এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kumu | 670112.212.678912.197 | ১০ জুন ২০১৮ ০৭:৪৯546588
  • দ,ডরাইলেই ডর, হান্দায়া দিলে কীয়ের ডর?' এটি আমার এক কাকাকে প্রায়ই বলতে শুনতাম,সত্তর দশকের কথা।
  • | ১০ জুন ২০১৮ ১১:৫৮546589
  • হ্যাঁ ওটা বাঙাল চলতি কথা। কিন্তু আমি যেটা লিখেছি, সেটার একটা ইতিহাস আছে। সচলরা, মানে সচলায়তনের তৎকালীন ব্লগাররা ছাড়া সেই নুয়ান্সটা ধরা মুশকিল।
  • বিপ্লব রহমান | ১০ জুন ২০১৮ ১৭:২০546590
  • সাতের দশকে ঢাকার মোহাম্মাদপুরে প্রাইমারি ইস্কুলে পড়ি। খুব দুষ্টু না হলেও শান্তিশিষ্ট লেজ বিশিষ্ট ছিলাম না একেবারেই।

    মা ছিলেন রেডিও অফিসের আপার ক্লার্ক। ছুটির দিনে (তখন রোববার) অফিসের পিয়ান মামুরা সাইকেল চড়ে আসতেন। তারা বাজার সদাই করে দিতেন। গ্রামের বাড়ি থেকে আমার জন্য নিয়ে আসতেন আম-কাঁঠাল বা মৌসুমের কোনো ফল। তাদের কাছে নানা আব্দার ছিল আমার।

    তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিল পিয়ন মামুদের সাইকেল। ইয়া বড় কালো চকচকে চায়নিজ সাইকেলের কোনটির নাম- হারকিউলিস, কোনটির নাম- ফনিক্স।

    বালক বেলায় সিটে বসে ওইসব প্রকাণ্ড সাইকেলের প্যাডেলের নাগাল পাওয়ার প্রশ্নই আসে না। ব্রেক কষে মাটিতে পা ঠেকিয়ে নামার বা ব্যালান্স করা তো দূরের কথা।

    তবু সাইকেলবাজীতে এতোটুকু বিঘ্ন ঘটেনি। তেমন কিছুই নয় দুই হাতল ধরে খানিকটা দৌড়ে স্পিড তুলে সাইকেলে দুই চাকার মাঝের ত্রিকোন রডের ভেতরে পা গলিয়ে হাফ প্যাডেল মেরে সাইকেল চালাতাম।

    পাড়ার কোনো এক বড় ভাই বোধহয় অভিনব এই কায়দাটি শিখিয়েছিলেন। এই কসরতে সাইকেল চালানোর সমস্যা একটাই, খুব বেশী স্পিড দেওয়া যেত না। আর ব্রেক কষলে লাফিয়ে নামতে হতো। :)

    চোখ বুজলে মাইনাস চশমার, হাফ প্যান্ট পড়া, হাফ প্যাডেলে সেই বালকটিকে যেন এখনো দেখতে পাই!
  • বিপ্লব রহমান | ১০ জুন ২০১৮ ১৭:৩১546591
  • আরো কিছু পরে তিন চাকার বেবি সাইকেল ও বড়দের বিশাল আকৃতির সাইকেলের বাইরে মাঝারি আকৃতির রঙ-বেরঙের হাল্কা চাইনিজ সাইকেল বাজারে আসে। এ সব সাইকেলের সিট ও হাতল উঁচু-নিচু করে হাইট অ্যাডজাস্ট করা যেতো।

    যখন হাই স্কুলে পড়ি, তখন অনেক সহপাঠীই এই রকম সাইকেলে করে স্কুলে আসতো। একেকদিন তাদের কারো সাইকেল ধার করে কিছুটা হাত মকশ করতাম।

    বাড়িতে অনেক বায়না করেও ওই রকম একটি সাইকেল পাইনি। আসলে অত দামি জিনিষ কিনে দেওয়ার সামর্থ বাবা-মার ছিল না। বরাবরই স্কুল-কলেজে পায়ে হেঁটে যাতায়ত করতাম। রিকশা বা বাসে চড়ার কথা কখনো ভাবিনি। শুধু মাত্র ফাইনাল পরীক্ষার সময় কখনো রিকশা ভাড়া পেতাম।
  • বিপ্লব রহমান | ১১ জুন ২০১৮ ০৮:৫৩546592
  • এই খোপে সাইকেল নিয়ে এক টুকরো ইয়ার্কি ডটকম-ও থাক। :)
    ~~~~~~~~~~~~~~~~
    সাইকেল নষ্ট হলে আর যাই হোক এমন কোনো বন্ধুর গাড়ির পেছনে বাঁধবেন না
    eআরকি ডেস্ক

    এক তরুণ সাইকেলে চড়ে যাচ্ছিল। হঠাৎ তার সাইকেলের চেইনটা ছিঁড়ে গেল। কী করবে ভাবছে, এমন সময় তার বন্ধু গাড়ি চালিয়ে সেখানে উপস্থিত হল এবং বিপদগ্রস্ত বন্ধুকে সাইকেলে চড়তে বলে সাইকেলটা একটা সরু দড়ি দিয়ে গাড়ির পেছনের দিককার বাম্পারের সঙ্গে বেঁধে নিল। তারপর আস্তে—আস্তে গাড়ি চালাতে লাগল।

    ইতোমধ্যে এক আধুনিকা একটি স্পোর্টস কার চালিয়ে তার গাড়িকে ওভারটেক করে চলে গেল। গাড়িচালক বন্ধু সবকিছু ভুলে মেয়েটিকে পেছনে ফেলার চেষ্টায় স্পিড বাড়িয়ে দিল। সাইকেল আরোহী বন্ধু বিপন্ন হয়ে ঘন ঘন বেল দিতে লাগল। এ অবস্থায় তারা একটি পুলিশ-বক্স অতিক্রম করলো।

    সেই পুলিশ-বক্স থেকে একজন পরবর্তী পুলিশ-বক্সে ফোন করল, ‘হাইওয়ে দিয়ে একটি মেয়ে ষাট মাইল স্পিডে একটা স্পোর্টস কার চালিয়ে যাচ্ছে; ওকে ছেড়ে দাও। তার পেছন-পেছন এক ছোকরা ষাট মাইল স্পিডে সাইকেল তো চালাচ্ছেই— তার ওপর সাইড দেবার জন্য ঘন ঘন বেল বাজাচ্ছে— ওই ছোকরাকে ধর।’

    http://www.earki.com/jokes/joke/1678/সাইকেল-নষ্ট-হলে-আর-যাই-হোক-এমন-কোনো-বন্ধুর-গাড়ির
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন