এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • নারী স্বাধীনতা নিয়ে কিছু কথা

    aseem gupta
    অন্যান্য | ১০ জুলাই ২০১৩ | ১৫০৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • aseem gupta | 122.79.36.32 | ১০ জুলাই ২০১৩ ১৩:০৯618639
  • আমার নাম অসীম গুপ্ত। আমার বর্তমান বয়স ৭৬। আমি বহুদিন যাবত অবসরপ্রাপ্ত। এই গুরুচন্ডালির একেবারে জন্মলগ্ন থেকে আমি এর সাথে পরিচিত। বাংলা লাইভের মজলিসের তদানীন্তন বহু বন্ধু এই গুরুচন্ডালীর প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু ওরা এখানে এসে প্রায়ই অশোভন উক্তি করত। সেটা আমার ভালো লাগত না বলে আমি সেইভাবে গুরুচন্ডালির সাথে নিজেকে যুক্ত করি নি। আমি এখনো বাংলা লাইভের একজন সক্রিয় সদস্য। ওখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। আমার এক পরিচিত বন্ধু এখানের সম্বন্ধে আমার আগেকার ধারনার ভুল ভাঙ্গালে এবং আমাকে এখানে কিছু লেখালেখি করতে বলল। ওর উত্সাহে আমি এখানে কিছু লিখতে গিয়ে আমার ভূমিকা দিলাম। আশা করি এখানের পাঠকবৃন্দ আমার এই ভূমিকাতে বিরক্ত বোধ করবে না।
    এবারে মূল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই। গত ৮ই জুলাইয়ের একটি ইংরাজি পত্রিকাতে একটি খবর দেখে একটু চমকে উঠেছিলাম। . মনে মনে এই নিয়ে সারাদিন চিন্তিত ছিলাম এবং কিছু লেখার তাগিদে আলোড়ন উঠেছিল বারে বারে। সেই তাগিদেই এই লেখা। তবে আমি কোনো বশেষ মহিলাকূলের দিকে তাকিয়ে এই লেখা লিখছি না।
    এবার মূল খবরে আসা যাক। খবরে প্রকাশ যে মহান গণতান্ত্রিক ভারতের রাজধানী দিল্লীর মহিলারা গত ২০১২-১৩ বর্ষের পরিসংখ্যানে সর্বাধিক সংখ্যায় বিদেশে বসবাসকারী উচ্চশিক্ষিত বিত্তশালী সুচাকুরে এন আর আই স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্তের তালিকাভুক্তি হয়ে এক বিরল নজিরের সৃষ্টি করেছেন।
    মেয়েদের জন্যে গঠিত জাতীয় কমিশনের এন আর আই বিভাগ ( এন সি ডব্লিউ) তাদের ২০১২-১৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছেন যে দিল্লীর মেয়েরা এই এক বছরে সর্বাধিক ৫৯তি এরূপ প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ইতি পূর্বে এরূপ প্রতারনার শিকারের খবর পাওয়া গেছে মূলত পাঞ্জাব রাজ্যের গ্রামের অর্তশালী পরিবারের মেয়েদের মধ্যে। এই সমস্ত ঘটনাতে বিবাহের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই এন আর আই স্বামীরা স্ত্রীদের অন্ধকারে ফেলে রেখে প্রচুর ধন দৌলত ও যৌতুক সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে যেতেন। ফিরে যাবার সময় এই সব পতিদেবতারা স্ত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের মিথ্যা স্তোক বাক্য দিয়ে শীঘ্র তাদের নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতেন। কিন্তু তারা আর ফিরে আসতেন না। সেই পান্জাবেই অভিভাবকদের করা অনুশাসনে ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরে এই প্রতারনার সংখ্যা গত বছরে ৩০ দাড়িয়েছে। সর্ব ভারতীয় স্তরে পাঞ্জাব এখন শীর্ষস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে এসে নেমেছে। বিস্মিত হতে হয় যে রাজধানী দিল্লীর ঝা চকচকে উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদে চাকুরিরত মহিলারা কি করে এই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এত সংখ্যাতে।
    নারী স্বাধীনতা নিয়ে চারিদিকে যখন নারীরা চারিদিকে এত সোচ্চার হচ্ছেন এবং পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের শ্রাদ্ধ করছেন বিভিন্ন সভা সমিতি ও অনুশ্হ্থানে সেখানে দিল্লীর এই সব উচ্চ শিক্ষিতো মহিলাদের এরূপ আচরণ বিরাট ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে আমাদের চিন্তাধারাকে। কিছুদিন আগেই একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাতে মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের মানসিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল বিস্তারিতভাবে। সেখানে আধুনিক শিক্ষিত মেয়েরা সোজাসুজি জানিয়েছিলেন যে ২৫-৩০ বছরে বিয়ে করার কথা ভাবাই যায় না। ৩০শের পরে বিয়ের কথা ভাবলেও তখন শিক্ষাগত ও কর্মগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই যায়। ৩৫ বছরের পরে যদি বিয়ের কথা ভেবে দেখতেই হয় তবে মনের মতন পুরুষঃ পেলে বিয়ে করতে হবে তার কোনো দরকার নেই। এখন তো একত্রে বিয়ে না করে সহবাস কোরেই বিয়ের সব কিছু আনন্দ ভোগ করে নেওয়া যায়।
    এর পরেই দিল্লীর মেয়েদের বিয়ের জন্যে হন্যে হয়ে নেটে বৈবাহিল স্তম্ভ খুঁজে পাত্র দেখার ব্যাপারটার ভাবনা চিন্তা কিরকম বিপরীত মনোভাবের দ্যোতনা বলেই মনে হয়। বিয়ের জন্যে এই সব উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদের অধিষ্ঠিত মেয়েরা বিদেশ যাওয়া না বিদেশের এন আর আই স্বামীদের সম্পত্তির লোভে পতঙ্গের মত এই প্রতারনার ফাঁদে ঝাপ দিচ্ছেন। কারণ বোঝা খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এখন বিদেশে বসবাসকারী কোনো ছেলের বিশদ বিবরণ যোগার করা খুব একটা শক্ত ব্যাপার নয়। কিন্তু তত্সত্ত্বেও এই সব মেয়েরা কেন এমন সব মহপাশে জড়িয়ে পড়ে কোনো কিছু খোঁজ না নিয়ে এই অনিশ্চিতের পথে ঝাঁপ দিয়ে এই প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এটা এখনো আমার কাছে বিরাট হেয়ালী বলে মনে হচ্ছে! এদের অভিভাবকেরাও কেন মেয়েদের কথাতে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে নিজের মেয়েদের জীবনের সর্বনাশের ভাগী হচ্ছেন সেটাও বড় প্রশ্ন।
    অন্যদিকে আজকের আমাদের গ্রামের নিম্নবর্গের মেয়েদের ভিতরে যে জাগরণ ও চেতনা দিন দিন বাড়ছে সেগুলো বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এরা সাবালিকা না হয়ে , অন্যুন পড়াশুনা না শিখে এবং গরীব বাবা মাকে অভাবের মধ্যে যৌতুক না দিতে হয় তার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয় তখন গর্বে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে যায়।
    এই দুটো বিপরীতমুখী মেয়েদের চিন্তার ধারণ দেখে মনের গভীরে বিরাট প্রাশ্নাচিহ্নের জন্যেই এই এখানে আমার প্রথম চিঠি।
    শুভেচ্ছান্তে
    অসীম গুপ্ত।
  • Aseem Gupta | 30.139.67.50 | ১০ জুলাই ২০১৩ ১৬:০৫618641
  • স্নেহের অসীম তোমার অসীম ধৈর্য, তুমি পাতার পার পাতা টাইপ করতে পর।
  • aseem gupta | 30.139.67.50 | ১০ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৪618642
  • আমার নাম অসীম গুপ্ত। আমার বর্তমান বয়স ৭৬। আমি বহুদিন যাবত অবসরপ্রাপ্ত। এই গুরুচন্ডালির একেবারে জন্মলগ্ন থেকে আমি এর সাথে পরিচিত। বাংলা লাইভের মজলিসের তদানীন্তন বহু বন্ধু এই গুরুচন্ডালীর প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু ওরা এখানে এসে প্রায়ই অশোভন উক্তি করত। সেটা আমার ভালো লাগত না বলে আমি সেইভাবে গুরুচন্ডালির সাথে নিজেকে যুক্ত করি নি। আমি এখনো বাংলা লাইভের একজন সক্রিয় সদস্য। ওখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। আমার এক পরিচিত বন্ধু এখানের সম্বন্ধে আমার আগেকার ধারনার ভুল ভাঙ্গালে এবং আমাকে এখানে কিছু লেখালেখি করতে বলল। ওর উত্সাহে আমি এখানে কিছু লিখতে গিয়ে আমার ভূমিকা দিলাম। আশা করি এখানের পাঠকবৃন্দ আমার এই ভূমিকাতে বিরক্ত বোধ করবে না।
    এবারে মূল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই। গত ৮ই জুলাইয়ের একটি ইংরাজি পত্রিকাতে একটি খবর দেখে একটু চমকে উঠেছিলাম। . মনে মনে এই নিয়ে সারাদিন চিন্তিত ছিলাম এবং কিছু লেখার তাগিদে আলোড়ন উঠেছিল বারে বারে। সেই তাগিদেই এই লেখা। তবে আমি কোনো বশেষ মহিলাকূলের দিকে তাকিয়ে এই লেখা লিখছি না।
    এবার মূল খবরে আসা যাক। খবরে প্রকাশ যে মহান গণতান্ত্রিক ভারতের রাজধানী দিল্লীর মহিলারা গত ২০১২-১৩ বর্ষের পরিসংখ্যানে সর্বাধিক সংখ্যায় বিদেশে বসবাসকারী উচ্চশিক্ষিত বিত্তশালী সুচাকুরে এন আর আই স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্তের তালিকাভুক্তি হয়ে এক বিরল নজিরের সৃষ্টি করেছেন।
    মেয়েদের জন্যে গঠিত জাতীয় কমিশনের এন আর আই বিভাগ ( এন সি ডব্লিউ) তাদের ২০১২-১৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছেন যে দিল্লীর মেয়েরা এই এক বছরে সর্বাধিক ৫৯তি এরূপ প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ইতি পূর্বে এরূপ প্রতারনার শিকারের খবর পাওয়া গেছে মূলত পাঞ্জাব রাজ্যের গ্রামের অর্তশালী পরিবারের মেয়েদের মধ্যে। এই সমস্ত ঘটনাতে বিবাহের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই এন আর আই স্বামীরা স্ত্রীদের অন্ধকারে ফেলে রেখে প্রচুর ধন দৌলত ও যৌতুক সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে যেতেন। ফিরে যাবার সময় এই সব পতিদেবতারা স্ত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের মিথ্যা স্তোক বাক্য দিয়ে শীঘ্র তাদের নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতেন। কিন্তু তারা আর ফিরে আসতেন না। সেই পান্জাবেই অভিভাবকদের করা অনুশাসনে ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরে এই প্রতারনার সংখ্যা গত বছরে ৩০ দাড়িয়েছে। সর্ব ভারতীয় স্তরে পাঞ্জাব এখন শীর্ষস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে এসে নেমেছে। বিস্মিত হতে হয় যে রাজধানী দিল্লীর ঝা চকচকে উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদে চাকুরিরত মহিলারা কি করে এই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এত সংখ্যাতে।
    নারী স্বাধীনতা নিয়ে চারিদিকে যখন নারীরা চারিদিকে এত সোচ্চার হচ্ছেন এবং পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের শ্রাদ্ধ করছেন বিভিন্ন সভা সমিতি ও অনুশ্হ্থানে সেখানে দিল্লীর এই সব উচ্চ শিক্ষিতো মহিলাদের এরূপ আচরণ বিরাট ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে আমাদের চিন্তাধারাকে। কিছুদিন আগেই একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাতে মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের মানসিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল বিস্তারিতভাবে। সেখানে আধুনিক শিক্ষিত মেয়েরা সোজাসুজি জানিয়েছিলেন যে ২৫-৩০ বছরে বিয়ে করার কথা ভাবাই যায় না। ৩০শের পরে বিয়ের কথা ভাবলেও তখন শিক্ষাগত ও কর্মগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই যায়। ৩৫ বছরের পরে যদি বিয়ের কথা ভেবে দেখতেই হয় তবে মনের মতন পুরুষঃ পেলে বিয়ে করতে হবে তার কোনো দরকার নেই। এখন তো একত্রে বিয়ে না করে সহবাস কোরেই বিয়ের সব কিছু আনন্দ ভোগ করে নেওয়া যায়।
    এর পরেই দিল্লীর মেয়েদের বিয়ের জন্যে হন্যে হয়ে নেটে বৈবাহিল স্তম্ভ খুঁজে পাত্র দেখার ব্যাপারটার ভাবনা চিন্তা কিরকম বিপরীত মনোভাবের দ্যোতনা বলেই মনে হয়। বিয়ের জন্যে এই সব উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদের অধিষ্ঠিত মেয়েরা বিদেশ যাওয়া না বিদেশের এন আর আই স্বামীদের সম্পত্তির লোভে পতঙ্গের মত এই প্রতারনার ফাঁদে ঝাপ দিচ্ছেন। কারণ বোঝা খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এখন বিদেশে বসবাসকারী কোনো ছেলের বিশদ বিবরণ যোগার করা খুব একটা শক্ত ব্যাপার নয়। কিন্তু তত্সত্ত্বেও এই সব মেয়েরা কেন এমন সব মহপাশে জড়িয়ে পড়ে কোনো কিছু খোঁজ না নিয়ে এই অনিশ্চিতের পথে ঝাঁপ দিয়ে এই প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এটা এখনো আমার কাছে বিরাট হেয়ালী বলে মনে হচ্ছে! এদের অভিভাবকেরাও কেন মেয়েদের কথাতে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে নিজের মেয়েদের জীবনের সর্বনাশের ভাগী হচ্ছেন সেটাও বড় প্রশ্ন।
    অন্যদিকে আজকের আমাদের গ্রামের নিম্নবর্গের মেয়েদের ভিতরে যে জাগরণ ও চেতনা দিন দিন বাড়ছে সেগুলো বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এরা সাবালিকা না হয়ে , অন্যুন পড়াশুনা না শিখে এবং গরীব বাবা মাকে অভাবের মধ্যে যৌতুক না দিতে হয় তার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয় তখন গর্বে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে যায়।
    এই দুটো বিপরীতমুখী মেয়েদের চিন্তার ধারণ দেখে মনের গভীরে বিরাট প্রাশ্নাচিহ্নের জন্যেই এই এখানে আমার প্রথম চিঠি।
    শুভেচ্ছান্তে
    অসীম গুপ্ত।
  • aseem gupta | 30.139.67.50 | ১০ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৫618644
  • আমার নাম অসীম গুপ্ত। আমার বর্তমান বয়স ৭৬। আমি বহুদিন যাবত অবসরপ্রাপ্ত। এই গুরুচন্ডালির একেবারে জন্মলগ্ন থেকে আমি এর সাথে পরিচিত। বাংলা লাইভের মজলিসের তদানীন্তন বহু বন্ধু এই গুরুচন্ডালীর প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু ওরা এখানে এসে প্রায়ই অশোভন উক্তি করত। সেটা আমার ভালো লাগত না বলে আমি সেইভাবে গুরুচন্ডালির সাথে নিজেকে যুক্ত করি নি। আমি এখনো বাংলা লাইভের একজন সক্রিয় সদস্য। ওখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। আমার এক পরিচিত বন্ধু এখানের সম্বন্ধে আমার আগেকার ধারনার ভুল ভাঙ্গালে এবং আমাকে এখানে কিছু লেখালেখি করতে বলল। ওর উত্সাহে আমি এখানে কিছু লিখতে গিয়ে আমার ভূমিকা দিলাম। আশা করি এখানের পাঠকবৃন্দ আমার এই ভূমিকাতে বিরক্ত বোধ করবে না।
    এবারে মূল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই। গত ৮ই জুলাইয়ের একটি ইংরাজি পত্রিকাতে একটি খবর দেখে একটু চমকে উঠেছিলাম। . মনে মনে এই নিয়ে সারাদিন চিন্তিত ছিলাম এবং কিছু লেখার তাগিদে আলোড়ন উঠেছিল বারে বারে। সেই তাগিদেই এই লেখা। তবে আমি কোনো বশেষ মহিলাকূলের দিকে তাকিয়ে এই লেখা লিখছি না।
    এবার মূল খবরে আসা যাক। খবরে প্রকাশ যে মহান গণতান্ত্রিক ভারতের রাজধানী দিল্লীর মহিলারা গত ২০১২-১৩ বর্ষের পরিসংখ্যানে সর্বাধিক সংখ্যায় বিদেশে বসবাসকারী উচ্চশিক্ষিত বিত্তশালী সুচাকুরে এন আর আই স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্তের তালিকাভুক্তি হয়ে এক বিরল নজিরের সৃষ্টি করেছেন।
    মেয়েদের জন্যে গঠিত জাতীয় কমিশনের এন আর আই বিভাগ ( এন সি ডব্লিউ) তাদের ২০১২-১৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছেন যে দিল্লীর মেয়েরা এই এক বছরে সর্বাধিক ৫৯তি এরূপ প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ইতি পূর্বে এরূপ প্রতারনার শিকারের খবর পাওয়া গেছে মূলত পাঞ্জাব রাজ্যের গ্রামের অর্তশালী পরিবারের মেয়েদের মধ্যে। এই সমস্ত ঘটনাতে বিবাহের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই এন আর আই স্বামীরা স্ত্রীদের অন্ধকারে ফেলে রেখে প্রচুর ধন দৌলত ও যৌতুক সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে যেতেন। ফিরে যাবার সময় এই সব পতিদেবতারা স্ত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের মিথ্যা স্তোক বাক্য দিয়ে শীঘ্র তাদের নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতেন। কিন্তু তারা আর ফিরে আসতেন না। সেই পান্জাবেই অভিভাবকদের করা অনুশাসনে ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরে এই প্রতারনার সংখ্যা গত বছরে ৩০ দাড়িয়েছে। সর্ব ভারতীয় স্তরে পাঞ্জাব এখন শীর্ষস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে এসে নেমেছে। বিস্মিত হতে হয় যে রাজধানী দিল্লীর ঝা চকচকে উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদে চাকুরিরত মহিলারা কি করে এই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এত সংখ্যাতে।
    নারী স্বাধীনতা নিয়ে চারিদিকে যখন নারীরা চারিদিকে এত সোচ্চার হচ্ছেন এবং পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের শ্রাদ্ধ করছেন বিভিন্ন সভা সমিতি ও অনুশ্হ্থানে সেখানে দিল্লীর এই সব উচ্চ শিক্ষিতো মহিলাদের এরূপ আচরণ বিরাট ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে আমাদের চিন্তাধারাকে। কিছুদিন আগেই একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাতে মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের মানসিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল বিস্তারিতভাবে। সেখানে আধুনিক শিক্ষিত মেয়েরা সোজাসুজি জানিয়েছিলেন যে ২৫-৩০ বছরে বিয়ে করার কথা ভাবাই যায় না। ৩০শের পরে বিয়ের কথা ভাবলেও তখন শিক্ষাগত ও কর্মগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই যায়। ৩৫ বছরের পরে যদি বিয়ের কথা ভেবে দেখতেই হয় তবে মনের মতন পুরুষঃ পেলে বিয়ে করতে হবে তার কোনো দরকার নেই। এখন তো একত্রে বিয়ে না করে সহবাস কোরেই বিয়ের সব কিছু আনন্দ ভোগ করে নেওয়া যায়।
    এর পরেই দিল্লীর মেয়েদের বিয়ের জন্যে হন্যে হয়ে নেটে বৈবাহিল স্তম্ভ খুঁজে পাত্র দেখার ব্যাপারটার ভাবনা চিন্তা কিরকম বিপরীত মনোভাবের দ্যোতনা বলেই মনে হয়। বিয়ের জন্যে এই সব উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদের অধিষ্ঠিত মেয়েরা বিদেশ যাওয়া না বিদেশের এন আর আই স্বামীদের সম্পত্তির লোভে পতঙ্গের মত এই প্রতারনার ফাঁদে ঝাপ দিচ্ছেন। কারণ বোঝা খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এখন বিদেশে বসবাসকারী কোনো ছেলের বিশদ বিবরণ যোগার করা খুব একটা শক্ত ব্যাপার নয়। কিন্তু তত্সত্ত্বেও এই সব মেয়েরা কেন এমন সব মহপাশে জড়িয়ে পড়ে কোনো কিছু খোঁজ না নিয়ে এই অনিশ্চিতের পথে ঝাঁপ দিয়ে এই প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এটা এখনো আমার কাছে বিরাট হেয়ালী বলে মনে হচ্ছে! এদের অভিভাবকেরাও কেন মেয়েদের কথাতে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে নিজের মেয়েদের জীবনের সর্বনাশের ভাগী হচ্ছেন সেটাও বড় প্রশ্ন।
    অন্যদিকে আজকের আমাদের গ্রামের নিম্নবর্গের মেয়েদের ভিতরে যে জাগরণ ও চেতনা দিন দিন বাড়ছে সেগুলো বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এরা সাবালিকা না হয়ে , অন্যুন পড়াশুনা না শিখে এবং গরীব বাবা মাকে অভাবের মধ্যে যৌতুক না দিতে হয় তার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয় তখন গর্বে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে যায়।
    এই দুটো বিপরীতমুখী মেয়েদের চিন্তার ধারণ দেখে মনের গভীরে বিরাট প্রাশ্নাচিহ্নের জন্যেই এই এখানে আমার প্রথম চিঠি।
    শুভেচ্ছান্তে
    অসীম গুপ্ত।
  • aseem gupta | 30.139.67.50 | ১০ জুলাই ২০১৩ ১৬:১৫618643
  • আমার নাম অসীম গুপ্ত। আমার বর্তমান বয়স ৭৬। আমি বহুদিন যাবত অবসরপ্রাপ্ত। এই গুরুচন্ডালির একেবারে জন্মলগ্ন থেকে আমি এর সাথে পরিচিত। বাংলা লাইভের মজলিসের তদানীন্তন বহু বন্ধু এই গুরুচন্ডালীর প্রথম থেকেই ছিল। কিন্তু ওরা এখানে এসে প্রায়ই অশোভন উক্তি করত। সেটা আমার ভালো লাগত না বলে আমি সেইভাবে গুরুচন্ডালির সাথে নিজেকে যুক্ত করি নি। আমি এখনো বাংলা লাইভের একজন সক্রিয় সদস্য। ওখানে নিয়মিত বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করি। আমার এক পরিচিত বন্ধু এখানের সম্বন্ধে আমার আগেকার ধারনার ভুল ভাঙ্গালে এবং আমাকে এখানে কিছু লেখালেখি করতে বলল। ওর উত্সাহে আমি এখানে কিছু লিখতে গিয়ে আমার ভূমিকা দিলাম। আশা করি এখানের পাঠকবৃন্দ আমার এই ভূমিকাতে বিরক্ত বোধ করবে না।
    এবারে মূল বিষয়টি নিয়ে কিছু বলতে চাই। গত ৮ই জুলাইয়ের একটি ইংরাজি পত্রিকাতে একটি খবর দেখে একটু চমকে উঠেছিলাম। . মনে মনে এই নিয়ে সারাদিন চিন্তিত ছিলাম এবং কিছু লেখার তাগিদে আলোড়ন উঠেছিল বারে বারে। সেই তাগিদেই এই লেখা। তবে আমি কোনো বশেষ মহিলাকূলের দিকে তাকিয়ে এই লেখা লিখছি না।
    এবার মূল খবরে আসা যাক। খবরে প্রকাশ যে মহান গণতান্ত্রিক ভারতের রাজধানী দিল্লীর মহিলারা গত ২০১২-১৩ বর্ষের পরিসংখ্যানে সর্বাধিক সংখ্যায় বিদেশে বসবাসকারী উচ্চশিক্ষিত বিত্তশালী সুচাকুরে এন আর আই স্বামীদের দ্বারা পরিত্যক্তের তালিকাভুক্তি হয়ে এক বিরল নজিরের সৃষ্টি করেছেন।
    মেয়েদের জন্যে গঠিত জাতীয় কমিশনের এন আর আই বিভাগ ( এন সি ডব্লিউ) তাদের ২০১২-১৩ সালের বার্ষিক রিপোর্টে জানিয়েছেন যে দিল্লীর মেয়েরা এই এক বছরে সর্বাধিক ৫৯তি এরূপ প্রতারনার শিকার হয়েছেন। ইতি পূর্বে এরূপ প্রতারনার শিকারের খবর পাওয়া গেছে মূলত পাঞ্জাব রাজ্যের গ্রামের অর্তশালী পরিবারের মেয়েদের মধ্যে। এই সমস্ত ঘটনাতে বিবাহের কয়েক দিন বা কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এই এন আর আই স্বামীরা স্ত্রীদের অন্ধকারে ফেলে রেখে প্রচুর ধন দৌলত ও যৌতুক সামগ্রী নিয়ে দেশে ফিরে যেতেন। ফিরে যাবার সময় এই সব পতিদেবতারা স্ত্রীদের ও তাদের অভিভাবকদের মিথ্যা স্তোক বাক্য দিয়ে শীঘ্র তাদের নিয়ে যাবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যেতেন। কিন্তু তারা আর ফিরে আসতেন না। সেই পান্জাবেই অভিভাবকদের করা অনুশাসনে ও পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারির পরে এই প্রতারনার সংখ্যা গত বছরে ৩০ দাড়িয়েছে। সর্ব ভারতীয় স্তরে পাঞ্জাব এখন শীর্ষস্থান থেকে চতুর্থ স্থানে এসে নেমেছে। বিস্মিত হতে হয় যে রাজধানী দিল্লীর ঝা চকচকে উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদে চাকুরিরত মহিলারা কি করে এই বঞ্চনার শিকার হয়েছেন এত সংখ্যাতে।
    নারী স্বাধীনতা নিয়ে চারিদিকে যখন নারীরা চারিদিকে এত সোচ্চার হচ্ছেন এবং পুরুষ তান্ত্রিক সমাজের শ্রাদ্ধ করছেন বিভিন্ন সভা সমিতি ও অনুশ্হ্থানে সেখানে দিল্লীর এই সব উচ্চ শিক্ষিতো মহিলাদের এরূপ আচরণ বিরাট ধাঁধার মধ্যে ফেলে দিয়েছে আমাদের চিন্তাধারাকে। কিছুদিন আগেই একটি জনপ্রিয় বাংলা পত্রিকার বিশেষ সংখ্যাতে মেয়েদের বিয়ের বয়স এবং বিয়ের মানসিকতার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল বিস্তারিতভাবে। সেখানে আধুনিক শিক্ষিত মেয়েরা সোজাসুজি জানিয়েছিলেন যে ২৫-৩০ বছরে বিয়ে করার কথা ভাবাই যায় না। ৩০শের পরে বিয়ের কথা ভাবলেও তখন শিক্ষাগত ও কর্মগত দক্ষতা বাড়ানোর জন্যে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই যায়। ৩৫ বছরের পরে যদি বিয়ের কথা ভেবে দেখতেই হয় তবে মনের মতন পুরুষঃ পেলে বিয়ে করতে হবে তার কোনো দরকার নেই। এখন তো একত্রে বিয়ে না করে সহবাস কোরেই বিয়ের সব কিছু আনন্দ ভোগ করে নেওয়া যায়।
    এর পরেই দিল্লীর মেয়েদের বিয়ের জন্যে হন্যে হয়ে নেটে বৈবাহিল স্তম্ভ খুঁজে পাত্র দেখার ব্যাপারটার ভাবনা চিন্তা কিরকম বিপরীত মনোভাবের দ্যোতনা বলেই মনে হয়। বিয়ের জন্যে এই সব উচ্চশিক্ষিত উচ্চপদের অধিষ্ঠিত মেয়েরা বিদেশ যাওয়া না বিদেশের এন আর আই স্বামীদের সম্পত্তির লোভে পতঙ্গের মত এই প্রতারনার ফাঁদে ঝাপ দিচ্ছেন। কারণ বোঝা খুবই দুষ্কর হয়ে দাঁড়ায়। এখন বিদেশে বসবাসকারী কোনো ছেলের বিশদ বিবরণ যোগার করা খুব একটা শক্ত ব্যাপার নয়। কিন্তু তত্সত্ত্বেও এই সব মেয়েরা কেন এমন সব মহপাশে জড়িয়ে পড়ে কোনো কিছু খোঁজ না নিয়ে এই অনিশ্চিতের পথে ঝাঁপ দিয়ে এই প্রতারনার শিকার হচ্ছেন। এটা এখনো আমার কাছে বিরাট হেয়ালী বলে মনে হচ্ছে! এদের অভিভাবকেরাও কেন মেয়েদের কথাতে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করে নিজের মেয়েদের জীবনের সর্বনাশের ভাগী হচ্ছেন সেটাও বড় প্রশ্ন।
    অন্যদিকে আজকের আমাদের গ্রামের নিম্নবর্গের মেয়েদের ভিতরে যে জাগরণ ও চেতনা দিন দিন বাড়ছে সেগুলো বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখে। এরা সাবালিকা না হয়ে , অন্যুন পড়াশুনা না শিখে এবং গরীব বাবা মাকে অভাবের মধ্যে যৌতুক না দিতে হয় তার জন্যে আন্দোলনে সামিল হয় তখন গর্বে আমাদের মাথা উঁচু হয়ে যায়।
    এই দুটো বিপরীতমুখী মেয়েদের চিন্তার ধারণ দেখে মনের গভীরে বিরাট প্রাশ্নাচিহ্নের জন্যেই এই এখানে আমার প্রথম চিঠি।
    শুভেচ্ছান্তে
    অসীম গুপ্ত।
  • b | 30.139.67.50 (*) | ১২ জুলাই ২০১৩ ১২:৫৯618645
  • IP Address : 30.139.67.50 (*) Date:10 Jul 2013 -- 04:05 PM বেশ অভদ্রতার পরিচায়ক।
  • de | 69.185.236.52 | ১২ জুলাই ২০১৩ ১৩:৪০618646
  • বাংলা লাইভের অসীমকাকু নাকি?

    আরো লিখুন কাকু, পড়লাম আপনার লেখা।

    শিক্ষা মানেই তো আর দুপাতা পড়ে ডিগ্রী পাওয়া নয় -- বরং তার থেকে আরেকটু বেশী কিছু। তথাকথিত শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও তাই মানুষ অশিক্ষিতের আচরণ করে -- দিল্লীর মহিলাকূলেরও তাই হাল!
  • PM | 233.223.154.147 | ১২ জুলাই ২০১৩ ২০:১৯618647
  • অসিম বাবু আপনার চিন্তা আর লেখা দুটই ভালো লাগলো
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন