এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • ভাটিয়ালি

  • এ হল কথা চালাচালির পাতা। খোলামেলা আড্ডা দিন। ঝপাঝপ লিখুন। অন্যের পোস্টের টপাটপ উত্তর দিন। এই পাতার কোনো বিষয়বস্তু নেই। যে যা খুশি লেখেন, লিখেই চলেন। ইয়ার্কি মারেন, গম্ভীর কথা বলেন, তর্ক করেন, ফাটিয়ে হাসেন, কেঁদে ভাসান, এমনকি রেগে পাতা ছেড়ে চলেও যান।
    যা খুশি লিখবেন। লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়। এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই। সাজানো বাগান নয়, ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি। এই হল আমাদের অনলাইন কমিউনিটি ঠেক। আপনিও জমে যান। বাংলা লেখা দেখবেন জলের মতো সোজা। আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি।
  • গুরুভার আমার গুরু গুরুতে নতুন? বন্ধুদের জানান
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::370:adf9 | ২৪ জুলাই ২০২০ ১১:৫৬451000
  • উপঢৌকন মানে ছোটো ঢাকনা?
  • :) | 145.239.82.87 | ২৪ জুলাই ২০২০ ১১:৫৫450999
  • না উপবাস মানে আন্ডু

  • সম্বিৎ | ২৪ জুলাই ২০২০ ১১:৪৮450998
  • কচ্ছপের আরেক নাম উপদ্রুত। 

    মুচকি হাসিকে ভাল বাংলায় উপহাস বলে।

    উপাচার মানে চাটনি।

  • b | 14.139.196.11 | ২৪ জুলাই ২০২০ ১১:৪৪450997
  • উপবাস মানে মিনি বাস। এবার বাস যে অর্থে লন।
  • বাহ | 2405:8100:8000:5ca1::362:b249 | ২৪ জুলাই ২০২০ ১০:৪৭450996
  • পিটি এন্ড কোং খুব খুশী হবে। গুরুর পন্ডিতরা রায় দিয়েছে পরিবেশরক্ষাফক্ষা সব ব্যাগড়াবাদীদের কম্ম।
  • r2h | 2405:201:8805:37c0:3d80:d7d7:2de8:7edd | ২৪ জুলাই ২০২০ ১০:৪৩450995
  • "...কিন্তু ভারতে পরিবেশ রক্ষার দাবিতে তরুণদের সেই আন্দোলন কেন্দ্রীয় সরকারের তোপের মুখে পড়ল। অপরাধ, কেন্দ্রের পরিবেশমন্ত্রীর কাছে অনেক ইমেল পাঠানো হচ্ছিল।

    দিল্লি পুলিশ এ দেশে ‘ফ্রাইডেজ় ফর ফিউচার’ আন্দোলনে যুক্ত তরুণ স্বেচ্ছাসেবকদের ‘হুমকি’ দিয়ে নোটিস জারি করেছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ইউএপিএ বা বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হতে পারে। ..."

    https://www.bengalinfo.com/newsdetail.php?newsid=58165

    এবার তো বিনা টিকিটে হাঁচলে পরেও পেয়াদা ধরবে। উফ।
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::5ad:1120 | ২৪ জুলাই ২০২০ ০৮:৩৮450994
  • কুনাল কামরা ইউটিউব চ্যানেলে দুটো স্ট্যান্ডাপ ভিডিও রিলিজ করেছে। চটপট দেখে ফেলুন।
  • অরিন | ২৪ জুলাই ২০২০ ০২:১৫450993
  • "আরেকটা কেলো হচছে ফলস মেমোরি। "

     এই ফলস মেমোরির সমস্যা যাতে না হয় তার  জন্য সঙ্গে একটা নোটবই রাখলে সুবিধে হয়, কোথায় গেলেন, কার সঙ্গে কথা বললেন ডেট  দিয়ে লিখে রাখলে পরে যখন কন্টাক্ট  ট্রেসিং এর লোকজন যোগাযোগ  করবেন তখন তাঁদের জানাতে সুবিধা হয়।  একই কাজে mobile  app  ও ব্যবহার করা যেতে পারে, যদিও পেন্সিল আর নোটবই আমার ব্যক্তিগত ধারণা app  এর থেকে বেশি কাজের।  

    করোনা  নিয়ে সোশ্যাল স্টিগমা র যে কথা পাই লিখেছে ও সবাই আলোচনা করছেন  সেইটা বহু জায়গাতেই অল্পবিস্তর লক্ষ্য করা যায়, বিশেষ করে যে সব মানুষ  "ও  ব্যাপারটা অন্যের, আমার নয়, অন্যের থেকে আমার হবে", এই ধারণা পোষণ করেন, তাঁদের মধ্যে  বেশি । এই ব্যাপারটিকে মাথায় রেখে   স্বাস্থ্যবিভাগের তরফে জনমাধ্যমে একটা নির্দেশিকা  দেওয়া যেতে পারে যে মানুষকে বোঝানো এমন ভাবে থাকুন যেন আপনি  নিজে  করোনা আক্রান্ত ও আপনার থেকে অন্যের হতে পারে, যাতে না নিজে না ছড়ান ।  চিন্তা ভাবনাটা যদি "ওর হয়েছে আমার হবে", এর চেয়ে "আমার হয়েও থাকতে পারে, আমার থেকে যেন আর কারুর না হয়" এই ভাবে ভাবা যায় তাহলে মনে হয় বৃহত্তর  সমাজের উপকার হবে।  

    এই প্রসঙ্গে মনে পড়লো, বহু বছর  আগে, আমার ছোটবেলায়, আমার এক মাসতুতো দাদার ডিপথিরিয়া ধরা পড়েছিল, তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। আমার বাবা নিয়ম করে দাদাকে হাসপাতালে দেখতে যেতেন, ওষুধ পত্রের কিনে দিতেন, কিন্তু আমার  মেসোমশাই তাঁর নিজের ছেলেকে কোনোদিন দেখতে যেতেন না, তিনি এতটাই আতংকিত যে ছেলের থেকে তাঁর অসুখ ধরবে ।  

  • | ২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:৫৭450992
  • আরেকটা কেলো হচছে ফলস মেমোরি। এই আমাদের এখানে প্রথম যে পরিবারে ধরা পড়ল তাদের একজন সম্ভবত ঘাবড়ে গিয়ে সব মুখচেনা লোকের নাম বলেছেন, সেই করে তাদের ও তাদের পরিবার মিলিয়ে ৭০ না ৭৫ জনের টেস্ট হয়েছে। অথচ এদিকে একজনের সাথে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খানিক গল্প করেছিলেন তাঁর কথা বেমালুম ভুলে গেছেন। আর হবি ত হ সেই মানুষেরই দিন সাতেকের মাথায় ধরা পড়ল। তিনি একটু দুরের আবাসনে থাকেন।
    এবার কিইবা করবেন, এই প্রথমজনের বয়স ৬৭… এমনিই ঘাবড়ে ছিলেন বারেবারে জিগ্যেস করায় আরো ঘাবড়ে গাদা গাদা লোকের নাম বলেছেন, যার আর্ধেকের বেশী লোক এঁদের কন্ট্যাক্টে আসেনই নি,
  • b | 14.139.196.11 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:২৬450991
  • আমাদের একজন অফিস স্টাফের বাড়িতে কোভিড ধরা পড়েছে। প্রথমে ফোন করে জানায় নেগেটিভ, সেই শুনে উনি জয়েন করেন, পরে তিনদিন পরে বলে, না না, পজিটিভ। আমাদের সবাইকে ৭ দিনের হোম কোয়ারান্টাইন। অফিস ইঃ ডিসইনফেক্ট করা হল।
    ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী একটা ঘরে আটকা। পাশের ঘরে বাচ্চাটার সাথে কথা বলতে গেলেও ফোনে বলতে হচ্ছে।
  • রৌহিন | ২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:১৮450989
  • আহা এরকম যদি সর্বত্র হত।

  • π | ২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:১০450988
  • তাও এসবের মধ্যে এগুলো পড়ে একটু ভরসা জাগেম কল্লোল লাহিড়ির লেখা।

    "রবিবার থেকে ঘুষঘুষে জ্বর ছিল। সেই জ্বর মাথা চাড়া দিল সোমবার। আমি মঙ্গলবার ডাক্তার দেখালাম। ডাক্তারবাবু এ্যান্টিবায়োটিক দিলেন। বুধবার আর কোন জ্বর এলো না। আবার বৃহষ্পতিবার দুপুরে সেই জ্বর থার্মোমিটারের এ মাথা থেকে ও মাথা ছুঁয়ে গেল দেখে বেশ ভয় পেয়ে গেলাম। যত বেলা বাড়তে থাকলো জ্বর পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল মনে হয়। না হলে ঘরের মধ্যে শ্রাবণের আকাশ, ধানের ক্ষেত আর নিজের সাথে প্রলাপ বকার মতো অবস্থা তৈরী হয় কী করে? সন্ধ্যের সময় জ্বরের যখন আর তাল ঠিকানা নেই ঠিক করে ফেললাম সামনেই উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হসপিটাল। সেখানে চলে যাই। এছাড়া আর কোন উপায় নেই। বাড়িতে মা আছে মধ্য সত্তর তার বয়েস। ছোট ভাইঝি আছে। সবাই মিলে বিপদে পড়ার কোন মানে হয় না। দাদার সাথে গিয়ে ভর্তি হলাম জীবনে প্রথম হসপিটালে। ভর্তি হবার সময় যিনি আমার সাথে কথা বলে সব কিছু জেনে নিচ্ছিলেন তিনি বার বার করে বলে দিলেন “আপনাকে আমরা ভর্তি নিতেই পারি। কিন্তু ভর্তি হতে হলে কোভিড আইসোলেশানে ভর্তি হতে হবে।” আমার তখন অন্য কোন অবস্থা ছিল না। আমি রাজী হয়ে যাই। উত্তরপাড়ায় রাজবাড়ি হসপিটাল এর পুরুষদের কোভিড আইসোলেশান ওয়ার্ডটা খুব বড়। ছড়ানো। যাওয়ার সাথে সাথে আমাকে অক্সিজেন এবং স্যালাইন দেওয়া হয়। এবং শুক্রবার থেকে আমার জ্বর, শ্বাস কষ্ট বা শারিরীক অন্যান্য কোন অসুবিধে আর দেখা যায় না। কোন ওষুধও খেতে হয় না। শনিবার আমার কোভিড টেস্ট হয়। এবং তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আমি হসপিটাল থেকে ছাড়া পাই। এগুলোতো হলো আমার কেজো কথা। যাঁরা প্রত্যেকদিন উৎকন্ঠায় ফোন করেছেন, ম্যাসেজ করেছেন, চিন্তা করেছেন তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর যেটা জরুরী কথা। জীবনের সবচেয়ে পরম পাওয়ার কথা সেটা হলো এই কদিন আমি লক্ষ্য করেছি আমার সেই খাটটার ওপর বসে থেকে কি অমানুষিক পরিশ্রম করছেন ওখানকার নার্সরা, দিদিরা, স্বাস্থ্যকর্মী দাদারা। এমন এক দিনও হয়নি যেদিন ডাক্তারবাবু দুবেলা আসেননি। প্রত্যেকদিন তিনি এসেছেন। জানতে চেয়েছেন আমার কোন শ্বাস কষ্ট আছে কিনা। আমার জ্বর আসছে কিনা। দিদিরা বারবার এসে জেনে গেছেন। প্রত্যেকের কাছে। অক্সিজেন চাইলে অক্সিজেন সবাই পাচ্ছে। ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলতে পারছেন। তারমধ্যেও কি মৃত্যু দেখিনি? হ্যাঁ দেখেছি। অনেক রাতে আমার পাশের বেডে যাকে বললাম এবার একটু ঘুমোনোর চেষ্টা করুন সকালে উঠে দেখলাম তিনি আর নেই। মৃত্যু অনেক দেখেছি। অনেক ছোট থেকে। কিন্তু এই মৃত্যুর অভিঘাত অনেক বেশী জীবনে। যেখানে প্রত্যেকবার জীবনের কাছে প্রশ্ন করতে হয়েছে “তাহলে কি আমি মরে যাচ্ছি?” যে ছেলে দুটো তার বাবাকে ভর্তি করতে নিয়ে এলো। হুইলচেয়ার থেকে নামাতে পারলো না তারা বাবাকে। শুয়ে শুয়ে দেখেছি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে বছর তেইশের দুটো ছেলে। ওরা কি আমাকেও দেখেছে তখন? ওদের চোখের জল তখন আমার চোখে। এই মারাত্মক নেগেটিভ ঢেউয়ের বিপরীতে আমাদের যাঁরা উজানের দিকে নিয়ে গেলেন সেই সব ডাক্তারবাবুকে, নার্স দিদিদের, স্বাস্থ্যকর্মী দাদাদের কথা ভুলবো কেমন করে? ওইরকম একটা পোষাক পরে ঘন্টার পর ঘন্টা কাজ করে চলেছেন। এতোটুকু বিরক্তি নেই। ভয় নেই। বরং কি প্রান। আর সেই প্রানের জোরেই বাড়ি ফেরা। আর একজন ছিলেন। সেই আশ্চর্য্য মানুষটি। মাঝরাতে চোখ খুললেই যে মুখের সামনে এসে দাঁড়াতো। “কী হয়েছে? কি লাগবে? ঘুমিয়ে পড়ো।” হ্যাঁ লাদেনদাকে আমি ভুলবো না। যাঁর ঠিকানা অনেকদিন ওই হসপিটাল। যিনি বিশ্বাস করেন জীবে প্রেম আসলে ঈশ্বরের সেবা। কোন টাকার বিনিময়ে তা পাওয়া যায় না। “লোকেরা তোমায় লাদেন বলে ডাকে কেন?” উত্তর আসে। “নামে কি এসে যায়?” চমকে উঠি আমি। আঙুল দিয়ে দেখায় “ওই যে...বইটা নিয়ে মাথার কাছে ঘুমোচ্ছো...। সাধনা বুঝলে সাধনা।” আমি অবধূতের দিকে একবার তাকাই। আধখোলা হয়ে পড়ে আছেন। রাত দুপুরে টহল দেয় গোটা ঘর লাদেনদা। যন্ত্রনায় কাতরানো মানুষ গুলোকে জল খাওয়ায়, ঘুম পাড়ায়। তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাওয়ার গল্প শোনায়। অথচ যার নিজের কোন বাড়ি নেই। সেবাই যার ঘর দোর। হসপিটাল যার গেরস্থালি। সেই মানুষগুলোর পাঁজরের ওপর ভর দিয়ে আমি বাড়ি ফিরি। আবার নতুন করে বাঁচবো বলে।
  • π | ২৩ জুলাই ২০২০ ২৩:০৯450987
  • আমার সোয়াইন ফ্লু র সময় এখানে একা ছিলাম, হাস্পস্তালে নিয়ে যাওয়া থেকে ধরা পড়ার পরেও হাস্পাতালে নানা কিছু রোজ দিয়ে আসা, অফিসের লোকেরাই করেছে, বর আসার আগে অব্দি। এত ছোঁয়াচে জেনেও দূরত্ব রেখে যতটা পারে, এরকম অচ্ছুত বানিয়ে দিলে কী হত ভাবি। এরকম রোগে যখন উঠতে অব্দি পারা যায়না, সেখানে সব কিছু নিজে করতে হলে কী অসম্ভব চাপ হয় দেখেছি, যদি কিছুটাও এগিয়ে দেওয়া, যোগান দেওয়া এসব না থাকে তো কী সাংঘাতিক হতে পারে!
  • | ২৩ জুলাই ২০২০ ২২:৪০450986
  • আমাদের আবাসনে ২২টা টাওয়ার। তার মধ্যে পাশাপাশি দুটো টাওয়ারে পজিটিভ কেস। মিনিসিপালিত আর স্বাস্থ্যদপ্তর এসে আবাসনকে কন্টেনমেন্ট জোন ডিক্লেয়ার করে গেল
    । ওই দুটো টাওয়ারে আবাসনের অন্যদের যাওয়াও নিষিদ্ধ। শুধু দুটো ভলান্টিয়ার গ্রুপ যাচ্ছে সব ফ্ল্যাটের জিনিষত্র পৌঁছাতে আর ডাস্টবিন থেকে ওয়েস্ট কালেক্ট করে আনতে। এক একটা টাওয়ারে ১৪ তলা ৫৬টা করে ফ্ল্যাট। ভকেউ কাউক্র গালিগালাজ ফ্ল্যাটছাড়া কিছুই করে নি।

    সেরকম একটাই কেস শোনা গেছে একটা আবাসনে। তাদের এগেন্সটে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে শুনছি।
  • π | ২৩ জুলাই ২০২০ ২২:৩৪450985
  • ঊর্মি এই সুন্দরবনে বই দেওয়ার কাজ, গুরুর নানা কাজেই যুক্ত।কথা হচ্ছিল, যত শুনছিলাম, মানে অসম্ভব রাগ ছাড়া আর কিছুই হচ্ছেনা।

    বিডিও বাদে পুলিশের কোন সহায়তা নেই। সেতো আমার মা বাবার বাড়ির পাশের কেস নিয়েও দেখলাম।
    কন্টাক্ট ট্রেসিংং এর কোন মুণ্ডুমাথা নেই। এদিকে ওদের টেস্ট হয়নি কিন্তু sms এসে গেছে স্যাম্পল চলে গেছে বলে! আইডি আসাইন্ড! রেজাল্টো নেগেটিভ চল্র আসবে নিশ্চয়!! এইভাবেই কত টেস্টের 'রেজাল্ট' আসছে কে জানে!

    অসম্ভব ফ্রাস্ট্রেটিং ডিপ্রেসিং পরিস্থিতি । সর্বত্র সবকিছু যেভাবে যা হ্যান্ডলড হচ্ছে!
  • π | ২৩ জুলাই ২০২০ ২২:২৮450984
  • ঊর্মির খবরটা আজকের এই সময়ে আছে। ছবি এল না।

    অরণ্যদা, শুনতে ভাল লাগিবেনা কিন্তু আমার সামহাও মনে হচ্ছ্র এটা বাংালিদের মধ্যে বেশি। আর তার পিছনে মিডিয়ার প্যানিক সৃষ্টিকারী অবদান আছে।

    এই আমার এখানে, অফিসে, আমার ল্যাবেই সায়েন্টিস্টদের, আকাউন্টসের লোকজনের পজিটিভ। আমাদের সবার টেস্ট হচ্ছে। স্যানিটাইজেশন চলছে। আইসোলেশন। যাই হোক না কেন, এই একঘরে করার প্রবণতা তো নেই। এদ্দিন ধরে অফিস হয়্রছে। লোকে সমানে বাইরে থেকে এসেছে। কোথায় না কোথায় ফিল্ডে ঘুরে ঘুরে লোকজনকে সেরোসার্ভেলেন্স কররে হয়েছে, এসে পাশের ঘরেই থেকেছে। রোজ এত এত স্যাম্পল আসছে, পজিটিভ বেরচ্ছে। সেই স্যাম্পলর নানাবিধ হ্যান্ডলিং নানাজনকে কর‍্ততে হচ্ছে। যারা করছে, হোস্টেলে একসংগে সবার সংগেই খাওয়াদাওয়া করছে।
    কোনকিছুই বন্ধ হয়নি। করার উপায় নেই।
    কই এই অচ্ছুতপনা নেই তো কারুর। কোলকাতায় ডাক্তার নার্স নিয়ে যা দেখছি! এমনকি ত্রিপুরায় বাংালিদের মধ্যেও!! বলে বলে কতজনের মধ্যে কাটানো হয়েছে। সেই এক গল্প, হাস্পাতালে কাজ করা লোকজনকে ভাড়া থাকতে দেবে না ইঃ। এখন দেখছে এই লোকজনই ঘরে ঘরে ঘুরে ঘুরে বাঁচাচ্ছে! আর প্রিকশন নিলে ঠিকঠাক মানলে পাড়ায় বা বাড়িতে কারুর হলেই সবার হবেনা, এটাও বোঝার।

    সবচে বড় কথা, ভয় কি সাবধানতা যদি থাকেও, তার জন্য অপারগতার অসহায়তা থাকা উচিত। এ কেমন অমানবিক আচরণ!! মৃত বা অসুস্থের পরিবার, লোকজনের যেখানে বেশি সাহায্য, পাশে থাকা দরকার সেখানে উল্টে এইরকম আচরণ, স্টিগমা!
  • aranya | 162.115.44.102 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২২:০৩450982
  • উর্মি, অমৃতা এদের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে -
    'পাশের বাড়ি করোনা এসে গেছে, ফ্রেন্ডস আর বাঁচবোনা' এটা কি বিশেষ ভাবে ভারত বা ভারতীয় উপমহাদেশের ব্যাপার?

    করোনা তো বহু দেশে হচ্ছে, কিন্তু করোনা আক্রান্ত-দের নিয়ে এত আতঙ্ক যা প্রতিবেশীদের অমানুষ করে দিচ্ছে, এটা কি অন্য দেশে ঘটছে?
  • aranya | 162.115.44.102 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২১:৫৬450981
  • হুতো, পাই - তোমাদের আগের পোস্টগুলো দেখেছি - সাইকেলে বই বিতরণ, সুন্দরবন অঞ্চলে ছেলেমেয়েদের জন্য লাইব্রেরী ইঃ।
    অল্পবয়সী-দের কাজের উদাহরণ - ভাল লাগল দেখে। মানুষের ওপর বিশ্বাস কিছুতেই যেতে চায় না, এই আঁধারেও স্বপ্ন দেখতে ইচ্ছা করে, এদের জন্যই
  • জলশোভন | 2a00:b700:2::2:2f3 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২০:৪৩450980
  • "কবি সুবোধ সরকার ধরণী নামের সঙ্গে একমত হয়ে প্রথম আলোকে বলেন, ‘একদিন এই ধরণীই ট্রেডিশন হয়ে যাবে। কেন না কেউ এর অর্থ নিয়ে এখনো ভাবতে পারছেন না। সত্যজিৎ রায় শুধু বাংলার নন, ভারতের নন, তিনি বাংলাদেশের, মিয়ানমারের, ভুটানের, সারা পৃথিবীর। কিছু কিছু মানুষের নতুন কিছু দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায়। অর্থ বোঝার চেষ্টা করে না। সরণির পরিবর্তে ধরণীতে আপত্তি কেন তাঁদের?’"

  • S | 2a0b:f4c2:2::1 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২০:৩৭450979
  • গত শীতে কোলকাতায় গিয়ে দেখি একজায়্গায় আঁকা রয়েছে রবিঠাকুর আর নজরুলের মাঝে ত্যানার ছবি।
  • | 2601:247:4280:d10:ed3c:a60f:82fa:ed93 | ২৩ জুলাই ২০২০ ২০:২০450978
  • বা:! প্রথমে নবান্ন তারপর উপান্ন! হোক গে অন্যভাষা-  দূরদৃষ্টি কাকে বলে!!!

  • aka | 2600:1005:b115:3337:70ef:cc81:6833:9a2a | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৯:৫৮450977
  • আমাকে একজন জানাল-

    কন্নড় ভাষায় উপ্পু মানে নুন, তাই উপান্ন মানে নুন দিয়ে ভাত। গভীর মানে আছে বাওয়া।
  • π | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৯:৩৩450976
  • কিছু আর বলার নেই। ঊর্মির আজকের পোস্ট। একে বাবার মৃত্যু, তারপরে এই। এর আগে অমৃতা আর আর কয়েকজনের যে অভিজ্ঞতা হল, কিছু আলদা না।

    খবরটা পরে রইল।

    "সহযোগিতার লিস্ট টা বিডিও একা নয়৷ অনেকে। এবং অনেকে। অসহযোগিতার লিস্ট টাও অনেক লম্বা। তাতেও শুধু সাধারণ মানুষ নয়, প্রশাসন ও সিস্টেমও পরে।

    দুয়ারে দুয়ারে ঘুরেও যারা প্রিয়জনকে বাঁচাতে পারছিনা; " বেসরকারি হলে পরিষেবা ভালো হবে", " মন্দির মসজিদ হওয়াটা জাতির স্বার্থে ভীষণ দরকার" এসব বলা খুনি মানসিকতার মানুষদের দিকে করুণা ছুঁড়ে দিচ্ছি।

    "আমাদের এলাকায় হস্পিটাল হতে দেবোনা", 'পাশের বাড়ি করোনা এসে গেছে, ফ্রেন্ডস আর বাঁচবোনা", " মৃতদেহ ব্ল্যাকহোলে ভ্যানিশ করে দিন, পোড়াতে কবর দিতে দেবোনা" - এই চেনা কথা গুলো যারা চিনতে পারছে তাদের জন্যও রইলো একরাশ সমবেদনা।

    কাল আপনারও দিন আসবে।

    পার্থক্য একটাই। আপনার যখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা ছিল দাঁড়াননি। কিন্তু আপনার পাশে দাঁড়াবো। ব্যক্তি ধরে ধরে না পারলেও আপনার ভাগের পাওনার লড়াইটা, সকলের জন্য স্বাস্থ্য শিক্ষা খাদ্য বাসস্থানের লড়াইটা এত অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়েও ছাড়বোনা। কথা দিচ্ছি। সামাজিক বোধ এবং দায়িত্ব। "

    এবং চিন্তা করবেন না। কুসংস্কারগ্রস্ত হিংসাত্মক ঝামেলা পাকানো শেষে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যান। আজ আপনার শত বাধার মধ্যেও যারা আমাদের মতো দুর্ঘটনাগ্রস্ত মানুষের সাথে থাকছেন। কাল আপনার বিপদেও তারাই থাকবেন।

    আপনারা আমাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলার চেষ্টা করতে থাকুন। আমি আমরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে রাখলাম।
  • | 2601:247:4280:d10:ed3c:a60f:82fa:ed93 | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৯:২৩450975
  • বাস শব্দের আরেকটি অর্থও আছে:-)

  • aka | 162.44.245.32 | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৮:৫০450974
  • উপবাস - মানে কি অল্প বাস, আমি হোটেলে গিয়ে একদিন উপবাস করলাম।
  • aka | 162.44.245.32 | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৮:৪৯450973
  • তাই সত্যজিত ধরণী
  • S | 2405:8100:8000:5ca1::6a:63c4 | ২৩ জুলাই ২০২০ ১৮:৪১450972
  • সুচিত্রা সেন ঘরণী।
    নেতাজি সুভাষ মরেনি।
    উত্তম কুমার দেখেনি।
  • রৌহিন | ২৩ জুলাই ২০২০ ১২:৫৯450971
  • সুচিত্রা সেন মরণী না?

  • b | 14.139.196.11 | ২৩ জুলাই ২০২০ ১২:১১450970
  • বেলভ্যু নার্সিং হোমের সামনের রাস্তাটার নাম তো সত্যজিত রায় মরণী।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত