সবাই বলছেন বাম ভোট রামে গেছে বলেই নাকি বিজেপির এত বাড়বাড়ন্ত। হবেও বা - আমি পলিটিক্স বুঝিনা একথাটা অন্ততঃ ২৩শে মের পরে বুঝেছি - যদিও এটা বুঝিনি যে যে বাম ভোট বামেদেরই ২ টোর বেশী আসন দিতে পারেনি, তারা "শিফট" করে রামেদের ১৮টা কিভাবে দিল। সে আর বুঝবও না হয়তো কোনদিনই - কারণ আমরা তো উদ্ধত। আমরা ভুল থেকে শিখি না।
হ্যাঁ আমরা উদ্ধত - কিন্তু মোদির মত উদ্ধত হতে পারলে হয়তো আরেকটু বেশী ভোট পেয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যেতে পারতাম। মমতার মত উদ্ধত হতে পারলে মুখ্যমন্ত্রী। হ্যাঁ আমরা অত্যাচারী - কিন্তু এন আর ... ...
আসামের এন আর সি সংক্রান্ত আইন এবং অসংখ্য সাধারণ মানুষের তজ্জনিত হয়রানির বিরুদ্ধে নাগরিক অধিকার কনভেনশন হয়ে গেল গত শনিবার (৩০-০৩-২০১৯) ভারতসভা হলে। কনভেনার শ্রী প্রসেনজিৎ বোসের ডাকে এই সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখলেন ইতিহাসবিদ শ্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বিশিষ্ট সমাজকর্মী তিস্তা শীতলবাদ, অর্থনীতির অধ্যাপক শ্রী দেবর্ষি দাস, গুয়াহাটির আওনজীবি আমন ওয়াদুদ এবং জিন্দাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক মহসিন ভাট। বক্তারা তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গী থেকে এই এন আর সি এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের ... ...
এটা আরো আগে লেখা যেত, আরো পরেও কোন সময়ে লেখা যেত - সত্যি বলতে কি, আদৌ না লিখলেও হত। কারণ এটা নেহাৎই একটা ব্যক্তিগত গপ্প। তবুও লিখছি - গেছোদাদা, মারিয়া আর পাই এর চক্করে। মূল গপ্পটা খুব ছোট, তাই একটু ভূমিকা টুমিকার গোঁজামিল দিয়ে বড় করতেই হচ্ছে আর কি।
সময়টা ২০০৯। আমি তখন একটা বীমা কোম্পানিতে অপারেশনস ম্যানেজারের কাজ করতাম। এখানে একটু এই কাজের বিষয়টা সামান্য বিস্তার করি - ডাইনামিক্সগুলো বুঝতে। আমার ডেজিগনেশন ছিল "অ্যাসিস্টান্ট ব্রাঞ্চ সার্ভিস ম্যানেজার" বা এবিএসেম, যদিও ওই "অ্যাসিস্ট্যান্ট" ... ...
উপন্যাস ছাড়া নাকি প্রোলোগ লেখার নিয়ম নেই - তাই বুজুরগলোগ মাপ করবেন - এই উপন্যাসোপম আখ্যানে এই আদিপর্বটা প্রতিবারেই ঘাপলা হয়ে যায়, তাই এবারে এটা দিতেই হল। কারণ না দিলে মিস। বইমেলার লটারি এক জব্বর বস্তু - সে অভিজ্ঞতা না কহিলেই নহে। অতএব গিল্ড লটারির কথা অমৃতসমান - পূণ্যবানেরা আসুন আসুন - পিঁড়ে পেতে বসে পড়ুন। গিল্ড ফ্রী তে চা খাওয়ায়, এমন কি টপ বিস্কুটও খাওয়ায়, হাতে হাতে নিয়ে নিন বাবাসকল, মা সকল। কৃতাঞ্জলিপুটে বসে পড়ুন।
ঘোষিত সময় দুপুর বারোটা। জনতা সাড়ে এগারোটা ... ...
আজ থেকে চোদ্দ বছর আগে আজকের দিনে রাষ্ট্রের হাতে খুন হয়েছিলেন মেদিনীপুরের যুবক ধনঞ্জয় চট্টোপাধ্যায়। এই "খুন" কথাটা খুব ভেবেচিন্তেই লিখলাম, অনেকেই আপত্তি করবেন জেনেও। আপত্তির দুটি কারণ - প্রথমতঃ এটি একটি বাংলায় যাকে বলে পলিটিকালি ইনকারেক্ট বক্তব্য, আর দ্বিতীয়তঃ কেউ কেউ বলতে পারেন যে যেহেতু সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে ধনঞ্জয়ের ফাঁসি হয়েছিল অতএব এই কথা আদালত অবমাননার সামিল।
দ্বিতীয় আপত্তির জবাব আগে দিই। না, আদালতকে অবমাননা করার মত কোনরকম ইনটেনশন আমার নেই - খুন কথাটা বললে তা আদালত অবমাননা হয় না এট ... ...
গতকাল, শুক্রবার দুপুরে গেছিলাম মেডিকেল কলেজ। যখন পৌঁছালাম, ওখানে বেশ কিছু লোক – যদিও সব মিলিয়ে দুশোর বেশী নয় অবশ্যই – পরিচিত মুখও দেখা গেল কিছু। কাবেরী বসু ছিল, অমিত দত্ত দা ছিলেন, কোয়েল, দেবিকা, আরো কয়েকজন। অরিজিত গুহ চলে এল আরেকটু পরেই। শুভদীপ অবশ্য তখন বেরিয়ে গেছে। ডাঃ অর্ক বৈরাগ্যকে শুধু ফেসবুক এবং মেসেঞ্জারেই চিনতাম, দোলনচাঁপা আলাপ করিয়ে দিলেন। আর দেখলাম অনশনরত ছেলেগুলো শুয়ে আছে। অনিকেত চেনা মুখ, একপাশে ঘুমাচ্ছে দেখা গেল। দেবাশীষের সারা শরীরে র্যাশ বেরিয়েছে – ওর মা পাশে বসে। বিপি প্রত্যেকে ... ...
দোরগোড়ায় বিশ্বকাপ। অনেকের মতই আমিও বেশ উত্তেজিত। Swati Moitraর পোস্ট দেখে কিছু পুরনো কথা মনে পড়ে গেল - ওই পোস্টে লিখেও আবার নিজের দেওয়ালেও লেখার ইচ্ছা হল।
১৯৮২ র বিশ্বকাপের সময় আমার বয়স নয় – তখন ফুটবল খেলতাম শুধু, কিন্তু বিশ্বকাপ কাহাকে বলে, কে ব্রাজিল, কে ইতালি, কে জার্মান, এসব কিছুই জানতাম না। সেই না জানার ফাঁকেই কখন জিকো সক্রেটিস ম্যাথাউজ রুমেনিগেদের আঙুল চুষিয়ে পাওলো রোসির ইতালি বিশ্বকাপ নিয়ে চলে গেছিল সে গপ্প আমার জানা নেই ভাল। কাগজে পড়তাম এসব খবর – কেমন ভিনগ্রহের বার্তার মত। বিশ্ব ... ...
রিভিউ এর আগে কখনো লিখিনি। সিনেমার রিভিউ লেখার যোগ্যতা আমার এমনিতেও নেই, কিন্তু বই এর রিভিউও লিখিনি কখনো। তাহলে হঠাৎ এই চেষ্টা কেন? কারণ মূলতঃ দ্বিমুখী। প্রথমতঃ এই বইটা আমার নিজের খুব ভাল লেগেছে, কিন্তু সেভাবে আলোচিত হতে দেখিনি – এর দুরকম কারণ হতে পারে বলে আমার মনে হয়েছে – হয় বইটা লোকে বিশেষ পড়েনি, অথবা পড়ে খুব একটা ভালো লাগেনি। এবং দ্বিতীয়তঃ, যদিও এটা কিছুটা রিলেটেড, আমি কয়েকটা রিভিউ পড়লাম, যেগুলো সবই নেগেটিভ রিভিউ – তো আমার মনে হল আমার যে ভাল লেগেছে, সেটা ডকুমেন্টেড করে রাখি। ও হ্যাঁ – বইটা। এক ... ...
বেয়াল্লিশতম কলকাতা বইমেলা নানান দিক থেকে বেশ ব্যতিক্রমী বলা যায়। যেমন ধরুন বইমেলার হিস্টিরিতে এই প্রথম কলকাতা বইমেলা হল কলকাতার মূল ভুখন্ডের বাইরে, বিধাননগর পুলিশের এলাকায়। অথবা ধরুন গে দু'দুখানা (পান নট ইন্টেন্ডেড) ফুডপার্ক। কিম্বা আমেরিকা আর ভিয়েতনামের পাশাপাশি হাত ধরাধরি করে ভীড়ের ক্ষীর খাওয়া – এরকম আরো অনেক। তা ব্যতিক্রমে গুরুই বা কিছু কম যাবে কেন? ধরুন গে মেলা এবং গুরুর ইতিহাসে এই প্রথমবার মেলাশেষের অনেক আগেই গুরুর স্টলের ট্রেড লাইসেন্স থেকে ইনশিওরেন্স, সব্ব কম্ম সারা। এমন কি শেষদিনের গেটপা ... ...
অবশেষে সকল প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে হা রে রে করিয়া আসিয়া পড়িল সেই শুভদিন – সিকির বইএর উদ্বোধন। ইচ্ছেডানায়, সর্ষেদানায়। যেমন নামের ছিরি, তেমনি প্রচ্ছদের, তেমনি বিষয়বস্তুর, তেমনি তার চলনের – শা – (ইয়ে থুড়ি, গালি দেওয়া নিষেধ আছে) মানে ভালোর তো একটা লিমিট থাকে নাকি? সেই যে একজন লোক ছিল না – যে সবেতেই খুঁত ধরতে ওস্তাদ ছিল – যত ভালই হোক, কিছু না কিছু খুঁত ঠিক বার করতই – তা একবার ঈশ্বর (মানে হ্যাঁ – তিনিই আর কি) একটি মানুষকে একদম সর্বাঙ্গসুন্দর, মানে যাকে আমরা সাদা বাংলায় পারফেক্ট বলে থাকি আর কি, সেরকম এ ... ...