এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ২৯ জুন ২০১৩ ১৫:২৪583656
  • আগেই বলেছি, শাহবাগ চেতনার মৃত্যু নেই। জয় বাংলা!!
    ____________
    ‘জাগো শাহবাগ আবার জাগো’
    দ্রুত যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

    3963
    34
    0
    শুক্রবার বিকালে তিন ঘণ্টা বিক্ষোভের পর প্রতিদিন বিকালে দুই ঘণ্টা শাহবাগে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে তারা। যুদ্ধাপরাধের সর্বোচ্চ শাস্তি ও জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন করে আন্দোলনে নামা তরুণ-তরুণীরা তাদের এ সমাবেশের নাম দিয়েছে ‘জাগো শাহবাগ আবার জাগো’।

    বিকাল ৪টার দিকে ‘আমরা বাঙালি’ ও ‘জাগো শাহবাগ জাগো’ নামে দুটি ব্যানারে সমবেত হয়ে যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেয় শতাধিক শিক্ষার্থী। বৃষ্টির মধ্যেও সন্ধ্যা ৭টা পর‌্যন্ত চলে তাদের অবস্থান কর্মসূচি। এ সময় যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির পাশাপাশি জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধের দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।

    ‘আর কোনো দাবি নাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই/ আর টালবাহানা নয়, অবিলম্বে রাজাকারের ফাঁসির রায় কার‌্যকর করো,’ স্লোগানও শোনা যায় তাদের কণ্ঠে।

    বিক্ষুব্ধদের একটি ব্যানারে উঠে আসে তিনটি প্রশ্ন- ‘কাদের মোল্লার আপিল শুনানি কবে শেষ হবে, গোলাম আযমের রায় কবে ঘোষিত হবে এবং জামায়াত-শিবির আদৌ নিষিদ্ধ হবে কি না’।
    শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চ থেকে যে সব স্লোগান দেয়া হতো সেগুলোই শোনা যায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের কণ্ঠে।

    এক পর্যায়ে তাদের সঙ্গে যোগ দেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে স্লোগানে গলা মেলান তিনি।

    এদিনের অবস্থান কর্মসূচির সংগঠকদের একজন ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী আতিকুজ্জামান পৃথিল।

    তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “যুদ্ধাপরাধের বিচার এবং জামায়াত শিবিরের রাজনীতি নিষেদ্ধের দাবিতে অনেকদিন থেকেই আন্দোলন হচ্ছে। কিন্তু আমরা কোনো অগ্রগতি দেখতে পাচ্ছি না। আমরা এই অবস্থানের ভিতর দিয়ে সরকারকে বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই।”

    দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শনিবার থেকে প্রতিদিন বিকাল ৪টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগে বিক্ষোভ-সমাবেশ চলবে বলেও জানান তিনি।

    আরেক বিক্ষোভকারী হলিক্রস কলেজের উচ্চমাধ্যমিকের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস পূর্ণা বলেন, “কোনো সংগঠনের পক্ষ থেকে নয়, বিবেকের তাড়নায় আমরা এখানে এসেছি।”

    এই অবস্থান কর্মসূচি গণজাগরণ মঞ্চের কি না জানতে চাইলে সংগঠকরা বলেন, এটা গণজাগরণ মঞ্চের পক্ষ থেকে নয়। তবে মঞ্চ ও তাদের দাবি একই।

    এ বিষয়ে গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান বলেন, “আন্দোলনের বিষয়ে এদের সঙ্গে আমার আগেই কথা হয়েছে। শাহবাগ প্রতিবাদের জায়গা। বিবেকের তাড়না থেকেই এরা এখানে এসেছে। এতে গণজাগরণ মঞ্চের পূর্ণ সমর্থনও রয়েছে।”

    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article641305.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ২৯ জুন ২০১৩ ১৫:৫০583657
  • অভিনন্দন আসিফ। কুপমণ্ডুকতা নিপাত যাক।।
    --বিপ্লব রহমান

    সহব্লগার ও অন লাইন অ্যাক্টিভিস্ট আসিফ মহিউদ্দীন অবশেষে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। এ জন্য তাকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন। আবারো আসিফ মুক্তচিন্তা ও শুভবুদ্ধির পক্ষে অবিরাম লিখে যাবেন; নিঃশঙ্ক চিত্তে ফিরে আসবেন ব্লগিং জগতে এটিই কাম্য।

    তার অনেক লেখাই হয়তো অনেকে পছন্দ না-ও করতে পারেন, কিংবা তার অনেক লেখার সঙ্গে হয়তো দ্বিমত পোষণ করার সুযোগও রয়েছে। কিন্তু লেখার জবাব লেখা দিয়েই হতে হবে, কারাবন্দিত্ব কখনোই লেখনির জবাব হতে পারে না। তাছাড়া কোনও সভ্যদেশের আদালত নির্ধারণ করে দেবে, অমুকে আস্তিক বা তমুকে নাস্তিক, কোনমতেই এটি মেনে নেওয়া যায় না।

    সব রকম শাররীক ও মানসিক ক্ষতি কাটিয়ে আসিফের লেখনি আগের মতোই সব ভয়-ভীতি উপেক্ষা করার সাহস রাখবে, আমরা এটিই চাই। রাষ্ট্রের উচিত হবে আমাদের সহব্লগারকে সব রকম নিরাপত্তা প্রদান করা।
    আসিফের মুক্তির বিষয়ে কিছুক্ষণ আগের এক খবরে বলা হয়:

    অবশেষে জামিন পেলেন ব্লগার আসিফ মহীউদ্দিন।
    বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জহুরুল হক তার জামিন মঞ্জুর করেন।
    ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গত ৩ এপ্রিল তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
    একই সাথে গ্রেপ্তার করা হয় মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ, ও সুব্রত শুভ নামের তিনজন ব্লগারকে।
    গ্রেপ্তারের পর ১৭ মে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক সাজ্জাদ হোসেন ও মাইনুল ইসলাম ঢাকার মূখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে দুটি মামলার প্রতিবেদন দাখিল করেন।
    প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, “ব্লগার আসিফ নিজেকে আল্লাহ দাবি করে ইসলাম ও হযরত মোহাম্মদ (সা.) কে ব্যঙ্গ করে অশ্লীল মন্তব্য করেছেন। যা মুসলিম সমাজ তথা সমগ্র মুসলমান জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে। এছাড়া আসিফ প্রধানমন্ত্রীকে কটূক্তি করে এবং নারীদের সম্পর্কে চরম অশ্লীল ভাষায় মন্তব্য করেন।”
    [লিংক]

    সন্দেহ হয়, ডিবি পুলিশের ওই প্রতিবেদনটি কপ্টার শফির মক্তবে লিখিত কি না, যারা “ইন্টারনেট দিয়া বলগ লেখা” আসিফের একটি লেখাও হয়তো পড়ে দেখেননি বা পড়ে দেখলেও এগুলোর বিন্দু- বিসর্গ গলধকরণের ক্ষমতাই আসলে যাদের নেই।

    স্মরণ করা ভালো, শাহবাগের গণজাগরণ বিস্ফোরণের বিপরীতে বিপরীতে বিএনপি-জামাত-হেফাজত যখন মতিঝিল কাঁপিয়ে “নারায়ে তাকবির” ধ্বণীতে ঢাকা নগরীতে দেদার তাণ্ডব চালায়, তখন আমাদের লিজেন্ড ব্লগাররা সে সময় টিভি টক শো, প্রিন্ট মিডিয়া, অন লাইন নিউজ মিডিয়া, ফেবু ও ব্লগে মহা মহা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে অনর্গল জ্ঞানের ঝাঁপি উজাড় করে দিতে থাকেন। সরকারও হেফাজতিদের হেফাজতে নেওয়ার হীন কৌশল হিসেবে মোল্লাতন্ত্রের কাছে নিঃশর্ত আত্ন সমর্পন । মুর্খ ডিবি পুলিশের ওই প্রতিবেদনে গ্রেফতার হয় আসিফ মহিউদ্দীন, মশিউর রহমান বিপ্লব, রাসেল পারভেজ, ও সুব্রত শুভ নামের চারজন সহ-ব্লগার।

    আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে সময় বাণীতে বলেছিলেন, দেশ নাকি মদিনা সনদে চলবে! এর আগে অবশ্য খুন হওয়া ব্লগার রাজিবের বাস ভবনে ছুটে গিয়েছিলেন তিনি। নিহত রাজিবকে “শহীদ” উল্লেখ করে খুনীদের কোনও ছাড় দেওয়া হবে না বলেও অঙ্গিকার করেছিলেন। আর তিনি সে সময় সংসদে এ-ও বলেছিলেন, মন ছুটে যায় শাহবাগে! …[লিংক]

    কিন্তু ডিজিটাল সরকারের এনলাগ বিটিআরসি এখন উল্টোগীত গাইছে। ইন্টারনেট ফিল্টারিং-এর পাশাপাশি তারা এখন গলা টিপে ধরতে চাইছে বাংলা ব্লগের নিঃশঙ্ক চিত্ত। [লিংক]

    তো পাশার দান উল্টে গেলে রাতারাতি মুখোশ নামিয়ে ফেলেন আমাদের সেলিব্রেটি ব্লগার কোম্পানি। নাস্তিক ব্লগার প্রশ্নে আইজু+ইমরান+পিয়াল+জেবতিক কোং সব সমান হয়ে যায় তখন। এরা তখন গ্যাং ব্যাং গ্রুপ খুলে মডারেট ধর্মীয় চ্যাং (পড়ুন ঈমানদণ্ড) দেখিয়ে ফেসবুক থেকে ‘উগ্র নাস্তিক’ তাড়াতে উঠে-পড়ে লাগে । “নাস্তিক” আসিফ এদের কাছে হারাম। হারাম তারাও যারা ফেসবুকে আসিফের মুক্তির কথা বলে। আসিফকে বাদ দিয়েই এরা ব্লগারদের মুক্তি চায়; স্বাধীন বাংলা ব্লগের খোয়াব দেখে।

    এসব আর কিছুই নয়, অন্ধত্ব বিচারে মোল্লাদের সঙ্গে এদের তফাৎ লেবাসের মাত্র।…অথবা হেফাজতের সঙ্গে আওয়ামী মুসলিম লীগের যতখানি, ঠিক ততোখানিই। এই তালেবর মুজিব বাহিনী জামাত- হেফাজতের চেয়েও ভয়ংকর। এরা হচ্ছে সিরাজুস সালেহীন, অন লাইন রগকাটা গ্রুপ; ভেতর থেকে ছুরি মারা চক্র।

    আসিফের মুক্তির শুভ ক্ষণে, কামনা করি সব কুপমণ্ডুকতার অবসান। জয় হোক মুক্তচিন্তা, শুভ বুদ্ধির। হ্যাপি ব্লগিং।

    http://biplobcht.blogspot.com/2013/06/blog-post.html
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.20 | ২৯ জুন ২০১৩ ১৫:৫২583658
  • সংযুক্ত: অগ্রসর লেখক অভিজিৎ রায়ের পাঠ প্রতিক্রিয়া:

    অভিজিৎজুন ২৮, ২০১৩ সময়: ১:৩৮ পূর্বাহ্ণ লিঙ্কগাধা সবসময়ই পানি খায়, কিন্তু একটু ঘোলা করে।

    আসিফ মহিউদ্দীনের জামিনের খবরটা শুনে এটাই মনে পড়ল প্রথমে। গত পয়লা এপ্রিল জামাতি আর হেফাজতি মোল্লাদের তোষামোদ করতে গিয়ে যেভাবে সরকারের পক্ষ থেকে প্রগতিশীল ব্লগারদের হাতকড়া পরিয়ে পাকড়াও করা হয়েছিল, তা ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এর পর থেকেই আমরা চেষ্টা করেছি ব্লগারদের মুক্ত করতে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বব্যাপী। আমাদের সে আহবানে সাড়া দিয়ে সারা বিশ্বের মুক্তচিন্তক আর মানবতাবাদীরা রাস্তায় নেমেছেন প্ল্যাকার্ড হাতে। অ্যামেনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, সিএফআই, রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস সহ বহু সংগঠনই বিবৃতি দিয়েছিল সরকারের বাক স্বাধীনতার উপর এই আগ্রাসনের প্রতিবাদে। আমি নিজেও বেশ কিছু প্রবন্ধ লিখেছিলাম আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়। আর বাংলাদেশে ব্লগার এবং অ্যাক্টিভিস্টরা তো কয়েক দফা করে পথে নেমেছেন। কৃতজ্ঞতা জানাই সবাইকে যারা আসিফের এই কঠিন সময়গুলোতে পাশে ছিলেন, আশার খোরাক যুগিয়েছিলেন।

    তবে বিপরীত দৃশ্যও যে দেখিনি তা নয়। অনেকে আবার চেয়েছিলেন সাড়া জীবনই আসিফ জেলে থাকুন। রাস্তায় ফেলে আরেকদফা কোপালে কিংবা ফাঁসি দিয়ে দিলে তো আরো ভাল। কেবল ‘কাঁঠাল পাতা চিবানো’ ছাগুরা নয়, ছাগু তাড়ানো সেলেব্রিটি ব্লগার, আম্বালিগার, পর্নস্টার সবাই ছিলেন আসিফের এই কল্লা ফেলার মিশনে অগ্রণী শরিক। ছাগুবাহিনী আর মুজিব বাহিনী গ্যাং ব্যাং গ্রুপ করে মিশনে নেমেছিলেন; আসিফের মুক্তি চেয়ে কেউ স্ট্যাটাস দিলেই মুছে দিতে শুরু করেছিল তারা। আমি অবাক হয়ে ভাবতাম – এরাই নাকি শাহবাগ আন্দোলনের পুরোধা, এরাই নাকি দেবে জাতিকে মুক্তি!

    আমি অনেক দিন ধরেই দাঁতে দাঁত চেপে আজকের এই দিনটির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। জানতাম, এক মাঘে শীত যায় না। আসিফ একদিন মুক্তি পাবেন, লেখালিখি শুরু করবেন, শুধু জামিন নয়, সামগ্রিকভাবে মামলা থেকেও মুক্তি পাবেন তিনি। তিনি এখন স্বনামেই পরিচিত দেশে, বহির্বিশ্বে – হয়তো দেশের বাইরেও চলে আসতে পারবেন, চাইলেই, কিন্তু কারাগারে বন্দি অবস্থায় যে বৈমাত্রেয় সুলভ আচরণ তিনি পেয়েছেন সেলিব্রিটি নামধারী কিছু সহব্লগারদের কাছ থেকে সেটা ইতিহাসে লেখা থাকবে।

    অভিনন্দন আসিফ মহিউদ্দীন। অভিনন্দন মুক্তচিন্তার বিজয়ে। আমরা পাশে আছি।

    ধন্যবাদ বিপ্লবকেও সময়োপযোগী লেখাটির জন্য।
    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=35882#comment-109145
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.230.48 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫১583659
  • আপডেট-০১:
    -----------------------------
    ‘হেফাজতি হামলায়’ আহত বুয়েট ছাত্রের মৃত্যু

    প্রায় তিন মাস হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াইয়ের পর হার মানলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আরিফ রায়হান দীপ, হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচির বিরোধিতা করার জেরে যাকে কুপিয়ে আহত করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক দেলোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে দীপের মৃত্যু হয়।

    যন্ত্র প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপ ছাত্রলীগের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। গত ৯ এপ্রিল নজরুল ইসলাম হলে তার ওপর হামলা হয়।

    এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত ১৭ এপ্রিল মেজবাহউদ্দীন নামে বুয়েটেরই আরেক ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। মেজবাহ বুয়েটের স্থাপত্য প্রকৌশল বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র।

    মেজবাহ হেফাজত সমর্থক বলেও পুলিশ কর্মকর্তারা দাবি করেছেন।

    গত ৫ এপ্রিল রাতে শহীদ স্মৃতি হলের মসজিদের ইমাম হলের বাবুর্চিদের দিয়ে খিচুড়ি রান্না করিয়ে মতিঝিলে অবস্থানরত হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের জন্য পাঠান, তখন দীপসহ কয়েক শিক্ষার্থী এর প্রতিবাদ করেন।

    [লিংক]
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article642476.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.230.48 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৬:৫৩583660
  • আপডেট-০২:
    ---------------
    আবারো স্বরূপে আবির্ভূত ডিজিটাল রক্ষীবাহিনী, তথা ইমরান+পিয়াল+জেবতিক+আইজু কোং। অনলাইনের পর এবার অফলাইনে অ্যাকশনে নেমেছে তারা। উপলক্ষ সেই পুরনো শত্রু, লক্ষ্য ক্ষমতার মসনদ, আগামী নির্বাচন। তাই জামাত-হেফাজত নয়; চিনাবাদাম নিধনই তাদের আপাত মূলমন্ত্র। মুক্তিযুদ্ধ এদের পৈত্রিক সম্পত্তি। জয় বাংলা শ্লোগানও।
    পড়ুন, সংবাদিক ও ব্লগার আরিফুজ্জামান তুহিনের ফেবু নোট। [লিংক]
    https://www.facebook.com/photo.php?fbid=10151552952268165&set=a.461194353164.250792.595653164&type=1&theater
    _________________

    “ছাত্রলীগ আপন মহিমায় ফিরেছে।
    ছাত্রলীগের নিজস্ব একটা প্যাটার্ন আছে। সেটা হল ‘গ্রাম্যতা’ (আদি বর্বর অর্থে)। এই গ্রাম্যতা দিয়ে সভ্যতা গিলে ফেলতে চায়। এই সোনার ছেলেরাই ৭১ ‘র’ এর মাধ্যমে তৈরী করেছিল মুক্তিযোদ্ধা নিধন যন্ত্র রক্ষী বাহিনীর প্রস্তুতি সংগঠন আর ৭১ এর পরের ঘটনা সবাই প্রত্যক্ষ করেছে।
    গণজাগরণ মঞ্চ তৈরীর পরই একাধিক বামপন্থি ছাত্র নেতাকে বলেছি বাংলা পরীক্ষার দিনে ভূগোল পরীক্ষার কথা বলা যাবে না এই তত্ব হল আ.লীগকে বাচানোর চেস্টা। কারণ এই আন্দোলন মুরু হয়েছে আ.লীগকে অবিশ্বাস থেকে। সর্বশেষ গণজাগরণ মঞ্চের ঐতিহাসিক আন্দোলন আ.লীগের ছালায় ভরে তা হেফাজতের মুখে ছেড়ে দিয়ে নিজেরা ছুটছে ভারত-আমেরিকার দিকে।
    শাহবাগ আর জাগবে না তার আগের নেতাদের দিয়ে। শাহবাগে নতুন নেতা চাই। Mir Fahim Sabbir Udoy হয়তো সেইসব তরুনদের একজন যারা হতে পারে আন্দোলনের নতুন মুখ। এ কারণেই কি উদয়কে ছাত্রলীগ মেরেছে?
    আগামী শুক্রবার শাহবাগে গণঅবস্থানের ডাক দিয়েছে রাজাকারের বিচারপ্রার্থী তরুণেরা। কর্মসূচী সফল করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণের সময় আজ সন্ধ্যায় বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর মীর ফাহিম সাব্বির উদয়ের ওপর হামলা চালিয়েছে ছাত্রলীগের সোনার ছেলেরা।
    বলি, আসছে জাতীয় নির্বাচন, গণজাগরণ মঞ্চের কুত মারা নেতারা কি করেন তা দেখার জন্য দেশবাসীর মত আমিও অপেক্ষা করছি। এই নেতারা দীপ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে থাকলে তাকে দেখতে যেতে পারে না। আবার সে মারা যাবার পর ছিচ কাদুনি গান শুরু করে। সব সালা ভন্ড।
    স্বাধীনতা যুদ্ধ আ.লীগের পৈত্রিক সম্পতি ন। এ অর্জন গুটি কয়েকক কুলাঙ্গার স্বাধীনতা বিরোধী ছাড়া সবার। স্বাধীনতার দোকানপাট বন্ধ করেন। নাইলে ব্রবসা পাতি জনগণই লাটে উঠাবে।”
    –Arifuzzaman Tuhin
  • siki | 132.177.52.17 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৭:৫৮583661
  • এখন শাহবাগের কী অবস্থা? সমাবেশ কি এখনও চলে? নাকি পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে?
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.230.48 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:৪২583662
  • গুরুর ফেবু গ্রুপ থেকে অধমের লেখা একটি ছোট নোট:
    -----
    @ Soumyadeep Bandyopadhyay

    ০১. আপনার আগ্রহের জন্য ধন্যবাদ। খুব সংক্ষেপে বলার চেষ্টা করছি, শাহবাগ গণবিস্ফোরণকে আ'লীগ/ছাত্রলীগ ছিনতাই করে প্রথম থেকেই যুদ্ধাপরাধ/মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে কাজে লাগিয়ে ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করতে চাইছে। ব্লগাররাই যেহেতু "নির্দলীয় আন্দোলন"টির সূচনাকারী তাই তাদের প্রয়োজন পড়েছে অনলাইন দলকানা লোকজন। ইমরান+পিয়াল+জেবতিক+আইজু কোং হচ্ছে তাদের সেই ভার্চুয়াল রগকাটা বাহিনী- সিরাজুস সালেহীন, তথা ডিজিটাল রক্ষী বাহিনী।

    ০২. এদিকে শাহবাগের বিপরীতে বিএনপি-জামাত হেফাজতকে দাঁড় করালে সরকার লোক দেখানো চারজন ব্লগারকে সরকার আটক করে। অন্যদিকে মৌলবাদীরা খুন করে তিনজন ব্লগারকে। এ পরিস্থিতিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো শাহবাগ আন্দোলনে কোনঠাসা হয়ে পড়ে। আন্দোলনটি পুরোপুরি আওয়ামী রাজনীতির অংশ হয়ে যাওয়ায় এটি আর সারাদেশে তো বটেই, এমনকি পুরো ঢাকাতেও বিস্তৃত হতে দেওয়া হয় না। শাহবাগ-টিএসসি'র ছোট্ট প্রাঙ্গনে এটিকে প্রহসনমূলক ভাবে আটকে রাথা হয়।

