এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  গান

  • বসন্তের ভিসা-পাসপোর্ট ঃ ঘর ছাড়া এই পাগলটাকে

    শিবাংশু
    গান | ১৯ এপ্রিল ২০১৩ | ১৭৬১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • aalbaal | 30.139.67.50 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৩:১৩601433
  • একসঙ্গে কোথায় থাকবে ? প্যাজ রসুন এর গন্ধ পাচ্ছি :))))
  • aalbaal | 30.139.67.50 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৪:১৩601434
  • বসন্তকাল আর পাগল- ভালো ভালো
  • DB | 125.187.38.104 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৫:৫৩601435
  • এ আবার কি ?
  • DB | 30.139.67.50 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৬:৩৪601436
  • ভালো খোরাক
  • jhumjhumi | 127.194.232.94 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:১২601437
  • শিবাংশুদা, পড়ছি । খুব ভালো লাগছে। আর নীনাদিকে সাপোর্টালাম। একটু গুনগুন শুনতে পাই না?
  • aalbaal | 30.139.67.50 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৪২601438
  • বসন্ত কালে জুম্জুমি বাজবে- :))))
  • dd | 132.167.29.81 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২১:০৬601439
  • ভো শিবাংশু

    যথারীতি খুব ভালো লিখছো। কবিতা,গান সব মিলিয়ে মিশিয়ে খুব রোম্যান্টিক ককটেইল।

    আরো ল্যাখো।
  • শিবাংশু | 127.197.245.189 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২১:১৩601440
  • ১১.

    '... পাহাড়ে মালার মতো আগ্নেয় সুন্দর-
    দেখি আমি বনবাংলো থেকে।
    এখন শীতের শেষ, বসন্তের শুরু
    ডালপালা ভরেছে পাতায়
    নবীন পাতায় তার মুষ্টি ভরে ওঠে।
    নিচে শুকনো পাতা পোড়ে, ওড়ে পাতাগুলি

    কিছু কিছু, নিচে মিছু ঝরনা বহে যায়
    নিচে মিছু ঝরনা বহে যায়।
    নেভাতে পারেনা ঐ পাহাড়ে মালার মতো আগ্নেয় সুন্দর
    কণ্ঠে পরে থাকে ।।' (শক্তি)

    মেঘাতুবুরু জনপদটিই একটি সুন্দর ছবি। কনস্টেবল দেখলে খুশি হতেন। এক আধটা ক্যানভাসও ভরে যেতো তাঁর। আমাদের পরেশ মাইতিও দু'চারটে মাস্টারপিস নিশ্চয় নামিয়ে দিতেন এখানে এলে। অন্য পাহাড়ি শহরের সঙ্গে তফাৎ হলো এখানে পাহাড়ের ঢাল বেয়ে কোনও সাইপ্রেস, পাইন, ওক বা দেবদারু বৃক্ষ দেখা যায়না। তাদের জায়গায় রয়েছে গর্বিত প্রাংশু শালের সমারোহ , সঙ্গে সেগুন, করম, গামার বা আমলকীর মায়াবী সংসার। শহরের দক্ষিণদিকে একটা টিলার মাথায় মেঘা সরাইখানা। তার চৌহদ্দিটি বেশ বড়ো। টিলাটির শিখর ঘিরে ছবির মতো অতিথশালা। আর শিখরটিতে একটি ছোট্টো রেলিংঘেরা গোল চত্বর। এটিই সব চেয়ে উঁচু সোপান সারা মেঘাতুবুরুতে। সেখানে একটি বড়ো ছাতা, সাঁচির চৈত্যের মতো। এই জায়গায় দাঁড়ালে সেই অনুভূতি টুকু হয়, ' দুয়েক মূহুর্ত শুধু, রৌদ্রের সিন্ধুর কূলে, তুমি আর আমি, হে সিন্ধু সারস...' তবে সিন্ধু নেই সেখানে , আছে শুধু বনপাহাড়ের অনন্ত চক্রবাল। উত্তর, পশ্চিম, দক্ষিণ, কানায় কানায় ভরা শুধু হরিৎ শুশ্রূষা। এটাই হলো সাতশো পাহাড়ের দেশ।

    #
    প্রত্যেক পাহাড়েরই একটা নাম থাকে। নদীর মতো। আর কিছু না দিক, মানুষ পাহাড়ের একটা নাম নিশ্চয় দেয়। কিন্তু এই দক্ষিণ সিংভূমের সীমান্তে এতো শৈলশ্রেণী, মানুষ তাদের নিজস্ব কোনও নাম আলাদা করে দিতে পারেনি। কীই বা আসে যায়?
    সিংভূম জেলার এই দক্ষিণতম প্রান্ত আদি গন্ডোয়ানা ভূমির অংশ। গ্র্যানাইটের পাহাড় ঢাকা আছে পৃথিবীর বিস্তৃততম শোরিয়া রোবাস্টা সমুজ্জ্বল বনভূমির সবুজ আবহে। মেঘা পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়ালে উত্তর-পশ্চিম-দক্ষিণ বিস্তৃত এই গোটা রেঞ্জটা প্যানোরামার মতো চোখের সামনে নিজেকে মেলে ধরে। নীল পাহাড়ের গপ্পোকথা অনেক শোনা যায়, কিন্তু তাদের সত্যি দেখতে পাওয়া ভাগ্যের কথা। এখানে দাঁড়ালে সেই আফশোস দূর মিলিয়ে যাবে। অরণ্যসবুজ ছাওয়া পাহাড়ের অতল খাদের নীচে তাকালে কোন সুদূরে বয়ে যাওয়া ব্রাহ্মণী আর কোয়েল নদীর রূপোলি রেখা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। নদীর ওপারে জেলা কেন্দুয়াঝার, আগে লোকে বলতো কেঁওঝর, ওড়িশার ভূস্বর্গ।
    ওখানে চুপ খানিক ক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলুম আমরা, হোলিকাপ্রহরের তৃপ্ত ক্লান্তি নিয়ে। পশ্চিম আকাশে ফিরে যাওয়া আলোর তরঙ্গগুলি সরিয়ে কীভাবে অনালোক অপরাণ্হের পায়ের শব্দ ক্রম নৈঃশব্দ্যে মুখর হয়ে ওঠে।
    কিছুক্ষণ চুপ থাকলেই অনিবার্য প্রশ্ন...
    কী ভাবছো....?
    খানিকক্ষণ মুখের দিকে চাই। এই কি সেই নারী, যার জন্য নৈশ শয্যায় জানালার থেকে জ্যোৎস্না কাঁটার মতন এসে গায়ে বেঁধে? একেই কি বলা যায়, বিনা উচ্চারণে, নিঃশব্দে, 'দাও গো মুছে আমার ভালে অপমানের লিখা, নিভৃতে আজ বন্ধু তোমার, আপন হাতের টিকা, ললাটে মোর.... '
    -নাহ... বুঝতে পারিনা,
    এই মূহুর্তে শুধু মনে আসে এই কটা লাইন, মহাকবির থেকে ধার করে বলি,
    ... " চাঁদ আসে একলাটি; নক্ষত্রেরা দল বেঁধে আসে;
    দিগন্তের সমুদ্রের থেকে হাওয়া প্রথম আবেগে
    এসে তবু অস্ত যায় ;
    উদয়ের ভোরে ফিরে আসে
    আপামর মানুষের হৃদয়ের অগোচর
    রক্ত হেডলাইনের-রক্তের উপরে আকাশে।
    এছাড়া পাখির কোনো সুর-
    বসন্তের অন্য কোনো সাড়া নেই।...'

    -সাতটি তারার তিমির...?
    -একশো বার.... !!
    খুব একটা অবাক হই না এখন, তবু মেয়েটা এইভাবে কবিতাকে প্রঃশ্বাসের মধ্যে জমিয়ে রেখেছে... । এভাবে কবিতায় সমর্পণ...

    -আচ্ছা জীবনানন্দ হেডলাইনে যতো রক্ত দেখেছেন এখন আমরা আরো বেশি দেখতে পাই না কি?
    - ঐ মাপের প্রজ্ঞার কাছে রক্তক্ষরণের মাপ আলাদা... আমাদের মতো রিয়্যাক্টিভ ইনস্টিংক্ট নিয়ে ওঁরা কাজ করেন না....অনুভূতির মাত্রা একেবারে আলাদা। যতোদিন বেঁচে ছিলেন একলা ছিলেন, একান্ত আলাদা... বাড়ির লোক তাঁকে চেনেনা, বাইরের লোক কেউ করুণা করে, কেউ বা বিদ্রূপ... কেউ আরো অসম্মানে তাড়িত করে.... তাঁর থাকার মধ্যে কিছু কাগজ, কলম আর একটা মন, আর কিছু নেই। তাঁর মেধা, মদ, মনীষা, মিউজ, কী ছিলো তাই নিয়ে আজকাল লোক ইঁটের পর ইঁট ছাপিয়ে যাচ্ছে । তিনি যদি কোনও অন্তরীক্ষ থেকে এসব দেখতে পা'ন, তবে সেই দুরূহ সস্মিত নিস্পৃহতা নিয়ে শুধু তাকিয়ে থাকেন।

    পশ্চিম পর্বতসারির পিছনে ডুবে গেছে মধ্য চৈত্রের তপ্ত রোদ। আদিগন্ত অরণ্যানী ছেয়ে চোখের পলকের মতো নেমে আসছে নিশ্চুপ নীলিম নিরালোক। সবুজ আর নীলের রং বদল হয়ে যাচ্ছে ম্যাজিকের মতো। মৃদু অন্ধকারে স্পষ্ট হয়ে উঠছে পাহাড়ের মাঝে মাঝে মালার মতো জ্বলে ওঠা জংলি আগুনের সোনালি রেখাগুলি। ফাগুনের শুরু হতেই যে সব শুকনো পাতা ঝরে পড়েছিলো খ্যাপা হাওয়ায় আকুল হয়ে, তাদের শবদেহ বসন্তসন্ধ্যায় দোলপূর্ণিমার চাঁদের টানে আগুনফুল হয়ে পুড়ে যায়। কতো জন আর ছুঁতে পারে সেই আর্তি। যেন এই রকম একটা আকুলতা নিয়ে ঝরে যায় শচীন কত্তার বাঁধা সেই গান, সেই ভুলতে না পারা গান, রাগ পিলুর অন্তরাত্মা নিংড়ে নেওয়া মেলোডি.... '.... অবকে বরস ভেজো ভইয়া কো বাবুল.. শাওন মেঁ লিজো বুলায়ে রে...।'

    #
    '... মনে হল রাতে পাহাড়ে পাহাড়ে নাচে আগুনের মালা,
    কানে এলো কত অগ্নিচক্ষু আরণ্য পদপাত,
    এদিকে দূরের বসতিতে হল ফাল্গুনী মাতোয়ালা
    নাগড়াবাঁশীতে ভাঙে গড়ে প্রেমে পূর্ণিমা সারারাত ।।' (বিষ্ণু দে)

    সুদূর আকাশের দিকে চেয়ে দাঁড়িয়ে থাকা, দোলপূর্ণিমার চাঁদ টানে কোটালজোয়ার, বুকের ভিতর কোথাও রক্ত ছলকে যায়।
    -কী দেখছো.....?
    -রাজকুমারী , দেখুন চাঁদ উঠেছে...
    - 'তুঙ্গভদ্রার তীরে... ' উচ্ছল হেসে ওঠে...
    - মনে আছে অর্জুনবর্মার কী হয়েছিলো ?
    -আছে, প্রাণদন্ড...
    -তবে...?
    -ঐ প্রাণ তো বিদ্যুণ্মালার হাতে, রাজা কী করবে?
    - নাহ, কী আর করবে..? তবে কবে বিদ্যুণ্মালা মণিকঙ্কণা হয়ে যাবে তার ঠিক কী?
    - যাই হোক, অর্জুনবর্মার নিস্তার নেই...
    -চলো, পিছনদিকের ঢালটাতে গিয়ে বসি, ওখানে অনেক শালের শামিয়ানা সাজানো রয়েছে। পাতার আড়াল থেকে চাঁদকে কেমন লাগে , একটু দেখি...
    -যাবে, চলো.. একটু অন্ধকার ওদিকটা..
    -হুমম, শুধু অন্ধকার নয়... সারান্ডার বিখ্যাত শঙ্খচূড়েরা এই সময়ই ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে... তারাও থাকবে আশে পাশে...
    -ভয় দেখাচ্ছো..?
    -নাহ, অর্জুনবর্মার প্রাণ তো বিদ্যুণ্মালার হাতে, না হয় নতুন একটা বেহুলা-লখিন্দরের পালা লেখা হবে...
    -হোক, তবু যাবো ...

    জায়গাটাতে শালপাতা ঝরে ঝরে নরম কালিন হয়ে আছে। কয়েকটা বেঞ্চি সাজানো এদিক ওদিক।
    -একটা গান শোনাবে...?
    -শোনাবো..
    -কোন গান..?
    -শোনো তো আগে...
    একটু থেমে আমার প্রিয়তম একটা গান গুন গুন করি,
    'নীল আকাশের অসীম ছেয়ে ছড়িয়ে গেছে চাঁদের আলো
    আবার কেন ঘরের ভিতর, আবার কেন প্রদীপ জ্বালো....
    ... বুক এগিয়ে আসে মরণ, মায়ের মতো ভালোবেসে
    এখন যদি মরতে না পাই, তবে আমার মরণ ভালো....'

    -তুমি একটা ব্যাপার খেয়াল করেছো? দ্বিজেন্দ্রলালের গানে একটা ফর্ম্যাল লক্ষণ থাকে, সব সময়েই থাকে... মানে একটা মেসেজ দেবার সচেতন প্রয়াস... এই গানটা যেন দলছুট, একটা অন্য বোধ থেকে লেখা আর কম্পোজ করা... কী ইনটেন্স, প্যাশনেট... কেন বলো তো?
    - এই গানটার স্রষ্টা বিলেতফেরত ডি এল রায় ন'ন, এটা কৃষ্ণনগরের কার্তিকেয়চন্দ্র রায়ের পুত্র দ্বিজেন্দ্রর লেখা। এর কথা, ভাব, সুর, মানে গোটা কম্পোজিশনটা একান্ত বাঙালি.... কোনও সাজানো আভিজাত্যের তোয়াক্কা না করে তীরের মতো বুকে বিঁধে যায়.....আচ্ছা তুমি দেওয়ান কার্তিকেয় চন্দ্র রায়ের আত্মচরিত পড়েছো?
    - নাহ, পাইনি তো...
    -আমি এনে দেবো, পড়বে... তিনি এমন একজন মানু্ষ যাঁকে বিদ্যাসাগর পর্যন্ত আমৃত্যু একান্ত শ্রদ্ধা জানিয়ে গেছেন.. হয়তো আমার জানা একমাত্র মানুষ যাঁর প্রতি বিদ্যাসাগর কখনও বীতশ্রদ্ধ হ'ননি।
    -আচ্ছা, বিদ্যাসাগর একেবারে অন্য রকম একটা কিছু, তাই না..
    - রবীন্দ্রনাথ আর বিদ্যাসাগর, আমাদের মূল্যবোধের কারিগর, যা কিছু করি, ভাবি... সব কিছুর পিছনেই এই দুজন কখনও ছড়ি হাতে, কখনো ফুল নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন... কালের প্রহরী..

    হঠাৎ শুনি পিছনে পাতার উপর পায়ের শব্দ। সমু আর শ্রীরাধা আসছে। অনেকক্ষণ ওরা আমাদের একা থাকার অবসর দিয়েছে। ঘড়িতে দেখি সাড়ে আটটা। যাবার সময় আসে পায়ে পায়ে , স্টিল একস্প্রেস যেভাবে গড়িয়ে আসে প্ল্যাটফর্ম ওয়ান।
    -কী রে আমাদের পারমিশন আছে?
    -বোস...
    এ কথা সে কথা হতে থাকে ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে... কিন্তু সে কাঁটাকে থামাতে তো কেউ পারবে না... অনিঃশেষ, অনন্ত যাত্রা তার।
    -শোন, কোনও একটা গান বলতো, সবাই মিলে গাইতে পারি...
    সেই চাঁদের ছায়ায় উত্তাল চৈত্রের এলেমেলো হাওয়া, আমরা গাইতে থাকি ,
    ' ও আমার চাঁদের আলো, আজ ফাগুনের সন্ধ্যাকালে ধরা দিয়েছো, ধরা দিয়েছো আমার পাতায় পাতায় ডালে ডালে ....সব কুঁড়ি মোর ফুটে ওঠে তোমার হাসির ইশারাতে, দখিন-হাওয়া দিশাহারা আমার ফুলের গন্ধে মাতে....'

    গান শেষ হয় নিজের মতো। কিছুক্ষণ মৌনতা, তার পর ফিরে যাওয়া নিজস্ব ছাদের নীচে। যেখানে যার দেওয়াল, সেখানেই তার ছাদ। মানুষ এভাবেই বাঁচে।

    বিদায় নিই ওদের থেকে...

    -আবার কবে দেখা হচ্ছে?
    -জানিনা, হবে নিশ্চয়.. কখন, কোথায় এখনও জানিনা...জেগে থেকো, ভালো থেকো....অর্জুনবর্মাকে তো ফিরে আসতেই হবে, রাজকুমারীকে চাঁদ দেখাবার চাকরি পেয়েছে .... '

    গেটের বাইরে ঢালু পথে এগিয়ে যাই। বাঁকের মুখে ফিরে দেখি তখনও স্যিলুয়েট হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে... কোনার্কের শালভঞ্জিকা না বের্নিনি'র মেরী ম্যাগডালেন, ভাবতে ভাবতে অন্ধকারে মিলিয়ে গেলো।

    ভিসার মেয়াদ শেষ , বসন্তকে ফিরে যেতে হবে.......।

    '... একবার জঙ্গলে এসে ঘুরে যেও জঙ্গলমহল।
    পলাশ শিমুল দেখবে হৈ হৈ করে কান্ড বাধিয়েছে,
    সে-আগুনে পুড়ে যেতে ইচ্ছে হবে রোজ, প্রতিদিন।
    বহুবর্ণ পলাশের সাজে হয়ে উঠবে লক্ষ্মীসরা,
    চোবাবে কাপড় তার রংমশালে, জলে-
    মানুষ ফুলের মতো ফুটে উঠবে নিশ্চয় সেদিন।
    শাল ও সেগুন হালকা মঞ্জরী খসিয়ে,
    পলাশের নেশা শুরু, শিমুল মাদার
    কুলগাছে ফুলগন্ধ ফাল্গুনের শেষে....
    .... মনে হবে দেয়ালির রাত বুঝি জঙ্গলে প্রত্যহ
    নিঃশব্দ দেয়ালি আজ জঙ্গলে-আকাশে !' (শক্তি)

    (শেষ)
  • | 24.96.191.86 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০৪601441
  • পুরোটা একসাথে পড়লাম। কি মসৃণ গদ্য!
  • Abhyu | 138.192.7.51 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০৮601443
  • সুন্দর
  • lcm | 138.48.127.32 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৩১601444
  • যথারীতি অনবদ্য।
    এটা একটা দারুণ অডিও/ভিজুয়াল হতে পারে। শিবাংশু পাঠ করবে, মাঝে মধ্যে নিজে গাইবে, রেকর্ড চালিয়ে গানগুলির অংশবিশেষ শোনানো হবে।
    এমন কিছু হলে আমই একটা সিট বুক করে রাখ্লাম।
  • kumu | 52.110.120.12 | ২৩ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৩৫601445
  • অপরূপসাগরে অবগাহন।
  • Lama | 126.202.214.32 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৩৯601446
  • !
  • nina | 79.141.168.137 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫২601447
  • অপূর্ব্ব!
  • pi | 78.48.231.217 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ০৪:৫৭601448
  • পিলুর মতন মখমলি নেশা ধরিয়ে দিল লেখাটা।
  • jhumjhumi | 127.194.242.216 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ১০:৩৯601449
  • অসাধারণ !!
  • Manish | 127.218.7.6 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৪৫601450
  • অসাধারণ, আমার নোয়মুন্ডিতে বাসের স্মৃতি উস্কে দিলো।
  • Manish | 127.218.7.6 | ২৪ এপ্রিল ২০১৩ ১৮:৪৬601451
  • (নোয়ামুন্ডিতে থাকার স্মৃতি)
  • শিবাংশু | 127.197.251.187 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ২২:০০601452
  • সোসেন, রঞ্জন, নিনা, পাইদিদি, সুকি, অজানা, কৃশানু, de, ঝুমঝুমি, ডিডি, দ, অভ্যু, lcm, কুমু, লামা, মনীশ....

    ঋতু বসন্ত মানুষের জীবনে কখনও সুর হয়ে, কখনও প্রেম হয়ে, কবিতা হয়ে, কখনও বা নিসর্গ হয়ে কীভাবে ছড়িয়ে যায় তা নিয়ে এই লেখাটা কোলাজের মতো করে ভেবেছিলুম। আপনাদের লেখাটি ভালো লেগেছে এবং এই ভালো লাগাটি আমার কাছে পৌঁছে দিয়েছেন নানাভাবে। অনেক ধন্যবাদ।

    এই সূত্রে সামান্য সংযোজন করি। রবীন্দ্রসঙ্গীত ও রাগাশ্রয়ী সুরের ব্যবহার ও বর্গীকরণ নিয়ে একজন বোদ্ধা অধিকারী পাঠক আমাকে কিছু সংশয় জানিয়েছিলেন। সেই প্রসঙ্গে আমার ধারণাটি স্পষ্ট করার একটা কৃত্য বাকি রয়ে গিয়েছিলো।

    রবীন্দ্রসঙ্গীতে সুর দেওয়ার সময় স্রষ্টা কোনও একটি রাগের গঠন ও চলনের থেকে হয়তো ঋণ নিতেন, কিন্তু গানটি বাঁধা হয়ে গেলে সেটি একটি স্বয়মসম্পূর্ণ সৃষ্টি হয়ে যেতো। রাগটির ভূমিকা সেখানে নিতান্ত গৌণ। তাই রবীন্দ্রসঙ্গীতে বিভিন্ন রাগাশ্রয়ী সুরের ব্যবহার প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে আমাদের এই বিষয়টি অবশ্য স্মরণ রাখতে হবে। এই লেখাটিতে রবীন্দ্রসঙ্গীতে কয়েকটি রাগাশ্রয়ী সুর ব্যবহার সম্পর্কে আমি যে সব উক্তি করেছি তার ক্ষেত্রেও এই তত্ত্বটি স্মর্তব্য। তবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের গুরু-মহাগুরুদের থেকে যেমন জেনেছি যে প্রতিটি রাগেরই নিজস্ব অস্তি-অবয়ব-আয়তন রয়েছে এবং তার ছাপ সেই সুর'কে কেন্দ্র করে যা কিছু রচনা হয় তা'তে স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। রবীন্দ্রনাথের পরম সিদ্ধি, এই সমন্বয়ের সাধনায় তিনি সতত সফল ছিলেন।

    এই সমন্বিত বৈভবে রাগাশ্রিত সুরটি রবীন্দ্রসঙ্গীতের ক্ষেত্রে ছায়া হয়েই থাকে, আলো ধরে রাখে রবীন্দ্রনাথের নিজস্ব সৃষ্টিটিই। এ বিষয়ে মনে হয় কোনও সংশয় থাকা সমীচীন নয়।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লুকিয়ে না থেকে মতামত দিন