এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • তরলিত চন্দ্রিকা ...

    Binary
    অন্যান্য | ১২ এপ্রিল ২০১২ | ৭৫৮ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Binary | 70.76.78.47 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৬:০০536377
  • দুপুরে খাওয়ার পরে কাউচে বসে ঝিমোচ্ছিলো ইমন। উইকেন্ডটা ভাল্লাগেনা আর। কোনো কাজ নেই। সেই কাপড় ধোয়া আর কাপড় শুকোনোর মেশিন। ঘর পরিস্কারের ভ্যাকুম। তার পর সেই অফুরন্ত অন্তর্জালের থোর-বড়ী-খাড়া। আধা ঘন্টা পর-পর ই-মেল-এর রিফ্রেস বোতাম। আনন্দবাজারের বস্তাপচা কলকাতার খবর। বিরক্তিকর শনিবার আর রোব্বারের দুপুর গুলো। সেপ্টেম্বরের শেষাশেষি এখন। হাড় কাঁপানো নাহলেও, শিরশিরে, চামড়ায় জ্বালা ধরানো ঠান্ডা পরে গেছে ইতিমধ্যে-ই। আজ শনিবার, কাল রাত থেকে আবার ইলশেগুড়ি ব্‌ষ্টি। মেঘলা আকাশ। হঠাৎ হঠাৎ হুড়ুম হুড়ুম হিমেল হাওয়া। সামনে দেওয়াল জোড়া কাঁচের জানালার বাইরে ডানপাশে ড্রাইভওয়ে আর বাঁ পাশে ঘাসের লন ভীজে ঝিম মেরে আছে। লনের পরে রাস্তা, তার সাইড ওয়াক ধরে ডানদিকের তৃতীয় বাড়ীর মোটা উইলিয়ামস, এক্ষুনি বর্ষাতি গায়ে, ছাতা মাথা কুকুরের গলায় বেল্ট বেঁধে চরাতে নিয়ে গেল, তার আগের পৌনে দু ঘন্টায় একটাও লোক দেখা যায়নি আজ। ঝিমিয়ে ঝিমিয়ে, কলকাতার পুরোনো বাড়ীর কুয়োতলা-র স্বপ্ন দেখছিলো ইমন, হঠাৎ মেয়ের ডাকে তন্দ্রা কেটে যায়।

    -- বাবা
    -- উঁ ?
    -- ওঠো না বাবা
    -- কি হলো ?
    -- বোর লাগছে, চলো না বাইকিংএ যাই
    -- এখন ? বৃষ্টি হচ্ছে তো ?
    -- ও কিছু হবে না, রেন্‌কোট নেব
    -- উ: তুই খুব জ্বালাস তো
    -- প্লিজ বাবা

    আরো কিছুক্ষণ মেয়ের ঘ্যানঘ্যানানি শুনে কাউচ থেকে ওঠে ইমন। মেয়েটা সত্যি বিরক্ত হচ্ছে নিজেও, ঘরের মধ্যে বন্দি থেকে। আট ক্লাশের মেয়ে, সদ্য তেরো-র কোঠায়। আস্তে আস্তে বাবা মায়ের পাখার তলা থেকে, বাইরের বন্ধুদের ঘেরাটোপে মিশে যাচ্ছে। কিছুটা বয়সের ধর্মে, কিছুটা এই পশ্চীমি দেশের স্বাধীনচেতা পরিবেশে। নিজস্ব ভাললাগা-মন্দলাগা তৈরী হচ্ছে তাড়াতাড়ি। নিজের মত প্রকাশের কাঠিন্য-ও আসছে খুব তাড়াতাড়ি। তো, মেয়ের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর মতো অবসর-ও কমে যাচ্ছে আস্তে আস্তে, তাই আজকের এই আবদারটা সরিয়ে রাখতে ইচ্ছা করেনা ইমনের। জ্যাকেট গলায়, মাফলার, টুপি তার উপরে সাইকেল চালানোর হেলমেট। ঘুম ঘুম দুপুরে, সারা বাড়িতে ছড়ানো আলস্যি। শরীরটাও আলসেমি ছাড়তে চায় না। সদর দরজার ভেতরে, ক্লসেট থেকে বার করে স্নিকারে পা গলাতে গলাতে, ফিতে বাঁধতে বাঁধতে, নিজের বয়স কত হল হিসাব করে ইমন। আলসেমি আর চালসে একসাথে আসছে নাকি, তাই জরিপ করার চেষ্টা করে। মেয়ে অন্তত: দশ মিনিট আগে ভাগে তৈরি হয়ে, দরজার বাইরে উস্খুস করছে।

    গ্যারেজ খুলে সাইকেল দুটো বার করে ওরা। বাঁহাতের বুড়ো আঙ্গুলে টিপেটুপে দেখে নেয় চাকার হাওয়া। বাইরে ড্রাইভ ওয়েতে এসে, মেয়ে নিজের সাইকেলের পাদানি তে চাপ দিয়ে হুস করে এগিয়ে যায় পঞ্চাশ মিটার, ব্‌ষ্টি আর হাওয়ার দাপট বাঁচাতে চোখ কোঁচকায় ইমন।

    ***
    -- কোথায় যাচ্ছিস রে ?
    -- আরেকটু চলো না, বাবা
    -- অনেকটাতো এসে গেলাম,
    -- অ্যানাদার ফাইব হান্ড্রেড মিটার্স, তারপরেই রিভার সাইড

    চোখ কুঁচকে, পায়ের উপর ঠেস দিয়ে সাইকেলে দাঁড়িয়ে আছে ইমন। হাঁফ ধরে গেছে ভয়ানক। এই এককিলোমিটার পথে আসতেই। ঠান্ডাও লাগছে বেজায়। বাঁ হাঁটুতে একটা পুরোনো চোট টনট্‌নাচ্ছে। বাড়ী থেকে বেরিয়ে, ফাঁকা পিচ রাস্তায়, মেয়ের পেছন পেছন আটটা ব্লক পেরিয়ে ডানদিকে, উঁচুনীচু প্রায় পাঁচশো বর্গমিটার ঘাস জমির কোনাকুনি মাঝামাঝি এখন ওরা। মেয়ে প্রায় কুড়িহাত আগে, পেছনে ইমন। এপাস-ওপাসের ঘাস শুকিয়ে এসেছে হেমন্তের সুরুতে। ম্যাপল গাছগুলোর ডালগুলো-ও প্রায় খালি, নীচে, শুকনো পাতার গালিচা। ডানপাশে ক্যমুনিটি বেসবল কোর্ট, তার দোতালা সমান উঁচু ফাউল-বল নেট আর অন্যপ্রান্তে দর্শকদের স্ট্যান্ড, খালি, ফাঁকা, মন কেমন করা। মেয়ে সাইকেল ঘুরিয়ে কাছে আসে।

    -- হাঁপাচ্ছো, বাবা ?
    -- না রে
    -- আচ্ছা, একটু আস্তে আস্তে চলো, কষ্ট হবে না
    -- আরে ধুর, তুই এগো

    তারপর, আগে আগে, মেয়ে গতি কমিয়ে আস্তে আস্তে চলে, ওর কালো জ্যাকেট পরা নীচু হওয়া অবয়বটা, পেছনে থেকে দেখতে দেখতে ইমনের মনে হয়, কবে এত বড় হয়ে গেল মেয়েটা ? ট্রেনিংহুইল লাগানো, ছোট্টো সাইকেলে, নড়বড় করে এগোতো এইত্তো সেদিন। পাশেপাশে দৌড়াতো ইমন। মাঝে মাঝে, ব্যালেন্স হারিয়ে, ভয় পেয়ে, চ্যাঁচাতো, 'ড্যাড, হোয়ার আর ইউ ?'

    **
    ঘাসজমি পেরিয়ে, নদীর ধার দিয়ে স্পাডিনা ড্রাইভ। একটা-দুটো গাড়ী যাচ্ছে হুস করে জল ছিটিয়ে। ট্রাফিক সিগনালে, পথচারিদের সবুজ আলোয় আস্তে আস্তে রাস্তা পার হয় দুজনে। রাস্তার এইপাশে, ইউনিভার্সিটি ব্রিজের গোড়ায়, ঘাস,পাথর আর কাদায় ভরা জমি এক্টু বেশী খাড়া, ঢালু হয়ে নেমে গেছে নদীতে। জংলা পাইন গাছের সারি। দেড় মানুষ সমান উঁচু ব্লু-বেরী ঝোপ, এখন পাতা নেই বললে-ই চলে। জলের ছোটো ছোটো ঢেউ ধাক্কা খেয়ে থেমে যাচ্ছে ছোটো-বড় পাথরে। ডানদিকে ইউনিভার্সিটি ব্রিজ, আর বাঁয়ে, বেশ, দেড়-দুই কিলোমিটার ডাউনস্ট্রীমে ব্রডওয়ে ব্রীজ। এটা নদীর পশ্চীম দিকের পাড়, পূর্বদিকের পাড়ে, ইউনিভার্সিটি বিল্ডিংএর স্কাই লাইন।

    একটা পাইন গাছের গায়ে সাইকেল রেখে, গাছের গায়ে হেলান দিয়ে, সিগারেট ধরায় ইমন। পুরোনো চোট লাগা বাঁ পা-টা আল্গা করে রাখে। মেয়েটা সাইকেল ফেলে রেখে নদীর ধারে ছোটাছুটি করছে। উত্তেজিত গলা 'বাবা, এই দ্যাখো, 'ওটার'-এর গর্ত', 'ঐ একটা মুখ বার করলো !!!' । তারপর ইমন-কে টেনে নিয়ে আসে, উদবিড়ালের কান্ড দেখাতে। উত্তেজিত গলায় হাত-পা নেড়ে নর্থ-অ্যামেরিকান 'ওটার' সম্বন্ধে জ্ঞান দেয় ইমন-কে। এখন-ই নাকি দিনের বেলায় গর্তের বাইরে আসে ওটার গুলো, সামারে নাকি রাত্রিবেলায়। তারপর, চ্যাপ্টা পাথরে ব্যাংবাজি করে নদীর জলে। ছেলেবেলায় হাতমক্সো করা ব্যাংবাজি-র কায়দাটা, ইমন-ও একদুবার পরখ করে দ্যাখে। হাঁপ ধরা ভাবটা কমে গেছে এখন, সিগারেটের জন্য নাকি ব্যাংবাজির জন্য, ঠিক বুঝতে পারে না ইমন।

    **
    ফেরার পথে, আস্তে আস্তে, বাবার পাশে পাশে সাইকেল চালায় মেয়ে। অনর্গল, বকবক করে, স্কুলের কথা, টীচার-দের কথা এইসব। একসময়, ওর কথার মাঝে, একটা ফাঁক পেয়ে ইমন বলে,
    -- কাল আবার আসব, বুঝলি
    -- কাল হবে না বাবা, কাল আমরা, বন্ধুরা যাব, মি-ওয়াসিন ট্রেল ধরে
    -- সেকি রে ? সে তো অনেকটা !!
    -- ও-কিছুনা, একটু খানি, লিওনি, আমি, জেনা, এমিলি
    -- ....
    -- ....
    -- ও: তাহলে পরের উইক এন্ডে আসব তাহলে, .... লজ্জা পেয়ে বলে ইমন
    -- পরের উইকএন্ডে-ও হবে না বাবা, আমার পিয়ানো ক্লাস, মনে নেই ?
    -- ও: তাহলে থাক, বলে অপ্রতিভ হাসে ইমন
    **

    পরের দিন রবিবার দুপুরে, মেয়ে,বন্ধুদের সঙ্গে, কিচির্মিচির করতে করতে, বেরিয়ে গেলে, সেই কাউচে বসে ঝিমোতে ঝিমোতে, একটা উইকেন্ডের স্বপ্ন দেখে ইমন। একটা ছোট্টো মেয়ে, মাথার দুপাসে চুন্নি ঝুটি বাঁধা, লাল স্কার্ট পরা, ছোট দু-চাকার সাইকেলে-র উপর, একহাতে সাইকেলের হ্যান্ডেল, আর-একহাতে পাশে দাঁড়ানো, বাবার জামা আঁকড়ে ধরা, কাঁদোকাঁদো মুখ। চশমা পরা বাবার মুখে, একটু বোকাবোকা হাসি।

    কোন উইকএন্ড ? সামনের, না আট-নয় বছর আগের, গুলিয়ে যায়।
  • Nina | 68.34.167.250 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ০৬:০৭536385
  • খুব খুব ভাল লাগা হল---সত্যি কখন যে ওরা হুট করে বড় হয়ে যায়, বোঝার আগেই!
    ইমন এত একলা কেন--মেয়ের মা কই?
  • Manish | 59.90.135.107 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১১:১২536386
  • Biinary খুব ভালো লাগলো মন কেমনিয়া লেখাটা।
  • hu | 12.34.246.72 | ১২ এপ্রিল ২০১২ ১৯:২৬536387
  • ভালো লাগল।
  • Binary | 198.169.6.50 | ১৩ এপ্রিল ২০১২ ২২:০৪536388
  • যাগ্গে, এই বাজারে যারা কমেনটস দিলেন তাদের থ্যাঙ্কু।
  • sayan | 115.184.100.48 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ০০:৫৭536389
  • "ধূসরের ঊষরের করো তুমি অন্ত্য
    শ্যামলিয়া ও পরশে করো গো শ্রীমন্ত'

    লেখাটা অবশ্যই এখানে শেষ নয়। চলতেই থাকে চড়াই-উৎরাই বেয়ে বইতেই থাকে নদীর স্রোতের কিনারায় আর যাদের স্মৃতি তারা হাল ধরে রয়। কীপ ওয়াকিং বাডি বয়! :-)
  • Tim | 98.249.6.161 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ০১:০৬536390
  • অ, কমেন্ট দিইনি বলে বাদ? এই লও, আর তরতরিয়ে লেখো দেখি!
  • ranjan roy | 14.97.146.237 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ০৮:১৭536391
  • বাইনারি,
    এত কম লেখেন কেন? মন খারাপ করিয়ে দিলেন।
    দেখতে পাচ্ছি আমার ছোট মেয়েটাকে, অমনি দুটো ঝুঁটি বাঁধা চুল, ডিমের মত চোখ।
    সারারাত অ্যাজমার টানে জেগে থেকে সকালে গাঢ় ঘুমে পড়ে আছি। ও আস্তে আস্তে ঠেলছে।
    -বাবা,ও বাবা! ওঠো না বাবা। বাগানে কি সুন্দর একটা গোলাপ ফুটেছে, দেখবে এস। আর একতা ছোট্ট সাপ, ওঠো না বাবা!
    এখন দিল্লি গেলে একটি ব্যস্ত সমস্ত মেয়ে অফিসের ফাঁকে আমায় হাত ধরে রাস্তা পার করায়।
  • kumu | 122.160.159.184 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১১:৪১536392
  • রঞ্জনদার মেয়ে কি দিল্লীতেই থাকে/ন?
  • dd | 110.234.159.216 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১১:৫৮536378
  • বাবা মারা যতো তাড়াতাড়ি বুড়ো হয় তার থেকে অনেক তাড়াতাড়ি বাচ্চারা বড়ো হয়ে যায়। চোখের পলক ফেলার সময়ও দেয় না।

    আমি হতভম্ব হয়ে থাকি।

    বাইনারির লেখা পড়লে সব মেয়ের বাবারই উদাস লাগবে। মানে খুব ছোট্টো মেয়ের বাবারা নয়,একটু যারা, বড়ো হচ্ছে বা অলরেডী বড়ো হয়ে গ্যাছে। সেইসব সদ্য,পুর্ন বা পোস্ট ভামেদের কথা বলছি।
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১২:৩৯536379
  • ডিমের মতো চোখ???
  • Bratin | 122.248.183.1 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪০536380
  • উদয়ন দা, খুব ভালো লাগলো। বরাবরের মতো।
  • kumu | 122.160.159.184 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১২:৪৫536381
  • মেয়ের মা হওয়া হলো না,এই এট্টা দুক্ষু রয়ে গেল জীবনে।
  • sinfaut | 121.241.218.132 | ১৯ এপ্রিল ২০১২ ১৭:০৫536382
  • কী ভালো লেখা। বাইনারিদা চিরকালই খুব খুব ভালো লেখেন। পড়তে মনকেমন করে বড্ড। ফাঁকা জায়গাগুলোর জন্য, শুনশান সময়ের জন্য ...
  • Hansjaru | 152.244.143.79 | ১১ মে ২০১২ ০২:৪২536383
  • বেশ ভালো লাগলো।
  • Blank | 69.93.208.199 | ১১ মে ২০১২ ০৯:৪৮536384
  • ভালো লাগলো বাইনারি দা
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন