বিনায়করুকুর পুজোর ডাইরি -- লিখেছেন বিনায়ক রুকুপুজো আসছে। বাপ্পাদার স্টুডিও ঠাসা দুর্গা। বাঁশ গুলো প্ল্যাস্টিক বাঁধা। কাদামাখা। পুরোটা পড়ুন
জাতীয় সঙ্গীত একটি দেশের গরিমা বহন করে। আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে আছে ভারতবর্ষের মানুষের প্রকৃতির পরিচয়। এমনটা তো হবার কথা যেমন জার্মান জাতীয় সঙ্গীত সে দেশের সীমানা নির্ণীত করে (আজকাল সেটা গাওয়া হয় না কারণ সীমানা বদলে গেছে!), একতা ও ন্যায়ের বন্দনা করে। অনেক দেশের জাতীয় সঙ্গীতে দেশ নয়, রাজা/রানির বন্দনা শোনা যায় – গড সেভ দি কিং/কুইন। সেটা তো যেকোনো দেশের রাজা/রানি হতে পারে! ... ...
কাগজ -- লিখেছেন Sudipta Ray "পায়খানায় যাবে নাকি?" লুঙ্গির গিট অনেকক্ষণ ধরে খুলতে চেষ্টা করছেন দেখে বাবাকে জিজ্ঞেস করল শান্তনু। ঘড়িতে প্রায় এগারোটা। এখনো স্নানের সময় হয়নি। তাও যেতে চাইলে যাক, এই ভেবে খোঁজ নিলো। - "হ্যাঁ, দেখি চেষ্টা করে"।- "তোমার যা চেষ্টা, গিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকবে, তারপর উঠে চলে আসবে। কাজের কাজ কিছুই হবে না", মনে মনে ভাবল শান্তনু।স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে অবশ্য বলল, "তোমার পায়খানা যাবার প্রয়োজনীয়তা ৫টি বাক্যে আলোচনা করো।"বক্তৃতা দিতে ভালোবাসতেন বাবা, গুছিয়ে কথা বলার অভ্যাস ছিলো। স্নায়ু বৈকল্যজনিত রোগের কারণে ধীরে ধীরে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা প্রকট হচ্ছে। দশটা কথা বললে একটা হয়ত অর্থবহ হয়। মানুষ চিনতেও অসুবিধা, ... ...
গত রাতে ঘুমোতে গিয়ে সোমেশ্বরের প্রথম মনে আসে, ‘পিকিং’ বলে এককালে পার্কস্ট্রিটে যেখানে রেস্তোরাঁটা ছিল তার সামনে দাড়িয়ে রয়েছে পরাগ। না, পার্কস্ট্রিটই কি? পিকিং-এর মতনই তো দেখতে দোকানটা, ঐ যে চারমাথার মোড়টা! ‘চল, কোথাও গিয়ে বসি, কথা আছে’, পরাগই বা এখানে এলো কোথা থেকে! তাহলে কি এটা অফিসের মোড়, ওয়েলিংটন স্কোয়ার! কবে যে পিকিং উঠে গেল টেরই পাওয়া গেল না, কি ছিল আর কি হল মানুষ শুধু সেটাই মনে রাখে, সরকারি নথির মত নয় ব্যাপারটা। ‘কোথায় যাবে! সামনের ঐ সেলুনটায় গেলে হয় না? চুল কাটতে হবে।‘ – মাথায় হাত বোলায় সোম। ... ...
লকডাউন পরিস্থিতিতে কাজ হারিয়েছেন অনেকে। অনেকের জীবনে নেমেছে নানা সমস্যা। সবকিছু ছাপিয়ে গেছে শিশুদের উপর যৌন নিগ্রহের ঘটনা। তার প্রতিকারে গণস্বাক্ষর সংগ্রহে আপনিও সামিল হোন
হল্লা বোল, হল্লা বোল / ভোটের দামামা বেজেছে / হরি বল, হরি বল / গুড় দিয়ে রুটি মেরেছে।
১ক্রান্তীয় সমুদ্রবীচে দাঁড়িয়ে দেখি ভাঙাদরজার পাল্লায় হাত-রেখেসাদা বিধবাদের কঙ্কাল থেকে ঝরা চুনআর ফসফেট-গুঁড়ো —চাঁদ ক্রমে অজানা উড়ন্ত বস্তুর মতোবিবর্ণ নষ্ট হয়ে গ্যালো।আইসক্রিম স্টলগুলি ছাতা মেলেঅপরিবর্তিতভাবেচলে গেল হাইওয়ের দিকে;কার্তেজীয় তল ছেড়ে আভাঁগার্দ লেখকেরাক্রমশ পরিদৃশ্যমান।সবুজ সাইনবোর্ডে লেখা: সাবধান!ভিয়েনার পুরোনো গলিতেঅমুক মেটামডার্নিস্ট এখন নিকেলের ঘড়িবেচে খায়। ২অন্ধকার হলওয়ের মাথায় দাঁড়িয়ে দেখিদৈর্ঘ্যের শেষপ্রান্তেএকটা অ্যালুমিনিয়াম দরজা।সামান্য আলো ছিটকে আসছেদৃশ্য-বর্ণালীর ভেতর,সাটিনের পর্দাগুলি মৃদু হাওয়ায় সঞ্চারণশীল —মৃত্যু সম্পর্কে এই পর্যন্ত: জেগে উঠি বেডে;মনে পড়েনা কেন হাসপাতালে এসেছি,বিশেষত মধ্যরাতেযখন ফোঁটা-ফোঁটা স্যালাইনসময়ের হিসেব রাখছেআর ব্যাকইয়ার্ডে তিনটে অ্যাম্বুলেন্সমুখোমুখি স্থির।আলো নেভানোর পরেকোনো নন-ইউক্লিডিয়ান স্পেসেঢুকে যাচ্ছে স্বপ্নেরা: প্রেইরীর কুকুর,নদীতীরে তাঁবু আর ছাইরঙা নুড়ি;দূরে এক মহিলা জিওলজিস্ট হাঁটুগেড়েপরীক্ষা করছেন পাথরের রীতি। ৩বন্ধ কারখানার ভেতর দাঁড়িয়ে ... ...
সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের কবি শহীদ কাদরী' (দীর্ঘ রোগে ভুগে ২০১৬ সালে নিউ ইয়র্কে প্রয়াত) লেখা কবিতা "তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা" একটি অসামান্য রচনা। বেশ আগে কবির সুমন এই কবিতাটিকে সুর দিয়ে গান করেছেন, সেটিও অনবদ্য:"তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা! ভয় নেই এমন দিন এনে দেবদেখ সেনাবাহিনীর বন্দুক নয়,শুধু গোলাপের তোড়া হাতে কুচকাওয়াজ করবে তোমার সামনে,শুধু তোমাকেই তোমাকেই স্যালুট করবে তারা দিনরাত।ভয় নেই এমন দিন এনে দেব..."২কবি শহীদ কাদরীর প্রথম প্রেমিকা, প্রথম স্ত্রী নাজমুন নেসা পিয়ারী নয়ের দশকের শেষের দিকে এসেছিলেন ঢাকায়। বার্লিন প্রবাসী প্রায় ৬০ বছর বয়সী পিয়ারী তখনো দারুন সুন্দর, উজ্জল। ঢাকা ক্লাবের এক পার্টিতে কোনো এক সাংবাদিক বন্ধু পরিচয় করিয়ে দেন তার ... ...
—না কিছু করতে পারবে না ওরা। বাড়ি গিয়েই আমার ফেসবুকে পোস্ট করব প্রমাণটা। সবাই দেখবে, জানবে। তখন ওরা বাধ্য হবে আমাদের, মানুষদের গণিতের সৃজনশীলতাকে স্বীকৃতি দিতে। উচ্চকোটির গণিত যে শুধু ওরাই একচেটিয়া পারে সেই ভুল ভাঙবে। এবং সাথে সাথে সমস্ত গণিতের দরজা আমাদের জন্যও খুলে দেবে। ন্যায্য অধিকার হিসেবেই দিতে বাধ্য হবে। —এইটা তোমার মহান প্ল্যান? —এইটাই আমার মহান প্ল্যান। -- লিখেছেন কলিন অ্যাডামস, অনুবাদ: অভিজিৎ সরকার(পুনঃপ্রকাশ) ... ...
বিশ্বভারতীতে যা চলছে, সে নিয়ে আমরা ঠিক কি জানি? কিসুই না। মাঝে অমর্ত্য সেনকে জমিচোর আখ্যা দেওয়া হয়েছিল, এইটুকু জানি। সেও তামাদি হয়ে গেছে। উপাচার্য বলেছিলেন, অমর্ত্য সেন নোবেল পাননি, এটাও জানা। বসন্তোৎসব, পৌষ মেলা, সবই বস্তুত বন্ধ করে বা লাটে তুলে দেওয়া হচ্ছে, মনে হয়, এক আধবার পড়েছি-টড়েছি। কিন্তু আস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটা যে হিন্দুত্ববাদী আধা-ফ্যাসিস্ত অচলায়তনে পরিণত করে ফেলা হচ্ছে, ট্যাঁফো করলেই ছাত্র থেকে শিক্ষক সবাইকে সাসপেন্ড-বহিষ্কার করে দেওয়া হচ্ছে, এবং এটা যে বেশ কয়েক বছর ধরে চলছে, সে নিয়ে বিশেষ নড়াচড়া নেই। যদিও না জানলেও আন্দাজ করতে অসুবিধে নেই, স্রেফ রাজনৈতিক কারণে, অমর্ত্য সেনকে যারা "উনি তো নোবেল পাননি" ... ...
যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা চলছে নিরন্তর, / এই যুদ্ধে আমি একটি বোরে মাত্র।
মৃত্যুর কোনো প্রতিষেধক হয় না! / ফিনকি দিয়ে ছুটছে প্রাণের ধারা,
চারিদিকে অনেকেই বলছে নো ভোট টু বিজেপি নিয়ে সিপিয়াইএম ক্ষোভপ্রকাশ করছে নো ভোট টু বিজেপি নিয়ে সিপিয়াইএম এর ক্ষোভ বললে অত্যুক্তি হবে। সিপিয়াইএম এর অফিশিয়াল স্টেটমেন্ট, হান্নান মোল্লার বক্তব্য ও নো ভোট টু বিজেপির মিছিলে হাঁটা, সিপিয়াইএম অন্ধ্রপ্রদেশের টুইটার হ্যান্ডেল সবই বরং এর বিপরীতেই সাক্ষ্য দিচ্ছে। আসলে নো ভোট টুর প্রতি এত আক্রমণ মুখ্যত ফেসবুকীয় সেলেব হিসেবে খ্যাত সিপিয়াইএম সমর্থক ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের মধ্যেই মুখ্যত সীমাবদ্ধ। আর সমস্ত বাম মনোভাবাপন্ন ফেসবুক গ্রুপের মতো নো ভোট টুকেও হাইজ্যাক করার উদ্দেশ্য ছিলো এদের। শুরুর দিকে সেই উদ্দেশ্যেই ক্রমাগত গ্রুপটাকে ব্যবহার করতে চেষ্টা করেছে ফেসবুকের সিপিয়াইএম এর সমর্থক হিসেবে পরিচিত কিছু মুখ। সমস্ত লেফট স্পেসকে হাইজ্যাক করার ... ...
সেই হল শুরু। দিনের বেলা যখন তখন কারণে অকারণে জানলার ধারে আমি। ঐ জঙ্গলের শাল, ইউক্যালিপটাস, মহুয়া, আসান ছাড়া বাকি সবই অচেনা। ভরা বর্ষায় টানা পাঁচ ছ দিন বৃষ্টি চলছেই। বর্ষাস্নাত প্রকৃতির রূপ, লাবণ্য বর্ণনা করবার ক্ষমতা আমার নেই। সবুজ যে কতরকমের হয়, তা ঐ জানলায় দাঁড়িয়ে অবাক হয়ে দেখি। দেখি, শুধু দেখি। আশ মেটে না আর। কিন্তু তার দেখা পাওয়া ভার।মাঝে দুদিন ধরে বেশ গুমোট গরম। সেদিন সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। একটু জলো বাতাস বইতে শুরু করেছে। বৃষ্টি আসবে বোঝাই গেল। কাজের ফাঁকে গেলাম একবার ছাদে। আশায় ছিলাম তার দেখা পাওয়ার। বাতাসের জোর বাড়ছে। জঙ্গলে সাড়া পড়েছে। সড়সড়, মড়মড়..... যেন নেশায় মজেছে শাল, মহুয়া, আসান, পলাশ! পাখিরাও ব্যস্ত যার যার ... ...
ওয়েবসাইটে জ্যামিতির বনিয়াদ নিয়ে আমার এই লেখাটি ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হচ্ছে...এখানে লেখাটা একই ভাবেই দিলাম... আমার ব্যক্তিগত অনুরোধ, আমার লেখাটা না পোষালেও ওয়েবসাইট টায় ঘুরে আসতে ভুলবেন না...আজ দ্বিতীয় পর্ব, যা ২৮শে জানুয়ারী, ২০১৫ ( ইংরাজি সন) এ প্রকাশিত হয়েছিল...জ্যামিতির গোড়ার কথা : ইউক্লিড থেকে রীমান ( দ্বিতীয় পর্ব ) -- লিখেছেন Swarnendu Sil(পুনঃপ্রকাশ) ... ...
সেই দূরদর্শনে নববর্ষের বৈঠকী আড্ডা শোনার জন্য ইস্কুলের দিনগুলোর থেকেও তাড়াতাড়ি উঠে পড়া, আর অনুষ্ঠান শুনে প্রতিবারের মতই সেই নাক সিঁটকানো ... তা হোক। ভাল কিছু ও তো ছিল। সেই সেবার , 'শূন্য হৃদয়পদ্ম নিয়ে যা' লাইনটা যেমনি আসছিল, জলের উপর একটা লত্পত করতে থাকা পদ্মফুলের উপর ক্যামেরা ফোকাস করছিল,দেখে আমাদের কি হাসি, কিন্তু ঐ চক্করে ধীরেন মিত্তিরের গলায় ঐ অমন পদ্মার ঢেউ রে ও তো শোনা ... ...
১৯৮৬ সালে ১৩,১৪ ও ১৫ জানুয়ারি তে উৎপল দত্ত দিল্লিতে শ্রী রাম সেন্টার এ নাটক নিয়ে বক্তৃতা করেন। "What is to be done" পরে সেগুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশ করেন ওই সংস্থা। তাতে একটা প্রশ্নোত্তর পর্ব ও ছিল। সেটাও এখানে দেওয়া হয়েছে।সুপণ্ডিত উৎপল দত্ত তার চাঁচাছোলা ভাষায় বক্তৃতা য় কাউকে রেয়াত করেন নি।ওনার বক্তৃতা র যে যে জায়গা গুলো ভালো লাগলো সেখানে কিছু কিছু জিনিস উল্লেখ ... ...
*** পোস্ট করতে একটু ভুল হয়ে গিয়েছিল । তাই আর একবার দিলাম গল্পটা । মাফ করবেন। একটা আয়না দেয়ালের পেরেকে টানানো ছিল। চৌকো ছোটখাটো তিন বিঘতের আয়না। শুধু মুখটুকু দেখা যায়। একটু পিছিয়ে দাঁড়ালে বুকেরও আধখানা দেখা সম্ভব। ওটার সামনে দাঁড়িয়েই দীপিকা চুল আঁচড়ায়, কপালে বিন্দি লাগায়, সিঁথিতে সিঁদুর ঢালে। মাঝে মাঝে চোখে কাজলও টানে।বাদল কসবার একটা বারের বাউন্সার । পয়সাওয়ালা ঘরের উড়নচন্ডী বেপরোয়া ছেলেমেয়েরা যেখানে বেহিসেবী টাকা ছড়ায় উন্মত্ত অবস্থায়। ... ...
বেশ রাত তখন,কিছু দিন আগে আমরা তিনজনে চারটে ব্যাগে চারটি নাটক নিয়ে ফিরছি।লটরপরট নিয়ে ঠিক করলাম সোজা টোটো চেপে দমদম থেকে নাগের বাজার একেবারে দ্বৈপায়ণ দা বাসায় এর যাবো।তা আমাদের ব্যাগ দেখেই টোটো চালক দাদা আগেই বলে দিলেন, "দাদা, টাকা কিন্তু বেশি লাগবে"!যথেষ্ট রাত হয়েছে, পরের দিনও শো আছে, আর দিনকাল যা পরেছে তাতে সবারই লাভের মুখ দেখা তো দূর পেট টানতেই নাজেহাল অবস্থা এবং গামছাতে আছে আপনাদের আন্তরিক প্রশ্রয়। ... ...