এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • আকাশ ভরা সূর্য তারা, বিশ্ব ভরা প্রাণ

    Samik
    অন্যান্য | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ | ১৮৯৩ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • siki | 123.242.248.130 | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ০৯:৫৯516516
  • মহাকাশ নিয়ে অল্পবিস্তর উৎসাহ আছে। পড়াশোনা তেমন নেই। এদিক ওদিক খামচাখামচি করে যেটুকু জানা।

    শুরু হোক এখানে কিছু মণিমুক্তোর জমায়েত। যাঁরা জানেন, লিখুন।
  • PT | 203.110.243.23 | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ১২:১৫516517
  • তার জন্য জয়ন্ত নার্লিকারের স্লাইডসহ বক্তৃতা শুনতে হবে। আমার একবার হাজারখানেক লোকের মাঝে বসে ওনার মহাকাশের ওপরে বক্তৃতা শোনার সৌভাগ্য হয়েছিল। অতজন লোককে এতক্ষণ নি:শব্দে বসে থাকতে দেখিনি কখনো।
    http://news.ncbs.res.in/story/jayant-narlikars-cosmology
  • siki | 123.242.248.130 | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ১২:৪৩516518
  • থ্যাংকিউ পিটি।

    ব্রহ্মাণ্ডের জন্ম ইত্যাদি তো আছেই, একবার এক অ্যামেচার স্কাই ওয়াচারের সাথে বসে তারার গল্প শুনছিলাম। তখনই প্রথম শুনি ধ্রুবতারা নাকি মোট্টেই ধ্রুব নয়, বরং পৃথিবীর ঘূর্ণনের রেসপেক্টে সে ক্রমেই সরে সরে যাচ্ছে। কারণ পৃথিবীর পোলার অ্যাক্সিস নাকি সরে সরে যায়।

    আরও শুনেছিলাম জোড়া তারার গল্প। সপ্তর্ষিমণ্ডলের গল্প। বশিষ্ঠ মরীচি অঙ্গিরা অত্রি ক্রতু পুলস্ত্য পুলহ। এর মধ্যে কোন একটা যেন ঋষি, আসলে একটা নক্ষত্র নয়, দুটো নক্ষত্র।

    জোড়া নক্ষত্র আবার দু রকমের হয়। একরকম হল, একটা স্থির, অন্যটা সেই নক্ষত্রকে ঘিরে পাক খেয়ে চলেছে। আর অন্যরকম হল, দুটোই একে অন্যকে কেন্দ্র করে প্রদক্ষিণ করে চলেছে, অনেকটা সেই মহাপুরুষ সিনেমায় বিরিঞ্চিবাবার আঙুল ঘোরানোর মতন করে। সপ্তর্ষিমণ্ডলের কোনও একটা নক্ষত্র নাকি এই দ্বিতীয় স্টাইলে একে অপরকে প্রদক্ষিণ করে, দূর থেকে দেখায় একটাই নক্ষত্র।
  • omnath | 59.160.210.2 | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৩৪516519
  • একজনের তো হাত নিশপিশ করছে। কিন্তু সে তো এই টইতে লিখবে না। কারণ এটা তো সিকি খুলেছে। আহা ভেবেই আমার কি যে মজা লাগছে! :-)))))))

    নতুন বছরে পুরোনো খারগুলো মুছে ফেলার কোনো ইরেজার সাপ্লাই হয় না?

  • Ghanada | 223.223.133.121 | ০৯ জানুয়ারি ২০১২ ১৩:৫৪516520
  • অনেক আকাশ

    জীবনানন্দ দাশ

    গানের সুরের মতো বিকালের দিকের বাতাসে
    পৃথিবীর পথ ছেড়ে — সন্ধ্যার মেঘের রঙ খুঁজে
    হৃদয় ভাসিয়া যায় — সেখানে সে কারে ভালোবাসে! —
    পাখির মতন কেঁপে — ডানা মেলে — হিম চোখ বুজে
    অধীর পাতার মতো পৃথিবীর মাঠের সবুজে
    উড়ে উড়ে ঘর ছেড়ে কত দিকে গিয়েছে সে ভেসে —
    নীড়ের মতন বুকে একবার তার মুখ গুঁজে
    ঘুমাতে চেয়েছে, তবু — ব্যথা পেয়ে গেছে ফেঁসেঁ —
    তখন ভোরের রোদে আকাশে মেঘের ঠোঁট উঠেছিল হেসে!
    আলোর চুমায় এই পৃথিবীর হৃদয়ের জ্বর
    কমে যায়; তাই নীল আকাশের স্বাদ–সচ্ছলতা–
    পূর্ণ করে দিয়ে যায় পৃথিবীর ক্ষুধিত গহ্বর;
    মানুষের অন্তরের অবসাদ — মৃত্যুর জড়তা
    সমুদ্র ভাঙিয়া যায় — নক্ষত্রের সাথে কয় কথা
    যখন নক্ষত্র তবু আকাশের অন্ধকার রাতে —
    তখন হৃদয়ে জাগে নতুন যে — এক অধীরতা,
    তাই লয়ে সেই উষ্ণ আকাশের চাই যে জড়াতে
    গোধূলির মেঘে মেঘে, নক্ষত্রের মতো রব নক্ষত্রের সাথে!
    আমারে দিয়েছ তুমি হৃদয়ের যে — এক ক্ষমতা
    ওগো শক্তি, তার বেগে পৃথিবীর পিপাসার ভার
    বাধা পায়, জেনে লয় নক্ষত্রের মতন স্বচ্ছতা!
    আমারে করেছ তুমি অসহিষ্ণু — ব্যর্থ — চম্‌ৎকার!
    জীবনের পারে থেকে যে দেখেছে মৃত্যুর ওপার,
    কবর খুলেছে মুখ বার বার যার ইশারায়,
    বীণার তারের মতো পৃথিবীর আকাঙক্ষার তার
    তাহার আঘাত পেয়ে কেঁপে কেঁপে ছিড়ে শুধু যায়!
    একাকী মেঘের মতো ভেসেছে সে — বৈকালের আলোয় — সন্ধ্যায়!
    সে এসে পাখির মতো স্থির হয়ে বাঁধে নাই নীড় —
    তাহার পাখায় শুধু লেগে আছে তীর — অস্থিরতা!
    অধীর অন্তর তারে করিয়াছে অস্থির — অধীর!
    তাহারই হৃদয় তারে দিয়েছে ব্যাধের মতো ব্যথা!
    একবার তাই নীল আকাশের আলোর গাঢ়তা
    তাহারে করেছে মুগ্‌ধ — অন্ধকার নক্ষত্র আবার
    তাহারে নিয়েছে ডেকে — জেনেছে সে এই চঞ্চলতা
    জীবনের; উড়ে উড়ে দেখেছে সে মরণের পার
    এই উদ্বেলতা লয়ে নিশীথের সমুদ্রের মতো চম্‌ৎকার!
    গোধূলির আলো লয়ে দুপুরে সে করিয়াছে খেলা,
    স্বপ্ন দিয়ে দুই চোখ একা একা রেখেছে ঢাকি;
    আকাশে আঁধার কেটে গিয়েছে যখন ভোরবেলা
    সবাই এসেছে পথে, আসে নাই তবু সেই পাখি! —
    নদীর কিনারে দূরে ডানা মেলে উড়েছে একাকী,
    ছায়ার উপরে তার নিজের পাখায় ছায়া ফেলে
    সাজায়েছে স্বপ্নের পরে তার হৃদয়ের ফাঁকি!
    সূর্যের আলোর পরে নক্ষত্রের মতো আলো জ্বেলে
    সন্ধ্যার আঁধার দিয়ে দিন তার ফেলেছে সে মুছে অবহেলে!
    কেউ তারে দেখে নাই; মানুষের পথ ছেড়ে দূরে
    হাড়ের মতন শাখা ছায়ার মতন পাতা লয়ে
    যেইখানে পৃথিবীর মানুষের মতো ক্ষব্ধ হয়ে
    কথা কয়, আকাঙক্ষার আলোড়নে চলিতেছে বয়ে
    হেমন্তের নদী, ঢেউ ক্ষুধিতের মতো এক সুরে
    হতাশ প্রাণের মতো অন্ধকারে ফেলিছে নিশ্বাস
    তাহাদের মতো হয়ে তাহাদের সাথে গেছি রয়ে;
    দূরে প’ড়ে পৃথিবীর ধূলা — মাটি — নদী — মাঠ — ঘাস —
    পৃথিবীর সিন্ধু দূরে — আরো দূরে পৃথিবীর মেঘের আকাশ!
    এখানে দেখেছি আমি জাগিয়াছ হে তুমি ক্ষমতা,
    সুন্দর মুখের চেয়ে তুমি আরো ভীষণ, সুন্দর!
    ঝড়ের হাওয়ার চেয়ে আরো শক্তি, আরো ভীষণতা
    আমারে দিয়েছে ভয়! এইখানে পাহাড়ের পর
    তুমি এসে বসিয়াছ — এই খানে অশান্ত সাগর
    তোমারে এনেছি ডেকে — হে ক্ষমতা, তোমার বেদনা
    পাহাড়ের বনে বনে তুলিতেছে বিদ্যুতের ফণা
    তোমার স্ফুলিঙ্গ আমি, ওগো শক্তি — উল্লাসের মতন যন্ত্রণা!
    আমার সকল ইচ্ছা প্রার্থনার ভাষার মতন
    প্রেমিকের হৃদয়ের গানের মতন কেঁপে উঠে
    তোমার প্রাণের কাছে একদিন পেয়েছে কখন!
    সন্ধ্যার আলোর মতো পশ্চিম মেঘের বুকে ফুটে,
    আঁধার রাতের মতো তারার আলোর দিকে ছুটে,
    সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো ঝড়ের হাওয়ার কোলে জেগে
    সব আকাঙক্ষার বাঁধ একবার গেছে তার টুটে!
    বিদ্যুতের পিছে পিছে ছুটে গেছি বিদ্যুতের বেগে!
    নক্ষত্রের মতো আমি আকাশের নক্ষত্রের বুকে গেছি লেগে!
    যে মুহূর্ত চলে গেছে — জীবনের যেই দিনগুলি
    ফুরায়ে গিয়েছে সব, একবার আসে তারা ফিরে;
    তোমার পায়ের চাপে তাদের করেছ তুমি ধূলি!
    তোমার আঘাত দিয়ে তাদের গিয়েছ তুমি ছিঁড়ে!
    হে ক্ষমতা, মনের ব্যথার মতো তাদের শরীরে
    নিমেষে নিমেষে তুমি কতবার উঠেছিলে জেগে!
    তারা সব ছলে গেছে — ভূতুড়ে পাতার মতো ভিড়ে
    উত্তর — হাওয়ার মতো তুমি আজও রহিয়াছ লেগে!
    যে সময় চলে গেছে তাও কাপে ক্ষমতার বিষ্ময়ে — আবেগে!
    তুমি কাজ করে যাও, ওগো শক্তি, তোমার মতন!
    আমারে তোমার হাতে একাকী দিয়েছি আমি ছেড়ে;
    বেদনা — উল্লাসে তাই সমুদ্রের মতো ভরে মন! —
    তাই কৌতুহল — তাই ক্ষুধা এসে হৃদয়েরে ঘেরে,
    জোনাকির পথ ধরে তাই আকাশের নক্ষত্রেরে
    দেখিতে চেয়েছি আমি, নিরাশার কোলে বসে একা
    চেয়েছি আশারে আমি, বাঁধনের হাতে হেরে হেরে
    চাহিয়াছি আকাশের মতো এক অগাধের দেখা! —
    ভোরের মেঘের ঢেউয়ে মুছে দিয়ে রাতের মেঘের কালো রেখা!
    আমিপ্রণয়িনী, তুমি হে অধীর, আমার প্রণয়ী!
    আমার সকল প্রেম উঠেছে চোখের জলে ভেসে! —
    প্রতিধ্বনির মতো হে ধ্বনি, তোমার কথা কহি
    কেঁপে উঠে — হৃদয়ের সে যে কত আবেগে আবেশে!
    সব ছেড়ে দিয়ে আমি তোমারে একাকী ভালোবেসে
    তোমার ছায়ার মতো ফিরিয়াছি তোমার পিছনে!
    তবুও হারায়ে গেছ, হঠাৎ কখন কাছে এসে
    প্রেমিকের মতো তুমি মিশেছ আমার মনে মনে
    বিদ্যুৎ জ্বালায়ে গেছ, আগুন নিভায়ে গেছ হঠাৎ গোপনে!
    কেন তুমি আস যাও? — হে অস্থির, হবে নাকি ধীর!
    কোনোদিন? — রৌদ্রের মতন তুমি সাগরের পরে
    একবার — দুইবার জ্বলে উঠে হতেছ অস্থির! —
    তারপর, চলে যাও কোন দূরে পশ্চিমে — উত্তরে —
    ইন্দ্রধনুকের মতো তুমি সেইখানে উঠিতেছ জ্বলে,
    চাঁদের আলোর মতো একবার রাত্রির সাগরে
    খেলা কর — জোছনা চলে যায়, তবু তুমি যাও চলে
    তার আগে; যা বলেছ একবার, যাবে নাকি আবার তা বলে!
    যা পেয়েছি একবার, পাব নাকি আবার তা খুঁজে!
    যেই রাত্রি যেই দিন একবার কয়ে গেল কথা
    আমি চোখ বুজিবার আগে তারা গেল চোখ বুজে,
    ক্ষীণ হয়ে নিভে গেল সলিতার আলোর স্পষ্টতা!
    ব্যথার বুকের’ পরে আর এক ব্যথা — বিহ্বলতা
    নেমে এল উল্লাস ফুরায়ে গেল নতুন উৎসবে;
    আলো অন্ধকার দিয়ে বুনিতেছে শুধু এই ব্যথা,
    দুলিতেছি এই ব্যথা — উল্লাসের সিন্ধুর বিপ্লবে!
    সব শেষ হবে — তবু আলোড়ন, তা কি শেষ হবে!
    সকল যেতেছে চলে — সব যায় নিভে — মুছে — ভেসে —
    যে সুর থেমেছে তার স্মৃতি তবু বুকে জেগে রয়!
    যে নদী হারায়ে যায় অন্ধকারে — রাতে — নিরুদ্দেশে,
    তাহার চঞ্চল জল স্তব্ধ হয়ে কাঁপায় হৃদয়!
    যে মুখ মিলায়ে যায় আবার ফিরিতে তারে হয়
    গোপনে চোখের’ পরে — ব্যথিতের স্বপ্নের মতন!
    ঘুমন্তের এই অশ্রু — কোন পীড়া — সে কোন বিস্ময়
    জানায়ে দিতেছে এসে! — রাত্রি — দিন আমাদের মন
    বর্তমান অতীতের গুহা ধরে একা একা ফিরিছে এমন!
    আমরা মেঘের মতো হঠাৎ চাঁদের বুকে এসে
    অনেক গভীর রাতে — একবার পৃথিবীর পানে
    চেয়ে দেখি, আবার মেঘের মতো চুপে চুপে ভেসে
    চলে যাই এক ক্ষীণ বাতাসের দুর্বল আহ্বানে
    কোন দিকে পথ বেয়ে! — আমাদের কেউ কি তা জানে।
    ফ্যাকাশে মেঘের মতো চাঁদের আকাশ পিছে রেখে
    চলে যাই; কোন — এক রুগ্ন হাত আমাদের টানে?
    পাখির মায়ের মতো আমাদের নিতেছে সে ডেকে
    আরো আকাশের দিকে — অন্ধকারে, অন্য কারো আকাশের থেকে!
    একদিন বুজিবে কি চারি দিকে রাত্রির গহ্বর!
    নিবন্ত বাতির বুকে চুপে চুপে যেমন আঁধার
    চলে আসে, ভালোবেসে — নুয়ে তার চোখের উপর
    চুমো খায়, তারপর তারে কোলে টেনে লয় তার —
    মাথার সকল স্বপ্ন, হৃদয়ের সকল সঞ্চার
    একদিন সেই শূন্য সেই শীত — নদীর উপরে
    ফুরাবে কি? দুলে দুলে অন্ধকারে তবুও আবার
    আমার রক্তের ক্ষুধা নদীর ঢেউয়ের মতো স্বরে
    গান গাবে, আকাশ উঠিবে কেঁপে আবার সে সংগীতের ঝড়ে!
    পৃথিবীর — আকাশের পুরানো কে আত্মার মতন,
    জেগে আছি; বাতাসের সাথে সাথে আমি চলি ভেসে,
    পাহাড়ে হাওয়ার মতো ফিরিতেছে একা একা মন,
    সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো দুপুরের সমুদ্রের শেষে
    চলিতেছে; কোন — এক দূর দেশ — কোন নিরুদ্দেশে
    জন্ম তার হয়েছিল — সেইখানে উঠেছে সে বেড়ে;
    দেহের ছায়ার মতো আমার মনের সাথে মেশে
    কোন স্বপ্ন? — এ আকাশ ছেড়ে দিয়ে কোন আকাশেরে
    খুঁজে ফিরি! — গুহার হাওয়ার মতো বন্দি হয়ে মন তব ফেরে!
    গাছের শাখার জালে এলোমেলো আঁধারের মতো
    হৃদয় খুঁজিছে পথ, ভেসে ভেসে — সে যে কারে চায়!
    হিমেল হাওয়ার হাত তার হাড় করিছে আহত,
    সেও কি শাখার মতো — পাতার মতন ঝরে যায়!
    বনের বুকের গান তার মতো শব্দ করে গায়!
    হৃদয়ের সুর তার সে যে কবে ফেলেছে হারায়ে!
    অন্তরের আকাঙ্ক্ষারে — স্বপনেরে বিদায় জানায়
    জীবন মৃত্যুর মাঝে চোখ বুজে একাকী দাঁড়ায়ে;
    ঢেউয়ের ফেনার মতো ক্লান্ত হয়ে মিশিবে কি সে — ঢেউয়ের গায়ে!
    হয়তো সে মিশে গেছে — তারে খুঁজে পাবে নাকো কেউ!
    কেন যে সে এসেছিল পৃথিবীর কেহ কি তা জানে!
    শীতের নদীর বুকে অস্থির হয়েছে যেই ঢেউ
    শুনেছে সে উষ্ণ গান সমুদ্রের জলের আহ্বানে!
    বিদ্যুতের মতো অল্প আয়ু তবু ছিল তার প্রাণে,
    যে ঝড় ফুরায়ে যায় তাহার মতন বেগ লয়ে
    যে প্রেম হয়েছে ক্ষুব্ধ সেই ব্যর্থ প্রেমিকের গানে
    মিলায়েছে গান তার, তারপর চলে গেছে রয়ে।
    সন্ধ্যার মেঘের রঙ কখন গিয়েছে তার অন্ধকার হয়ে!
    তবুও নক্ষত্র এক জেগে আছে, সে যে তারে ডাকে!
    পৃথিবী চায় নি যারে, মানুষ করেছে যারে ভয়
    অনেক গভীর রাতে তারায় তারায় মুখ ঢাকে
    তবুও সে! কোনো এক নক্ষত্রের চোখের বিস্ময়
    তাহার মানুষ চোখে ছবি দেখে একা জেগে রয়!
    মানুষীর মতো? কিংবা আকাশের তারাটির মতো —
    সেই দূর — প্রণয়িনী আমাদের পৃথিবীর নয়!
    তার দৃষ্টি — তাড়নায় করেছে যে আমারে ব্যাহত —
    ঘুমন্ত বাঘের বুকে বিষের বাণের মতো বিষম সে ক্ষত!
    আলো আর অন্ধকারে তার ব্যথা — বিহ্বলতা লেগে,
    তাহার বুকের রক্তে পৃথিবী হতেছে শুধু লাল! —
    মেঘের চিলের মতো — দুরন্ত চিতার মতো বেগে
    ছুটে যাই — পিছে ছুটে আসিতেছে বৈকাল — সকাল
    পৃথিবীর — যেন কোন মায়াবীর নষ্ট ইন্দ্রজাল
    কাঁদিতেছে ছিঁড়ে গিয়ে! কেঁপে কেঁপে পড়িতেছে ঝরে!
    আরো কাছে আসিয়াছি তবু আজ — আরো কাছে কাল
    আসিব তবুও আমি — দিন রাত্রি রয় পিছে পড়ে —
    তারপর একদিন কুয়াশার মতো সব বাধা যাবে সরে!
    সিন্ধুর ঢেউয়ের তলে অন্ধকার রাতের মতন
    হৃদয় উঠিতে আছে কোলাহলে কেঁপে বারবার!
    কোথায় রয়েছে আলো জেনেছে তা, বুঝেছে তা মন —
    চারি দিকে ঘিরে তারে রহিয়াছে যদিও আঁধার!
    একদিন এই গুহা ব্যথা পেয়ে আহত হিয়ার
    বাঁধন খুলিয়া দেবে! অধীর ঢেউয়ের মতো ছুটে
    সেদিন সে খুঁজে লবে অই দুরে নক্ষত্রের পার!
    সমুদ্রের অন্ধকারে গহ্বরের ঘুম থেকে উঠে
    দেখিবে জীবন তার খুলে গেছে পাখির ডিমের মতো ফুটে!
  • hu | 12.34.246.73 | ১০ জানুয়ারি ২০১২ ০০:৪৫516521
  • বশিষ্ঠ আর অরুন্ধতী - সপ্তর্ষিমন্ডলের ডুয়াল স্টার। জিজ্ঞাসাচিহ্নটা যেখানে শেষ হয়েছে সেদিক থেকে দেখলে দ্বিতীয় নক্ষত্র বশিষ্ঠ। তারই কাঁধের কাছে একটা ক্ষীণ আলোর বিন্দু অরুন্ধতী।
  • aka | 168.26.215.13 | ১১ জানুয়ারি ২০১২ ১৮:৫৯516522
  • আনসলভড প্রবলেমস ইন অ্যাস্ট্রোনমি।


  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন