এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • DB | 115.187.39.212 | ২১ জুন ২০১১ ১৯:০৮479052
  • প্রাককথন:
    এক ঘনিষ্ঠ বন্ধুর প্ররোচনায় রবীন্দ্রসঙ্গীতের এক কিংবদন্তি গায়কের সঙ্গে আমার পরিচয়ের কথা লেখাটি শুরু করেছি।শুরু করার আগে একটু ভূমিকা করেনেবার জন্য কিছু কিছু নিজের কথা অত্যন্ত সঙোচের সঙ্গে লিখছি।
    খুব ছোটো বেলা থেকেই আমাদের বাড়িতে বাংলা গান,বিশেষ করে রবীন্দ্রনাথের গানের একটা পরিবেশ আমরা পেয়েছিলাম। অবসর বিনোদনের জন্য বাবা নিজে তো গান গাইতেনই , সেই সঙ্গে বন্ধুবান্ধব পরিচিত সঙ্গীত প্রেমী মানুষদের নিয়ে আমাদের জামশেদপুরের বাড়িতে মাঝে মাঝেইছোটোখাটো ঘরোয়া আসর বসাতেন। এই পরিবেশের কল্যানে গানের প্রতি আমাদের ভাইবোনেদের গভীর অনুরাগ গড়ে উঠেছিল এবং কিছুটা স্বভাবিক পটুত্বও জন্মে গিয়েছিল। পরবর্তী কালে তার ওপরে শিক্ষার পালিশ পড়েছিল বটে কিন্তু সে অন্য গল্প ।
    স্কুলে যাওয়া ,বাড়িতে পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে রেডিওতে সকাল সাতটা চল্লিশের রবীন্দ্র সঙ্গীতের অনুষ্ঠান , অনুরোধের আসর শোনাটা একরকম নেশায় দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। রেডিওতে গান শুনতাম আর মনে মনে ভাবতাম রেডিওর শিল্পীরা বোধহয় আমাদের মত সাধারণ মানুষ নন ,তাঁরা হয়ত কোন ভৈঙ্গ্রহের মানুষ ! অবাস্তব ধারণাটা পাল্টাতে শুরু করেছিল গানের স্কুলে ভর্তি হবার পর। । তখন বয়স ও কিছুটা বেড়েচে। জামশেদপুরের টেগোর সোসাইটি পরিচালিত স্কুলে থার্ড ইয়ারে এসে Visiting professor হিসেবে পেলাম সুবিনয় রায়কে। মাসে একটা রবিবার তিনি আমাদের স্পেশাল ক্লাস নিতেন। গান তো শেখাতেনই সেই সঙ্গে রবীন্দ্র সঙ্গীত নিয়ে নানা তাত্বিক আলোচনা করতেন। তার খুব কমই সেই আঠের বছর বয়েসে মাথায় ঢুকত , তবু ভালো লাগত আলোচনা শুনতে। তবে যখন নিজে গেয়ে গান শেখাতেন তখন সে গান আমার কন্ঠে তোলার চেয়ে মুগ্‌ধ বিষ্ময়ে আমি শুনতাম সুবিনয়রায়ের গান। শুনতে শুনতে মনে হত যেন তাঁর গলা থেকে বেরিয়ে আসা সুরগুলো পেঁজা তুলোর মত উড়ে উড়ে বেড়াচ্ছে হলঘর ময় ,চাদের কিনারে! রোমাঞ্চিত হতাম ভেবে যে একজন প্রথমসারুইর এমন এক শিল্পীর সামনে বসে আমি গান শিখছি যাঁর গান রেডিও, গ্রামাফোন রেকে্‌র্‌ড শুনে হাজার হাজার মানুষ মুগ্‌ধ হন , আপ্লুত হন।
    তবে অতো কাছাকাছি বসে গান শেখা সত্বেও কিন্তু মানুষটির সঙ্গে মানসিক দুরত্বটা ঘুচতনা - একটা শ্রদ্ধামেশান সম্ভ্রম,অবোধের ব্যবধান সর্বদাই থেকে যেত আমাদের মধ্যে।
    যতদুর মনে পড়ে ফোর্থ ইয়ারে ওঠার পর আমাদের বার্ষিক পরীক্ষা নিতে এলেন শ্রীমতী মায়াসেন । অত্যন্ত কড়াধাতের পরীক্ষক্ল এবঙ শিক্ষিকা মায়াদি । কিন্তু পরে আবিস্কার করলাম আসলে মানুষটি অত্যন্ত স্নেহপরায়না ।দৈবক্রমে আমার সঙ্গে তাঁর একটা অত্যন্ত স্নেহে্‌হর সম্পর্ক্ল গড়ে উঠেছিল খুব অল্প সময়ের মধ্যে। তাই তাঁরই মধ্যস্থতায়ে্‌তই একদিন অকষ্মাৎ যোগাযোগ ঘতে গেল প্রখ্যাত রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাসের সঙ্গে। প্রাথমিক আলাপের রেশ কাটতে না কাততে তিনি হয়ে উঠলেন আমাদের পরিবারের সকলের জর্জদা
  • Nina | 12.149.39.84 | ২১ জুন ২০১১ ১৯:৩৯479055
  • বাহ! চলুক চলুক :-))
  • m | 117.194.42.162 | ২১ জুন ২০১১ ২২:৫২479056
  • তারপর
  • Manish | 59.90.135.107 | ২৩ জুন ২০১১ ১৪:২৫479057
  • দীপঙ্কর বাবু থামলেন কেনো, বেশ সুন্দর হচ্ছে তো। প্রসঙ্গত জানাই আমার বড় ছেলে জামশেদপুরের টেগোর একাডেমী থেকেই উ:মা: দিয়েছিলো।
  • Dipankar Basu | 115.187.59.42 | ২৩ জুন ২০১১ ১৭:৫৫479058
  • জামশেদপুরের টেগোর সোসাইটি থেকে রবীন্দ্র সংগীতে উপ্পাধী পরীক্ষায় পাশকরার পর আর পাঁচজনের মতই মনে ইচ্ছে জেগেছিল আকাশবাণী কলকাতার শিল্পী হিসেবে নিজেকে নথীভুক্ত করতে যাতে নিয়মিত ভাবে আমার গাওয়া গান প্রচারিত হতে পারে,তার জন্য আবার অডিশনে পাশ করতে হবে। মায়াদির নির্দেশ মত তিনচারটি গান ভালোভাবে প্র্যাক্টিস করে হাজির হলাম মায়াদির বালিগঞ্জ প্লেসের বাড়িতে। মায়াদির বসার ঘরে ঢুকে স্থির হয়ে বসার পর চোখে পড়ল ঘরের একপাশে সোফায় একটা গেরুয়া রঙের জোব্বা মত কিছু পরে কালো মত একজন বসে আছেন। ।মনটা কেন জানিনা অকারণেই অপ্রসন্ন হয়ে উঠল। একটু পরেই হয়ত গানের কোথাও কোন ত্রুটী পেলে মায়াদি এই অপরিচীত লোকটির সামনেই হয়ত বকাঝকা করবেন। কিন্তু মায়াদি সে পথে গেলেননা। কোনে চুপচাপ বসে থাকা লোকটিকে আমার সম্পর্কে প্রশংসা সূচক কিছু কথা বলে আমার আগমনের উদ্দেশ্যও জানালেন। তারপর আমার দিকে ফিরে বললেন " তোমার গানগুলো জর্জদাকেই শুনিয়ে দাও "" মায়াদির কথা শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়ে । জর্জদা ! মানে, দেবব্রত বিশ্বাসকে শোনাতে হবে গান ! মনে মনে ভাবি মরতে কেন যে এলাম। ভয়ে সঙ্কোচে গলা শুকিয়ে কাঠ। মনে মনে একটু লজ্জাও পেলাম জর্জদাকে কক্‌খনও সামনে থেকে দেখিনি তাই চিনতেও পারিনি, ভেবেছিলাম উনি বুঝি উটকো কোন লোক ।যাইহোক কোন মতে নিজেকে গুছিয়ে নিয়ে গান শুরুকরলাম।যতদূর মনে পড়ে দুটি গান গেয়েছিলাম সেদিন - কবে আমি বাহির হলেম তোমারি গান গেয়ে, আর আমার শেষপারাণীর কড়ি কন্ঠেনিলেম গান ।
    জর্জদা হারমোনিআমে সা-পা সুর দুটি ধরে বসে বসে মন দিয়ে শুনলেন দুটি গান। কিছুকিছু ত্রুটি সম্পর্কে সজাগ করে দিলেন।
    যদিও সেবার আমি অডিশনে পাশ করতে পারিনি। আকাশবাণীর স্টুডিওতে মাইক্রোফোনের সামনে বসে গান গাইতে গিয়ে নার্ভাস হয়ে , গলা কেংপে সে এক বিশ্রী অবস্থা সৃষ্টি হয়েছিল। সঙ্গত কারণেই খুব মুশড়ে পড়েছিলাম। তবু এই ভেবে মন কে স্বান্তনা দিলাম যে এবার আকাশবনীর অদিশন পাশ না করলেও জর্‌ক্‌জদার সঙ্গে আলাপ হল সামনাসামনি - আমার গান তাঁর ভাল লেগেছে সেটাও একটা বড় প্রাপ্তি।
    গানের পর্ব মিটলে পর শুরু হল গল্প। আমার সঙ্গে ছিলেন আমার বাবা -মুলত তাঁর সঙ্গেই কথপোকথন হচ্ছিল। আমি অবাক হয়ে শুনছিলাম তাঁর ভারি আথচ অসম্ভব সুরেলা গলায় পরিশীলিত বাচনভঙ্গীতে কেমন সহজে আড্ডায় মেতে উঠলেন। যৌবনে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ যোগ ছিল IPTA র সঙ্গে। গল্প গড়িয়ে চলল তারই সূত্র ধরে।IPTAর দিনগুলোর স্মৃতিচারণ , কখনও গানের প্রসঙ্গে দুই এক কলি গান গেয়ে ওঠা কখনও ব্‌না হাল্কা রসিকতায় সে এক ভাষাতীত জমাটি আড্ডা
  • Manish | 59.90.135.107 | ২৩ জুন ২০১১ ১৮:৪৫479059
  • দীপঙ্করবাবু একটা কথা খুব জানতে ইচ্ছে করছে তা হলো জর্জ বিশ্বাস কি সত্যি বাঙাল ভাষায় কথা বলতেন।
  • Dipankar Basu | 115.187.40.121 | ২৪ জুন ২০১১ ১৭:২৫479060
  • মনীষবাবু,
    দেবব্রত বিশ্বাস তাঁর পুর্ববঙ্গীয় ভাষায় কথা বলতে ভালো বাসতেন। তবে আমাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলার সময়ে কলকাতার বাংলাতেই কথা বলতেন।

  • Dipankar Basu | 115.187.40.121 | ২৪ জুন ২০১১ ১৮:১৪479061
  • জামশেদপুর শহরের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবছরই রবীন্দ্রসঙ্গীত সম্মেলন এর আয়োজন হত। তার মধ্যে বেঙ্গলক্লাবের রবীন্দ্রমঞ্চে রবীন্দ্রজয়ন্তির সময়ে কলকাতা থেকে বহু শিল্পী প্রতি বছরেই আমন্ত্রিত হয়ে আসতেন গান শোনাতে। নিয়মিতভাবে প্রায় প্রতি বছর যাঁদের গান আমরা শুইনতে পেতাম তাঁদের মধ্যেছিলেন হেমন্তমুখোপাধ্যায় ,সূচিত্রামিত্র ,কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ,চিন্ময় চট্ট্যোপাধ্যায় দেবব্রত বিশ্বাস ঋতুগুহ সুবিনয় রায় সুমিত্রাসেন সাগর সেন দ্বিজেনমুখোপাধ্যায় সন্তোষ সেনগুপ্ত এবং আরো অনেকে। কয়েকবার বাংলাদেশের সনি্‌জদাখাতুন ফাহমিদাখাতুন রা ও গান শুনিয়ে গেছেন ।সে সময়ে সাধারণত আমন্ত্রিত শিল্পীদের রাখা হত বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের বাড়িতে । ১৯৭২ সালে রবীন্দ্র জয়ন্তি উপলক্ষে গান গাইউতে এসেছিলেন দেবব্রত বিশ্বাস । সেবার উঠেছিলেন আমাদের বাড়িতে।
    দেবব্রত বিশ্বাস আমাদের বাড়িতে এসে উঠাকবেন এখবর আমাদের বাড়ির সবাইকে শিহরিত করেছিল। কোন ঘরে তাঁকে থাকার জয়গা দেওয়া হবে কি খাওয়ান হবে এই সব নিয়ে খুব মাতামাতি লেগে গিয়েছিল। বাবা কোন সুট্রে জেনেছিলেন যে জর্জদা রাবড়ি খেতে ভালোবাসেন। জামশেদপুরে রাবড়ি খুব জনপ্রিয় মিষ্টি নয়, তাই সর্বত্র পাওয়াও যায়না । অনেক খুঁজেপেতে সাকচির একটি দোকান থেকে জর্জদার জন্য রাবড়ি সংগ্রহ করে এনেছিলেন বাবা। মাও বাড়িতে নানারকম পদ রান্না করেছিলেন ।পরিমানে খুব বেশী না হলেও খুব তৃপ্তি করে সে সবই খেয়েছিলেন জর্জদা। যে দুদিন তিনি আমাদের বাড়িতে ছিলেন সে দুটো দিন গোতাবাড়ি্‌জতে একটা উৎসবের আবহ তৈরী হয়ে গিয়েছিল। জর্জদা কখনও গান গাইছেন -তোরা যে যা বলিস ভাই আমার সোনার হরিণ চাই । বাথরুমে স্নানকরতে গিয়ে গেয়েচলেছেন বিচিত্র কথা ও সুরে -আমার সোনার হরিণ চাই, তারপর অনেকটা কীর্তনের আখরের মত করে আমার সোনারহরিণ কোথায় গেলো ও ও ও ।আবার কখনও দেখা করতে আসা অভ্যাগতদের সঙ্গে কথা বলছেন আবার তারই ফঁকে সটান গিয়ে হাজির হচ্ছেন রান্নাঘরের দরজায়। বোসদি আজ কি রাঁধছেন? তারপর কি রান্না হচ্ছে জেনে নিয়ে সেটা কিভাবে রাঁধতে হবে সে সম্পর্কে মাকে নানারকম নির্দেশ দিচ্ছেন ..... এক কথায় গোটা বাড়িটা তাঁর উপস্থিতিতে একেবারে সরগরম হয়ে আছে।
    সেইদিন সন্ধ্যায় দুতিনজন শিল্পীর পরে অনুষ্ঠানের শেষ শিল্পী হিসেবে গাইতে বসলেন জর্জদা ।পূর্ববর্তী শিল্পীর গান শেষ হয়ে যাবার পর স্টেজে পর্দা টেনে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তী শিল্পী হিসেবে জর্জদার নাম ঘোষনা হবার পর অডিটোরিয়ামের আলো নিভিয়ে দেওয়া হল । মঞ্চে তখনও পর্দা টানা। প্রেক্ষাগৃহে সকলেই অধীর আগ্রহে তাকিয়ে আছেন গান শোনার জন্য । সেই থমকে থাকা সময়ের একেবারে গভীর কোন অন্তর থেকে ধ্বণি জাগল - কে গো অন্তরতর সে
    নড়ে উঠলো পর্দা ,প্রকাশমান হলেন শিল্পী দেবব্রত বিশ্বাস ।আলোকিত মঞ্চের মাঝখানে চেয়ারে বসে আছেন শিল্পী , সামনের টেবিলে রাখা হারমোনিয়ামকে প্রায় টেনে কোলে তুলে নিয়েছেন ।গেয়ে চলেছেন
    কেগো অন্তরতর সে
    আমার চেতনা আমার বেদনা তারি সুগভীর পরশে
    গানের যন্ত্রানুষঙ্গ বলতে হারমোনিয়াম আর মন্দিরা মাত্র , কিন্তু তাঁর দরাজ সুরেলা কন্ঠস্বর সারা হল ময় গমগম করছে।জর্জদা গেয়ে চলেছেন

    আঁখিতে আমার বুলায় মন্ত্র জাগায় হৃদয়বীনার তন্ত্র
    কত আনন্দে জাগায় ছান্দ কত সুখে দুখে হরষে ...
    অন্যান্য শ্রোতাদের মাঝে মসে সেই গান শুনতে শুইনতে আমার মনে হয়েছিল এ গান আর কারো রচনা নয় এ যেন ঋষিকল্প শিল্পীরই একান্ত আপন অন্তরের উৎসার ।তারই তরঙ্গ দোলা আমার হৃদয়বীনার তারে তারে ঝঙ্কৃত হয়ে চলেছে ।
    কানায় কানায় ভরা মন নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম সে রাত্রে মনের মধ্যে তখনও যেন বাজছে
    সোনালী রূপালী সবুজে সুনীলে
    সে এমন মায়া কেমনে গাঁথিলে
    তারি সে আড়ালে চরণ বাড়ালে ডুবালে সে সূধা সরসে ।
    সত্যই ডুবেছিলাম সূধাসরসে সে সন্ধ্যায়। জর্‌জ্‌দার ভাষায় আমরা বোল্ড আউট হয়েছিলাম।
    বাড়ি ফিরে৪ এসে জর্জদা জানতে চাইলেন গান কেমন লেগেছে । সে বয়সে খুব গুছিয়ে কিছু বলার অভ্যাস তো ছিলনা তার ওপরে দেবব্রতবিশ্বাসকে তাঁরা গান আমার কেমন লেগেছে জানাতে হবে। স্বভাবতই সঙ্কোচের সঙ্গে কোন মতে বলি এমন নাড়া দেওয়াগান আমি কখনও শুনেছি বলে মনে পড়েনা । গান শুনতে শুনতে আমার গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল ।
    ছেলেমানুষের মত খুশীতে ঝলমলিয়ে উঠেছিল তার চোখ মুখ। বলেছিলেন তার মানে আজ আমি অনেক গুলো উইকেট পেয়েছি। আমার কাছে গানগাওয়াটা হচ্ছে ক্রিকেট খেলার মত। গান হল আমার হাতের বল, আর শ্রোতাদের intelect and emotions হল উইকেট ।গানে গানে আমি গুগলি বাম্পার প্রভৃতি বল ছুঁড়ে সেই স্টাম্পে আঘাত করতে চেষ্টা করি। স্টাম্পে বল লাগলে ব্যাট্‌সম্যানের মত শ্রোতা আউট য়ে যান।অর্থাৎ অভিভুত হন ।এ কাজে কোনদিন সফল হই আবার কখনও সফল হইনা।
    আমার সেই বাইশ তেইশ বছর বয়সী বুদ্ধিতে বক্তব্যটা র গুরুত্ব সম্যক ধরা দেয়নি । ধীরে ধীরে বিঝেছিলাম পেশাদার শিল্পী বলতে ঠিক কি বোঝায়
  • siki | 122.162.75.163 | ২৪ জুন ২০১১ ২১:১২479062
  • অপূর্ব!
  • Nina | 12.149.39.84 | ২৪ জুন ২০১১ ২১:৫৬479053
  • বাসুভাই
    মাতিয়ে দিয়েছ!! আরও আরও ( হে হে প্রভু নয় বাসুভাই) আরও আরও !!
    তোমার কাছে চিঠিগুলো ও দিও প্লিজ, ওনার লেখা।
  • Shibanshu | 117.195.156.28 | ২৫ জুন ২০১১ ১৮:৪৪479054
  • বাবিদা,
    ঐ অনুষ্ঠানটি ছিলো বার্ষিক রবীন্দ্রমেলার অংশ। মঞ্চ প্রথমে আলোয় ছিলো আর প্রেক্ষাগৃহ অন্ধকার। জর্জদা বললেন সব বাতি জ্বালিয়ে দাও। সম্ভবত সেবারই 'যায় নিয়ে যায় , আমায় নিয়ে যায়...' গেয়েছিলেন। আমার প্রথম শোনা সেই গান। সেই বাল্যবয়েস থেকে তাড়া করে। তার পরেও অন্তত তিন বার তিনি জামশেদপুরে গাইতে এসেছিলেন। যতোদূর মনে পড়ছে শেষবার, সাতাত্তর সালে। অনেক গল্প আছে ওনার জামশেদপুরের সঙ্গে। আপনাদের বাড়ি একদিন সকালবেলার আড্ডা, আমি বাবার সঙ্গে গিয়েছিলুম, আমার মনে আছে। ব্রাত্যজন তখন সম্ভবত লেখা হচ্ছে। গল্পগুলো যেরকম মনে পড়ছে লিখে যান। আমার কিছু মনে পড়লে হয়তো জুড়ে দেবো।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে মতামত দিন