এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • শ্রদ্ধাঞ্জলি

    Ghanada
    অন্যান্য | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ | ১০০৬ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Ghanada | 223.223.136.127 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫০505568
  • এই টইতে আমরা সিনেমা থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবো।
  • sda | 117.194.194.53 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১১:৫৯505577
  • মরণোত্তর চলবে ?
  • Ghanada | 223.223.136.127 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১২:০৬505578
  • আভি না যাও ছোড়কর............

    নীদ আয়ি তো খোয়াব আয়ি
    খোয়াব আয়ি তো তুম আয়ি
    পর তুমহারী ইয়াদমেঁ
    না নীদ আয়ী, না খোয়াব আয়ি, না তুম আয়ি!
    অথবা
    আয়ায় ঈশক, জী ভর কে সতালেঁ মুঝকো
    কাল মেরা ঈশক কা অন্দাজ বদল যায়েগা!
    ইটালিয়ান ভাষায় “ অমের্তা” বলে একটা কথা আছে। এই শব্দটার প্রায় কাছাকাছি অর্থ হলো- নীরবতার বিধি, CodeofSilence। সবাই জেনেছিলেন, এই প্রেম- কাহিনী। কিন্তু, দেব সাহাব ঠিক, এই “শায়েরী” গুলো আউড়েছিলেন কিনা, সুরাইয়ার প্রতি, সেটা ঐ “ অমের্তা”র মধ্যে পড়ে রয়েছে।
    অমর প্রেম কহানিয়াঁ র মধ্যে আমরা জানি; লয়লা- মজনু, হীর- রণঝার কথা! সেগুলোর একটা ধারণা পাওয়া যাবে, দেবআনন্দ- সুরাইয়ার জুটির সত্যিকারের প্রেমের মধ্যে। সেলুলয়েডের পর্দায়, যেমন রোমান্টিক জুটি, বাস্তব জীবনেও এই জুটি ছিলেন-আদর্শ প্রেমিক যুগল। “ হাম হ্যায় রাহী প্যার কি, হাম কিসিকি হো লিয়ে।” বাদ সেধেছিলেন, সুরাইয়ার মা! তাও, দেব সাহাব চেষ্টা করেছিলেন- “মানা জনাবনে পুকারা নেহি” বলে, তবু দুজনের মধ্যে অলঙ্ঘ প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছিল- ধর্ম। সুরাইয়া সারাজীবন রয়ে গেলেন- অনূঢ়া! ‘চির তরুণ’ অভিনেতা দেব আনন্দ রয়ে গেলেন, সুরাইয়ার “হৃদি-মাঝারে”। সেই হৃদরোগেই আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন, আমাদের দেব- সাহাব। ১৯৪৬ সালে সিনেমা জীবন শুরু করার পরে পরেই প্রতিষ্ঠিত নায়িকা সুরাইয়ার বিপরীতে বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের ডাক পান দেব। দেব-সুরাইয়া জুটি বক্স অফিস কাঁপানো ৭টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। 'বিদ্যা' ছবির শ্যুটিংয়ের সময় আচমকাই নৌকা দুর্ঘটনায় ডুবে যেতে থাকেন সুরাইয়া। তাঁকে বাঁচান দেব। তখন থেকেই প্রেমের শুরু। জিত ছবির শ্যুটিংয়ের সময় ৩০০০ হাজার টাকা দামের হীরের আংটি উপহার দিয়ে দেব বিয়ের প্রস্তাব দেন সুরাইয়াকে। দেব-সুরাইয়া জুটিকে আর সেলুলয়েডের পর্দাতেও দেখা যায়নি কখনও। একের পর এক হিট ছবির পরেও দেব আনন্দ সুরাইয়ার ছায়াতেই ঢাকা পড়ে থাকেন। দেব আনন্দকে প্রথম ব্রেক দেন অশোক কুমার ১৯৪৯ সালে জিদ্দি ছবিতে।

    দেবআনন্দ বিয়ে করেছিলেন, তাঁরই নায়িকা কল্পনা কার্ত্তিককে। ৮৮ বছর বয়সে ০৩/১২/২০১১র রাতে লন্ডনের মে- ফেয়ার হোটেলের এক কামরাতে, মৃত্যু হয় এই কিম্বদন্তি প্রেমিক অভিনেতার!চিকিৎসার জন্য, ছেলে সুনীলকে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি! কে জানত, এটাই হবে তাঁর শেষ যাওয়া!!!!!!!!!!
    ধর্মদেব পিশোরীমল আনন্দ, রয়ে গেলেন, অগণিত ভক্তের “হৃদি-মাঝারে”- দেবআনন্দ, দেবসাহাব হয়ে। প্রবাদপ্রতিম এই অভিনেতা একবার বলেছিলেন- আমার তৈরী ফিল্ম “হাম দোনো” র একটা গান, আমার জীবনের দর্শন হয়ে থেকে গেছে। “মেঁয় জিন্দেগী কা সাথ নিভাতা চলা গ”
    জাত খেলোয়াড়, প্রসঙ্গে ক্রিকেট লিখিয়েদের কাছে শেক্সপিয়র হিসেবে বিবেচিত হওয়া নেভিল কার্ডাস লেখেছিলেন-, 'হাঁস যেমন জলে নেমেই পারে সাঁতার কাটতে পারে, পাখি যেমন জন্মের পরই পারে আকাশে উড়তে, জাত ক্রিকেটাররাও হলেন তাই। অভিজ্ঞতা কিংবা অন্য কোনো কিছুরই দরকার পড়ে না তাদের। মাঠে নেমেই তারা পারেন চমকে দিতে।' জাত অভিনেতা নিয়ে কার্ডাস কিছু বলেছেন কি-না তা আমার জানা নেই। তবে, ১৯৪৬ সালে তাঁর প্রথম অভিনীত ছবি- “হাম এক হ্যাঁয়” জন্ম দিল পরবর্তী ছয় দশক ধরে চলা এক অসামান্য সাফল্যের খতিয়ান।
    অবিভক্ত পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরে ২৬ শে সেপ্টেম্বর ১৯২৩ সালে, বাবা পিশোরীমল আনন্দের মেজ ছেলে দেবের জন্ম। লাহোরের গর্ভমেন্ট ল কলেজ থেকে ইংরাজী সাহিত্যের স্নাতক, দেব; চলে আসেন, তদানীন্তন বোম্বেতে। চাকরী খুঁজতে খুঁজতে পেয়ে গেলেন- চার্চগেটে মিলিটারী সেন্সর দপ্তরে ১৬০ টাকা মাইনের চাকরী। এখানে তিনি বসে বসে বিভিন্ন চিঠি বাছাই কোরতেন। সেই চিঠিগুলো পড়তে পড়তে প্রচুর গল্পের সন্ধান পেয়েছিলেন। সেই কারণে-ই, মহাতারকা ভোল্টেজে আলোকিত অভিনয় জীবনের শিখরেও, তিনি ভোলেন নি, এই চাকরীর কথা। কারণ, এই ১৬০ টাকাই ছিল তাঁর বোম্বের জীবনে পাথেয়। বন্ধু গুরু দত্ত র সঙ্গে থাকতেন তিনি। প্রতিজ্ঞা ছিল, একে অপরকে সাহায্য করবেন, অভিনয় জীবনে। ‘এভারগ্রিন রোমান্টিক সুপারস্টার’ হলেন- ১৯৪৭ এ মুক্তি পাওয়া ছবি- ‘জিদ্দি’ থেকে। এরপর তাঁকে আর কখনঐ পিছনে তাকাতে হয়নি। সে সময়ই যুক্ত হন ভারতীয় গণনাট্য সঙ্ঘের (আইপিটিএ) সঙ্গে। তাঁর দাদা চেতনও তখন আইপিটিএ-তে যুক্ত।
    সিনেমা জগতের বেশ কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে জরুরি অবস্থার বিরুদ্ধে সরব ছিলেন দেব আনন্দ। ১৯৭৭ সালের নির্বাচনে ইন্দিরা গান্ধীর বিরুদ্ধে প্রচারেও নেমেছিলেন দেব। তৈরি করেছিলেন ন্যাশনাল পার্টি অফ ইন্ডিয়া।

    অভিনয়ের ক্ষেত্রে বহুমূখী প্রতিভার অধিকারী দেব আনন্দ এরপর একের পর এক হিট সিনেমার মাধ্যমে দর্শকদের হৃদয় জয় করে নিয়েছেনপেয়িং গেস্ট’, ‘বাজি’, ‘জুয়েল থিফ’,’সিআইডি’, ‘জনি মেরা নাম’, ‘আমির গরিব’, ‘ওয়ারেন্ট’‘হরে রাম হরে কৃষ্ণ’ এবং ‘দেশ পরদেশ’–এর মতো সিনেমার মাধ্যমে।
    এই সব ছবি,আমোদিত করেছে সিনেমাপ্রেমীদের।অভারতীয় সিনেমার “গ্রেগরী পেকে”র অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০১-এ পদ্মভূষণ এবং ২০০২-এ দাদা সাহেব পুরস্কার দেওয়া হয় দেব আনন্দকে। ১৯৪৯-এ তিনি তাঁর নিজস্ব ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি ‘নবকেতন ইন্টারন্যাশনাল ফিল্মস’ গড়ে তোলেন।অএই কোম্পানি প্রায় ৩৫টি সিনেমার প্রযোজনা করে.
    ভারতীয় চলচ্চিত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ পুরস্কার ফিল্ম-ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দুবার পেয়েছেন দেব আনন্দ. প্রথমবার কালা পানি ছবিতে অভিনয়ের জন্য,দ্বিতীয়বার ১৯৬৬-এ গাইড সিনেমার জন্য।অগাইড সিনেমা ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডের পাঁচটি বিভাগে সেরার শিরোপা জিতে নেয়। ঐ বছরই বিদেশি ছবি হিসেবে অস্কার পুরস্কারের জন্য পাঠানো হয় ঐ ছবিটিকে। নোবেল বিজয়ী পার্ল এস বার্কের সঙ্গে দেব আনন্দ যৌথভাবে প্রযোজনা করেন গাইডের ইংরেজি ভার্সান- দ্য গুড আর্থ। ১৯৯৩- দেব আনন্দ ফিল্মফেয়ার লাইফটাইম অ্যাওয়ার্ড সম্মান পান।
    হলিউড মানে যদি স্ট্রবেরি আর ক্রিম হয়, বলিউড বা হিন্দি ফিল্ম হলো দেবআনন্দের ইংলিশ হ্যাট আর স্যুট।
    সালাম- দেবসাব!
  • maximin | 59.93.200.252 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৩505579
  • লেখো ঘনাদা। পড়ছি, পড়ব।
  • Ghanada | 223.223.136.127 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৩:৪৬505580
  • আরে সুস! তুমি পড়ছো? খুব ভালো লাগলো
  • Ghanada | 223.223.142.193 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪০505581
  • তুলসী চক্রবর্তী

    বাংলা সিনেমার স্বর্ণযুগ যে- সোনা হয়ে উঠতে পেরেছিলো তার অন্যতম কারণ তুলসী চক্রবর্তীর মত অভিনেতারা ছিলেন বলে।

    "সাড়ে ৭৪"-এ তুলসী চক্রবর্তী আর মলিনা দেবীকে ছেড়ে যেন উত্তম-সুচিত্রার দিকে চোখই যায়না |
    প্রথম সিনেমায় অভিনয়:-১৯৩২ এ। ছবির নাম ছিল- পুর্নজন্ম।
    হ্যাঁ! আমার যতদূর জানা আছে, তুলসী চক্রবর্তী “ মেঘে ঢাকা তারা” হয়েই ছিলেন। কিন্তু, তাতে তাঁর কোনো খেদ ছিল না। তিনি, এই রকম উপেক্ষাতেই অভ্যস্ত ছিলেন। বাংলা সিচুয়েশন কমেডির ভাণ্ডার একেবারে শূন্য নয়, কিছু কিছু রত্ন সেখানে রয়েছে, যেখানে তুলসী চক্রবর্তী একটি উঙ্কÄল রত্ন। অনেকদিন আগে একটা পত্রিকায় পড়েছিলাম( নামটা মনে নেই) :- শীতে কষ্ট পাচ্ছিলেন বলে, অনুপকুমার তুলসী চক্রবর্তীকে একটা কোট কিনে দিয়েছিলেন। সেটা পেয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন সন্তানহীন তুলসী চক্রবর্তী। অনুপকুমারকে জড়িয়ে ধরেছিলেন ছেলে হিসেবে। “পরশপাথর” ছবিতে সত্যজিৎ রায় তুলসী চক্রবর্তীকে মুখ্য চরিত্রে নির্বাচিত করায়, আর এক দফা হাউ হাউ করে কেঁদেছিলেন। এই ছবিতে অভিনয় করার জন্য কত পেয়েছিলেন, জানলে আপনাদের চোখে জল আসবে। মাত্র, ১৫০০ টাকা। ৩১৬ টার মত বাংলা ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। কোথাও নামমাত্র পয়সা বা কোথাও সবিনয় অনুরোধে, বিনে পয়সায় অভিনয় করতেন, এই অসাধারণ অভিনেতা। হাওড়ার শিবপুরে, নিজের বাড়ীতে ট্রাম ধরে ফিরে যেতেন স্যুটিং এর পর। টাক মাথা, ধুতি – হাফ ফতুয়া পরা এই ভদ্রলোক পৌরহিত্য করতেন টাকার জন্য।

    পরশপাথরে অভিনয়ের সময়, সত্যজিৎ রায় তুলসী বাবুকে ট্যাক্সি করে যাতায়াতের জন্য পরামর্শ দিয়ে হাতে টাকা দিয়েছিলেন। দুদিন যাতায়াতের পর তিনি সত্যজিৎ রায় কে বলেন:-এই ট্যাক্সি করে যাতায়াত কোরতে তিনি পারছেন না। এতে তিনি তাঁর অভিনয়ের স্বত: স্ফূর্ততা হারিয়ে ফেলছেন। তারপর থেকে তিনি আবার ট্রামেই যাতায়াত শুরু করেন।

    আজকালকার দিনে, কেউ ভাবতে পারবেন- এই কথা? অভিনয় করতেন কোনো মেক আপ ছাড়াই। খালি গায়ে স্যুটিং থাকলে তাঁর পৈতে দেখা যেত।
    ৩ রা মার্চ, ১৮৯৯ সালে হাওড়া জেলার গোয়ারী গ্রামে জন্ম। বাবা আশুতোষ চক্রবর্তী রেলে কাজ করতেন বলে, পড়াশোনার জন্য কাকা প্রসাদ চক্রবর্তীর কাছে থাকতেন, তুলসী চক্রবর্তী। প্রসাদবাবু, ষ্টার থিযেটারে হারমোনিয়াম আর তবলা বাজাতেন। সেই সূত্র ধরেই অভিনয় জগতে প্রবেশ। ত্‌ৎকালীন ষ্টার থিযেটারের মালিক ছিলেন- অপরেশ চন্দ্র মুখোপাধ্যায়। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই চোখে পড়ে যান অপরেশবাবুর। সালটা ছিল – ১৯১৬। এই অপরেশবাবুই তালিম দেন তুলসী চক্রবর্তীকে। টপ্পা গান, পাখোয়াজ বাজানো সব শিখেছিলেন। ১৯২০ তে প্রথম ষ্টেজে অভিনয় করেন। নাটকের নাম ছিল:- দুর্গেশনন্দিনী। ১৯২৭ সাল পর্যন্ত তিনি ষ্টার থিযেটারেই ছিলেন। পরে যোগ দেন, মনমোহন থিয়েটারে। ১৯৬০ সাল পর্যন্ত প্রায় ৪২টা নাটকে অভিনয় করেন। শেষ নাটক ছিল- শ্রেয়সী ( ১৯৬০)। তার পর তাঁর শারীরিক অসুস্থতার জন্য ( হৃদযন্ত্র) আর নাটকে অভিনয় করেন নি।

    ১১ ই ডিসেম্বর ১৯৬১ তে হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এই অভিনেতা। পয়সাও ছিল না চিকিৎসার জন্য। প্রচণ্ড দারিদ্র তো ছিলই, তার ওপরে নিজের বাড়ীটা দান করেছিলেন এলাকার দরিদ্র পুরোহিতদের জন্য। স্ত্রী উষারাণী দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেছেন একমুঠো খাবারের জন্য।
    মারা যাবার পর সরকারের তরফ থেকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোরও কোনও বন্দোবস্ত ছিল না তখন। অবশ্য তাতে কিছু আসে যায় না. তিনি আছেন. বাঙালির অন্তরে আছেন. থাকবেনও।
    তুলসী চক্রবর্তী অমর রহে।
  • T | 14.139.128.11 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:৪৫505582
  • সুস, মানে কি সুস্মিতাদি নাকি?
  • PM | 86.96.228.84 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৫:০৩505583
  • যতদুর মনে পড়ে আজকাল পত্রিকা তুলসী বাবুর বিধবার চুরান্ত অর্থকষ্টের কথা ছাপে এবং সাহায্যের আবেদন জানায়।

    বহুলোকের সাহায্যের জন্য পরে ধন্যবাদ-ও দেয়। পুরটাই স্মৃতি থেকে ভুল হতেও পারে।
  • Ghanada | 223.223.142.222 | ২৫ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:২৮505584
  • সঠিক তথ্য! তাই, ভদ্রমহিলা, শেষ জীবনে দু মুঠো ভাত রোজ পেয়েছিলেন।
  • dd | 124.247.203.12 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৬:৫৭505569
  • তুলসী বাবু সন্তানহীন ছিলেন ?
    ক্যামন জানি মনে হচ্ছে ৮০-৮২ সালে আমাদের আপিসের নাটকে যে পেশাদার নায়িকা এসেছিলেন (এখন আর তার আর নাম মনে নেই) তার কথা শুনেছিলাম যে তিনি তুলসী বাবুর মে'।

    তবে অ্যাতোদিন আগের কথা, অনেক স্মৃতি ই ক্যামন জানি লেবড়ে গ্যাছে।

    "শুকনো লংকা" নাকি তুলসী বাবুর লাইফ নিয়ে? দেখলাম। মিঠুন বাঙাল ভাষা কইতে গিয়ে যা ছড়িয়েছে ,ভাবা যায় না। রাগের চোটে নাচতে ইচ্ছে করছিলো।
  • y | 61.12.12.84 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:১৯505570
  • হুঁ, নি:সন্তান ছিলেন।

    ১১-ই ডিসেম্বর ওনার ৫০-তম মৃত্যুবার্ষিকী গেল, সেই উপলক্ষ্যে রোব্বার ক'টা ভালো লেখা ছেপেছিল - http://www.ezinemart.com/robbar/11122011/Home.aspx
  • kallol | 119.226.79.139 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ১৭:২৬505571
  • সত্যি। কেন যে গাধা পরিচালকটা মুঠুনকে দিয়ে বাঙ্গাল বলাতে গেলো! কলকাত্তাইয়া বললেও তো চলতো। অবশ্য মিঠুনটার যা স-এর দোষ।
  • kd | 59.93.193.64 | ২৬ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২৬505572
  • স-এর দোষ না, স-এর গুণ। এমনভাবে বলতে হয় (প-আ টইএর বাইরে)। যেমন আজকাল ""ষাট বছরের তরুণ'' বলে।
  • maximin | 59.93.165.154 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:০১505573
  • ঘনাদার লেখাতে অনেক নতুন কথা জানলাম। সত্যজিত রায়ের সেরা পাঁচ বলতে গিয়ে বরাবর পরশপাথরকে ওপরের দিকে রেখেছি। এর জন্যে অনেকটা কৃতিত্ব তুলসী চক্রবর্তী দাবি করতে পারেন।
  • MR | 70.122.242.230 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ০২:৩০505574
  • ঋতু গুহ মারা গেলেন। কোনো অনুষ্ঠান দেখলামনা তারা মিউজিকে, বা অন্য কোথাও একটা ভালো আর্টিকল পড়লাম না। এটাকি বুদ্ধদেব গুহর অন্য পার্টির প্রতি আকর্ষণের দরুণ? তারা বাংলায় আমাদের সব মহান আবৃত্তিকার যেমন, প্রদীপ ঘোষ এরা সব ব্রাত্য। বাংলাদেশী আর্টিষ্টে ভর্তি।
  • Kaju | 121.242.160.180 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ১৪:০৫505575
  • গত বছর 'যাঁরা চলে গেলেন' বলে একটা টই খোলা হয়েছিল। এ বছরে সে টই যদি আবার খোলা হয়, হয়ত পাতায় ধরবে না আর। তবু যদি করা যায়, শ্রদ্ধাঞ্জলি নাম সার্থক হবে। কত বিশিষ্ট প্রিয় নক্ষত্রকে হারালাম শুধু এই একটি বছরে। ধন্যি তুমি ২০১১ !
  • Ghanada | 223.223.129.71 | ২৮ ডিসেম্বর ২০১১ ২১:২৮505576
  • “জগতে” আনন্দ যজ্ঞে

    বাঙালী জাতটা আদতে খুবই নাক উঁচু! (জানি, এক্ষুনি হই হই করে বেশ কয়েকটা প্রতিবাদী পোষ্ট পড়তেও পারে- তবে, আম্মো লাচার) ধরুন, একটা বাড়ীতে হয়, গেট টুগেদার, অনেক লোক মিলে আড্ডা, এই সব হচ্ছে! অবধারিত ভাবে, একবার না একবার গান, কবিতা, চুটকী, পি.এন. পি.সি. এইসব হবেই হবে।
    ধরুন- আমি হুমারুকে ( এটা কিন্তু একটা প্রতিকী নাম) বললাম- একটা গান গাও তো হে! ও হয়তো, সুমনের গান ধরল। শোনার পর, কেউ একজন বলল- রবীন্দ্র সঙ্গীত হোক । বেশ হলো। এবার কেউ বলল- একটা হিন্দী গান হোক! অমনি- সবাই হাঁ হাঁ করে উঠবে।
    অনেক তর্ক- বিতর্কের পর, বড়জোর মহম্মদ রফি বা মান্না দের গান হবে! কিন্তু- গজল? নৈব নৈব চ!
    কারণ একটাই! এই গজলের কয়েকটা মুশকিল আছে। গলায় সুর না থাকলেও অন্য গান বাঙালী সাহস করে গেয়ে দেবে, কিন্তু গজল? ওরে বাবা! ঐ গিটকিরি, তান, লয়- সবার ওপরে উর্দ্দু লব্জ, বাঙালী ঠিক বুঝতেও চায় না বা বলা ভালো বুঝতে চায় না! তার ওপর, ঐ যে বললাম! নাক উঁচু! বাংলা ভাষার ধারে কাছে কেউ আছে নাকি?
    এই ধারণাটাই ভেঙেছিলেন, সদ্য প্রত জগজিৎ সিং আর গুলজার! গজল, নগমা, গীতের পার্থক্য ভুলিয়ে দিয়ে এরা সেই প্রথাগত গজলকে ভুলিয়ে দিয়ে,আম বাঙালী তথা ভারতীয় বা বলা ভাল- সারা পৃথিবীর কাছে তুলে ধরলেন।
    শরীর থাকলেই মৃত্যু থাকবে! এটা কোনো আপ্তবাক্য নয়, প্রতিষ্ঠিত সত্য।
    প্রত্যেকেই কালের নিয়মে চলে যান! কিছু কিছু লোক থেকে যান হৃদয়ের মণিকোঠায়! এরা না থেকেও আছেন।

    শোক তো থাকবেই! ছাড়ুন সেই শোক! আসুন- অল্প আড্ডা মারি, জগজিৎ সিংকে নিয়ে।
    জগজিৎ আর দাড়ি- টাড়ি কাটবেন না বা রেওয়াজ করবেন না, আর পাঁচটা লোকের মত বা গায়কের মত, কিন্তু থেকে যাবেন, স্মৃতিচারণে, গানের সি ডিতে।
    প্রথাগত গজলের কয়েকটা নিয়ম ছিল। তবলার ভূমিকা, এস্রাজ আর হারমোনিয়াম। জগজিৎ আনলেন- গীটার। তবলাকে মেলো করে দিলেন। এলো বেহালা আর বাঁশী।অপ্রথমে, প্রচুর সমালোচনা হয়েছিল- কিন্তু সবাই জানে; সবসময়ই “ মৌলবাদী” আর “প্রগতিশীল” দের দল থাকে।

    এবারে কিন্তু “প্রগতিশীল” রাই দলে ভারী হলো। ১৯৮৭ সালে প্রকাশিত হলো ভারতের প্রথম মাল্টি চ্যানেল রেকর্ডের ( আসলে,ফোর ট্‌র্‌যক ডিজিটাল সাউণ্ড) আলবাম- বিয়ণ্ড দ্যা টাইম। বেরোতেই হই হই-চই চই!
    সাউণ্ড ইঞ্জিনিয়ার, গুলজার, বাদ্যযন্ত্রী আর জগজিৎ সিং এর সমবেত প্রচেষ্টা। পরপর বেরুতে লাগল আয়লবাম।
    তবে সাফল্য এত সহজে ধরা দেয়নি তাঁর কাছে । মুম্বাইতে প্লে-ব্যাক গেয়ে ভাগ্য পরীক্ষা করতে আসেন ১৯৬১ তে কিন্তু তেমন সুবিধে না হওয়ায় আবার জলন্ধরেই চলে যান | কিন্তু নতুন উদ্যমে আবার স্বপ্নের মুম্বাইতে ফিরে আসেন ১৯৬৫ এ আরেকবার চেষ্টা করে দেখার জন্যে । HMV থেকে দুটি গজল রেকর্ড হয় । পাগড়ি ও দাড়ি ছেড়ে নতুন রূপ নেন | প্লে-ব্যাক তখন অবধি স্বপ্নই…। জিঙ্গল , ডকুমেন্টারি ইত্যাদি তে সঙ্গীত পরিচালনা করেই রুজিরোজগার চলছিল | বাঙালী মেয়ে জিঙ্গল গায়িকা চিত্রা দত্তের সাথেও সেই সময়ে দেখা ও ১৯৭০ এ পরিণয় সূত্রে আবদ্ধ হওয়া । এর পর ভাগ্যের চাকা ঘুরতে থাকে ।
    তাতে সিনেমা জগতের লাভ না হলেও গজল সঙ্গীতের ক্ষয়িষ্ণু ধারা পেলো এক নবজীবন | ১৯৭৫ এ HMV র উত্‌সাহে তিনি চিত্রার সাথে এক অনন্য আঙ্গিকে তাঁর প্রথম গজলের LP রেকর্ড বের করলেন ‘TheUnfogettables’ । প্রত্যেকটি গান অসাধারণ এবং বলাই বাহুল্য গানগুলি তাঁর নিজেরই সুরারোপিত । ব্যবহৃত হলো সারেঙ্গী ও তবলা ছাড়া অন্য বাদ্যযন্ত্র | সে রেকর্ড অসামান্য জনপ্রিয়তার তুঙ্গে উঠে গেল ।

    এর পর আর পেছন ফিরে দেখতে হয়নি | বের হলো প্রথম ডাবল এলবাম ‘ComeAlive’| এর পর আরো দুটি ডাবল এলবাম ‘LiveatWembley’ এবং ‘LiveatRoyalAlbertHall’, লাইভ কনসার্ট থেকে, ১৯৭৯ ও ১৯৮২ তে| জগজিত-চিত্রা জুটি ততদিনে খ্যাতির তুঙ্গে |
    ২৮ জুলাই ১৯৯০। বিবেক, মারা গেল পথ দুর্ঘটনায়। জগজিৎ আর চিত্রা সিংঅএর একমাত্র সন্তান!
    তার মাত্র তিন মাস আগে গানগুলো রেকর্ডিং হয়েছিল!
    বিবেক বলেছিল:- বাবা, আমি এর রিভিউ ম্যনেজমেন্ট করব।অআমার একটা ফোটো যেন থাকে ঐ সিডির কভারে।
    সেই সিডির কোনো নামকরণ হয় নি তখনও!
    পরে- জগজিৎ নাম দিলেন:- সামওয়ান সামহয়্যার! চিত্রার সেই শেষ সিডি- জগজিৎ এর সঙ্গে!
    তারপর অনেক ঝড়, পারিবারিক জীবনে! চিত্রা গান ছেড়ে দিলেন!
    বর্তমানে তিনি পক্ষাঘাত গ্রস্তা!
    মনে- আমাদের সেই গান:-

    আপ কো ভুল যায়েঁ হম, ইতনে তো বেওয়াফা নহীঁ
    আপ সে ক্যা গিলা করেঁ আপ সে কুছ গিলা নহী।অ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লড়াকু মতামত দিন