আমি? আমি কেউ না! / ক্ষয়ে যাওয়া মূর্তি, শেষ সময়ের ঢেউ / ভাটায় পড়ে থাকা জলবিন্দু।
সদ্য পুজোর মরশুম গেল। আমার এই মধ্য চল্লিশের চালশে পেরিয়ে দূরে আমার ছোটোবেলার যে খড়ের আটচালা পুজোমন্ডপটা দেখতে পাচ্ছি তার চৌকো চৌকো সেগুন কাঠের থামের মাথায় খোদাই করা প্যাঁচা, ময়ূর, হাতি, পদ্ম ... । কালো কালো সেই থামগুলোর পাশে নতুন ধনেখালি শাড়ির আঁচল গলায় জড়িয়ে প্রণাম করছে আমার মা। অষ্টমীর অঞ্জলি সেরে বাড়ি ফিরতে দেখা গেল বাবা বানিয়ে ফেলেছে ছোলা দিয়ে কুমড়োর ছক্কা। লুচির ময়দা মেখে রেখেছে। ব্যাস। ... ...
এক বছর আগের কথা, যখন চীন ভয়াবহ করোনা ভাইরাসের জন্য বেসামাল, তখন ভারতে সংক্রমণের হার খুব কম ছিল। কিন্তু অবস্থা বেসামাল হওয়ার পুর্বেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী ২২শে মার্চ ২০২০, সারা দেশে “জনতা কার্ফু”র ঘোষণা করে দেন। ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কারদের জন্য তালি, থালি বাজানো হল, বোম, পটাকাও ফাটানো হল। এর দুদিন পর, অর্থাৎ ২৪ শে মার্চ ২০২০ এ দুনিয়ার সবচেয়ে বড় লকডাউন ঘোষণা করে দেওয়া হল। কিন্তু এই লকডাউনের ঘোষণা করার আগে কি স্বাস্থ্যমন্ত্রক বা অর্থমন্ত্রক এর মত গুরুত্বপুর্ণ দপ্তরের সাথে কথা বলে কোনও পরামর্শ নেওয়া হয়েছিল? সম্প্রতি বিবিসি নিউজ হিন্দিতে এই নিয়ে একটি প্রতিবেদন করা হয়েছে। দেখা যাক কি আছে সেই প্রতিবেদনে ... ...
ম্যাট্রিকুলেশন পাশের পর সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় কলকাতার সিটি কলেজে ভর্তি হন। প্রথম দু'বছর সায়েন্স নিয়ে পড়লেও আগাগোড়া সাহিত্যের প্রতি অগাধ টান থাকায় আইএসসি থেকে বাংলা অনার্সে বিএ পাশ করেন। বাবা যদিও চেয়েছিলেন বটানি নিয়ে ছেলে পড়াশোনা করুক। ফরেস্ট অফিসার হোক। কিন্তু তা আর হওয়া হলো না। হলেন বিখ্যাত সাহিত্যিক, সম্পাদক এবং অভিনেতা। তিনি নিজেই এনসিসি করার কারণে মিলিটারির দিকে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু তাঁর বাবার নিষেধের কারণে সেটা হওয়া হলো না। তাঁর বাবা বললেন, "ওই লাইফ তোমার পক্ষে ঠিক হবে না"। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর কারণ জিজ্ঞাসা করতে, তাঁর বাবা উত্তর দেন- "আর্মিতে প্রতিটি বিষয়ে তোমার ঊর্ধ্বতনকে স্যালুট ঠুকতে হবে। সেটা তুমি ... ...
জাগরীঅখিল রঞ্জন দে নিশীথ রজনী কালে, নক্ষত্ররা জ্বলে,নিভৃতে আল্পনা আঁকি, চিত্রপট মনে।আঁখি-দ্বয় ভারী হয়, নয়ন সজলে,কেহ নাই, কিছু নাই, তিমির গগনে।ক্ষনিকের চলাচল, নক্ষত্র মন্ডলে, কতো বর্ণ, কতো রূপ, বর্ণিব কেমনে! সৃষ্টি-বিনাশ সেথায়, অহরহ চলে,কালের অমোঘে 'মঘা', প্রবীণা যৌবনে,ক্ষয়ে ক্ষয়ে হলি সারা, তবু এতো দম্ভ !মিছে কোন গরিমায়, প্রলম্বিত মন? ঘুরে আয়, দেহ-মন, ক্ষয়িত জীবন।সঞ্চিত সম্পদ ত্যাগী, করো কল্পারম্ভ,মানব কল্যাণে যেন, সপিকায় মন,দাম্ভিক মনন হতে, দূর হয় দম্ভ ।। ... ...
প্রাত্যহিক জীবনের টুকরো কথা
০২.১১.২০২১ ১. দীপাবলি আর ঝাঁটার কাহিনী: এইতো চা এর দোকানে কথা হচ্ছিল, বাঙালিদের এবছর নাকি দীপাবলি উপলক্ষে ঝাঁটা কিনতে হবে তাহলে শুভ হবে, শেষমেশ শোনা গেল কোন কোন জ্যোতিষী নাকি নেটমাধ্যমে এটি প্রচার করেছেন, যাই হোক এতে সংস্কার - কুসংস্কারের প্রশ্নে না গেলে সবরকম ঝাঁটা ব্যবসায়ীদের বা এরসাথে যুক্ত শ্রমিকদের ভালোই হয়েছে!! ... ...
ছাতা @ কু না ল স র কা র অনেক মানুষেরই ছাতা থাকে না অনেক মানুষেরই ছাতা হারিয়ে যায় এজন্য আমি ছাতার কারিগর দেখলেই, সামনে অপলক ... আমি জীবন বুনতে বুনতে ভাঙা ছাতে রোদ্দুর গুনেছিঅপরদিকে অন্ধকার আমাকে গুনে গুনে বৃষ্টিকে পাঠিয়েছিলআমি ভেবেছি তা ছাতার কাপড়ভোতা বুদ্ধি দিয়ে কাটতে কাটতে ভুলে গেছি সেলাইয়ের ফোড়বুকের বৃষ্টিজল ব্যথা হয়ে আছে সপসপে .... ছাতার কারিগরের হাতে, এইত্তো আমি ছেঁড়া ছাতা! ... ...
লকডাউনের পুণ্য প্রভাতে ঘুন ভাঙতেই হোয়াটস অ্যাপে একটি সুপ্রভাত বার্তা পেলাম – বেসিনের পাশে স্তুপাকৃত তৈজসপত্র মার্জনারত এক স্বল্পবসন ম্যাচো ম্যান । নীচে ক্যাপশন “ হাতে স্কচ থেকে স্কচ ব্রাইট – ভারতীয় পুরুষের বিবর্তন!” তারপর তো তাই নিয়ে সারাদিন ধরে হাসি ঠাট্টা কৌতুকের বন্যা । কত রকম মিম, কতরকম ভিডিও, কতরকম রম্যরচনা! রান্না, ঘরমোছা, বাসন মাজা ইত্যাদি ঘরের কাজ করতে তারা যে কত অপটু, কত আনাড়ি সে কথা জেনে আর জানিয়ে হেসে গড়িয়ে পড়ছে ঘরবন্দী রসিকপুরুষের দল। ঘরের কাজে হাত লাগাতে বলে অসহায় পুরুষজাতিকে কি প্রচণ্ড অত্যাচার করে চলেছে পাষন্ড নারীজাতি তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনা – কি করুণ আবেদন - ... ...
উত্তর কলকাতার বাগবাজার। সময় যেন হঠাৎ করেই থমকে দাঁড়িয়েছে এখানে। বাগবাজারের রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে এখনও টের পাওয়া যায় বনেদি কলকাতার গন্ধ, বাগবাজারের প্রতিটি অলিগলি ঐতিহ্যের কথায় বলে সর্বক্ষণ। সিরাজউদ্দৌলা শ্রী রামকৃষ্ণ অথবা সুভাষচন্দ্র, ইতিহাস থেকে সাধনমাহাত্ম্য বারংবার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে বাগবাজারের ঘাটে। তবে বাগবাজারের আদি বাসিন্দারাও হয়তো মনে রাখেননি নগেন্দ্রনাথ বসুর নাম। রামকৃষ্ণ সুভাষচন্দ্র অথবা সিরাজের ভিড়ে নিঃশব্দে হারিয়ে গিয়েছেন এই বাঙালি, যিনি সবার অন্তরালেই একপ্রকার বিপ্লব ঘটিয়ে ফেলেছিলেন বাংলা সাহিত্যের জগতে।১৮৬৬ সালের ৬ই জুলাই। সেদিন সকাল থেকে আকাশের মুখ ভার।একনাগাড়ে কেঁদে কেঁদেও ক্লান্ত হয়না সে। গঙ্গার পাড়ের গাছগুলো বারংবার মাথা ঝুঁকিয়ে প্রকৃতিকে কুর্নিশ করেও রেহাই পাচ্ছে না। এমনই ... ...
আমার এটা নিয়ে লেখার ইচ্ছে অনেক দিনের, কারন সাদা বাংলায় যেটাকে পাণু বলে সেটা দেখছিও অনেক দিন ধরে ৷ মনের মধ্যে বড় দ্বন্দ্ব তৈরি হয় ৷ মনের একটা সচেতন অংশ আছে যেটা দুটি মানুষের মিথোজীবীতার সম্পর্কে বিশ্বাস করতে চায় I বিশ্বাস অনেকটা আশ্রয়ের মত । আশ্রয়হীন হতে ভয় করে ৷ কিন্তু তবু শরীরের চাহিদা যখন পর্নোগ্রাফির দরজায় নিয়ে যায়, আর পর্ণগ্রাফি তার ভিসুয়াল সম্পদের দ্বার ফ্রি তে আপনি খুলে দিয়ে ডাকতে থাকে তখন সেখানে নিজের সব সত্য বিষর্জন দিয়ে ঢুকি ৷ ... ...
#পুরোনো লেখাআজ সক্কালবেলা বেরিয়ে কাজে যাওয়ার পথে দেখলাম, রাস্তায় কিছু কিছু জায়গায় ম্যালা পুলিশ। ঊর্দি পরে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে অটোদের কেস দিচ্ছে, কিন্তু দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে সেটা তাদের আজকের কাজ নয়। ভাবলাম কিছু মিছিল টিছিল আছে বোধ হয় আজ গরু সংক্রান্ত, তাই বিশেষ ব্যবস্থা। কে একজন বললেন, "আজ এইচ এসের রেজাল্ট!" মনে মনে ভাবলাম, হ্যাঁ আয়, দু বছর পর থেকে রেজাল্টের দিন কার্ফু জারি করা হবে এরপর!পুলিশের কি হল জানি না, তবে আমার এই উদ্ভট ধারণাপোষণকারী বড়ভাইটি আমার স্মৃতির ঝাঁপি খুলে দিলেন। এইচ এস, মানে সায়েন্স, মানে পরীক্ষায় গোল্লা পেয়ে হাবু ফেরেন বাড়ি। মানুষ গতজন্মে পাপ করলে ইহজন্মে পশুপাখি হয়ে ... ...
৬ চাঁদ চাঁদনি চন্দ্রধর চন্দ্রকান্ত নাকেশ্বর। শেওড়াফুলির শাকচুন্নি নাকের পাটায় দুটো শূন্যি, আমার গলায় ঘেঁটুর মালা! বললে - তুঁমিই প্রাঁণেশ্বর!
ধরা যাক আমি কোনো একটি পোস্টে বেশ কিছুদিন আগে কমেন্ট করেছিলাম কিন্তু এখন পোস্ট সম্পর্কিত নোটিফিকেশন পাওয়া বন্ধ করতে চাই । আনফলো করার উপায় কী ? মানে আমি নতুন নতুন কমেন্টের নোটিফিকেশন প্রাপ্তি বন্ধ করতে চাইছি ৷
যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষের নিয়মিত আহ্বান থেকে দূরে সরে এসে মানুষ এখন নিজেকে নিয়ে খুব বিব্রত হয়ে পড়েছে, অন্তত মৃত্যুর ব্যাপারে। মানে যুদ্ধ বা দুর্ভিক্ষ হচ্ছে না কোথাও, এমন নয়, কিন্তু মানুষের ইচ্ছেয় হচ্ছে। অবধারিত ভাবে হচ্ছে বা চাইলেও আটকানো যাচ্ছে না - এমন নয়। আত্মহত্যা এমন একটা সমস্যা হয়ে এসেছে, যার সবটা এখনও ঠিক ধরে ফর্মূলায় আনা যাচ্ছে না। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মনে হচ্ছে বুঝে ফেলেছি, আবার তার ত্রুটি বেরিয়ে যাচ্ছে। নিখুঁত মডেল মিলছে না। কিন্তু সমাধানের জন্যে উদগ্রীব আমরা, নিত্য নতুন থিওরি চারদিক চেয়ে ফেলেছে। মুশকিল হলো, আত্মহত্যার মতো একটা বিষয় একটা দিক থেকে সম্পূর্ণ ধরাও হয় না - সাইকিয়াট্রির সঙ্গে চলে আসে নৈতিকতা, মনস্তত্ত্ব, সমাজতত্ত্ব, ধর্ম, নৃতত্ত্ব, দর্শন আরো কত কী। ... ...
জমকালো উৎসব বাড়ি কীভাবে ঢুকেছে এক বেমানান ফেরারী জোকার। তাকে ঘিরে বাড়ছে ভিড় স্খলিত গুঞ্জন