এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • মানুষের তৃতীয় রিপু

    ranjan roy
    অন্যান্য | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ | ১১৮১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • ranjan roy | 24.99.126.242 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ০০:৩৪600927
  • [বোলান গঙ্গোপাধ্যায় যা লিখেছেন তার মর্মার্থ ঃ নিত্যদিন অসংগঠিত ক্ষেত্রে খেটে খাওয়া মানুষের পক্ষে ব্যাংকের সরকারি সময়ে কাজ থেকে ছুটি নিয়ে ওখানে পৌঁছে টাকা জমা করা বড় ঝকমারি।
    সেক্ষেত্রে কেউ যখন প্রস্তাব দেয় যে সে জমাকর্তার সুবিধে মত সময়ে এসে পাকা রসিদ দিয়ে টাকা নিয়মিত নিয়ে যাবে আর সরকারি ব্যাংকের চেয়ে অনেক বেশি সুদ দেবে তো গরীব মানুষের পক্ষে প্রত্যাখ্যান করা কঠিন। তারপর যদি দেখা যায় যে সেই সংস্থাটির সঙ্গে সরকারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, ছবিটবি--- তাহলে তো পুরো বাবা রামদেব কেস।
    আমি ব্যক্তিগত ভাবে জানি যে রিজার্ভ ব্যাংক বিপুল গ্রামীণ জনতার প্রয়োজনের তুলনায় বর্তমান ব্যাংকিং সিস্টেমের অপ্রতুলতার ব্যাপারে ওয়াকিফ। তাই একটি সিস্টেম ভেবেছে। তাতে ব্যাংকের অথরাইজড এজেন্ট স্মার্ট কার্ড ও মেশিন সঙ্গে নিয়ে আগে থেকে খবর দিয়ে গাঁয়ে গিয়ে অত্যন্ত সরল পদ্ধতিতে সহজ KYC ব্যবহার করে গ্রাহকের অ্যাকাউন্ট খুলবেন আর সার্ভারের মাধ্যমে সেই তথ্য ব্যাংকের নির্ধারিত অফিসে আপলোড হবে। এই পদ্ধতিতে লোক গাঁয়ে বসে ব্যাংকে না গিয়ে পয়সা জমা ও তোলা দুটোই করতে পারবে। এর জন্যে মুম্বাইয়ের কিছু প্রাইভেট সংস্থার সাহায্যে প্রপার সফ্টওয়ার লোড করে বিভিন্ন ব্যাংকে কাজ শুরু হওয়ার কথা।
    এটা ২০১১ র গল্প। এখনো ঠিক করে প্রয়োগ শুরু হয় নি। কিন্তু কখনো হবে। কোর ব্যাংকিং ও তো এইভাবেই একদিন শুরু হয়েছিল, আজ স্বাভাবিক এবং সর্বব্যাপী। এটা হলে মনে হয় গ্রামের গরীবদের জমাপুঁজি বা স্বল্পসঞ্চয়ের বড় অংশ সহজে সরকারের হাতে আসবে। কিন্তু মানুষের তৃতীয় রিপুর উৎপাত কি এত সহজে এড়ানো যায়?
    পড়ে থাকা মানিব্যাগ, যদি টাকাভর্তি হয়? কেউ দেখতে পায় নি, আসল মালিক কে তা তো জানিনে। কি করব? থানায় যাবো? ওরা যে ঝেড়ে দেবে না তার কি গ্যারান্টি? তাহলে--?
    বা যে কাজের মেয়েটি শরীরে হাত বোলালেও কিছু বলতে পারবে না? কাকে বলবে? কাজ চলে যাবে? আহা, আমি তো ওর কিছু ক্ষতি করছি না, শুধু একটু--। কিছু অতিরিক্ত টাকাও তো দিচ্ছি।
    এইসব নিয়েই কিছু গল্প।]
  • ranjan roy | 24.99.126.242 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ০১:০১600928
  • গল্প--১ঃ
    ---------
    সালটা ১৯৮৪ হবে। ছত্তিশগড় থেকে পারিবারিক উৎসবে যোগ দিতে কোলকাতায় এসেছি। আমার এক তুতো দাদা বল্লেন--- একটা সংস্থা আছে। তাতে যদি টাকা জমা রাখা যায় তাহলে মাসে ১০ পার্সেন্ট করে দেয়। কোন অফিস নেই। ফোনে কথা বলে নির্দিষ্ট মোড়ে দাঁড়াতে হয়। ছেলেটা এসে পয়সা নিয়ে রসিদ দেয়। পরের মাস থেকে সুদ দেয়।
    -----যত্ত বাজে কথা! এসব সেই হাতের মুঠোয় সোনার আংটি ভরে ডবল করে দেয়ার গল্প।ওসব ঠগ অনেক দেখা আছে।
    ---- কিন্তু অনেকে যে পাচ্ছে, যা বলা হয়েছে তাই।
    --প্রচার, গালগল্প।
    এবার আমার সায়েন্স পড়া শিক্ষিত দাদা ফিসফিসিয়ে বল্লেন--- নারে, আমি রেখেছি। আমিও পাচ্ছি।
    ---তাই? আমার কৌতূহল বাড়ে। জিগাই--- নামটা কি বলতো?
    ---সঞ্চয়িতা।
    -- কখনো শুনিনি তো! তবে একেবারে রবিঠাকুর থেকে ঝাড়া, বেশ লাগছে।
    সাতমাস পরে আরেকটা কাজে কোলকাতায় এসে দাদাকে বল্লাম,--- কি হল? এখনো প্রতিমাসে নির্দিষ্ট জায়গায় গিয়ে দেখা করে সুদ আনছ, জমা বাড়াচ্ছ?
    দাদা মিষ্টি হাসেন। -- হ্যাঁ রে, তুই কিছু রাখবি নাকি?
    --- না, না, আমি সামান্য চাকরি করি। মাসের পনের তারিখের পরে হাত পাততে হয়, আমি কোত্থেকে?
    --- ভাবিস না। ১০০ র গুণিতকে সামান্য রেখে দেখতে পারিস। তোকে আসতে হবে না। আমাকে দে, আমিই তোরটা দেখে নেব।

    বুকের ভেতর তাসাপার্টির শব্দ। কি হয়, সামান্য শ'চারেক টাকার গেম খেলে দেখলে? খুব বেশি হলে ওটুকু যাবে, টি ই বিল থেকে জমা করব। বৌ টের পাবে না।

    টিউশন করতে আসা ইয়ং মাস্টারমশায়কে বাচ্চাটার মা মদির হেসে বলছেন--- আজ তো ওর বাবা ওকে খেলার মাঠে নিয়ে গিয়েছেন, কোলকাতার টিম এসেছে। আপনি চলে যাবেন না। একটু বসে চা খেয়ে যান। বড্ড কাঠখোট্টা মানুষ আপনি, আসুন একটু গল্প করি।
    মাস্টার চাইছে পালাতে, কিন্তু পা এঁটে বসেছে মাটিতে, চোখ আটকে যাচ্ছে উন্মুক্ত ক্লিভেজে।

    চারশ'টাকা দাদাকে দিলাম। ব্যস্‌, আর না। তখন এত টেলিফোন, এসটিডি, মোবাইল ছিল না। ছ'মাস বাদে দাদাকে বললাম---- আমার ভালো লাগছে না। কিসব শুনছি? আমাকে টাকা ফেরত করিয়ে দাও। আর তুমিও ছাড়।
    কপাল ভাল, ছ'মাসের ৫% হিসেবে সব মিলিয়ে মোট ৫২০ টাকা ফেরত পেলাম। একবছরের মাথায় সব কাগজে রেডিওতে সঞ্চয়িতার লালবাতি জ্বালার খবর।
  • dukhe | 212.54.74.119 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ১০:১৮600929
  • ইনফ্লেশনের দৌলতে টাকার ডিভ্যালুয়েশন হয়। সেটা ঠেকাতে হলে ইনভেস্ট করতে হবে। এবার সরকারি ইনভেস্টমেন্টে রিটার্ন যদি ইনফ্লেশনের চেয়ে কম হয়, তখন ডিভ্যালুয়েশন ঠেকাতে ঝুঁকি না নিয়ে উপায় নেই।
    এই মুহূর্তে স্মল সেভিংয়ের ইন্টারেস্ট সরকারি ইনফ্লেশন ফিগারের চেয়েও কম। গ্যারান্টিড রিটার্ন মানে গ্যারান্টিড ডিভ্যালুয়েশন।
  • b | 135.20.82.164 | ২৬ এপ্রিল ২০১৩ ১২:৩৯600930
  • রায়বাবু, আপনার লেখায় কিঞ্চিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছায়া পাইলাম।
  • ranjan roy | 24.99.124.81 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০০600932
  • দুখে,
    সত্যি কথা। কিন্তু আমি নরেন্দ্রপুর এলাকার কাজের মাসি, নাপিত, তরকারিওয়ালা এদের সঙ্গে কথা বলে যা বুঝছি--- ঘরে এসে এজেন্টদের জমা নিয়ে যাওয়া ও পয়সা দিয়ে যাওয়াটা মুখ্য আকর্ষণ। এমনকি যাদবপুর এলাকার রেডিমেড বস্ত্রব্যবসায়ী আমার এক আত্মীয়ও দোকান থেকে ডেইলি ডিপোজিট নিয়ে যাওয়া এবং আকর্ষক সুদের লোভে ফেঁসে্ছেন (সারদা নয়) এবং এখন মূল ফেরত পাওয়ার জন্যে দৌড়োদৌড়ি করছেন।
  • ranjan roy | 24.99.124.81 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:০২600933
  • মিলা,
    ধন্যবাদ।
    b,
    কোন বন্দ্যো? ঃ)))
  • ranjan roy | 24.99.124.81 | ২৭ এপ্রিল ২০১৩ ২৩:৫৮600934
  • গল্প-দুই
    ---------
    সালটা ১৯৮৫ কি ৮৮ হবে। মধ্যপ্রদেশের ইস্পাতনগরী ভিলাইয়ের জনবহুল সুপেলা বাজারে একটি দোকান খুলেছে, নাম " ভিলাই অর্ডার সাপ্লায়ার্স লিমিটেড"। কিন্তু দোকানটি কোন একটি জিনিস বিক্রি করছে না। দোকানের মালিক গ্রাহকের থেকে অর্ডার বুক করছে বাজার দামের আদ্দেক দাম জমা নিয়ে। সেপটিপিন থেকে মাহিন্দ্রা কোম্পানির তৈরি কম্যান্ডার জীপগাড়ি পর্য্যন্ত। আর লিখে দিচ্ছে যে বুক করা জিনিসটি একমাসের মধ্যে ডেলিভারি দেয়া হবে, মাত্র আদ্দেক দামে! অর্থাৎ যা অ্যাডভান্স নিয়েছে তাছাড়া আর একটা টাকাও দিতে হবে না। না হলে জমাটাকার ডবল টাকা সেদিন ফেরত দেয়া হবে।
    কি বিচিত্র এই দোকানদারি!
    আপনি যাই কিনতে চান, টিভি, খাট-আলমারি, ফ্রিজ, এসি সবই পাবেন, ঝাঁ-চকচকে নতুন। ক্যাটালগ প্রাইসের থেকে আদ্দেক দামে , বিফলে পয়সা শুধু ফেরত নয়, ডবল করে ফেরত।
    এ তো বেশ মজা! হয় জিনিস আদ্দেক দামে পাবো, নয় দেয়া টাকাটা দ্বিগুণ করে পাবো। আর কি চাই! শালার ব্যাটা শালা জিনিস না দিক গে, পয়সাটা ডবল করে দিক।
    এ কি সম্ভব? আমার বন্ধু মিশ্রকে জিগ্যেস করি। ওর দাদা প্ল্যান্টে ইঞ্জিনিয়ার। খবরটা ওই এনেছিল।
    কেন নয়! অমুকে পেয়েছে, তমুকে পেয়েছে। সেক্টর ফোর এর তিওয়ারিজি আদ্দেক দামে জীপ পেয়েছে। ক্যাম্প এলাকার চমনলাল আদ্দেক দামে ফ্রিজ পেয়েছে।
    -- ফালতু নকলি মাল নিশ্চয়ই!
    --- না, না! সবগুলিই ব্র্যান্ডেড মাল।
    --- কোত্থেকে দিচ্ছে? ফ্যক্টরি প্রাইসে দিলেও আদ্দেক হতে পারে না।
    -- তোর কি? পারছে তাই দিচ্ছে? লোকটি তো বলে--- আমি আমার পয়সা লুটোচ্ছি তো আপনার কি? কিভাবে আনছি আপনাকে বলব কেন?
    এইসব সাত সতের শুনে আমি এক উইক এন্ডে ভিলাইই গিয়ে দুই বন্ধুর সঙ্গে সুপেলা বাজারে হাজির হলাম। ওরে বাবা! কি পেল্লায় লাইন! শহর ও গাঁয়ের লোকেদের লাইন পড়েছে। পুলিশ এসে ভিড় সামলাচ্ছে। তিনটে কাউন্টার খুলেও লোক সামলানো যাচ্ছে না। ঘন্টাখানেক লাইনে দাঁড়িয়ে তবে মালিকের সঙ্গে সাক্ষাত হল। কান এঁটোকরা হাসি।
    -- কি নেবেন বলুন? পেয়ে যাবেন, কিন্তু একমাস অপেক্ষা করতে হবে।
    -- না, মানে জানতে চাই আপনি কি কি দিতে পারেন?
    সরু চোখে তাকিয়ে বলল-- হেলিকপ্টার থেকে বাঘের দুধ, আপানার কোনটা চাই? আদ্দেক দাম জমা দিয়ে বুকিং করুন। একমাস পরে পেয়ে যাবেন।
    --- আসলে আমি বুঝতে চাইছি কি করে এটা সম্ভব?
    ---- সবকিছু আপনার না বুঝলেও চলবে, আপনি কে? সাংবাদিক?
    --- না, না। আমি জে কে মিশ্রজীর ভাই, যিনি আপনার কাছে একটি প্রিমিয়ার পদ্মিনী কার আনানোর জন্যে আদ্দেক পয়সা জমা করেছেন! এ হল আমার বন্ধু।
    মালিকের চেহারা একটু নরম হয়।
    --- দেখুন, আপনার বন্ধুটির দাদা, লেখাপড়াজানা লোক। উনি আমাকে বিশ্বাস করেছেন। আর আপনি খামোকা অডিটরের মত কথা বলছেন। এবার যান। পেছনে লোকে অধৈর্য হয়ে পড়েছে।
    আমরা চুপচাপ ফিরে আসি। কিছুদিন পরে শুনতে পেলাম মিশ্রের দাদা সত্যি সত্যি নতুন জীপ পেয়েছেন। মহীন্দ্রা। আদ্দেক দামে।
    ব্যস, মিশ্রকে আর পায় কে!
    ও মেয়ের জন্যে জমানো পাঁচ-হাজার টাকা ব্যাংক থেকে তুলে ওখানে জমা করল। দ্বিগুণ ফেরত পাবে, তবে আর একমাসে নয়, দুইমাসে। তাই বা কম কি! এতটাই কে করে!
    --- কেন করছে বলতো মিশ্র? কি করে করছে লোকটা? নিজের কালোটাকা সাদা করছে? কি মনে হয়?
    -- তুই আদার ব্যাপারী, জাহাজের খোঁজে কি দরকার! হয়ত কোন মানত-টানত ছিল। বা অনেক পয়সা কামিয়ে এখন সমাজসেবা করতে চায়।
    ইতিমধ্যে শুনলাম মিশ্রের পরামর্শে আরেক সহকর্মী তারিক আলিও তার নিজের ও বৌয়ের পিএফ থেকে টাকা তোলার আবেদন জমা করেছে। ইচ্ছে ওই ভিলাই অর্ডার সাপ্লায়ার্সে জমা দিয়ে দু'মাসে দ্বিগুণ করবে।
    --- কি সর্বনেশে কথা! ওরে ধনেপ্রাণে মারা পড়বি। তোর বৌ তোকে তালাক দেবে। মিশ্র রে! এসব কুপরামর্শ দিসনে!
    --- শোন রায়! আমার দাদা আগের পাওয়া জীপটা ভাড়া খাটাচ্ছে। আরও দুটো জীপের জন্যে আদ্দেক টাকা জমা করেছে। তবে তিনমাস পরে পাবে।
    --- অ্যাঁ, আগে একমাস, পরে হল দুমাস, এখন তিনমাস? ওরে এবার জাল গোটাচ্ছে। ও পালালো বলে! তোরা যারা পয়সা দিয়েছিস শিগ্গির তুলে নে, নইলে কিস্যু পাবি না। আর তোর দাদাকেও বল।
    ---- ওসব তোকে ভাবতে হবে না রে বাঙ্গালী! আমার দাদা কি তোর মত লেড়ু? দাদা মাসমাইনেয় একটা নেপালি সিকিউরিটি বসিয়েছে রাত্ত্তির বেলা, যাতে ব্যাটা পালাতে না পারে। আমার দাদা কে ধোঁকা দেয়া চাট্টিখানি কথা নয়।
    মাস দুই গেল। আলির পিএফ থেকে লোনের চেক মাত্র গোয়ালিয়র অফিস থেকে ওর হাতে পৌঁছেচে, কাল ভাঙাবে।
    সেই চেক আর ক্যাশ করা হল না।
    পরেরদিন সকালে বিলাসপুরে খবরের কাগজ খুলে সবার চক্ষু চড়কগাছ।
    প্রথম পাতায় বড় বড় করে ভিলাইয়ের সেই দোকানঘরের ছবি, দরজায় বিরাট তালা ঝুলছে, সামনে অগুণতি লোক, পুলিশ।
    ব্যানার হেডলাইনে বলা হয়েছে যে গত কয়েকমাস আগে ভিলাইশহরে উড়ে এসে জুড়ে বসে অনেক লোকের থেকে পয়সা নেয়া এই অজ্ঞাতকুলশীল মালিকটি কাল রাত্তিরে কখন তালা লাগিয়ে মালকড়ি নিয়ে হাওয়া হয়েছেন কেউ জানে না। তখন না ছিল মোবাইল আর না ছিল টিভি নিউজ চ্যানেল।
    মিশ্রের মুখ চূণ। দাদার সেই নেপালী গার্ড? আমরা আর নুনের ছিটে দিই নে। ওকে বলি-- যাক, যা গেছে তা যাক!
    আলি ভিজে চোখে বলে-- আল্লা মেহেরবান!
  • DB | 125.187.45.214 | ২৮ এপ্রিল ২০১৩ ১২:২২600935
  • আহা কি গানই না বেঁধেছেন সলিল চৌধুরি - "যা গেছে তা যাক"
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। না ঘাবড়ে প্রতিক্রিয়া দিন