এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Anish | 169.45.197.12 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০২:৩৭688104
  • মে, ১৯৯২

    - আসুন প্রফেসর | বাড়ি খুঁজে পেতে কোন অসুবিধা হয়নি তো?
    - তেমন কিছু না | কেমন আছেন মিস্টার বোস?
    - দেখতেই তো পাচ্ছেন | আর খুব বেশি দিন বাকি নেই | বসুন | কফি খাবেন?
    - না, এখন খাব না | ডাক্তার কি বলছে?
    - জবাব দিয়ে দিয়েছে | আর বড়জোর তিন থেকে চার মাস |
    - সরি মিস্টার বোস |
    - আরে না না | সরি বলার কিছু হয়নি | আই হ্যাভ লেড আ ভেরি হ্যাপি লাইফ | জীবনটাকে ঠিক যে ভাবে কাটাতে চেয়েছি, ঠিক সেই ভাবেই কাটিয়েছি |
    - তা ঠিকই বলেছেন | সেটাই বা কজনে পারে?
    - তবে একটাই ব্যাপারে একটু আফসোস হয় প্রফেসর | এই যে এত পড়াশোনা আর জ্ঞান অর্জন করলাম, এও তো আমার সাথেই চলে যাবে | আর সেই জন্যই আপনাকে ডাকা | আমার একটা শেষ ইচ্ছে আপনাকে পূরণ করতে হবে |
    - শেষ ইচ্ছে?
    - ইয়েস |
    - বেশ, বলুন | কি ভাবে আমি সাহায্য করতে পারি?
    - আমি চাই আপনি কোন ভাবে আমার এই সমস্ত জ্ঞান কে বাঁচিয়ে রাখুন | আমি মারা যাবার পরেও থেকে যাব আমার এই কষ্টার্জিত জ্ঞানের মাধ্যমে | এবং সমস্ত পৃথিবীর লোক যেন সেই জ্ঞান ভাণ্ডার কে ব্যবহার করতে পারে |
    - তেইশে এপ্রিল থেকে বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে দিয়েছি | এখন আর এসব কাজে মন বসে না মিস্টার বোস|
    - আমি জানি প্রফেসর | কিন্তু এই কাজ কেউ পারলে একমাত্র আপনিই পারবেন | আর ভেবে দেখুন এতে গোটা মনুষ্যজাতির কত উপকার হবে!
    - তার চেয়ে আমি বরং আপনাকে সারিয়ে তুলি | আমার ওষুধটা এখনো একটু বাকি রয়েছে |
    - না প্রফেসর | বেঁচে থাকার আর কোন ইচ্ছে আমার নেই | ঠিক যেই কারণে আপনি বিজ্ঞান চর্চা ছেড়ে দিয়েছেন, আমারও সেই একই কারণে জীবনের প্রতি অরুচি ধরে গেছে | আর বেঁচে থাকলেও কতজন কেই বা সাহায্য করতে পারব এই গলির ভেতর বসবাস করে |
    - হু | কথাটা ঠিকই বলেছেন | কিন্তু...
    - প্লিজ প্রফেসর | এই কাজটা করে দিলে আমি আপনার কাছে চিরকৃতজ্ঞ থাকব |
    - ঠিক আছে | একটু ভেবে নিতে দিন যে কাজ টা কি করে করব |
    - ধন্যবাদ প্রফেসর | অনেক, অনেক ধন্যবাদ |

    *******************************
    জুলাই, ১৯৯২

    - রেডি মিস্টার বোস?
    - রেডি প্রফেসর |
    - আপনি খুব মহৎ একটি কাজ করতে চলেছেন | পৃথিবীর লোক আপনার নাম মনে রাখবে |
    - নামের মোহ আমার নেই প্রফেসর | খেয়াল রাখবেন কেউ যেন জানতে না পারে যে আমরা এই কাজটি করেছি |
    - বেশ, তাই হবে |
    - গুড বাই প্রফেসর |
    - গুড বাই মিস্টার বোস |
    মেশিন এর সুইচ টা টিপে দিলেন প্রফেসর | মিস্টার বোস এর দেহ টা একবার সামান্য কেঁপে উঠে নিথর হয়ে গেল | সারা ঘর জুড়ে তখন গম গম করছে মেশিন এর আওয়াজ |

    *******************************
    জুলাই, ১৯৯৬

    ঠক ঠক আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেল সের্গেই এর | এত রাত্রে গ্যারেজ এর দরজায় ধাক্কা মারে কে? একবার বন্ধুর দিকে তাকালো | সে তখনও ঘুমোচ্ছে | অন্ধকারে ডিজিটাল ঘড়ি জানান দিচ্ছে সময় এখন সাড়ে তিনটে| গুটি গুটি পায়ে দরজার কাছে গিয়ে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে উঠলো সের্গেই, "কে?" |
    আবার ঠক ঠক |
    মনে সাহস এনে আর হাতে একটা বেসবল ব্যাট বাগিয়ে দরজা খুলে দিল সের্গেই |
    বাইরে একটা বেঁটে খাটো চেহারার লোক দাঁড়িয়ে | গালে লম্বা দাড়ি | মাথায় টাক | চোখে চশমা | বেশ সৌম্য চেহারা |
    - কে আপনি?
    - তোমার নাম সের্গেই তো?
    - হ্যাঁ | আপনি কি করে জানলেন?
    - সে কথা থাক | তোমার আর তোমার বন্ধুর ব্যাপারে অনেক কিছুই জানি | আর তোমরা যে তোমাদের প্রজেক্টটায় আটকে গেছ, সেটাও জানি |
    - মানে? আপনি কি আমাদের পেছনে গোয়েন্দাগিরি করছেন নাকি? প্রজেক্ট এর ব্যাপারেই বা জানলেন কি করে? আমি কিন্তু এবার পুলিশ ডাকব |
    - পুলিশ ডাকলে নিজেদেরই ক্ষতি করবে | তোমাদের কাজটায় আমি সাহায্য করতে পারি |
    - সাহায্য? আপনি কে বলুন তো মশাই? গায়ে পরে সাহায্য করতে এসেছেন?
    - তুমি আমায় প্রফেসর বলে ডাকতে পারো |
    - প্রফেসর? আপনি কি শিক্ষক নাকি?
    - শিক্ষকতা যৌবনকালে কিছুদিন করেছিলাম | তবে আদতে আমি বৈজ্ঞানিক |
    - তা হঠাৎ আমাদের সাহায্য করতে এলেন কেন?
    - অনেকদিন ধরেই যোগ্য ক্যান্ডিডেট খুঁজছিলাম | খোঁজ খবর নিয়ে তোমাদের মনে ধরল | তোমরা দুই বন্ধুই বেশ বুদ্ধিমান | আর তোমাদের প্রজেক্টটাও আমার উপযোগী | চিন্তা কোরোনা | আমি খারাপ লোক নই |
    - বেশ, কি চান বলুন?
    - আজ থেকে চার বছর আগে আমার এক বন্ধুর মৃত্যু হয় | মারা যাবার আগে তার শেষ ইচ্ছে ছিল যে তিনি সারা জীবন ধরে প্রচুর পড়াশোনা করে যে অপরিসীম জ্ঞান লাভ করেছেন, সেই সব যেন তার চলে যাবার পরেও সবাই ব্যবহার করতে পারে |
    - বই লিখে গেছিলেন বুঝি?
    - না হে | তিনি নিজেই ছিলেন একটি আস্ত বিশ্ব কোষ | হেন বিষয় ছিল না যা নিয়ে জানতেন না | আর সেই সঙ্গে অসামান্য মেমরি | আমরা বাংলায় যাকে বলি শ্রুতিধর | একটি কেন, দশটি বই তেও তাকে ধরা যাবে না |
    - বেশ | তারপর?
    - আমি রিসার্চ করে একটা মেশিন বানালাম যা দিয়ে একটা মানুষের গোটা সত্তাটা ইলেক্ট্রনিকালী একটা সফটওয়্যার এ ট্রান্সফার করে ফেলা যায় |
    - হোয়াট? তা কি করে সম্ভব? মিথ্যে কথা বলার জায়গা পাননি? এরম কোন যন্ত্র তৈরি হলে গোটা পৃথিবীতে হুলুস্থুল পরে যেত |
    - তা যেত | লোকে জানতে পারলে ঠিকই যেত | কিন্তু আমি কাউকে জানাইনি | আমার এরম আরও অনেক আবিষ্কার ছিল | শুনলে তুমি বিশ্বাস করতে পারবে না | এই হচ্ছে সেই চিপ যাতে আছে আমার সেই বন্ধুর সত্তা, তার অসামান্য জ্ঞান | তোমাদের প্রজেক্টে এই চিপ টাকে ইন্টিগ্রেট কর সের্গেই | গোটা দুনিয়া লাভবান হবে |
    - কিন্তু আমি আপনাকে বিশ্বাস করব কেন? আপনি আমাদের প্রজেক্টটাকে স্যাবোটাজ করতে আসেননি, তার কি গ্যারান্টি? ওই চিপটাতে কোন ভাইরাস আছে কি না, তার কি গ্যারান্টি?
    - না | এক আমার মুখের কথা ছাড়া কোন গ্যারান্টি নেই | কিন্তু সব সময়ে কি সমস্ত জিনিসের গ্যারান্টি দেওয়া যায়? 'লিপ অফ ফেথ' বলেও একটা কথা আছে | ঠিক কি না?
    - তা আছে | তবে আপনার কথা বিশ্বাস করতে আমার মন চাইছে না | এতক্ষণ খালি মুখেই প্রচুর কথা দিলেন, একটা কিছু প্রমাণ যদি পেতাম |
    - প্রমাণ? বেশ | ভেবেছিলাম যে আর কোনদিন নিজের কোন আবিষ্কার আর ব্যবহার করব না | কিন্তু তুমি বাধ্য করলে | তবে এই দেখো |
    কোটের পকেট থেকে একটা অদ্ভুত দেখতে নলওয়ালা যন্ত্র বার করলেন প্রফেসর | বললেন, "ওই পাথরটা দেখছ?" |

    *******************************
    চমকে গেছিল সের্গেই | নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিল না | মৃদু হেসে প্রফেসর বলে উঠলেন, "এখন বিশ্বাস হল তো? নাও | এবার চিপ টা নাও|"
    কিছু না বলে চুপচাপ হাত পেতে চিপ টা নিয়ে নিলো সের্গেই |
    - চলি হে | গুড লাক | আমি জানি তোমরা সফল হবে |
    কিছু বলার মত অবস্থায় ছিল না সের্গেই | খালি বোকার মত হাত নাড়তে লাগলো |

    *******************************
    সুনসান রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে নিজেকে ভারী হালকা মনে হচ্ছিল প্রফেসরের | কর্তব্য পালন করা গেছে | কোটের ভেতরে রাখা অ্যানাইহিলীন বন্দুকটার গায়ে একবার হাত বুলিয়ে নিলেন প্রফেসর | বন্দুক দিয়ে পাথরটাকে গায়েব করে দেবার পর সের্গেই এর মুখের অবস্থাটা ভেবে একটু হাসিই পেল | তবে ছেলেটি আর তার বন্ধুটি - দুজনেই খুব বুদ্ধিমান | তিনি নিশ্চিত যে ওরা দুজনে সফল হবে | গোটা পৃথিবীর লোক লাভবান হবে মিস্টার বোসের জ্ঞান ভাণ্ডার দ্বারা | মিস্টার বোসের কথা মনে পরাতে একটু মনটা ভারী হয়ে গেল প্রফেসরের | কে জানে কি কারণে ওনাকে কোনদিনই মিস্টার বোস ছাড়া আর কিছু ডাকা হয়নি | উনি অনেকবার বলেছিলেন, "আরে, আপনি আমায় অত ফর্মালি ডাকেন কেন? সিদ্ধেশ্বর বলে ডাকুন বা ছোট করে সিধু | সমবয়সী তো আর বিশেষ কেউ নেই | ছোটরা সবাই সিধু জ্যাঠা বলেই ডেকে এলো চিরটাকাল |"

    *******************************
    গ্যারেজ এর ভেতরে ল্যারিকে ঘুম থেকে টেনে তুলল সের্গেই | প্রফেসরের কথা যদি ঠিক হয়, তাহলে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সার্চ ইঞ্জিন বানানোর ফর্মুলা তাদের হাতের মুঠোয়ে |
  • কিন্তু | 126.203.128.71 | ১২ নভেম্বর ২০১৫ ০৮:২৩688105
  • অ্যানাইহিলিন পিস্তল দিয়ে কেবল জীবিত কোনও প্রাণীকে নিশ্চিহ্ন করা যায় - পাথর ভ্যানিশ হয় না।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যা খুশি মতামত দিন