এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শোক ও শস্যের ওয়াগন/৬

    Siddhartha
    অন্যান্য | ০৭ এপ্রিল ২০১২ | ১২৭৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৩:২১536634
  • চলো কাকা, আরেকবার মেঘ দেখো আজ। কলকাতার এই ভিড়ে আর আকাশ দেখা অসম্ভব, বাঘ তো পাবেই না। বরং দেখো কিভাবে মেঘেদের দেহ থেকে ঝরে পড়ছে ধ্বংসের ছাই। এমনটাই কি হবার কথা ছিল গুরু? আমাদের অবিরল আড্ডার সন্ধ্যেগুলোর শেষে এমনভাবেই কি হারিয়ে যাবে রবারের বল কাঁটাঝোপে? নাকি তুমি যেই লিখতে বসবে নব্বই-য়ের অবিরল ম্যানিফেস্টো, সময় ধরা দেবে কিয়ের্কেগার্ডের সেই ক্লাউন হয়ে, যে অনবরত হুঁশিয়ারি জানিয়ে যাবে `আসছে খুনীদের জমানা`, আর যার ক্লাউনীয় কলিটুপি-ল্যাজ দেখে হাততালি সিটির খোয়াইশ ছুঁড়ে দেব আমরা বেওয়াফা নব্বই? তুমি জানতে না এ আসলে নব্বই-য়ের আড্ডার মেমেন্টো ম্যাজিক না, বরং দেখেও দেখোনি যে আমাদের ঢাকুরিয়ার অনন্ত লেকের জলেও চাঁদ পড়ে থাকে। ছিল। নেই।

    মনে আছে গুরু, আমাদের প্রথম আড্ডা? নব্বই-য়ের আড্ডা, আড্ডার নব্বই? স্কুল থেকে বেরিয়ে টিউশন, ল্যান্সডাউন থেকে সেলিমপুর। মাথার ওপর ছায়া ঘনাইছে বনে বনে, আর আমাদের স্কুল-বালকের দল হেঁটে হেঁটে, হেঁটে হেঁটে সেই অন্ধকার গলিঘুঁজির রাস্তা ধরে সোজাপথে না গিয়ে এই উঠোন ঐ গলি দেশপ্রিয় পার্ক বিবেকানন্দ পার্ক ঢাকুরিয়া লেক তোমার আমার প্রথম লেক দর্শন প্যাচপেচে কাদা নিভে যাওয়া বাজারের শেষ হ্যাজাক আঁচলে সন্ধে মুছে একা বাড়ি ফেরা আমরা কজন সকলের ঠোঁটে লুকিয়ে রাখা সিগারেট আর সারা কলকাতা তখন আমাদের প্রজা। মধ্যবর্ষার কলকাতা শাসন করেছিল সেই একঝাঁক শিশু, কেউ পনেরো কেউ ষোলো। মাঝরাস্তায় সম্রাট মড়াকান্না জুড়ল `সঞ্চিতা আমায় পাত্তা দিল না রে-এ-এ-এ-এ` এবং তুমি সান্তনার হাত তার পিঠে রেখে বললে `ভাবিস না, আমায় দেবে`

    সেই শুরু আরেক নব্বই, যখন সারাদিন সারাসন্ধ্যে স্কুল কেটে ম্যাডক্স স্কোয়ারের অনুপম হাতছানি ফুত্‌কারে বা বাবা মার রক্তচোখ হ্যা হ্যা খোরাকে পেঁজা তুলো উড়িয়ে মিশন ঢাকুরিয়া লেক আমাদের উঠোন বাড়ি যার অনন্ত জলে চাঁদ পড়ে থাকে, ভেসে ওঠে। ভিখিরির আর্তস্বর ভেজা মাটির কামার্ত ঘ্রাণ বেশ্যার শীত্‌কার ফুলবাবুর ওডিকোলন ফুলবুড়ি ঝরে গেল অবিরল ককটেলে আর আমরা কজন সেই শব্দ গন্ধ মাখতে মাখতে বড় হয়ে উঠলাম। তুমি ম্যানিফেস্টো লিখতে বসে থিওরী কপ্‌চাবে কাকা, এদিকে তোমার মনেও নেই কি নিয়ে আড্ডা হত ! মেয়ে? এক্সাম? গাঁজা? পানু? সিনেমা? কেরিয়ার নাহ ধুস ওটা একদম-ই না তাইলে কি কিস্যু না? আসলে কিস্যু না? শুধু এক ঝাঁক কথা, যার কোনো লক্ষ্য নেই, কোনো ধারাবাহিকতা নেই? কেউ হয়ত শুরু করল সারফারোশের সোনালী সেখান থেকে ডজ মেরে দক্ষিণাপণের ফুচকা সেখান থেকে সাম্প্রাস আরে না না ওতেই শেষ না বরং আরো আসবে কৃশানু দে নীলাঞ্জনা ঐতিহাসিক ভুল ভৌগোলিক ঠিক গুড লিফের পঞ্চাশ পয়সার বড় সিগারেট মুখে দিলে মনে হয় হাই ফাইভ ফিফটি ফাইভ আসলে আমাদের ধারণায় তামাক পোতা পোরা প্রিয় বন্ধু অঞ্জন দত্ত সব মায়া হয়ে যায় ডুবে অগাধ হৃদয়জলে এ কলকাতা ভুমন্ডলে এ কিশোরপ্রাণ সামান্য ছত্রাক। আমরা ভাসতে থাকি। বয়েস কেঁপে আসা ঝড়ের প্রাক-লগ্নেও কেউ ছাড়িনি, ছেড়ে যাইনি কেউ কাউকে। স্লেট রংগের বিকেলের ওপর ঘন ছায়া আসার সময় আমরা তখন কুপি হাতে একটা একটা করে তারা লিখে যাচ্ছি সে উত্তাল কালবেলায়।

    প্রেম আসেনি কি? এসেছিল তো, সশব্দ চরণে। এক আড্ডায় জানা গেল সঞ্চিতা টিউশন সেরে এই লেক দিয়ে শর্‌ট্‌কাট মারে ওদের মুদিয়ালীর বাড়ি ফেরার সময়। সেমত আমরা কয়জন ঘাপটি অন্ধকার ঝোপের আড়ালে। সম্রাট টেনশনে একের পর এক গুড লিফ আর অন্য কিছু কেনার পয়সা ছিল না তো আর ওটাই ভাগাভাগি করে আর আমরা ক্রমাগত খিস্তি শেয়ারের সিগারেট শেষ হয়ে যাচ্ছে যে গম্ভীর বটের ছায়া ঢেকে দিল চরাচর বেশ্যা আর পুলিশের চ্যাপলিনেস্ক চপলতা এবার শুরু হবার মুখে হঠাত দেখা গেল দুর থেকে হেঁটে আসছে নীল স্কার্ট দু বেনুনি গোল চশমা পাক্কা স্কুল ড্রেস। আমরা নি:শ্বাস বন্ধ করে বসে আছি কি হয় কি হয়। সম্রাট সাহস করে এগিয়ে গেল ধুক-পুক বুকে। নীল স্কার্ট থমকে দাঁড়াল। সম্রাট বলল `আমি আজ টিউশন যাইনি, এখানে তোর জন্য দাঁড়িয়ে আছি` এটা পাতি ঢপ কারণ টিউশন আমরা এমনিতেই যেতাম না অনেকদিন আলাদা করে ওর জন্য নয়। চশমার আড়ালে ফর্সা সুন্দর মুখটা একটু অবাক, ভুরু কুঁচকে গেল কি? আর্চিস গ্যালারি থেকে কেনা শস্তা কার্ড আর একটা ক্যাডবেরি ওর হাতে তুলে দিয়ে সম্রাট বলল `বাড়ি গিয়ে পড়িস, কার্ডের ভেতর লেখা আছে`। আই ব্বাপ, মাল যে কার্ড কিনেছে জানতাম না তো? পুনে ওদিকে ঝোপের মধ্যেঘাপটি মেরে বসেই খচেমচে একশা। `কি হারামখোর দেখলি? বোকাচোদা আমার কাছ থেকে কাল টাকা ধার করল জিওমেট্রি বক্স কিনবে বলে। বলল সকলকে রোল খাওয়াবে। আর সেই টাকায় এই ক্যাওড়ামো?` নীল স্কার্ট হাওয়ায় দুলিয়ে প্রশ্ন উড়ে এল `কেন কার্ডটা এখানে পড়তে কি হয়েছে?` বলে সম্রাটের হাত ধরে লেকের ধারের ল্যাম্পপোস্টের নিচে গিয়ে কার্ড বার করল। আমরা ততক্ষণে হিচকক মুভির শেষ পাঁচ মিনিটের দর্শক। কার্ডটা যতক্ষণ ধরে পড়ল সম্রাট দাঁড়িয়ে রইল বলির পাঁঠার মত, প্রায় হাত ফাত জোড় করে। এবং একটু দুরত্বে। যাতে থাপ্পড় ফাপ্পড় মারতে আসলেই পালাতে পারে। পড়া হলে পর সঞ্চিতা মুখ তুলে তাকাল। একটু ফিক করে হেসে বলল `মুখে বলতে পারিসনি, কাওয়ার্ড কোথাকার!` সম্রাটের তখন হাসবে না কাঁদবে না কি হঠাত পরে পাওয়া আঠেরো আনা হাঁ করে ক্যাবল হয়ে দাঁড়িয়ে-তারপর দুজনে মিলে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেল কোথায় মিলিয়ে গেল। বেশ অনেক্ষণ পর, তুমি ঝোপের আড়ালে একটা নিশ্বাস ছেড়ে বললে `গুরু তার মানে কি হয়ে গেল?` পুনে বলল, `হ্যাঁ`। ক্যালানে প্রণব জিজ্ঞাসা করল `কি হল?` পুনে উদাসভাবে আকাশের দিকে মুখ তুলে বলল `কি আর হবে! ঐ, দু একখানা বাচ্চা-কাচ্চা!`

    সে প্রেম ভেংগেওছিল এবং সঞ্চিতাকে তার নতুন বয়ফ্রেন্ডের সাথে হাঁটতে দেখলাম সেই লেকের ধারেই আরেক বয়স্ক বিকেলবেলা কিন্তু ততদিনে আমরা সকলে মিলে পেরিয়ে এসেছি সে দিবারাত্রির কাব্যের অনেকগুলো চেরিশড চ্যাপটার।

    কিন্তু শুধুই কি ঢাকুরিয়া লেক তাহলে কে লিখবে কুয়াশামাখানো আদি গংগার এলিজি আখ্যান যেখানে আরেক প্রস্থ বন্ধু আরেক আড্ডার তুমুল ভাংচুর? সাইকেল নিয়ে পুঁটিয়ারির গংগা আদি অশ্বথ্ব পোড়া শিবমন্দির বিবর্ণ গলি সিমেন্টের ফুটপাতে ঝরে যায় কাঞ্চন মনখারাপ নোনাধরা বাড়ি নিস্প্রভ আলো আর সন্ধ্যে হলেই সেখান থেকে ভেসে আসা নাচের ক্লাসের ধুপধুপ রেডিওর আকাশবাণী ঘ্যাসঘেসে রোজা জানেমন পাঁক-মজা গংগার গন্ধে গা গুলিয়ে ওঠে আমাদের তবু তার পাশেই গুমটি দোকানে আলুর চপ ফুলুরি সন্ধ্যের আজানের সাথে মিশে যেত কাঁচা পেঁয়াজ মুড়ি চায়ের পোড়াদুধ গন্ধ। কত কত সন্ধ্যেবেলা এই আড্ডায় গড়িয়ে গেছি, গুরু, আমি আর তুমি। সেই মিটমিটে চায়ের দোকানে আমরা থাকতে থাকতেই হুকিং করে কারেন্ট আনা হল। তাও একটা মোটে বাল্ব। অল্প। পটকাদার দোকান, মেটালবক্সের কেরানী সব হারিয়ে সবেধন। সেই শেষ সন্ধেবেলা পটকাদাকে ঘিরে ধরে হাটুরে মানুষ। দোকানদার কম মাইনের কেরানি রোজের মিস্ত্রি গ্রামে ফেরার আগে রাতের খাবার খাওয়ার জন্য আসা কাজের মাসি অটূয়ালা চোর বেশ্যা আরো কত! কেউ খায় শুধু চপ কেউ আবার মুড়ি দিয়ে পেঁয়াজ-লঙ্কা মেখে সঙ্গে চপটাকে ভেঙে মিশিয়ে ফেলে একটু একটু করে খায় যাতে তাড়াতাড়ি শেষ না হয়ে যায়। মুখে নিয়ে চিবোয় পরম তৃপ্তিতে। জিভ দিয়ে দাঁতের ফাঁক থেকে টেনে বার করে আনে চপের টুকরো সেটাকে নিয়ে মুখের ভেতর খেলায়। কারও কাছে এটাই হয়ত তার রাতের খাবার। রঙওঠা খালি মানিব্যাগের এককোণায় অতি যত্নে, অতি গোপনে লুকিয়ে রেখে দেওয়া ময়লা তিন টাকার নোটের পুরোটাই শেষ করে দিয়েছে খাবারে তারপর ম্লান মুখে আবিষ্কার করেছে আর টাকা নেই কিন্তু হয়তো খিদে মেটেনি। সে ঠোঙাটা নিয়ে অনেকক্ষণ নাড়িয়ে নাড়িয়ে দেখে যদি কোনো মুড়ির বা ভাঙা চপের টুকরো পাওয়া যায় হঠাত‍‍ এল ডোরাডো খুঁজে পাওয়ার আনন্দে সেটাকে চালান দেয় মুখের ভেতর। আর ঠিক সেই মুহূর্তে, চপের ঝুড়িতে পড়ে থাকা ভাজবেসনের টুকরোগুলো মুড়ির সঙ্গে মিশিয়ে একটুকরো কাঁচা পেঁয়াজ দিয়ে পটকাদা কিছুটা ঢেলে দেয় সেই অর্ধভুক্তের ঠোঙায়। সঙ্কুচিত হয়ে টাকার কথা বলতে গেলে গম্ভীরভাবে বলে ‘লাগবে না’। সেই সময়টাতে আমরা সব আড্ডাবাজরা একটা আলো দেখেছি ওর চোখে। নিভে আসা বাজারের শেষ হ্যাজাক? কে জানে! বড় মায়াময়, বড় হাক্লান্ত সেই আলো।

    গংগার ওপাশে ততদিনে ফুটবল খেলার মাঠ দখল করে নিচ্ছে মেট্রো সম্প্রসারণের জোশজটিলতা। ঝুপড়িগুলো ভেংগে দেওয়া হয়েছে। গাঁজার ঠেক। চোলাইয়ের নিষিদ্ধ আস্তানা। সেই গাঁজা মজা-গংগা সাঁতরে এখন এপারে। আবছা অন্ধকারে ঝোপঝাড় কুকুরের গু পাঁক জমেছে ফেলে দেওয়া কন্ডোম দুধের প্লাস্টিক বাসি ফুলের মালার মধ্যে ইতস্তত আগুনের ফুলকি এখানে ওখানে গাঁজার টান ছড়িয়ে যাচ্ছে গোটা পুঁটিয়ারি। প্রাণের মদ ফুরোলে মানুষ হাটের মদের খোঁজ নেয়। এমনকি এ বিশ্বের প্রথম মানবতাবাদী পুরুষকে ক্রুশকাঠে ঝোলানোর সময় তিনি যখন অসহ্য তেষ্টাতেও প্রাণপণ উটগলা সরিয়ে নিচ্ছেন শরাবস্রোত থেকে, সেদিন থেকেই নাকি আমাদের প্রাণের মদ প্রথম ফুরনো শুরু, এমনো বলেছিলেন কেউ কেউ। তো, আমরা নব্বইজাতকেরা প্রাণের মদের খোঁজ পেয়েছিলাম কিনা জানি না, তবে ধায় রাত্রি আয় ধাত্রির সেই কালে হাটের মদের দুর্নিবার আকর্ষণেই প্রথম সুখটান দেওয়া গাঁজাভর্তি সিগারেটে আর তারপর আমরা সকলে আমি তুমি বাপী সোনাই অনিরুদ্ধ বাপ্পা অভি সক্কলে মিলে ভেসে গেলাম গংগার বুকে, ভাসিয়ে দিলাম নিজেদের।

    কিন্তু কাকা, গল্পটা তো এখানেই শেষ হয়ে যাবার নয়। এত তাড়াতাড়ি তোমায় ছেড়ে বুড়ো হবে তোমার সুজন ম্যানিফেস্টো? গল্ফ-গ্রীনের কবরখানার কথা কে বলবে তাহলে? তখনো পাঁচিল ওঠেনি চারধারে। যে কেউ ঢুকতে পারত। আর অন্ধকার গল্‌ফ্‌গ্‌রীনের বুকে সারারাত জেগে থাকত সাদা সাদা ক্রশ। সে এক মোহময় জাদুগর ছিল সেই মেহফিল। আচ্ছা, আমাদের সব জলসাই কেন সন্ধ্যেবেলা হত বস? এমন সময়ে, যখন কেউ দেখতে পেত না কারোর মুখ? আমরা মনে হয় অন্ধকারের প্রেমিক ছিলাম, তাই না? নব্বই-য়ের সমস্ত অনুপম তিমিরবিলাস নিয়েই বেড়ে ওঠা আমাদের। ছিল। সেজন্যই গল্ফ গ্রীনের ঐ অন্ধকার কবরখানা অত প্রিয় ছিল আমাদের। কোনোরাতে নতুন কবরের সোঁদা মাটির গন্ধ সারা শরীরে মাখতে মাখতে সদ্‌য়্‌মৃতের পাশে বসে রাত্রির রঁদেভু, জমে উঠে্‌ছ হাসি উল্লাসের কার্নিভাল-কখনো মোমবাতি জ্বালিয়ে দিয়েছে কেউ প্রিয়জনকে স্মরন করে, আর আমরা অপঠিত তুষার রায়কে জাস্ট ফুত্‌কার খোরাক করেই সেই মোমবাতি থেকে জ্বালিয়ে নিচ্ছি সিগারেট। গল্প করতে করতে গা এলিয়ে দিচ্ছি মৃতবাচ্চার কবরের ওপর চুল রাখছি অ্যাংলো ভিখিরির কফিনে ঘুমিয়ে পড়ছি কাশতে কাশতে নীল হয়ে মরে যাওয়া বুড়ি তরুণীর সাদা স্ল্যাবে। শুভ আমার কানের কাছে মুখ এনে বলে যাচ্ছে ওর প্রেমিকাকে লেখা কবিতা `কিছু সুখ খাবে মা ও মেয়েতে কিছু সুখ খাবে বয়েসের হাই` আর সেই সুখ সেই দু:খ প্রেম ভেংগে যাওয়া পরীক্ষা ফেল বাবার মার বাড়ির অভাব সবকিছু দুহাতে ঠেলতে ঠেলতে আমরা নব্বইজাতকেরা ঘুমিয়ে পড়ছি সেই কবরখানার কার্নিভালের মাঝে। শেষ হবার আগেই।

    না গুরু, এ জিনিসের থিওরি হয়না। সব ম্যানিফেস্টো কি খুঁজে পায় তার আঁদ্রে ব্রেতোঁকে? আমাদের বেজম্মা আড্ডা, কেরিয়ার মার্কস সফল প্রেম জয়েন্টের রয়াঙ্ক এই সব সব কিছুকে পোষা টেরিয়ারের মত কখনো পায়ে পায়ে আদর কখনো দ্‌দ্‌দুর তাড়া করে বেঁচে থাকে ঢাকুরিয়া লেক পটকাদার চায়ের দোকান গণিকার গান কবরখানার মালি নির্জন বাসরুট আধবুড়ো অটো বিজয়গড়ের মাথা নুইয়ে জ্ব্যালজেলে টিকে থাকা হোমিওপ্যাথির দোকান বন্ধ আর্চ কম্পানির ঘোলাটে চোখ হারিয়ে যাওয়া বুড়ো সন্ধ্যের পাগল, আমাদের বেজম্মা আড্ডা। আমাদের দিল পুড়ে যায় সারফারোশী জগি্‌জতীয় দাহ্য গজলীতে, সিকান্দারের হেরো সাইকেল টায়ার ফেঁসে অবহেলায় পড়ে থাকে আড্ডাখানার পাশে। আমরা গড়িয়ে যাই নিজের মাফিক। কলকাতা হাই স্পিডে ছুটে চলে আমাদের নিয়ে এর-ই মধ্যে কি তাজ্জব ধুপছাঁও দর্দ-এ দিল খুঁজে আপকি নজরোনে সমঝা পেয়ার কি কাবেল মুঝে? মুঝে? ক্রমশ ২০০০ এসে পড়ে। আমরা তারুণ্যের দিকে হাঁটি। শুকিয়ে যায় মানুষের সাজানো বাগান। তবু জেগে থাকে নব্বই। জেগে থাকে তার রাতভোর আড্ডা নিয়ে, বন্ধুতার লোনলি-লগ্ন নিয়ে। কার্নিভালের রাত তো ফুরোয়। অজগরের মাথায় মণির মত ভোর-ও জ্বলে। জ্বলতেই থাকে। কিন্তু সব ক্লান্ত বীরই কি আর ফেরার ঘরের ঠিকানা খুঁজে পায়?

  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৪:২১536645
  • এ ম্যানিফেস্টোতে ভীড় করেছেন প্রসুন বন্দ্যোপাধ্যায় উদয়ন ঘোষ আখতারুজ্জামান এবং আরো অনেক নাম না জানা হারিয়ে যাওয়া ভূত-প্রেত, যাদের ছাড়া নব্বই অচল।
  • dd | 110.234.159.216 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৪:২৫536646
  • বোঝো।
    একই সাথে টইতে লিখছে কুলদা,সুমিত রায়,সিদ্ধার্থ।

    এ তো একেবারে সাহিত্য পত্রিকা হয়ে যাচ্ছে এঁয়াদের প্রসাদগুনে। আহা, যদি ইন্দোদাও একটু গা ঝাড়া দিতো
  • ppn | 112.133.206.20 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৩০536647
  • 'এদিকে স্বর্গের পথ' - বলে এক একচক্ষু নারী হঠাৎ হারিয়ে গেল-
    চৌ-রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমরা চারজন হেসে উঠলাম- এ-ওর মুখের
    দিকে, তাকিয়ে আমরা হেসে উঠলাম
    যেন স্বর্গে যাবো বলে
    সেই ভোরবেলা- অদ্ভুত ছাতা হাতে আমরা বেরিয়েছি, পায়ে
    আশ্চর্য চপ্পল
    এ-ওর শরীর নিয়ে গন্ধ শুঁকছি সন্ধেবেলা- সন্ধেবেলা
    এ-ওর বুকের মধ্যে উঁকি মেরে কোথায় দু:খ পাপ
    লুকোনো টাকার মতো রয়ে গেছে, কোথায় ঈশ্বর
    টুপি খুলে হাঁটু মুড়ে
    বসে আছেন, চেয়ে দেখছি-
    পোস্ট-মাস্টারের মেয়ে শুধুমাত্র জুতোজোড়া নিয়ে বাড়ি থেকে চলে গেছে
    তার সঙ্গে গোলাপি যুবক- তারা স্বর্গে যাবে

    আমাদের স্বর্গ নেই স্যারিডন আছে
  • ppn | 112.133.206.20 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৩৪536648
  • - "চৌ-রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমরা চারজন' / ভাস্কর চক্রবর্তী
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৪:৩৮536649
  • আহা, ভাস্কর!

    পাপবিদ্ধ রাজকুমার!
  • sayan | 115.241.96.96 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৫:১৩536650
  • ওয়াহ্‌! উম্‌দা। মানো কি কাবিলিয়ত আখির আ হি গয়া। অসা! :-)
  • aka | 75.76.118.96 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৬:২৫536651
  • সিদ্ধার্থর্লেখার স্টাইলটা স্মার্ট।
  • i | 124.171.39.133 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ১৭:৪১536652
  • বা:।ভারি ভালো লাগল।
  • tatin | 122.252.251.244 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ২০:২০536635
  • বাঘকে তো কলকাতায় পাওয়া যাচ্ছে শুনলাম
  • siki | 122.177.58.73 | ০৭ এপ্রিল ২০১২ ২০:৪৪536636
  • ঘ্যামা হয়েছে। অ্যাজ ইউজুয়াল।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ০০:২৮536637
  • তাতিন, বাঘ মানে কি বাংলার বাঘ সোমেন মিত্র?

    স্কুলে যাবার সময় পদ্মপুকুরের গায়ে বড় হোর্ডিং-এ লেখা থাকত `বাংলার বাঘ সোমেন মিত্র জিন্দাবাদ` :P
  • Tim | 98.249.6.161 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ০০:৪০536638
  • আহা, সেই নব্বই, প্রিয় নব্বই। সিদ্ধার্থর কলম দীর্ঘজীবি হোক!
  • kallol | 115.241.80.101 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ০৬:২২536639
  • আমি একটু ধন্দে আছি। এটা (সিদ্ধার্থের Date:07 Apr 2012 -- 01:21 PM পোস্ট) যদি নব্বই হয় তো শেষ ৬০ বা প্রথম ৭০ তবে কি?
    কিছু নাম বদলানো? অঞ্জন দত্ত বা সুমন নেই। তার বদলে আছে পুরোনো আইপিটিএর সলিল বা বটুকদা। বাদ বাকি সব এক। ঐ যে বললাম বদলানো মানে কিছু নাম পাল্টে যায়। আর্চিস নেই ক্যাডবেরী আছে। আর্চিসের বদলে হাতে লেখা চিঠি। সাদা কগজের নীচে লাইনটানা এক্সারসাইজ কপি রেখে লেখা, যাতে লাইন হেলে না যায়। সেই কি হয় কিহয় অপেক্ষা। ফারাক আছে ঐ যায়গায়। সে একা থাকে না। আজ দাদা বা কাকীমা আছে। আজ নয়। আজ সেই প্রশ্রয়ী দিদি। খুদা কি ঘর মে দের হ্যায় - অন্ধের নহী।
    সেই ঝুপরিতে চম্বলের চায়ের দোকান আর ফুলুরী-আলুচ্চপ-বেগুনী, সেই টিউশন কাটা, সেই ঢাক্কুরিয়া লেক। সেই কেয়া ঝোপের পাশে সিগারেটের ভিতর গাঁজা। আর যৌনতা বেচতে আসা নারীর অনুরোধ - দাদা একটু ওপাশটায় বসবেন। উদার হয়ে ব্রিজে উঠে যেতে যেতে, তার চোখে কৃতজ্ঞ ঝিলিক। তাই সম্বল করে হেঁটে যাওয়া বকুলবাগানের রক বা আরও চারটে পুরিয়া উড়িয়ে নিজাম কি বিহারের বিফ কাবাব।
    আমাদের ভাগে বাড়তি বলতে ছিলো কিছু রাজনৈতিক পেঁয়াজ কুচি - নক্সালবাড়ি কি এপিডিআর। সে হয়তো নব্বইয়েও ছিলো, নাম বদলেছিলো - এই আর কি।
    তিরিশ বছরে কি বাঙ্গালী পাল্টায় নি? নাকি পাল্টানোটা আরও পরে - ২০০৮/৯/১০? মল-মাল্টিপ্লেক্স-আইটি বুম?
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ০৯:০৮536640
  • আমার মনে হয় সত্যিকারের পাল্টাল ২০০০-এর পর। মধ্যবিত্ত বাংগালীর ডিকাডেন্সের যাবতীয় আভিজাত্য খসে পড়ার সেই শুরু।

    সত্তর আশীর থেকে নব্বই তে একরংগা রাজনীতির দাপট কম ছিল। আমি মনে করতে পারছি না বন্ধু-বান্ধবদের আড্ডায় রাজনীতি নিয়ে কথা হয়েছে কিনা। হলেও রেয়ারলি। কিন্তু অন্য একতা ব্যাপার ছিল। সবকিছুকে জড়িয়ে মড়িয়ে বাঁচাটা তখনো ব্রাত্য হয়ে যায়নি। বহুবর্ণ পাড়া, টিউশন, কোচিং ক্লাস-এই যে সমসামিয়কতার চিহ্নগুলো, এগুলো একরকমভাবে বেঁচে ছিল। পরে ব্যাপারটা অনেক মেট্রোপলিটান হয়ে যায়।

    ফর এক্সাম্পল, আমরা আড্ডা মারার জায়গা বলতে ছোটখাটো চায়ের দোকান ফোকান বুঝতাম। আজকাল কলকাতায় খুব সাধারণ বাড়ির ছেলেপুলেও দল বেঁধে সাউথ সিটি যায়। হয়ত দু কাপ কফি চারজন ভাগ করে খায়। কিন্তু সেই মানসিকতাটা তৈরী হয়ে গেছে।

    এগুলো খারাপ ভালর কিছু নেই। এক একটা সময়ের চিহ্ন এক এক রকম।

    নব্বইতে উদার অর্থনীতি কাগজে কলমে ঢুকলেও আমরা তখনো শরীরে মনে অপ্রস্তুত তাকে সংস্কৃতিতে স্থান দেবার জন্য। সেই স্থান নেবার লড়াইটাও ছিল। আবার এর দশকগুলোর যে যৌথচেতনা, সেটাও বজায় ছিল। ফলে পুরোটা মিলিয়ে একটা টোটাল ব্যাপার। টাইটানিক এবং বাবা কেন চাকর পাশাপাশি দুখানা হলে চলেছে এবং দুটৈ ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে। এই এ বহু-রং, এটা সম্ভবত অন্য কোনো দশকে ছিল না।
  • gandhi | 203.110.246.25 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২০:১১536641
  • ২০০০ বললেও বোধহয় ভুল। চেন্‌জটা এসেছে বোধয় ০৫-০৬ এর পর থেকে। তার আগে সাধারন ছেলেপিলেরা শপিং ম্যল বা সিসিডি ঘুরতোনা । এটা আমার এক্ষপেরিয়েন্স
  • aka | 75.76.118.96 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২০:১৪536642
  • এরমধ্যে আবার উদার অর্থনীতি কেন? বেশ তো দিব্যি চলছে।
  • Bratin | 14.96.67.41 | ০৮ এপ্রিল ২০১২ ২১:৫৬536643
  • সিদ্ধার্থ , তুমি আমার থেকে খানিক টা ছোট ই হবে, তাই তুমি বলছি। বড় ভালো লেখো। ভালো লাগা টা জানালাম। আরো লেখো।
  • Siddhartha | 131.104.241.62 | ০৯ এপ্রিল ২০১২ ০০:৫৫536644
  • লিবারালাইজেশন তো অনেককিছু বদলের ডিসাইডিং ফ্যাক্টর হয়ে গেছিল। তার ভাল-মন্দ দুখানা দিক নিয়েই।

    অর্থনীতির ভাল মন্দ বুঝি না, কালচারাল অ্যাসপেক্টের কথা বলছি।

    ব্রতিনদা, ধন্যবাদ :)
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন