এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • ডিমানিটাইজেশনঃ ধারাবিবরণী

    বাজে খবর লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ | ৯৫৬ বার পঠিত
  • প্রতিভা সরকার – ফেসবুক থেকে

    মা - কেন্দ্রিক গালাগালগুলি সব সময় যৌনগন্ধী হয়।ভারতব্যাপী সব ভাষাতেই। ফলে মাতা এবং মাতৃসমাদের প্রতি আমরা কত শ্রদ্ধালু সেটা সম্যক জানি বলেই হিরা বেন, মোদির মাকে লাইনে দাঁড়াতে দেখে ভালোই লাগলো। ছেলের কাজে সাহায্য করতে গিয়ে এত লোকের বাহবা পাচ্ছেন সেও বেশ ভালো কথা। ভক্তরা মোদী কত ন্যায় পরায়ণ সেটা বোঝানোর জন্য ঘন ঘন হীরা বেনের ছবি ব্যবহার করছেন। ভালো তো।

    কিন্তু তাতে তো আর lesser mortal দের হয়রানি মিথ্যে হয় না।

    এবারের লোক আদালতে এক বাবাকে দেখলাম যার কথা হীরা বেনের পাশাপাশি সবার জানা উচিৎ।

    গত শনিবার ন্যাশনাল লোক আদালতে বিচারকদের বেলা সাড়ে দশটায় যেতে বলা হয়েছিল। একটি কর্পোরেট ব্যাংকের ঋণ খেলাপি মেটাতে। বেলা দুটো অব্দি ব্যাংকের প্রতিনিধি কেউ আসেননি। দোষ তাদের নয়, কাজের অস্বাভাবিক চাপই দায়ী। 123 জন ঋণ খেলাপিকে ডাকা হয়েছিল এসেছিলেন সাতজন। বাকীদের মধ্যে বেশির ভাগই টাকা জোগাড়ে ব্যস্ত বলে জানিয়েছেন। আর এইরকমটাই স্বাভাবিক।

    কিন্তু মনে রাখতে হবে এটা ছিল ন্যাশনাল লোক আদালত। অন্য সময় যা জনারণ্যে পরিণত হয়।

    যারা বলছেন কিছুই হয়নি, সব স্বাভাবিক, তাদের জানাই আমাদের চোখে অস্বাভাবিকতা দেখার শেষ এখানেই নয়।
    সাতজনের মধ্যে সেটেলমেন্ট হলো কেবল চারজনের সঙ্গে। সেটেলমেন্টের সময় একটা টোকেন টাকা দেবার প্রথা রয়েছে। তারপর কটা ইনস্টলমেন্টে বাদবাকি টাকাটা মেটাবেন ঋণখেলাপিরা সেটা বিচারকদের বেঞ্চ ঠিক করে দেন।

    প্রসঙ্গত জানাই অনেক সময় যা পাওনা তার অর্ধেক অর্থেও সেটেলমেন্ট করে দেবার ক্ষমতা রাখে লোক আদালত। এবং সেই রায় ভবিষ্যতে ভারতবর্ষের কোন কোর্টেই আর চ্যালেঞ্জ করা যাবে না।

    সেদিন ওই চারজনের কেউই টোকেন অর্থ জমা দিতে পারলেন না, কারণ নোট বাতিল।

    ওই চারজনের একজন ছিলেন আজমেড় সিং। সত্তরোর্ধ বাস চালক। টোকেন অর্থ হিসেবে তিনি বিবর্ণ ইউনিফর্মের পকেট হাতড়ে বার করছিলেন পুরোন পঞ্চাশ, বিশ, দশ টাকার নোট। খুচরো পয়সা।

    বেঞ্চ মকুব করতে চাইলেও তিনি নাছোড়। আর চোখ দিয়ে অবিরল জলের ধারা।

    ব্যাংকের লোকেদের কাছে জানা গেল প্রায় তের লক্ষ টাকা ধার করে উনি একটি বাস কিনেছিলেন। একমাত্র ছেলে সেটা চালাতো। এগার লক্ষ টাকা নিয়মিত ভাবে শোধ করে গেছেন। হঠাৎ তিনমাস আগে জোয়ান ছেলেটি ঋণের বোঝা নামিয়ে এক্সিডেন্টে মারা যায়। ইন্সটলমেন্ট বাকি পড়তে ব্যাংক চিঠি দেয়। নোট বিপর্যয়ে বিপর্যস্ত আজমেড় কুড়িয়ে বাড়িয়ে যা পেয়েছেন তাই নিয়ে এসেছেন। এবং সেটা না দিলে ওর ছেলের আত্মা শান্তি পাবে না এইই ওর ধারণা।

    অনেক বুঝিয়ে জাজদের বেঞ্চ ওকে শান্ত করে বাড়ি পাঠাতে পারে। যাবার আগে ছেলের ডেথ সার্টিফিকেট দেখাতে চেয়েছিলেন। আমরা কেউ সেটার দিকে তাকাতে পারিনি।

    সৎ গরীব দুঃখী ভারতবাসীর কাছ থেকে কর্পোরেট ঋণ খেলাপিরা কিছু শেখে না কেন ! জনদরদী শাসক এদের ছাড় দেয় না, দিলেও দু পয়সা, অনেক দর কষাকষির পর।

    এরা দাঁড়িয়ে আছেন বিজয় মলিয়া, ললিত মোদীদের ঠিক উল্টোদিকে। আর এদের দুঃখের শরিক হবার চেষ্টামাত্রেই কত বিদ্রূপ আর টিটকিরি ডেকে আনা।

    যারা হীরা বেনের ছবি দেখে আপ্লুত হবেন, তারা দয়া করে শোকসন্তপ্ত আজমেড় সিং এর ছবিটার দিকেও একবার তাকাবেন। পাবলিসিটি স্টান্ট আর গভীর সততার মধ্যে ফারাকটাও স্পষ্ট হবে।

    =============================================================

    নীলাঞ্জন সায়েদ

    সবিতা বলে একটি মেয়ে ছিল।সে আজ বিকেল বেলায় বিষ খেয়েছে।ডাক্তার বাবু বলেছেন ,'সিরিয়াস অবস্থা।ইমিডিয়েট ট্রান্সফার করতে হবে বহরমপুর।'

    সবিতার মার অসহায় অবস্থা ।তিনি কাঁদছেন।অনেক টাকা লাগবে। টাকাও রয়েছে,কিন্তু সবই অচল টাকা।

    সবিতার মা দিশেহারা,তিনি কি করবেন ভেবে পাচ্ছেন না।

    সরকার নির্দেশ দিয়েছেন হাসপাতাল ,ওষুধের দোকান সর্বত্র চলবে এই অচল টাকা।

    বাস্তব বলছে অন্য কথা।কেউই পাঁচশো হাজার টাকা নিতে চাইছে না।নিলেও খুচরো কে করে দেবে? প্রত্যেকের অবস্থা তথৈবচ।

    আমরা জানি না এই সবিতার মা এত সব ভাবছেন কিনা।এটাও জানি না তিনি আতংকিত কিনা।

    'মোদি শালা ,পরের পোলা
    দুঃখ বোঝেনা।
    আমার ভাল লাগে না.....'

    এই ছড়া গানটি এখন গ্রামের প্রত্যেক টি ছেলের মুখে মুখে ফিরছে।তারা নাকি এটা ইউ টিউব থেকে পেয়েছে।
    হয়তো গ্রামের সাধারণ মানুষের মনের কথা এই গানে প্রকাশ পেয়েছে ,তাই এত মুখে মুখে ফিরছে।

    আসলে পাঁচশো হাজার টাকায় গেরোয় আমাদের এলাকা হাঁসফাঁস করছে।প্রতিটা মানুষের কপালে চিন্তার ভ্রুকুটি।কাল কি ভাবে যাবে দিন ,এই ভেবে অস্থির।

    তমাল কুনাই আমাদের বাড়িতে কাজ করছে।ওর দৈনিক মজুরি আড়াইশো টাকা।সেই টাকা দিতে আমি অপারগ হয়েছি।ওর সঙ্গিকেও দিতে পারিনি।

    ওরা হাসি মুখে মেনে নিয়েছে।

    কিন্তু ও কিন্তু ভাল নেই।ওর স্ত্রীর সাথে নিত্য ঝামেলা হচ্ছে। চাল ডাল নুন তেল আনতে ও হিমসিম খাচ্ছে।ওকে ধার করতে হচ্ছে।ধারের পাহাড় জমছে।

    অথচ আমাকে কোন চাপ দেয়নি।এই মহানুভবতা অন্যদের কাছে পাওয়া যায়না।

    এখানকার সমস্ত দোকানে বিক্রি কমেছে।একথা দোকানদাররাই বলছেন।মহাজন পাঁচশো হাজার টাকা নিচ্ছে না।বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।

    আবার এখানে হাজার টাকা পাঁচশো টাকা নেওয়া হচ্ছে একশো পঞ্চাশ কম দিয়ে।এটাও তো কালো বাজারি।

    সাদিক সেখ একজন রাজ মিস্ত্রি।তার তিন দিন কাজ নেই।জমানো টাকা থেকে তাদের সংসার চলছে।

    ব্যাংকে বিশাল লাইন ।কারও কারও হাতে দশ টা করে পাস বুক।টাকা জমা হয়ে চলেছে।

    ব্যাঙ্কের ম্যানেজার জানালেন ,'কবে টাকা পাওয়া যাবে সে ব্যাপারে কিছুই বলা সম্ভব নয়।আমাদের কাছে কোন খবর নেই।'
    এমন খবরে খবর মানুষের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে গেছে।

    তমাল কুনাই আমাকে অনুরোধ করেছে ,'দাওনা কিছু লিখে,সেটা নিয়ে যদি ধার টার পাওয়া যায়।'

    কৃষ্ণ কুনাই মাটি কাটার কাজ করে।সে সকাল থেকে সব্দর আলীর বাগানে মাটি কুপিয়েছে। কিন্তু শব্দর আলী দেবে কি, তারও হাতে পাঁচশো হাজার টাকার নোট।

    কৃষ্ণ বলে ,'মাফ কর ভাই,আমাকে যেন তেন ভাবে টাকা দিতেই হবে।নাহলে আজ না খেয়ে থাকতে হবে।'

    সব্দর আলীর বৌ স্বামী কে বলে,'যেখান থেকে পার টাকা এনে দাও ওকে ।বেচারার দারুণ খারাপ অবস্থা।'

    সব্দর টাকা ধার করে কৃষ্ণর টাকা মেটায়।

    গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে সর্বত্র একই অবস্থা।এখানকার অর্থনৈতিক অবস্থা ধুঁকছে।

    তমালই আমাকে জানাল,বহরমপুরে নিমতলা শ্মশানে মৃতদেহ পোড়াতে অস্বীকার করেছে ,যেহেতু মৃতের পরিবারের কাছে ছিল অচল টাকা।

    মৃতের পরিবারের সে কি হাও হাও করে কান্না।

    এত অসুবিধে দেখা দেওয়া সত্বেও সাধারণ মানুষের মুখের হাসি কেড়ে নিতে পারেনি।

    তারা আশা করছে এ দুর্যোগ নিশ্চয় কেটে যাবে।সেই আশাকে সম্বল করে তারা দিন গুনছে..

    =============================================================

    De - ৯ নভেম্বর সাইটে লিখেছেনঃ

    সব ব্যাংক গুলোর সামনে উপচে পড়া ভিড় - চেঁচামেচি-ঠেলাঠেলি-হইহট্টগোল - কেয়সের চুড়ান্ত-

    আসার পথে যেকটা ব্যাংক দেখলাম, একই অবস্থা সবজায়গায় - আজ টাকা এক্সচেঞ্জ করতে যাওয়ার কোন প্রশ্নই নেই - লোকজন এতো বেশী পরিমাণে প্যানিকড হয়েছে, ভাবা যায়্না!

    অটোরিক্সাআলা, বাইয়ের কাজ করা মহিলারা এবং খেটে খাওয়া অন্যান্য মানুষদেরই বেশী আতঙ্কিত লাগছে - এঁরা ব্যাপারটা নিয়ে পুরো কনফিউজড - কেউ বোঝানোরও নেই এঁদের। এনাদের তো আর কালো টাকার ভয় নেই!

    কাল আমার এক সহকর্মী, সাউথ বম্বেতে থাকেন, বলছিলেন যে ঐ পাঁচশোতে তিনশো, হাজারে সাতশোতে অনেক ওয়ার্কিং ক্লাসের সাধারণ মানুষও টাকা বেচেছে। এঁরা মোটেও কালো টাকার ভয়ে এসব করেন্নি!

    =============================================================

    দেবমিতা মুখার্জি

    বুঝলাম, অত্যন্ত সাহসী সিদ্ধান্ত শিরদাঁড়া ইত্যাদি প্রভৃতি। একটু বাস্তবের মাটিতে ফেরা যাক। গতকাল রবিবার যাবতীয় ছুটি আমেজ আমোদ আহ্লাদ বর্জন করে, চেক হাতে লাইন দিয়েছিলাম। দিনান্তে হাতে কড়কড়ে পাঁচটি হাজার টাকা। জীবন ফেয়ারি টেল প্রায়। কিন্তু গপ্পে টুইস্ট টি হলো ডিনমিনেশনে। দুইখান দুহাজারি ও দশটি একশো। মিত্রোঁ গপ্পো আমার এখানেই শেষ নয়, আপনাদিগের ধৈরজ যেন না টুটে। বিকেলে কেবল টিভির টাকা নিতে এল এক মক্কেল। সাড়ে তিনশো টাকা, তিনটে একশো আর বাড়িতে পড়ে থাকা দশ কুড়িটাকা দিয়ে মেটালাম। আজ সকালের বাজার দোকানে খরচ করে ফেললাম আরো তিনটি একশোর নোট। বাড়ির টাকা বলতে এখন দুটি দুহাজার এবং চারটি একশো। আর ছোট নোট কয়েন মিলিয়ে গোটা তিরিশ টাকার মতো। আজ্ঞে না আসল সমস্যার কথাটা এখনও বলা হয়নি। আসছে বুধবার পরশুদিন আমার সত্তরোর্ধ্ব মায়ের ডাক্তার দেখানোর দিন। পূর্ব কলকাতার একটি পলিক্লিনিকে বসেন ডাক্তারবাবু। নিজেই অ্যাপোয়েন্টমেন্ট নেন এবং টাকাও.. নাম আগেই লেখানো ছিল। কনফার্ম করার জন্যে ফোন করতেই বোমাটা তিনি ফাটালেন। বল্লেন পাঁচশো খুচরো এনো, পনেরটা একশো ফেরত দিতে পারবনা কিন্তু। আমি বল্লাম স্যার পুরোন পাঁচশো ফেরত দিলেও হবে। উনি বল্লেন, পুরোন নোট সব ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হয়ে গেছে। তুমি বুধবারের নামটা কাটিয়ে শুক্রবার সন্ধ্যে বেলার জন্যে লিখিয়ে নাও। তার মধ্যে আশাকরি তুমি বা আমি কেউ একজন খুচরো অ্যারেঞ্জ করে ফেলতে পারব। মোদীর ভায়েরা অনুগ্রহ করে আমাকে জানান আমার এবং মায়ের এই ইনকনভিনিয়েন্সের ক্ষতিপূরণের জন্যে কার কাছে দরবার করা উচিত।
    পুনশ্চঃ আপনাদের আই কিউ আমার জানা, তাই আপনাদের সম্ভাব্য কাউন্টার এবং তার উত্তর গুলো দিয়ে রাখছি।
    ১) সরকারি হাসপাতালের আউটডোরে দেখান।
    উঃ বেশীক্ষণ বশে অপেক্ষা করার মতো স্বাস্থ্য কণ্ডিশন মায়ের নেই।
    ২) এতই যদি অসুস্থ অ্যাডমিট করেদিন হসপিটালে।
    উঃ অ্যাডমিট হবার মতো অসুস্থ এবং টিকিট কেটে ঘন্টাখানেক অপেক্ষা করার অপারগতার মধ্যে পার্থক্য আছে নিশ্চয়ই।
    ৩) ডাক্তারকে পেটিএম এ ফ্রীচার্জে টাকা পাঠান।
    উঃ ডাক্তার বাবু প্রৌঢ়, তেমন টেক স্যাভি নন। অফার করেছিলাম, গাঁইগুঁই করে শেষমেষ বললেন, তার চেয়ে শুক্রবারই এসো।
    উত্তরে আশায় রইলাম,


    --দীপংকর পাত্র

    বাজার যা হোক একটু হলো। মন ভরল না। দরদাম করা গেল না। বাছাবাছি করা গেল না। করবেন কি করে? যারা বসেছে শাকসবজি নিয়ে তাদের সবার মুখে এক কথা। বড়লোক দের ধরতে গিয়ে এ কি কল করেছে সরকার! আড়তদার, দালাল তারা তো সব পার্টির লোক। কালো টাকার কারবারি তো তারা। সরকার চাইলেও কি তাদের কিছু করতে পারবে। দুদিন বাদেই তারা আবার এই যা ক্ষতি হচ্ছে তা পুষিয়ে নেবে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে। জিনিষপত্রের দাম আগুন হবে। মরবে খুচরো ব্যাপারি আর সাধারণ ক্রেতা। জীবন বাবু চিন্তিত মুখে বেরলেন বাজার থেকে। সামনেই রাস্তার ধারে বেশ কিছু মানুষের জটলা। স্টেট ব্যাংকের এ টি এম। কি হয়েছে বোঝার জন্য উনি দাঁড়ালেন একটু। খুব উত্তেজিত সবাই। এই মাত্র নাকি টাকা শেষ হয়ে গেছে। অনেকে রাত থাকতে লাইন দিয়েছিল। এত ঘন্টা দাঁড়িয়ে ছিল সব, তাও মাত্র দুহাজার টাকা তুলতে পারত। সে আশাও আর নেই। সুরক্ষা কর্মী যিনি আছেন, তার উপর মেজাজ দেখাচ্ছিলেন এক বয়স্ক মহিলা। ঘরে একটা টাকাও নেই। যা আছে, সব অচল টাকা। পাশে তাঁর মেয়ে, মাকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। সুরক্ষা কর্মীর উপর রাগ দেখিয়ে কি হবে? একজন ফুট কাটল, মাসিমার কালো টাকা ধরা পড়েছে এবার। মহিলা হতভম্বের মত চেয়ে রইলেন। বললেন, স্কুলে মাস্টারি থেকে রিটায়ার করেছি ভাই, গেল বছর। পেনসনের টাকা কটা সম্বল। মেয়ের কলেজ যাওয়াআসা, বাজারঘাট, কাজের লোকের মাইনে - সব এই থেকে। কালো টাকা আমাকে চেনাতে এসো না। মেয়ে থামাচ্ছে মা কে। চলে এসো, ওসব ফালতু কথায় কান দিওনা। মা বললেন, যাব টা কোথায়। একটা এ টি এমেও তো টাকা নেই। সব কটা দেখতে দেখতে আসছি। সব বন্ধ। এই না কি দুদিনে সব ঠিক হয়ে যাবে। এ কেমন ধারা কাজের ছিরি! আগে থেকে তৈরি হওয়া নেই, ব্যাবস্থা নেওয়া নেই, ঘোষণা করে দিলি সব ৫০০-১০০০ অচল। আরে, যাদের ধরার কথা তাদের ধরতে গেলে কি নোট অচল করতে হয়? না কি তারা সব বাড়িতে নোটের বান্ডিল নিয়ে বসে আছে!

    জীবন বাবু মাথা নাড়তে নাড়তে এগোলেন। কিছুদূর এগোতেই আবার ভীড়। রাস্তার দুধারে দুটি ব্যাংক। একদিকে স্টেট ব্যাংক, অন্যদিকে একটি বেসরকারি ব্যাংক। আজ রবিবারেও বিশাল লাইন মানুষের। ঘড়ি দেখলেন, নটা বাজে। দশটায় ব্যাংক খুলবে। ইতিমধ্যেই দুই দিক মিলিয়ে হাজার খানেক মানুষের লাইন। অনেকেই রাস্তার ধারে দোকানগুলির সিঁড়িতে বসে। সব বয়সের, সব রকম মানুষের ভীড়। কদিন ধরেই এরকম চলছে। অফিসে সব কাজকম্মো মাথায় উঠেছে। কাউকে সীটে পাওয়া যাচ্ছে না। এসেই সব ব্যাংকে লাইন দিতে ছুটছে। অফিস পাড়ার ব্যাংকে ব্যাংকে লম্বা লাইন। অফিসার থেকে আর্দালি - সবার এক অবস্থা। সেদিন জীবন বাবু এক আশ্চর্য কথা শুনলেন অফিসেরই একজনের কাছ থেকে। সে নাকি শেয়ার ট্যাক্সিতে ফিরছিল হাওড়া স্টেশন। দুই অবাঙালী ছিল সহযাত্রী। সারাটা পথা তারা নিজেদের মধ্যে আর মোবাইল ফোনে বকতে বকতে গেছে। ক্যাশ টাকার দরকার। ফোনে যোগাযোগ করছিল যাদের সাথে, তারা নাকি আগে ২ শতাংশ কমিশনে টাকার জোগাড় করে দিত। এখন ২০ শতাংশের কমে করছে না সেই কাজ। এই অবাঙালী লোকদুটির বাড়িতেও নাকি লাখ পাঁচেক টাকা পড়ে আছে, সব ১০০০ এর নোট। সেগুলো ভাঙিয়ে দেওয়ার জন্যেও কমিশন নিয়ে দরকষাকষি চলছিল। কোন ব্যাংকের ম্যানেজার নাকি বেশি কমিশনেও এখন সাহায্য করছে না। তার জন্য কোন রাজনৈতিক দাদা কে ধরে কি দাওয়াই দিতে হবে সে সব আলোচনা। এসবের মাঝেই হাওড়া স্টেশন এসে যেতে সহকর্মী টি নেমে যায়। জীবন বাবু খুব অবাক হয়ে গেছিলেন শুনে। এরা সব কারা? এই এত টাকা কমিশন নিয়ে ভাঙিয়ে দিচ্ছে, নতুন টাকা জোগাড় করে দিচ্ছে, এরাই বা কারা? কি সব হাওয়ালা টাওয়ালা শোনা যায়, এ কি সেই? কে জানে? কেমন একটা অদ্ভূত লাগে জীবন বাবুর এসব ভাবলে। সারাটা জীবন হিসেব করে চলেছেন। এসব কমিশন দিয়ে টাকা জোগাড়ের ব্যাপার তার এই হিসেবের মধ্যেই নেই।
    --দীপংকর পাত্র (আগের লেখাটিই কন্টিনিউড হয়েছে)

    ব্যাংকের লাইনে রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে ছিলেন অবনীশ ঘোষ। জীবন বাবুর পরিচিত, দুটো বাড়ি পরেই থাকেন। অবনীশ বাবু কলেজে পড়াতেন। রিটায়ার করেছেন আজ বছর পাঁচেক। একটি ছেলে বিদেশে, সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার। মেয়ে টি অনেক ছোট। এখনও পড়া শেষ হয়নি। ব্যাঙ্গালোরে না কোথায় যেন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে, হোস্টেলে থাকে। অবনীশ বাবুর হাতে বাজারের থলি। টাকা তুলে তারপর বাজার যাবেন না কি? জীবন বাবুকে দেখে হাসলেন অবনীশ।
    -কি, বাজার হয়ে গেল?
    -ওই আর কি। তা আপনি কি টাকা তুলে তারপর বাজার যাবেন?
    -তা ছাড়া উপায় কি? যে কটা খুচরো টাকা আছে, খরচা করতে ভয় হচ্ছে। তার উপর আবার কাজের বউ হুমকি দিয়ে গেছে। এই দুদিন আগেই তাকে পাঁচশ টাকার নোটে মাইনে দিলাম। কাল এসে বলেছে আমরা নাকি ওকে কালো টাকা দিয়েছি। পুলিশ ধরবে। টাকা ফেরত দিয়ে বলেছে একশ টাকার নোট ছাড়া সে নেবে না।
    -সে আবার কি? বুঝিয়ে বললেন না কেন? ব্যাংকে গেলেই তো পালটে দেবে।
    -আরে, সব চেষ্টাই করেছি। কিন্তু ভবি ভুলবার নয়। এদিকে বাড়িতে গিন্নি তো শুনে অবধি প্রেসার উঠে শয্যাশায়ী। কাজের বউ যদি হাতছাড়া হয়ে যায় কালোটাকার জন্যে, তবে আমাকে দিয়ে করাবে ঘর মোছা থেকে বাসন ধোয়া, বলে দিয়েছে। তাই, আর কি করি। বাড়ি তে আজ চা টুকুও খাইনি। রেগেমেগে বেরিয়ে এসেছি কালো টাকা সাদা না করে ফিরবো না- এই বলে।

    অবনীশ কে কালো টাকা সাদা করার লাইনে রেখে আবার এগোলেন জীবন বাবু। মনে মনে বাবা কে ধন্যবাদ দিচ্ছেন। সেই যে বাবা শিখিয়ে গেছেন হিসেব করে চলবি, তার সুফল তিনি আজকে পাচ্ছেন। ৫০০ টাকার নোট তাঁর দুচক্ষের বিষ। কোন হিসেবই করা যায় না ও দিয়ে। নিয়ে বেরোলে পুরোটাই খরচা হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বেহিসাবী খরচা জীবন একেবারে বরদাস্ত করতে পারেন না।

    বাড়িতে ঢুকতেই মেয়ে বললো, পিসী ফোন করেছিল। জীবন একটু অবাক হলেন। দিদি আবার ফোন করেছিল কেন? সাধারণত তিনিই ফোন করেন দিদিকে। দিদি বয়সে অনেকটাই বড়। ছোটবেলায় মা কে হারিয়েছিলেন জীবন বাবু। দিদিই মানুষ করেছিল কোলেপিঠে। জামাইবাবু চাকরি করতেন বীমা কম্পানিতে। রিটায়ার করে এখন মেদিনীপুরে নিজের পৈত্রিক বাড়িতে থাকেন। বছর খানেক আগে সেরিব্রাল আ্যটাক হলো। তার পর থেকে শয্যাশায়ী। বাড়িতে আয়া রাখা সারা দিনের জন্যা। দিদি নিজেও অসুস্থ। তাই আয়াকেই করাতে হয় জামাইবাবুর সব কাজ - খাওয়ানো, চান করানো, পেচ্ছাব-পায়খানা। দিদি র দুটিই মেয়ে। এক মেয়ে মুম্বাইতে, অন্যটি আলিপুরদুয়ার। তাদের পক্ষে সম্ভবই হয়না এসে বাবা-মা'র খোঁজখবর করা। ছোট মেয়ে তাও বলেছিল, বাবা-মা কে নিজের কাছে নিয়ে রাখবে। ওদের ওখানে অনেক জমিজমা আছে। আলাদা ঘরের ব্যাবস্থা করে দেবে। দিদি রাজী হয়নি। মেয়ের বোঝা হয়ে না কি থাকবে না। আসলে নিজের বাড়ির স্বাধীন জীবন ছেড়ে কেই বা আর যেতে চায় মেয়ের কাছে।

    দিদি কে ফোন করলেন জীবন বাবু।
    - কি খবর? জামাইবাবু কেমন আছে?
    -ওই তো, এর আবার থাকা কি?
    -ফোন করেছিলে?
    - হ্যাঁ রে ভাই। খুব মুশকিল হয়ে গেছে। রত্না আসছেনা কাল থেকে।
    -রত্না, মানে ওই আয়া?
    -হ্যাঁ। ফোন করে বললো এখন কদিন আসতে পারবে না। প্রতি সপ্তাহে টাকা দিতে হয় ওকে। এই সপ্তাহের টাকা দিলাম। সব তো পাঁচশ টাকার নোট। নিতেই চাইছিল না। অনেক বলা-কওয়ার পরে নিল। এখন ফোন করে বলছে সে নাকি টাকা ভাঙানোর লাইনে দাঁড়িয়েছিল কাল সারাদিন ধরে। দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কোমর ব্যাথা হয়ে সে শয্যাশায়ী। এখন বলছে, টাকা ভাঙিয়ে রাখ। নইলে আমি আর পাঁচশ টাকার নোট নেবো না, কাজও করবো না। এদিকে ঘরে তো আর কিছুই নেই। বাজারঘাট করার মতো খুচরো টাকাও নেই।
    - কেন, এত সব চেনা দোকান, কেউ বাকি তে কিছু দিচ্ছে না?
    - আরে, কি যে বলিস? কদিন বাকি তে দেবে? সবজিওলা বাকি তে দেবে, না মাছওলা বাকি তে দেবে? যে মাছ দিতে আসে, তার সাথে সকালে ঝগড়া হয়ে গেল। বলে মাছ কোটার আগে বলেন নি কেন, পাঁচশ টাকার নোট? যাচ্ছেতাই করে কথা শুনিয়ে গেল।
    বলতে বলতে ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল দিদি।
    -তুই দ্যাখ ভাই। আমি তো কিছু ভাবতেই পারছি না।
    -ঠিক আছে। তুমি শান্ত হও। তোমার প্রেশারের ওষুধ, সুগারের ওষুধ, জামাইবাবুর ওষুধ - এসব আছে তো? অবশ্য ওষুধের দোকানে তো পুরনো নোট নেবে।
    -আরে বাবা, ওষুধ সব আছে। কিন্তু ওষুধ খেয়ে কি পেট ভরবে? আর তাছাড়া, আমি জানিও না, কখন কি ওষুধ খাওয়ার। রত্নাই তো দিত।
    -ঠিক আছে, দেখছি আমি, কি করা যায়। তুমি রাখ। চিন্তা করো না। কিছু একটা ব্যাবস্থা করছি।

    জীবন বাবু ভাবতে বসেন। কি ব্যাবস্থা করবেন তিনি। আপাতত যেটা দরকার দিদির, তা হল বেশ অনেক খুচরো টাকা। কিন্তু তিনি তো হিসেবের বাইরে টাকা ঘরে রেখেন না। ব্যাংকে সেভিংস আ্যকাউন্টে খুব বেশি টাকা নেই। যা আছে, তা থেকে হাজার দশেক তোলা যায়। তার বেশি তো তুলতেও দেবে না। কিন্তু এখন যদি তিনি লাইনে দাঁড়ান, কখন টাকা পাবেন? তার ওপরে শুনেছেন আজ সকালেই, ব্যাংকের টাকাও নাকি শেষ হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন সময়ের আগেই। আবার টাকা কম থাকলে তখন কম টাকা দিচ্ছে। কি করবেন জীবন বাবু? হিসেব টা ঠিক মিলছে না যেন।
    --সায়ন্তন সরকার

    গল্পটা লিখে লাভ নেই তবু বলি। লাস্ট ৬-৭ দিন ধরে আমি সমস্ত বিক্রি বাট্টা চেক বা RTGS/NEFT তেই করার চেষ্টা করছি। ফেসবুকের বিরাট শাইনিং সম্প্রদায় বিস্তর চোদাচ্ছে যে এবার সকলকে প্লাস্টিক মানি ব্যবহার করতে হবে বা চেকে পেমেন্ট করতে হবে। ইন ফ্যাক্ট আমাদের অর্থমন্ত্রীও এই উপদেশ দিয়েছেন। এবার গত সাতদিন আমি যা যা দেখলাম সেগুলো এক এক করে লিখি।

    ১. শতকরা ৯ জনের কাছে চেক ফ্যাসিলিটি রয়েছে। (আমার কাস্টমার বেসকেই স্যাম্পল হিসাবে নিলাম)
    ২. বাকী সকলেই উইথড্রল স্লিপ দিয়ে টাকা ওঠায়। অতএব NEFT করার সুযোগ এমনিতেই কমে গেল যেহেতু সব ব্যাংক উইথড্রল স্লিপের মাধ্যমে NEFT করেনা।
    ৩. বেশ কিছু লোকের আবার জিরো ব্যালেন্স একাউন্ট। ব্যাংকের সার্কুলার রয়েছে যে জিরো ব্যালেন্স একাউন্ট থেকে RTGS/NEFT হবেনা। কেন হবেনা ভগবান জানে।
    ৪. যাদের চেক আছে তাদের কেউ কোনদিন RTGS/NEFT ফর্ম চোখে দেখেনি। কী হয়, কিভাবে ফর্ম ভরতে হয় সেই সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই। অতএব সবকটা ফর্ম আমাকে ভরে দিতে হচ্ছে। তারপরও কেউ কেউ NEFT করতে পারছেনা কারণ যেখানে remitter-এর ইনফোগুলো দিতে হয় সেগুলো ফাঁকা রেখে জমা দিয়ে দিয়েছে বা সই করেনি। যদিও গুরুতর ভুল নয় কিন্তু এই বাজারে ব্যাংক জাস্ট "না" বলে দিতে পারলেই বাঁচে।
    ৫. যেসব ব্যাংকে উইথড্রল স্লিপ দিয়ে NEFT হয় সেখানেও এই একই সমস্যা। NEFT নিয়ে কোন আইডিয়া নেই।
    ৬. NEFT করার সুযোগ থাকলে চেক ডিপোজিটে যেতে চাইনা কারণ চেক ক্লিয়ারেন্সে সময় লাগে। তবুও অনেকক্ষেত্রে ডিরেক্টলি চেক জমা নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেরকম কিছু চেক আজ প্রায় ৭ দিন হল ব্যাংকে পড়ে আছে। এনক্যাশ করছেনা সময়ের অভাবে। আমি ব্যবসা করি ব্যাংক লোনে। এরকমভাবে যদি টাকা আটকে থাকে তাহলে কতগুলো টাকা ইন্টারেস্ট গুনতে হয়?

    শুরুরদিন যখন বলেছিলাম যে ভারতের জনতার ফিনান্সিয়াল লিটারেসি ডিসমাল লেভেলের তখন নোটব্যানপন্থীরা মানতে চায়নি। যুক্তি দিয়েছিল এভাবেই সবাই শিখবে। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উদ্যোগ নিয়েও বিশেষ কিছু ছিঁড়তে পেরেছি বলে মনে হয়না। ব্যবসায়ী হলেও এখনো নিজেকে রুরাল ডেভেলপমেন্ট প্রফেশনাল বলেই মনে হয়। নিজের ক্যাপাসিটির উপরই আর ভরসা পাচ্ছিনা এখন।

    - তাপস দাস

    ১১ নভেম্বর।

    পকেটে একটা ৫০০ র নোট ও কিছু খুচরো। সেদিন সন্ধে থেকে এই অবস্থাতেই ছিলাম। কোনমতে অফিস যাওয়ার পয়সা হয়ে যায়। সিগারেটের দোকান থেকে ধারে সিগারেট নিচ্ছি। আজ সকাল থেকে বিপদ গাঢ় হয়। চাল ফুরিয়ে যায়। দুকিলো চালের পয়সা জোগাড় ছিল। এরপর অটোয় উঠে বুঝতে পারি একটা একশো আর সেই জল অচল পাঁচশ ছাড়া আর কিছু নেই। ফেজটুপি আর চশমা সমন্বিত অদ্ভুত লুকের অথচ সৌম্য তরুণ অটোচালককে সিচুয়েশন বলি, নেমে যাব কিনা জিজ্ঞাসা করি। সে স্মিত হেসে জানায়, হয়ে যাবে। রাস্তায় সব এটিএম শাটার নামানো। অফিসের সামনেও তাই। বিকেলে চা খেতে বেরিয়ে ফের এটিএম ঢুঁ মারি। ন্যাহ, তারা কাউকেই প্রশ্রয় দেবে না। আবার ধারে সিগারেট কিনি। রাতে অফিস থেকে বেরিয়ে আবার এটিএম গুলো দেখি। একটা এস বি আই খোলা। বাড়ির কাছে। সে টাকা দিতে অস্বীকৃত। সাড়ে ৯টা বেজে গেছে। তবু কী মনে করে বাজারে ঢুকি। আসগর সব্জিদোকানী ঝাঁপ ফেলেই দিয়েছিল। আমাকে ঘুর ঘুর করতে দেখে আলো জ্বালায়। ডাকে। আমি বলি, মালকড়ি নাই। সে বলে, ধারে নেন। আমি আমতা আমতা করি, সে ততক্ষণে মাল মাপতে শুরু করে, জানে আমি পেঁপে ও পটল নেবই। মাপামাপি ও নেওয়ানিয়ি শেষ হলে, হিসেব হয়। আমি তাকে বলি, পুরনো ৫০০ নেবে? সে বলে, নিতে পারি, আর নইলে আপনি ভাঙিয়ে পুরো নিয়ে যান। টাকা তো দরকার। এই আর কী!

    ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া জেতেনি ভদ্রমহোদয় ও মহোদয়াগণ। যে জিতে আছে, যা জিতে আছে, তাকে সাবলটার্ন, সর্বহারা, সম্প্রীতি, আদি ও অকৃত্রিম ভারতবর্ষ, যে নামে খুশি ডাকুন। গোলাপই তো। না, ডিজিট্যাল ইন্ডিয়া জেতেনি।

    ৫ ডিসেম্বর

    কাল মোদি ছোট্ট একটা লড়াই জিতছেন। মোদি বা আম্বানি-আদানিরা। কাল আমি ওলায় চড়ে শপিং মলে সবজি বাজার করতে যাব। বাধ্যত। বাড়িতে সব মিলিয়ে ১২০টাকা ক্যাশ আছে। গতকাল মা কে নিয়ে ব্যাংক গেছিলাম। ফেরার সময় নগদাভাবে ওলা মানি অ্যাক্টিভেট করেছি। গতকাল আর আগামিকালের ফারাক ক্রমশ কমছে না বাড়ছে, ঠিক ঠাহর করতে পারছি না। পাড়ার যে দোকানির কাছ থেকে সবজি কিনতে অভ্যস্ত, সেই ভদ্রলোকটির কাছ থেকে লুকিয়ে বেড়াই। মোদিজি, থুড়ি আম্বানিভাউ, আর আদানিদা, এরকম করে প্রতিদিন জিতছেন বুঝতে পারছি। আমি হারছি। মুখ লোকাচ্ছি। আর পাড়ার সব্জিবিক্রেতা ক্রমশ মরে যাচ্ছে। একটু একটু করে। এরকমই হওয়ার কথা বোধহয়। লোক হেরে যাবে, মরে যাবে। আম্বানি, থুড়ি মোদি, থুড়ি দালাল, থুড়ি ফড়ে জিতে যাবে।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ | ৯৫৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Arpan | 93.137.1.203 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০১:৫৩54852
  • নেট ব্যাঙ্কিং না থাকলে ডিমান্ড ড্রাফট বানিয়ে নিয়ে যান আর সেটি ডাক্তারকে ধরিয়ে দিন।
  • PT | 213.110.242.6 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২০54853
  • আজকাল অনেক institute-ই থিসিস পরীক্ষকদের প্রাপ্য সন্মানদক্ষিণা (ট্রেন/প্লেনের ভাড়া সহ) অধ্যাপকদের স্যালারি একাউন্টে ট্রান্স্ফার করে। এটা বহুদিন ধরেই চালু হয়েছে।

    আর একাউন্ট যদি একই ব্যাংকের হয় তাহলে কোন কাগজ পত্রের ঝামেলা ছাড়াই সরাসরি কার্ড ঘষে গ্রীন ট্রান্সফার করা যায় যে কোন শাখার একাউন্টে।

    ডাক্তার, উকিল ইত্যাদিদের কেন ঐ ভাবে টাকা দেওয়া যাবে না?
    (আম্মো চাড্ডি নহি)
  • Arpan | 203.108.73.47 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০২:২৪54854
  • ডাক্তারদের কাছে প্রিন্টেড বিল চান। বলুন আপিসের আইটি বেনিফিটে লাগবে। আপনা আপনি ক্যাশ নিয়ে জোরাজুরি কমে আসবে।
  • pi | 37.63.191.106 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৩৮54855
  • বিলের ব্যাপারে এনফোর্স করা তো সরকার এর কাজের মধ্যেই পড়তে পারতো। কাজের কাজ হত।

    গ্রীন আকাউণ্ট জানিনা তবে এরকমই হলে সব ব্যান্কের জন্য চালু হয়ে গেলে ঠিক আছে। সুবিধে হবে।

    ডিমান্ড ড্রাফ্ট এক্ষেত্রে। সমাধান হতেও পারে। জানিনা। কিন্তু এমনিতে বহু ক্ষেত্রেই হবেনা। কারণ বানাতেও সেই ব্যান্কের যেতে হবে। ব্যান্ক যেখানে অনেক দূরে বা সন্খ্যায় অনেক কম সেখনে এগুলো করা ততটাই শক্ত , বলা যত সোজা। কেউ হঠাত`` বিশেষ। করে রাতে অসুস্থ হয়ে গেলেই বা ড্রাফ্ট কী করে করবে ?
  • Abhyu | 107.81.103.68 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০২:৪০54856
  • ব্যাঙ্কে গিয়ে যাস্ট অন্যের অ্যাকাউন্ট নাম্বার, নাম আর IFS কোড জানা থাকলে আপনি টাকা ট্রান্সফার করতে পারেন। কোনো নেট ব্যাঙ্কিংএর দরকার হয় না। আমি এ বছরই এইভাবে টাকা পাঠিয়েছি খবর কাগজে প্রকাশিত অ্যাকাউন্ট নম্বরের ভিত্তিতে। যাকে পাঠাচ্ছেন তাকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতে হবে এমনও নয়। ইন ফ্যাক্ট তাঁর সঙ্গে আমার যোগাযোগ হয় নি, হবেও না। সে তুলনায় ডাক্তারবাবুকে টাকা দেওয়া সহজ। তবে এখন ব্যাঙ্কে যা লাইন তাতে আপনি ব্যাঙ্কে যেতে না চাইতেই পারেন।
  • সিকি | 132.177.87.250 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:১৬54842
  • তুলে দিলাম।
  • b | 24.139.196.6 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:০৪54857
  • প্রকল্পের লেখা। এটাও নিশ্চয় এর সাথেই থাকবেঃ

    প্রকল্প ভট্টাচার্য্য -

    হকের টাকা আমি তারেই বলি
    কালো তারে বলে মোদীর লোক
    রেখেছিলেম লেপ তোষকের ফাঁকে
    খুঁজে পেল আই টি-র ঝানু চোখ
    বেশি টাকা ছিল না তো মোটে
    লাখ বিশেক, সব হাজারের নোটে

    কালো? তা সে কালো টাকা হোক
    ঘরের লক্ষ্মী, কালো টাকার থোক।

    আইটি এসে হানা দিল দেখে
    ডাকতেছিল দোসর ছোট ভাই,
    কাজের মাসি ব্যস্ত ব্যকুল পদে
    কিচেন থেকে ত্রস্ত এল তাই।
    আইটি এসে সার্চ করল শুরু,
    বলল, একি! জমিয়েছ কী গুরু!

    কালো? তা সে কালো টাকা হোক
    ঘরের লক্ষ্মী, কালো টাকার থোক।

    এক অফিসার এল হঠাৎ ধেয়ে
    আর একজনা বাঘের পিছে ফেউ,
    ঘরের মধ্যে আমিই ছিলেম একা,
    ভয়ের চোটে ঢোকেনি আর কেউ।
    আমার দিকে দেখলে কিনা চেয়ে,
    আমি ত প্রায় মরি ভিরমি খেয়ে।

    কালো? তা সে কালো টাকা হোক
    ঘরের লক্ষ্মী, কালো টাকার থোক।

    এমনি করে কালো টাকার থলি
    আইটি খুঁজে দেখল ঘরের কোণে,
    আমার ধুতি, বৌ এর কালো সায়া
    সব দেখল, সন্দেহ যে মনে!
    বাদ দিল না কিছুই দেখে নিতে
    সেপ্টিপিন বা চুলের কালো ফিতে!

    কালো? তা সে কালো টাকা হোক
    ঘরের লক্ষ্মী, কালো টাকার থোক।

    হকের টাকা আমি তারেই বলি
    আর যা বলে বলুক অন্য লোক।
    রেখেছিলেম ছেলেবেলার খাটে
    যত্ন করে কালো টাকার থোক।
    আইটি এসে দিল এমন বাঁশ
    লুকিয়ে ফেলার পাইনি অবকাশ!

    কালো? তা সে কালো টাকা হোক
    ঘরের লক্ষ্মী, কালো টাকার থোক
  • aranya | 154.160.226.95 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:৫২54843
  • :-(
  • সিকি | 132.177.17.225 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:৫৫54858
  • এটা প্রকল্পর লেখা নয় - অরুন্ধতী রায়চৌধুরীর লেখা।
  • Attitude adjustment | 174.100.41.2 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:২০54844
  • বড়োই বাজে অবস্থা চারদিকে। একপাতাও ইকোনমিক্স পড়ে নি, মনিটারি পলিসি কাকে বলে জানে না, এই সব ক্যাটাগরিভুক্ত চাড্ডির দল যা খ্যামটা নাচ নাচছে সহ্য করা যাচ্ছে না আর। সঙ্গে সেই এক হুক্কা হুয়া। সেনাবাহিনী দাঁড়ালে দেশবাসীও দাঁড়াতে পারে ব্লা ব্লা ব্লা। ফেইসবুক টুইটার সব জায়গায় মুদির প্রোপাগান্ডা টীম নিরলস ভাবে অর্ধসত্য এবং মিথ্যা ছড়িয়ে চলেছে।
  • সাহায্য | 209.116.174.108 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৭:২৪54845
  • দেবমিতাকে সাহায্য করার জন্যে লিখছি প্লিজ চাড্ডি দাগাবেন না ।
    দেবমিতা , আপনি যখন অনলাইন ফোরামে বাংলায় লিখছেন তার মানে আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল ফোন ইন্টারনেট ব্যবহার জানা আছে। আশা করি NEFT , IMPS সম্পর্কে ওয়াকিবহাল , এগুলো সব স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকে বহুল প্রচলিত অনলাইন ট্রান্সফার পদ্ধতি সম্পূর্ণ সিকিওর। আপনার পূর্ব কলকাতার প্রৌঢ় ডাক্তারবাবু কে বলুন ওনার ব্যাংক একাউন্ট নম্বর , IFSC কোড ও ব্রাঞ্চ টুকু আপনাকে জানাতে ,না বুঝলে ওনাকে চেকবুক দেখতে বলুন , চেকবুকের পাতায় উনি IFSC কোড পাবেন । আপনি নেটব্যাংকিং এ লগইন করে ওনাকে অ্যাড বেনিফিশিয়ারি করে অ্যাড করুন ও ডাক্তার দেখানোর দিন NEFT ( working hour ট্রান্সফার ) অথবা IMPS ( instant ) দিয়ে পেমেন্ট করুন , উনি পেমেন্ট কনফার্মেশন পাবেন sms মাধ্যমে ।আপনার ব্যাঙ্ক ট্রানসাকশান স্টেটমেন্ট ও রেকর্ড থাকবে , আপনার এক্সট্রা ৫ টাকা ফী কাটবে । ওনাকে চেক জমা দেওয়ার হ্যাপা পোহাতে হবে না বা পেটিএম ও শিখতে হবে না।
  • sch | 37.251.71.51 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ০৯:৪৪54846
  • কেউ নেট ব্যবহার জানলেই তার নেট ব্যাঙ্কিং এক্টিভেটেড না-ও থাকতে পারে। আমি মোটামুটি নেটে ১৬ ঘন্টা এক্টিভ থাকলেও - প্রায় পেপারলেস অফিস ব্যবহার করলেও - নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করি না। নেট ব্যাঙ্কিং এর মাধ্যমে আমার একাউন্ট থেকে ৪৮০০০ টাকা একবার গায়েব হবার পর এবং বহু কাঠখড় পুড়িয়ে সেটা উদ্ধার করার পর আমার সমস্ত একাউন্টে আমি নেট ব্যাঙ্কিং বন্ধ করে দিয়েছি।

    আমার পরিচিত অনেকেই এই কারণে নেট ব্যাঙ্কিং ব্যবহার করেন না। আর এন্টি ভাইরাস ইন্সতল্ড না থাকলে মোবাইল থেকে নেট ব্যাঙ্কিং করা একদমই শেফ না।

    তাহলে?
  • pi | 37.63.191.106 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ১০:১২54847
  • আমিও করিনা। মোবাইল চুরি যাওয়ার পর কিছু ব্যাপার হ্ল্ক করতে গিয়ে সব যায় । তারপর জানানো হয় কো
    কোলকাতয় গিয়ে ব্যবস্থা না করলে চালু হবেনা। দুবার ফর্ম ফিলাপ করে দিয়েও জানা ফ্যস্কড়ায় আজো চালু হয়নি।
  • sch | 37.251.71.51 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ১০:১৯54848
  • আবারও বলছি যে দেশের সব থেকে বড়ো সরকারী ব্যাঙ্ক একদিনে কোনো কারণ না দেখিয়ে ৬ লক্ষ ডেবিট কার্ড ব্লক করে সে দেশ ক্যাশলেস ট্রান্সাকশানের জন্য প্রস্তুত না। একবার ডেবিট কার্ড রি ইস্যু করলে কার্ড পাসওয়ার্ড সব মিলিয়ে পেতে ১০-১২ দিন লাগে।
    মোদী মাইক্রো ATM এর কথা বলছে। কোনো গ্যারান্টি আছে যে গ্রামের লোকের পাসওয়ার্ড কম্প্রোমাইজড হবে না?
  • pi | 37.63.191.106 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ১০:২৬54849
  • আমার এবার সব কার্ড হারিয়েছিল। চুরি কিনা জানেনা। কদিন লেগেচে ব্লকাতে আর পেতে সে হয়রানির ভাটে। লিখেছিলাম কিছু। তারজন্য কোল্কাতা আব্দি যেতে হয়েছে । এস বি আই ডেবিট কার্ড এখনেও পাইনি।।

    আর গণ্ডগ্রামে যেতে হবেনা । এখানের এসে একটু নেটের দশা দেখে যান। দু মাস হয়ে গেল দিনে সব মিলোয়ে এক ঘণ্টাও থাকেনা । থাকলেও শামুক। মোবাইল এর নেট ভরোসা। আর একটু ভিতরে যেখনে আছে সে আজ ও টু জি। বাকি তো নেইই। এসবের জন্য ও একটু এডিজি সাজায্য হোক।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৭ নভেম্বর ২০১৬ ১০:৩১54850
  • সি পি এমকে বদলে বিজেপি আনুন, দেখবেন নেট রাজধানীর গতিতে দৌড়চ্চে। তখন আবার আরেক্কেলো, ধরতে গেলেই পালিয়ে যাবে।
  • PT | 213.110.242.20 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০১:০৭54864
  • যারা মমতাভক্ত তারা ব্যাপারটাকে ঠিক এভাবেই দেখছে। কিন্তু ব্যাপারটা ঐরকম সাদা-কালোয় নয়। সেটা রাস্তায় ঘুরলে বোঝা যাচ্ছে।
    কিন্তু পব-র কালোটাকা নিয়ে মমতাভক্তদের বিশেষ হেল-দোল নেই। তার হিসেব কে দেবে?
  • PT | 213.110.242.6 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০২:১২54865
  • কালোকে সাদা করার সুবর্ণ সুযোগ!! রাশি রাশি কার্বন-ডাই-ওক্সাইড-কে ইথানলে পরিণত করে বাড়ির চৌবাচ্চায় ভরে ফেলুন।

    "Scientists Accidentally Turned CO2 Into Ethanol"
    http://energy.gov/articles/scientists-accidentally-turned-co2-ethanol
  • pi | 233.191.51.182 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:০৩54866
  • লেখকের নাম নীলাঞ্জন সৈয়দ।
  • b | 135.20.82.164 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ০৬:২৬54860
  • যার যা ধান্ধা
  • amit | 24.202.188.227 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ১০:০১54867
  • একই ভাবে যেহেতু মোদির বিরোধিতা করাই মুখ্য, সুতরাং কেও কেও মমতার কোনো কাজেই কোনো সমস্যা দেখেন না, তিনোদের অন্ধ ইসলামিক মৌলবাদ ভজনায় তারা অবশ্য একেবারে হিনী মোড।

    ডি: এটা একেবারেই কোনো ব্যাক্তিবিশেষ বা জনেদের উদ্দেশ্য করে লেখা নয়।
  • PT | 213.110.242.20 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ১২:২৫54861
  • আজ মাছের দোকানে, মুদিখানায় ও বইয়ের দোকানে নিজেরাই ৫০০ টাকার নোট চেয়ে নিয়েছে!! আর ব্যাংকের লাইনে প্রায় কাউকেই অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখলাম না। সিকিউরিটির লোক লাইন থেকে ১০ জন করে ভেতরে ঢোকাচ্ছে আর বাকিরা মোটামুটি বিরক্তি প্রকাশ না করেই দাঁড়িয়ে রয়েছে।....... তবে যেটা শুনলে কল্লোলদা দুঃখ পাবে তা হল যে লাইনে যারা কথা বলছে তারা দিল্লীর রাস্তায় বাংলা নাটকের অভিনয়ের সমালোচনা করছে।
    ......অবিশ্যি এতে উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত কিছু ঘটবে বলে মনে হয়না।
  • pi | 233.191.56.243 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ১২:৩৮54862
  • Jehetu mamataa birodhitaay ataeb keu keu ekhan modir kaaje samasyaay dekhechhen naa. :)odike bijepir utthaan niye tenaaraai aabaar ....
  • pi | 233.191.56.243 (*) | ১৯ নভেম্বর ২০১৬ ১২:৪২54863
  • কোর্ট সীতারাম এচুরি মহ সেলিম যা যা সমস্যার কথা বলছ এন তাও মনে হয় মমতার কথত মতই অপপ্রচার ঃ)
    এদিকে এখানের ট্রাইবাল গ্রামে গ্রামে মাইকে ঘোষণা শুনতে পাচ্ছি।অবস্থা কত সঙ্গীন আর কিছু করা উচিত বলে। সিপিএম ও মনে হয় সমাঅলোচনাযোগ্য কাজই করছে ঃ)

    পারলে কেউ এখন আজ তক খুলুন।
  • Du | 57.184.54.93 (*) | ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০৩:৫১54871
  • মমতা নাকি বলেছে হাজার যাক কিন্তু পাঁচশোটা যেন রাখতে দেয়
  • Jehadi dhon | 130.59.47.229 (*) | ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০৪:৩৩54868
  • অমিতদা
    Moodi ke gaal deoa ta IN THING thik jemon chaddi howatao IN THING ekhon kar somoye. Islami moulobader somalochono korle apni chaddi, Na korle sicular, direct othoba indirectly somorthon korle buddhijibi hisebe porichito hoben. Ei forum e ei dhoroner buddhijibi onek achen. Nana toi e era prochur monimukto choriyechen.
  • pi | 233.191.55.114 (*) | ২০ নভেম্বর ২০১৬ ০৫:১১54869
  • উপরের পোস্টের মর্মার্থ উপরোক্ত সব পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পেশ করাই বা তাকে বিরোধিতা করাই এক সাথে ইন থিঙ্গ। ;)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ভ্যাবাচ্যাকা না খেয়ে মতামত দিন