এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 69.93.160.48 | ৩১ মে ২০১২ ২২:৩১546028
  • কে তথাকথিত আর কে নয়, তার বিচার যদি এতই সহজ হত!
  • maximin | 69.93.198.64 | ০১ জুন ২০১২ ০১:৪০546029
  • বিপ্লবী দলের সকলকেই যে ধর্মগ্রন্থ দিয়ে শপথ নেওয়ানো হত, তা নয়। কিন্তু এইকথাগুলো এই টইতে প্রাসঙ্গিক নয়। বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের তাহলে দুভাগে ভাগ করা যায়। যাদের কিছু অধিকার আছে, যেমন হিন্দু বাঙালি, আর যাদের কোনও অধিকারই নেই, যেমন আদিবাসীরা। সংবিধান সংশোধনে চট্টগ্রামের আদিবাসীরাও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। বিশেষত এইজন্যে বিল যখন পার্লামেন্টে পাসড হয় তখন অঞ্চলের আদিবাসী প্রতিনিধিরা কিছুই বলেন নি, পুরোপুরি প্যাসিভ ছিলেন।
  • maximin | 69.93.198.64 | ০১ জুন ২০১২ ০১:৫৩546030
  • একজন মন্তব্য করেছেন --

    I am not sure whether you, West Bengalees have been awake all these years when minorities in Bangladesh were gradually loosing all the hopes for a decent survival in their country of birth. Nobody has been putting any pressure on Bangladeshi government or land grabbers to stop this inhuman practice of slow ethnic cleansing . As long as some Bangladeshi politicians called you "Dada" and fed you with Hilsa curry, you became pretty nostalgic about your childhood and forgot to ask the right question to these criminals.
  • -- | 127.194.99.165 | ০২ জুন ২০১২ ১৭:০৪546031
  • -১-

    এখন কিছু করার নাই। ভাত বাড়া হয়েছে। শোল মাছ, এঁচোড় আর কী সব, পাকা আমের উপর মাছি ঘুরতিসে। আমি কম্পু খুলে রাত জাগা চোখে দেখছি সুদুর বিস্তৃত ধান্যক্ষেত্র। কমলেশ্বরদারা এতক্ষণে পুরুলিয়া পৌছে গেছে, কাল থেকে শূটিং শুরু, এই গরমে অহল্যা তনিমা কিছুতেই শাড়ি রাখতে পারছে না গায়ে। গাছের পাতারা নড়লেও কোন বাতাস নেই, শিরশির শুকনো পাতার আওয়াজ নেই, কেন্দ্রের দক্ষ পুলিশ বাহিনী বুঝি সব ঠান্ডা করে দিয়েছে, এখানেই ক্যামেরার লেন্সকে শান্ত করতি মদ ঢেলে দেবেন তিনি। এই টুকিটাকি লেখার পর আমি ঋত্বিক ঘটকের ছবির দিকে চাইলাম, তিনি হাসলেন। সামনেই পদ্মা। নাটোরের পথে লালপুর-গোপালপুর, আমার দিদির বাড়ি, সেও আঁকা পদ্মার বাঁকে আমাদের যা আশা সন্নিহিত থাকে, সিমেন্টে ঢাকা পাড় এখন, রোদে মেলা গরম হয়ে আছে। হাওয়া দিলে দোল খাচ্ছে সারসার আতা গাছ, চালের বাতায় লেগে গড়িয়ে গড়িয়ে পড়ছে উঠোনময়। দুপুরের খাওয়া সেরে উনুনে পানি ঢেলে কাঁথাখানা খুলেই ঘুমিয়ে পড়েছে দিদি,নতুন কোন ফোঁড় না দিয়ে, কাঁঠাল গাছের ফুলকার নকশা তোলা ছায়ায়। ছোট দুটো ছাগল যারা এতক্ষন গোড়ার দিকের আদখাওয়া একটা কাঁঠালকে কেন্দ্র করে সিং ঘসা-ঘসি করছিল তারাও এখন দিদির কোল আর বিছানো আঁচলের উপর শুয়ে।

    বাইরে সারসার বেঞ্চ পাতা। বিকেল-সন্ধ্যা, মেলা কিচির মিচির। চা- বিড়ির ফাঁকে ফিজিক্সের বকুনি এক ঘেয়ে লাগে। দেবেশ দার ছেলে বেলার হাত মকশো করা একটা রবিঠাকুর ঝুল ভর্তি মালা নিয়ে একই পড়া শুনে যাচ্ছে বছরের পর বছর। নেহাত মাথামোটা তাই এই চৌকাঠ ডিঙ্গালো না এখনো। বছরে একদিন ঝাঁড়-পোছ হয়, লালপুর হাইইস্কুলে নিয়ে গিয়ে ধুপ জ্বালানো হয়, প্যা প্যা হারমনিয়াম সহ একই গান সম্বৎসর, তাও ফালতু লাইনগুলি বাদ দিয়ে। দেবেশদা এখন মস্ত ভাস্কর। প্যারিসবাসী। দেশে ফেরে না। কলকাতায় এসেছিল বছর পনের আগে, তার খাওয়ানো সেই ওয়াইনের স্বাদ এখনো যেন জীভে লেগে, ইউরোপে কত্ত ওয়াইন তো খেলাম, না সেই রকম না। সেইবারই বোধয় ছোড়দি তাকে প্র্যাত্যাখান করে। দেবেশদার প্রেম ট্রেম ফুস। আমি তাকে চিঠি লিখেছি, কোন উত্তর পাই নি। মেলেরও না, কিন্তু কখনই ফিরে আসে নি সেগুলো। একবার পত্রিকার ছাপার জন্য দুটো কাজ চেয়েছিলাম। ট্রান্সপারেন্সি পাঠিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ছাপা হয়নি।

    ছোড়দি তখন দেশ ছেড়ে রবীন্দ্রভারতীতে। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে পড়ছে। কাকুরগাছির পিসির বাড়িতে থাকে, বারান্দায় ঝোলানো টিয়ার সঙ্গে কথা বলে, তাকে দানাপানি দেয়, তানপুরায় কেবল ধুলা পড়ে। কচ্চিত দেখা হলে দু-একটা গান শোনায়, বলে চর্চা নেই তো! তারপর স্বামী প্রেম, বাচ্চা-কাচ্চা-সংসার সবেরই চর্চা করেছে, গান বাদে। দেশে গেলে বলে, ভাই যাবি, চল আমরা দেখা করি। হ্যাঁ, কলকাতায় আমাদের দেখা হয় না। কথাও বছরে এক-আধবার টেলিফোনে কথা, নম্বরও সে বদলে ফেলে প্রতিবারই। সেই বুড়ার দু-একটা ক্বচিত গান শুনছি একাকী, তার কথা মনে মনে পড়ে। ছোড়দির কথা মনে এলি, ধলেশ্বরীর ধারের হোস্টেলের গল্প আমার মনে পড়্‌ তাদের নিস্তরঙ্গ জীবনের ঘুলঘুলির ক্ষণে ক্ষণে পালটে যাওয়া পুরুষ। হাবিজাবি গল্প। আমি কোন কবরস্থানের পাশ বরাবর হাঁটতে থাকি। গল্পেরা আপাতত মৃত। বাঁক ঘুরে আবার পদ্মা, পাথরের পরে বসে বড়শিতে ছেলে-পুলের আড়-মাছ ধরা, রাস্তার ওপাশে রঙিন সব জাফ্রি, তার ফুটো থেকে কেউ হয়ত নজর রাখছে আমাদের দিকে, কোন দিকে হেঁটে যাই, জানি আমরা নাটোর বা রাজশাহী অবধি যাব না। বন্ধ কল থেকে ভেসে আসছে নতুন গুড়ের গন্ধ, ঋত্বিক একবার বলবেন চলি, অনেক কাজ বাকী বলে গলাসাধা প্যা প্যা রবীন্দ্রগানের সন্ধ্যায় তিনি মিলিয়ে যাবেন পদ্মায়।
  • - - | 127.194.99.165 | ০২ জুন ২০১২ ১৭:১৪546032
  • -২-উদ্ভ্রান্ত উলুঘাস, বিভ্রান্ত বিষাদআমার চুলেরা ক্রমশ: বড় হয়, যেন জলের তলায় বেড়ে ওঠা গাছ। প্রাকৃতিক মানচিত্রের মত আমার শিরা ও উপশিরা লক্ষ্য করে তার বেড়ে ওঠাযেমন নদী দেখে। আমি দীর্ঘদিন সেলুনে যাই না। নিকটের মেয়েরাই তদের সুবিধা মত আমার চুল কেটে দিয়ে থাকে। দেশে বা বিদেশে। নদীর মতনই ব্যাপার। চুল কাটার সময় আমি প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা ছাড়া অন্যকোন কথাভাবি না। ইউরোপে কেতেশ একবার কাঁচি চালিয়েছিল কানে। তার বি ডি আরে প্রশিক্ষণ ছিল না, প্রাণেবেঁচেছিলাম। এজেশ চুল কাটত এক আপেল গাছের তলায় বসে, বসন্তের কোন ছুটির দিনে। পাশের বাড়িতে দেখতাম বিশাল টার্কি চাপানো হচ্ছে বাগানেরচুলায়। ধোঁয়া ও গন্ধ ছড়ানোর আগেই আমি সচেষ্ট হই, পরান বাঁচানোয়। এই টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ারজন্য আমি দুই পাত্তর খেয়ে তারপর চুল কাটতে বসতাম। কাটা চুল আর আপেল ফুল ঝরে ঝরে পড়ছে চারপাশে, আহা। বরফ বরফ ব্যাপার।২এচিং এর স্ট্রোকের মতনই আমার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ওরিয়েন্টাল আর্টে এমন সমুদ্রে সেতুবাঁধতে হুনুমানদের কয়েক সেকেন্ড লাগার কথা। বাংলাদেশে আসার পর চুল ক্রমশ বাড়ছে, কাটা হয় নি। আমার ঘরের সামনে আছে এক মস্ত আম গাছ, আর তাতে এখনমুকুল আর আম গুটিতে আমার নিজস্ব তাজমহল তৈরি করেছে। আমি মাঝে মাঝে তার তলায় দাঁড়ালে সে পুস্পবৃষ্টি করে আদর জানায়। আমর চুলেরা লাফিয়ে লাফিয়ে আম্র মুকুল ধরে, আমি দেওয়ান ভাইদের গান শুনি আর সদ্য কিনে আনা লম্বা কাঁচিটার দিকে তাকাই।কাল তার অনুপস্থিতিতে কাঁচিটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছি। ধারালো। একসাথে অনেক চুল ক্যাচ ক্যাচ করে কেটে চেলতে পারে। মুহূর্তে কোল, নাক, মুখ আর চারপাশ ছায়ার মত অন্ধকার হয়ে যাবে, সূর্য আর চন্দ্রগ্রহণে বুঝি এমনটা ঘটে? কাঁচিটায় মেড ইন চায়না লেখা, হাতে নিয়ে চীনাদের চুলের কথা ভাবার চেষ্টা করলাম। খালি নাক-চোখ-মুখ মনে পড়ল, চুল পরিস্কারনয়।৩ছোটবেলায় নাপিত আসত বাড়িতে। জ্যাঠতুতোভাই আর আমি পিঠোপিঠি রোদ্দুরে পিঁড়িতে বসেঅপেক্ষা করতাম কাঁচি পড়ার। তারপর চৌবাচ্চায় নেমে স্নান। এখনদিনমান পাল্টেছে, ভয় পাই কাঁচি দেখলেই।সাইকেল চালাতে শিখতেই চুল কাটার নামে চলে যেতাম দূরে দূরে। ফিরে বলতাম মস্ত লাইন, আজ রবিবার না? চুল কেবলইবাড়ে, পাকাপাকি দিল্লী চলে গেলে চুল কাটা একে বারেই বন্ধ হয়ে গেল, তরে রক্ষে চুল কমতে শুরু করেছে, আর মাথায় চাপানো থাকত এক মস্ত টোকা, ফলে সব মিলিয়ে জমজমাট, ডিসটার্বেন্স নাই। ২০০৩ এ ঝিনাইদহে তার নিজের চেম্বারে খুন হলেন আমার ডাক্তার জ্যেঠু, আততায়ী ভাঙা একপেশে কাঁচি বেশ কয়েকবার তার পেসমেকার লাগানো বুকে বসিয়ে দেয় আর তারপর থেকেই আমি খুব ভয় পাই চুল কাটতে, চারপাশে ছায়া নামলে ছলাৎ ছলাৎ করে বুকের ভিতর, নদীর মতোই।উদ্ভ্রান্ত উলুঘাস, বিভ্রান্ত বিষাদআমার চুলেরা ক্রমশ: বড় হয়, যেন জলের তলায় বেড়ে ওঠা গাছ। প্রাকৃতিক মানচিত্রের মত আমার শিরা ও উপশিরা লক্ষ্য করে তার বেড়ে ওঠাযেমন নদী দেখে। আমি দীর্ঘদিন সেলুনে যাই না। নিকটের মেয়েরাই তদের সুবিধা মত আমার চুল কেটে দিয়ে থাকে। দেশে বা বিদেশে। নদীর মতনই ব্যাপার। চুল কাটার সময় আমি প্রাণ বাঁচানোর চেষ্টা ছাড়া অন্যকোন কথাভাবি না। ইউরোপে কেতেশ একবার কাঁচি চালিয়েছিল কানে। তার বি ডি আরে প্রশিক্ষণ ছিল না, প্রাণেবেঁচেছিলাম। এজেশ চুল কাটত এক আপেল গাছের তলায় বসে, বসন্তের কোন ছুটির দিনে। পাশের বাড়িতে দেখতাম বিশাল টার্কি চাপানো হচ্ছে বাগানেরচুলায়। ধোঁয়া ও গন্ধ ছড়ানোর আগেই আমি সচেষ্ট হই, পরান বাঁচানোয়। এই টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ারজন্য আমি দুই পাত্তর খেয়ে তারপর চুল কাটতে বসতাম। কাটা চুল আর আপেল ফুল ঝরে ঝরে পড়ছে চারপাশে, আহা। বরফ বরফ ব্যাপার।২এচিং এর স্ট্রোকের মতনই আমার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। ওরিয়েন্টাল আর্টে এমন সমুদ্রে সেতুবাঁধতে হুনুমানদের কয়েক সেকেন্ড লাগার কথা। বাংলাদেশে আসার পর চুল ক্রমশ বাড়ছে, কাটা হয় নি। আমার ঘরের সামনে আছে এক মস্ত আম গাছ, আর তাতে এখনমুকুল আর আম গুটিতে আমার নিজস্ব তাজমহল তৈরি করেছে। আমি মাঝে মাঝে তার তলায় দাঁড়ালে সে পুস্পবৃষ্টি করে আদর জানায়। আমর চুলেরা লাফিয়ে লাফিয়ে আম্র মুকুল ধরে, আমি দেওয়ান ভাইদের গান শুনি আর সদ্য কিনে আনা লম্বা কাঁচিটার দিকে তাকাই।কাল তার অনুপস্থিতিতে কাঁচিটা হাতে নিয়ে নেড়েচেড়ে দেখেছি। ধারালো। একসাথে অনেক চুল ক্যাচ ক্যাচ করে কেটে চেলতে পারে। মুহূর্তে কোল, নাক, মুখ আর চারপাশ ছায়ার মত অন্ধকার হয়ে যাবে, সূর্য আর চন্দ্রগ্রহণে বুঝি এমনটা ঘটে? কাঁচিটায় মেড ইন চায়না লেখা, হাতে নিয়ে চীনাদের চুলের কথা ভাবার চেষ্টা করলাম। খালি নাক-চোখ-মুখ মনে পড়ল, চুল পরিস্কারনয়।৩ছোটবেলায় নাপিত আসত বাড়িতে। জ্যাঠতুতোভাই আর আমি পিঠোপিঠি রোদ্দুরে পিঁড়িতে বসেঅপেক্ষা করতাম কাঁচি পড়ার। তারপর চৌবাচ্চায় নেমে স্নান। এখনদিনমান পাল্টেছে, ভয় পাই কাঁচি দেখলেই।সাইকেল চালাতে শিখতেই চুল কাটার নামে চলে যেতাম দূরে দূরে। ফিরে বলতাম মস্ত লাইন, আজ রবিবার না? চুল কেবলইবাড়ে, পাকাপাকি দিল্লী চলে গেলে চুল কাটা একে বারেই বন্ধ হয়ে গেল, তরে রক্ষে চুল কমতে শুরু করেছে, আর মাথায় চাপানো থাকত এক মস্ত টোকা, ফলে সব মিলিয়ে জমজমাট, ডিসটার্বেন্স নাই। ২০০৩ এ ঝিনাইদহে তার নিজের চেম্বারে খুন হলেন আমার ডাক্তার জ্যেঠু, আততায়ী ভাঙা একপেশে কাঁচি বেশ কয়েকবার তার পেসমেকার লাগানো বুকে বসিয়ে দেয় আর তারপর থেকেই আমি খুব ভয় পাই চুল কাটতে, চারপাশে ছায়া নামলে ছলাৎ ছলাৎ করে বুকের ভিতর, নদীর মতোই। সুমেরু/ ঢাকা/ বাংলাদেশ(তারিখ: মঙ্গল, ২০০৯-০৩-১০ ১০:৪২)
  • বিপ্লব রহমান | ৩০ জুন ২০১৮ ০৭:৫৫546033
  • দুধে ধোয়া তুলসি পাতা সিনড্রোম
    লিখেছেন: মাসকাওয়াথ আহসান

    বিশ্বকাপ ফুটবলের মতো একটা আনন্দময় আসরকে ঘিরে গোটা পৃথিবীর মানুষ আনন্দে মেতেছে। কেবলমাত্র আমরাই গবেষণা করে ফিরেছি জার্মানি-সার্বিয়ার গণহত্যার ইতিহাস কিংবা আর্জেন্টিনার বর্ণবাদের ইতিউতি নিয়ে।

    অথচ আমরা ভুলে যাই; পার্বত্য চট্টগ্রামে, সাঁওতাল জনপদে, রামুর বৌদ্ধদের গ্রামে আমরা কী এক ধারাবাহিক এথনিক ক্লিনসিং চালিয়ে যাই।হিন্দু সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে দীর্ঘকাল চলমান উচ্ছেদ আর বিতাড়ন এদের সংখ্যাকে এক-তৃতীয়াংশে নামিয়ে এনেছে।

    রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিই; অথচ প্রতিদিন কী রেসিস্ট কথা-বার্তা বলি তাদের নিয়ে। সম্প্রতি ঢাকার একটি স্কুলে মেধার ভিত্তিতে ভর্তির জন্য নির্বাচিত ছাত্রীদের গেরাইম্যা বলে কীরকম রেসিজম প্রকাশ করি। আয়নায় নিজের চেহারা দেখে নিয়ে তারপর অন্যের চেহারা নিয়ে কথা বলা খুবই জরুরী আমাদের নিজেদের ডিনাইয়াল বা অস্বীকার ভিত্তিক খলতার অবসান ঘটাতে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। মন শক্ত করে প্রতিক্রিয়া দিন