এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Lama | 213.99.211.19 | ১৮ জুন ২০১৫ ১৩:৪৯680757
  • মায়ের কাছে শুনেছি ছমরীবুড়ির গল্প- মায়েদের ছোটবেলাকার চা বাগানের অনেক গল্পের মধ্যে একটা। বয়স এবং অসুস্থতার কারণে দাদু তাকে চা বাগানের কাজ ছাড়িয়ে বাড়ির কাজে বহাল করেন। শেষ জীবনটা আমার মামাবাড়িতেই কেটেছিল।

    ছমরীবুড়ি আর তার বুড়ো গয়া গিয়েছিল (যতদূর জানা গেছে, তারা ছিল বিহারের গন্ডগ্রামের বাসিন্দা)। অকালমৃত একমাত্র ছেলের পিন্ডদান সেরে গাছতলায় বসে থাকার সময় আড়কাঠির পাল্লায় পড়ে এবং আফ্রিকার কোন একটা দেশে কৃতদাস হিসেবে চালান হয়ে যায়। জাহাজ থেকে নামানোর সময় বুড়োবুড়ির ছাড়াছাড়ি- চিরকালের মত।

    তারপর পাকেচক্রে বহু ঘাট ঘুরে বুড়োবয়েসে আসামের চা বাগানে যাত্রা শেষ। বিস্তারিত জানা নেই। যাঁর কাছে শোনা গল্প সেই আমার মা-ই নিতান্ত ছোট তখন।

    শুনেছি নিরক্ষর হলেও প্রায় সাহেবদের মত উচ্চারণে দু একটা ইংরেজি শব্দ বলতে পারত। আফ্রিকার দাসজীবনের অবদান।
  • সে | ২০ জুন ২০১৫ ০১:১৪680758
  • ছমরীবুড়ির গল্প শুনতে চাই।
  • ddt | 81.192.247.76 | ২১ জুন ২০১৫ ০৭:৩৯680759
  • সূতো ফুরিয়ে আসছে, হাতের কাছে বইপত্তরও নেই। কয়েকটা বোল্ড স্ট্রোক দিয়ে নটে গাছ মুড়ে ফেলা যাক (বোল্ডই বটে, মনের মাধুরি মিশে থাকতে পারে কিনা)।

    আসামে বৈশ্য জাত একেবারে নেই তা নয়, ব্যাপারটা পরিস্কার করা যাক। অসমিয়াদের বৈশ্য পদবী আছে। তবে বৈশ্যদের ব্যবসায়ী জাতি হিসেবে উত্থান হয়নি। যারে কয়, ট্রেডিং কাস্ট ডেভেলাপ করে নি। যেরম উত্তর ভারতে আগরওয়াল বা জৈনদের হয়েছে, বা বঙ্গে সাহা।

    যাইহোক, চা শ্রমিকদের চাল তেল নুন বাগানের মালিক দিত, কেননা আশেপাশে তো দোকানপাট নেই। আর দিত স্যান্ডেল, ছাতা – পাতা তুলতে কাজে লাগে। মালিক এসব বাবদ বেতন থেকে কিছু কেটে নিত। কিন্তু দেখা গেল সব মিলিয়ে শ্রমিক খুব কম মাইনে পাচ্ছে। কত কম? ওই সময়ের রোজখাটা মজুরদের মজুরি থেকে অনেকটা কম। ওই সময় মানে ১৮৭০ দশকের কথা বলছি। তাহলে লোকগুলো কম মাইনেতেও বাগানে কাজ করত কেন? এর স্পষ্ট জবাব জানি না। মনেহয় মজুরের কাজ পেতে গেলে শহরে আসতে হত, অন্য জায়গায় যেতে হত। মোট কথা বাগানের ঘেরাটোপের বাইরে বেরোতে হত। আসাম সমাজের ঘাঁতঘোঁতগুলো জানতে হত। সে বড় সহজ কথা নয়। আর চুক্তিরও একটা ব্যাপার আছে। পালিয়ে যাওয়া শ্রমিকদের ধরে এনে জেলে রেখে শাস্তি দেওয়ার কথা পাওয়া যায়। জেল বলতে বাগানমালিক সাহেবদের জেল, সরকারি জেল না। সেই যো, বাগানের গান আছে না, সর্দার বলে কাম কাম/ বাবু বলে ধরি আন/ সাহেব বলে লিব পিঠের চাম... কাম আর চামের মাঝে কুলিরা থাকত। বাগান থেকে বেরোতে বড় একটা দেখা যায় নি।

    শ্রমিকদের আনা হত জলপথে। ব্রহ্মপুত্র বেয়ে জাহাজ উজিয়ে চলে যেত এক্কেবারে পূবদিকের কোণা ডিব্রুগড়, সদিয়া অবদি। ট্রেন আসামে অনেক পরে এসেছে। সড়ক পরিবহণ যুতের ছিল না। জলপথই ভরসা। লক্ষ্য করে দেখবেন আসামের শহরগুলো নদীর পারে পারে অবস্থিত। বা শহরের থেকে নদীঘাট খুব দূর নয়। জাহাজঘাটগুলো দিয়ে শ্রমিক আসত। আসত কয়লা। আর চা পাড়ি দিত কলকাতা। ইনপুট আর আউটপুট। শহরগুলো চা বাগানগুলোর পরিবহণ কেন্দ্র হিসেবে কাজ করত।

    সরকারি ট্রেন যদিও অনেক পরে এসেছে, শহরগুলোকে আশেপাশের বাগানগুলোর সাথে জোড়ার জন্য সরুলাইনের ট্রেন চলা শুরু করেছিল আগে থেকে। এই ট্রেনের জন্য বাগান মালিকরা টাকা ঢেলেছে। বাগান ঘুরে ঘুরে রেললাইন এসে পৌঁছোত নদীর তীরে। পাশে জাহাজঘাট। মাল ওঠাতে নামাতে ফালতু ঝামেলা পোয়াতে হবে না। একটাই পোবলেম, ফি মরসুম বানপানি উঠে এসে স্টেশন ডুবিয়ে দিত। তবে সে আর বছরে ক’দিন। রেলগাড়ি কু ঝিকঝিক করতে করতে পাহাড়কে পাশ কাটিয়ে আচমকা এসে পড়েছে কূলহারানো এক নদীর ধারে – ভারী মনোরম দৃশ্য বটে। এরম এক লাইনের কথা পড়লুম http://www.irfca.org/articles/tezpur-balipara.html

    রেল প্রসঙ্গে মনে পড়ল, বাঙালীর আসামে ঢোকার আরেকটা পথ রেল। ১৯৮০ সালে লেখা এক প্রবন্ধে পড়েছিলুম মালিগাঁও রেল কলোনির ৯০% অধিবাসী ঢাকা জেলার*। নিশ্চয়ই অতিকথণ আছে। কিন্তু রেলে বাঙালীরা মৌরসিপাট্টা জমিয়ে রেখেছে, আর তা স্থানীয়দের উষ্মার কারণ, এটা বোধহয় সত্যি।

    সে যাকগে। বাগানে শ্রমিক ইউনিয়ন বানানোর প্রশ্নই ওঠে নি বহুদিন যাবৎ। কংগ্রেস মারফত জাতীয়তাবাদী আন্দোলন আসামে এসে পৌঁছোয় ২০ শতক শুরু হয়ে যাওয়ার পরে। তখন শ্রমিক সংগঠণের কাজ শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ঠিক আগটা দিয়ে মানে ৩০-এর দশকে বাগানে দাবি দাওয়া নিয়ে কাজ হয়। বাগানের কাছাকাছি অঞ্চলের কংগ্রেস কর্মিরা বাগানে গিয়ে সংগঠিত করার চেষ্টা করে। কমিউনিস্ট পার্টি দুর্বল ছিল (সিপিআইয়ের কিছু জঙ্গী কাজকম্মো হয়েছিল, ডিগবয়ের পেট্রোলিয়াম শোধনাগারে)। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় চা বাগানগুলোতে বেশ কিছু হরতাল করা হয়, আংরেজ ভারত ছাড়ো’র লাইনে। এইসব পুরোনো লড়াইয়ের ফলে কংগ্রেসের চা শ্রমিক সংগঠণ আজকের দিনেও সবচেয়ে চা শ্রমিক বড় সংগঠণ। সেই যো বলা হয়, কংগ্রেসের ভোটভিত্তি ‘আলি কুলি বঙালী’ -- আর সব প্রবাদের মত এতে কিছু সত্য আছে। তবে যত বড় চা শ্রমিক সংগঠণ দেখি একটাও কাজের না। মালিকের তরফ থেকে বলছে না শ্রমিকের বোঝা যায় না। ক’দিন আগে মজুরি নিয়ে কাজিয়ার সময় দেখলুম কংগ্রেস নেতা বলছে আমাদের শ্রমিক সংগঠণ আমাদের কন্ট্রোলে নেই।

    *১৯৮০ মানে তখন আসাম আন্দোলন শীর্ষে। মালিগাঁও উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলের মূলকেন্দ্র, গুয়াহাটিতে। উক্ত প্রবন্ধ এক প্রখ্যাত অসমিয়া বুদ্ধিজীবীনীর লেখা। সর্বভারতীয় সারস্বতক্ষেত্রে নাম আছে ওনার।
  • সে | ২১ জুন ২০১৫ ০৯:৩৪680760
  • আপনি চমৎকার লেখেন।
  • b | 135.20.82.164 | ২১ জুন ২০১৫ ১১:৩০680761
  • নয়নজোৎ লাহিড়ি।
  • টেনি শর্মা | 122.79.37.132 | ২১ জুন ২০১৫ ১৫:৪০680763
  • অসাধারণ লেখাগুলি দাদা!! চা শ্রমিকদের জীবনে নকশাল আন্দোলনের কিরকম প্রভাব পড়েছিল???
  • টেনি শর্মা | 122.79.37.132 | ২১ জুন ২০১৫ ১৫:৪০680762
  • অসাধারণ লেখাগুলি দাদা!! চা শ্রমিকদের জীবনে নকশাল আন্দোলনের কিরকম প্রভাব পড়েছিল???
  • pi | 233.176.7.52 | ২১ জুন ২০১৫ ১৬:০০680764
  • ডিডিটিদা, চা বাগানের শ্রমিক আন্দোলন নিয়ে একটু বিস্তারিত লেখো। ছোট সংগঠনগুলোর কথা জানতে চাইছি, তাদের দাবিদাওয়া নিয়ে, কতটা কী সফল হয়েছে তাই নিয়ে।
    কার্বি আংলং এ দেখলাম, দিনে ১১৫ টাকা মজুরি, বাকি জায়গাতেও তাই কিনা জানিনা। এবার, এটা ন্যূনতম মজুরির থেকে কম না ? উত্তরবঙ্গে এবারের আন্দোলনে তো ৯০-৯৫ থেকে অল্প কিছু টাকা বাড়লো। শমীকদার একটা লেখায় পড়েছিলাম, 'মালিক পক্ষ একটি যুক্তি দেখান যে, চা-বাগানের শ্রমিকরা মজুরিটা কেবল টাকায় পান না। প্ল্যান্টেশন লেবার অ্যাক্ট ১৯৫১ বা অন্যান্য সমঝোতা অনুসারে তাঁরা কোয়ার্টার পান, চিকিৎসা পরিষেবা পান, রেশনে ভর্তুকি পান, জ্বালানী কাঠ পান; পান আরও এটা-ওটা-সেটা। মালিকরা বলে সেই হিসেবে মজুরিটা যথেষ্টই বেশি। তাই কি? তাহলে দক্ষিণ ভারতের কেরালা বা তামিলনাড়ুর চা-শ্রমিকরা যথাক্রমে দৈনিক ২২৫ টাকা আর ২১০ টাকা পাচ্ছেন যে! এর সঙ্গে আবাসন ও চিকিৎসা পরিষেবাও পাচ্ছেন। পশ্চিমবঙ্গে মজুরিটা মাত্রই ৯০-৯৫ টাকা কেন? ১০০ দিনের কাজেও তো মজুরি এর চেয়ে অনেক বেশি? কেরালা বা তামিলনাড়ুর চা কিন্তু নিকৃষ্ট মানের। দার্জিলিং চা-এর কথা ছেড়ে দিন। তরাই-ডুয়ার্সের চা-ও অনেক উৎকৃষ্ট। অথচ দক্ষিণ ভারতের শ্রমিকরা তুলনায় অনেক বেশি টাকা পান। দক্ষিণ ভারতের চা-মালিকরা নিজেদের ক্ষতি করে তা নিশ্চয়ই দেন না !'
    আসাম নিয়ে কিছু পড়িনি। তো , এখানে তো দেখি, কোয়ার্টার ফোয়ার্টারের কোন বালাই নেই। নিজেদের ঘর। বাগানের কোন চিকিৎসা পরিষেব্বাও
  • pi | 233.176.7.52 | ২১ জুন ২০১৫ ১৬:৩৮680765
  • ধুর ! এটা কোন ধরণের ইয়ার্কি রে বাবা, মাঝপথে পোস্ট হয়ে গেল !

    যাগ্গে, যা বলছিলাম, বাগানের কোন চিকিৎসা পরিষেবাও দেখিনি। কোন ডাক্তার , ওষুধ কিচ্ছুনা। জিগেশ করাতেও বলেছেন, এসব কিছু নেই। অন্যান্য কোন বেনিফিট আছে বলেও তো মনে হল না।
    তবে অনেককেই দেখলাম, চা বাগানের কাজের সাথে সাথে ক্ষেত আছে। মেয়েরাই মূলতঃ চা বাগান শ্রমিক। কার্বিদের মধ্যে এটা আরো বেশি। টি ট্রাইবের মধ্যেও কিছু লোকজনকে দেখলাম তাই, জমি আছে। এঁদের অবস্থা অতটা খারাপ নয়। তবে এই জমিজমাগুলো পার্টির দাক্ষিণ্যেও হতে পারে। ইন্সেক্টিসাইড ট্রিটেড মশারিও দেখলাম জোটে পার্টির কৃপায় ! এক এক ঘরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তিনখানি চারখানি করে পড়ে নষ্ট হচ্ছে, কিছু ঘরে একটিও নেই। যাদের ক্ষেত টেত নেই, তাদের অবস্থা বেশ খারাপ। এমন জায়গায় ঘর, জল কাদা ঠেঙিয়ে , চড়াই উৎরাই পেরিয়েই পৌঁছতেই লেগে যায় প্রচুর সময়, সেখান থেকে যে রোজ এঁরা যাতায়াত করেন কী করে কে জানে। বাচ্চারাও অনেকেই স্কুলে যায়না। বেশ ছোট বয়স থেকেই চা বাগানের কাজে লেগে যায়। যে মুলুকে ঘর , সেখানে যখন তখন হাতির আনাগোনা। হাতি এলেই এক ছুট টংঘরে।
    এই যে, টংঘর আর যাওয়ার 'রাস্তা' র কিছু ছবি।




  • pi | 233.176.7.52 | ২১ জুন ২০১৫ ১৬:৪৪680652
  • এবং , ঘর।
  • ddt | 81.192.247.76 | ২৩ জুন ২০১৫ ০১:০৮680653
  • দারুণ ছবি।
    ১১৫ টাকা ন্যূনতম মজুরির থেকে কম -- আসামে ন্যূনতম মজুরি 177 টাকা। মালিকের বলছে তফাতটা রেশন হাসপাতাল কোয়ার্টারের জন্য। বলা বাহুল্য এসব প্রায় সময়ই দেওয়া হয় না। ছোট সংগঠণদের কাজকম্মো নিয়ে বিশেষ জানি না। সম্প্রতি অখিল গগৈয়ের পার্টি কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি সোরগোল করছে। তবে তাদের ভিত্তি, সমর্থন চা বাগানে কতটা সন্দেহ আছে। তুমি কোন পার্টির কথা বলছ যারা মশারি দিচ্ছে?

    নকশাল আন্দোলনের কত প্রভাব পড়েছিল জানি না। কার্বি আংলং থেকে লিবারেশনের জয়ন্ত রংপি এম পি। কিন্তু পার্টির কাজ খুব গভীর ছিল বলে জানা নেই। ভাস্কর নন্দীর সংগঠণের কিছু কাজকম্মো ছিল চাষিদের মধ্যে।

    বুদ্ধিজীবীনীর নাম তিলোত্তমা মিশ্র। নয়নজোত অসমিয়া নন, পাঞ্জাবী সম্ভবত। প্রবন্ধের নাম Assam: a colonial hinterland. জাতীয়তাবাদী যুক্তিসমূহ (পাতে দেওয়ার মত) বেশ পাওয়া যাবে এতে।

    ডেটা ছড়িয়ে ফেলেছি, এই যো

    Till the time of collecting the last phase of data on 21st February, 1976. the NF Railway headquarters at Maligaon had in all 4,474 employees of whom nearly two-thirds (59 per cent) had their birthplaces outside A.ssam. Of the total number of em- ployees only 1,830 accounting for 41 per cent had their birtl places in A5sam (p 17).

    Another fact recorded by. the committee is that, among the 2,644 employees of the NF Railway Headquarters at Mali- gaon with birthplaces outside Assam, the bulk (1,504) are from erstwhile Dacca (now Bangladesh) accounting for 57 per cent, followed by 22 per cent from West Bengal. It has been further recorded that employees with Bengali as mother-tongue predominate all classes of jobs, from Class I to Class IV, ac- counting for 60 per cent of the total employees. Employees with Assamese as their mother-tongue constituted only 28 per cent.
  • ddt | 81.192.247.76 | ২৩ জুন ২০১৫ ০১:১০680654
  • "জয়ন্ত রংপি এম পি ছিলেন"
  • pi | 116.218.7.173 | ২৩ জুন ২০১৫ ০১:৫৭680655
  • বেশিরভাগই শুনছি কংগ্রেস থেকে দেওয়া। কার্বি লোকজনের সাথে বেশ কিছু কথাবার্তা হল ক'দিন। ইন ফ্যাক্ট ক'দিন আগে ভাটে লিখেছিলাম জয়ন্ত রংপি আর কার্বিদের আন্দোলন নিয়ে কোন ইংরাজীতে লেখাপত্তর পাওয়া যাবে কিনা।
    জয়ন্ত রংপি কে নিয়ে বেশ কিছু অদ্ভুত কথাবার্তা শুনলাম। অদ্ভুত বলতে, ওঁর সম্পত্তির যা সব নমুনা শুনলাম, কতটা ঠিক ভুল জানিনা, ঠিক হলে একজন লিবারেশনের নেতা হিসেবে খুব অদ্ভুতই লেগেছে।
    কনফ্যুশন আছে এঁদের দাবিদাওয়া নিয়েও। যদিও সেটা লোকভেদে বেশ কিছুটা বদলে যাচ্ছেও। কেউ বলছে, এখনকান কার্বিদের বা বলা বেটার কে এন এল এফের আন্দোলন স্রেফ উগ্রপন্থা, টাকা হাতানোর ধান্দা। স্টেটের দাবি এমন কিছু নয়, অটোনোমাস কাউন্সিল তো হয়েই গেছে। কার্বি সাধারণ মানুষের মধ্যেই এদের জন্য সমর্থন নেই, ভয় দেখিয়ে আনুগত্য ও টাকা পয়সা মুর্গি ছাগল ইঃ ইঃঃ দাবি করে। তো, আবার উল্টোদিকে এও শুনলাম, ভালই জনসমর্থন আছে, স্টেট ইস্যুতে। আজ যে গ্রামে কাজ করছিলাম, পি ডব্লু ডি র আপিসঘরের সামনে দাঁড়িয়ে শুনি কিছুদিন আগে ওটা জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, আর তাতে শামিল ছিলেন গ্রামের লোকেরাও। মার্কেটে গিয়ে শুনি, এখানেই এক দু বছর আগে গুলি করে মারা হয়েছিল ওখানকার সমস্ত বিহারী, মারওয়ারি লোকজনকে। আর তার ও জনসমর্থন নাকি ছিল। ঐ সব লোকজন নাকি স্টেটের ইন্ফর্মার হিসেবে কাজ করতেন বলে অভিযোগ। বেশ কন্ট্রাডিক্টরি স্টেটমেন্ট। কয়েকজন তো নিত্যি ভয় দেখাচ্ছেন, যেকোনো দিন কিডন্যাপ হতে পারি বলে। তখন নাকি এই সাধারণ কার্বি লোকজন বাঁচাতে আসবেন না। এমনকি, এঁদের মধ্যেই হয়তো কেউ ঐ 'উগ্রপন্থী'দের জন্য ইনফর্মার হিসেবে কাজ করবেন বা করছেন, ইতিমধ্যেই।
    ঠিক বিশ্বাস হতে চায়না। এত ভাল ব্যবহার পেয়েছি, পাচ্ছি।
    আর শিক্ষা নিয়ে পরে লিখবো, কিন্তু স্বাস্থ্য ব্যব্স্থার যা হাল দেখতে পাচ্ছি, এঁদের ক্ষোভ থাকলে কিছু আশ্চর্যের না। বরং সেরকম কোন ক্ষোভ দেখতে পাইনা, সেটাই আশ্চর্যের। এবার জানিনা, সেটা ভিতরে ভিতরে চাপা কিনা, আর ওদের ঐ সশস্ত্র গ্রুপের প্রতি সমর্থনের মধ্যেই তার বহিঃ প্রকাশ কিনা।

    হ্যাঁ, যা নিয়ে বলতে শুরু করেছিলাম, কংগ্রেসের মশারি দেওয়া নিয়ে। অনেকের কাছেই শুনলাম, জয়ন্ত রংপি হেরে যাবার একটা বড় কারণ হল, কংগ্রেস নাকি পুরো টাকা দিয়ে বেষ কিছু লোকজন্কে কিনে নিয়েছে ( তাঁরা অবশ্য জয়ন্ত বাবুর চোখে লাগার মত বিশাল সম্পত্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি )।
    । কিছু লোকজন যে প্রচুর ফুলেফেঁপে উঠেছে, বিশাল গুছিয়ে নিয়েছে, তা একেবারে দেখছিই অবশ্য, এবং প্রত্যেকেই প্র্রায় পার্টির সাথে যুক্ত হিসেবে, আগে কংগ্রেস ছিল, এখন বিজেপি এন্ট্রি নিচ্ছে। এন্ট্রি কীভাবে নিচ্ছে, তার এক দারুণ নমুনা দেখলাম ক'দিন আগে।
    অনেক গল্প।
    কিডন্যাপ ট্যাপ না হয়ে গেলে লেখা যাবে খন। ঃ)

    তবে চায়ের টইকে আবার পথে ফিরিয়ে আনি। শুনেছিলাম, কার্বি বা এরকম কোন উপজাতিদের সাথে এই অন্য জায়গা থেকে উপড়ে আনা টি ট্রাইব দের বিরোধ আছে। আসামে এসে থেকে বেশ কিছু ঘটনা পড়ে তা মনেও হয়েছিল। এর মধ্যে কতবার যে এই সব ইস্যুতে টি ট্রাইবদের বন`ধ দেখলাম। তো, সে যা হোক, এখানে কিন্তু মনে হল কার্বি আর টি ট্রাইবদের মধ্যে ভালই সম্পর্ক। পরস্পরের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ তো আছেই, এমনি রোজের যাতায়াত, গল্পগুজবও আছে মনে হল। ইন্টার উপজাতি বিয়ে অবশ্য এখনো দেখিনি ঃ)। সে অবশ্য ওদের নিজেদের মধ্যেই প্রচুর বাধা nইষেধ, নিজেদের ক্ল্যানে বিয়ে করা চলবে না, করলে অন্ত্যজ হয়ে থাকতে হবে, এইসব।

    সে যা হোক, আপাতত কার্বি আর টি ট্রাইব উপজাতি দুই বন্ধুর ছবি রইলো।

  • ddt | 81.192.247.76 | ২৩ জুন ২০১৫ ০২:১৩680656
  • চা জনজাতি বনাম লোকাল জনজাতিদের কাজিয়াটা কার্বি অঞ্চলে শুনি নি। নদীর উত্তর পারে এটা আছে, বোড়োদের সাথে। ডিসেম্বরে বোড়ো সন্ত্রাসীরা ৮০ জনকে গুলি করে মারল, তারা চা জনজাতি,

    http://www.thehindu.com/news/national/other-states/death-toll-rises-to-81-operations-launched-against-ndfb/article6727689.ece
  • b | 135.20.82.164 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৭:৫১680657
  • আসামের চা শ্রমিকদের নিয়ে বি বি সি-র গল্প
    http://www.bbc.com/news/world-asia-india-34173532

    বিঃ গা গুলানো ছবি আছে, বেশি ঘিনপিত থাকলে দেখবেন না।
  • I | 192.66.121.29 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৫ ১৯:৩১680658
  • এই টইটা বড় ভালো হয়েছিল।
  • pi | 192.66.35.167 | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ২৩:০১680659
  • সেদিন সার্ভে করতে গিয়ে ত্রিপুরায় এক দারুণ চা বাগান দেখলাম। সমবায় ক'রে চালান ওঁরা। দুর্গাবাড়ি টি এস্টেট। মূল কর্ণধার যিনি, বলছিলেন, কীভাবে বন্ধ হতে বসা চা বাগানকে সমবায় বানিয়ে ওঁরা বাঁচিয়েছেন, লাভজন্ক করেছেন। শ্রমিকদের ও অসন্তোষ নেই, ভাল আছেন, সমস্ত সিদ্ধান্ত নেন একসাথে । সব বেনিফিট টিট ঠিকভাবে পান, মজুরির সাথে সাথে। সত্যিই দেখলাম, শ্রমিকেরা অন্যান্য চা বাগানে যা দেখেছি, তার থেকে অনেক ভাল আছেন।

    এরকম সমবায় ওঁরা আরো কয়েকটা জায়গায় করেছেন শুনলাম। অন্য একটা চা বাগানের মালিক বহুকাল আগে অপহৃত হয়েছিলেন, আজও কোনো খবর নেই তাঁর, তারপর থেকে সে বাগান প্রায় ভুতুড়ে হয়ে পড়েছিল, তবে চায়ের পাতা তোলার কাজ চলত, অনেক শ্রমিক এর উপর ডিপেন্ডেন্ট। সেটাও ওঁরা কিনে চালাবেন শুনলাম।

    বলছিলেন, পব থেকেও নাকি সরকারি ও অন্যান্য লেভেলে আগে আর এখনো যোগাযোগ করেছে ওঁদের সাথে। সমবায় ক'রে চা বাগান চালানোর ব্যাপারে সাহায্যের জন্য। জানিনা কতটা কী ডেভেলপ করেছে, বা এটা কতটা কী সিরিয়াসলি করা হয়েছে বা হচ্ছে। তবে উনি বলছিলেন, এই সমবায় ক'রে চালানোর কাজ মোটেই সহজ নয়, অনেকেই পারেনি।

    অফিসে গিয়ে দেখলাম, চীনের উপ প্রধানমন্ত্রী থেকে ভিয়েতনামের মন্ত্রী, অন্য তাবড় তাবড় নেতা কারা সব ভিসিট করেছেন, তার ছবি।
    তবে দেওয়ালের বাকি ছবিগুলোও ইন্টারেস্টিং। রবীন্দ্রনাথ থেকে শরৎচন্দ্র, মার্ক্স থেকে নেতাজী হয়ে জ্যোতি বসু, সবাই আছেন ঃ)







    এদিকে পব র এই খবরটা পড়ে ভাল লাগল।

    As workers and their dependents continue to die due to malnutrition and lack of medical treatment in the tea gardens of Dooars, a nationallevel forum has been set up to work as a pressure group.
    The forum would try to find a solution to the ongoing problems in the tea industry, which employs more than three lakh workers.
    The forum, which is yet to be named, would hold its first national convention here on November 22 during which it would announce its ‘Siliguri Declaration’.
    Sukman Moktan, a social activist from Bagrakote in the Dooars, where recently many workers died due to malnutrition and lack of medical treatment in a tea garden, said, “The state government and the Centre’s failure to reopen closed and abandoned tea gardens has necessitated a prolonged movement involving intellectuals, academicians, social activists, researchers, lawyers, journalists and tea garden workers.”
    Moktan, who has been made the coordinator, said the decision to form the national-level forum was taken at a meeting held at Bagrakote last Saturday.
    The 16 tea gardens in Darjeeling hills, Terai and the Dooars are reeling under serious crisis. Thousands of workers have not been paid their wages, rations, provident fund, gratuity and other statutory benefits for months.

    http://paper.hindustantimes.com/epaper/viewer.aspx?noredirect=true

    কিন্তু এনারা কি এই সমবায় প্রথায় কিছু ভাবছেন ? দুর্গাবাড়ির সাথে যোগাযোগ করলে ভাল হত মনে হয়।
  • pi | 192.66.35.167 | ১৯ নভেম্বর ২০১৫ ২৩:২৪680660
  • শুভদীপ মনে করিয়ে দিলেন, শর্মিষ্ঠার ডুয়ার্সের ডায়রিতে দুর্গাবাড়ির কথা ছিল। সেজন্যেই নামটা চেনা লেগেছিল, কিন্তু আর কিছুই মনে ছিল না ! এখন পড়তে গিয়ে দেখি অনেক বছর আগের লেখার সাথে আমার দেখাও মিলে যাচ্ছে। অন্ততঃ শ্রমিকদের বাড়িঘর , অবস্থা যা দেখেছি, যেটুকু কথা বলেছি। অন্য অনেক চা বাগানের অবস্থার চেয়ে চোখে পড়ার মত তফাতই বটে ! তাহলে চাইলে, চেষ্টা করলে সমবায়ও সফল করা যায় ?

    শর্মিষ্ঠার লেখার ঐ অংশটা রইলোঃ

    '...এই শ্রমিক সমবায়ের কথা বলতে একটা অভিজ্ঞতার কথা মনে এল। বলতে ইচ্ছা করছে। তোমাকে এইটা লিখতে চাই বলায় বলেছিলে যে ডুয়ার্সের ডায়রি যেন ত্রিপুরা নিয়ে থিওরি না হয়ে যায়। আসলে সেটা বিষয় না। কেন ত্রিপুরার কথা মাথায় এলো সেটাই বলার। ২০১১ তে কি হবে জানিনা। মনে হয় এই সরকারটা আর থাকবে না। হাওয়া তাই বলে। তবে এই সময় পর্যন্ত ত্রিপুরা আর পশ্চিমবঙ্গের যে মিলটুকু আছে তা হল সেখানে আর আমাদের এখানে দুই জায়গাতেই বামফ্রন্টের শাসন। এই বামফ্রন্ট, পশ্চিমবঙ্গের এই কম্যুনিস্টদের সাথে শাসন, জামানা শব্দগুলি বেশ যায়, তাই না? যাই হোক, বামফ্রন্টকে খোঁচা দেবার বিশেষ বাসনা আমার নেই। শুধু একটু তুলনা মূলক আলোচনা করার ইচ্ছা আছে। কারন ত্রিপুরা আর আমাদের পশ্চিমবঙ্গের বামফ্রন্টেও মিল এর সাথে সাথে একটা অমিলও আছে। এখানে অনেক অনেক পুঁজি আছে আর ত্রিপুরায় পুঁজি সেই অর্থে ঢোকেনি বললেই চলে। পুঁজি না থাকলে যা হয়, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী রিক্সা করে আমজনতার মত বাজার করেন। পুঁজি থাকলে মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী প্রায় ফার্স্টলেডি হয়ে যান। এসকল সহজ পার্থক্য আছে আরকি। আবারও অজান্তে বামেদের খোঁচা দিয়ে ফেলেছি। আসল বিষয়ে আসা যাক। আমরা ২০০৭ সালে ত্রিপুরা গিয়েছিলাম চা শিল্পে শ্রমিক সমবায় দেখতে, অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে। কারণ আমাদের প্রতি মুহূর্তেই মনে হয় শ্রমিক সমবায় হল শ্রমিক আন্দোলনের ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কাছে একটা শক্তিশালী হাতিয়ার। মিছিল মিটিং আর ধর্মঘটে তেমন আর কাজ হয়না। ওগুলি বর্তমানে ট্রেড ইউনিয়ন নেতাদের ব্যবসা করার এক একটা মাধ্যম। একটা ধর্মঘট তুলে দেওয়ার জন্য একটা মোটা টাকার বায়না। মুম্বাইয়া ভাষায় বললে বলা যায় শ্রমিক আন্দোলন খতম করার সুপারি।

    ২০০৭ সালে ত্রিপুরা গিয়ে জানতে পারলাম সেখানে চা-এ ১৩টি শ্রমিক সমবায় আছে। এই ১৩টি শ্রমিক সমবায়ের মধ্যে একটি ছাড়া সবগুলিই খুব ছোট ছোট। কারখানা নেই প্রায় কোনওটাতেই। তারা কাঁচা পাতা বিক্রি করে কাছের কোন বড় বাগানে। কিন্তু একটি বাগান খুবই বড়। বাগানটা খুব বড় এমনটা না, তবে তার কর্মকান্ড বিশাল। আর সেই বাগানটির কথা শুনেই আমরা ত্রিপুরা গিয়েছিলাম। বাকি বাগানগুলোর কথা জানতে পেরেছিলাম সেখানে গিয়ে। বড় বাগানটির নাম দুর্গাবাড়ি। ১৯৭৮ সালে দুর্গাবাড়ি শ্রমিক সমবায় গড়ার উদ্যোগ শুরু হয়। ১৯৮২ সালে তারা রেজিস্ট্রেশন পায়। এই প্রক্রিয়া শুরুর আগে ১০ বছর বাগানটি বন্ধ ছিল। বহু শ্রমিক বাগান ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন বিকল্প কাজের সন্ধানে, বহু শ্রমিক আর তাদের পরিবারের মানুষের মৃত্যু হয়েছিল না খেতে পেয়ে। আজ এই বাগানটির নাম চা বাগানের কথা যাঁরা জানেন, তাঁরা সবাই জানেন।

    আমি এখানে আমার অভিজ্ঞতার কথাই বলব। দুর্গাবাড়ি নিয়ে বিস্তারিত লিখেছিলাম আমরা আলাদা একটা রিপোর্টে। সেখানে নানা রকমের সংখ্যা, তথ্য দেওয়া আছে। আমি সেইসব সংখ্যায় বা তথ্যে যাব না। আমি সেখানে যা শুনেছি, যা দেখেছি সেটাই লিখব।

    দুর্গাবাড়ি পৌঁছে যে মানুষটার সাথে দেখা না করলে দুর্গাবাড়িকে ভালো করে জানা যায়না তার নাম শ্রী সুধাময় মজুমদার। সকলে তাঁকে পানুদা বলেই চেনেন। ৮২ বছরের যুবক পানুদা। এখনো রোজ সকালবেলা বাগানে চলে আসেন। কিলোমিটার ছয়েক হাঁটেন বাগানে। সবার সাথে সুখ দু:খের কথা বলেন। আর সবার সাথে পরিকল্পনা করেন আরও কী কী করা যায় বাগানের জন্য।

    বাগানটিকে শ্রমিক সমবায় বানানোর পরিকল্পনা পানু মজুমদারের ছিলনা। সেই সময় তিনি ছিলেন সিপিআইএম এর পার্টি কর্মী। পানুদার কথায়, "নৃপেনদা আমাকে ডেকে বললেন যে দুর্গাবাড়িতে একটা শ্রমিক সমবায় গড়তে হবে। ওখানকার মানুষগুলো না খেতে পেয়ে মরে যাচ্ছে। বাগান থাকতে মানুষগুলো মরে যাবে এটা ঠিক না। আর শ্রমিকরাই পারে বাগান গড়তে আর বাগান চালাতে। আমি বলেছিলাম কিন্তু এই কাজ আমি করতে পারব না। আমি পার্টি কর্মী, আমার কাজ পার্টি করা। তাতে নৃপেনদা বলেছিলেন পার্টি করার কাজটা শ্রমিক সমবায় গড়ার কাজের থেকে কিভাবে আলাদা সেটা বুঝিয়ে দিতে। আমি বোঝাতে পারিনি। নৃপেনদা আমাকে পাঠিয়ে দিলেন দুর্গাবাড়ি।" এই ছিল পানুদার কথা। আরও অভিজ্ঞতার কথা শুনেছিলাম পানুদার কাছে। দিনের বেলা তো বটেই, কিভাবে রাতের পর রাতও ওঁরা কাজ করেছেন বাগানের উন্নতির জন্য। ত্রিপুরার ত্‌ৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নৃপেন চক্রবর্তী সরকারি ভাবেও সমস্ত ধরনের সহযোগিতা করেছিলেন ওঁদের। পরবর্তী কালে টি বোর্ড সহ নাবার্ডের কাছ থেকে লোনেরও ব্যবস্থা করেছিলেন ওঁদের জন্য। পানুদা বলেছিলেন যে কম্যুনিস্টরা সরকারে থাকলে সরকার পক্ষে থাকবে সাধারণ মানুষের এটাই তো শিক্ষা, এটাই তো ভরসা। কথাগুলি শুনতে শুনতে ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কাদের সাথে কথা বলছি। আমরা পশ্চিমবঙ্গের সিপিএম দেখে অভ্যস্ত। একই পার্টি, একই শ্রমিক সংগঠন, অথচ পুঁজির উপস্থিতির মাত্রার বদলে এখানে তাদের ভাষাই বদলে গেছে। বদলে গেছে যুক্তি।

    পানুদার কথাগুলি শুনেও মনের মধ্যে একটা সন্দেহের জায়গা তখনও ছিল। সেটা এই যে, বলছেন তো অনেক কথা, সত্যিই করছেন কিনা। জিজ্ঞাসা করলাম শ্রমিকদের কোয়ার্টারগুলো দেখা যাবে কিনা। তাদের সাথে কথা বলা যাবে কিনা। এখনকার অভিজ্ঞতায় জানি যে, এমন ইচ্ছা প্রকাশ করলে স্থানীয় নেতারা সঙ্গ দেয়। যাতে শ্রমিকরা তাদের কারনামা ফাঁস না করে দেয়। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই বললাম ওনাকে সঙ্গ দিতে বললাম আমরা। উনি খুব স্বাভাবিক ভাবেই বললেন আমরা যেন স্বাধীনভাবে যাই। শ্রমিকদের মধ্যে, যারা আসলে এই বাগানের মালিক, যদি কোনও ক্ষোভ থেকে থাকে তারা স্বাধীনভাবেই বলতে পারবেন। এমন আচরণও আমাদের কাছে খুবই নতুন। এমনটা আমাদের পশ্চিমবঙ্গে কখনও হয়নি।

    এক এক করে শ্রমিকদের ঘরে ঢুকে পড়ছিলাম। তারাও বেশ আদর করেই আমাদের চা খাওয়ার জন্য ডাকছিলেন। একজন বয়স্ক শ্রমিক বললেন। "এখন একটু কষ্টে আছি আমরা। এই দুই বছর। কারণ আমরা ফ্যাক্টরি বানানোর জন্য ২ কোটি টাকা লোন নিয়েছিলাম। তাই সব কিছু নিতে পারছিনা। এই বছর সব লোন শোধ হয়ে যাবে তখন আমরা আরও ভালো ভাবে থাকতে পারব।"

    এখানে শ্রমিকদের ভাঙাচোরা ঘর দেখেই অভ্যস্ত। ওখানে গিয়ে দেখলাম প্রত্যেক শ্রমিকের সুন্দর কোয়ার্টার। তাতে নানা আসবাব আছে। সেগুলিও তারা সমবায় থেকে বাৎসরিক উপহার হিসাবে কিছু কিছু পেয়েছেন। আবার শ্রমিকরা কিনেছেনও। এখানে শ্রমিক কোয়ার্টারে বাথরুম বা পায়খানার কোন অস্তিত্বই নেই। ওখানে সবকটি শ্রমিক কোয়ার্টারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন বাথরুম পায়খানা দেখতে পেলাম। অঢেল জল। সব কোয়ার্টারে। যা আমরা এই পশ্চিমবঙ্গে খুব পুঁজিওয়ালা টাটার বাগানেও দেখিনা। পুঁজি তো টাটার। শ্রমিকের কী? বিদ্যুতের ব্যবস্থা আছে প্রত্যেক কোয়ার্টারে। সমবায় সব শ্রমিকদেরই ইলেক্ট্রিক পাখা কিনে দিয়েছে। গ্যাস ওভেন কিনে দিয়েছে সমবায় সব শ্রমিক পরিবারের জন্য। মাসে একটা করে গ্যাস সিলিন্ডার বরাদ্দ সব শ্রমিক পরিবারের জন্য। ঐটাই লোন পরিশোধের জন্য একবছর ধরে দেওয়া হচ্ছেনা। একথা জানালেন সব শ্রমিকরা। তাতে তাদের কোন কষ্ট দেখলাম না। বরং তারা ভাবছেন যত দ্রুত লোন শোধ হবে ততই তাদের জন্য ভালো। দুই বছর ঐটুকু ত্যাগ করাই যায়। এই ত্যাগের ধারনাটাই আমাদের এখানে মালিকের বঞ্চনায় সব অধিকার বাধ্যতামূলক ত্যাগের মত লাগেনি। ওখানে তাঁরা নিজেরাই অংশ নিচ্ছিলেন। এবং সমবায় থেকে সব সুবিধা শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে বিনা পয়সায়।

    এরপর আরও আছে দেওয়ার তালিকা। প্রত্যেক শ্রমিক পরিবারের বাচ্চাদের মাধ্যমিক পর্যন্ত পড়া, বইপত্র, স্কুলের পোষাক বিনামূল্যে সমবায় তাদের দেয়। একজন ফিজিক্যাল এডুকেশনের শিক্ষককে তাঁরা বাগানে নিয়োগ করেছেন শিশুদের খেলাধুলা শেখানোর জন্য। উচ্চশিক্ষার জন্য সমবায় যতটা সম্ভব সাহায্য করে তবে পাশাপাশি তাদেরও টিউশনি করে কিছুটা টাকা রোজগার করার জন্য উৎসাহ দেয়। বাগানে কোনও হাসপাতাল নেই। কিন্তু কাছেই সরকারি হাসপাতাল রয়েছে। বাগানে আছে অ্যাম্বুলেন্স। অসুস্থ শ্রমিক বা তাঁদের পরিবারের যে কোন অসুস্থ ব্যক্তির জন্য অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেওয়া হয় বিনা পয়সায়। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয় বহন করে সমবায়। খুব খরচ সাপেক্ষ জটিল রোগের ক্ষেত্রেও। পুকুর কেটে মাছের চাষও করে সমবায়। শ্রমিকদের পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠান, বা পূজা-পার্বণে বিনা পয়সায় যাতে শ্রমিকরা মাছ খেতে পারে। শ্রমিকদের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে কিচেন গার্ডেন করতে নিজেদের কোয়ার্টারের খোলা জায়গার মধ্যে। তাদের ছাগল, গরু, শুয়োর, হাঁস, মুরগি পোষার জন্যও উৎসাহিত করেছে সমবায়। ঋণও দেওয়া হয়েছে বিনা সুদে। যাতে তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী শাকসব্জি, প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খেতে পারে। ফলের বাগান করা হয়েছে বাগানের অব্যবহৃত জমিতে। সেই ফল শ্রমিকদের মধ্যেই ভাগ করে দেওয়া হয়। কেমন যেন আজব দুনিয়া লাগছিল দেখতে। অন্য রকম। যদিও বড্ড বেশি পানুদা নির্ভর। ঈশ্বরের মত করেই দেখেন সবাই পানুদাকে। তা দেখুক। নিন্দুকের চোখ নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে কোথাও কিছু না পেয়ে এখন এইসব যুক্তি বানাচ্ছি।'
    http://www.guruchandali.com/default/2010/01/03/1262491620000.html
  • Div0 | 132.171.174.233 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ০০:০৩680661
  • আলোচনার গতিপ্রকৃতি না দেখেই জেনেরিক চা নিয়ে মতামত লিপিবদ্ধ করে যাই -

    ১) Darjeeling Tea Boutique - Darjeeling Autumn Flush Black Tea - Jungpana
    Contact: | +91-85097-52577 / +91-354-2252929 | [email protected]

    ২) Makaibari Tea Estate - Makaibari Silver Green First Flush
    Contact: http://www.makaibari.com/ | + 91-33-22486017 / +91-8906515888 | [email protected]

    দুজনেই অনলাইন ডেলিভারি দেয়।
  • কল্লোল | 111.63.66.196 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ০৭:৪৮680663
  • দূর্গাবাড়ি সমবায় নিয়ে বিস্তারিত জানতে চাই।
  • pi | 24.139.209.3 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৩১680664
  • পানুবাবুর সাথে কথা বলবে ?
  • কল্লোল | 125.185.147.162 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৬:১৪680665
  • বলবো।
  • 0 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৭:১৪680666
  • শর্মিষ্ঠার লেখায় পানুদার বয়ানে - "...শ্রমিকদের মধ্যে, যারা আসলে এই বাগানের মালিক..."

    অনেকগুলো প্রশ্ন মনে আসছে।

    ১)ওনারশিপ-শেয়ার কি তাহলে সব স্থায়ী শ্রমিকের নেই?
    ২)সব স্থায়ী শ্রমিক কি কোঅপারেটিভের মেম্বার ন'ন?
    ৩) সব মেম্বারেরই কি ওনারশিপ-শেয়ার আছে? নাকি শুধু ম্যানেজিং-মেম্বারদের মধ্যেই সেটা সীমিত?
    ৪) সমস্ত খরচ (প্রোডাকশন-নন্‌হিউম্যান্‌রিসোর্স ও হিউমান্‌রিসোর্স কস্ট্‌ ও মেন্টেনেন্স্‌'প্রভিশন) বাদ দেবার পর সারপ্লাস প্রোসীড্‌স্‌ কিভাবে ডিসট্রিব্যুটেড হয়?
    ৫) ওপরের সারপ্লাস থেকে শ্রমিকরা কি ডিভিডেন্ড্‌ পায়?
  • pi | 192.66.42.78 | ২০ নভেম্বর ২০১৫ ১৮:২৬680667
  • মেইল দ্যাখো কল্লোলদা।

    শূন্য, পানুদা যা যা বলেছেন, সেগুলো এরকম,

    ১। প্রায় সব স্থায়ী শ্রমিকেরই আছে। কেবল একদম নতুন যাঁরা আসেন, তাঁদের কিছুদিন যাচাই ( হ্যাঁ, এই শব্দটাই উনি বললেন) ক'রে নিয়ে তারপর সদস্য করা হয়।
    ২। হ্যাঁ, সবাই সদস্য।
    ৩। সবারই ওনারশিপ শেয়ার আছে।
    ৪। উনি কী একটা ল ( বার্লো ? যাহোক, আমার এনিয়ে কোন আউডোয়া নেই, শুনে ঠিকমত বুঝতেও পারিনি )এর কথা বললেন তাতে ওরকম ডিস্ট্রিবিউশনের কথা ঠিক করা যায়না বা এরকম কিছু। সারপ্লাস নিয়ে যেটা করেন, সেটা হল বোনাস বা অন্য কোন ফেসিলিটি, গ্যাস সিলিন্ডার টার এইসব হিসেবে দিয়ে দেওয়া।

    ---

    এমনিতে প্রায় সবাইই স্থায়ী শ্রমিক। বাড়িঘর , খাতা বইয়ের খরচ তো দেওয়া হয়েছেই, সাথে চিকিৎসাও ফ্রি। শর্মিষ্ঠা লিখেছেন ওঁদের হাসপাতাল নেই। কিন্তু আমি যদ্দুর মনে পড়ছে শুনলাম, আছে। এখন হয়ে থাকতে পারে। এছাড়া অন্য কোথাও চিকিৎসা করলে সেই খরচও দিয়ে দেওয়া হয়।

    পব এর কিছু বন্ধ চা বাগানের শ্রমিকেরাও এসেছিলেন নাকি ওঁর কাছে। কিন্ত তাঁরা নাকি সাহস করছেন না, সমবায় করতে। এত ইউনিয়ন, এত ভাগাভাগি। তো, উনি বলেছিলেন, দুর্দিনে তো সব ভেদাভেদ ভুলে একসাথে, সব পার্টি এক হয়েই কাজ করতে হয়। করলে সেভাবেই সমবায় করতে হবে। কিন্তু সে নাকি আর করে উঠতে পারেনি লোকজন।

    ও হ্যাঁ, আরেকটা কথা তো বলতে ভুলেই গেছিলাম। ঘরে ঢুকতে আর যেটা নজরে পড়ে, অনেক প্রাইজ আর সার্টিফিকেট। সমবায় নিয়ে তো আছেই, এ্ছাড়া নাচের। আলাদা করে নাচ গান শেখানো হয়। নানা রকমের নাচ। ঝুমুর ছাড়াও। সেই নাচের নানা প্রতিযোগিতায় সেরার পুরস্কার।
  • 0 | ২৭ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৩৮680668
  • pi, খুব খুব সরি। কিক'রে হলো জানিনা, এত্তোদিন দেখিই নি :-( এক্ষুনি ইস্লামফোবিয়া টইতে ইকোনমিক্স্‌ সংক্রান্ত একটা কমেন্ট পড়তে গিয়ে মনে পড়ায় এটা খুঁজেপেতে বের ক'রে পড়লাম।
    থ্যাংক্‌স্‌ :-)
    পানুদা কোঅপারেটিভের Bye Lawএর কথা বলেছেন। এটা প্রত্যেক সোসাইটির জন্যে আলাদা হয়। মেম্বারদের কাজকর্মের পদ্ধতি, নিয়ম, এসব ওতে থাকে।
    খুব সুন্দর একটা কাজ উনি করে চলেছেন। এতো ইনস্পায়ারিং! এমন জীবনই যেন সার্থক মনে হয়।
  • pi | 24.139.209.3 | ২৫ মার্চ ২০১৬ ১৪:১৪680669
  • এই টইটাও তুলে দিলাম। চা বাগান মজুরি, সমবায় নিয়ে এখানেও কথা হয়েছিল।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আদরবাসামূলক মতামত দিন