এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • আমার ফিয়ার মাঝে লুকিয়ে ছিলে দেখতে তোমায় চাইনি

    Sumeru Mukhopadhyay লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৬ জুলাই ২০১৬ | ২১৫৪ বার পঠিত
  • সেই যে বিষন্ন হনুমানটা ঘাড় ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল আর তো উঠল না, চারপাশে কলার কাঁদি জমা হয়েছে, মেনকা-রম্ভা-উর্বশী প্রোলোভন, সামনে বুঝি লোকসভা নির্বাচন, কিছুনা হলেও গান্ধীজী ঠিক হেঁটে যাবেন সমুদ্রের ধার দিয়ে। এই যে চিনা বটের তলায় মানিদা বসে। কেউ কেউ প্রশ্ন করছে, কেউ শ্রোতা। আমরা ভাই কেবল হৈচৈ তে আছি। কলাভবনে পড়িনা যে তার কথা শুনতে হবে, হৈচৈ বিভাগ, মদিরা বিশ্ববিদ্যালয়, নাম শুনেছ ভাইটি? আমাদের তাড়া আছে ভাই। আমরা কোন আশ্রমিক নই, গড়িয়াহাট থেকে কলাভবন এইভাবেই সুন্দরীদের ভিড়ে চাঁদ-সূর্যের আতসবাজি পোড়াতে পোড়াতে হেঁটে যাই। প্রিন্টে পিনাকীদা আবার ঢুকে গেলেন স্টুডিওতে, রামকিংকরের স্টুডিও তো চির বন্ধ, তারপর মোক্ষম চিনাবট, ক্যান্টিন। একপাশে পেন্টিং দিলীপদা, অর্ঘ্যদা, নন্দদা- আটকে সেই নন্দলালে, যে নন্দলাল পেঁয়াজ রসুন মদ মাংস কিছুই খায় না। অন্যদিকেও নন্দলাল সহজপাঠ, নন্দন খুলে বসেছেন, অমৃতা, বন্দনা তখন মাস্টার্স করছে। শিল্পইতিহাস বিভাগ, অমৃতা-বন্দনাও নন্দনকাননে, আমার গন্তব্য সেইখানে কয়েক বছরের বড় অংশুমান্দা, সৌমিক নন্দীমজুমদার, সঞ্জয়দা (মল্লিক) কিছুদিন হল নতুন চাকরিতে, কোম্পানী আর্ট বিশেষজ্ঞ দীপকদা, আমাদের সকাল-দুপুর রাত্রি, রাত্রি নামলে হয়ত অংশুমান্দার গাড়ি চেপে রেডিমিক্স নিয়ে কোপাইয়ের উপর দাঁড়িয়ে ঈষৎ টলায়মান প্রশ্নগুলি, কোথা হইতে আসিয়াছি, শিকড় টিকড়, এ জীবন লইয়া কী করিবই কেবল জানি, গাড়ির পেছন সিটে বোতলে এখনও কিছু স্মৃতি রয়ে গেছে, জানিও ফিরৎ চাহ কিনা। শান্তিনিকেতনে সকাল হয় অনেক আগে, প্রার্থনার দিন থাকলে, রাধাদাকে ধরে একদম ঢুকে পড়া, আর কতদিন তার দিকে নিস্পলক তাকিয়ে থাকব, এইবার তো কথা বলতেই হবে। পাঁচটা বাজতে বেরিয়ে পড়ি, রিকশা পাইনা, বাউল-রিকশাওয়ালা-অমর্ত্য সেন সবাই মর্নিং ওয়াকে ব্যাস্ত, কে যে এইটা আবিষ্কার করেছে, আইন করে তুলে দিলেই হয়। ক্যামেরা নিয়েছি, সাদা পোশাক, নিরাপদ দূরত্বে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার আছিলা, সুন্দরী মনোলোভা সেও সব জানে, গোটা সংগীত ভবন জানে, কেবল বোবা কোকিলরা জানত না। দুর থেকে ঘণ্টাধ্বনি শুনি, প্রার্থনা শুরু বা শেষ হয়, আমি পাশ ফিরে শুই।

    উত্তর উপনিবেশিকতার জং ধরা চিহ্ন, কেজির করা ড্রইং, তার কথকতায় মুগ্ধ আমরা বরাবরই। আমরা সকলেই তার ছাত্র সেই অর্থে, তাকে অস্বীকার করা আমদের মত উটকো ভাবনা ভাবা কারও সম্ভবই ছিলনা। লিখছেন, বলছেন, আঁকছেন সর্বক্ষণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলিতে একটি শিল্প পত্রিকার দায়িত্ব এসেছিল, আনন্দের সঙ্গেই লেখা জোগাড় টু চণ্ডীপাঠ সব করতাম। তার প্রচ্ছদ আনতে কয়েকবার গেছি পূর্বপল্লীতে মানিদার বাড়ি। আগে থেকে ফোন করে বলা থাকত। উনি বলতেন অমুকবার অতটার সময়। সর্বানী তখন কি শান্তিনিকেতনে? কখনও তার সঙ্গে কখনও শোভন তরফদারের সঙ্গে, যা মনে পড়ছে, একা কখনই যাইনি। ছবি নিয়েই হাওয়া, একটা খামে ঢোকানো থাকত ছবি, কোনোদিন সামনে খুলে দেখিনি। একবারই কেবল ওই পাপ-ফাপ যাকে বলে, ক্রাফট নিয়ে অশোক মিত্রের একটা লেখা অনুবাদ করতে গিয়ে কিছু খটকা লাগে, ভাবলাম সামনে আছেন, জিজ্ঞাসা করতেই বকাবকি, আমি যে সত্যি ক্রাফট আদতে কি তাই বুঝিনা সেটা বলতে, বললেন দেখুন আপনি কিছু একটা তো বোঝেন এন্ড দ্যেট ইউ হ্যাভ টু আনলার্ণ। ঘণ্টা খানেক আনলার্ণ করানোর চেষ্টা করলেন, তখন মোবাইলের যুগ নয়, ফলে কোন কল এল না, চা এল না, আমার সঙ্গী জয়ন্ত হতবাক, সে বেচারি শান্তিনিকেতনে যায় প্রিন্টমেকিং এর থার্ড ইয়ার বর্ণালীর জন্য, তার জীবনের অমূল্য সময় নষ্ট। সামান্য কিছু বাদে তার কথা মনে রাখা আমার পক্ষে সম্ভব ছিল না, হয়ওনি। তাই এর পর পাতা দ্রুত উল্টাবে, এটাই স্বাভাবিক। এই দূরথেকে চিনাবটে দেখতে পাচ্ছি গণেশ পাইন, লালুদা, সনৎ কর আড্ডা দিচ্ছেন, আমাকে সনৎ বাবুই হয়ত ডেকেছেন, লেখাটা দশটা নাগাত কলাভবন থেকে নিও, কিন্তু সামনে যাইনি। নন্দনমেলায় একবার স্পেশাল ইস্যু হল, কেবল মানিদার টেরাকোটা নিয়ে। আর শিভাকুমারের সম্পাদনা। কি সুন্দর বড় বড় আর্ট প্লেট ছাপা, তামার পাতের মত মাটির রিলিফে সেখানেও যেন তার ড্রইং সে এক আশ্চর্য জগত, রাজা তো কেবল নিজের দেশেই রাজা, খটকা লাগে। সামান্য কয়েক কপি ছাপা হয়েছিল, যাদের কাছে আছে তারা সৌভাগ্যবান। শুধু তার ড্রইং আর ডুডুলের প্রদর্শণী দেখেই ছিটকে গেলাম কয়েকমাস আগে। হ্যারিংটন স্ট্রিটে। বাড়িতে শিল্পী জুটি সুমনা আর নাসু মিয়া এসেছিল বাংলাদেশ থেকে তাদের নিয়ে গেলাম। অবিশ্বাস্য এক প্রদর্শনী। যেমন ড্রইং, তেমন পট বিভাজন, তেমন বিষয় বৈচিত্র্য। কেন যে মরতে বছর কুড়ি আগে হকনির ফ্যান হয়ে ভুপেন খক্করের শ্রীলঙ্কা সিরিজ নিয়ে উৎসাহিত হয়ে পড়েছিলাম কে জানে!

    ঠিক একমাস হল মানিদা নেই। আমি কিছুই লিখতে পারিনি তাকে নিয়ে, কখনওই। কয়েকমাস আগে দীপা গিয়ে ছবি তুলে আনল, তখন আমিও শান্তিনিকেতনে। যাইনি, শুনলাম আর আসবেন না, শান্তিনিকেতনের সমস্ত সম্পত্তি বিশ্বভারতীকে দিতেই আসা, সই সাবুদ, অফিশিয়াল ব্যাপার। নব্বই পেরিয়ে অক্লান্ত ছিলেন। এত এত ছবি আর কে এঁকেছেন জানিনা। শুধু তার এক্রিলিক শিটে আঁকা বেদ- পুরাণ- আর রামায়ণ মহাভারতের সাব-অলটার্ণ ভাষ্যের ছবি পরপর সাজালে ভারত থেকে শ্রীলংকা চলে যাওয়া যাবে। শেষদিকে ক্যান্সার ধরা পড়ার পর বাড়ি থেকে বেরতেন কম। বরোদার বাড়িতেই থাকতেন। লেকচার দিতে শান্তিনিকেতনে আসছেন, সেটাও ছিল খবর, একবার শমিক গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল, শুট করলাম পুরো লেকচার, ভেবেছিলেন ভারতের স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধ করবেন, তার বদলে শিল্পচর্চা। বরদা, শান্তিনিকেতন, অজস্র ছাত্রছাত্রী, গুণমুগ্ধ, একবার সল্টলেকে অকাল প্রয়াত দীপক ভট্টাচার্যের দাদা তপন বাবুর বাড়িতে দেখেছি একটা গোটা ঘর, মানিদার কার্ডের পিছনে আঁকা ড্রইং দিয়ে ভরতি। যেমন কাকলির ঘরের দেওয়ার ভরে থাকে প্রজাপতিতে, তেমনই রঙের উৎসব, মানিদার সব ছবি জুড়ে। এই কার্ড মানিদা একদা এই কার্ড বিক্রি করতেন পাঁচ টাকা করে, পড়ে দাম বেড়ে হয় পঁচিশ। বলতেন, ফ্রি হবেনা, কেনা অভ্যাস কর। ঘণ্টা দুই লেকচারের পর সকলকে ব্যস্ত আছি ব্যস্ত আছি বলতে বলতে প্রদীপের বাড়ি, আমাদের যা হয় গান- ওল্ড মঙ্ক, রান্নাবান্না, হৈহল্লা, ঘরের বাইরে অস্থায়ী চুলায় মাংস পুড়ছে। প্রদীপ বলছে এইবার আমার করা রেডওয়াইনটাই ভাল হয়েছে, হোয়াইটটা নয়, খেলেই গ্যাস হয়ে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে কুয়াশা পড়ছে, এই বাড়ির পেছনের গেট খুলে দিলেই শালুকে ভরা কালোদিঘী, সুদীর্ঘ অতীতে জিজার হাত ধরে এই দীঘির পাড় ধরে ওড়া এখন মিথ, কালো জল আর কেয়া ঝোপ জানে, ছাই ঘাঁটলে পাপ কখনওই পড়ে থাকেনা, এইসব সর্বদা মনে পড়েনা, সব স্মৃতি শীতল হয়ে পড়ছে এই রাত্রির মত, গাড় ইংকের ড্রইং হয়ে এসে দাঁড়িয়েছে চারপাশে, গাছপালা মানুষ হয়ে। নিশ্চিত আজ অত জ্ঞান শোনার ফল। এই গার্জেনগিরিটাই অসহ্য, নন্দনের ডান হাতে ক্র্যাফট বিল্ডিং ঠিক দেখবে দেখবে সব নস্যাৎ করে জেগে থাকবে বহুবহু বছর, অন্ধকারেও, সেই সাদা কালো, ছাগল আর হনুমান আমায় ক্লান্ত করে দেয় অযথা। আমাদের আত্মহননের রাত কখনও শেষ হয় না। ক্রমাগত অন্য রাত্রিতে প্রবেশ করে। তখনও অনেকে এসে যোগ দিচ্ছে আমাদের তুরীয় আসরে। নতুন লোক এলে নতুন হাওয়া, গন্ধ, খবর বাতাসে ভাসে। শুনলাম মানিদা এখন ইলামবাজারের কাছে কোথাও ম্যুরাল করছেন, গৌতম ঘোষ এসেছেন শুটিং করতে, এই তো সেটা তার নব্বইতম জন্মদিনের রাত্রি।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৬ জুলাই ২০১৬ | ২১৫৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন