এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • স্বর্গীয়

    Nirmalya Sengupta লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৮৮৯ বার পঠিত
  • অবশেষে আমি মারা গেলাম। খুব একটা কষ্টটষ্ট পাইনি। সকালে চা খেতে খেতে পাঁচতলা ফ্ল্যাটের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে মোবাইলে গেম খেলছিলাম। হঠাৎ মোবাইলটা হাত থেকে ফসকে গেল। নতুন ফোন, কিছুদিন আগে একটা হারিয়েছিল। প্রচন্ড দাম এই ফোনগুলোর। আমার একটাই শখ, দামী মোবাইল ফোন ব্যবহার করা। এমনভাবে বারবার হাতছাড়া করা যায় নাকি। গেল, গেল করে ফোনের পিছন পিছন আমিও ধাওয়া দিলাম। ওমনি দেহটা কেমন পালকের মতন হয়ে গেল। আমিও পড়ছি, ফোনও পড়ছে। আমি কার্নিশে গোত্তা খাই, তো ও টেলিফোনের তারে, আমি পাইপ হাঁতড়াচ্ছি, ও তিনতলার টুসি বৌদির ব্রা ঝুলিয়েছে গায়ে, আমার সাতটা পাঁজর মটমট করে ভাঙ্গল লাস্ট কলিশনটাতে, ওর ডিসপ্লের হরিনাম কীর্তন হয়ে গেছে। অবশেষে দুজনেই ভূমিষ্ট হলাম। দ্বিতীয়বার এমন সজ্ঞানে হলাম। আমিও শেষ। ফোনও শেষ। শুধু ও কিছু ছড়ায়নি। আমি রাস্তাঘাট নোংরা করে একসা। একটা কাকিমা ভিরমি খেল। অদ্ভুত ব্যাপারটা হল আমি গ্যাস হয়ে গেলাম। হ্যাঁ, কেমন একটা গ্যাস গ্যাস বিষয়। ভূত কিনা জানিনা, কোনোদিন ওইসব সিনেমা দেখার সময় ছাড়া মানিনি। কিন্তু বিশ্বাস করুন মশাই, এই তো সামনের আশ্বিনে পাক্কা এক বছর হবে আমি মরেছি, এখনও সবকিছু ক্লিয়ার দেখতে পাই। খিদে পায়, তেষ্টা পায়, সেক্স পায়, কবিতা পায়, বাঙ্গালীর একটা দোষ গুনও বাদ না দিয়ে আমি দিব্যি মরে বেঁচে আছি।

    প্রথম প্রথম অবশ্য বেশ কষ্ট হয়েছিল। মরার আগে অনেকবার ভেবছি, ইস্‌স মরে গিয়ে যদি বাকিদের রিঅ্যাকশনগুলো দেখতে পেতাম, কী ভালই হত। কে কে আমাকে কতটা ভালবাসে জেনে নেওয়া যেত।মিথ্যে কথা বলবেননা মশাই, এরকম আপনিও বহুবার ভেবেছেন। এমন ভাবেনি কোনোদিন, এরকম মানুষ নেই। যাই হোক, সব থেকে বেশি জানার যেটা ইচ্ছে ছিল পাড়ায় কি হবে। আমাদের পাড়ায় কেউ মারা গেলে সেদিন খেলার মাঠ বন্ধ থাকে। একটু ফেমাস হলে তো আর কথাই নেই, তার মৃতদেহ নিয়ে রাখা হবে মাঠের মাঠের মাঝখানে। সবাই জড় হয়ে কান্নাকাটি করবে। পাড়া ফেটে পড়বে মাঠের চারিদিকে। সেখানে আমি মারা গেলে! আমি, গুড্ডু, যাকে পাড়ার কুকুর বেড়ালগুলো অবধি চেনে। এটা না দেখতে পারলে মাইরি স্বস্তি নেই।

    কিন্তু তেমন খুব একটা কিছু ঘটলনা। আমার মৃত্যুদিনের তিনদিনের মাথায় ছিল দুর্গা পুজা। সবাই কেনাকাটি করতে গেছে। মাঠের মাঝখানে আমায় নিয়ে যাওয়া হল বটে, কিন্তু ভীড় তেমন হলনা। আমার বন্ধুরা, তাদের মধ্যে একজন আবার গার্লফ্রেন্ডের সাথে বেড়িয়েছিল। আসতে পারেনি। আর কিছু কাকু কাকিমা, তারাও দুঃখ কম, কোন দাদার কোন পিসতুতোভাই ডিট্টো এইভাবে মারা গেছে সেই নিয়ে আলোচনা করছিলেন। মাঠ বন্ধ হল সেদিন। সবাই পাশের পাড়ায় ম্যাচ খেলতে গেল।

    বন্ধুরা ভীষণ দুঃখ পেল। একেবারে অনাথ হয়ে গেল বেচারারা। পরপর সাতদিন মদ খেল, কান্নাকাটি করল, যে বন্ধু প্রেমিকার সাথে ঘুরতে গেছিল তাকে শাপসাপান্ত করল। সেও একদিন কাঁদল। দু তিনজন বেশি মদ খেয়ে পেট খারাপ বাঁধাল। পুজোয় ঠাকুর দেখতে গেল।

    মা বাবার খুব খারাপ অবস্থা হয়েছিল। মুখে কিছু তুলতেই পারছিলনা বেচারারা। মা তো কেমন অজ্ঞানের মত হয়ে থাকল প্রথম কিছুদিন। অষ্টমীর দিন বাবা কতবার বলল “চল একটু পাড়ার ঠাকুরটা দেখে আসবে, ছেলে থাকলে তো মাথা খারাপ করে দিতে আমার। মা গেলনা। চুপচাপ শুয়ে রইল। খুব কষ্ট লাগছিল আমার। কিন্তু এই গ্যাস গ্যাস ভাবে তো আর মায়ের কাছে যাওয়া যায়না, তাই যেতে পারিনি। এতদিন পর মা একটু ঠিক হয়েছে। বাইরে বেরোচ্ছে। বাড়িতে লোকজন এলে কথা বলছে। টুকটাক হাসছেও। বাবা সেদিন রেস্টুর‍্যান্টে খেতে নিয়ে গেছিল। বিল দেওয়ার সময় মায়ের কি কান্না।
    আমার প্রেমিকারও অবস্থা খারাপ হয়ে গিয়েছিল। সেতো আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল গঙ্গায়। লোকে সন্দেহ করে তাড়িয়ে দেয়। এরপরও ছাদ থেকে ঝাঁপ, মেট্রোয় ঝাঁপ, সেঁকো বিষ, ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস, অনেক কিছু চেষ্টা করেছিল। গ্যাস না হলে টেনে চড় কষাতাম ওকে একটা। মন্দের ভাল একবারও সফল হতে পারেনি। কিছুবার ফলস্‌ খেয়েছে, কিছুবার ভয় পেয়েছে। সে সময় ওর কলেজের একটা ছেলে বন্ধু ওকে খুব সাহায্য করেছিল ওর পাশে থেকে। আগের মাসে ছেলেটা ওকে প্রপোজ করল। বন্ধুত্ব নষ্ট হতে হতে বাকি ছিল। পরশু ও ছেলেটাকে বলল “দ্যাখ ওকে আমি কোনোদিন ভুলতে পারবনা, আর আমাদের ছেলে হলে নামও ওর নামেই রাখব। ছেলেটা মেনে গেল। কতদিন মানবে জানিনা। আমার প্রাক্তন প্রেমিকাও প্রথম দিকে একটু মন খারাপ করেছিল। এখন আমার প্রসঙ্গ উঠলে “কুত্তারা এরকম ভাবেই মরে” বলে কাটিয়ে দেয়।

    এছাড়া আমার অফিস কলিগ, স্কুলের বন্ধুবান্ধব, লেখকবন্ধু এরাও খুব দুঃখ পায়। বেশ কয়েকটা কবিতা, অনুগল্প লেখা হয় আমাকে নিয়ে, ফেসবুকে, লিটল ম্যাগাজিনে। সেগুলো দেখে আমার বেশ ভাল লয়াগত। এই গ্যাসীয় অবস্থাটার জন্য আনন্দটা প্রকাশ করতে পারিনি। এ দুঃখ আমার সারা মরণ থেকে যাবে।

    তবে সবথেকে বেশি দুঃখটা আমি পেলাম কাল দুপুরে। দমদম রোড ধরে উড়ে বেড়াচ্ছিলাম। একটা কলেজের সামনে একটা ফ্লেক্স টাঙ্গানো দেখে থামলাম। একটা ছেলের ছবি, চোখে কালো সানগ্লাস, চুলগুলো খোঁচা খোঁচা। বাইকে বসে আছে। নীচে লেখা সংগ্রামী বন্ধু অমুক দলের সদস্য পিন্টুলাল সাউ এর অকাল প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বুঝলাম শ্রদ্ধেয় পিন্টুলাল সাউ বাইক অ্যাক্সিডেন্টে পরলোকপ্রাপ্ত বা গ্যাসপ্রাপ্ত হয়েছে। দুঃখটা সেখানে নয়, কে পিন্টুলাল সাউ মারা গেছে তাতে আমার কী। দুঃখটা লাগল এটা ভেবে যে কই, আমার মৃত্যুতে তো একটা ফ্লেক্স বানানো হলনা! এহ হে, রাজনীতিটাই যে করা হয়ে ওঠেনি আমার এই ভয়ানক ব্যস্ত জীবনে। কত্ত কিছু করেছি শুধু এই জিনিসটাই বাদ পড়ে গেছে! ফ্লেক্সই যদি টাঙ্গানো না হল আমার নামে তবে আর কী করলাম! সেই থেকে আমি কেমন ঝিমিয়ে পড়েছি। আমার গ্যাসীয় অবস্থাটা আর তেমন ঘন লাগছেনা। বোধহয় আমার মুক্তি হচ্ছে। মানুষ সাধ আহ্লাদ, মায়া, টান ইত্যাদির জন্য ভূত হয়ে থেকে যায়, আত্মাগুলো মাছির মত স্মৃতির মৃতদেহে ভনভন করে, আমি টিকে গেছিলাম খ্যাতির লোভে। সে দুঃখই আমার কাল হল। ডাক এসে গেছে। কিছুদিনের মধ্যেই বোধহয় আমাকে চলে যেতে হবে পর্দার ওপারে। তাই যাওয়ার আগে আপনাদেরকে সাবধান করে যাচ্ছি। মরার আগে এমন কিছু করে যান যাতে আপনার নামে ফ্লেক্স টাঙ্গানো হয়। নইলে দেখবেন এর থেকে বেশি দুলখ আর কিচ্ছুতে নেই। প্রেমিকার নতুন বয়ফ্রেন্ড হওয়ার থেকে বেশি দুঃখ, মাঠে খেলা বন্ধ না হওয়ার থেকে বেশি দুঃখ, সৃজিতের সিনেমা ফ্লপ করার থেকে বেশি দুঃখ। এখনও সময় আছে। আমি গ্যাস থেকে লিকুইড হচ্ছিবিজ্ঞান মেনে আবার হয়ত সলিড হব। আপনাকে কিন্তু গ্যাসে পাচ্ছে। তাই সাবধান।

    পুনশ্চঃ পিন্টুলাল সাউ অমর রহে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৩ মার্চ ২০১৬ | ১৮৮৯ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    আকুতি - Rashmita Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Nirmalya Sengupta | 37.63.155.150 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৬:২৬56064
  • অসাধারন।
  • সে | 198.155.168.109 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ০৯:০৫56065
  • হ্যাঁ। সন্তানশোক নিয়ে রসিকতাটুকু না করলেই ভাল হতো। যার যায়, সে ছাড়া আর কেউ বুঝবে না এর যন্ত্রণা।
  • মনোজ ভট্টাচার্য | 55.64.226.13 (*) | ১৩ মার্চ ২০১৬ ১০:৫৯56063
  • নির্মাল্যবাবু,

    লেখাটা বেশ ভালো হয়েছে - মানে উপভোগ্য হয়েছে ! সুস্বাদুও বলা যেতে পারে ! বন্ধু-বান্ধব-অফিশ কলিগ পাড়ার দুর্গা পুজা - সবই ঠিকই আছে !

    শুধু প্রাপ্তবয়স্ক সন্তান মারা গেলে - মা-বাবার যে ঠিক কতটা ধাক্কা লাগে - তা একেবারেই বেঠিক ! বিশেষ করে মায়ের ক্ষেত্রে - এ ধাক্কা যে কতখানি - - !

    তাই লেখা খুবই ভালো হওয়া সত্ত্বেও - অনুরোধ করছি - বাবা-মাকে এই রচনা থেকে বাইরে রাখলেই ভালো হয় !

    মনোজ
  • Nirmalya Sengupta | 55.126.160.226 (*) | ১৭ মার্চ ২০১৬ ১০:০৮56066
  • লেখকের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য, তার অনভূতিপ্রবন মন, হাসির লেখা হলেও, বাবা মার, সন্তানশোককে এভাবে যিে চিত্রায়ত করতে পারে, তার থেকে বেশী কিছু পাওয়ার নেই।
  • মাণিক্য | 113.52.253.168 (*) | ২২ মার্চ ২০১৬ ০৬:০৩56067
  • বেশ লেখা!!! অনবদ্য!!! প্রেমিকার জায়গাটায় আমি একটু খেই হারিয়ে ফেলেছিলাম!! সেটা সম্পূর্ণভাবেই আমার দোষ!!! বেশ ইউনিক(বাংলা মনে পড়লো না) এবং অনবদ্য লেখা!!! আরও পড়ার অপেক্ষায় রইলাম!!!
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন