এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • শ্রীচৈতন্য বিষয়ে বিপ্লব পাল

    tatin
    নাটক | ৩১ জানুয়ারি ২০১২ | ৫০০১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • tatin | 122.252.251.244 | ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ ১২:৩৫513149
  • শ্রীমতি রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণের মিলিত ভাবকান্তিই শ্রীচৈতন্য- একটি বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ
    -গোকুলপতি গোপাল দাসাধিকারী, এম.এস-সি
    শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামীকৃত শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত গ্রন্থে আদি ১/৫ শ্লোকে বর্ণিত হয়েছে।
    রাধা কৃষ্ণপ্রণয়বিকৃতি ড়্‌লাদিনীশক্তিরস্মা-
    দেকাত্মনাবলি ভূবি পুবা দেহভেদং গতৌ তৌ।
    চৈতন্যাখ্যং প্রকটমধুনা তদদ্বয়ং চৈক্যমাপ্তং
    রাধাভাবদ্যুতিসুবলিতং নৌমি কৃষ্ণস্বরূপম\
    অর্থাৎ: শ্রীমতি রাধিকা শ্রীকৃষ্ণের প্রণয়ের বিকার-স্বরূপ। সুতরাং শ্রীমতি রাধারানী শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তি। এই জন্য শ্রীমতি রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণ একাত্মা হলেও তাঁরা অনাদি কাল থেকে পৃথক দেহ ধারণ করে আছেন। এখন সেই দুই চিন্ময় দেহ পুনরায় একত্রে যুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নামে প্রকট হয়েছেন। শ্রীমতি রাধারাণীর এই ভাব ও কান্তিযুক্ত শ্রীকৃষ্ণস্বরূপ শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যকে আমি প্রণতি নিবেদন করি।
    শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রণতি জানাতে এভাবে গৌরতত্ত¡বেত্তা শ্রীল কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী মহাশয় একমাত্র শ্লোকের মাধ্যমে গৌরতত্তে¡র গুঢ় তত্ত¡ প্রকাশ করেছেন। শ্রীমতি রাধারাণী হলেন শ্রীকৃষ্ণের হ্লাদিনী শক্তিরে শ্রীকৃষ্ণের প্রণয়ের বিকারস্বরূপ। শ্রীকৃষ্ণ ও রাধারাণী একাত্মা হলেও, তাঁরা অনাদিকাল থেকে গোলকে পৃথক চিন্ময় দেহ ধারণ করে আছেন। সেই চিন্ময় দেহধারী রাধাকৃষ্ণ গোলক থেকে দ্বাপরযুগে গোকুলে (বৃন্দাবনে) আর্বিভূত হয়ে চিন্ময় রস আস্বাদন করেছেন। কিন্তু রাধার প্রেমের মহিমা কৃষ্ণ স্বয়ং আস্বাদন করার অভিলাষে শচীগর্ভসিন্ধুতে কৃষ্ণ চৈতন্যরূপে এই কলিযুগে নদীয়াতে আর্বিভূত হলেন। এ সম্পর্কে শ্রীলকৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী শ্রীচৈতন্য-চরিতামৃতের আদি ১/৬ শ্লোকে বর্ণনা করেন্রে
    “শ্রীরাধায়া প্রণয়মহিমা কীদৃশো বানয়ৈবারে
    স্বাদ্যো যেনাদ্ভূতমধুরিমা কী দৃশো বা মদীয়;
    সৌখ্যঞ্চাস্যা মদনুভবত: কীদৃশং বেতি লোভারে
    ওদ্ভাবাঢ্য: সমজনি শচীগর্ভসিন্ধৌ হরীনু:\”
    অর্থাৎ, শ্রীরাধার প্রেমের মহিমা কি রকম, ঐ প্রেমের দ্বারা শ্রীরাধা আমার যে অদ্ভুত মাধুর্য আস্বাদন করেন, সেই মাধুর্যই বা কি রকম এবং আমার মাধুর্য আস্বাদন করে শ্রীরাধা যে সুখ অনুভব করেন, সেই সুখই বা কি রকম এই সমস্ত বিষয়ে লোভ জন্মাবার ফলে শ্রীরাধার ভাবযুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণরূপ চন্দ্র শচীগর্ভ সিন্ধুতে আবির্ভূত হয়েছেন।
    শ্রীমদ্ভাগবতের ১১//৩২ শ্লোকে শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্যর সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে,
    “কৃষ্ণ বর্ণং ত্বিষাকৃষ্ণং সাঙ্গোপাঙ্গাস্ত্র পার্ষদম।
    যজ্ঞৈ: সঙ্কীর্তনপ্রয়ৈর্যজন্তি হি সুমেধস:\
    অর্থাৎ: কলিযুগে যেমব বুদ্ধিমান মানুষেরা ভগব্‌ৎ-আরাধনার উদ্দেশ্যে সংকীর্তন যজ্ঞানুষ্ঠান করবেন। তাঁরা অবিরাম শ্রীকৃষ্ণের নাম গানের মাধ্যমে ভগব্‌ৎ অবতারের আরাধনা করেন যদিও তাঁর দেহ কৃষ্ণবর্ণ নয়, তা হলেও তিনি স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ। তাঁর সঙ্গে অস্ত্র ও পার্ষদরূপে থাকবেন তাঁর অন্তরঙ্গ সঙ্গীরা এবং সহযোগীবৃন্দ। কলিযুগে এই মহান অবতার কোথায় আবির্ভূত হবেন এ সম্পর্কে অথর্ববেদে ব্রহ্মা ঋষিজি প্রহ্লাদকে বলে,
    “জাহ্নবীতীরে নবদ্বীপে গোলকাক্ষ্যে ধামে গোবিন্দ দ্বিভূজেন
    গৌর: সর্বত্মা মহাপুরুষে মহাত্মা
    সহযোগী ত্রিগুনেতি ত সত্ত¡রূপো
    ভক্তিং লোকে কস্যতিন।”
    অর্থাৎ: গোলক নামে খ্যাত নবদ্বীপ ধামে জাহ্নবীতীরে ভগবান শ্রীগোবিন্দ ত্রিগুণাতীত সর্বাত্মা সহযোগী মহাপুরুষ মহাত্মা দ্বিভূজ গৌররূপে অবতীর্ণ হবেন। নিত্যশ্বাশত স্বরূপে সেই ভগবান পৃথিবীতে ভক্তি রহস্য প্রকাশ করবেন।
    উপরের চারটি শ্লোক একত্রিত করে আমরা দেখতে পাই যে, নবদ্বীপ জাহ্নবীতীরে অবতীর্ন শ্রীশ্রী গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু যিনি অন্তরঙ্গ পার্ষদসহ ভক্তিরহস্য প্রচার করেছেন তিনি পরমপুরুষ শ্রীকৃষ্ণ। তা ছাড়া তিনি রাধারাণীর ভাব ও কান্তি নিয়ে অবতীর্ন হয়ে রাধার প্রেমের মহিমা ও মাধুর্য স্বয়ং আস্বাদন করেন। তাই মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য রাধাকৃষ্ণ নহে অন্য।
    মহাপ্রভু রাধাকৃষ্ণের মিলিত ভাব ও কান্তি নিয়ে লীলা করেছেন। মহাপ্রভুর এই লীলা সম্পর্কে শ্রীচৈতন্য ভাগবত, শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আদি গ্রন্থে বিস্তারিত উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু আধুনিক কালের মানুষ সকল শাস্ত্রীয় নিদের্শনা ও মতবাদকে বিজ্ঞানের আলোকে গ্রহণ করতে আগ্রহী। সে দৃষ্টিকোন থেকে এই বিষয়টি আলোচনার প্রস নেয়া হল।
    শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু শ্রীল রামানন্দ রায়কে জিজ্ঞাসা করলেন “ধ্যেয় মাধ্য জীবের কর্তব্য কোন ধ্যান?”
    উত্তরে তিনি বললেন “রাধাকৃষ্ণ পদান্বুজ ধ্যান প্রধান।” (চৈ..মৃত ৮//২৫৩). শ্রীমদভাগবতের ১০//৩০ শ্লোকে বর্ণিত হয়েছে;
    “ত্বয্য ন্বুজাক্ষাযিলসত্ত¡ধাæ
    সমাধিনা বেশিত চেতবৈকে
    ত্‌ব্‌ৎপাদপোতেন মহ্‌ৎকৃতেন
    কুর্বন্তি গোব্‌ৎসপদং ভবাদ্ধিম \
    অর্থাৎ, “হে কমলনয়ন ভগবান, সমস্ত অস্তিত্বের আশ্রয়স্বরূপ আপনার চরণকমলের ধ্যান করেরে এবং মহাজনদের পদাঙ্ক অনুসরণপূর্বক সেই চরণকমলকে ভবসাগর উর্ত্তীণ হওয়ার তরণীরূপে গ্রহণকরে অনায়াসে ভবসাগর উর্ত্তীণ হওয়া যায়, কারণ ভবসাগর তখন গোস্পদ তুল্য হয়ে যায়।
    সুতরাং ভগবানের শ্রীপাদপদ্ম ধ্যান সমস্ত প্রকার ধ্যানের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবং ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে রয়েছেরে বিভিন্ন চিহ্ন যা তাঁর অনন্য বৈশিষ্ট্যকে মূর্ত করে। সেই রূপ ভগবানের স্বাংশ অংশ ও কলা ইত্যাদি প্রকারের অবতার রয়েছে এবং অবতার স্বরূপের শক্তি ও লীলার তারতম্যে পদচিহ্নের তারতম্য ঘটে থাকে।
    এখন আমরা দেখি শ্র্রীকৃষ্ণ ও রাধিকার পাদপদ্মে কি কি চিহ্ন বিদ্যমান্রে
    শ্রীকৃষ্ণের দক্ষিণ চরণতলে একাদশ শুভ চিহ্ন, বৃদ্ধ পদাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি যবদানা, তার নীচে একটি চক্র, চক্রের নীচে একটি ছত্র। চরণতলের মধ্যবর্তী স্থান থেকে একটি উর্দ্ধ রেখা শুরু হয়ে বৃদ্ধাঙ্গুল ও দ্বিতীয় আঙ্গুলের নীচে শেষ হয়েছে। মধ্যমাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি সুন্দর পদ্মফুল। পদ্মের নীচে একটি প্রসারিত ধ্বজ চিহ্ন। কণিষ্ট আঙ্গুলের নীচে রয়েছে অঙ্কুশ। অঙ্কুশের নীচে রয়েছে বজ্র। গোড়ালিতে রয়েছে একটি অষ্টভূজ কীলক তার চারটি প্রধান দিকে রয়েছে চারটি স্বস্তিকা চিহ্ন। প্রত্যেক দুটি স্বন্তিকার মধ্যে রয়েছে একটি করে কালো জাম ফল।
    শ্রীকৃষ্ণের বাম চরণতলে অষ্ট শুভ চিহ্ন বিদ্যমান্রে
    বৃদ্ধাপদাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি শঙ্খ। মধ্যমাঙ্গুলের নীচে রয়েছে দুটি সমকেন্দ্রিক বৃত্ত। তার নীচে রয়েছে ছিলা বিহীন ধনুক। ধনুর নীচে রয়েছে গোখুর চিহ্ন। তার নীচে রয়েছে চারটি জলপূর্ণ কলস বেষ্টিত ত্রিভূজ। ত্রিভূজের নীচে অর্ধচন্দ্র এবং গোড়ালীতে রয়েছে একটি মাছ।
    শ্রীমতি রাধিকার দক্ষিণ চরণতলে অষ্ট শুভ চিহ্ন বিদ্যমান:-
    বৃদ্ধ পদাঙ্গুলের নীচে শঙ্খ। দ্বিতীয় ও মধ্যমাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি পর্বত। কণিষ্ট আঙ্গুলের নীচে রয়েছে যজ্ঞবেদী এবং যজ্ঞবেদীর নীচে রয়েছে একটি রতœ কুন্ডল। পর্বতের নীচে গোড়ালীর কেন্দ্রের দিকে রয়েছে একটি রথ এবং এক পার্শ্বে রয়েছে গদা ও অন্যপার্শ্বে রয়েছে শক্তি। গোড়ালির উপরে রয়েছে মাছ।
    শ্রীমতি রাধিকার বাম চরণতলে একাদশ শুভচিহ্ন বিদ্যমান্রে বৃদ্ধাপদাঙ্গুলির নীচে রয়েছে একটি যবদানা। যবদানার নীচে চক্র। চক্রের নীচে ছত্র এবং ছত্রের নীচে রয়েছে কঙ্কন। একটি উর্দ্ধ রেখা চরণের মধ্যভাগ থেকে উপরে উঠে দ্বিতীয় ও মধ্যমাঙ্গুলের মধ্যস্থানে গিয়ে শেষ হয়েছে। মধ্যমার নীচে রয়েছে একটি পদ্ম। পদ্মের নীচে একটি ধ্বজ। কণিষ্টাঙ্গুলির নীচে রয়েছে অঙ্কুশ। ধ্বজের নীচে একটি পুষ্প এবং তার নীচে রয়েছে পল্লব। গোড়ালির উপরে রয়েছে একটি সুন্দর অর্ধচন্দ্র।
    শ্রীগৌরসুন্দরের দক্ষিণ চরণতলের শোভা বর্দ্ধনকারী ষোলটি শুভ চিহ্ন বিদ্যমান; বৃদ্ধপদাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি যব-দানা, তার নীচে একটি ছত্র। ছত্রের নীচে রয়েছে একটি শক্তি। দক্ষিণ চরণতলে একটি সরু উর্দ্ধ রেখা রয়েছে, যা চরণের মধ্যস্থল থেকে শুরু হয়ে বৃদ্ধাঙ্গুলি ও দ্বিতীয় অঙ্গুলির মধ্যবর্ত্তী স্থানে শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় আঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি দন্ড। মধ্যমাঙ্গুলির নীচে রয়েছে একটি পদ্ম এবং পদ্মের নীচে একটি পর্বত। পর্বতের নীচে রথ, রথের নীচে গোড়ালীতে রয়েছে একটি অষ্টভূজকীলক এবং ঐ কীলক বেষ্টন করে চার দিকে রয়েছে চারটি স্বস্তি—কা। স্বস্তি—কার প্রত্যেক জোড়ার মধ্যে রয়েছে একটি করে
    যজ্ঞবেদী তার নীচে কর্ণকুণ্ডল।
    শ্রীগৌর সুন্দরের বাম চরণতলে শোভাবর্দ্ধণকারী ষোলটি শুভ চিহ্ন বিদ্যমান:-
    বৃদ্ধ পদাঙ্গুলের নীচে রয়েছে একটি শঙ্খ, এবং তার নীচে একটি চক্র। মধ্যমাঙ্গুলের নীচে রয়েছে দুইটি সমকেন্দ্রিক বৃত্ত এবং তার নীচে একটি ছিলাবিহীন ধনু। মধ্যমাঙ্গুল ও কণিষ্ট অঙ্গুলির মধ্যবর্ত্তীস্থানে রয়েছে কঙ্কণ। কণিষ্ট আঙ্গুলির নীচে রয়েছে একটি কলসচিহ্ন। ধনুকের নীচে রয়েছে গো-খুর চিহ্ন এবং তার নীচে চারটি পূর্ণকুন্ড বেষ্টিত একটি ত্রিভূজ। ত্রিভূজের ঠিক নীচে রয়েছে একটি অর্ধচন্দ্র। কলসচিহ্ন নীচে রয়েছে একটি ধ্বজ এবং ধ্বজের নীচে রয়েছে একটি পুষ্প। পুষ্পের নীচে রয়েছে পল্লব। পল্লবের নীচে মধ্যস্থলে রয়েছে একটি ক‚র্ম এবং ক‚র্মের পার্শ্বে কিছু উপরে রয়েছে একটি পুষ্পমাল্য। ক‚র্মের নীচে গোড়ালিতে রয়েছে একটি মাছ।
    সুতরাং দেখা যায় যে, শ্রীকৃষ্ণের উভয় পাদপদ্ম মিলে ১৯টি চিহ্ন রয়েছে এবং শ্রীমতিরাধারাণীর সম সংখ্যক শুভ চিহ্ন রয়েছে। রাধাকৃষ্ণের চরণতলের শুভচিহ্ন বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, নিন্মলিখিত চিহ্ন সমূহ উভয়েরই চরণপদ্মে বিদ্যমান:-
    .উদ্ধরেখা ২.যব ৩.শঙ্খ ৪.চক্র ৫.পদ্ম ৬. অঙ্কুল ৭. ধ্বজ ৮.ছত্র ৯. অর্ধচন্দ্র ১০. মীন (মাছ)
    শ্রীকৃষ্ণের চরণে এককভাবে নয়টি চিহ্ন বিদ্যমান তাহলো:-
    .ত্রিভুজ ২. অষ্টভূজ ৩. স্বস্তি—কা ৪. সমকেন্দ্রিক বৃত্ত ৫. ছিলাবিহীন ধনুক ৬. বজ্র ৭. গো-খুর ৮. ৪টি পূর্ণ কুম্ভ এবং ৯. জামফল
    শ্রীমতি রাধারাণীর চরণে এককভাবে নয়টি চিহ্ন বিদ্যমান তা হলো:- ১.পর্বত ২.কর্ণকুণ্ডল ৩.রথ ৪.কঙ্কন ৫.গদা ৬.শক্তি ৭.পুষ্প ৮.পত্র (লতা) এবং ৯.যজ্ঞবেদী
    সুতরাং দেখা যাচ্ছে যে, শ্রীকৃষ্ণ এবং শ্রীমতি রাধারাণীর চরণকমলের সম্মিলিত শুভ চিহ্নের পরিমাণ ১০+৯+৯=২৮।
    কিন্তু শ্রীগৌর সুন্দরের উভয় পাদপদ্মের চরণতলের শুভ চিহ্নের সম্মিলিত সংখ্যা হলো ১৬+১৬=৩২ তাতে দেখা যায় রাধাকৃষ্ণের সম্মিলিত ২৮চিহ্নই শ্রীগৌরসুন্দরের চরণকমলে বিদ্যমান রয়েছে। তদুপরি চারটি শুভচিহ্ন অধিক বর্তমান। সেগুলি হলো:
    .দন্ড ২.কমন্ডলু ৩.পুষ্পমালা এবং ৪.কূর্ম। কিন্তু এই চার শুভ চিহ্ন অধিক বিদ্যমান থাকলেও এর তাৎপর্য এই নয় যে গৌরসুন্দর রাধাকৃষ্ণের মিলিত ঐশ্বর্যের চেয়ে অধিক ঐশ্বর্য ধারণ করেন। বরং দন্ড কমুন্ডলু, পুষ্পমালা এই চিহ্নগুলি তাঁর সন্ন্যাস আশ্রম গ্রহণের এবং ভক্তরূপে লীলা করার ইঙ্গিতবাহী। সুতরাং উপরের বিশ্লেষণ হতে দেখা যায় যে, (ভেনচিত্র দ্রষ্টব্য) ১০টি শুভ চিহ্ন তথা বৈশিষ্ট্য রাধাকৃষ্ণ উভয়ের মধ্যে বিদ্যমান এবং উভয়ের মধ্যে সর্বমোট ২৮প্রকারের শুভচিহ্ন বর্তমান রয়েছে। এই ২৮ প্রকার শুভ চিহ্নই শ্রীগৌর সুন্দরের চরণকমলে শোভা পাচ্ছে। কারণ রাধা এবং কৃষ্ণের মিলিত ভাব এবং তনু নিয়ে তিনি আবির্ভূত হয়েছেন। সুতরাং শ্রীগৌরসুন্দর যে রাধাকৃষ্ণের মিলিত রূপ এ বিষয়ে নি:সংশয়ে প্রমাণিত হল এবং (ভেনচিত্রের সাহায্যে যাহা একটি গাণিতিক পদ্ধতি) সুস্পষ্টভাবে প্রতিপন্ন হলো।
    জয় রাধাকৃষ্ণ! জয় গৌরহরি।
    সর্বশেষ আপডেট বুধবার, ৩০ নভেম্বর -১ ০৬:০০
    প্রধান মেনু

  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঠিক অথবা ভুল মতামত দিন