    ০৩. এরমধ্যে দেশের চারটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হেফাজতিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করায় সব ক'জন আ'লীগ প্রা র্থীর পরাজয় ঘটে। কাল আবার গাজীপুর সিটির ভোট। এবার আ'লীগ সেখানে হেফাজতের পাল্টা হিসেবে ভোটের রাজনীতিতে ব্যবহার করতে চাইছে শাহবাগের ইমেজ। এজন্য তারা ভোটের রাজনীতিতে পোষ্য ডিজিটাল রক্ষী বাহিনীকে মাঠে নামিয়েছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনেও এরা খেলবে।

    ০৪. এ পরিস্থিতিতে বাম ছাত্র সংগঠনগুলো [যারা আ'লীগের ভাষায় চীনাপন্থী, সংক্ষেপে, চিনাবাদাম] যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রশ্নে নতুন করে নির্দলীয় ব্যানারে শাহবাগ আন্দোলনকে সংগঠিত করতে চাইলে গতরাতে ছাত্রলীগের গুণ্ডারা তাদের মারধোর করেছে। ওপরে সাংবাদিক ও ব্লগার আরিফুজ্জামান তুহিন এসব কথাই বিস্তারিত বলেছে।

    ০৫. শাহবাগ আন্দোলন নিয়ে গুরুচণ্ডালি ডটকম-এ কয়েক বার লিখেছি। এ বিষয়ে মুক্তমনার এই নোটটিতেও বর্তমান প্রেক্ষাপটটি ব্যাখ্যা করেছি।
    http://mukto-mona.com/bangla_blog/?p=35882
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.230.48 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:৫৩583663
  • সিকি,

    এইমাত্র সুমিত্রদীপ বাবুকে ফেবুতে বলা ওপরের ছোট্ট নোটটিতে আশাকরি বিষয়টি কিছুটা বোঝাতে পেরেছি। শাহবাগ এখন সরকারি দল আ’লীগের এজেন্ডা। সেলিব্রেটি ব্লগারদের অনেকেই সরকারের ভোটের খেলায় মাথা বিক্রি করেছেন। অনলাইন ও অফলাইনে আ’লীগের পক্ষে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট ভিক্ষা করছেন।

    হায় রে যুদ্ধাপরাধীর বিচার!!

    আমার ধারণা, এই ভাঁওতাবাজীর খেলায় ফাঁকতালে বিএনপি-জামাত-হেফাজত জোট আবার আগামী নির্বাচনে সরকার গঠন করবে। অথবা ছদ্মবেশী সেনা শাসনও বিচিত্র নয়।

    কানায় কানায় ওলামেলা
    বোবাতে খায় রসগোল্লা গো!...
  • বিপ্লব রহমান | 127.18.230.48 | ০৪ জুলাই ২০১৩ ১৮:৫৭583664
  • * সংশোধনী//

    গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন শনিবারে, ৬ জুলাই।
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৮:০৪583666
  • জামিনে কারামুক্তির পর এই প্রথম লিখলেন "নাস্তিক" ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন। দুঘন্টা আগে ফেবুতে লেখা নোট:

    _____________
    "সেই প্রথম দিনের জেল প্রবেশের কথা মনে পড়ছে।

    গাড়ি থেকে যখন নামানো হল, তখন আমরা সংখ্যায় পরিণত হয়েছিলাম। গরু বাছুরের মত আমাদের বারবার গোনা হচ্ছিল, এরপরে একটা অন্ধকার করিডোরে নিয়ে যাওয়া হল। আমরা চারজন একজনার পিছনে আরেকজন ঢুকছি, আমাদের সামনে পিছনে চারজন কারা প্রহরী। সবার আগে রাসেল ভাই, তারপরে শুভ, তারপরে আমি, সবশেষে বিপ্লব ভাই। আমাদের ১৪ সেলে নিয়ে গেল। ১৪ সেলের দরজা দিয়ে ঢোকার সাথে সাথেই চারদিক থেকে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়ে গেল, তাদের টিনের বাসন দিয়ে শব্দ করে কান ঝালাপালা আবস্থা। তারা সবাই একসাথে স্লোগান দিতে লাগলো; বলতে লাগলো, "নাস্তিকমুক্ত জেলখানা চাই", "নাস্তিকদের আজই ফাঁসি চাই", "জেলখানায় নাস্তিক, মানি না মানবো না"।

    একটা সিনেমাতে এমনটা দেখেছিলাম। খুব বিখ্যাত একজন খুনী জেলে ঢোকার পরে সিনেমাটায় এমন হয়েছিল। জেলখানায় খুনী ধর্ষক মাদকব্যবসায়ী সকলেই আছেন, এমন কোন অপরাধ নেই যা এক একজন করে নি। কেউ নিজের মা কে হত্যা করেছে তো কেউ ছোট একটা বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষন করেছে, আবার কেউ ২০-২৫ টা খুন করেছে, কেউ বা দেশ ফেনসিডিলের বন্যায় ভাসিয়ে দিয়েছে। সবাই আছে থাকবে ছিল, কিন্তু পুরো জেলখানায় চারজন ধর্মে অবিশ্বাসী নাস্তিকের জায়গা নেই! যেন পৃথিবীর সবচাইতে বড় অপরাধ হচ্ছে ঈশ্বরে অবিশ্বাস করা, মনে হচ্ছিল চিন্তা করতে পারার মত, নিজের বিশ্বাস অবিশ্বাসের সিদ্ধান্ত নিজে পছন্দ করার মত খারাপ কাজ এই শতাব্দীতে আর একটিও নেই।

    সত্যিকথা বলতে কী, এই কথাটি বলে তারা ধার্মিকদের জয়গান গাইলো নাকি প্রকারান্তরে নাস্তিকদেরই জয়ধ্বনি দিল, সেটা বোঝা গেল না। কারণ জেলখানা তারা ধার্মিক দিয়ে পূর্ণ করে ফেললে ধর্মের সম্মান হয় নাকি অসম্মান, সেটা একটা সুন্দর বিতর্কের বিষয় হতে পারে, তবে সেই বিতর্কে তখন যাবার মত অবস্থা ছিল না। আমি সম্ভবত তাদের বেশ পছন্দের ছিলাম, তারা বলতে লাগলো, "ঐ যে তিন নম্বরটা আসিফ মহিউদ্দীন" এবং সেই সাথে আমার পরিবার পরিজন পূর্বপুরুষের সবাইকে খুব সভ্য ভদ্র মার্জিত ভাষার বুলি সমূহ। স্বঘোষিত ধর্মরক্ষকগণের এহেন বুলি শুনে কারো মনে তাদের পবিত্র ধর্ম সম্পর্কে কী ধারণা হওয়া উচিত, তা পাঠক মাত্রই বুঝে নেবেন। এর চাইতে বেশি কিছু বলা শোভন হবে না, এই মূহুর্তে আরেকটি মামলা খেয়ে যাবার কোন ইচ্ছা নেই। তবে খাঁটি ধর্মপ্রাণ সমাজ আসলেই এরকমই হবে, এরকমই হবার কথা।

    যাইহোক, আমাদের ঢোকানো হল একটি ১০/৬ ফুট সেলে, রুম নম্বর ১০; চারজন সেই রুমে ঢোকার পরে তালা লাগিয়ে দেয়া হলো, এবং তখনও চারিদিকে প্রচণ্ড হৈচৈ, হট্টগোল। আমাদের সবাইকে তারা সকাল বেলা কীভাবে জবাই করবে, আমাদের কোন পথে কী প্রবেশ করাবে, তার পুংখানুপুংখ বর্ণনা তারা দিয়ে গেলো। একজন লুঙ্গি খুলে নাচতে শুরু করলো, এবং আমাদের ডাকতে লাগলো, ডেকে ডেকে তার বিশেষ বিশেষ অঙ্গ প্রত্যঙ্গ প্রদর্শন করতে লাগলো। সকালে তারা লাইন ধরে কীভাবে ঐ প্রত্যঙ্গ দিয়ে অনেক কিছুই করবে বলে হুমকি দিল, আর আমরা অবাক হয়ে ভাবতে লাগলা, এদের নামই তবে ধার্মিক? ভয়াবহ বিভৎস পরিস্থিতি। আমরা চুপচাপ সব শুনে যাচ্ছি, কারণ আমাদের কিছুই করার নেই। রুমের ভেতরে একটা ফ্যান ঘুরছে, তারপরেও প্রচণ্ড গরমে আমরা দর দর করে ঘামছি।
    একটু পরে কেউ একজন বাইরে থেকে আমাদের ফ্যানটি বন্ধ করে ষোলকলা পূর্ণ করলো। রুমের ভেতরে তখন মোটামুটি সাহারা মরুভুমির মত অবস্থা। নিচের ময়লা কম্বল আমাদের ঘামে ভিজে যাচ্ছে। কারো কাছে সিগারেট ছিল না, আমি বুদ্ধি করে ঢোকার সময় ২৪০ টাকা দিয়ে এক প্যাকেট বেনসনের ব্যাবস্থা করেছিলাম। প্যাকেটটা বের করতেই দেখা গেল, সবার কাছ থেকেই লাইটার এবং ম্যাচ রেখে দেয়া হয়েছে। আমরা কারারক্ষীদের ডাকতে লাগলাম। কারারক্ষীদের দূর থেকে দেখা যাচ্ছে, কিন্তু তারা সামনে আসছে না। দূরে বসে মজা দেখছে। প্রায় ঘন্টাদুয়েক ডাকাডাকির পরে একজন আসলো, এবং বললো কী হইছে। আমরা ফ্যানটা ছেড়ে দিতে বললাম, সে ফ্যানটা ছেড়ে বললো কেউ মনে হয় ভুলে বন্ধ করে দিয়েছে! বুঝতে পারলাম তারাই এই কাজটি করেছে। এরপরে অনেক অনুনয় বিনয়ের পরেও সে একটা লাইটার বা ম্যাচ আমাদের দিলো না। সারারাত সিগারেটের প্যাকেট নিয়ে বসে থাকলাম আর তাদের চেঁচামেচি শুনলাম, আমি একটা সিগারেট বের করে ঠোঁটে নিয়ে টানার চেষ্টা করছিলাম। তখন মনে হচ্ছিল এই রকম পরিস্থিতিতে কী করা উচিত আসলে!

    সকালের জন্য অপেক্ষ করছিলাম, সকালে কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা হবেই। প্রচণ্ড ভীত তখন, সকালে কী হবে জানি না। হয় কোন ব্যবস্থা হবে, নতুবা একপাল ভয়ঙ্কর অপরাধী আমাদের চারজনকে কচুকাটা করবে। গরমে ঘুম বারবার ভেঙ্গে যাচ্ছে, ঘেমে নেয়ে উঠছি আর শুনছি আমাদের বিরুদ্ধে তখনও স্লোগান চলছে। তাদের গালি গুলো অসম্ভব সৃজনশীল, কীভাবে তারা এই গালিগুলো চিন্তা করে বের করে সেটা এক অশ্চর্য বিষয়! তখনও আমরা জানি না আমাদের ছেড়ে দেবে নাকি আটকে রাখবে। আমরা ভাবছি আজকের রাতটাই তো, সকালেই ছেড়ে দেবে। আমাদের বিরুদ্ধে তো পুলিশ কোন প্রমাণ হাজির করতে পারে নি। তখনও জানতাম না, দুঃস্বপ্নের সবে শুরু।"
    https://www.facebook.com/atheist.asif/posts/546197995427633
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৮:৫৪583667
  • দুদিন আগের ঘটনা। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বা বিসিএস পরীক্ষায় অকৃতকার্য “মেধাবী”রা জড়ো হয়েছেন শাহবাগে। জামাত-হেফাজত ছাগু কোং চাইছে তাদের উস্কে দিতে। এ পরিস্থিতিতে আদিবাসী ব্লগার এসপি চাকমা জুনন লিখেছেন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া।
    ---------------------------
    S P Changma Xǝuou:
    ”কোটা বিরোধী আন্দোলন করছেন। ভালো কথা। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা বা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাসহ অন্যান্যদের অপমান করবেন না।
    চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের জমি-ঘর-বাড়ি যখন দখল হয়, যখন গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়, যখন কাপ্তাই বাঁধের পানি মাসের পর মাস ফসলি জমি ডুবিয়ে রাখে তখন আপনারা কেন চুপ থাকেন?
    পাহাড়ে যখন বছরের পর বছর সেনা শাসন চলে, যখন মাতৃভাষায় প্রাথমিক শিক্ষা পায়না, যখন লক্ষ লক্ষ পাহাড়ি শরনার্থী হয়ে পালিয়ে যায়, তখন যদি আপনার চুপ না থেকে শাহবাগ দখল করে আন্দোলন করতেন, বা চাকমা, মারমা, ত্রিপুরাদের বাংগালি বানাবার অপচেষ্ঠা রুখে দাঁড়াতেন তখন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতোনা। তখন আমাদের পূর্বপুরুষরা অস্ত্র হাতে নিয়ে যুদ্ধের ময়দানে নামতেন না। সৃষ্টি হতোনা কোন শান্তিবাহিনীর!
    কাপ্তাই বাঁধ যখন গ্রাম-জমি ডুবিয়ে দেয় তখন সবাই মুখবুজে সহ্য করেছিলো এই ভেবে যে এখনো রয়েছে বাঁচবার ঠাঁই। তাই সেই সময়ে অনেকে হয়েছিলো দেশান্তরী, অনেকে পিতৃ ভিটার টানে শত কষ্ট, অত্যাচার সয়ে রয়ে গিয়েছিলো নিজ মাতৃভূমিতে। সেই জমিও এক সময় স্বার্থপর লোভ লালসার আগ্রাসনে পড়ে।
    এই কোটা সিস্টেম পাহাড়িদের উপর শাসক শ্রেনির দয়া নয়, এটি পাহাড়িদের ন্যায্য পাওনা। যেই পাওনা এতোদিন কেবল কাগজে কলমে ছিলো। এর আগে প্রতিটি সরকার এই কোটা সিস্টেম মানেনি। তাই আজ এতোগুলো পোস্ট খালি।
    পার্বত্য চট্টগ্রামে কারো পোস্টিং হওয়া মানেই ডিমোশন (আপনাদের চিন্তা ধারাতে)। তাই আমার দেখা অনেকেই পোস্টিং হওয়ার সাথে সাথে ডেপুটেশনে ফিরে যাই। অনেক সময় দেখ যায় একজন কর্মকর্তাকে অনেকগুলো উপজেলা দেখশুনা করতে। যেখানে দূর্গমতার কারনে একটা উপজেলা দেখাশুনা করা কঠিন হয়ে পড়ে।
    ২০০৪-০৫ এর দিকে আমরা যখন ঢাকায় যাই, তখন সবাই হা করে থাকতো। অনেকে আবার জিজ্ঞেস করতো কোন দেশ থেকে এসেছি। আর এখন রিকশাওয়ালারা সরসরি পার্বত্য চট্টগ্রাম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। কারন ঢাকাতে পাহাড়িদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেড়েছে শিক্ষিতের হার। কারন এ সময়ে সরকার পাহাড়িদের সাথে আগের মতো বিমাতাসুলভ আচরন করেনি (তবে সেই বিমাতাসুলভ আচরন আগের মতো না হলেও এখনো বিদ্যমান)।
    পাহাড়ী কৃষি গবেষণার কর্মকর্তার মোট পদ (১২,৯,৬=২৭ টি)। সেখানে এখানে কর্মরত (৪,২,২=৮ জন)! যারা আছেন তারা শুধু পাহাড়িদের ভালোবাসার টানে আছেন। হয়তো একসময় তারাও থাকবেন না।
    অথচ এখানে একজন পাহাড়িকে নিয়োগ দিলে সে অনেক মনেপ্রানে আগলিয়ে রাখতো। এই রকম অনেক বিভাগ পদশুন্য হয়ে আছে বছরের পর বছর। সেখানে বিশেষ পদ্ধতিতে নিয়োগ দিলে আপনার গায়ে লাগে।
    এখন আপনারা আন্দোলন করছেন। ভালো কথা। সেটি যেন আপনাদের মেধার ফলফ্রসু হয়। সেই মেধা উদগিরিত হয়ে যেন কারো সন্মানে আঘাত না লাগে “
    _____________
    https://www.facebook.com/photo.php?fbid=420560651390559&set=a.328177187295573.75270.328003820646243&type=1&theater
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ১৮:৫৬583668
  • পরদিন সহব্লগার, মণিপুরী লেখক কুঙ্গ থ্যাঙ লিখলেন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ফেবু নোট:

    Adivasi Voice
    Liked · Yesterday ·

    Kungo Thang
    "আদিবাসী কোটার জন্য যাদের গাত্রদাহ শুরু হয়েছে তাদেরকে জানাই, ৫% সংখ্যাটি একটি সংখ্যামাত্র, এর সাথে বাস্তবের বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নাই। শতকরা আশিভাগ সরকারী চাকুরিতে আদিবাসীদের জন্য এই কোটাবন্টন মানা হয়না। সরকারি স্কুলগুলোতে প্রতিবছর যতগুলো শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয় তার কয়জন আদিবাসী কোটায় নিয়োগ পায়? প্রতিবছর পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীতে এতোগুলো নিয়োগ হয় সেখানে কয়জন কোটায় সুযোগ পায়? ৩৩তম বিসিএস চারহাজার পদের বিপরীতে কয়জন আদিবাসী নিয়োগ পেয়েছে? শতাংশ হিসাবে যেখানে ২০ জনে ১ জন নিয়োগ পাওয়ার কথা সেখানে ১০০০ জনে ১ জনও নিয়োগ পায়না। যারা চাকরি পায় তারা দু'নম্বরি রাস্তা দিয়েই পায়। ঘুষের টাকা যোগাড় করতে কতজনকে ভিটাবাড়ি বিক্রি দিতে হয়েছে তার হিসাব নাই।

    পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির ক্ষেত্রে কোটার শতাংশ হিসাবে একেবারেই মানা হয়না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসনসংখ্যা প্রায় ৬০০০, সেখানে কি প্রতিবছর ৩০০ জন আদিবাসী ছাত্র ভর্তি করা হয়? বাস্তব হলো সরকারি হিসাবে বাংলাদেশের ৪৪টিরও বেশী আদিবাসী জনগোষ্ঠির জন্য সরকারী মেডিক্যাল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এবং ক্যাডেট কলেজ সবগুলো মিলিয়ে সাকুল্যে মাত্র ৮০টি আসন সংরক্ষিত আছে। শতকরা হিসাবে যেটা ০.২৫% এরও কম।

    নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন, ৫% একটি বড় শুভংকরের ফাঁকি।

    এরমধ্যে কয়জন বাঙালি নাম পাল্টে বা এফিডেবিট করে আদিবাসী কোটার সুযোগ নেয় সে হিসাব নাইবা দিলাম।

    ভাই, দয়া করে আদিবাসী কোটার উপর থেকে আপনার লোলুপ দৃষ্টিটি সরান।"
    https://www.facebook.com/photo.php?fbid=421033728009918&set=a.328177187295573.75270.328003820646243&type=1&theater
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২০:৩৯583669
  • আপডেট/ কপ্টার শফি, ওরফে তেঁতুল বাবার ওয়াজে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে নারী সমাজ।
    ______
    ধর্মীয় বক্তৃতায় নারীদের ‘অবমাননা’ করায় হেফাজতে ইসলামের আমির আহমদ শফীর গ্রেপ্তার চেয়েছে বাংলাদেশ নারী মুক্তি সংসদ।

    শনিবার এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভানেত্রী হাজেরা সুলতানা ও সাধারণ সম্পাদক সালেহা সুলতানা বলেন, শফীর তার বক্তব্যে নারীদের অবজ্ঞা নয়, অপমানও করেছেন।

    “এ অপরাধে অবিলম্বে তাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনা হোক।”

    সম্প্রতি হাটহাজারীতে আহমদ শফীর একটি বক্তৃতার ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়লে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়।

    ওয়াজে শফী নারীদের চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়াতে নিষেধ করেন, সমালোচনা করেন সহশিক্ষার। নারীদের চাকরি না করে বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। ওই বক্তৃতায় নারীদের পোশাক-আশাক এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও কথা বলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক।

    শফীর ওই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মহল থেকেও নিন্দা এসেছে।

    ‘বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও’ এর ব্যানারে ১৭ বিশিষ্ট নাগরিক শনিবার এক বিবৃতিতে শফীর বক্তব্যকে ‘কুরুচিপূর্ণ’ আখ্যায়িত করে বলেছেন, এই বক্তব্য বিকৃত মানসিকতার পরিচায়ক।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article646717.bdnews
  • বিপ্লব রহমান | 212.164.212.14 | ১৩ জুলাই ২০১৩ ২০:৪১583670
  • আপডেট/ ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রধানমন্ত্রীও।
    ___________________
    শফীর বক্তব্য জঘন্য: শেখ হাসিনা

    ওয়াজে নারীদের নিয়ে আহমদ শফীর বক্তব্যকে জঘন্য বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    হেফাজতে ইসলামের আমিরের এক ওয়াজ নিয়ে সম্প্রতি দেশব্যাপী নিন্দার ঝড়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও শনিবার গণভবনে এক অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

    শেখ হাসিনা বলেন, “আল্লামা শফীর একটা কথা/দুই একদিন ধরে টেলিভিশনে দেখছি। আল্লামা শফী যা বলেছেন, তা অত্যন্ত জঘন্য বলে আমি মনে করি। উনি মেয়েদের সম্পর্কে অত্যন্ত নোংরা ও জঘন্য কথা বলেছেন।”

    হাটহাজারীতে ওই ওয়াজের ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন মহল থেকে এর তীব্র সমালোচনা ওঠেছে।

    ওয়াজে আহমদ শফী নারীদের চতুর্থ শ্রেণির বেশি পড়াতে নিষেধ করেন, সমালোচনা করেন সহশিক্ষার। নারীদের চাকরি না করে বাড়িতে রাখার পরামর্শ দেন তিনি। নারীদের নিয়ে আরো যেসব কথা তিনি বলেছেন, তাও কুরূচিপূর্ণ বলে সমালোচনা উঠেছে।

    শেখ হাসিনা বলেন, “উনার কি মা নেই? উনি কি মায়ের পেট থেকে জন্মাননি? উনার কি বোন-স্ত্রী নেই? আমাদের মা-বোন-স্ত্রীদের সম্মান তো আমাদের রক্ষা করতে হবে।”

    ওই ওয়াজে নারীদের পোশাক-আশাক নিয়ন্ত্রণ এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধেও কথা বলেন হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক শফী।

    তিনি বলেন, মেয়েদের কাজ ঘরের ভেতর। তাদের কাজ স্বামীর ঘরের আসবাবপত্র দেখাশোনা করা ও ছেলে সন্তান লালন-পালন করা।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ইসলাম ধর্ম শান্তির ধর্ম। ইসলাম ধর্ম প্রথম যিনি গ্রহণ করেছিলেন- তিনি একজন মহিলাই ছিলেন। ইসলাম ধর্ম প্রথম গ্রহণ করেন বিবি খাদিজা। আর কেউ সাহস করে তা করেনি। এটা ওনার (শফী) মনে রাখা উচিত ছিল।

    “ইসলাম ধর্মে যে জেহাদ হয়। সেই জেহাদে প্রথম যে শহীদ হন- তিনি বিবি সুমাইয়া।”

    “তাদের সম্পর্কে এই নোংরা আর জঘন্য কথা বলা, আবার এই নারী নেতৃত্বকে মেনে নিয়েই,” গণজাগরণবিরোধী হেফাজতের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্কের দিকে ইঙ্গিত করেন শেখ হাসিনা।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article646506.bdnews
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ২০:৪৭583672
  • গোলাম আযম দোষী সাব্যস্ত হয়েছে সব চার্জেই, এটা ভাল খবর।
  • শ্রী সদা | 127.194.204.34 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ২১:০৩583673
  • আসিফ মহিউদ্দীন কে বোধয় ব্লক করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে শুয়োরের বাচ্চাগুলো। পেজ নট ফাউন্ড বলছে।
    হাতে ক্ষমতা থাকলে এই আল্লাভক্ত উদগান্ডুগুলোকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আল্লাবাবার সঙ্গে দেখা করানোর ব্যবস্থা করতাম। নাস্তিকতার জন্যে জেলে যেতে হয় - শালা দেশ না চিড়িয়াখানা !
  • aranya | 154.160.226.53 | ১৫ জুলাই ২০১৩ ২১:১৬583674
  • প্রফেটের অবমাননা করেছে ব্লগাররা, এইরম কোন ভুয়া অভিযোগে জেলে পাঠিয়েছিল মনে হয়, বাংলাদেশে বোধ হয় ব্ল্যাশফেমি ল আছে।
    শুধু নাস্তিকতার জন্য আইনত কোন স্টেপ নিতে পারে না।
  • কল্লোল | 125.241.118.228 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:৩৬583675
  • হুঁ হুঁ বাওয়া। সে সব আমাদের মহান দ্যাশেও আছে।
    আমার এক বন্ধু একটা উপন্যাস লিখেছিলো, সমুদ্র মন্থন নিয়ে। তাতে ব্রহ্মা বিষ্ণু শিব ইন্দ্র এদের নিয়ে এট্টু মস্করা ছিলো। তা, হারপার কলিন্স কয়ে দিলো ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবের নাম পাল্টাও। নয়তো কি একটা আইন আছে, তাতে কেউ যদি অভিযোগ করে যে আমার ধর্ম বিশ্বাস এতে আঘাত পাচ্ছে, তবে আগে লেখক ও পাবলিশারের শ্রীঘর, পরে বিচার ইঃ।
    ফলে তাকে নাম পাল্টাতে হয় ও সেটা করতে গিয়ে অন্য একটা গপ্পো ফাঁদতে হয়। তবে সেটি ছাপা হয়।
  • কল্লোল | 125.241.118.228 | ১৬ জুলাই ২০১৩ ১৩:৩৯583677
  • গোলাম আজমের শাস্তি হলো। আশা করি অন্যরাও শাস্তি পাবে। কোথাও তো কোন বিষয়ে ন্যায় বিচার হচ্ছে। এটুকু দেখে যেতে পারাও বড় আনন্দের।
  • বিপ্লব রহমান | 213.202.241.99 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২০:০৮583678
  • সূর্য তুমি নিভে যাও!
    বিপ্লব রহমান
    __________________________
    ছয় মাস পরের সম্ভাব্য কাল্পনিক দৃশ্য: জামাতের মুকুটহীন সম্রাট গোলাম আজম “ভি” চিহ্ন দেখিয়ে জেল গেট থেকে বের হলেন। মুখে মৃদু হাসি, নূরানী চেহারা, সফেদ দাড়িতে জেল্লা ছড়ায় চারপাশ। ভোর রাত থেকে “তাওহিদী জনতা” ব্যানারে অপেক্ষমান জামাত-শিবিরের কর্মীরা তাকে দেখামাত্র উল্লাসে ফেটে পড়েন। আকাশ বিদীর্ণ করে শ্লোগান ওঠে –”নারায়ে তাকবির! জেলের তালা ভেঙেছি, গোলাম আজমকে এনেছি!”

    টিভি ক্যামেরা, স্টিল ক্যামেরা, রিপোর্টার আর পুলিশ্-ড়্যাবের মধ্যে খানিকটা হুড়োহুড়ি বাধে। বিএনপি-জামাত-হেফাজতের সিনিয়ার নেতারা সারিব্ধভাবে কারামুক্ত নেতাকে ফুলের মালা দিয়ে শুভেচ্ছা জানালেন। মিষ্টিমুখ করার দৃশ্য ছবিতে ধারণ করেন তারা নানা ভঙ্গীমায়। খানিক পরে কড়া পুলিশী নিরাপত্তায় গোলাম আজমকে নিয়ে দামি গাড়ির বহর ছুটে চলে মগবাজারের বালাখানায়।

    অন্যদিকে, এই ঘটনা টিভিতে লাইভ দেখে ভাটারা ইউপি চেয়ারম্যান, মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, বীর প্রতীক তার সহযোদ্ধাদের ডেকে মৃদূ গলায় বললেন, ১৯৭১ এ আমরা ভুল করেছি, গোলাম আজম ভুল করে নাই। নবম শ্রেণীতে পড়ার সময় নিজের জীবন তুচ্ছ করে পাকিস্তান গভর্ণর মোনায়েম খানকে অপারেশন করাটাও ছিলো জীবনের বড়ো ভুল। …তোরা আমাকে ক্ষমা করিস।

    * নিতান্তই কাল্পনিক দুই দৃশ্যকল্প। কিন্তু খুব কি অসম্ভব? বাংলাদেশ এখন সব অসম্ভবের দেশ।…
    ___
    সংযুক্ত:

    প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল/ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
    গোলাম আযমের মতো গণহত্যার সংগঠকের শেষ পর্যন্ত ফাঁসির রায় হল না, তাকে নব্বই বছরের কারাদণ্ড দেয়া হল। যদিও তার প্রাণদণ্ডাদেশ প্রত্যাশিত ছিল, কিন্তু এত দীর্ঘ সময়ের কারাদণ্ডও চরম শাস্তিই । তিনি তো আর নব্বই বছর বাঁচবেন না । তবে এ রায়ের ফলে তিনি বেঁচে থাকার একটি সুযোগ পেলেন সেটা্ও সত্য । প্রাণদণ্ডাদেশ হলে সেটি কার্যকর করে তাকে অপরাধের জন্য প্রাপ্য শাস্তি দেয়া সহজ ছিল । তবে আপিলের সুযোগ আছে ।

    [লিংক]
    http://biplobcht.blogspot.com/2013/07/blog-post.html
  • বিপ্লব রহমান | 213.202.241.99 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২০:১৬583679
  • Lest we forget!
    Meghna Guhathakurta

    July 15, 2013
    ________________________________
    I remember the day distinctively. It was a day that made me think I no longer belonged to Bangladesh, a day that I felt I was still living in the state of Pakistan. It was a couple of days after the historic event of Gano Adalat (Peoples’ Tribunal) — the 1992 mass gathering in Suhrawardy Udyan in Dhaka where millions of people responded to the call of Shahid Janani, Jahanara Imam, the mother of freedom fighter Shafi Imam Rumi, to raise their voice for the trial of war criminals. In the peoples’ tribunal, several well-known people were invited to be witnesses. Among them were members of Projonmo ‘71, the organisation of the children and families of martyrs. I was among them.

    The then ruling BNP regime had at that time instructed the police to stop such a mass gathering, but millions defied to throng Suhrawardy Udyan. It also happened to be the 26th of March, our independence day. The ruling BNP regime sought to write off the whole gathering as something else! The ministers said the people had come to Dhaka to witness the illuminations of Independence Day. Then there was something more serious. Rumours had it that the organisers and witnesses of Gano Adalat would be tried for treason! The whole idea seemed preposterous because there were many on the list who had contributed to drafting Bangladesh’s constitution. Then there were others who were freedom fighters as well as acknowledged patriots in public life.

    Then one evening I received a telephone call from a reporter of a regional newspaper Dainik Karatoa. The reporter said they had just heard from the Attorney General’s office that the government was going ahead with the charges of treason. The Attorney General who was a man of great honour and believed in the ideals of the Liberation War was so annoyed when he got the order that he threw his law books against the wall. The reporter told me to get out of the house and go into hiding, since as one of the witnesses, there may also have been a warrant issued for my arrest. My heart sank low. Everything seemed meaningless: the Liberation War, my father’s death, my mother’s struggle to raise me as a worthy citizen of this precious land which her husband has given his life for, my own budding career as a University teacher all disappeared into a black hole. I turned to my mother. She too found it unbelievable. We made several phone calls, but nothing definite was known. Then at the spur of the moment I decided to go to a cousin’s place for the night leaving my mother to hold the fort. Later that night I spoke with Dr. Kamal Hossain, a lawyer of great repute who led the authors of the nation’s constitution, for advice; he too suggested that I wait out the time till things became a little clearer. After a restless night’s sleep, I decided to go over to another cousin’s place. It was then that the morning papers came with the list of people accused of treason and my name was not there, nor the names of other members of Projonmo ’71. The Government must have realised at the last moment how ludicrous it would all become if we were to be charged with treason!

    Later on that day a large group of eminent citizens were charged. And they came from all walks of life — teachers, cultural activists, lawyers, poets. Jahanara Imam, leading all these luminaries, appeared before the Supreme Court to turn themselves in and sought anticipatory bail.

    Though I heaved a sigh of momentary relief, the pall of gloom that fell over the city was interrupted only by spontaneous outbursts of outrage and protests at the turn of events. Ghulam Azam, now a legally-proven war criminal, who was sentenced to death by the peoples’ tribunal and who came from Pakistan in 1978 and was declared Amir of Jamaat-e-Islami in 1991, had has citizenship restored through an order of the High Court. To make matters worse, he was being held by the government in what was described as protective custody, while all the noble people who had fought for the independence of this country were being held for treason! To me, it was the biggest ‘blasphemy’ ever!

    The recollection of these events is important today when the nation hears the verdict on Ghulam Azam. The day is important for various reasons: in Bangladesh, the powers that be have had an amazing record of betraying the trust of the people time and again; in this country, too, the people have risen again and again, generation after generation, to remind the state of its duties. What will the people of this country do now?

    ———————————————
    Meghna Guhathakurta is the daughter of the late Professor Jyotirmoy Guhathakurta, martyred in the early days of 1971 war.
    http://opinion.bdnews24.com/2013/07/15/lest-we-forget/
  • বিপ্লব রহমান | 213.202.241.99 | ১৭ জুলাই ২০১৩ ২০:২০583680
  • আপডেট/প্রথম মন্ত্রী, যাচ্ছেন ফাঁসিকাষ্ঠে

    স্বাধীনতার পর এই পর্যন্ত মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারীদের মধ্যে আলী আহসান মো. মুজাহিদই প্রথম মৃত্যুদণ্ড পেলেন।
    একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত এই জামায়াত নেতা ২০০১ সালে গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলেছিলেন, যা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ ছিল দেশের মানুষের।

    একাত্তরে আল বদর নেতা হিসেবে বুদ্ধিজীবী ও হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষকে হত্যার যে অভিযোগ মুজাহিদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে তুলে আসছিল দেশের মানুষ, যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তার প্রমাণ পেয়ে বুধবার রায়ে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে।

    কারা উপ মহাপরিদর্শক গোলাম হায়দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার জানা মতে, এটাই প্রথম সাবেক কোনো মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড।”

    মুজাহিদের আগে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে কয়জন জামায়াত নেতার মৃত্যুদণ্ডাদেশ হয়েছে, তাদের কেউ মন্ত্রী ছিলেন না। তবে অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজন মন্ত্রী ছিলেন।

    ওই তিনজন আব্দুল আলীম, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী ও মতিউর রহমান নিজামী মন্ত্রী ছিলেন।

    আলীম মন্ত্রী ছিলেন জিয়াউর রহমানের আমলে, সালাউদ্দিন কাদের এরশাদ আমলে মন্ত্রী ছিলেন এবং পরে খালেদা জিয়ার আমলে মন্ত্রীর মর্যাদায় উপদেষ্টা ছিলেন।

    জামায়াত আমির নিজামী ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার সরকারে পর্যায়ক্রমে কৃষি ও শিল্পমন্ত্রী ছিলেন। ওই মন্ত্রিসভায়ই টেকনোক্রেট হিসেবে সমাজকল্যাণমন্ত্রী ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মুজাহিদ।

    মুজাহিদের মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এম কে রহমানও বলেন, বাংলাদেশে এর আগে কোনো মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড হয়নি।

    “অবশ্য আজও কোনো মন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড হয়নি। আজ এক নিকৃষ্ট যুদ্ধাপরাধীর মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।”

    “৩০ লাখ শহীদের রক্তে যারা দেশকে ভাসিয়েছে, সেই রক্তে অর্জিত দেশে তার মন্ত্রিত্ব এদেশের মুক্তিকামী মানুষ কোনোদিন মানতে পারেনি, পারবেও না।”

    অপহরণ, নিযার্তন ও হত্যাসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের সাতটি অভিযোগের মধ্যে পাঁচটি ঘটনায় মুজাহিদের সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত হওয়ায় তাকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    ফরিদপুরে ১৯৪৮ সালের ২ জানুয়ারি জন্ম নেয়া মুজাহিদ একাত্তরে জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের প্রাদেশিক প্রধান ছিলেন। পদাধিকার বলেই তিনি চলে আসেন আল বদর বাহিনীর নেতৃত্বে, যে দলটি পাকিস্তানি সেনাদের সহযোহিতায় বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
    http://bangla.bdnews24.com/bangladesh/article648285.bdnews
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। পড়তে পড়তে মতামত দিন