এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  নাটক

  • জ্যোতিষ = ডাক্তারি = ঐতিহাসিক **লামি

    aka
    নাটক | ১৯ ডিসেম্বর ২০১১ | ৪১৩৯ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • maximin | 59.93.161.224 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ০০:৫৭505970
  • জেনারালাইজ টাইজ না। জুতসই কোট মনে পড়েছে, লিখে দিয়েছি। দিল পে মত লেনা।
  • ranjan roy | 14.97.227.168 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৫:৩০505971
  • না আকা! পরমকরুণাময়, সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের কথা নয়, বরং উল্টো। যেহেতু ব্রহ্মান্ড নিজে একটি finite এবং static entity নয়, বরং সদা পরিবর্তনশীল ( expanding বলা হচ্ছে বহুদিন ধরে), কাজেই কগনিশনের ব্যাপারটা সর্বদা approximation এর স্তরে থেকে যাবে। মানুষের জ্ঞানপিপাসা এবং তার নিবৃত্তি খুড়োর কলের মত সর্বদা expanding কিন্তু never exhausted হবে। মোটামুটি পিনাকী যা বলছেন।
    অর্থাৎ যা আজunknown তা কালকে known হবে, কিন্তু Kant এর unknowable নয়। শুধু নতুন নতুন অজানা দিগন্ত দেখা দেবে।
    তখনই --দেখেছো, বিজ্ঞান এটার ব্যাখ্যা "করতে পারেনি'র উদাহরণ দিয়ে বিজ্ঞান "" করতে পারে না'' বলা হয়। আর বিপরীতে বাকি সব ধোঁয়াশা কে এস্টাব্লিশড্‌ ট্রুথের মত বলে লোককে চমকানো হয়।
    আমার কথা হচ্ছে কোন একটা phenomenon দেখা যাচ্ছে কিন্তু তার ব্যাখ্যা জানা যায় নি, তার মানে এই না এর বদলে n সংখ্যক সম্ভাবনার যেকোন একটা কে সত্যি বলে মানতে হবে।
    ক্যান্সারের ওষুধ বেরোয় নি, একদিন বেরোবে। তার মানে এইনয় এর বদলে অ্যালোপ্যাথিতে এর আজকে নিদান নেই বলে জলপড়া-মাদুলি-তাবিজের আশ্রয় নেব, যদি লেগে যায়।
  • aka | 75.76.118.96 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ০৯:০৩505972
  • ও আচ্ছা পিনাকির কথাটা ঠিক মতন বুঝতে পারি নি। আপনার ব্যাখ্যাটাও পড়লাম। একটু ভাবি।
  • siki | 122.177.189.106 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১০:০৪505973
  • বৌদ্ধদের সম্পর্কে আইডিয়া ছিল না, তবে চার্বাকের কেসটা শুনে আমিও ছিচেথেপগে।
  • PM | 86.96.228.84 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২০505974
  • ওরে বাবারে। আমি বিতর্ক থেকে শত হস্ত দুরে থাকি। "বহাল তবিয়েত ছিল" কথাটা প্রত্যহার করে "বিকষিত হয়েছিল" বা নিদেন পক্ষে "সৃষ্টি হয়েছিল" চলবে? আমি শুধু বলতে চেয়েছিলাম ব্রম্ভ-ই সত্য এটা অনেক প্রচলিত মতের মধ্যে একটা মত ছিল। তাই, একটা ভাত টিপে পুরো হাঁড়ির ভাতের কথা বলা-এক্ষেত্রে খুব সু-প্রযোজ্য হবে না। এটুকুই।

    এবিষয়ে আমার জ্ঞান সামন্য। শিবু/শিবাংশু/ডিডি-বাবুর ধারে কাছে নয়। আমার জ্ঞান দেবীপ্রসাদ চট্টপধ্যায় -এর "লোকায়াতা দর্শন" এই সিমাবদ্ধ।আর আপনাদের লেখা পড়েও অনেক জেনেছি। আমার ধারনার সংক্ষিপ্তসার এরকম। ভুল জানলে দয়া করে সংশোধন করে দেবেন-

    ১। চার্বাক মতাবলম্বী-দের কোনো পুঁথি পাওয়া যায় নি। এদের সম্পর্কে জানা যায় মুলত: মেনস্ট্রীম দর্শনের লেখা থেকে। যেহেতু সরসরি কোনো লেখা পাওয়া যায় না, তাই অনুমান করা হয় চার্বাক্‌পন্থীদের ওপোর অত্যচার করা হতো আর তাদের পুঁথি পত্র নষ্ট করা হয়েছে।
    ২। কিন্তু চার্বাক মত যে খুব শক্তিশালী প্রচলিত মত ছিলো তাতে সন্দেহ নেই। কারন সব বৈদিক দর্শন-এর বই তে নিয়ম করে অনেক-টা জায়গা নিয়ে চার্বাক মতবাদ-কে খন্ডন করা হয়েছে। যদি এটা বহুল প্রচলিত মতবাদ না হতো তাহলে এটা করার দরকার হতো না।
    ৩। সাংখ্য দর্শন আদিতে নাস্তিক মতবাদ হলেও, বেদবাদী-রা সুবিধা কর্তে না পেরে পরবর্তি-তে একে স্বীকৃতি দেন ও আত্মীকরন করেন। অনেকে (সংকরাচার্য্য সমেত) এই মত নানা ভাবে খন্ডন করার চেষ্টাও করেছেন।
    ৪। ইদানিং আমি স্বামী বিদ্যারন্যের বৌদ্ধ দর্শন পড়ছি। প: ব: রা: পু: প: থেকে প্রকশিত। লেখক CU -এর গনিত অধ্যাপক ছিলেন, রায়্‌চাঁদ, প্রেমচাঁদ। পরে সন্যাস নেন। শুন্যবাদী মতামত পড়ে আমি সত্যি হতবাক। এই রকম একটা দর্শন অতোদিন আগে exist করত , ভাবা যায় না।
    ৫। বিভিন্ন reference থেকে দেখা যায় জ্ঞান চর্চার পরিমন্ডলে বিপরীত মতামত কে যুক্তি সহকারে খন্ডন করার একটা আবহাওয়া ছিলো। ক্রমাগত বিরোধী যৌক্তিক আক্রমনে বৈদিক ধর্ম ক্রমশ: মাটি হারাচ্ছিলো। পরে সংকরাচার্য আবার নব্য বৈদিক মতামত (অদ্বৈতবাদ) যুক্তির সাহায্যে-ই পুন:প্রতিষ্ঠা করেন
    ৬। চৈতন্যদেব-এর সময়-ও দেখি নিজের নিজের মত-কে প্রতিষ্ঠা করার জন্য open বিতর্ক সভার আয়োজোন হতো। চৈতন্য সেখানে তখনকার সবথেকে প্রতিষ্ঠিত আর মান্য মত অদ্বৈতবাদ কে খন্ডন করে নিজের মত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
    ৭। আমার ব্যক্তিগত ধারনা মুসলিম/ ব্রিটিশ যুগে antithesis খারা করার চক্করে কট্টর ধর্মীয় অসহিষ্ণু মতমত ক্রমশ: মাটি পেতে থাকে।
    ৮। এটা নিয়ে সন্দেহ নেই যে রাজনৈতিক পরিমন্ডলে অনেক মারামরি ছিলো। কিন্তু জ্ঞানের পরিমন্ডল কিছুটা হলেও উদার ছিলো বলেই মনে হয়। আমার ব্যক্তিগত ধারনা বৌদ্ধ রা হিন্দুদের কাছে মার খেলেও সেটা-ই তাদের বিলুপ্ত হবার কারন নয়। পরবর্তী কালের চরম বস্তুবাদী মতামত (শুন্যবাদ ইত্যাদি) বৃহত্তর ভারতীয় জনমানসে আকর্ষণ হারায়। বোধ হয় এটাই কারন।
  • PM | 86.96.228.84 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:২২505975
  • সিকি, "ছিচেথেপগে" মানে কি :) । ঐ মানে বই -এর টই-তে নেই তো ?
  • Ishan | 117.194.39.216 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫০505976
  • শব্দ নয়, আপনি একটি জ্যোতিষ্কের জন্ম প্রত্যক্ষ কল্লেন। জ্যোতির্বিজ্ঞানে একে বলে সুপান্নোভা। জ্যোতিষে কি বলে জানিনা। :)
  • siki | 122.177.189.106 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৪505977
  • ছিটকে চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম।
  • PM | 86.96.228.84 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৯505978
  • :)
  • Shibanshu | 59.90.221.5 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:৫২505864
  • শিবু ও সিকি,

    'বেনের মেয়ে' তো গপ্পোকথা, হতে পারে ইতিহাসভিত্তিক। তথ্য কিন্তু অনেক বেশি নিষ্ঠুর। কালাডির শঙ্করের একটু পূর্বজ কুমারিলভট্ট নামক বিখ্যাত ব্রাহ্মণ, শুধু বৌদ্ধ হবার অপরাধে লক্ষাধিক নিরীহ বৌদ্ধকে বধ করে ছিলেন। তাঁর সম্বন্ধে যে সব তথ্য জানা গেছে তাতে দেখা যায় তালিবানদের প্রকৃত পূর্বসূরি হবার গৌরব তাঁকে দেওয়া যেতে পারে। এতোজন 'বেদবিরোধী' শ্রমণ বা অন্য থেরবাদীদের (মূলত) হত্যা করতে পারলে বৈকুণ্ঠলোকে দক্ষিণখোলা বারান্দাসহ ফ্ল্যাট ও রম্ভা-মেনকার সেবাযত্ন পাওয়া যাবে, এরকম প্রতিশ্রুতি ভদ্রলোক সদম্ভে প্রচার করতেন দশম শতকে।

    অবশ্য আমি এর মধ্যে সরাসরি ব্রাহ্মণ ( রাষ্ট্রসহ) ও ইতরযানী মানুষের স্বার্থের সংঘাত দেখতে পাই। শস্ত্র ও শাস্ত্রের অধিকারী সংখ্যালঘু জনতা যে কখনও সমাধিকারের তঙ্কেÄ আস্থা রাখবে না সেটাই স্বাভাবিক। এসবই ক্যালকুলেটেড আবেগ এবং প্রিমেডিটেটেড গণহত্যার ইতিহাস। একে ভারত ইতিহাসের আবহমান অন্ধ আবেগ ও যুক্তিহীন স্বার্থসন্ধ্য বিভিন্ন অনাচারের সঙ্গে হয়তো মিলিয়ে দেখা যায়না।

    'চার্বাক'এর 'বহাল তবিয়ত'এ থাকা নিয়ে যে সংশয়, তা নিয়ে সামান্য দুকথা। 'চার্বাক' শব্দটির অর্থ বাকপটু ও তর্কপ্রিয় মানুষ। এই বিশেষণটি সপ্তম শতক নাগাদ লোকায়ত দর্শনে বিশ্বাসী ইতর মানুষদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হতো। কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে তর্কসাপেক্ষ ভারতীয় দর্শন বলতে নেওয়া হয়েছে সাংখ্য, যোগ ( মনে হয় বৈশেষিক) ও লোকায়ত শাস্ত্রের নাম। পাতঞ্জল ও পূর্ব মীমাংসা দর্শনের পত্তন হলেও যেহেতু সেদুটি ছিলো ঐশীবাদী ও বিশ্বাসভিত্তিক, তাই কৌটিল্য তাদের তর্কভিত্তিক ঐ তিনটি দর্শনের বাইরে রেখেছিলেন। উত্তর মীমাংসা বা বেদান্তদর্শন তখনও বিকশিত হয়নি। শেষ পর্যন্ত স্বীকৃত ভারতীয় ষড়দর্শনে লোকায়ত দর্শনকে মান্যতা দেওয়া হয়নি রাজ ও ব্রাহ্মণ্য প্রতিরোধের কারণে। সেতো চতুর্থ শতকেই অশ্বঘোষ লোকায়তিকদের 'বিতন্ড' ( অর্থাৎ যারা বিতন্ডা অথবা তর্ক করে থাকে) আখ্যা দিয়েছিলেন। হেলেনিক সভ্যতায় তাদেরই সফিস্ট বলা হতো। ইতিহাস বলছে সংশয়বাদীরা আমাদের দেশে পার্শ্বনাথ বা মহাবীর ও গৌতম বুদ্ধের ঢের আগে থেকে এদেশে ছিলেন। জৈন ও বুদ্ধ দর্শন তাদের প্রাতিষ্ঠানিক অস্তিত্ব দিয়েছিলো। মহাভারতের কালে 'চার্বাক' একটি গালাগালি ছিলো। তবে সংখ্যাগুরু নীরব জনতার একটা বিরাট অংশ লোকায়ত দর্শনে আস্থা রাখতো। 'খালিপেটে যে ধর্ম হয়না', (যেখানে 'ধর্ম' মানে ব্রাহ্মণ্য লোকাচার আর প্রশ্নহীন রাজ আনুগত্য), একথা প্রমাণিত হবার জন্য আমাদের ঊনবিংশ শতক পর্যন্ত অপেক্ষা করার প্রয়োজন ছিলোনা। 'বহাল তবিয়ৎ' বলতে যদি সুখসমৃদ্ধ থাকা বোঝানো হয়, তবে তা নিশ্চয় ছিলোনা। কিন্তু যদি সমাজের বিরাট অংশের বিশ্বাস অর্জন করার প্রশ্ন আসে, তবে লোকায়তিক বা চার্বাকদের সেই 'তবিয়ৎ' নসিব ছিলো।

    ব্যবহারবিজ্ঞানে ( ব্যবহার শাস্ত্র নয়) আমি নিতান্তই মূর্খ। রঞ্জন আমার গৌরববৃদ্ধি করতে গিয়ে আমাকে নিতান্ত বিপদে ফেলেছেন। শাস্ত্রটির চর্চা আমার ভালো লাগে, কিন্তু অধিকার ও গভীরতার প্রশ্নে আমি শূন্য। সত্যিকথা বলতে কি মানুষের কোন অনুভূতিটি নিছক আবেগ আর কোন অনুভূতিটিকে 'যুক্তি'র বর্মে সুরক্ষিত করে ফেলা যায়, তা নিয়ে নতুনতর ভাবনাচিন্তা বেড়ে উঠছে। ফলিত জ্যোতিষশাস্ত্রের যুক্তি বিযুক্তি কুযুক্তি নিয়ে গুরুর বাজার বেশ সরগরম । বিভিন্ন সূত্র থেকে পক্ষে বিপক্ষে যেসব বক্তব্য আসছে তার মধ্যে কোনও অজানিত নতুন তথ্য আমি এখনও পাইনি। ব্যক্তিগতভাবে আমি এখনও প্রচলিত ফলিত জ্যোতিষশাস্ত্রকে ভিত্তিহীন আপতনধর্মী নিরাপত্তাহীন মানুষের অসহায় ইতিবৃত্ত বলেই মনে করি। 'বিজ্ঞান' তো কদাপি নয়। 'বিজ্ঞান'এর মূলতঙ্কÄ সমঞ্জস ভৌতধর্মের ব্যাখ্যা প্রতিষ্ঠা করার ক্ষমতা এখনও 'জ্যোতিষশাস্ত্র'এর নসিব হয়নি। কিন্তু লোকাচারভিত্তিক ধর্ম ও ফলিত জ্যোতিষশাস্ত্র, এই দুই প্রতিবিজ্ঞানের প্রতি সামগ্রিকভাবে মানবসমাজের বিপুলতম অংশের আনুগত্য অত্যন্ত বিস্ময়কর। কখনও মনে হয় প্রাগৈতিহাসিক কালে চন্দ্র-সূর্যগ্রহণের 'বিপত্তি'র আশংকা প্রথম পর্যায়ের মানুষদের যতোটা বিড়ম্বিত করতো, আনুপাতিকহারে এখন হয়তো তার থেকে বেশি মানুষ বিড়ম্বিত থাকে। সার্নস বা হিগ্‌স বোসন মানুষের এই সব নিরাপত্তাহীনতাকে শূশ্রূষা দিতে পারেনা।

    আসলে সারা পৃথিবীতেই এতো বেশি মানুষ দীর্ঘকাল ধরে এই সব যুক্তি-অযুক্তি-কুযুক্তির তর্ককে ডকুমেন্টেড করেছেন যে আমাদের মতো অল্পবুদ্ধি অল্পপ্রাণ মানুষেরা তার এক ভগ্নাংশের সামনে দাঁড়ালেও অসহায়বোধ করে। কেউ লিখেছেন আমাদের দেশে প্রশ্ন করার ঐতিহ্য নেই। কিন্তু ঘটনা এর বিপরীত। যম ও নচিকেতা বা নহুষযক্ষ ও যুধিষ্ঠিরের সংলাপের ছলে যে দীর্ঘ দর্শনচর্চা তাতো আমাদের প্রশ্ন করার আবহমান ঐতিহ্যকেই প্রতিষ্ঠিত করে।

    প্রশ্নকরাই বেঁচে থাকার নামান্তর। যমও প্রশ্নের অতীত নন, তাই এখনও চন্ডালদের 'চার্বাক' হওয়া ছাড়া গত্যন্তর নেই।
  • PM | 86.96.228.84 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:১৬505865
  • সকলে কি এবার শান্তিতে চেয়ার-এ উঠে বসলেন?
  • PM | 86.96.228.84 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:২০505866
  • আমি কম জানি বলে শুধু আমাকে নিয়ে ঠাট্‌ঠা ? :)। ধম্যে সইবে না বলে দিনু :)
  • siki | 122.177.189.106 | ২২ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৩০505867
  • আমরা বলে ধম্যকেই সইতে পারি না, আম্নি তো পরের কতা।
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৩১505868
  • খুব রিসেন্টলি দুচারটে জিনিস পড়লাম:

    ক) শংকরচার্য নিয়ে: এনাকে প্রচ্ছন্ন বৌদ্ধ বলতো ব্রাহ্মণ সমাজ। এমন কী শ্রীচৈতন্য অবধি শংকরভাষ্যে বেদান্ত পড়ে তাঁকে নাস্তিক বলেন। তারপরও বহুদিন অবধি অদ্বৈত বেদান্তবাদীদের মেনস্ট্রীম হিন্দু সমাজ অস্বীকার করতো। কাশীতে অদ্বৈতবাদীরা মঠ অবধি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন নি।
    শংকরের অগাধ পন্ডিত্য স্বঙ্কেÄও তিনি কেন বর্ণাশ্রমকে চ্যালেঞ্জ করেন নি সেটা আমার কাছে বড় প্রশ্ন।
    যেমন প্রশ্ন রামকৃষ্ণকে স্বামীজি সারদামা কীভবে অদ্বৈতবেদান্তবাদী হিসেবে প্রতিপন্ন করন।
    সম্প্রতি একটা উদ্বোধনের প্রবন্ধে দেখলাম এক ভদ্রলোক প্রমাণ করলেন এহেতে শংকরাচার্যের ব্রহ্ম ও শ্রীচৈতন্যের ব্রহ্ম আলাদা, ব্রহ্মের নির্গুণতা/সগুণতা সম্বন্ধে ভিন্ন এবং সম্পূর্ণ বিপরীত মত হলেও দুজন ভিন্নমতাবলম্বী নন। কারণ দুজন দুটো ভিন্ন জিনিসকে ব্যাখ্যা করতে গ্যাছেন।

    খ)চার্বাক: আপাতজ্ঞানে ধার করে ঘি খেতে বলার মতন লাগলেও চার্বাক কোম্পনি বিশাল মোরালিস্ট ছিল। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধশেষে মানবিক কোণ থেকে যুধিষ্ঠিরকে ভাল ঝেড়েছিলেন চার্বাক। জাবালিকেও সেম ব্র্যকেটে ফ্যালা যায়।\
  • tatin | 122.252.251.244 | ২৩ ডিসেম্বর ২০১১ ১৯:৪৬505869
  • আরেকটা পোস্টের লোভ সামলাতে পারছিনা। আমার স্বল্পবিদ্যায় ধর্মাচরণ দুধরণের দেখেছি:
    ক) বৈদিক: যেখানে mundane ঐহিক ব্যাপার স্যাপারের জন্যে, আরেকটু ভালো খেতে পরতে পারার জন্যে, আরেকটু ভালো স্ত্রী-পুত্র সংসার রাজ্যপাট পাওয়ার জন্যে knownunknown force গুলিকে সামলানোর কথা বলা হচ্ছে।
    খ) অবৈদিক: যেখানে জীবন মাত্রেই দু:খ কষ্ট ভোগ মেনে নেওয়া হচ্ছে এবং কিছু প্র্যাকটিসের মাধ্যমে নিজেকে সেই সব দু:খ এমন কী মৃত্যু যন্ত্রণার অতীত করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    এবার অবৈদিকরা যেহেতু ব্যক্তিগত বা সম্প্রদায় গত অর্থনৈতিক/সামাজিক/ঐহিক উন্নতির কথা ভাবেন না, তাঁরা অনেক বেশি মানবিক ও কল্যাণকর ভূমিকা নিতে পারেন।
  • pi | 82.83.87.188 | ০৮ জুলাই ২০১২ ১০:১৩505870
  • আর কী ! এটাকেও রানারা বলে তুলে দি !
  • aka | 85.76.118.96 | ০৮ জুলাই ২০১২ ১৭:৫৮505871
  • রানারা
  • b | 135.20.82.165 | ০৮ জুলাই ২০১২ ২১:০৪505872
  • শিবাংশু,
    কুমারিল ভট্টের রেফারেন্সটা দেবেন একটু? উইকিতে তেমন কিছু নেই, আর ভদ্রলোকের সাইডে টেনে খেলা হয়েছে।
  • aka | 85.76.118.96 | ০৯ জুলাই ২০১২ ০৬:২৮505873
  • রানারা?
  • একক | 24.99.6.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ০৬:৩৩505875
  • কুমারিল মানে সেই গণহত্যাকারী কুমারিল ভট্ট তো ??
    ভারতের প্রাচীনতম ধর্মভিত্তিক গণহত্যার রূপকার কুমারিল ভট্ট . কত যে বৌদ্ধ মেরেছিলো শালা . আরেসেস গুলো কুমারিল এর ইতিহাস চেপে গিয়ে ওকে শুধু ভাষ্যকার হিসেবে দেখায় যাতে হিন্দুদের ধর্মযুদ্ধের কথা কেও জানতে না পারে .
  • tatin | 140.39.149.53 | ০৯ জুলাই ২০১২ ০৬:৩৪505876
  • কুমারিল ভট্ট চিতায় পুড়ে মরেছিল
  • tatin | 140.39.149.53 | ০৯ জুলাই ২০১২ ০৬:৩৬505877
  • আমি তো শুধু পূর্ব মীমাংসার দার্শনিক হিসেবে জানতাম। এর বৌদ্ধ হত্যার ইতিহাস পাওয়া যাবে?
  • একক | 24.99.6.25 | ০৯ জুলাই ২০১২ ০৬:৩৭505878
  • তাতিন
    পারলে দুটো বই পরিস . শোওকত আলী র "প্রদোষে প্রাকৃতজন" আর "দুষ্কালের দিবানিশি ".
    হিন্দু দের দ্বারা বৌদ্ধ হত্যার ডকুমেন্টেশন .
  • | 24.99.72.74 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১০:৪২505879
  • 'শওকত আলী', 'শোওকত' নয়।
    এই দুটো এক মলাটে 'প্রদোষে প্রাকৃতজন' নামে বেরিয়েছে। কলকাতায় 'নয়া উদ্যোগ'এ পাওয়া যায়।
  • একক | 24.96.0.61 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৭505880
  • হ্যা , শওকত . ত্রান্স্লিতেরেতরের বানান তো. এই যেমন হ্যান লিখেতে পারিনে. হ্যান হয়ে যায় .টাই হ্যা লিখতে হয়. কী জ্বালা.
  • Arin | 129.224.108.139 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১৩:৪৯505881
  • ভারতবর্ষে বৌদ্ধদের গণহত্যায় ও বৌদ্ধধর্ম নিশ্চিন্হকরনের ব্যাপারে বাংলার রাজা শশান্কের অবদানও কিছু কম নয়। ইনি নাকি মহাবোধি মন্দির তছনছ করে বোধি বৃক্ষ উতপাটিত করেছিলেন বলে শোনা যায় (Charles Allen এর The Buddha and The Sahbs দ্রষ্টব্য)।
  • একক | 24.96.0.61 | ০৯ জুলাই ২০১২ ১৪:৪৪505882
  • আরে হ্যা, হিন্দুরা প্রচুর অত্যাচার করেছে . একসময় আজকের পূর্ববঙ্গ পুরোটাই প্রায় বৌদ্ধ ছিল .
    ঢাকা ইউনিভ এ কিছু ভালো গবেষণা হয়েছে এইসব ব্যাপারে . কিছু আছে আমার কাছে , বাকিগুলো খুজছি .
    বাঙালির সংস্কৃতি তে বৌদ্ধধর্ম , ভাষা তে পালির প্রভাব যথেষ্ট আছে এখনো . অবস্য বাঙালির ভাষা বলতে যদি লোকজন ওই আনন্দবাজারী সাহিত্যিক দের মতো "প : ব : -র ভাষা " মাত্র না বোঝে .
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন