এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  ব্লগ

  • মদ্যপুরাণ

    ন্যাড়া লেখকের গ্রাহক হোন
    ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৯ | ২০৮৪ বার পঠিত
  • আমাদের ভোঁদাদার সব ভাল, খালি পয়সা খরচ করতে হলে নাভিশ্বাস ওঠে। একেবারে ওয়ান-পাইস-ফাদার-মাদার। নিজে নাহক ভাল কাজ করে। শুধু পয়সাই নয়, অঢেল সময়ও হাতে। বাড়িতে শুধু আপনি আর কপনি - ছেলে-মেয়ে, ভাই-বোন, বেয়াই-বোনাই, জগাই-মাধাই কেউ নাই। কাজেই ভোঁদাদা বই পড়ে। বাছবিচার নেই, বই পেলেই হল। আর এই বই পড়ে পড়ে বিচিত্র সব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করেছে। ভাসা-ভাসা নয়, একেবারে গভীর সুচিন্তিত জ্ঞান। ভোঁদ্দা আজ এর সঙ্গে ভ্যালু ইনভেস্টিং নিয়ে আলোচনা করল, তো ওর সঙ্গে প্রাচীন মোঘলাই রন্ধনপ্রণালী নিয়ে; কার সঙ্গে দেখলাম গভীর তর্কাতর্কি চলছে ফুটবল নিয়ে, আবার পরের মুহূর্তেই আরেকজনের সঙ্গে মেতে উঠছে মানুষের ব্রেন ডেভেলপমেন্টের ইতিহাস নিয়ে। আর যাদের সঙ্গে এই সব আলোচনা চলছে, তারা সব সেই লাইনের এক্সপার্ট লোক। নইলে আমি আর জানব কোত্থেকে!

    কিন্তু ভোঁদ্দাকে পয়সা খরচার কথা বল, দেখবে উদাসীনতা কাকে বলে। জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে ভোঁ হয়ে যাবে। তো সেই ভোঁদ্দা, একদিন আমায় বলল, "বাড়িতে আসিস। এমন অবাক মদপান করাব, কোনদিন ভুলবি না।" আমি নাচতে নাচতে রোববার সকাল সকাল ভোঁদ্দার বাড়িতে উপস্থিত হয়ে গেলাম। ভোঁদ্দা বলল, "এসে গেছিস? বোস। তুই অংকের ছাত্র ছিলিস, না? তার ওপর এখন নাকি মেশিন লার্নিঙের হনু হয়েছিস!" আমি ভাবলাম, মাল খেতে এসে এ আবার কী আপদ! "বল দেখি, মদের ক্লাসিফিকেশনের কতগুলো ডায়মেনশন?"

    "মদের ক্লাসিফিকেশনের ডায়মেনশন?" আমি ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে রইলাম।
    - বুঝলি না? এই যেমন ধর, একটা ক্লাসিফিকেশন হল বিয়ার, ওয়াইন, স্পিরিট। এটা কিসের ক্লাসিফিকেশন হল?

    আমি আবার ফ্যালফ্যাল। "মাল খাই। অত ভেবে কী আর খাই নাকি!"
    ভোঁদ্দা জানাল, "এটা হল মদ তৈরির ক্লাসিফিকেশন। বিয়ার আর ওয়াইন হয় গেঁজিয়ে, মানে ফারমেন্ট করে। স্পিরিট - মানে হুইস্কি, ব্র্যান্ডি, রাম, ভদকা - যেগুলোকে হার্ড লিকার বলে, সেগুলো হয় চোলাই করে। মানে ডিস্টিলেশন। আমাদের দিশি মালেতেও আছে। ভাত পচিয়ে পচাই - ফার্মেন্টেশন। ধান থেকে ধান্যেশ্বরী বা ধেনো - সেও ফার্মেন্টেশন। সকালের তালের রস যে বেলা বাড়লে তাড়ি হয়ে যায় - ওই সেই ফার্মেন্টেশন। আবার যে দিশি চোলাই পাওয়া যায়, কালী মার্কা টাইপ বাংলু, নামেই মালুম সে জিনিস দিশি ডিস্টিলেশনে তৈরি। মহুয়াকে দিশি ওয়াইন ধরতে পারিস। আঙুরের বদলে মহুয়া গাছের ফুল ফার্মেন্ট করে তৈরি।

    "তারপর ধর আরেক ধরণের মদ আছে যেটাকে তোদের অংকের ভাষায় ডেরিভেটিভ বলতে পারিস। যেমন ব্র্যান্ডি। ব্র্যান্ডি হয় ওয়াইনকে ডিস্টিল করে। কিন্তু ওয়াইন তৈরি হয়েছে ফার্মেন্ট করে। কাজেই আঙুরকে গেঁজিয়ে তারপর চোলাই করলে ব্র্যান্ডি হবে। এ হল গিয়ে একটা ডায়মেনশন। আর কী ডায়মেনশন হতে পারে, বল।"
    - আরও ডায়মেনশন? আমার তো এতেই মাথা ঝিমঝিম করছে।
    - আরেকটা ক্লাসিফিকেশন ডায়মেনশন হল উপাদান। যেমন মহুয়া ফল থেকে মহুয়া, তেমনি আঙুর থেকে ওয়াইন। কিন্তু আঙুরের জাতের ওপর নির্ভর করবে কী ওয়াইন তৈরি হচ্ছে। মার্লো তৈরির যে আঙুর, তার নাম মার্লো। সে আঙুর থেকে কিন্তু ক্যাব্রানে সভিঁয় তৈরি হবে না। জিনফ্যানডেলের আঙুরের জাত আবার আলাদা। সাদা মদ আর লাল মদের জাতই শুধু আলাদা নয়, প্রস্তুতপ্রণালীতেও রকমফের আছে। আজকাল অবশ্য ব্লেন্ডেড রেড ওয়াইনের খুব রমরমা বেড়েছে।

    "বিয়ার তো জানিসই বার্লি দিয়ে তৈরি করে। মল্টেড বার্লি। মাঝে মাঝে থাকে গম। হুইস্কির মধ্যে স্কচ হুইস্কি বার্লি দিয়ে তৈরি। অ্যামেরিকান বুর্বোঁ তৈরি ভুট্টার দানা থেকে। ভদকা গম-টম থেকে তৈরি হয়। আলু দিয়েও হয়। রাম তৈরি হয় আখ থেকে। তাই সাধারণতঃ রামে একটু মিষ্টি স্বাদ পাবি।
    "মদ তৈরির কায়দা অতি প্রাচীন। মধ্যযুগের সাহিত্যে একটা মদের কথা খুব পাওয়া যায় - মীড, mead। মীড শব্দটা এসেছে একটা ওল্ড ইংলিশ শব্দ meodu থেকে। শব্দটা খেয়াল কর। মধুর সঙ্গে মিল পাচ্ছিস না? শব্দটা সংস্কৃত মধু থেকেই এসেছে। মীড তৈরিও হয় মধু থেকে। আজকাল অবশ্য নানারকম ফলের মীড পাওয়া যায়, কিন্তু সাবেক মীড বলতে মধু থেকে তৈরি মদ। সংস্কৃত সাহিত্যে এরই জ্ঞাতিভাই পাবি - মাধ্বী। বুঝতেই পারছিস ইংরিজিতেও যেরকম, এখানেও মদের মতন শব্দটাও এসেছে মধু থেকে। পরে অবশ্য মাধ্বী শব্দটা যে কোন মদকেই বোঝাত। যেমন গৌড়ীয় মাধ্বী হল গুড় থেকে তৈরি মদ। অনেকে মনে করেন বাংলাদেশের প্রাচীন নাম যে গৌড়, তারও মূলে এই গুড়।

    একটু দম নিতে ভোঁদ্দা থামল। বক্তৃতার চোটে আমার অলরেডি নেশাগ্রস্ত অবস্থা। মাথা টলমল করছে। আদ্ধেক কথা মগজে রেজিস্টার করছে, বাকী মহাশূন্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাতেও রেহাই নেই। ভোঁদ্দা আবার শুরু করল। "এবার থার্ড ক্লাসিফিকেশন ডায়মেনশনটা দেখ। প্লেস অফ অরিজিন। কোথা থেকে কোন মদের উৎপত্তি। বোর্দো ওয়াইন ফ্রান্সের বোর্দো অঞ্চলের আঙুরে তৈরি হতে হবে, সেরকম বার্গান্ডি। শেরি স্পেনের মদ। সাকে জাপানের ভাত থেকে তৈরি মদ, কিয়ন্তি ইটালির। পোর্টুগালের ডেজার্ট ওয়াইনের নাম পোর্তো বা পোর্ট ওয়াইন। বিয়ারেও বেলজিয়ান বিয়ারের থেকে জার্মান বিয়ারের কায়দা আলাদা। হুইস্কি আছে স্কচ, অ্যামেরিকান, ক্যানাডিয়ান, জাপানি। স্কচ হুইস্কিতে আছে হাইল্যান্ড, স্পেসাইড আর আইলে - স্কটল্যান্ডের কোন অঞ্চলে তৈরি হয়েছে, তার ওপর নির্ভর করছে। আরও দুটো শুনেছি আছে - লোল্যান্ড আর ক্যাম্পবেলটাউন। তবে সে শুধু শুনেইছি। ভদকার উৎপত্তি তো জানিসই রাশিয়ায়। তারপর ধর ..."

    আমি আর থাকতে পারলাম না। হাতজোড় করে বললাম, "এবার ক্ষান্ত দাও ভোঁদ্দা। আমায় মদ খাওয়াতে হবে না। আমি বাড়ি যাই।" ভোঁদ্দা লজ্জা পেয়ে গেল। বৌদিকে হাঁক পাড়ল, "কই গো, দাও।" বৌদি একটা প্লেটে কতকগুলো মুসুরির ডালের বড়া, লেবু, পেঁয়াজ আর কাঁচা লংকা দিয়ে গেল। আমি অবাক। ভোঁদ্দা বলল, "দেখছিস কী? এগুলো চাটের উপকরণ। মেক্সিকান বিয়ার কোরোনায় সবসময়ে লেবুর ফালি দিয়ে খায়, দেখিসনি? এও অনেকটা সেইরকম।" বৌদি এবার একটা বড় পাত্রে টলটলে সাদামতন পানীয় এনে রাখল আমার সামনে। তার তলায় ভাতের মতন কী যেন। ভোঁদ্দা বলল, "এই তোর আজকের মদ। সাবেক বাঙালির ঘরে তৈরি মদ।"
    আমি ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে বললাম, "এ কী গো? দেখে তো পান্তা বলে মনে হচ্ছে।"

    ভোঁদ্দা বলল, "ঠিক চিনেছিস। পান্তা তো আসলে মদই। অল্প গেঁজে গিয়ে অ্যালকোহল তৈরি হয়। ফার্মেন্টেড রাইস। তাই দেখিসনি পান্তা খাওয়ার পরে কী দারুণ ঝিম ধরে, কী খাসা ঘুম হয়? নে নে, সাবেক বাঙালি মা-ঠাকুমা-দিদি-বৌদিরা যুগযুগান্ত ধরে না বুঝে যে মদ খেয়ে এসেছে, সেই মদ আজ তুইও খেয়ে নে। বলেছিলাম না, কোনদিন ভুলবি না!"
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • ব্লগ | ২৪ আগস্ট ২০১৯ | ২০৮৪ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ন্যাড়া | 237812.68.343412.35 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৩:৪০49400
  • এরাক (অর্থাৎ আরক, যথা জোয়ানের আরক) ছিল। আর ছিল পাঞ্চ। পরে ক্ল্যারেট আর ব্র‍্যান্ডিও আসত। ক্ল্যারেট হল বোর্দোর ইংলিশ নাম। উঁচুমহলে ব্র‍্যান্ডির চাহিদা ছিল। এগুলো আবছা মনে আছে। এ নিয়ে আমার পড়া সবচেয়ে ভাল প্রবন্ধ প্রসাদ রায়ের, বছর বারো-তেরো আগে অনুষ্টুপে বেরিয়েছিল। শ্রীপান্থ আর বিনয় ঘোষেও ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে।
  • ন্যাড়া | 236712.158.565623.225 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৭:১৭49391
  • অনেকেই দেখি নিজেদের লেখায় এক ক্যারেক্টারের একটা কমেন্ট করেন। সেটা কি যাতে টইয়ের লিস্টে লেখাটা আসে। আম্মো করলাম।
  • Ela | 237812.69.453412.176 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৭:৩৪49392
  • খাসা!
  • lcm | 237812.68.343412.179 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৭:৩৮49393
  • এদের রাজা হল তাড়ি, মানে, পাম ওয়াইন, বহুত পুরোনো জিনিস, জিশুখিষ্টো জন্মাবার ১৬,০০০ বছর আগে থেকে লোকজন খেয়ে আসছে। শিম্পাঞ্জি, আরও কি সব উদ্ভট নামের জন্তুকেও খেতে দেখা গেছে। ফটাফট, বেশি সময় নেয় না, তাল/নারকেল/পাম গাছ থেকে রস বেরোনোর ঘন্টা খানেকের মধ্যেই ৪% অ্যালকোহল কনটেন্ট। ৫ থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে খেয়ে ফেলতে হবে, নইলে তারপরে ভিনিগার হয়ে যাবে। পৃথিবী জুড়ে লোক তাড়ি খায়, নানা নামে পরিচিত তাড়ি - কাল্লু (সাউথ ইন্ডিয়া) থেকে টুবা (ফিলিপিন্‌স)
  • গবু | 237812.68.454512.144 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০৩49394
  • দারুন!

    আচ্ছা কেউ কি কলকাতার ইংরেজিকরণের শৈশবে যে সব মদ পাওয়া যেত তাই নিয়ে দু পয়সা দিতে পারেন? আমার এরেক মনে আছে, কিন্তু আর কিচ্ছু মনে নেই।
  • গবু | 237812.68.454512.144 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০৩49396
  • দারুন!

    আচ্ছা কেউ কি কলকাতার ইংরেজিকরণের শৈশবে যে সব মদ পাওয়া যেত তাই নিয়ে দু পয়সা দিতে পারেন? আমার এরেক মনে আছে, কিন্তু আর কিচ্ছু মনে নেই।
  • গবু | 236712.158.786712.23 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৮:০৬49397
  • "আপডেট করা হচ্ছে" লেখাটিকে লাল আর বোল্ড করার দাবি রাখলুম। বারবার পোস্টের জন্য দুঃখপ্রকাশ সহ।
  • বেঙ্গলী | 236712.158.566712.143 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ০৮:৩৮49398
  • প্রথমদিকে বেশ একটা এন-দা এন-দা ফ্লেভার আসছিল, পান্তায় ন্যাড়াবাবু পুরো সিগনেচার ধোবিপাট মারলেন। সাধে কি আমাদের পকেট হারকিউলিস মনোহরবাবু পান্তার এতবড় ফ্যান ছিলেন!
  • শঙ্খ | 237812.68.454512.138 (*) | ২৪ আগস্ট ২০১৯ ১১:৫৯49399
  • অতি অল্প হইলো
  • Wrichik Ash | 236712.158.895612.152 (*) | ২৫ আগস্ট ২০১৯ ০৯:৩৫49402
  • দারুণ!!
  • rana | 236712.158.8990012.183 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৯ ০৩:৫৮49404
  • নেপালে ডিস্টিল্ড প্রোদা্ক্ট টাকে বলে রক্সি আর ফার্মেন্টেড টাকে ছাঙ্গ
  • rana | 236712.158.8990012.183 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৯ ০৪:০০49405
  • দুটোর ই বেস বোধ্হয় ভুট্টা
  • ন্যাড়া | 236712.158.565623.225 (*) | ২৬ আগস্ট ২০১৯ ০৫:৪২49403
  • এই এক শঙখ আছে, মাইরি, যাই লিখি, বলে, "অতি অল্প হইল"।
  • rana | 236712.158.8990012.139 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৯ ০৪:০৭49407
  • একটা ডবল হুইস্কি বানিয়ে বসে পRুন।
  • সুকি | 236712.158.566712.143 (*) | ২৭ আগস্ট ২০১৯ ১১:৫৭49406
  • বাহ, হেবি। মদ নিয়ে দুই চার কথা লেখার ছিল। মানে ওই হুইস্কি নিয়ে আর কি এবং ওয়াইন। এই লেখা পড়ে সেই ইচ্ছা চাগিয়ে উঠল
  • ন্যাড়া | 237812.68.233412.70 (*) | ২৮ আগস্ট ২০১৯ ০২:৫৩49409
  • না, এইটাই বেস্ট। যদুর মনে পড়ছে বিনয় ঘোষের দুখন্ডের কলকাতার ইতিবৃত্তেও কিছু আছে, তবে এরকম কনসলিডেটেড নয়।
  • b | 236712.158.566712.143 (*) | ৩০ আগস্ট ২০১৯ ০৪:১৪49410
  • আরেকটা জিনিশ বাদ দেছেন, গবুদাকে পরের বার বলে দেবেন। বেঙ্গল কেমিক্যালের জোয়ানের আরক, অ্যাকুয়া টাইকোটিস। ৩৫% ইথাইল অ্যালকোহল ভল্যুম বাই ভল্যুম। হেঁ হেঁ।
  • Ela | 236712.158.895612.138 (*) | ৩১ আগস্ট ২০১৯ ০১:২৪49411
  • @বি, ও তাই না কি? তাই বলি খেতে অত ভাল লাগে কেন। আহা একবার খেলে বারবার খেতে ইচ্ছে করে ঃ)
  • lcm | 237812.68.9008912.204 (*) | ১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৫:৩৪49412

  • কলিকাতার মদ্যপান, সেকাল ও একাল
    পিনাকী বিশ্বাস
    খড়ি প্রকাশনী
    ৩০০ টাকা
  • সম্বিৎ | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ০৯:০১92400
  • আজ পাতা উল্টোতে গিয়ে চোখে পড়ল, পুরনো কলকাতার মদের ইতিহাসে এটার কথা বলতে ভুলে গেছিলাম - রাধাপ্রসাদ গুপ্ত ওরফে শাঁটলবাবুর "ভারতে আসবের ত্রি-ধারা"।

  • বিপ্লব রহমান | ১৭ এপ্রিল ২০২০ ২৩:৪৭92430
  • সে কি! এতো বিশ্বভ্রমাণ্ড ঘুরে ভাল ভাল পানীয়র বর্ণনা শেষে কি না ডালের বড়া দিয়ে পান্তাভাত! ভোঁদ্দা কী এরপর রদ্দা খেল ন্যাড়া দা? 

    #

    হ্যাশট্যাগের গুগল ড্রাইভের অনুষ্টুপের" লিংক খুলছে না।

    নয়ের দশকে এপারে ঢাউস অনুষ্টুপের কিছু বিশেষ সংখ্যা আসতো। কতো ভাল ভাল লেখা পড়েছি সে সময়। তারপর রাতারাতি কেমন সব ডিজিটাল হলো। কতো কি পাল্টে গেল।  অনুষ্টুপ আর পাই না। এখনো পত্রিকাটির জন্য প্রাণ কাঁদে। ... 

  • de | 172.69.33.68 | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০০:০৭92431
  • বাঃ! খুব ভালো -

    আশা করি এটার আরো পর্ব আসবে -
  • অপু | 172.68.146.97 | ১৮ এপ্রিল ২০২০ ০১:২৬92436
  • বেতলা বা জঙ্গল গেছ অথচ মহুয়া খাও নি; এও কি অসম্ভব ?  1998 সাল। আমরা চার মক্কেল আমি , অনিন্দতো, দেবরূপ আর কৌশিক এক কনকনে শীতের সময় বেতলা গেলাম । ট্রেন থেকে  নেমে গাড়ি করে আসার পথে কিছু একটা লোচা হল। এই অনিন্দতো আর দেবরূপ আবার যদুপুর। পুজোর ফল খায় না। মিটিং মিছিল করে মানে হালকা বিপ্লবী টাইপস। তারা কীসব করে একটা লরি জোগাড় করলো তাতে ইট যাচ্ছিল। আমরা চাদ মুখ করে সেটায় চেপে প ড়লাম। ওটা আমাদের বেতলায় ছেড়ে দিল। তখন কাচা বয়েস। ঘর বুক করার কথা কেউ ভাবি নি। আর সেই কনকনে ঠান্ডা । ডিসেম্বরের 23 বা 24 তারিখ । পিতৃদেবের নাম প্রায় ভুলে যাই যাই। এমন সম য় একটা সরকারী গেস্ট হাউস টাইপস পেলাম। চৌকিদার অত্যন্ত  সজ্জন ব্যক্তি। 75 *2  = 150 টাকায় দুটো ঘর হয়ে গেল। খেয়ে দেয়ে আমাদের পুলক জাগলো। ক্যাম্প ফায়ার করবো। চৌকিদার সব ব্যবস্থা  করে দিলেন। সেই শীতের রাতে আগুন পোহাতে পোহাতে উদাত্ত কন্ঠে দেবরূপের গান। আহা। এখনো কানে লেগে আছে। তা গান শেষে হাততালি দিতে, দিতো হেবববি খিস্তি করলো। ক্যাম্প ফায়ার এ নাকি হাততালি দিতে নেই। দুটো কাঠি তে তালি দিতে হয়। বোঝো কান্ড!!

    পরের দিন চা টা খেয়ে ব্রেকফাস্ট  করে আমি বললাম  চল মহুয়া খাবো। বাকিদের তেমন অনিচ্ছা ছিল না। এদিক ওদিক দেখে একটা সাওতালী গ্রামে ঢুকলাম । সেখানে  মনে হয় 30/35 টাকার মহুয়া কেনা হল। কিন্তু  বোতল দিতে ওরা রাজি নয়। কিছুক্ষণ  উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ের পরে দিতোর দামড়া টাইপের ওয়াটার বোতল করে আমরা মহুয়া টা আনলাম। 65-70% দিতো আর দেবরূপ মেরে দিল। কৌশিক কোন মতো একটু খেয়েছে। গন্ধের চোটে আমি একটুর খেতে পারি নি।মহুয়া খেতে খেতে ওরা আমাকে গুছিয়ে খিস্তি করলো।

    ...... অথ মহুয়া কাহিনী  :)))

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন