১) যারা ব্রেকিং ব্যাডকে সর্বকালের সেরা সিরিজ বলে মনে করেন। ( পিরিয়ড) ২) যারা একইসঙ্গে দমফাটা হাসি আর নখ কামড়ানো সাস্পেন্স থাকা একটা সিনেমা দেখে দু' ঘণ্টা কাটাতে চান। ৩) যারা মনে করেন তেলুগু সিনেমা মানেই মোটা দাগের অ্যাকশন বা রোমান্স/যারা মনে করেন তেলুগু সিনেমায় ফাটাফাটি কাজ হচ্ছে
স্বপ্নের গভীরে কবিতাকে খুঁজি,গল্পের শরীরে মিথকথা পুঁজি।
জীবনের অনেকটা বাঁক পেরিয়ে আমি আমার ছোট্ট বন্ধু মানিকের কথা ভুলতে বসেছিলাম। প্রায় দুই যুগ আগে বিবিসির বাংলা বিভাগের (এখন দৈনিক প্রথম আলোতে ) কুররাতুল আইন তাহমিনা, আমাদের মিতি আপার টেলিফোনে এক লহমায় মনে পড়ে যায় হারিয়ে যাওয়া সেই কালো মানিকের মায়াময় মুখ। মিতি আপা জানতে চান, আপনার কী মানিকের কথা মনে আছে?আমার প্রথমেই সাংবাদিক মানিকের নাম মনে পড়ে।মিতি আপা বলেন, আরে না, আমি টোকাই মানিকের কথা বলছি, ওই যে সে নাকি এক সময় আপানাদের সাথে দল বেঁধে ঘুরতো। আর খুব সুন্দর গান করতো।…হ্যাঁ, মনে আছে। কিন্তু কেনো?সময় থাকলে আপনি এখনই বিবিসির ইন্দিরা রোডের অফিসে চলে আসুন। খুব জরুরী। সে সময় বিবিসি ... ...
ঐঐ
অসম্ভব গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা। কিন্তু এইটুকুতে মন ভরল না। এই বিষয়ে একটি ধারাবাহিক লেখা চাই।
যন্ত্রের বেদনাই কি যন্ত্রণা? হঠাৎ এমন ব্যাখ্যায় পড়লাম কেন? বলছি। আমার চোখের সামনে একটা শরীর যন্ত্রণায় ছটপট করছে। সে বলছে, আর কেমো দিও না আমায়। পারছি না এ যন্ত্রণা সহ্য করতে। এতবড় কারখানায় নানা যন্ত্র অবিরাম কাজ করে চলেছে। তার কোন অংশ যে বিকল যন্ত্রীও ধরতে পারছে না। শুধু অসহ্য যন্ত্রণা, যন্ত্রণা আর যন্ত্রণা। তার একটা ভাষাও আছে। কখনও গর্ভধারিনী মায়ের নাম অস্ফুষ্টে বেরিয়ে আসে, কখন শুধুই নীরবতা। দুই চোখের কোণ দিয়ে সে ভাষা জল হয়ে বয়ে চলে। এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি কিসের জানা নেই। কিন্তু মুক্তি ভীষণ রকম প্রয়োজন। অপেক্ষায় আছি... ... ...
বেলা বোস শুনছো, / তুমি বিয়ে করে নিতে পারো এবার / আগামী ৫ বছরে চাকরী নাই আর
হাগিস মৌসুমী ঘোষ দাস বাথরুমের দরজা খুলে ঢুকতেই বুকটা ছ্যাঁত করে উঠলো সিদ্ধেশ্বরীর। যত রাতেই শোন না কেন, বেশ কয়েকবার বাথরুমে যেতেই হয় তাঁকে। দরজার পাশে হাগিসটা পড়ে আছে এখনো। কাল ওনাকে নিয়ে যাবার আগে লুঙ্গি পালটে সেই যে হাগিসটা খুলে রাখা হয়েছে আর ফেলা হয়ে ওঠেনি। কাল ঘর ভর্তি লোকের মধ্যে কারোই খেয়াল ছিল না হাগিসটা ফেলার কথা। দাহকার্য সেরে ওদের ফিরতে ফিরতে সেই রাত সাড়ে বারোটা। তারপর এটা ওটা সেরে শুতে শুতে রাত দেড়টা। সারাদিনের শ্রান্ত শরীর ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছিল। বাথরুমে ঢুকে হাগিসটা দেখে মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। শেষের দিকে বিছানাতেই সব সারতেন বলে হাগিস পরিয়ে রাখা হত। ... ...
ঘন ঘন আয়না খোজা পুরুষটা ভুলে গেছে তাঁর বয়েস পঞ্চাশ পেরিয়েছে আমি তাকে সে কথাটা স্মরণ করাতে গেলে সে বলে 'মনের বয়েস বাড়ে না'
“আপনে কোন স্টেশনে নামবেন, বাবু?”মাথা বোঝাই উস্কোখুস্কো চুল, একমুখ দাড়িগোঁফ। দুটো পা তার অচল। মুখে একগাল হাসি, চোখদুটো চিকচিক করছে, যেন খুব মজা পেয়েছে। ভাবলাম আলাপ-টালাপ শুরু করে ভিক্ষে চাইবে হয়তো, এ হচ্ছে তারই ভূমিকা। লোকটার প্রশ্নে একটু অবাক হলেও, বিরক্তি চেপে উদাসীন সুরে বললাম, এই ট্রেনের প্রান্তিক স্টেশনের নাম। আমার কথায় দাড়িগোঁফের জঙ্গলে ঢাকা, তার মুখের ভূগোলে হাসির সাম্রাজ্যবিস্তার ঘটে গেল মূহুর্তে।“কাদের বাড়ি যাবেন, আজ্ঞে?” এত খোঁজে তোমার কী দরকার বাপু? আমি চলেছি আমার অজানা এক জনপদে, আমার কাছে সে তো অচিনপুর। কিন্তু সেখানকার সব লোককেই কি তুমি চেন বুঝি? সেখানে কেউ কি তোমার অচেনা নেই? তাছাড়া আত্মীয়-কুটুম-বন্ধুর বাড়ি ... ...
আমার ক্যাবলা কাটিং হাসি পুরোনো গান। এর আগে লাইভ একটা ভার্সান ছিল। ভালো রেকর্ডিং ছিলনা। এবার নতুন করে করা হল। অ্যারেঞ্জ ট্যারেঞ্জ করে। মন্তব্যে কেউ কেউ বলেছেন, আগেরটাই ভালো ছিল। সে আর কী করা যাবে। পাপের ফল, হয়েছে যখন, থাক।
এলইডি আলোর তলা দিয়ে যাওয়ার সময় হেলমেট আর আকাশের মাঝখানে এক পশলা ইলশেগুড়ি নেমে আসতে দেখে *অভিযানের* মনে পড়ে গেলো ছোটবেলার কথা ! সেই প্রথমবার তার ইলশেগুড়ি দেখা, সে আশ্চর্য হয়ে দেখেছিলো দুহাত বাড়ানো আকাশ জুড়ে নেমে আসা মুঠো মুঠো আনন্দ! পাশে থাকা বন্ধুরা ততক্ষনে রাস্তার ধারের দোকানের শেডে ঢুকে গেছে, রাস্তা আর দোকানের মাঝের রাস্তা টুকু মাথায় স্কুল ব্যগ দিয়ে ভিজে যাওয়া আটকেছে কোনোক্রমে! যদিও *অভিযান* সেসব করেনি ! অবাক করা ইলশেগুড়ি কে দুহাতে আপন করে নিয়ে যখন বাড়ি ঢোকে ততক্ষনে তার মা বুঝে গেছে ছেলে তার মুষলধারা বৃষ্টিতে ভেসে এসেছে! ... ...
কোরিয়ার সাহিত্যিকদের মধ্য চো নাম জু আজকাল তুমুল জনপ্রিয়। তাঁর লেখা প্রথম দুটো বই বেশ সাড়া ফেলেছে, আর তিন নম্বর বই 'কিম জিয়োয়ুং বর্ন ১৯৮২' তো ইংরেজিতে অনুবাদ হয়ে মুড়িমুড়কির মতো বিকোচ্ছে। জনপ্রিয়তা এলে সঙ্গে বিতর্কও আসবে, এই বইটা নিয়েও দুনিয়ারাজ্যের ক্রিটিকরা দু' ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে। অনেকের মতে 'কিম জিয়োয়ুং বর্ন ১৯৮২' মডার্ন ফেমিনিন লিটারেচারের মাইলস্টোন, আবার অনেকে এটাকে উপন্যাস বলে মানতেও নারাজ। কোরিয়ার থ্রিলার নিয়ে আমরা যতই নাচানাচি করি না কেন, সেখানে আবার সামাজিক অসঙ্গতি আর স্যাটায়ার নিয়ে লেখাই জনপ্রিয় হয় বেশি। সেইদিক থেকে দেখতে গেলে যে এই বইটা নিয়ে যে সামাজিক মাধ্যমে তুমুল আলোচনা চলছে, তাতে কোনও ... ...
'শ্রীকান্ত মুন্সী'
দরজা খোলা, হেলে-দুলে সামনে এসে পাশের রুমের ছেলেটা বলল-ভাই, আমার হিসাব থাকে না। টাকা-পয়সা সব গার্লফ্রেন্ডের কাছে থাকত, যখন যা লাগত নিয়া খরচ করতাম। ক্যাম্পাসটাও বন্ধ, বড়লোকের বেটিও বাসায় চইলা গেল। এখন আমার মারা খাওনের অবস্থা! ভাংতি টাকা আছে আপনার কাছে? শুয়ে থাকা আমি: কত?সে: একশোআড়মোড়া ভাঙা আমি: না হে! ত্রিশ টাকা আছে। চোখমুখ দেখে ছেলেটার হতাশভঙ্গি বোঝার উপায় নাই। মাস দুয়েক একই ফ্ল্যাটে থাকার দরুন ওকে অনেকটা পড়তে পারি। কিছুক্ষণ পরে ওকে ডেকে বললাম,কয়েকদিন আগে যে ক্ষেপ মারলা ঐটার পেমেন্ট কবে দিব?সে: দিয়া দিছে, হামিদ ভাইয়ের বিকাশে। দেয়ালে হেলান দেয়া আমি: কত? পাঁচ হাজারনি?সে: ক্যামেরাটা কিনতে না পারলে পাঁচ হাজারেই থাকতে হয়! কিছু ... ...
কন্টিনেন্ট এবং আমেরিকায় ছোটগল্প প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠেছিল ঊনবিংশ শতাব্দীতেই। কিন্তু সাহিত্য সংস্কৃতি ঐশ্বর্য্য এ মদমত্ত ইংল্যান্ডের চূড়ান্ত আত্মপ্রসাদে তখনও ফাটল ধরে নি। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের বিপর্যস্ত মানসিকতা, বিচ্ছিন্নতা বোধ, ক্লান্তি আর যন্ত্রণার মধ্যেই সাবালক হল ইংল্যান্ডের ছোট গল্প। রবার্ট লুই স্টিভেনসন বা এইচ জি ওয়েলসের আডভেঞ্চার বা ওসকার ওয়াইল্ডের আলিগরির জগত থেকে সমারসেট মম, এইচ ই বেয়টস, ডি এইচ লরেন্স, ই এম ফস্টার এবং ক্যাথারিন ম্যানসফিল্ডের ছোটগল্পের জগত সম্পূর্ণ আলাদা। এদের দাবি অল্প কিন্তু অখণ্ড মনোযোগ। ডি এইচ লরেন্সের "Lady Chatterley's Lover" পড়েছি। ফস্টারের পড়েছি "A passage to India". অবশ্য ক্যাথারিন ম্যানসফিল্ডের কোন লেখা পড়ার সৌভাগ্য এখনও আমার হয় নি। ... ...
In a heady evening of taking sides, when the hapless news junkie in me had to be laid to rest, I am rooting for Atique Rahimi, as against Khaled Hosseini, knowing fully well it is stupid to compare novelists practically exiled from their country for last four tumultuous decades. There is hope in Hosseini, which I cannot handle in literature on a good day. It is probably the over exposure to the reader's digest model all around in 70s and 80s. It is mostly meaningless in our times finally, years after Baudelaire and should I say Charles Wilson.Rahimi uses Dostoyevsky's ... ...
কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কত কবি লেখকের বাস এই নদীর পাড়ে। তাছাড়া বিভিন্ন পেশার লোকেরা মিলেমিশে থাকেন এখানে।তাদের সুখদুখমাখা গাথা এই উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে। প্রথম পর্ব অজয়পাড়ের উপকথাসুদীপ ঘোষাল একঅজয়নদের পাড়ে অবস্থিত কয়েকটি গ্রাম বর্ধিষ্ণু। সেইসব গ্রামের ছেলেরা ধনীর দুলাল।তারা কানডা,সিঙ্গাপুর,সুইজারল্যান্ড প্রভৃতি দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে কিন্তু এখানকার বেশিরভাগ লোক গরীবের দলে। আর অজয়নদের আশেপাশের গ্রামগুলিতে কবি জয়দেব থেকে শুরু করে কবি কুমুদরঞ্জন মল্লিকের বাসস্থল। আমাদের বন্ধু সোমনাথ কমার্শিয়াল আর্টস দু-একটা করেন শিল্পী। পার্থপ্রতিম দেবের কাছে এখন শিক্ষারত। গুরুদেব ছিলেন বাসুদেব চট্টোপাধ্যায়, শান্তিনিকেতন।শিব চন্দ্র হাই স্কুলে পড়তেন। অর্থনৈতিক অবস্থা ভালো নয়, এইচএস অব্দি পড়াশোনা করেছেন। সেভেন, এইটে পড়তে পড়তে আঁকা শুরু।একদম বালক ... ...
ঘন কুয়াশায় ঢাকা সকালে কারই বা মন ভালো থাকে বল। চারপাশ প্রয়ান্ধকার। অদেখার আড়ালে ভয়ঙ্কর বিপদ। টুকটুকের মা টিটি আর বাবা ডোডো, কিছুতেই টুকটুককে বেরোতে দিচ্ছে না। কিন্তু টুকটুক জেদ ধরে বসে আছে, ও বেরোবেই। এই ঝুপসি কুল গাছে, পাতার আড়াল দিয়ে তৈরী করা ওদের একটা ছোট্ট বাসা। আকাশের মুখ ভার দেখে, টুকটুকের ডোডো বাবা কয়েকদিনের জন্য খাবারও জোগাড় করে রেখেছিল। শুঁয়োপোকার ছানা, চিকমিকে পোকা, বিন্নীর মায়ের ফেলে দেওয়া চাউমিন ..এইসব ... ...