এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • mahuyaa ganguli | 24.96.105.20 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:১৫573629
  • বাসাবদলের গল্পগুলো আমার ছোটবেলা থেকে বড় হয়ে ওঠার কথা, তার গল্প।
    জন্মেছিলাম কোলকতার ভাড়াবাড়িতে, সংযুক্ত পরিবারের ছত্রছায়ায়।
    মেডিক্যাল কলেজ থেকে যখন আমাকে নিয়ে আসা হয়েছিল তখন বোধহয় ঠাকুমা খুব একটা খুশি হন নি। আমার আগে জনাছয়েক জ্যাঠতুতো দাদাদের লাইন।
    তাই অন্যেরা খুশি। এবার দোকান থেকে ফ্রক কিনে আনা যাবে।
    এরপর সোজা মেদিনীপুর জেলা, প্রথমে মামাবাড়ি খড়গপুরে। ইন্দা বলে পাড়াটার খ্যাতি ছিল। ফুটবলার সীতেশ দাস আমাদের পাড়ায় থাকতেন। কিন্তু বাসাবদল হল অনেকবার। বাবার ফুড ডিপার্টমেন্টে বদলির চাকরি। উনি সেকেলে আদর্শবাদী কমিউনিস্ট। তাই অমন সোনার খনি বিভাগে চাকরি করেও আমাদের ভাড়াবাড়িতেই বড় হতে হয়েছিল। মা প্রাইমারি স্কুলের টিচার। আমাদের আর্থিক স্বাচ্ছল্য ছিল না। কিন্তু মনের দিক থেকে কোন দৈন্যে ভুগিনি। বই পড়তে পেতাম, প্রচুর। একজন পাড়ার কাকু কবিতা আবৃত্তি করতে শেখাতেন।
    কিন্তু আবার পাড়াবদল, শহর বদল, বাসা বদল। আমরা মফঃস্বলী। সেই গল্প গুলো এই বয়সে এসে বলতে চাই। নানারকম মানুষ, নানান স্মৃতি; স্বপ্ন ও স্বপ্নভঙ্গের গল্প।
    আস্তে আস্তে বলবো।
  • de | 130.62.162.132 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:১৮573630
  • বলুন মহুয়া, শুনছি!
  • mahuyaa gaanguli | 24.96.105.20 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২০:২৪573631
  • গল্প নং-১ঃ উড অ্যাপেল বা ন্যাড়ার বেলতলায় যাওয়া।
    ------------------------------------------------------------
    সালটা বোধহয় সাতাত্তর । এমার্জেন্সি মাত্র উঠে গেছে। আমার ন'কাকা জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি এসেছেন। ওনার সঙ্গে দেখা করতে এলেন ওনার এক কেরালার কমরেড, মিঃ টমাস; আমাদের টমাস কাকু।
    আমি তখন নাইন বা টেনে পড়ি, মাথায় দুই বেণী।
  • nina | 78.34.167.250 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২০573632
  • মহুয়া
    খুব মন দিয়ে পড়ছি-----
  • | 127.194.100.176 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২১:২৪573633
  • মহুয়া লিখুন। সুন্দর হচ্ছে।
  • ranjan roy | 24.99.83.238 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৩৭573634
  • টমাসকাকু আমাকে কাছে ডাকতেন। বলতেন গান গাইতে। তখন সদ্য এমার্জেন্সি শেষ হয়েছে। লোকে দলে দলে পাড়ায় ফিরছে।
    চারদিকে একটা খুশির আবহাওয়া। আর সিআরপি'র তাড়া নেই, নাইলনের নেট দিয়ে এলাকা ঘিরে কুম্বিং অপারেশন, রুট মার্চ এসব নেই। নকশালরাও তখন বোমাপিস্তল ছেড়ে বন্দীমুক্তি আন্দোলনে মেতেছে। রোজ রোজ সকাল-বিকেল বোমের আওয়াজ নেই।
    কেমন যেন পূজো পূজো ভাব।
    টমাসকাকু আমাদের বা
    আমরা সবাই তখন গাইতাম --- উই শ্যাল ওভারকাম, সামডে। আমরা করবো জয়। আর অ্যাট দ্য কল অফ কমরেড লেনিন, এইসব। হ্যাঁ, মুক্তির মন্দির সোপানতলে গানটা আবার নতুন মাত্রা পেয়েছিল।
    হটাৎ যেন নজরুল আমাদের অনেক কাছের মনে হতে লাগলেন। রবীন্দ্রনাথ চলে গেলেন পূজোর বেদীতে, লাল কাপড়ে মোড়া গীতা-চন্ডীর পাশে।
    টমাসকাকু আমার সঙ্গে গাইতেন -উই শ্যাল ওভারকাম। আর শিখিয়েছিলেন কিছু মালয়ালী পল্লীগীতি (তখন আকাশবাণীতে লোক- নয়, পল্লীগীতিই বলা হত)। কয়েকটা সুর বড় ভালো লেগেছিল। কথাগুলো ভুলে গেছি। ওনার কাছেই প্রথম শুনি ইংরেজিতে--অ্যারাইজ দ্য প্রিজনার্স অফ স্টারভেশন। উনি বলেছিলেন যে এই গানটা পেঁতিয়ে বলে একজন ফরাসী শ্রমিকের লেখা - দ্য ইন্টারন্যাশনাল।
    একদিন হল কি ওনার পেট খারাপ হয়েছে , তো বাড়িতে কাকিমারা বল্লেন যে আজ বাজার থেকে বেল এসেছে , টমাসকে বেলের শরবত খাইয়ে দেয়া হোক। তৈরি হল শরবত। কে নিয়ে যাবে? কেন মহুয়া, আবার কে!
    --কাকিমা, বেলের ইংরেজি বলে দাও।
    -- ক্যারে? ব্যালের ইংরাজি জাইন্যা তুই কি করবি?
    --- আরে, টমাসকাকু যখন জিগ্যেস করবে এটা কি, তখন ইংরেজিতে বোঝাতে হবে না!
    --দূর হ, প্যাটব্যাক্কল! সায়েবদের দেশে ব্যাল হয় না, হয় আপেল। অরা কি জানে ব্যালের ইংরাজি?
    মেজজ্যেঠিমার কনফিডেন্স দেখার মত!
    আমার মন মানে না। দাদারাও ফেল। শেষে উঁকি দিলাম এলিয়ট ভক্ত কনাকাকার ঘরে। উনি তখন কবিতা আবৃত্তির মত করে জোরে জোরে স্টেটসম্যানের এডিটোরিয়াল পড়ছেন। কিমাশ্চর্য্যমতঃপরম্‌ ! উনি প্রশ্নটা শুনে কেমন হকচকিয়ে গেলেন। কোথায় এলিয়ট-এজরা পাউন্ড আর কোথায় বেলের শরবত!
    অগত্যা হাত-টাত নেড়ে বল্লেন-- যা, যা! এখন ফালতু কথার সময় নাই।
    সন্দেহ গভীর হল-- কাকাও জানেন না নাকি? তাহলে আমাদের বাড়িতে কেউ জানে না। কি যে করি! শেষে সেই মেজজেঠি। বুড়িগঙ্গা নদীর পারের ঢাকা-বিক্রমপুরের মেয়ে।
    -- তরা কুন কম্মের না। আমিই জাইতাছি শরবত লইয়া। টমাস ঠাকুরপো কি আমারে খাইয়া ফালাইবো নাকি?
    উনি বাইরের ঘরে নিয়ে টমাসকাকুকে দিলেন আর ঠেট বাঙ্গালভাষায় বল্লেন-- এইডা খান কমরেড। এক চুমুকে গেলাস খালি করেন। পেট ভাল হইয়া যাইবো।
    আসনপিঁড়ি হয়ে মাটিতে বসেছেন টমাসকাকু, গোল গোল ঘুরছে ওনার চোখ। ভাষা না বোঝার কষ্টে সবার মুখের ওপর দৃষ্টি ঘুরছে সার্চলাইটের মত।
    মুচকি হাসলেন।
    --ইজ ইট এ লোক্যাল ড্রিংক?
    আমাদের রবীন্দ্রনাথ-জীবনানন্দ- সুকান্ত-মার্ক্স ঘেঁশা পরিবারে অ্যালকোহল আর গোমাংস সমান সমান।
    কাকা হরিফায়েড।-- ও নো, নো, নো লোক্যাল ড্রিংক। ইট ইজ সাম সর্ট অফ মেডিসিনাল ড্রিংক।
    বিপদ থেকে উদ্ধার করল বিশুদা, মেজজ্যেঠির ছেলে। কোত্থেকে একটা বেঙ্গলী টু ইংলিশ ডিকশনারি ঘেঁটে হাজির করল বেল= উড অ্যাপল।
    সবাই হাঁফ ছেড়ে বাঁচল। তখন ন'কাকা বল্লেন,--- বিশু, তাহইলে আর এক্টা কাজ কর। টমাসরে কইলাকাতা ঘুড়াইয়া দে। জাদুঘর-ভিক্টোরিয়া-চিড়িয়াখানা -ক্যাথিড্রাল দেখাইয়া দে।
    বিশুদা তখন ফুল ফর্মে; কালিঘাটের কোন একটা স্কুলে পড়ে। শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ওদের বাংলা পড়াতেন। তাঁকে বিশুদা একদিন বলে দিল-- কি যে লেখেন স্যার! কিছু হয়-টয় না।
    সেই বিশুদার বয়ে গেছে মালয়ালী কমরেড টমাস কাকুকে কোলকাতা ঘোরাতে। সে অম্লান বদনে বলল--- ওনারে কও যে আইজ বাংলা বন্ধ। ট্রাম-বাস চলতাছে না।
    টমাস কাকু তো বেজায় খুশি। লেট আস গো, উই শ্যাল সি দ্য ওয়ার্কার্স প্রসেশন ইন ক্যালকাটা, উই মে টেক পার্ট।
    এবার বেলটা বিশুদার মাথায় পড়ল। তা-না-না করে কেটে পড়তে বলল --মহুয়া, তুই দু-তিনটে জায়গা ঘুরিয়ে দে। প্ল্যানেটোরিয়াম। তোকে পরে সিনেমা দেখাব।
    সন্ধ্যেবেলা ফিরে এসে উনি আমাকে আইসক্রিম খাওয়ালেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বল্লেন-- মহুয়া, তুমি খুব সুন্দর মেয়ে।
    আমার ভাল লেগেছিল। কেমন এক শিরশিরানি ভাললাগা।
    উনি একদিন ফিরে গেলেন উইনাদের গ্রামে। বল্লেন আবার দেখা হবে। দেখা আর হয় নি।
    কিন্তু আমি দেখতে পাই কালো দীর্ঘতনু কোঁকড়ানো চুল টমাসকাকু ডাল দিয়ে ভাত মেখে মাছভাজা দিয়ে খাচ্ছেন, সংগে অনেকগুলো লংকা। আর চারপাশে বাংলায় কিচিরমিচির। ওনার গোল গোল শান্ত চোখ ঘুরে বেড়াচ্ছে মুখ থেকে মুখে।
  • ranjan roy | 24.99.83.238 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২২:৪১573635
  • ডিঃ
    মহুয়া কাগজে-কলমে লেখে। ওকে গুরুচন্ডালীতে লিখতে বল্লাম। লিখছিল। ওর বাড়ি ফেরার সময় হয়ে গেছল, হাসব্যান্ডের তাড়া। বল্লাম-- তুই বলতে থাক, আমি তাড়াতাড়ি টাইপ করছি। শেষে দেখছি অন্যমনস্ক হয়ে নিজের নামটাই লিখে ফেলেছি, সরি মহুয়া!ঃ((((
  • pi | 132.163.22.43 | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১২ ২৩:১২573636
  • চলুক !
  • nina | 78.34.167.250 | ০৯ সেপ্টেম্বর ২০১২ ০০:১২573637
  • চলতে থাকুক---রঞ্জনভাউ কে লিখেতে দেখে যেমন হল আনন্দ তেমন হল ভয়--এই রে এই রায় পরিবার যেমন ভাল লেখে তেমন হঠাৎ থেমে যাত যেমন চিন্টুবাবু অর্ণবভায়া----
    এত ভাল লেখে যে আমরা পাঠককুল আশায় আশায় বসে থেকে থেকে থেকে থেকে--------বসেই থাকি! ঃ-(
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। দ্বিধা না করে মতামত দিন