
  • রৌহিন | 670112.203.788912.75 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৫:৫৭64855
  • লেখাটার সাথে পুরোপুরি একমত হয়েও শাক্যর কথাটাও মানতেই হচ্ছে যে এই সমাধান এই মুহুর্তে হবে না। কারণ এই দাবী তোলার লোক যত, বিরোধিতায় তার অনেক বেশী লোক দাঁড়িয়ে যাবে।

    পিতা পিতামহের পাপের সংশোধন করার চেয়ে সেই পাপের ফায়দা তোলা অনেক সহজ সমাধান। তাতে কী আর এমন ক্ষতি? আমরা আমাদের পিতা পিতামহদের খিস্তাচ্ছি, আমাদের নাতিরা আমাদের খিস্তাবে। তখন খিস্তানোর লোক সংখ্যায় অনেক বাড়বে, এটুকু দুরাশাই শুধু করতে পারি
  • Prativa | 340123.163.123423.182 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:১৩64856
  • সীমান্ত না খুলেও সাংস্কৃতিক লেনদেন চলতে পারে। সাহিত্য, হস্তশিল্প, ইলিশ বা কার্পেট। তাতেও অনেক জানাচেনা হয়। কি ন্যক্কারজনকভাবে সে সব রাস্তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে !
  • মৌসুমী | 781212.194.672323.49 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:১৯64857
  • লেখাটির সাথে সম্পুর্ণ সহমত । খুব ভাল লাগল
  • মৌসুমী | 781212.194.672323.49 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:২২64858
  • এ লেখা শেয়ার করতেই হয় । >> ১৯৩০ এবং ৪০ এর দশকের ইতিহাস অব্যর্থভাবেই আমাদের একথা জানায়, যে, এই "পার্টিশন" কোনো গণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত নয়। এ নিয়ে কোনো গণভোট হয়নি, স্রেফ কংগ্রেস এবং মুসলিম লিগ নামক দুটি ক্ষমতালোভী দল, উভয়েই সর্বেসর্বা হতে চেয়ে একটা আস্ত উপমহাদেশকে বাঁটোয়ারা করে নিয়েছিল। যেকোনো সভ্য দেশে প্রধানমন্ত্রী বা রাশ্ট্রপতি নির্বাচিত হন জনতার ভোটে, যিনি হারেন তিনি বিরোধী আসনে বসেন। কিন্তু এখানে আগে ঠিক হয়েছিল, রাষ্ট্রনায়ক, তারপর দেশকে বাঁটোয়ারা করে দেওয়া হয়েছিল তাঁদের মধ্যে। তাতে কোটি-কোটি লোককে সীমান্ত পার করে 'নিজের দেশ'এ যেতে হয়েছিল সর্বস্ব হারিয়ে। অনেকেই অবশ্য পৌঁছতে পারেননি। এর চেয়ে ঢের কম আকারে একই রকম কান্ড ঘটিয়ে, দিল্লি থেকে দৌলতাবাদে সমস্ত দিল্লীবাসীকে নিয়ে যাবার ফরমান দিয়ে ইতিহাসে চিরনিন্দিত হয়ে আছেন মহম্মদ বিন তুঘলক। কিন্তু এই অতি-তুঘলকি কান্ডের নায়করা সীমান্তের দুই পারে জাতির নায়ক।

    এবং এ নিয়েও কোনো সন্দেহ নেই, যে দুটি জাতি সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এই বিভাজনে, দ্বিখন্ডিত হয়েছিল, সেই বাঙালি এবং পাঞ্জাবিরা কেউই এই বিভাজন চায়নি। পাঞ্জাবে পার্টিশনের সময়ই তার বিরুদ্ধে তীব্র আওয়াজ উঠেছিল, বাঁটোয়ারাকারীরা কেউ কান দেননি। বাংলায় সেসব যাতে না হয়, তাই দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। সুভাষ ও শরৎ বসুকে কংগ্রেস থেকে বিতাড়ন, নির্বাচনে কংগ্রেসের কেবলমাত্র হিন্দু আসনে অংশগ্রহণ, ফজলুল হকের সঙ্গে সরকার না গড়া, কংগ্রেসি রাজনীতিতে গান্ধী ঘনিষ্ঠ বিড়লা-খৈতানদের অনুপ্রবেশ, স্থানীয় নেতাদের হাইকম্যান্ডের রাবার স্ট্যাম্পে পরিণত করে ফেলা এবং দেশভাগের পক্ষে সংগঠিত প্রচার চালানো, সবই এর অংশ। এমনকি কংগ্রেস ঘনিষ্ঠ একটি পত্রিকা, সম্ভবত ১৯৪৬ সালে নিজেদের মতো করেই একটি সমীক্ষাও ছেপে ফেলেছিল, হিন্দুরা দেশভাগ চায় এই সিদ্ধান্ত প্রচার করতে। আর মুসলিম লিগ তো সরাসরি ডায়রেক্ট অ্যাকশান ডের ডাকই দিয়ে দেয়।

    তা, এইসব পুরোনো কাসুন্দি ঘাঁটার জন্য এই লেখা নয়। বস্তুত এটা কোনো প্রবন্ধই নয়। এখানে স্রেফ ছোটো করে কাজের কথাটা বলা হচ্ছে। কথা হল, অনুপ্রবেশকারীরা বৈধ বা অবৈধ এটা কোনো প্রশ্নই নয়। অনুপ্রবেশের জন্য আগে প্রয়োজন পার্টিশন। সেই পার্টিশনটিই গণতান্ত্রিক নয়। অতএব অবৈধ। এই অবৈধ কাজটি না করলে গোটা উপমহাদেশে কোথাও কোনো অনুপ্রবেশ হতনা। হওয়া সম্ভব ছিলনা। কাজেই পাপ কিছু হয়ে থাকলে সেটা যেমন উদ্বাস্তুদের পাপ নয়, তেমনই অনুপ্রবেশকারীদেরও পাপ নয়, আদি পাপটি এনআরসির চতুর্দশপুরুষের, যাঁদের মধ্যে আমাদের জাতির পিতারাও অন্তর্ভুক্ত। যাঁরা অর্ধেক অর্ধেক তেল ভাগাভাগি করবেন বলে তেলের শিশিটি দু ভাগ করেছিলন।...
  • Atoz | 125612.141.5689.8 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:২৮64889
  • এই লেখাটা খুবই জরুরী। ছড়িয়ে দেওয়া হোক। লেখাটার শেষে একটু বাস্তবঘেঁষা সমাধানের একটা প্রস্তাবনা যোগ করা হোক। কারণ সীমান্তগুলো তো হুট করে খুলে দেওয়া যাবে না, এমনিতেই লোকজন প্রচন্ড ক্ষেপে আছে সবদিকেই, বেকারত্ব আর দুঃশাসনে অতিষ্ঠ লোকজন। সীমান্তের দুইদিকেই। সীমান্ত খুললে একেবারে প্যান্ডেমোনিয়াম লেগে যাবে।
    এদিকে উস্কানিদাতারা চব্বিশঘন্টা ভয় দেখিয়ে যাচ্ছে, এই বুঝি "ওরা" এসে সত্যনাশ করল রে। কিছু কিছু সোশ্যাল নেটোয়ার্ক গ্রুপে নন স্টপ গালাগালি চলছে সম্প্রদায়ে সম্প্রদায়ে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে আবার বলছে ১৯৪৭ এ ফেলে আসা বাড়ি জমি সম্পত্তি এসব নাকি গিয়ে দখল করা হবে, "&%$&*" দের হটিয়ে। আরেকদল বলছে অপরপক্ষের মেয়েরা সব "গণিমতের মাল", ওরা তাদের যা খুশি করবে। এইসব নানারকম সত্য মিথ্যা রটিয়ে নরক গুলজার করে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে।
    এই অবস্থায় সীমান্ত খোলার সরাসরি চেষ্টা না করে লিমিটেড কিছু করিডর দেওয়া হোক কাজের জন্য আসা যাওয়ায়। একত্রে ব্যবসা করার কিছু ব্যবস্থা করা হলেও সমাধানের দিকে এগোনো যায়। কালে কালে সীমান্ত খুলবেই একসময়, যদি ধরে নেওয়া যায় আমাদের উপমহাদেশের ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক আর সমাজনৈতিক অবস্থা অনেক যুক্তিবাদী আর বিজ্ঞানসম্মত হবে।
  • শক্তি | 670112.203.126712.154 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৬:৫১64859
  • দুরূহ সমস্যা ।আজকে হয়তো বর্ডার গার্ড খুলে এক হওয়া অসম্ভব ।অন্যরকম সাহসী সত্য উচ্চারণের কারণে প্রবন্ধটি মনে থাকবে
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৮:০০64860
  • নরেন্দ্র সিঙ্গ সারিলার একটা থিসিস আছে, সেখানে উনি দেশভাগের কৃতিত্ব চার্চিলকে নিয়েছেন। উনার বক্তব্য 'গ্রেট গেম'এর ভুত ভারত বা রাশিয়া কারো ঘাড় থেকেই নামে নি। ভারতত্যাগে বাধ্য হয়ে বৃটেন তার তেলের সরবরাহ অক্ষুন্ন রাখার জন্য শুধু আফগানিস্তানকে বাফার রাখতে ঠিক ভরসা পায় নি। খাইবার পাসের এই সাইডে কিছু জমি দরকার ছিল।

    ওদিকে থারুর লিখেছেন বৃটেনকে ভারতত্যাগে বাধ্য করে নৌ বিদ্রোহ। নৌ বিদ্রোহ আর সুভাষ বোস মিলে জোর ধাক্কা দেয়, নাহলে হয়ত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্ষয়ক্ষতিও ভারতের ঘাড় ভেঙেই পূরণ করত।

    (নরেন্দ্র সিং সারিলা আমি পড়ি নি, একজনের কাছে রেফ পেলাম। কেউ খুজে দিলে ভারী কৃতজ্ঞ হব)
  • | 453412.159.896712.72 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৮:০১64861
  • *চার্চিলকে দিয়েছেন
    ** বৃটেন মধ্যপ্রাচ্যে তার তেলের সরবরাহ ওক্ষুন্ন রাখার জন্য
  • ফরিদা | 12.38.45.15 (*) | ৩১ জুলাই ২০১৮ ০৮:১৭64862
  • সীমান্ত রচিত হয় যাতে ওখানে সৈন্য মোতায়ন করা যায়। যাতে একটা সীমান্ত পার হয়ে আলপাটকা ক্ষেপনাস্ত্র উড়ে এসে তছনছ করতে পারে যে কোনও দিকের জনপদ। যাতে দু-পাশেই মানুষ একে অপরকে ঘেন্না করে, না দেখে না বুঝে প্রশাসকের শেখান ভয়ের বুলিতে মগ্ন থাকতে পারে।

    সীমান্ত না থাকলে প্রতিরক্ষায় খরচ বিরাট কমে যায়। তিনগুণ দাম দিয়ে রাফায়েল বিমান কেনা যায় না। মানুষের মন থেকে যুদ্ধভীতি, পারস্পরিক ঘেন্না বিদ্বেষ কমে গেলে সে ক্ষুধা অনুভব করে। তার ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থান কেন হচ্ছে না প্রশ্ন তোলে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া নিয়ে ভাবে।

    তাতে শাসকের বেজায় ভয়। ভ্ল্যাকবোর্ড, চক, পেন, পেন্সিল, খাতার ব্যবসায়ে কাটমানি অনেক কম।

    এসব কথা ভাবা ঠিক নয়। লোকে পাগল বলে। গ্যালিলিও কেও একসময়ে বলা হতো। হোক।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন