এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • যেসব 'মার্ক্সী'য় বন্ধুরা ধর্ম এবং 

    Sushanta Kar
    অন্যান্য | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ | ২০১২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Sushanta Kar | 117.198.56.105 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২১527782
  • ফেসবুক থেকে:
    যেসব 'মার্ক্সী'য় বন্ধুরা ধর্ম এবং ধর্মীয় দলমাত্রকেই অছ্যুত ভাবেন, তাদের জন্যে একটি ভাল লেখা:http://www.internationalviewpoint.org/article.php3?id_article=807
    OpiateofthePeople? - MarxismandReligion

    HomeIVOnlinemagazineIV368 - June2005MarxismReligion
    Like··Unfollowpost·Share·26Decemberat22:14nearTinsukia

    NadiaRahman, AliAshraf, PaulMinakshiand4otherslikethis.
    SushantaKarEngelsseemstofindnothingbutthe“religiousdisguise”ofclassinterestsinthedifferentformsofbelief.However, thankstohisclass-strugglemethod, herealized-unliketheEnlightenmentphilosophers - thattheclergywasnotasociallyhomogeneousbody:incertainhistoricalconjunctures, itdivideditselfaccordingtoitsclasscomposition.ThusduringtheReformation, wehaveontheonesidethehighclergy, thefeudalsummitofthehierarchy, andontheother, thelowerclergy, whichsuppliedtheideologuesoftheReformationandoftherevolutionarypeasantmovement.
    26Decemberat22:27·Like
    SushantaKarWhilebeingamaterialist, anatheistandanirreconcilableenemyofreligion, Engelsneverthelessgrasped, liketheyoungMarx, thedualcharacterofthephenomenon:itsroleinlegitimatingestablishedorder, butalso, accordingtosocialcircumstances, itscritical, protestingandevenrevolutionaryrole.Furthermore, mostoftheconcretestudieshewroteconcernedtherebelliousformsofreligion.
    26Decemberat22:27·Like
    SushantaKarLeninhimself, whoveryoftendenouncedreligionasa "mysticalfog", insistedinhisarticleSocialismandReligion (1905) thatatheismshouldnotbepartoftheparty’sprogrammebecause "unityinthereallyrevolutionarystruggleoftheoppressedclassforcreationofaparadiseonearthismoreimportanttousthanunityofproletarianopiniononparadiseinheaven."
    26Decemberat22:31·Like·1
    SushantaKarRosaLuxemburgsharedthisstrategy, butshedevelopedadifferentandoriginalapproach.Althoughastaunchatheistherself, sheattackedinherwritingslessreligionassuchthanthereactionarypolicyoftheChurchinthenameofitsowntradition.Inanessaywrittenin1905 (“ChurchandSocialism”) sheclaimedthatmodernsocialistsaremorefaithfultotheoriginalprinciplesofChristianitythantheconservativeclergyoftoday.Sincethesocialistsstruggleforasocialorderofequality, freedomandfraternity, thepriests, iftheyhonestlywantedtoimplementinthelifeofhumanitytheChristianprinciple "lovethyneighbourasthyself", shouldwelcomethesocialistmovement.Whentheclergysupporttherich, andthosewhoexploitandoppressthepoor, theyareinexplicitcontradictionwithChristianteachings:theydoservenotChristbuttheGoldenCalf.
    26Decemberat22:32·Like
    SushantaKar এই লেখাতে পাইনি, কিন্তু আমি পড়েছি। মার্ক্স একজায়গাতে লিখেছিলেন, ৬ষ্ঠ শতাব্দির রোমক সাম্রায্যবাদের পতন অব্ধি খৃষ্ট ধর্মই ছিল সেখানকার সমাজবাদ! ফলে যারা মার্ক্সবাদীদের ধর্মদ্রোহী বলে গাল দেয়, কিম্বা যারা উন্নতবুক হয়ে দাবি করেন তাঁরা মার্ক্সবাদী এবং ধর্মদ্রোহী...আমার খুব হাসি পায়।
    26Decemberat22:39·Like
    AbulKhayer‎SushantaKar, দাদাকে ধন্যবাদ। একটানে পড়লাম। সময় নিয়ে পুনরায় পাঠের ইচ্ছা রয়েছে। তবু দুটো কথা না বললেই নয়। প্রথমত, মার্ক্সবাদ ধর্ম এবং দর্শনকে গুলিয়ে এক করে দেখে না। ধর্ম, দর্শনের সম্পূর্ণ বিপরীত। যেখানে 'দর্শন' এর পূর্বশর্তই হচ্ছে আমি কিছু না কিছু দেখি বা দর্শন করি, সেখানে ধর্ম কিছুই দেখে না এবং অদেখা বিষয়েই ধর্ম আলোকপাত করে। এই অদেখা নিয়ে ফেনায়িত পল্লব্রগাহিতার মধ্যে ধর্মের সারগর্ভ ধারিত আছে কেবল তার নৈতিক বচনগুলোতে যা আদতে সামাজিক-ঐতিহ্যিক। এবং নৈতিক বচনগুলো বাদ দিলে ধর্ম হবে অন্ত:সারশূন্য। সুতরাং সমাজে ধর্মের উদ্ভব কিন্তু সামাজিক বিকাশেরও স্মারকচিহ্ন বহন করে। সমাজে ধর্ম উদ্ভবের বৈষয়িক তথা আর্থনীতিক কার্য-কারণ নিহিত রয়েছে বস্তুগত তথা পণ্য উৎপাদন সম্পর্কের মধ্যে। সামাজিক শ্রমবিভাজনের মধ্যদিয়ে পৃথক ও স্বতন্ত্র অবস্থানে থাকা উৎপাদকগণ যতই বিভিন্ন সুনির্দিষ্ট পেশায় বিশেষায়িত হতে থাকে সমাজে পণ্য উৎপাদন ততই বিচ্ছিন্ন-আপতিক তথা ব্যতিক্রম অবস্থান থেকে ক্রমেই সার্বজনীন রূপ লাভ করে সমগ্র সমাজে ব্যাপ্তিলাভ করে পণ্য অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়। যদ্দপি সমাজে স্বয়ম্ভূ উৎপাদকদের (অর্থাৎ যে উৎপাদকগণ নিজে যা উৎপাদন করেন তাই পরিভোগ করেন, বিনিময়ের জন্য কারও কাছে যেতে হয় না) আধিপত্য ছিল, ততকাল সমাজে সর্বেশ্বরবাদ প্রাধান্যশীল ছিল। উৎপাদকদের মধ্যে শ্রম বিভাজন দেখা দিলে, পেশার বিশেষীকরণ ঘটলে সর্বেশ্বরবাদ নেতিকৃত হয়ে বহুঈশ্বরবাদের উদ্ভব ঘটে। পণ্য উৎপাদন, কালক্রমে সমাজে পণ্য অর্থনীতির রূপ পরিগ্রহ করলে যখন মনুষ্য শ্রমশক্তি পণ্য রূপে আবির্ভূত হয়, তখন উদ্ভব ঘটে পুঁজির। আর পুঁজির একক ব্যক্তিক মালিকানার প্রতিফলন থেকে ধর্মের বিবর্তনেও বহুঈম্বরবাদের স্থলে একেশ্বরবাদের উদ্ভব অনিবার্য হয়ে পড়ে। বিষয়টি খুঅউব সংক্ষেপে কেবল কঙ্কালটা বিবৃত করছি। ভুল বোঝার সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে। তবে অবজেক্টিভ আলোচনা হতে হবে। তাহলে এমনকি ভারতবর্ষের ধর্ম সমূহ সম্পর্কে যেসব খেলো এবং তুচ্ছ-তাচ্ছিল্যপূর্ণ আলোচনা ইতোপূর্বে অন্যত্র হয়েছে সেসব নিয়েও আমরা গভীরতায় দৃষ্টি মেলতে পারবো।
    26Decemberat23:52·Unlike·3
    SuddhaSatya আলোচনাটা চলুক। খুব প্রয়োজন কিছু কথা পরিস্কার করার। ধর্মদ্রোহী বিষয়টা কিন্তু অধর্মীয় নয়। মার্ক্সবাদ ছেড়ে দিলেও তার অনেক আগেও এমন মানুষ ছিলেন যাঁরা ধর্মের নামে শাসনতন্ত্রের খেলাটা কিছু বুঝতেন। যেমন চার্বাকরা। যতটুকু পাওয়া যায় তার থেকে এই ধারণা পাওয়া যায় এঁদের সম্পর্কে। এঁরা ধর্মদ্রোহী বললে একটু কম বলা হবে। বলা ভাল এঁরা ধর্মব্যাপারটারই বিরোধী। এমনিতে ধর্ম মানেই ঈশ্বর-ও, এটা একটা সরলীকরণ মাত্র। এমন ধর্ম পৃথিবীতে ছিল যাতে ঈশ্বর নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা ছিল না। যেমন প্রথম দিকের কণাদের পরমাণুবাদ। পরের দিকে একে গুলিয়ে নেওয়া হয়েছে বেদবাদীদের সঙ্গে, কিন্তু তা বিকৃত রূপ মাত্র। ধর্ম একটি সামাজিক শাসনপদ্ধতি যাতে দর্শন কম এবং শাসন্তান্ত্রিক প্রয়োগ বেশী বহুসময়েই।অকিন্তু তা বলে এর সঙ্গে আজকে ধর্মীয় দলকে গুলিয়ে ফেলা খুব কাজের কথা না। চার্চ কোনো ধর্মীয় দল নয়। পুরীর শঙ্করাচার্য্য বা কাঞ্চীর শঙ্করাচার্য্য আদতে ধর্মগুরু, ধর্মীয় দলের নেতা নয়। প্রস্তাবনাতে গন্ডগোল দেখা দিচ্ছে। শঙ্করাচার্য্যকে বা কোনো মসজিদের ইমামকে কোনো কাজে বন্ধু হিসেবে পাওয়া আর বিজেপি কিম্বা জামাত কে বন্ধু হিসেবে পাওয়া এক বস্তু নয়। ধর্ম আজকের দিনে সামাজিক ক্ষমতারও অবিনশ্বর অধিকারী নয়, রাজনৈতিক ক্ষমতার কথা বাদই দিলাম। কিন্তু জামাত বা বিজেপি রাজনৈতিক ক্ষমতার অভিলাষী। তাদের agenda খুব পরিস্কার। তাদের সঙ্গে শত্রুতাকে ধর্মবিরোধ বলাটা নিতান্তই কাঁচা কাজ। স্রেফ ক্ষমতার লোভ ছাড়া এদের সঙ্গে মৈত্রী করার মানে মার্ক্সবাদী কেন, যে কোনো মানবতাবাদীর কাছেই গুরুতর প্রশ্ন। নরেন্দ্র মোদী যে কোনো সভ্য মানুষের কাছে বর্বরই মাত্র। চলতে থাকুক কথা। কথার মধ্যে কটা কথা লিখলাম। শুনছি।
    Tuesdayat11:38·Like·3
    SushantaKar"মার্ক্সবাদ ছেড়ে দিলেও তার অনেক আগেও এমন মানুষ ছিলেন যাঁরা ধর্মের নামে শাসনতন্ত্রের খেলাটা কিছু বুঝতেন। যেমন চার্বাকরা।" চার্বাকরা ছাড়াও আরো অনেক ধর্মগুরুরাও কি একেবারেই কিছু বুঝতেন না? বুদ্ধ থেকে কবির , চৈতন্য, শঙ্করদেরা? "শঙ্করাচার্য্যকে বা কোনো মসজিদের ইমামকে কোনো কাজে বন্ধু হিসেবে পাওয়া আর বিজেপি কিম্বা জামাত কে বন্ধু হিসেবে পাওয়া এক বস্তু নয়। " এই বন্ধুত্বের আরো একটা দিকও রয়েছে শুদ্ধসত্যদা! ধর্মের নামে শাসিতরা রাজনৈতিক এজেন্ডা নিয়ে নামতে পারে কিনা। যে লেখাটার লিঙ্ক দিলাম এটি এমনই এক বিতর্কের ফসল। এই অংশ্তা দেখুন,"However, theemergenceofrevolutionaryChristianityandLiberationTheologyinLatinAmerica (andelsewhere) opensanewhistoricalchapterandraisesexcitingnewquestionswhichcannotbeansweredwithoutarenewaloftheMarxistanalysisofreligion, thesubjectofthisarticle." ভারতীয় উপমহাদেশে বা এশিয় দেশগুলোতে মার্ক্সবাদীদের প্রায়ই এই জটিল সমস্যাতে পড়তে হয়। অধিকাংশ মধ্যবিত্ত সমস্ত ধর্মীয় দল সংগঠনকে বিজেপি বা বাংলাদেশের জামাতের সঙ্গে এক করে দেন। মিশর টিউনেশিয়াতেও এই প্রশ্ন জোরাল ভাবেই উঠছে। সেখানে ইসলাম পন্থীদের বিজয়কে অনেকে পূর্বতন শাসকদের থেকেও কোনো বিশ্লেষণ ছাড়াই আরো ভয়ঙ্কর আতঙ্কের কারণ বলে দেখছেন! যখন কিনা মাটিতে বিপ্লবীদের এদের সঙ্গে মার্ক্সীয় 'ঐক্য এবং সংগ্রামে'র নীতিতে জোট বাঁধতে হচ্ছে! বাংলাদেশেও মার্ক্সবাদীদের এই সব প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে। সেখানে সমস্ত ইসলামী গ্রুপ কিন্তু ভারতের বিজেপির মতো সাম্রায্যবাদীদের সহযোগী শক্তি নয়। আমার বলবার বিষয় এই নয় যে এরা সবাই 'প্রলেতারিয়েত বিপ্লবী'! এমন কি বিজেপি ছাড়াও ভারতেই এমন বহু 'হিন্দু' ধর্মীয় সংগঠন রয়েছেন যারা মূলত দলিত দরিদ্রদের প্রতিনিধিত্ব করেন। পশ্চিম বাংলার মতুয়ারা যেমন। খৃষ্টীয়, বৌদ্ধ, শিখ সংগঠনগুলোতো বটেই!
    Tuesdayat12:17·Like
    SuddhaSatya সুশান্তবাবু, চার্বাক- এমনকি অজিত কেশকম্বল আর বুদ্ধ, নানক, কবীর এক নন। এঁদের নির্দিষ্ট ধর্মপরিচয় রয়েছে। এঁরা খেলা বুঝলেও সামুহিক প্রত্যাখ্যানে যাননি। চৈতন্যও না। বরং চৈতন্য চলে যেতে পারেন এই ভয় হুসেন শাহ-র মতই ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিনিধি বা বৈষ্ণবদের একাংশকে বেশ চিন্তিত রেখেছিল। যে কারণে আমি এঁদেরকে চার্বাকদের সঙ্গে আনিনি।অআর ক্রিশ্চিয়ানিটি কেন, যে কোনো ধর্মের মধ্যেই একসময় বিদ্রোহ আসে। অন্য উদারনৈতিক সন্মানীয় ভাবনা আসে। কবীর, দাদু, চৈতন্য সেই ধারার উৎকৃষ্ট ফসল। কিন্তু এঁরা রাজনৈতিক দলের নেতা নন। নানক বরং অনেকাংশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব।
    রাজনৈতিক দলের নেতাদের কারবার হচ্ছে ক্ষমতা নিয়ে। সুস্পষ্ট কারবার। সেখানে ঐক্য নিয়ে ভাবতে হয় বই কি! সে কথার আগে বলে নিই, লুথারিয়ান বিদ্রোহের চেয়েও অনেক বেশী জোরালো বিদ্রোহ ছিল সমকালেই থমাস মুঞ্জেরের জার্মান কৃষক বিদ্রোহ। তাকে যারা সমর্থন করেছিলেন সেই অ্যানা-ব্যাপটিস্টরা মুঞ্জেরের মতই জবাই হয়ে যান চার্চের হাতে।অলুথার প্রথমে এই বিদ্রোহের সঙ্গে থাকলেও পরে অভিজাতদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে নেন। বিশ্বাসঘাতকতা করেন। নিজের বক্তব্য থেকে সরে যান। এটাকে গভীরভাবে দেখার দরকার আছে। লুথারের বিদ্রোহ শুরুতে ধর্মীয় অবস্থান থেকে নিপীড়িতদের পক্ষে থাকলেও তা ক্রমশ রাজনৈতিক ক্ষমতার কৌশল হয়ে যায়। আর ফলশ্রুতিতে ক্যাথলিক চার্চের ভাঙনের পরে গড়ে ওঠে চার্চ অব ইংল্যান্ড। তার সর্বেসর্বা কিন্তু ইংল্যান্ডের রাজা। আর এই প্রোটেস্টান্ট চার্চ ধর্মবিশ্বাসী ক্যাথলিকদের উপরে ঠিক সেই অত্যাচারই করেছে যা একসময়ে করতো চার্চ। তাহলে এখানে সুচিন্তিত ঐক্য কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? ক্ষমতার লড়াই-এ ঐক্য কিন্তু শেষত ক্ষমতায় যাওয়া মানুষকেই একই জুতো পরায়। আর সেই ক্ষমতায় যখন যাওয়ার সময় হয় তখন কিন্তু সবচেয়ে রয়াডিক্যাল অংশটা বাদ পরে যায়। চুক্তি হয় তুলনামূলক প্রতিক্রিয়ার শক্তিগুলোর মধ্যে। ল্যাটিন আমেরিকাতেও তাই দেখিনি কি আমরা? শেষমেশ ঐ চার্চ কার সঙ্গে হাত মিলিয়েছে?
    ছেড়ে দিন, ইরানের ধর্মীয় বিপ্লব মনে আছে তো? এখানে এককালে কম্যুনিষ্ট পার্টির কৃষক প্রজা পার্টিকে সমর্থন মনে আছে তো? ফজলুল হক এসেছিলেন কৃষকের হাতে জমি শ্লোগান নিয়ে, তারপরে কি হয়েছিল? জমিদারেরাই কি লুটে নেয়নি সব? পাকিস্তান হওয়ার সময়ে কথা ছিল হিন্দু অত্যাচারী জমিদারদের বিরুদ্ধেই গড়ে উঠছে ইসলামি ঐক্য। তার শেষ হবে কৃষকের হাতে জমির অধিকার দিয়ে। আজকের বাংলাদেশে সব কৃষকের হাতে জমি আসবে এমনই প্রচার ছিল মুসলীম লীগের। কি হয়েছে? সুশান্তবাবু, বাঘের পিঠে চড়া সহজ, নামা নয়। হিটলারকে নির্বাচনে যারা সমর্থন করেছিল তাদের এক বৃহ্‌ৎ অংশ ছিল প্রোটেস্ট্যান্ট শ্রমিক। কম্যুনিষ্টরাও অত সমর্থন পায়নি ঐ প্রদেশে। ফল? ইতিহাস জানে।
    Tuesdayat12:48·Like
    SushantaKar"সুশান্তবাবু, চার্বাক- এমনকি অজিত কেশকম্বল আর বুদ্ধ, নানক, কবীর এক নন। এঁদের নির্দিষ্ট ধর্মপরিচয় রয়েছে। এঁরা খেলা বুঝলেও সামুহিক প্রত্যাখ্যানে যাননি। চৈতন্যও না। বরং চৈতন্য চলে যেতে পারেন এই ভয় হুসেন শাহ-র মতই ব্রাহ্মণ্যবাদের প্রতিনিধি বা বৈষ্ণবদের একাংশকে বেশ চিন্তিত রেখেছিল। যে কারণে আমি এঁদেরকে চার্বাকদের সঙ্গে আনিনি।" -এটা বুঝেই প্রশ্নটা করেছি। বাকি বিশ্লেষণগুলোর সঙ্গেও আমার বিরোধ নেই ততটা। "ছেড়ে দিন, ইরানের ধর্মীয় বিপ্লব মনে আছে তো? এখানে এককালে কম্যুনিষ্ট পার্টির কৃষক প্রজা পার্টিকে সমর্থন মনে আছে তো? " নিশ্চয়! কিন্তু সেই সঙ্গে খোদ কমিউনিষ্ট পার্টিরই চেহারা দেখলামতো রাশিয়াতে, চিনে, বাংলাতে, এবং এখন দেখুন উত্তর কোরিয়াতে! কোরিয়ার মার্ক্সবাদ দেখলেই আমার কেমন হাসি পায়। আপনারও পায় নিশ্চয়! তা, যারা বিশ্বাসঘাতকতা করে তাদেরকে শেষ অব্দি আলাদা করবার দরকার আছে? "বাঘের পিঠে চড়া সহজ, নামা নয়।" এই পরামর্শটা খোদ কমিউনিষ্টদের বেলাতেই খাটে। এটা ভুলব নাতো। ইরানকে যদি বিপজ্জনক ভাবি চিন-কোরিয়া কম কিসে? এসবই ঐতিহাসিক বাস্তবতা, আপনি যা বললেন। কিন্তু তার থেকে কমিউনিষ্টদের আলাদা ভাবার পবিত্রতা বোধ আমাদের পেয়ে গেলেই বিপদ! বাপরে বাপ! আমারতো রীতিমত ভয়ই করে! এবং সেখানে যদি চিনে -ইরানে সন্ধি হতে পারে! তবে বিপ্লবীদের মার্ক্সবাদীদের মধ্যে নয়ই কেন? এটা নিশ্চয়ই এরকম কংগ্রেসি গান্ধীবাদ নয় নয় যে দেশের মানুষের বিরুদ্ধে লড়তে আমরা সেনা বাগিয়ে দিতে পারব। এটা সন্ত্রাশও নয়, হিংসাও নয়, কিন্তু সরকার বিরোধী গণ আন্দোলন! সাবধান তাকে সব সময় আন্নার মতো অহিংশার পরীক্ষাতে ফুল মার্ক্স পেতে হবে! --এটা একটা তুলনা মাত্র, অসম তুলনা যদিও। আর কিছু মাথাতে এলো না!
    Tuesdayat13:36·Like
    AbulKhayerSuddhaSatya@ "মার্ক্সবাদ ছেড়ে দিলেও তার অনেক আগেও এমন মানুষ ছিলেন যাঁরা ধর্মের নামে শাসনতন্ত্রের খেলাটা কিছু বুঝতেন। যেমন চার্বাকরা।"- সঠিক স্থানটিতে হাত দিয়েছেন। চার্বাকদের সবচেয়ে মহিমান্বিত দিক ছিল তাঁরা সমাজে প্রতিষ্ঠিত কোনো প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি এবং তা থেকে কোনোপ্রকার দান-অনুদান-খয়রাত গ্রহণ করে নি। ভিক্ষা বৃত্তিকে তারা ঘৃণা করতো। আর সেসব গ্রহণ না করে সমাজের নিম্ন থেকে উচ্চস্তর পর্যন্ত কাউকে জ্ঞানদান করা থেকে তাদেরকে কেউ-ই বিরত রাখতে পারে নি। চার্বাকরা তো কারো কাছ থেকে কোনোরূপ বিনিময় নিতেন না। সামর্থ্যানুপাতে যে যা দিতো তাই তারা খুশী মনে গ্রহণ করতেন। ফলে চার্বাকদেরকে কারো কাছে মাথা নোয়াতে হয় নি। ধর্মীয় পুরোহিত তন্ত্র থেকে, রাষ্ট্রীয় শাসনযন্ত্রের চালকের আসনে আসীন কারো কাছেই না। এই ধারাবাহিকতা উত্তরকালে নবদ্বীপের দার্শনিক নৈয়ায়িকদের আরাধ্য ছিল। যেমন, বাসুদেব সার্বভৌম, রামনাথ তর্কালঙ্কার তথা বুনো রামনাথ এবং আরও অনেকেই। প্রাচীণ গ্রীসে সফিস্টদের মধ্যেও এবংবিধ চর্চা বিদ্যমান ছিল। চার্বাকরাই প্রথম প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে সর্বসাধারণ্যে দেখিয়ে দেয় ধর্মের অন্তসারশুণ্যতাটি। যে কারণে রাষ্ট্রের শাসক শ্রেণীর হাত থেকে তারা নিস্তার পায় নি। চার্বাকদের সম্প্রদায় হিসেবে যেমন অবলুপ্তি ঘটেছিল এমনকি তাদের বিভিন্ন বচন-প্রবচন, প্যতীজ্ঞা, প্রত্যয়, স্বত:সিদ্ধ প্রত্যদি উচ্চারণ নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। উত্তরকালে ইতিহাস ঘেটে তাদের সম্পর্কে খুউব কমই জানা যায়। কারণ সবকিছু ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। ভারতবর্ষের ইতিহাসে দার্শনিক সম্প্রদায় হিসেবে চার্বাকরা হচ্ছে প্রথম শহীদ।
    Tuesdayat13:36·Like·1
    AbulKhayer এখানে জামাত এবং বিজেপিকে এক করে দেখা হচ্ছে। এটি মোটেই সঠিক নয়।
    Tuesdayat13:37·Like·1
    SuddhaSatya‎AbulKhayer, একটু বুঝিয়ে বলুন। জামাত এবং বিজেপি একাসনে বসবে না কেন?
    Tuesdayat14:02·Unlike·1
    AbulKhayer জামাতেরটা বলছি। জামাতের মৌল রাজনৈতিক দর্শন হচ্ছে, দলটি আল্লাহর আইন এবং কোরান নির্দেশিত জীবন ব্যবস্থা সমাজে প্রতিষ্ঠিত করতে যাবতীয় কর্মসূচী প্রণয়ন করেছে। রাজনৈতিক দর্শনগত দিকবিচারে জামাত রাষ্ট্রের সংবিধানকেও মানতে রাজী নয়। দলটির নেতৃবৃন্দ এবং গঠনতন্ত্রই বলে যে "আল্লাহর আইন চাই।" সুতরাং এসব দিকবিচারে জামাত কেবল সাম্প্রদায়িক দল নয়, এটি একটি মোল্লাতান্ত্রিক মৌলবাদী দল। পক্ষান্তরে ভারতীয় জনতা পার্টি সম্পর্কে আমি যতটুকু জানি (জানার সীমাবদ্ধতাসহ বলছি) দলটি ভারতীয় সংবিধানকে প্রাধান্য দিয়েই কর্মসূচী প্রণয়ন করে, সংবিধানের স্থলে দলটি কোনোপ্রকার ঐশী কেতাবকে প্রতিস্থাপিত করে না। এ হিসেব থেকেই "জামাত এবং বিজেপি একাসনে বসবে না" মনে করি। বরং বিজেপি'র বিষয়ে আপনি আরও ভালো বলতে পারবেন। জানার আগ্রহ প্রকাশ করছি। SuddhaSatya
    Tuesdayat14:15·Like
    AbulKhayer‎SushantaKar@ দাদা, "সেখানে যদি চিনে -ইরানে সন্ধি হতে পারে! তবে বিপ্লবীদের মার্ক্সবাদীদের মধ্যে নয়ই কেন?" চীন-ইরান সন্ধির প্রেক্ষাপটটা কী? আর আমাদের উপমহাদেশের প্রেক্ষাপট কী এক হলো? খোদ মার্কিন মুল্লুকে ১৮৬০-এর দশকে রেড ইন্ডিয়ানদের হত্যাযজ্ঞ সংঘটনাকালে পাদ্রীরা শিশুহত্যাকে জায়েজ করতো এই বলে যে, "নিক থেকেই তো বড়ো উকুন জন্মায়! সুতরাং নিকগুলোকে আগে খুন করতে হবে।" গোটা উত্তর এবং দক্ষিণ আমেরিকায় ইউরোপীয়ান কলোনাইজেশনের যে রূপ আমরা প্রত্যক্ষ করি তার তুল্য নৃশংসতা মনুষ্য সভ্যতার ইতিহাসে অদৃষ্টপূর্ব। সুতরাং, দক্ষিণ আমেরিকায় চার্চের ভূমিকায় গদগদ হয়ে তাদের কর্মকাণ্ডের সাধারণীকৃত সূত্রায়নে প্রবৃত্ত হয়ে যদি সেই বাস্তবতাকে বাদ দিয়ে কেবল সূত্রটি হুবহু পণ্যাকারে উপমহাদেশের বাজারে আমদানী করি তবে সেই পণ্যটি বাজারে বিক্রয়যোগ্য হবে না এবং তা থেকে আখের কোনো বিনিময় মূল্যও উশুল করা সম্ভবপর হবে না আদৌ। অতএব, স্বদেশীয় বাস্তবতার প্রতি পৃষ্ঠ প্রদর্শন নয় বরং স্বদেশের ইতিহাস বিশ্লেষণে গভীরতর দৃষ্টি নিক্ষেপে তার স্বরূপ নির্ণয়ে রত হলে নি:সন্দেহে উৎপাদিত পণ্যটি বাজার মূল্য লাভে সমর্থ হবে এবং জনমনে আদৃত হয়ে সামাজিক বিপ্লব তথা আমূল পরিবর্তনে গণজাগরণে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারবে তার ঐতিহাসিক-অনিবার্যতায়। আর ভূমিজ সন্তান হিসেবে সেটিই আমাদের পরমারাধ্য কর্তব্যকর্ম হওয়া আবশ্যক।
    Tuesdayat14:42·Like
    SushantaKar দেখুনতো বিলেতি প্রধানমন্ত্রী এবং তাঁর রাষ্ট্রকে ধর্মের থেকে আলাদা করা যায় কি? "“WeareaChristiancountryandweshouldnotbeafraidtosayso,”hetoldtheaudienceatChristChurch.“Letmebeclear:Iamnotinanywaysayingthattohaveanotherfaith - ornofaith - issomehowwrong.

    ”Iknowandfullyrespectthatmanypeopleinthiscountrydonothaveareligion”.

    “AndIamalsoincrediblyproudthatBritainishometomanydifferentfaithcommunities, whodosomuchtomakeourcountrystronger.

    ”ButwhatIamsayingisthattheBiblehashelpedtogiveBritainasetofvaluesandmoralswhichmakeBritainwhatitistoday.“http://en.mercopress.com/2011/12/17/cameron-uk-is-a-christian-country-and-we-should-not-be-afraid-to-say-so
    Cameron:UKisaChristiancountryand“weshouldnotbeafraidtosayso”
    en.mercopress.com
    PrimeMinisterDavidCameronsaidtheUKisaChristiancountry“andweshouldnotbeafraidtosayso”.
    Tuesdayat14:44·Like·
    SushantaKar"সেখানে যদি চিনে -ইরানে সন্ধি হতে পারে! তবে বিপ্লবীদের মার্ক্সবাদীদের মধ্যে নয়ই কেন?" চীন-ইরান সন্ধির প্রেক্ষাপটটা কী? আর আমাদের উপমহাদেশের প্রেক্ষাপট কী এক হলো?" প্রথমেই স্পষ্ট করা ভালো যে লিঙ্কতা তুলেছি তা উপমহাদেশ নয়, সাধারণভাবে মার্ক্সবাদীদের এক সাধারণ পথনির্ধেশ সংক্রান্ত।অ। আর চিনে-ইরানে অতিসাম্প্রতিক দ্রোণ মিশাইল মামলাতে স্থিতিটা গোটা বিশ্ব জানে। এই নিয়ে আমি তর্কতা ঘুরেয়ে দিতে চাই না। মিশর তিউনেশিয়া বিপ্লবেও মার্ক্সবাদীদের সালাফি এবং মুসলিম ব্রাদারহূডের সঙ্গে হাত মিলিএয়েই লড়তে হয়েছে । এমন কি গেল নভেম্বরের বিদ্রোহেও কট্টর সালাফিদের সঙ্গে নিয়েই লড়ছে মার্ক্সবাদীরা। যদিও জানেন যে সালাফিদের তুলনাতে মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের ঘনিষ্ট হতে পারে। এমন কি গেলবারে তো সেই সেনার একাংশের সঙ্গেও জোট বাঁধতে হয়েছে যাদের বিরুদ্ধে নভেম্বরে আবার পথেই নামতে হয়েছে। ধর্মকে যেখানে শাসকদের সমস্ত দলই ব্যবহার করে , সেখানে 'ধর্ম সহ এবং ধর্ম সম্পর্ক রহিত' দলগুলোকে আলাদা করবার বাস্তব রাজনৈতিক দরকার সবসময় হয় না। বরং তা শাসকদের একাংশকে দেগে দেবার বদলে আরেকদলকে 'ক্লিনচিট' দেবার মতো ব্যাপার হয়েই যায়। বড়জোর মাত্রাভেদ করা যেতে পারে। কংগ্রেস এবং বিজেপি , বাংলাদেশে লীগ এবং জামাতকে এক ব্‌র্‌যাকেটে কেনই বা ফেলা যাবে না? সবইতো সাম্রায্যবাদের সেবাদাস। এবং সংখ্যাগুরুর 'ভাষা-ধর্মীয়' জাতীয়তাবাদ করে। এটা যারা না বোঝেন তাঁরাই দিগ্ববিজয় সিঙ্ঘের মতো রাজনীতি করেন। ইনি যেমন আজকাল উঠে পড়ে লেগেছেন আন্নার আর এস এসের সংযোগ বের করতে। যেন তারা নিজেরা ধুয়া তুলসি পাতা। আরে বাবা, পুরো ইন্দিরা জমানা এবং রাজীব জমানাতে আর এস এস কংগ্রেসের সহযোগী ছিল। আর এস এসের সমর্থণ না নিয়ে ইন্দিরা অপারেশন ব্লু স্টার করেন নি। এখনো যেখানেই কংগ্রেসের হিন্দু প্রার্থীকে জিতিয়ে বিরোধী মুসলমান প্রার্থীকে হারাতে হয় আর এস এস কংগ্রেসের ভোট ক্যাচার হয়ে কাজ করে! এমন কি, আমার স্মৃ যদি খুব ভুল না হয় অসমে এরা একবার সিপিএম দলের হয়েও কাজ করেছিল, কংগ্রেসের মুসলমান প্রার্থীকে হারাবার জন্যে। আর AbulKhayerদাদা, বিজেপির এজেন্ডা এই :DeclareIndiaHindunation:VHPtellsgovt: http://articles.timesofindia.indiatimes.com/2003-03-04/india/27286182_1_hindu-rashtra-hindu-rashtra-ram-temple ২) আর সরাসরি বিজেপির সম্পর্কে এখানে পাবেন। হিন্দুত্ব স্মপ্ররকে এতো কিছু জানেন, আর এদের সম্পর্কে এতো কম জানা কি আর ভালো? আপনার ভালো লাগবে, দেখুন: http://www.bjp.org/index.php?option=com_content&view=article&id=133&Itemid=500
    DeclareIndiaHindunation:VHPtellsgovt
    articles.timesofindia.indiatimes.com
    NEWDELHI:DeclaringthatitwasonthepathofconfrontationwiththeVajpayee...Seemore
    Tuesdayat15:12·Like·1·
    SomnathRoy আচ্ছা, আমাকে এই প্রশ্নটা ভীষণ ভাবায়- এত বৈষম্য এমন কী অস্পৃশ্যতা প্রায় এক হাজার বছর ধরে থাকলেও ভারতবর্ষে সেই মাপের কোনও রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ হয় নি কেন?
    নাকি অস্পৃশ্যরাও গ্রসলি তাদের সামাজিক-অর্থনৈতিক অবস্থান নিইয়ে অখুশি ছিলেন না?
    Tuesdayat15:19·Unlike·2
    SuddhaSatya বিজেপি সংবিধান মেনে চলে বলে আজকে যা বলছে তা গতকাল তাদের পূর্বজরা বলতো না। মানে হিন্দু মহাসভা ইত্যাদিরা। আর যা বলছে তা বুলি মাত্র। কাল ক্ষমতায় পরিপূর্ণভাবে এলে সবই পারে করতে। নরেন্দ্র মোদীকে দেখে বোঝা যায়। আর এস এস -এর সেই মুখ এরা যেটা বাজারে চলবে বলে ছাড়া। কাজেই হিন্দুত্বের যে চেহারা তারা বানিয়েছে সেটাকে সংবিধান সংশোধন করে হোক কি উড়িয়ে দিয়েই হোক আনতে চাইবে। জামাতের থেকে কোনো অংশে কম নয় এরা।
    Tuesdayat15:35·Unlike·1
    SuddhaSatya এখানে ক্যামেরুনের কথা কেন? না মার্ক্সিষ্ট না কিছু, ও কি বললো তার সঙ্গে এ বিতর্কের কি সম্পর্ক?
    আর এদেশের রাজনৈতিক দলেদের মধ্যে মার্ক্সিস্ট নাম দিয়ে যারা বাজারে চলে তারা এককালে হিন্দুমহাসভার সঙ্গে, পরে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে, মেলায় এখনো। কাজেই সুশান্তবাবু, এঁরা নি:সন্দেহেই বুদ্ধিমান মার্ক্সিস্ট। :)
    Tuesdayat15:38·Like
    SuddhaSatya চীন না বিপ্লবী না ইরান। তা তাদের সন্ধি নিয়ে কেন মাথা ঘামাবে মার্ক্সিস্টরা?
    Tuesdayat15:39·Like
    SuddhaSatya টুকরো টুকরো কিছু বললাম। পড়ছি। পরে আবার।
    Tuesdayat15:39·Like
    AbulKhayer আপনার প্রশ্নটি খুউবই গুরুত্বপূর্ণ। যারা ব্রাহ্মণ্যবাদ-ব্রাহ্মণ্যবাদ, বর্ণবৈষম্য বলে বলে গলা ফাটায় তাদের মস্তিষ্কে আছে কেবলি কারো না কারো আরোপিত, কল্পিত ধারণা। ভারতবর্ষের ইতিহাস লিখিত হয়েছে মূলত বহিরাগতদের দ্বারা। ভূমিজ সন্তানদের হাতে আদৃত হওয়ার পূর্বেই এর গাড় মারা সারা। প্রথমে বারোটা বাজিয়েছে মুসলিম ইতিহাসবিদগণ। তারা কেবল স্ব-জাতির রাজন্যবর্গের বিবরণ লিপিবদ্ধ করেছে। তারপর করেছে ব্রিটিশরা। এরপর পুরোটা ঘুলিয়ে দিয়ে তথাকথিত "আর্য তঙ্কÄ"-এর আফিম মিশ্রিত এক আজিব সুরাবান তহুরা বানিয়ে তা পান করিয়েছে জার্মানরা। ব্যাস আর লাগে কী? এমনিতেই আমরা হচ্ছি "পরশ্রীকাতর" জাত। বাপরে ইতিহাস বই খুললে দেখা মিলবে শথ শত কোটেশন। ওমুক মার্কিন লেখক ভারতের এ সম্পর্কে এই বলেছেন; তমুক জর্মন পণ্ডিত তা বলেছেন; আর ব্রিটিশদের কোনো মন্তব্য পেলে তো কথাই নেই, আমাদের পণ্ডিতগণ খুশীতে আটখানা হয়ে গদগদ। সুতরাং দেখবেন, ভারতবর্ষের ইতিহাস বিষয়ে ইউরো-মার্কিনীদের শত-সহস্র মত। অথচ ওদের নিজদের ইতিহাস বিষয়ে ওদের একটাই মত। আর আমাদের নিজদের কোনো মত নেই। কেবল আছে কুতর্ক আর প্যাঁচাল। দেউলিয়া আর কাকে বলে?! বঙ্কিম কী সাধ করে বলেছিলেন, "বাঙালীর ইতিহাস নাই।"
    Tuesdayat15:42·Like·1
    SuddhaSatya‎SomnathRoy, কেমন রক্তক্ষয়ী? কম হয়নি কিন্তু।
    Tuesdayat15:42·Like
    SomnathRoy দাস বিদ্রোহের মতন? এমনিতে রক্তক্ষয়ী বিদ্রোহ কি কি হয়েছে জানতে আগ্রহী।
    Tuesdayat16:03·Like
    SomnathRoy আর, ধর্ম ও রাজনীতির আলোচনার প্রেক্ষিতে গান্ধী খুব ইম্পর্ট্যান্ট মনে হয়।
    Tuesdayat16:16·Like·1
    AbulKhayer যতদূর জানি রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল বা সেরূপ কৃষক বিদ্রোহ অর্থাৎ ভূমিদাসদের বিদ্রোহে পাল্টা রাষ্ট্র গঠিত হয়ে প্রায় বছরাধিকাল (সম্ভবত) স্থায়ী হয়েছিল কৈবর্ত বিদ্রোহে। এটি সংঘটিত হয়েছিল পাল আমলে, ধর্মপালের সময়ে বরেন্দ্র অঞ্চলে। কৈবর্ত বিদ্রোহের মহানায়ক ছিলেন দিব্যোক। এদের নিজস্ব দুর্গ এবং বাহিনী ছিল। এরকম ব্যাপকতর রাজনৈতিক বিদ্রোহের ঘটনা খুউব কমই আছে। বৃহ্‌ৎবঙ্গে এটিই সবর্ববৃহ্‌ৎ রাজনৈতিক বিদ্রোহ।

    আর ভারতবর্ষের দাসব্যবস্থা কোন সুদূরাতীত কালে চালু হয়েছিল তার কোনো নিকেশ নেই! আধুনিক কালে এতদসংক্রান্ত নিকেশ না থাকবার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন অঞ্চলগুলোর অধিকাংশই পড়েছে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তানে। আর পাকিস্তানে প্রত্নতাঙ্কিÄক গবেষণা তো দূরে থাক, ওখানে ইসলামের ইতিহাস ছাড়া ইতিহাস পাঠ-ই নিষিদ্ধ! তবে মধ্যপ্রদেশে বিশেষ করে ভিমবেটকা নামক স্থানে (ভূপালের ৪৫ কিমি দক্ষিণে) শিকারী মানুষের যে গুহাচিত্র পাওয়া গেছে তাতে পণ্ডিতগণ অভিমত দিচ্ছেন এটি খ্রীস্টপূর্ব ৮,০০০ অব্দের। আর অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপের মধ্যদিয়ে পরিকল্পিত নগরায়ণের শুরুর কাল আনুমানিক ৫,০০০ খ্রীস্টপূর্ব অব্দ। বেলুচিস্থানের কোয়েটা শহরের থেকে ১৫০ কিমি দূরে অবস্থিত মেহেরগড় নামক নগরীটি থেকে প্রাপ্ত মৃৎপাত্র ও কৃষি নির্ভর হাল-হাতিয়ার পরীক্ষা করে পণ্ডিতগণ বলছেন, এ নগরীটিতে সরল নয় জটিল অর্থনীতি বিকশিত হয়েছিল। এবং এর কালপর্ব খ্যীস্টপূর্ব ৫,১০০ অব্দ। এই যে সরল নয় জটিল অর্থনীতির বিকাশের কথা বলা হচ্ছে, এবংবিধ ধারণা অর্থশাস্ত্র বা রাজনীতির ছাত্রের জন্য সাংঘাতিক তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সরল থেকে জটিল অর্থনীতিতে রূপান্তরের ক্ষেত্রে সমাজে ঘটে গুণগত পরিবর্তন। অর্থাৎ সরল অর্থনীতিতে বাজারের দেখা মেলে না; অর্থনীতি বিকশিত হয় সুনির্দিষ্ট ব্যক্তির চাহিদানুপাত। অপরদিকে জটিল অর্থনীতিতে চাহিদা নয় উৎপাদন হয় অনির্দিষ্ট ভোক্তার উদ্দেশে তথা স্থানীয় অথবা দূরবর্তী বাজারের উদ্দেশে। সুতরাং, ভারতবর্ষের ইতিহাসের নিবিড় গবেষণার ভিত্তিতে প্রথম প্রয়োজন হচ্ছে একটি তুলনামূলক সঠিক কালানুক্রমিক কালপঞ্জি। তারপর যুগভাগ, এবং সমাজভাগ। এখন কোন কালপর্বটি যে ভারতীয় দাসতান্ত্রিক, কোনটি যে ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক তা হ-য-ব-র-ল হয়ে আছে।
    Tuesdayat21:06·Like·2
    SushantaKarSuddhaSatyaদাদা, এখানে ক্যামেরুণ প্রসঙ্গ একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক ভাবে আসেনি। আপনি হয়, মুল পোষ্ট মন দিয়ে দেখেনি, বা আমার শুরুর মন্তব্যগুলো। ধর্মনিয়ে কেবল বিজেপি-বা জামাত কারবার করে--এই তত্বেরইতো আমি বিরোধীতা করছি। যেমন করছেন এই লেখাটির লেখক। ধর্ম শাসক বা শাসিত দুই পক্ষেই রাজনীতির প্রকাশ হিসেবে থেকেছে চিরদিন। থাকেনি ভাবাটাইতো গণ্ডগোল, এতে কাউকে কাউকে ক্লিনচিটো দেয়া হয় অহেতুক। তাতেই আপনার মনে হয়েছে ভারতের বামেরা যদি বিজেপির সঙ্গে কখনো আঁতার করেছে তবে মহা অন্যায় করেছে, কেননা এরা ধর্মের কথা বলে। ফ্যাসিবাদ কি আর কেবল বিজেপির হাত ধরেই আসে? কংগ্রেসের হাতে ৭৫এ দেশ দেখেছে ফ্যাসিবাদ। আশির দশকের পুরোটাই হিন্দুত্বের দৌড়ে কংগ্রেস বিজেপি পাশাপাশি হেঁটেছে। ক্যামেরুণ নিয়ে এলাম, কেননা ঐ বিলেতের নজির টেনে কেউ কেউ এই দাবী দীর্ঘদিন ধরে করে এসছিলেন যে জাতিরাষ্ট্র ধর্ম সম্পর্ক রহিত হয়। হয় না যে তাঁর প্রমাণ ক্যামেরুণের সাম্প্রতিক প্রস। জাতি রাষ্ট্রের আমাদের কাছের 'গর্বে'র বস্তু বাংলাদেশ। আর সেই বাংলাদেশের প্রধান দল লীগকে 'ধর্ম নিরপেক্ষতা'র প্রতীক বলে ভারতেও ভাবা হয়। AliAshrafদার অন্য এক সুতোর পোষ্ট থেকে পেলাম এই কথাগুলো:আল্লাহ আকবার
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে যে, নিউবর্ণিত ৫টি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে আসন্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশ গ্রহণ করবে এবং মহান আল্লাহ তা’আলা বিজয় দান করলে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়ন করবে।

    . পবিত্র কুরআন সুন্নাহ ও শরীয়ত বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করা হবে না।
    . কওমী মাদরাসা সনদের সরকারী স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
    . নিউবর্ণিত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে:
    . হযরত মুহাম্মদ (স:) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
    . সনদ প্রাপ্ত হক্কানী আলেমগণ ফতওয়ার অধিকার সংরণ করেন। সনদবিহীন কোন ব্যক্তি ফতওয়া প্রদান করতে পারবেন না।
    . নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ও কুৎসা রটনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে
    মো: আব্দুল জলিল ২৩/১২/০৬
    সাধারণ সম্পাদক

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে
    আব্দুর রব ইউসুফী ২৩/১২/০৬
    মহাসচিব''---
    Yesterdayat14:04·Like
    SushantaKar তাই যদি সত্য হয়, তবে মার্ক্সবাদীরাও লড়াইর ময়দানে যদি মনেই করেন যে 'ধর্মীয় দলে'র সঙ্গে আঁতাত করবেন, করতেই পারেন, স্রেফ এর জন্যে যে ধর্মীয় দল বা গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বললেন বলে কেউ সাম্প্রদায়িক হয়ে যান না, মার্ক্সবাদকে বিষর্জন দেবার কথাতো উঠেই না। যারা সেরকম অভিযোগ আনেন, তাঁরা হয় মার্ক্সবাদ বোঝেন না, অথবা ময়দানের দরকারটা বোঝেন না। এই প্রসঙ্গে আবারও 'চার্বাক'দের কথা আমার পাড়তে ইচ্ছে হচ্ছে। চার্বাকদের সম্পর্কে আমার পড়া কম, দেবীপ্রসাদতো পড়িই নি। কিন্তু অন্যের মুখে ঝাল খেয়ে আমার যা মনে হয়েছে, এবং এদের সম্পর্কে আপনাদের উপরের মন্তব্য পড়েও উত্তরাধুনিক, বা নারীবাদীদের মতো কিছু বলে মনে হয়। অর্থাৎ এরা ক্ষমতার কেন্দ্রের বিরোধীতা করে গেছেন, কিন্তু বিকল্প প্রতিষ্ঠান দিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করবার এদের কোনো পরিকল্পনাই ছিল না। তাই যদি হয়, তবে সভ্যতার তাতে লাভটা কি? আমার রাজশেখর বসুর ওদের সম্পর্কে কিছু কথা পড়া ছিল দশক দেড় আগেই। তাতে ভারতীয় ষড়দর্শনের সবচে' দুর্বল শাখা বলেই আমার এদের মনে হয়। তারা বুঝি বলতেন যা দেখিনা তা বিশ্বাস করিনা। এমন দর্শন নিয়ে ভূত বিশ্বাস করাও খুব একটা কঠিন নয় কিন্তু। আমার মনে হয়, ভারতে বাব বাংলাদেশে মার্ক্সবাদকে বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত একতা ক্ষমতা কেন্দ্রবিরোধী দর্শন হিসেবেই দেখেন। তাই এর সঙ্গে যেও না, ওর সঙে যাও --ইত্যাদি শলাপরামর্শ নিয়ে ভাবতে ভালো বাসেন। সত্য ঘটনা হলো, মার্ক্সবাদের প্রতি সমস্ত শ্রদ্ধা নিয়েও বলছি, আর 'সমাজ বদলের' ধারণার প্রতি সমস্ত আস্থা নিয়েও, মার্ক্সবাদীদের কাজটাও বাঘের পিঠে চড়াই বটে। মাঝে মধ্যে, আমার কি মনে হয় কি জানেনতো, ইশ্বর বিশ্বাসসীদের একটা ব্যাপার খুবই ভালো, অন্তত তারা মানূষের ক্ষমতার সিমাবদ্ধতার কথাটা মনে রাখেন। মানূষ যাতে নিজেকে দেবতা না ঘোষণা না করে মুহম্মদতো এর জন্যেই নিরাকার এক আল্লাহের কথাই বলতেন, এবং নিজের ছবিটাও মানা করে রেখেছিলেন। নাস্তিকেদের নিয়ে বিপদটা হলো, যে তারা ভুলে যান, মানুষ স্বপ্ন দেখতে পারে, তাকে সফলও করতে পারে, কিন্তু ঈশ্বরের চেয়েও বেশি ক্ষমতা হাতে নিয়ে তার মাথার উপর আছে 'সমাজ'নামের একটি বস্তু আর তার প্রাকৃতিক নিয়ম। স্বর্গে যাবার স্বপ্ন বুকে নিয়ে যারা যাত্রা শুরু করল তারা নরকে গিয়েও পৌঁছুতেই পারে। তাই বলে 'চার্বাক' বা উত্তরাধুনিকদের পথ নেবার কোনো মানেই হয় না।
    Yesterdayat14:04·Like
    SushantaKar‎AbulKhayerদাদা, আপনাকে অনুরোধ পাকিস্তানের নাম নেবার সময় অহেতুক 'বর্বর' ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করবেন না। এটা মনে রাখলে ভাল লাগবে, আপনার সঙ্গে ভাষার ঐক্য ছাড়া আর যেটুকু আছে তা কিন্তু আমাদের একজন নেপালি বা পাকিস্তানীদের সম্পর্কে থাকতে কোনো বাধা নেই। আপনি এখানে ভারতীয়দের সঙ্গেও কথা বলছেন। যদি ধরেও নিই, মুসলমান মাত্রেই বর্বর এবং পরধর্ম বিদ্বেষি, তবে তার সঙ্গে আপনার এই পরদেশ বিদ্বেষ কোন পর্যায়ে ফেলা যাবে? ভারতীয়দের এক বিশাল অংশ যদি বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বে আগ্রহী তবে তা পাকিস্তানের সঙ্গেও। আপনার ব্যক্তিগত পছন্দ না পছন্দে কিচ্ছু যায় আসেনা। আর এমনিতেও আপনার নিজের দেশ পাকিস্তানের সঙ্গে সমস্ত রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কে চ্ছেদ করে রাখেনি। সার্কেও আছে আছে ওপেকেও। আর যেখানে সবার মাথার উপর রয়েছে আমেরিকা, সেখানে এত পাকিস্তান বিদ্বেষ আসলে দৃষ্টি ঘুরিয়ে নেবার পথই বটে। কোনো বিবেকবান, এই সর্বত্র এইসব বিশেষণ পছন্দ করবে না। আমিট নাই, তা আপনি যতই তথ্যের ভাঁড়ারে ভরে দিন। তথ্য আর যুক্তিরো আগে রয়েছে বিশ্বাস।অযে বিশ্বাস মানুষের বিশ্ববীক্ষা তৈরি করে দেয়। নিছক নাস্তিকেরা ঈশ্বরের সঙ্গে সেই বিশ্বাসকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয়। সম্ভবত এটি, এক ইউরোপীয় দিক্ষা। অথচ, আপনিও একটা বিশ্বাস থেকেই আপনার তথ্য সমূদ্র জোগাড় করেন। চাইকি সেগুলো যদি মহা মিত্থ্যাও হয়। কারণ মানুষ তাই করে। এটা মানুষের প্রাকৃতিক চরিত্র। পাকিস্তান ইকবালের দেশ, ফয়েজ আহমেদ ফইয়েজের দেশ, গুলাম আলিরও দেশ। সুতরাং কথা বলবার সময় খানিক শ্রদ্ধা রেখে কথা বললে ভালো লাগবে।
    Yesterdayat14:22·Like
    SuddhaSatya অনেকদিন পরে লিখলেন। আজকে সময় নেই হাতে। তাই আজ বেশী কিছু নয়। শুধু দু একটা কথা। এক, ক্যামেরুন মার্ক্সবাদ এবং ধর্মের প্রশ্নে আমার একটু অবাক লেগেছে । কথা হচ্ছে মার্ক্সবাদ নিয়ে, সেখানে জাতিরাষ্ট্র কেন? আর তা হলে সেটা আপনি বলে দিলে আমার বললে সুবিধা হত কি প্রসঙ্গে বলছেন। দুই, ধর্মের ব্যবহার শাসকরা করে এবং শাসিতরা করে না এমন সরল কথা কোথায় বলেছি বলুন তো? তিন, বামেরা বিজেপির সঙ্গে আঁতাত করলে ফ্যাসিবাদ আসে এমন কথা আমি বলিনি। এও বলিনি ফ্যাসিবাদ শুধু ধর্মনির্ভররাই আনে। ফ্যাসিবাদ কম্যুনিষ্টরাও(?) আনতে পারে সুশান্তবাবু। এনেওছে। আমার কথা ছিল ক্ষমতার খেলা নিয়ে। যে কোনো মূল্যেই ক্ষমতায় যাওয়া যদি লক্ষ হয় তাহলে আর মাওবাদীদের নিয়ে সমস্যা কোথায়? চার, চার্বাকরা কি বলছেন তার জন্য রাজশেখরের সূত্রও কিন্তু মাধবাচার্য্যরাই। সেই মাধবাচার্য্য যিনি ঋণং কৃঙ্কÄ¡ ঘৃতং পিবেৎ জাতীয় সরলীকরণ পূর্বপক্ষের মুখে চার্বাকীয় কথা বলে বসিয়ে তাদের মুন্ডপাত করেছিলেন। আর সবচেয়ে দুর্বল হলে তাদের সব নামচিহ্নও মুছে দিতে সব আমলের শাসকেরা এত সক্রিয় কেন হলেন সুশান্তবাবু?
    খুব সুবিধা হয় আপনি যদি নিজে কিছু লেখেন এই বিষয়ে। তাহলে বিষদ আলোচনায় যাওয়া যাবে। খুব ভাল আজ হবে সেটা। সত্যিই মাঝেসাঝে এই লিঙ্কার ঘাঁটতে ইচ্ছে করে না। এত অন্যের কথা। এর সব অংশের সঙ্গে আপনি সহমত নাও হতে পারেন। আপনার কথাটা পেলে আড্ডা জমাই। শেষত বলি, ধর্ম আর ঈশ্বর এ দুটিকে এই আলোচনায় আলাদা করার জন্যই প্রথম পোস্টটা করেছিলাম। সেটাই নজরে এলো না ঠিক করে। সেখান থেকে ধর্মের কান্ড ও তার সঙ্গে বাকীদের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলা যেতে পারতো। ঈশ্বর এসে দাঁড়ালে মার্ক্সবাদীদের মতই বিশ্বাসীর প্রশ্ন চলে আসে। যাই হোক, আপনি লিখুন, আমি পড়ে চলেছি। সুযোগ বুঝে আবার আড্ডা দেব।
    Yesterdayat14:28·Unlike·1
    SushantaKarSuddhaSatyaদাদা, ভালো লাগলো। ভালো বলেছেন। আসলে হয় এই, কথার খেই হারানো একটা কথা আছে। এটা হয়ে যায়। মানে, হতেই থাকে। আরেকদিন তাই চেতনা প্রবাহ নিয়ে কথা তুলছিলাম। তাই হয়তো আপনিও রিলেট করতে পারছেন না, আর আমিও তাই। এবারে, আমি যেখান থেকে আলোচনাটা টেনেছিলাম সেখানে আমার মনে হয়েছে ক্যামেরুণ বা জাতিরাষ্টের প্রশ্নগুলো প্রাসঙ্গিক। কেননা, সেখান থেকেই এই কথাগুলো আসে রাজনীতি থেকে ধর্মকে আলাদা করবার কথা, আর ধর্মকেন্দ্রিক এবং ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলোকেও আলাদা করবার কথা। ঈশ্বরের কথাগুলো বাদ দেয়াও যায়, আবার যায় না। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, যারা ব্যবহার করছেন ধর্মকে তাঁরা নিজেতো বিশ্বাস করেন না ঈশ্বরে কিন্তু মানুষের বিশ্বাসকে কাজে লাগান, বা সম্মান দিতে গিয়ে তা করতে হয়। এই যেমন আপনি অনেক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গিয়ে আপনাকে নাচাইলেও শুনতে হবে শুরুতেই সরস্বতী বন্দনা। এরকম অনেকটা। ধর্মের দর্শন এবং আচারের দিক আছে। কিন্তু আরেকটা দিক আছে, সেটি তার সাংস্কৃতিক দিক যেটি সম্প্রদায় পরিচয় তৈরি করে। রাজনীতিতে এটি খুব জরুরি বিষয়। সমাজেও। এমনো দেখা যাবে একজন রাজনৈতিক ধর্মনিয়ে মাথা ঘামান না, কিন্তু মুসলমান জেনেই একজন নাস্তিক ভালো মানূষকে নিজের রান্নাঘরে আপ্যায়ন করবেন না। আবার আরেকজন ঘোর সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করেন, কিন্তু ইফতারেও যান, বিজইয়াতেও সদাহাস্যমুখ। তার মানে দুই ক্ষেত্রেই কিন্তু সাম্প্রদায়িক পরিচয়টা গুরুত্ব পেল।
    Yesterdayat17:04·Like
    SushantaKar সামাজিক এই পরিচয়টাকে ভাবা হয়ে থাকে উপরিকাঠামোর বিষয়। কিন্ত সেই ভাবনাগুলো কখন বিকশিত হচ্ছে? উনিশ শতকের বিলেতে। যখন সেখানেও প্রায় বিশুদ্ধ এক স্বেতাঙ্গ সমাজে আর্থিক শ্রেণি বিভাজনের ধারণা স্পষ্ট হচ্ছে। কিন্তু উপনিবেশগুলো থেকে যখন লোক সেখানে যাচ্ছে, মূলত কায়িক শ্রমের সন্ধানে দরকারকি পড়েনি সেই স্পষ্ট শ্রেনীবিভাজনটাকে গুলিয়ে দেবার? এবং উপনিবেশের শ্রমিকেরা যে আর সেই সব প্রভু দেশগুলোর শ্রমিকদের সঙ্গে এক নয় এওতো আজ বহুদিন হলো স্পষ্ট। এবারে, এই দুদল শ্রমিককে আলাদা করে একদলকে নিজের পক্ষে টেনে রাখার জন্যেই কি ক্যামেরুণের এমন ভাষ্যের দরকার পড়েনি? পড়েইছে যদি তবে কি যাদের বিরুদ্ধে এই সব আওয়াজ তোলা হচ্ছে তাদের শ্রমের অধিকারএর সঙ্গেই কি এটাও জরুরি হয়ে যায় না যে ধর্মীয় সম্মানের জন্যেও লড়বে? এই সমস্যা শুধু মুসলমানদের মধ্যেই হচ্ছে তাই নয়, নিগ্রোদের এটা ছিল দীর্ঘ দিনের সমস্যা, এটা এখনো আছে, আছে ইহুদীদের, আছে মেস্কিকোর যারা অনুপ্রবেশ করছেন আমেরিকাতে তাদের। অর্থাৎ যেখানে যেমন পারছেন, পরিচিতিগুলোর বিরুদ্ধে ঘোঁট পাকাচ্ছে সাম্রায্যবাদ। তাতে ওদের ভোটের হিসেবতো অবশ্যই আছে। এওতো এক পুঁজিবাদের ফাঁকি। সংখ্যাগরিষ্ঠের মন পেলেই হলো। তাহলে কি সমস্যাটা কাঠামোতে নেমে এলো না? ভারতীয় উপমহাদেশে এই পরিচিতির সমস্যা অনেক জটিল। যেমন জটিল কঙ্গোর মতো আফ্রিকী দেশগুলোতে। সেখানে স্রেফ আর্থিক শ্রেণির কথা বলা নিতান্ত রসিকতা। শ্রেণিতো অবশ্যই, কিন্তু তার সঙ্গে বিচিত্র সব সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে এই সব পরিচিতির সমস্যা। তার সঙ্গে ধর্মও একটা। আর তাই, ধর্মীয় সংগঠনের সঙ্গে বিপ্লবীদের জোট বাধাকে নিয়ে এই প্রশ্ন কিন্তু তোলা যাবে না, "যে কোনো মূল্যেই ক্ষমতায় যাওয়া যদি লক্ষ হয় তাহলে আর মাওবাদীদের নিয়ে সমস্যা কোথায়? " মাওবাদীদের নিয়ে সমস্যা হলো ওদের ক্ষমতা দখলের কোনো স্বপ্ন আদৌ আছে কিনা। আর থাকলেও সেটি সিপিএমের মতো পার্টির ক্ষমতা না প্রলেতারিয়েতের? এই সব প্রশ্নও এসেই যাবে, কিন্তু ধরে নেয়া যাক, যে এগুলো সব ঠিক আছে নইলে কথা এগুবে না। প্রলেতারিয়েত তাদের সঙ্গে আছেই বা কৈ? আছেন, আদিবাসি। বেশ! সবচে নিপীড়িত শ্রেণি এবং একটি পরিচিতিও? এই সত্য তবে স্বীকার করে বাকি ভারতীয়দের মধ্যেও কথাটা নিয়ে এগোয় না কেন? আর আদিবাসি লাগবে, কিন্তু এরাই কি রাখেন ভারত জোড়া বিপ্লবে নেতৃত্ব দেবার ক্ষমতা? আদিবাসিদের মধ্যে সবচে' অগ্রণী অংশটিতো রয়েছেন উত্তর বাংলা আর অসমের চায়ের বাগানে, সেখানে মাওবাদীরা দাঁর ফোটাচ্ছে না। ওদের নিয়ে সমস্যাতো সেখানে, ওরা বন্দুক হাতে নেন এটা কোনো সমস্যাই নয়। তো ওরা কী বলছেন সেটি বললেই হলো না তো। কী শুনছি, বা কী দেখছি সেটিই তো আর সব সত্য নয়। চার্বাক দর্শন যদি এর চে'বেশি কিছু বলে আমি জানতে আগ্রহী থাকব। আসলে এই নিয়ে আমার পড়বার আগ্রহ দীর্ঘদিনের, একেবারে পড়িনি তা নয়, কিন্ত্রু সত্যিও বলতে কি পড়েই ফেলতে হবে সেরকম জোরালো আগ্রহ পাইনি। তবে পড়তে যে হবে এ নিয়ে সন্দেহ নেই। চার্বাকেরা ইশ্বর মানতেন না, এটা আমার কাছে আকর্ষণের বিষয় নয়। এমন নিরিশ্বরবাদী ভারতের প্রায় সব দর্শন ছিল। কথা হলো, ওদের কনো সদর্থক পরিকল্পনা ছিল কিনা। সবই নেতি? না নেতির নেতিও ছিল কিছু?
    Yesterdayat17:04·Like
    AbulKhayerSushantaKar দাদা, "আপনাকে অনুরোধ পাকিস্তানের নাম নেবার সময় অহেতুক 'বর্বর' ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করবেন না।"- অনুরোধ করেছেন, "অহেতুক 'বর্বর' ইত্যাদি বিশেষণ ব্যবহার করবেন না।" "অহেতুক" ব্যবহার করি নি, কিছু না কিছু হেতু ছিল বিধায় করেছি। আর বিশ্বে কোনো রাষ্ট্র যদি বর্বর কাণ্ড করে থাকে, তবে তা বলা যাবে না কেন? ২য় বিশ্বযুদ্ধে জাপান, জার্মান, ইতালি এসব রাষ্ট্রশক্তিগুলো বহুবিধ বর্বর কর্ম করেছে। প্রাসঙ্গিকতায় সেসব আলোচনায় বর্বর রাষ্ট্র বলা যাবে না কেন?
    আর একটি কথা, "যদি ধরেও নিই, মুসলমান মাত্রেই বর্বর এবং পরধর্ম বিদ্বেষি, তবে তার সঙ্গে আপনার এই পরদেশ বিদ্বেষ কোন পর্যায়ে ফেলা যাবে? ভারতীয়দের এক বিশাল অংশ যদি বাংলাদেশের সঙ্গেও বন্ধুত্বে আগ্রহী তবে তা পাকিস্তানের সঙ্গেও।" "মুসলমান মাত্রেই বর্বর এবং পরধর্ম বিদ্বেষি" এসব কথা বলিনি, অযথা আরোপ করছেন কেন? "আপনার এই পরদেশ বিদ্বেষ", কোনোরকম পরদেশ বিদ্বেষ নেই। যা আছে সেটি স্পষ্ট, জলব্‌ৎ তরলঙ! পাকিস্তান নামে কোনো জাতিগোষ্ঠী ইতিহাসে কখনো ছিল না। ফলে পাকিস্তান কোনো জাতির নাম নয়, কোনো ভাষা বা সংস্কৃতির নাম নয়; পাকিস্তান হচ্ছে একটি রাষ্ট্রের নাম। যে রাষ্ট্রটি গঠিত হয়েছিল ধর্মভিত্তিক জাতীয়তাবাদের মোড়কে। রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষক পণ্ডিতগণ পাকিস্তান রাষ্ট্রটির বিগত অর্ধশত বছরের বিকাশ ধারা পর্যালোচনা করে নানাবিধ বিশেষণে ভূষিত করেছেন। এখন প্রাসঙ্গিকতায় যদি সেরকম কিছু কেউ ব্যবহার করে তবে সমস্যা কোথায়? পাকিস্তানের দুর্ভাগ্য যে কার্যকলাপের ইতিহাসে রাষ্ট্রটি রেখেছে তাতে বিশেষণ ভূষণ হয় নি, হয়েছে কালিমাযুক্ত কলঙ্কতিলক! তাতে আমার/আপনার কী করার আছে? পরিশেষে, একটি দেশ কার সাথে বন্ধুত্বে আগ্রহী বা অনাগ্রহী তা কি এখান থেকে নির্ধারিত হচ্ছে? এতোটা ব্যক্তিগত পর্যায়ে নামিয়ে আলোচনা করা কতোটা যুক্তিযুক্ত? আমি নৈব্যক্তিক আলোচনায় আগ্রহী। "সমাজ" "রাষ্ট্র" "অর্থনীতি" "ইতিহাস" কারো ব্যক্তিগত বিষয় নয়; বরং অসংখ্য ব্যক্তিক কার্যকলাপের সামষ্টিক আচরণ, যা প্রকাশিত হয় নৈর্ব্যক্তিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যদিয়ে। তেমন বিষয়ের আলোচনায় নৈর্ব্যক্তিক থাকাটাই জরুরী। আলোচনা নিছক ব্যক্তিক পর্যায়ে গড়ালে গলাবাজি তা থেকে শেষাবধি গালাগালিতে পর্যবসিত হয়। তার প্রমাণ এখানেই আছে। আপনাকেও সনির্বন্ধ অনুরোধ, সুনির্দিষ্ট যে পোস্টটির যে কথাটি আপনার কাছে বিতর্কিত মনে হবে, দ করে যদি সেটুকু উদ্ধৃত করে লিখেন তবে আমারও বুঝতে সহায়ক হবে। অশেষ ধন্যবাদ।
    Yesterdayat19:44·Like
    SushantaKar"ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন অঞ্চলগুলোর অধিকাংশই পড়েছে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তানে।" এবং যে মানুষগুলো ওখানে থাকেন তারা সেই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যেরই উত্তরাধিকার বহন করেন। "তেমন বিষয়ের আলোচনায় নৈর্ব্যক্তিক থাকাটাই জরুরী। আলোচনা নিছক ব্যক্তিক পর্যায়ে গড়ালে গলাবাজি তা থেকে শেষাবধি গালাগালিতে পর্যবসিত হয়।" তাইতো বলছি, আপনার না পছন্দটা অন্যের উপর চাপাবেন না, আর গালিগালাজে আপনি কম সিদ্ধহস্ত নন। "আর ভারতবর্ষের দাসব্যবস্থা কোন সুদূরাতীত কালে চালু হয়েছিল তার কোনো নিকেশ নেই! আধুনিক কালে এতদসংক্রান্ত নিকেশ না থাকবার অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে, ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন অঞ্চলগুলোর অধিকাংশই পড়েছে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তানে।" এটা দেখায় আপনি বাকি ভারতের কথাটা একেবারেই হিসেবে রাখছেন না যেভারতে প্রায় ষাট হাজার বছর আগেই অষ্ট্রিকরা পা রেখে পশ্চিম থেকে পূব হয়ে পূব এশিয়া অব্দি ছড়িয়ে গেছে। আপনি কোথাও ,'বর্বর' পাকিস্তানে আটকে আছেন। ভারত এবং পাকিস্তান ( এবং বাংলাদেশেও) রাষ্ট্রের ইতিহাস চর্চার বিরুদ্ধেও যে এক প্রবল প্রতিবাদী সংগ্রামী ইতিহাস চর্চার ধারা ছে সেই সত্য ভুলে গেলে চলবে কেন? এই দেখুন:http://razarumi.com/2010/11/20/myths-fables-and-lies-the-murder-of-history-in-pakistan/ আর হরপ্পা নিয়ে সত্য অনুসন্ধান আটকে আছে কিনা এখানে দেখা যেতে পারে:http://www.facebook.com/pages/Harappacom/24752074845 ২)http://www.harappa.com/seal/seal0.html আপনি ইতিহাস পড়বার পশ্চিমী চোখের বিরোধীতা করছেন, আর লিখছেন, "সুতরাং, ভারতবর্ষের ইতিহাসের নিবিড় গবেষণার ভিত্তিতে প্রথম প্রয়োজন হচ্ছে একটি তুলনামূলক সঠিক কালানুক্রমিক কালপঞ্জি। তারপর যুগভাগ, এবং সমাজভাগ। এখন কোন কালপর্বটি যে ভারতীয় দাসতান্ত্রিক, কোনটি যে ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক তা হ-য-ব-র-ল হয়ে আছে।" আমার স্রেফ রবীন্দ্রনাথের 'ভারত বর্ষের ইতিহাস' প্রবন্ধের শুরুর কথাগুলো মনে পড়ছে। ধানের খেতে বেগুন খুজিতে গিয়া না পাইয়া, ধানকে শস্য বলেই গন্য করে না। আমার সুজিত চৌধুরীর প্রাচীন শ্রীহট্ট কাছাড়ের ইতিহাস পড়া আছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে শাহজালাল এসে অব্দি সিলেট কাছাড়ে সামন্তবাদী সমাজ গড়বার সেই কাজগুলৈ করছেন যেকাজগুলো তাঁর পূর্বসুরি বামুনেরা করছিলেন হাজার বছর আগে কামরূপ আমলে। আর দাসের কথা জিজ্ঞেস করছেন? আমাদের পূর্বোত্তরেতো আঠাড়ো শতকেও বাজারে দাস কেনাবেচা হতো, যখন মোঘলেরা প্রায় পুঁজিবাদের সীমান্তে গিয়ে পৌঁছুছিল। তা ভারতের ইতিহাস হজবরলই বটে। তাতে আপনার যতি লজ্জা হোক, ভারতীয়দের গৌরব করবারই কথা, আমিতো গৌরবান্বিত। কেননা এই হজবরল ইতিহাস নিয়ে আমাদের গৌরব করবার দীক্ষা দিয়ে গেছেন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ। এমনকি যে বর্ণবাদ নিয়ে কথা হচ্ছিল, একেও সেই চতুর্বণের বিভাজনে দেখাই আমাদের অভ্যেস । নাগাদের বিদ্রোহটাও যে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ--এভাবে আজো কেউ ভাবতেই পারেন না। এমনকি আপনাদের বাংলাদেশেও যে আদিবাসিদের লড়াই সেটিকেও বর্ণবাদ বিরোধী লড়াই থেকে কী ভাবে আলাদা করা যাবে? কিন্তু গোটা ভারতের শূদ্র এক হয়ে লড়বে কী করে? অসম বিকাশতো এই দেশে আজকের বিষয় নয়, আর শূদ্রও ত কম বিভাজিত নয়। ডোম এই দেশে চাড়ালের ছোঁয়া খায় না পারলে। কৈবর্ত পাটনিকে মেয়ে বিয়ে দেয় না। এর নাম ব্রাহ্মণ্যবাদ! 'ব্রাহ্মণ্যবাদ' বললেই কিছু বামুন এবং বামুন প্রেমিক মুসলমান চটে যান, ভাবেন ঐ বুঝি বামুনকে গালি দেয়া হলো। ইতিহাস সত্যি লেখা হচ্ছে, বিশেষ করে কোশাম্বী থেকে শুরু করে রমিলা থাপারদের যদি বাদা দিই, আজকের সাবাল্টার্নদের কাজকে অবহেলা করব কী করে? কিন্তু কথা হলো লিখলেই কি আর সেদিকে সবাই চোখ দিচ্ছে? ঘৃণাগুলো কাকে কোন দিকে তাকাতে বাধ্য করছে সে দেখতে হবে না?
    Myths, fablesandlies:ThemurderofhistoryinPakistan - AllMyPostsHistoryOnPakistanPakist
    razarumi.com
    Myths, fablesandlies:ThemurderofhistoryinPakistan - .AllMyPostsHist...Seemore
    23hoursago·Like·
    AbulKhayer"এবং যে মানুষগুলো ওখানে থাকেন তারা সেই সুপ্রাচীন ঐতিহ্যেরই উত্তরাধিকার বহন করেন।"- যে মানুষগুলো ওখানে থাকেন তারা আর রাষ্ট্র কী এক হলো? আমার ঐ একই মন্তব্যের ঘরে লেখা আছে, যে রাষ্ট্রে ইসলামের ইতিহাস পাঠ ব্যতীত সাধারণ ইতিহাস নিষিদ্ধ সেই রাষ্ট্রটিকে বর্বর বলা হচ্ছে, জনসাধারণকে নয়! "তাইতো বলছি, আপনার না পছন্দটা অন্যের উপর চাপাবেন না, আর গালিগালাজে আপনি কম সিদ্ধহস্ত নন।"- আমার "না পছন্দটা" কারোর উপরই চাপাই নি। কেবল নিজ অভিমতটি ব্যক্ত করেছি মাত্র। আর "গালিগালাজে আপনি কম সিদ্ধহস্ত নন" প্রথমে গালিগালাজ, ব্যক্তি আক্রমণ হজম করতে হয়েছে, পরে সহ্যের সীমা অতিক্রম করেছে।

    কোশাম্বী এবং অন্যান্যরাই তো ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চায় বহিরগতদের পদচিহ্ন আবিষ্কারেই কেবল রত থেকেছেন। পশ্চিমী চোখের বিরোধীতা করে, পশ্চিমী মত ব্যক্ত করি নি। বলেছি যে, "সুতরাং, ভারতবর্ষের ইতিহাসের নিবিড় গবেষণার ভিত্তিতে প্রথম প্রয়োজন হচ্ছে একটি তুলনামূলক সঠিক কালানুক্রমিক কালপঞ্জি। তারপর যুগভাগ, এবং সমাজভাগ। এখন কোন কালপর্বটি যে ভারতীয় দাসতান্ত্রিক, কোনটি যে ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক তা হ-য-ব-র-ল হয়ে আছে।" এই মন্তব্যটি পর্যবেক্ষণলব্ধ। কোনো সিদ্ধান্ত নয়। যদি হ-য-ব-র-ল না থেকে থাকে তো ভাল। বুঝতে হবে আমার পর্যবেক্ষণে ত্রুটি রয়েছে, ত্রুটির টুঁটি টিপে ধরুন, সংশোধন করে নেবো।

    "সেখানে দেখা যাচ্ছে শাহজালাল এসে অব্দি সিলেট কাছাড়ে সামন্তবাদী সমাজ গড়বার সেই কাজগুলৈ করছেন যেকাজগুলো তাঁর পূর্বসুরি বামুনেরা করছিলেন হাজার বছর আগে কামরূপ আমলে।"- শাহজালালের আগমন কাল অব্দি সাবেক শ্রীহট্টে কীরূপ সমাজ ব্যবস্থা প্রচলিত ছিল? আর শাহজালালের আগমনের পর থেকে সেখানে কী পরিবর্তন সূচীত হয়েছিল? দাস ব্যবসার সূচনা ভারতবর্ষে শুরুর আনুমানিক কাল কবে? এসব প্রশ্ন থাকলো। আরও একটা প্রশ্ন, "সিন্ধুকী" কী? শব্দটি ইতিহাসে পাচ্ছি কিন্তু অভিধানে পাচ্ছি না। আপনার সাহায্য চাই।
    21hoursago·Like
    AbulKhayer ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন অংশগুলো কেবল পাকিস্তানে পড়েছে এমনটা নয়, মধ্য প্রদেশের ভূপালেন দৃষ্টান্তের কথা উল্লেখ করেছি, এরকম আরও বহু দৃষ্টান্ত আছে। আরো কথা বলবার ছিল, তবুও আপনার মনোভঙ্গীতে বিরত থেকে কবিগুরুর সারা জীবনের সারনির্যাস তাঁর অশীতিবর্ষপূর্তি উৎসবের অভিভাষণ "সভ্যতার সংকট" থেকে দুটো কথা নিবেদন করছি, ..."এই বিদেশীয় সভ্যতা, যদি একে সভ্যতা বল, আমাদের কী অপহরণ করেছে তা জানি; সে তার পরিবর্তে দণ্ড হাতে স্থাপন করেছে যাকে নাম দিয়েছে LawandOrder, বিধি এবং ব্যবস্থা, যা সম্পূর্ণ বাইরের জিনিষ, যা দারোয়ানি মাত্র।" তাহলে ভিতরের তথা অন্তরের মহার্ঘ্য জিনিষটি কী? একই অভিভাষণের অন্যত্র তিনি বলছেন, "'সিভিলাইজেশন' যাকে আমরা সভ্যতা নাম দিয়ে তর্জমা করেছি, তার যথার্থ প্রতিশব্দ আমাদের ভাষায় পাওয়া সহজ নয়। এই সভ্যতার যে রূপ আমাদের দেশে প্রচলিত ছিল মনু তাকে বলছেন সদাচার। অর্থাৎ তা কতকগুলি সামাজিক নিয়মের বন্ধন। এই বন্ধনগুলি সম্বন্ধে প্রাচীনকালে যে ধারণা ছিল সেও একটি সংকীর্ণ ভুগোলখণ্ডের মধ্যে বদ্ধ। সরস্বতী ও দৃশদবতী নদীর মধ্যবর্তী যে দেশ ব্রহ্মাবর্ত নামে বিখ্যাত ছিল সেই দেশে যে আচার পারম্পর্যক্রমে চলে এসেছে তাকেই বলে সদাচার। অর্থাৎ এই আচারের ভিত্তি প্রথার উপরে প্রতিষ্ঠিত, তার মধ্যে যত নিষ্ঠুরতা, যত অবিচারই থাক। ...আমি যখন জীবন আরম্ভ করেছিলুম তখন এই বাহ্য আচারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ দেশের শিক্ষিত মনে পরিব্যাপ্ত হয়েছিল। ...আমি সেই ভাবের মধ্যে জন্মগ্রহণ করেছিলুম এবং সেই সঙ্গে আমাদের সাহিত্যানুরাগ ইংরেজকে উচ্চাসনে বসিয়েছিল।" কবিগুরু তাঁর জীবনের শুরুতে যে সভ্যতাকে হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করে যে অবস্থানে ছিলেন, জীবন সায়াহ্নে পৌঁছে তিনি এক নিদারুণ সত্যকে স্বীকার করে তাকেই বলছেন, "...সম্পূর্ণ বাইরের জিনিষ, যা দারোয়ানি মাত্র।" সুতরাং, উদ্ধৃতি দীর্ঘায়িত না করে কবিগুরুর বক্তব্যে যারা বহিরাগত শাসক তারা এখানে "দারোয়ানি" চালিয়েছেন, আর যারা ভূমিজ সন্তান তারা "সদাচার" প্রতিষ্ঠা করেছেন এরকম সারসংকলন করলে তা ইতিহাসের নিরিখে অযৌক্তিক হবে না আদৌ। আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ, ভাই SushantaKar
    21hoursago·Like·1
    SushantaKar"ভারতবর্ষের সুপ্রাচীন অঞ্চলগুলোর অধিকাংশই পড়েছে বর্বর রাষ্ট্র পাকিস্তানে।"-'বর্বর' আওয়ামী লিগ ( কেননা, একসময় এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ছিল দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করবার অভিযোগ, এবং নিয়ত মানুষ খুনের অভিযোগ) সমর্থক 'অসভ্য'( কেননা, আপনি প্রায়ই মিথ্যে তথ্য যোগান, যেমন সেদিন নাৎসী জমানার ছবি তুলে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জমানার , এবং শফিক রহমানের সঙ্গে আপনিও যৌন গন্ধী গালাগালগুলো ব্যবহার করেছিলেন) AbulKhayer দাদা, উপরে উধৃত বাকে , যেকোনো বুদ্ধিমান 'রাষ্ট্র' শব্দটির অর্থ করবে দেশ। যেখানে মানুষ থাকেন। আর যদি রাষ্ট্রের কথাই আসে, তবে ইতিহাসকে দমন করা, নিজের মতো গড়ে নেয়ার বেলা 'ভারত-বাংলাদেশ-বিলেত আমেরিকা' সব রাষ্ট্রই সমান 'বর্বর' তাই আলাদা করে 'পাকিস্তান'কে বর্বর বললে কেউ শুনব কেন। এ স্রেফ আরেক ইতিহাস দমন করবার প্রস মাত্র। আরেকটা কথা, বলি আমি 'জ্ঞানের প্রতিযোগিতা'তে নামি না, কেন না তার দরকার নেই। এ কাজ জ্ঞানপাপীদের। আমার সংগ্রহে এক গাদা ইতিহাস বই আছে, যার ছবিসহ আপনাকে প্রমাণ দিতে পারি, আর ইচ্ছে মতো খুলে উদ্ধৃতি ব্যবহার করতে পারি। এবং প্রমাণ করতে পারি আপনি প্রচুর তথ্যের গুলতানি মারেন। যার মাটিতে নৈরাশক্ত চোখ আছে তার এই জ্ঞানপ্রতিযোগিতাতে কাজ কী? 'চোখ'টাই কি গুরুত্বপূর্ণ নয়? আপনাকে ইচ্ছে করলেই, চ্যালেঞ্জ করতে পারি, আপনি প্রমাণ করুন, "কোশাম্বী এবং অন্যান্যরাই তো ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চায় বহিরগতদের পদচিহ্ন আবিষ্কারেই কেবল রত থেকেছেন।" কোশাম্বী এবং অনেকের গ্রন্থই আমার কাছে আছে। ইচ্ছেমতো কোট করতে পারি। যাকে আধুনিক ভারতীয় ইতিহাসের জনক ভাবা হয়। খুবতো বলছিলেন ভারত ইতিহাসকে একরেখাতে বাঁধতে হবে, এই দেখুন উনি কী লিখছেন,""THElight-heartedsneer“Indiahashadsomeepisodes, butnohistory“isusedtojustifylackofstudy, grasp, intelligenceonthepartofforeignwritersaboutIndia’spast.Theconsiderationsthatfollowwillprovethatitispreciselytheepisodes—listsofdynastiesandkings, talesofwarandbattlespicedwithanecdote, whichfillschooltexts—thataremissingfromIndianrecords.Here, forthefirsttime, wehavetoreconstructahistorywithoutepisodes, whichmeansthatitcannotbethesametypeofhistoryasintheEuropeantradition." এটার দরকার ছিল না। আপনার স্কুলপাঠ্য ইতিহাসতত্বের জ্ঞান গৌরবকে একটু ধাক্কা দেবার জন্যে দিলামা। আপনার চোখতো কেবল বামুনদের লেখা ইতিহাসে লটকে আছে, কেন চট্টগ্রামের বোম-রা ভারত ইতিহাসের কোন কালানিক্রমিক পর্যায়ে আছে? দাস, সামন্ত, না পুঁজিবাদে? "দাসতান্ত্রিক, কোনটি যে ভারতীয় সামন্ততান্ত্রিক "-কে বললে আপনাকে যে ভারতীয় সমাজে এই 'বেগুন'গুলোখোঁজে পেতেই হবে? অরুণাচলের কিছু জনগোষ্ঠীর কথা আমি জানি, আপনি তাদের ভারতীয় না মনে করতে পারেন, আমি করি। ওদের কথা মনে রখে লিখছি, নিন ভারত এখনো প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকে বেশি এগোয় নি। এবারে উল্টোটা প্রমাণ করুন। সবচে' মুস্কিল হলো, আপনার এই জ্ঞানমার্গীয় 'ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা'র ফলে আমাদের মূল বিষয়ে আপনি অন্তর্ঘাত করছেন। বিষয়টি ছিল 'ধর্ম এবং রাজনীতি'নিয়ে। আমার ভালো লাগবে, আপনি যদি অতিবিনয় বা ঔদ্ধত্যের কোনো অভিনয় না করেই SuddhaSatyaদার শৈলী অনুসরণ করেন।
    9hoursago·Like
    AbulKhayerSushantaKar দাদা,- "সবচে' মুস্কিল হলো, আপনার এই জ্ঞানমার্গীয় 'ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা'র ফলে আমাদের মূল বিষয়ে আপনি অন্তর্ঘাত করছেন। বিষয়টি ছিল 'ধর্ম এবং রাজনীতি'নিয়ে।"- "'ধর্ম এবং রাজনীতি'নিয়ে" যা আলোচিত হয়েছে আমি কেবল কিছু তথ্য দিয়েছি, ত্‌ৎসঙ্গে নিজ মন্তব্য। আর আপনি তার মধ্যে খুঁজে পেলেন, "জ্ঞানমার্গীয় 'ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা'"!? তা সত্যি যদি ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা করে থাকি তবে তা নি:সন্দেহে নিন্দনীয়। আর একটি গুরুতর অভিযোগ করেছেন, "এবং প্রমাণ করতে পারি আপনি প্রচুর তথ্যের গুলতানি মারেন।" প্রমাণ করুন যে আমি কোথায় কোথায় "প্রচুর তথ্যের গুলতানি" মেরেছি। যতক্ষণ প্রমাণ করতে না পারছেন ততক্ষণ আপনার এবংবিধ অভিযোগ সত্য নয়। এরপর এক এক করে বলছি।
    . "'বর্বর' আওয়ামী লিগ ( কেননা, একসময় এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ছিল দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করবার অভিযোগ, এবং নিয়ত মানুষ খুনের অভিযোগ)"- উদ্ভবকাল থেকেই আওয়ামী লীগ একটি নিয়মাতান্ত্রিক গণতান্ত্রিক দল। ১৯৪৭ সনে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে ১৯৭১-এর ২৫শে মার্চ আক্রান্ত হবার আগ পর্যন্ত এ দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচীতে সশস্ত্রপন্থা বা অনিয়মাতান্ত্রিকতার কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয় না। সর্বব্যাপী গণহত্যা চাপিয়ে দেবার ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে দেষ স্বাধীন করতে দলটিকে প্রতিবেশী দেশের সহযোগিতায় সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করতে হয়েছিল। দেশ স্বাধীনের পরপর মুজিব সরকারকে অস্থিতিশীল করতে প্রথমে জাসদ, পরে সবগুলো নকশাল এবং আন্ডারগ্রাউন্ড কমিউনিস্ট পার্টিগুলো সশস্ত্রপন্থায় নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালায় এবং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শিবিরকে আশ্রয়-প্রশ্রয় মদদ দেয়। এসব ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপের বিরুদ্ধে মুজিব সরকারের গৃহীত পদক্ষেপগুলোকেই উত্তরকালে এসব অরাজক দঙ্গলগুলো আপনার কথিত ""'বর্বর' আওয়ামী লিগ ( কেননা, একসময় এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ছিল দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করবার অভিযোগ, এবং নিয়ত মানুষ খুনের অভিযোগ)" এমনতরো অতিরঞ্জিত অভিযোগে অভিযুক্ত করে থাকে। একটি নিয়মাতান্ত্রিক-গণতান্ত্রিক দলকে "বর্বর" বলে এবং সরকার বিরোধী বানোয়াট অভিযোগগুলোতে আপনিও সায় দিচ্ছেন দেখে অবাক হচ্ছি!
    ২ "'অসভ্য'( কেননা, আপনি প্রায়ই মিথ্যে তথ্য যোগান, যেমন সেদিন নাৎসী জমানার ছবি তুলে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জমানার , এবং শফিক রহমানের সঙ্গে আপনিও যৌন গন্ধী গালাগালগুলো ব্যবহার করেছিলেন)"- দেখুন মহাশয়, ১৪ই ডিসেম্বর থেকে ১৯৭১-এ প্রকাশিত বিদেশী পত্র-পত্রিকার অনূদিত কিছু লেখা ধারবাহিকভাবে পোস্ট দেই। প্রতিটি লেখা পোস্ট দেবার সাথে সাথে সেগুলোকে বিকৃত করে, উল্টো করে সাজিয়ে জনৈক রহমান এবং আবেদীন সমানে মিথ্যাচার চালিয়ে যেতে থাকে এবং আমার উদ্দেশে যথেচ্ছ ব্যক্তিগত আক্রমণ গালাগালি বর্ষণ করে। আপনি ডকে ও পোস্টে থাকা পুরোনো লেখাগুলো খুললে তা দেখতে পাবেন। হয়তো সেগুলো আপনার নজর এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে। নিকৃষ্ট গালিগালাজ শুধু নয় এতোসব মিথ্যাচার এবং কুৎসিত-কদর্য ভাষার বিপরীতে সকলের নীরবতা ভাঙতে উপায়ান্তর না দেখে আমিও "সেদিন নাৎসী জমানার ছবি তুলে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জমানার ," এ অপকম্মটি করেছিলাম। এবং আপনি নিজেও ওদের গালাগালের লটবহর দেখে আমার সাহসের প্রশংসা করে দুটো বাক্য ব্যয় করেছিলেন। আশ্চর্য হয়ে যা দেখলাম সেটি নেহায়েৎ মন্দ নয়!!! এ ব্যাপারে পরবর্তীতে আমি নিজের অবস্থান স্বচ্ছ করেছি। তবে, আপনার এ অভিযোগটি সত্য নয় যে, "শফিক রহমানের সঙ্গে আপনিও যৌন গন্ধী গালাগালগুলো ব্যবহার করেছিলেন।" গালাগাল এবং মিথ্যাচারে আমি ওদের তুলনায় দুগ্‌ধপোষ্য তার প্রমাণ আমি নিজে রেখেছি!
    6hoursago·Like
    AbulKhayer ৩ "সব রাষ্ট্রই সমান 'বর্বর' তাই আলাদা করে 'পাকিস্তান'কে বর্বর বললে কেউ শুনব কেন।"- আমার কথায় যদি আপনি এমন একটি মন্তব্য ছুঁড়ে দেন, তবে আপনি নিজেই নিজকে প্রশ্নবিদ্ধ করুন যে কী বলছেন? কথাটি বলেছিলাম সুনির্দিষ্ট প্রাসঙ্গিকতায়, আর তা হচ্ছে, ইসলামের ইতিহাস ছাড়া যে রাষ্ট্রে জেনারেল হিস্ট্রি পড়ানো হয় না, শুধু তাই নয় পড়ানো নিষিদ্ধ, সেই রাষ্ট্রটি অবশ্যই "বর্বর"। কিন্তু 'ভারত-বাংলাদেশ-বিলেত আমেরিকা' এসব রাষ্ট্রকে 'বর্বর' বলা চলে না একারণে যে, এসব রাষ্ট্রে ইতিহাস পাঠে এবং গবেষণায় কোনোরূপ নিষেধাজ্ঞা তো নেই, বরং উৎসাহিত করা হয়।
    . "আপনাকে ইচ্ছে করলেই, চ্যালেঞ্জ করতে পারি, আপনি প্রমাণ করুন, "কোশাম্বী এবং অন্যান্যরাই তো ভারতবর্ষের ইতিহাস চর্চায় বহিরগতদের পদচিহ্ন আবিষ্কারেই কেবল রত থেকেছেন।"- এ নিয়ে কাজ করছি। নিছক প্রমাণের জন্য প্রমাণ দেবো না। বরং সত্য উদঘাটনের জন্যই তা করতে হবে। আমার মতো নগণ্য, ননায়াকাডেমিক একজনকে আপনি চ্যালেঞ্জ করতেই পারেন; কিন্তু আপনার মতো খ্যাতিমানের "চ্যালেঞ্জ" গ্রহণের ধৃষ্টতা আমার নেই, অকপটে তা স্বীকার করছি।
    . "কোশাম্বী এবং অনেকের গ্রন্থই আমার কাছে আছে। ইচ্ছেমতো কোট করতে পারি। যাকে আধুনিক ভারতীয় ইতিহাসের জনক ভাবা হয়। খুবতো বলছিলেন ভারত ইতিহাসকে একরেখাতে বাঁধতে হবে, এই দেখুন উনি কী লিখছেন,"- দামোদর ধর্মানন্দ কোসাম্বী নি:সন্দেহে অগ্রগণ্য নমস্য ইতিহাসবিদ। তার গ্রন্থসমূহ সর্বভারতীয় উপমহাদেশের সকলের গৃহেই শোভিত থাক, পঠিত হোক এ অভিপ্রায় আমারও। আর আপনার কাছে তার গ্রন্থ থাকবে এটা তো স্বাভাবিক; বরং না থাকাটাই অস্বাভাবিক! কোসাম্বীর উদ্ধৃতি সম্পর্কিত আলোচনা অন্যত্র হব
    . "আপনার স্কুলপাঠ্য ইতিহাসতত্বের জ্ঞান গৌরবকে একটু ধাক্কা দেবার জন্যে দিলামা।"- সঠিকভাবেই বলেছেন যে, "স্কুলপাঠ্য ইতিহাসতত্বের জ্ঞান গৌরবকে"; আমারো মনে হয় আদতেই আমি অদ্যাবধি বিদ্যালয়ের চৌকাঠ মাড়াতে পারি নি। প্রাসঙ্গিকতায় বলছি, আমাদের জন্য রবীন্দ্রনাথ নিষিদ্ধ ছিল। আমরা তাঁকে অর্জন করেছিলাম। আর সেজন্য আমার পূর্বপুরুষদের সংগ্রাম করতে হয়েছিল, রক্ত ঝরাতে হয়েছিল। ফলে কবিগুরুর জীবনাদর্শই আমাদের আদর্শ। কবিগুরুর জীবনাদর্শ মেনে চলতেন বঙ্গবন্ধু নিজেও। যে জন্য জাতীয় সঙ্গীতটি ওনার প্রস্তাবক্রমে হয়েছিল। তাই বলছি, "বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র", এমনকি আপনারও!
    6hoursago·Like
    AbulKhayer. "অরুণাচলের কিছু জনগোষ্ঠীর কথা আমি জানি, আপনি তাদের ভারতীয় না মনে করতে পারেন, আমি করি। ওদের কথা মনে রখে লিখছি, নিন ভারত এখনো প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকে বেশি এগোয় নি। এবারে উল্টোটা প্রমাণ করুন। সবচে' মুস্কিল হলো, আপনার এই জ্ঞানমার্গীয় 'ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা'র ফলে আমাদের মূল বিষয়ে আপনি অন্তর্ঘাত করছেন।"- এই যে কথাটি বললেন, "আপনি তাদের ভারতীয় না মনে করতে পারেন", আমি কী কোথাও বলেছি যে, "অরুণাচলের কিছু জনগোষ্ঠীর" ভারতীয় নয়!!! আপনার অভিসন্ধির সততা সম্পর্কে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন? নিজ স্বকল্পিত ধারণা কেন অন্যের উপর চাপাচ্ছেন? আর "ওদের কথা মনে রখে লিখছি, নিন ভারত এখনো প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকে বেশি এগোয় নি। এবারে উল্টোটা প্রমাণ করুন।"- যাদের কথা মনে করে লিখেছেন যে, তারা অর্থাৎ "অরুণাচলের কিছু জনগোষ্ঠীর কথা" "নিন ভারত এখনো প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকে বেশি এগোয় নি।" এখান থেকে ইতিহাস বিশ্লেষণে আপনার দৃষ্টভিঙ্গীর "জ্ঞানমার্গীয় 'ঔদ্ধত্য আর অসভ্যতা'র" অসার নিদর্শন পাওয়া যায়। ভারতবর্ষের ইতিহাসে অরুনাচলের অধিবাসীগণ মূলধারা তথা মেইনস্ট্রীম নয় যে, তাদের জীবনযাত্রার সাপেক্ষে এই গুরুভার সিদ্ধান্ত খাড়া করতে হবে, "ভারত এখনো প্রত্ন-প্রস্তর যুগ থেকে বেশি এগোয় নি।" ন্যায় তথা তর্কশাস্ত্রে এবংবিধ প্রক্রিয়ায় যেকোনো প্রকার সাধারণীকরণকে বলা হয় বিশেষ "ভট্টাচার্যিক ঢং", আধুনিক কালে বলা হয়ে থাকে "অধ্যাপকীয় ঢং।"
    . "সবচে' মুস্কিল হলো,"- কোনো মুশকিল নেই, উল্টো সিধা প্রমাণের প্রয়োজনও নেই; কেবল "আপনারে আপনে চিনিলে"...!
    . "আমার ভালো লাগবে, আপনি যদি অতিবিনয় বা ঔদ্ধত্যের কোনো অভিনয় না করেই SuddhaSatyaদার শৈলী অনুসরণ করেন।" এসব বিষয়ের আলোচনায়, "অতিবিনয় বা ঔদ্ধত্যের কোনো অভিনয়"-এর প্রয়োজনই পড়ে না। যে কারো শৈলী মনোপুত হলে তা অতি অবশ্যই অনুসরণীয়। আপনার "ভালো লাগবে" এমন কিছু করতে পারলে নিজকে ধ্যন জ্ঞান করবো।
    পরিশেষে আপনার মন্তব্যে আমার সমালোচনার জন্য অশেষ ধন্যবাদ।
    6hoursago·Like
    SushantaKarAbulKhayerদাদা, আপনার সঙ্গে তর্কের সমস্যা হলো, সেটি ইচ্ছে করলে অনন্তকাল চালানো যায় যদি কারো বুকের পাটা থাকে । মানে সব্বাইকে ন্যায়, ইতিহাস, দর্শন, বিজ্ঞানে পারঙ্গম হয়ে এক্কেবারে আটঁঘাট বেধে ময়দানে নামতে হবে, যদি যে জ্ঞান যুদ্ধে বিজইয়ী হতে চায়। খুব জরুরী নয় যে বিপক্ষ খুব পণ্ডিত হবে। তবে কিনা তিনি যখন যে দিকে খুশি তথ্যের বর্ষণ ঘটানে পারেন, এবং এক্তা ভাব্যাচাকা লাগিয়ে দিতে পারেন। তার জন্যে। তা ভাই, আমি গড় করি, আমার সে যোগ্যতা নেই। দরকারো নেই, একে আপনি 'অধ্যাপকীয়' ঢং বলুন আর যাই। আমার ন্যায় শাস্ত্র মানবার কোনো দায় নেই, আমি জানি না। বেশ? আমি শুধু জানি আমার জ্ঞাম্মার্গীয় প্রতিযোগিতার বিলাশ নেই। আগের পোষ্টে এতোগুলো বিশেষণ দিয়েছিলাম আপনার নামের আগে, "-'বর্বর' আওয়ামী লিগ ( কেননা, একসময় এর প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে ছিল দেশের গণতন্ত্রকে হরণ করবার অভিযোগ, এবং নিয়ত মানুষ খুনের অভিযোগ) সমর্থক 'অসভ্য'( কেননা, আপনি প্রায়ই মিথ্যে তথ্য যোগান, যেমন সেদিন নাৎসী জমানার ছবি তুলে বলেছিলেন, মুক্তিযুদ্ধ জমানার , এবং শফিক রহমানের সঙ্গে আপনিও যৌন গন্ধী গালাগালগুলো ব্যবহার করেছিলেন) AbulKhayer দাদা,"বুঝতে পারলে ভালো , নতুবা আমার দায় পরে এটিকে এখন প্রত্যাহার করবার। বুঝতেই পারছেন এগুলো একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক, এবং দরকার ছিল না। যেহেতু, আমি এখনো মনে করি আপনি একেবারে অদরকারে, পাকিস্তান নামটির আগে 'বর্বর' ব্যবহার করেছেন আমি আপনার বিদ্যা আপনার উপর ঢেলেছিলাম । আর যেসব চ্যালেঞ্জ টালেঞ্জগুলো, সেগুলূ আপনার বিদ্যা। আপনি প্রায়ই বলেন না, 'প্রমাণ করুন...।' এখানেও বলছেন, "কোনো মুশকিল নেই, উল্টো সিধা প্রমাণের প্রয়োজনও নেই; কেবল "আপনারে আপনে চিনিলে"...!"----এই প্রমাণ বাতিকটার অনুসরণে আমার যা কিছু দেখেছেন। ঠিক মতো উপস্থিত করতে পারলে, তথ্য ভারাক্রান্ত না করেও নিজের কথা বোঝানো যায়। আর নইলে তত্থ্যের অরণ্যে হারিয়ে যাওয়া ছাড়া উপায় থাকেনা। আমারতো মনে হয়, আপনি সেরকম তথ্যের অরণ্যে পথা হারাণ এক পথিক মাত্র। এই দেখুন না, আমার কি বলবার দরকার ছিল , আমার কাছে কতা ইতিহাসের বই আছে ইত্যাদি? এ আমার স্বভাব বিরোধী। আমিতো মশাই সজ্ঞানে আমার লেখালেখিতেঅ পণ্ডীতদের উদ্ধৃতি দিইনা, বিলেতি হলেতো একেবারেই না। তার পরেও লোকে নেয় দেখেছি। গুরুতেও, আমাকে কেউ মুর্খটুর্খ বলে বলে ত দেখিনি। (আপনি সহই বলছি) তো যেইনা, আমার তালিকার কথা শোনালাম, দেখুন আপনিও আপনার তালিকার কথা শুনিয়ে দিলেন। প্রতিযোগিতা! তা বেশ।
    15minutesago·Like
    SushantaKar কিন্তু দাদা, আপনি আস্ল কথাতিতো বললেন না, যে কারণে কষাম্বীর নাম উঠেছিল, ইনি কেমন বিদেশি তত্ব অনুসরণ করেছেন! এলেন চলে 'অরুণচলে'র কথায়, এবং আরেক কুতর্কের টুইস্ট খেললেন। আরেকবার পড়ুন,আমার আগের মন্তব্যে 'অরুনাচল প্রসঙ্গ' তার শৈলি এবং ব্যঞ্জনা সহ। আপনার স্ববিরোধী মন্তব্যদুতো তুলে দিচ্ছি, "আমি কী কোথাও বলেছি যে, "অরুণাচলের কিছু জনগোষ্ঠীর" ভারতীয় নয়!!! আপনার অভিসন্ধির সততা সম্পর্কে আপনি প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছেন? " এবং "ভারতবর্ষের ইতিহাসে অরুনাচলের অধিবাসীগণ মূলধারা তথা মেইনস্ট্রীম নয় যে, তাদের জীবনযাত্রার সাপেক্ষে এই গুরুভার সিদ্ধান্ত খাড়া করতে হবে, "--মূলধারাটি কি তবে বৈদিক আর্য ধারা? যেখানে আপনি 'দাস' প্রথার বেগুন খোঁজছেন? এর পর আর তথ্য প্রমাণের দরকার পড়ে না, আপনার এবং আমার 'চোখে'র প্রমাণ পাওয়া যায় বটে কোনো রকম তথ্যযুদ্ধ না করেই। 'কুতর্কের টুইস্ট' বললাম কেননা, অরুণাচল সম্পর্কিত আমার এই তথ্যের অর্থতো একটাই--ভারতের ইতিহাস নিয়ে আপনি যে স্রলরৈখিক পদ্ধতিতে অনুসন্ধানের কথা বলছেন সেটি কোনো কাজেরই নয়, এবং এক বাতিল ধারণা। কোষাম্বির যে কোটেশনটা দিয়েছি তাতেও সেদিকেই ইঙ্গিত আছে। আর এতো দাসপ্রথা নিয়ে তক্কই বা করব কেন, একি জানি না, যে ভারতে ইতিহাসের সমস্ত সময় ধরে বিচিত্র সমাজে দাসপ্রথার উদ্ভবের মত পরিস্থিতি দেখা গেছে, আর প্রায় প্রতিবারেই বর্ণবাদ এসে একে নিজের ভেতরে শোষে নিয়েছে। বলছিলাম শাহজালালের কথা। শাহজালাল, সিলেট এবং সংলগ্ন জনজাতীয় অঞ্চলে অস্থায়ি চাষাবাদ থেকে জনজাতিদের স্থায়ি কৃষিতে টেনে এনেছিলেন, ইনি তেমন বিশেষ কোনো হিন্দুকে ধর্মান্তরিত করেন নি। বরং সেসময়কার সিলেট কাছাড়ের জনজাতীয় প্রকৃতি পূজকদের সুফী-ইসলামে টেনে এনেছিলেন। এর সঙ্গে মিল আছে সেই সব ব্রাহ্মমদের কাজের যাদের ভাষ্কর বর্মা এক সহস্রাব্দ প্রায় আগে জমি দিয়ে নে এখানে বসিয়েছিলেন। এবারে, আমিও কিছু নিশ্চিত জানা তথ্যে এনে হাজির করলাম বটে , কিন্তু এই ভয়ে নিয়েই যে আপনার সামনে কোনো তথ্য হাজির করতেই নেই। আপনি একজন তথ্যলোভী মানুষ। যিনি সিদ্ধান্তগুল নেন মূলত অবরোহী পথে। হাজির করলেই আমাকে তথ্যের ফাঁদে পড়তে হবে। এবং মূল কথা হারিয়ে যাবে। মূল কথা কিন্তু ছিল সেই ধর্ম এবং রাজনীতি নিয়ে।

  • Abul Khayer | 113.11.74.209 | ৩০ ডিসেম্বর ২০১১ ২৩:৪২527783
  • "মূল কথা কিন্তু ছিল সেই ধর্ম এবং রাজনীতি নিয়ে।"- ধর্ম এবং রাজনীতি দুটো পৃথক বিষয়। এবিষয়ে আসল কর্মটি হচ্ছে রাজনীতিকে ধর্মমুক্ত রাখতে হবে এবং ধর্মকে রাজনীতি বিমুক্ত করতে হবে। "বাজার অর্থনীতি" বলতে যে অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বসবাস করছি তাতে "ধর্ম" এবং "ধর্শীয় প্রতিষ্ঠানাদি" ইতোমধ্যে পণ্যরূপ ধারণ করে ধর্ম নিজেই বেচা-কেনার সামগ্রীতে পরিণত হয়ে সমাজকে কলুষিত করছে। এটাই হচ্ছে উপমহাদেশীয় বাস্তবতা। এখন ধর্মকে করুষমুক্ত করবার কাজ নয়, বরং ধর্ম যাতে রাজনীতি মুক্ত থাকে, আধুনিক-গণতান্ত্রিক মানুষ হিসেবে সেদিকে সচেষ্ট থাকা। এ ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধু মুজিবের একটি কথা স্মর্তব্য, "বাংলার মানুষ যেমন রাজনীতিবিদদের মুখে ধর্মের ব্যাখ্যা শুনতে চায় না, তদ্রুপ ধার্মিকের মুখেও রাজনীতির ব্যাখ্যা শুনতে চায় না।" কথাটির সারবত্তা আমাদের জাতীয় মুক্তির সংগ্রামের ইতিহাস দ্বারা প্রমাণিত। কিন্তু বিপ্লব ব্যর্থ হলে পরে পুনরায় পুরোনো শকুনরূপে ধর্ম রাজনীতিকে গ্রাস করে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায়। একাজটি সাধিত হয় সামরিক বাহিনীর শাসনের দ্বারা। বর্তমানে আমরা সেসব অপশাসন থেকে মুক্তিলাভ করেছি। পাকিস্তানে সেই সংকট চলছে। আরও কয়েক যুগ চলবে। এটাই ওদের নিয়তি এ নিয়তি তারা নিজেরাই নির্ধারণ করেছে। কেননা, পাকিস্তান দু'দুবার গণপ্রতিনিধিদের দ্বারা সংবিধান রচনার্থে গণপরিষদ গঠন করেও নিজদের জন্য একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রণয়নে ব্যর্থ হয়েছে। এবংবিধ ব্যর্থতার থেকে যে বিষবৃক্ষ বিকশিত হয়েছে তাতে নিয়তি ণির্ধারিত হযে আছে ধ্বংসে আর যুদ্ধোন্মোদনায়। অপরপক্ষে ভারতবর্ষ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করে বহুমতের চর্চায় ক্ল্যাসিক এক উদাহরণ তৈরী করে এগিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় গণতন্ত্রের অগ্রগতির উপর নির্ভর করে এতদাঞ্চলের সার্বিক শান্তি। সুতরাং, ধর্ম ও রাজনীতি সম্পর্কিত মূল আলোচনা অবশ্যই ব্যবহারিক। জনসাধারণের করের টাকায় তথা রাষ্ট্রের টাকায় কোনোরূপ ধর্ম চর্চা চলবে না। বর্তমান ভারতবর্ষে সংখ্যালঘু মুসলমানদের সহ অন্যান্যদের সংরক্ষণের নামে নানাবিধ রাষ্ট্রীয় সুবিধা পদান করতে দেখা যাচ্ছে। এগুলো রাষ্ট্রের ধর্মনিরপেক্ষ মূলনীতির পরিপন্থী। আমাদের এখানেও এসব ঝুট-ঝামেলা রযেছে। এসব ঝেঁটিয়ে বিদায় করতে হবে। রাষ্ট্র শিক্ষা-সংস্কৃতির বিকাশ, পশ্চাৎপদতা দূরীকরণে, কুসংস্কার দূরীকরণে টাকা ব্যয় করবে, ধর্মের পেছনে কেন? বাংলাদেশে ম্রাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্তা একটা অভিশাপ। এটি আর বৃদ্ধি যাতে না পায় এবং ইতোম্যে যা হয়েছে তার রূপান্তরসাধনে সচেষ্ট হওয়া প্রয়োজন। সেরকম ভারতেও মাদ্রাসার সংখ্যা কম নয়। বাংলাদেশে অনেকগুলো জঙ্গী পাওয়া গেছে যারা দেওবন্দ থেকে শিক্ষা পেয়েছে। এসব কী শিক্ষার্থী তৈরী নাকি জঙ্গী তৈরীর কারখানা?

  • Sushanta | 117.198.56.105 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৫527784
  • বিনামন্তব্যে আগের উধৃতির আবার তুলে দিলাম:
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস এই মর্মে অঙ্গীকারাবদ্ধ হচ্ছে যে, নিউবর্ণিত ৫টি বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে আসন্ন নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমঝোতার ভিত্তিতে অংশ গ্রহণ করবে এবং মহান আল্লাহ তা আলা বিজয় দান করলে এই বিষয়গুলি বাস্তবায়ন করবে।

    . পবিত্র কুরআন সুন্নাহ ও শরীয়ত বিরোধী কোন আইন প্রণয়ন করা হবে না।
    . কওমী মাদরাসা সনদের সরকারী স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
    . নিউবর্ণিত বিষয়ে আইন প্রণয়ন করা হবে :
    . হযরত মুহাম্মদ (স : ) সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী।
    . সনদ প্রাপ্ত হক্কানী আলেমগণ ফতওয়ার অধিকার সংরণ করেন। সনদবিহীন কোন ব্যক্তি ফতওয়া প্রদান করতে পারবেন না।
    . নবী-রাসুল ও সাহাবায়ে কেরামের সমালোচনা ও কুৎসা রটনা করা দণ্ডনীয় অপরাধ।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষে
    মো : আব্দুল জলিল ২৩ / ১২ / ০৬
    সাধারণ সম্পাদক

    বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের পক্ষে
    আব্দুর রব ইউসুফী ২৩ / ১২ / ০৬
    মহাসচিব''---
  • Biplab Pal | 69.250.67.136 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ০৮:৫৮527785
  • [] মানব সভ্যতার উষালগ্ন থেকেই শোষন বিরোধিতার দর্শন এবং বিপ্লব আমরা দেখতে পাচ্ছি।
    বস্তুত পৃথিবীর প্রায় প্রতিটা ধর্ম আন্দোলনই শোষনের বিরুদ্ধে 'মানবিক দর্শনের' উত্তরোন। ইহুদি, ইসলাম, খ্রীষ্ঠান
    সব ধর্মেই আমরা দেখছি নবীরা শোষনের বিরুদ্ধে মানবতা প্রতিষ্ঠা করতে শুধু বাণী দিয়েই খান্ত হন নি। যুদ্ধও করেছেন।
    ইসলাম কিন্ত প্রথমে দরিদ্র প্যাগানদের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়-এবং ঠিক সেই কারনেই আমরা দেখতে পাই, কোরানের অনেক
    আয়াতে 'ধন বৈষম্যের' বিরুদ্ধে বেশকিছু বক্তব্য আছে-জাকাতের ধারনাও সেখান থেকেই এসেছে। বৈভবপূর্ণ জীবনকে
    ইসলামে ঘৃণা করা হয়েছে।

    মহাভারত পড়ুন। সেখানেও কৃষ্ণ ঠিক এক ই কথা বলছেন। যে লোক প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধন-সম্পদ আহরোন করে,তাকে সরাসরি চোর-ডাকাত বলা হয়েছে।

    ইন্দ্রপ্রস্থে যুধিষ্ঠিরের রাজ্যাভিষেকের সময়, বিদুর রাষ্ট্রনীতির যে শিক্ষা পান্ডবদের দেন-সেখানেও দেখবেন এক ই বাণী। বিদুরের বক্তব্য ছিল মোটামুটি এই রকম
    (আ) হে রাজন, অর্থনৈতিক বৈষম্য যে সমাজে বেশী-তা স্থিতিশীল নয়। গরীব এবং ধণীদের সম্পদের পার্থক্যেই সমাজে চোর ডাকাত
    এবং অরাজকতরা সৃষ্টি হয় (আ) রাজার উচিত-ধনীকে বেশী এবং গরীবদের ওপর করের বোঝা লাঘব করে, সমাজ থেকে বৈষম্য দূর
    করা।

    [] কিন্তু ইসলামের ১৪০০ বছরের ইতিহাসে বা হিন্দুধর্মের ২৫০০ বছরের ইতিহাসে আমরা কি কোন শোষনমুক্ত সমাজতান্ত্রিক সমাজ বা রাজত্ব দেখি?
    বরং উলটোটাই সত্য। ধর্মগুলি আসলেই শোষনের হাতিয়ার হিসাবে কাজ করেছে।

    [] মার্ক্সবাদের ক্ষেত্রে আমরা কি দেখলাম। মার্ক্স [] এবং [] সম্মন্ধে অভিহিত ছিলেন। এবং তার বক্তব্য ছিল, শোষনমুক্ত এইসব সমাজতান্ত্রিক ধারনাগুলি নেহাত ই ভাববাদি বা আদর্শবাদি ধারণা। তাই এইসব দর্শন শ্রেনীহীন শোষনহীন সমাজ গড়তে ব্যার্থ হয়েছে। তিনি শোষনহীন সমাজতন্ত্রের ধারণাকে বস্তুবাদের ওপর দাঁড় করাতে চাইলেন।

    কিন্তু সেটা করতে গিয়ে ঐতিহাসিক বস্তুবাদ বলে যে 'বস্তুবাদি' দর্শনটির আমদানি করলেন-তা আদপেই ছিল আরেক ধরনের আদর্শবাদ। ফলে যেসব দেশে তথাকথিত মার্ক্সীয় বিপ্লব হয়েছে-সর্বত্রই শোষনের অবসান ত হয় ই নি-বরং গণতন্ত্রের অভাবে কম্যুনিউস্ট বুরোক্রাটদের হাতে মানুষ আরো বেশী শোষিত হয়েছে। এবং গতশতাব্দীর বৃহত্তম গণহত্যাগুলির ৮০% ই কম্যুনিউস্টদেশে সংগঠিত হয়েছে।

    [] তাহলে ব্যার্থতার ইতিহাস থেকে ইহা পরিষ্কার, হিন্দুধর্ম, ইসলাম বা মার্ক্সবাদ কেহই শোষনমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে পারে নি। বরং 'এনলাইটমেন্ট' বা'শাশ্বত সত্যের' নামে আরো নতুন ধরনের শোষনের জন্ম দিয়েছে। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে
    না। হিন্দুত্ববাদি, ইসলামিস্ট এবং মার্ক্সিস্টরা সবাই তাদের মত ও পথ শ্রেষ্ঠ এই স্বপ্নেই বিভোর। তা আজও সত্য।
    কোন পণ্ডিত ইসলামিস্ট বা হিন্দুত্ববাদিকে জিজ্ঞেস করুন-মার্ক্স সম্মন্ধে উনারা কি ভাবেন? সবার কাছ থেকে এক ই উত্তর পাবেন। ঐ সব সাম্যবাদের ধারনা তাদের তাদের ধর্মেই আছে। কথাটা খুব মিথ্যাও না!

    [] তাহলে ভুলটা কোথায়? তার আগেও প্রশ্ন করি শোষন মানে কি?
    যদি স্যোসাল কনট্রাক্টগুলো মুক্ত থাকে-অর্থাৎ প্রতিটি মানুষ তার উৎপাদনশীলতার সাথে যেসব চুক্তিতে জড়িত, তা যদি তার ইচ্ছার ভিত্তিতে হয়ে থাকে-যা ধনতান্ত্রিক সমাজের মূল ভিত্তি-তাহলে শোষন কথাটার স্কোপ কোথায়? আসে কেন? শোষনমুক্ত সমাজের রেফারেন্সটা কি?

    আমি নিজের অভিজ্ঞতা থেকে তিন ধরনের শোষন দেখতে পাই ধনতান্ত্রিক সমাজে
    অ) 'অজ্ঞানতা' বা অক্ষ্মতাহেতু শোষন বিরোধি আইনের রক্ষাকবচগুলি কাজে না লাগানো
    আ) শোষন বিরোধি আইনের রক্ষাকবচগুলিকে রাষ্ট্রযন্ত্রের সহযোগিতায় বৃদ্ধাষ্ঠুঙ্গ দেখানো
    ই) শোষন বিরোধি নতুন আইন প্রনয়নে ব্যার্থতা

    একটু বিশ্লেষন করলে দেখা যাবে-ব্যার্থতার আসল কারন-গণতন্ত্রের ব্যার্থতা বা সীমাবদ্ধতা। উদাহরণ দেওয়া যাক। আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে নুন্যতম মাইনে ঘণ্টায় সাত ডলার ত্রিশ সেন্ট। এর নীচে কাওকে মাইনে দেওয়া মারাত্মক অপরাধ। রাষ্ট্র কিন্তু এখানে শোষনের বিরুদ্ধে রক্ষাকবচ দিয়েছে। কিন্তু বাস্তবটা কি? ক্যালিফোর্নিয়ার কৃষিক্ষেত্রে বে আইনি মেক্সিকান লেবারদের ঘন্টায় তিন থেকে চার ডলার
    দেওয়া হয়। রক্ষাকবচ সঙ্কেÄও শোষন অব্যাহত। কারন মেক্সিকান লেবাররা এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে অক্ষম। যেহেতু তারা নিজেরাই বে আইনি ভাবে আমেরিকাতে আছে। তাহলে শোষনমুক্ত করার জন্যে প্রথমে এদেরকে লিগ্যাল ইমিগ্রান্ট করার দরকার ছিল। কিন্তু রিপাবলিকান পার্টি করবে না। কারন এদের সমর্থকরা স্মল বিজনেস ওনার। যারা এই শোষন সব থেকে বেশী করে থাকে। রিপাবলিকান চালিত রাষ্ট্র ও এদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে না কারন তাহলে পার্টী ফান্ডে ধ্বস নামবে।

    কিন্তু দীর্ঘদিন শোষনের এই স্থিতিশীলতা চলতে পারে না। লক্ষ্য করুন ইলিগ্যাল ইমিগ্রান্টরা পথে নেমেছে গত দুবছরে মানুষের দাবি আদায়ের জন্য। এবং আজ নইলে কাল তাদের দাবি স্বীকৃত হবেই। কিন্তু এরজন্যে কি কোন মার্ক্সবাদি এনলাইটমেন্ট দরকার হচ্ছে? না ইসলাম, হিন্দুত্ব, খ্রীষ্ঠান ধর্মের গালভরা ধর্মীয় সমাজতন্ত্রের দরকার হচ্ছে?

    [] সেই জন্যে স্ট্রাকচারালিস্টরা এনলাইটমেন্ট বিরোধি। ফুকোর নিউহিস্টোরিসিজমে ইতিহাসের গতিকে একমাত্র স্থানীয়
    অদূরবর্ত্তী অতীত ও বর্তমানের উপাদান দিয়েই ব্যাখ্যা করা হয়। ব্যাপারটা গণিতের দৃষ্টিতে খুব স্বাভাবিক। সমাজ যেহেতু ক্যাওটিক
    সিস্টেম-একমাত্র খুব লোকালাইজড বা কম স্থান এবং কালের পরিসরেই ইতিহাসের ব্যাখ্যায় কার্য-কারণ সম্মন্ধ আনা যায়।
    আমার কাছে অবশ্য নিউহিস্টরিসিজমও অতিসরলিকরন লাগে। কারন ভারতের বর্তমান রাজনীতি-হিন্দুধর্মের ৩০০০ বছরের ইতিহাস, ইসলাম, সোভিয়েতের ইতিহাস ইত্যাদি ব্যাতিরেকে বিশ্লেষন করা অসম্ভব-যা স্থান এবং কালে অনেক অনেক বিস্তৃত।

    [] তাহলে ধর্ম, মার্ক্সবাদ, পোস্টমডার্নিস্ট-সবাই বাতিল। পড়ে রইল কি? শুন্য?

    তাও না। সমাজে বিবর্তন ঘটছেই। জৈবিক বিবর্তনের চাহিদাতেই ঘটছে। ভবিষ্যতের সমাজকে আরো সুরক্ষিত করার চাহিদাতেই ঘটছে। বিবর্তন বিজ্ঞানের আরো উন্নতি হলে, সমাজবিজ্ঞানও আরো ভাল ভাবে বোঝা যাবে।

    তবে পোস্ট মর্ডানিজমের একটা ব্যাপার স্বীকার করা যাক। হিন্দুত্ব, ইসলাম, মার্ক্সবাদ ইত্যাদি এনলাইটমেন্ট নিয়ে লম্ফঝম্ফ- মানে সমাজকে পরিবর্তনের চেস্টা না করায় ভাল। ইতিহাস বলছে, তাতে শোষন কমে না, অনেক গুন বৃদ্ধি পায়। 'এনলাইটমেন্ট' আসলে শোষনের শতগুন শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে দাঁড়ায়।

    সুতরাং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার দিকেই লক্ষ্য দেওয়া উচিত। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী এবং আরো কার্যকরী করার মধ্যে ই শোষনমুক্ত সমাজ আসবে। মনে রাখতে হবে গণতন্ত্রের বয়স মেরেকেটে এক শতাব্দিও না। এবং গণতনন্ত্রে সাধারন নির্যাতিত মানুষের কন্ঠস্বর যত শোনা যাবে-সমাজতান্ত্রিক গণতন্ত্রের দিকে আমরা বিবর্তনের পথেই এগিয়ে যাব। হিন্দুত্ববাদ, ইসলাম, মার্ক্সবাদ দিয়ে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা
    -আসলেই গণতান্ত্রিক বিবর্তনের বাধাস্বরূপ। বরং এই সব দর্শনের যেসব মানবীয় দিক আছে, তা নিয়ে চর্চা করতে বাধা নেই।
  • Abul Khayer | 113.11.74.209 | ৩১ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:৩৯527786
  • "বিনামন্তব্যে আগের উধৃতির আবার তুলে দিলাম:
    বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মধ্যে নির্বাচনী সমঝোতা স্মারক"- বিনা মন্তব্যে এরকম সমঝোতা চুক্তির স্মারক উপস্থাপন কেন? আর এই স্মারকটির পটভূমি কী ছিল? এ বিষয়ে আপনার বিম্লেষণযুক্ত মন্তব্যটিও সংযুক্ত করুন।
  • Sushanta | 117.198.67.187 | ০৫ জানুয়ারি ২০১২ ২০:১০527787
  • বিপ্লব পাল, আপনার মন্তব্যটি নি:সন্দেহে সুচিন্তিত। "সুতরাং গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার দিকেই লক্ষ্য দেওয়া উচিত।" এই নিয়েতো কোনো তর্কই নেই। মেক্সিকোর যে লড়াইএর নজির দিলেন, সেটির থেকে আমাদের শেখার অনেক আছে। তাদের অনেকেতো নো-বর্ডার স্লোগানও দিচ্ছেন। শান্তিপূর্ণভাবেই যদি আদায় হয়েই যায়, কোন কথাই নেই। কিন্তু দেখছেনই তো বাস্তবে এটা সম্ভব হয় না, শান্তিপূর্ণ আরব বসন্তও সর্বত্র শান্তিপূর্ণ হয় নি, আর অ্যাল স্ট্রীট দখলের লড়াইও নয়। রাষ্ট্রই সহিংস রূপ ধরেছে। এবং হিংসা কেবল বিন লাদেনেরা করে, নাটো বাহিনি কেবল শান্তি রক্ষা করে, এতা যে কত বড় মিথ্যা তা লিবিয়াতে আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে। এই সব পরিবর্তনকেই বা আপনি কী বলবেন, বিপ্লব না বিবর্তন? আমি কিন্তু বিপ্লবের পক্ষে, মানে এগুলোকে বিপ্লব বলবার পক্ষে। কেবল মার্ক্সবাদীদের নেতৃত্বে হলেই বিপ্লব , এমন বলবার মতো কুসংস্কার আমার নেই। সম্ভবত মার্ক্সেরও ছিল না। ফ্যুকো যেভাবেই বলুন, তিনি কোনো গণ উদ্যোগকে সমর্থণ করেন না বোধহয়। এবং তাঁর তত্ব কোনো গণউদ্যোগকে পরিচালন ক্ষমতাও রাখে না বোধহয়। তিনি বড়জোর ব্যাখ্যা করেন।আথচ মানুষ তো চায় বদল। এটা মার্ক্সবাদের গোড়ার কথা বটে। কিন্তু মার্ক্সবাদীদের সঙ্গ ছাড়াই এই বদলগুলো ঘটছে, মানুষের নিজস্ব ইচ্ছাতে। মিশরের কথাই ধরুন না, মুসলিম ব্রাদার হুডতো সেই প্রায় এক শতাব্দি ধরে প্রয়স চালাচ্ছিল। কিচ্ছুই হলো না , যতক্ষণ সংকট মানুষকে এক মৌলিক পরিবর্তনের দিকে নিয়ে না গেল।অমুসলিম ব্রাদারহুড় শুধু তার সুযোগ নিয়ে ক্ষমতাতে চলে গেল, এবং তার পরেও লড়াই চলছে। সুতরাং কোনো আদর্শ নিজে থেকে পরিবর্তনের প্রেরণা হয় না। আপনি সঠিক লিখেছেন,"সমাজে বিবর্তন ঘটছেই। জৈবিক বিবর্তনের চাহিদাতেই ঘটছে।"--শুধু ঐ বিবর্তন শব্দটি ছাড়া। বিবর্তন মোটা দাগে সত্য, মাঝে মাঝে উল্লম্ফণও হয়। এটা পদার্থবিজ্ঞান সূত্রেও সত্য। একে, মানে বিপ্লবকে আটকানো যাবে না। মেক্সিকি পরবাসিদের লড়াইয়ের সঙ্গে ধর্মের সংযোগের ধারণা আমার খুব ভালো নয়, কিন্তু অতো দূর যাবেন কেন, এই ভারতে অসমেই তো আমরা চারদশক ধরে বিদেশি-অনুপ্রবেশকারী সমস্যার সঙ্গে লড়ছি। আমি নিজেও কখনো বিদেশি বলে চলে যাবার নোটিশ পেতে পারি। এবং এখানে কিন্তু ধর্ম একটি বিশাল রাজনৈতিক প্রেরণার যায়গা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। যুদ্ধ চেয়ে মতামত দিন