এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • টইপত্তর  অন্যান্য

  • পায়ের তলায় সর্ষে--৬ :

    (dear)
    অন্যান্য | ২০ জুন ২০০৭ | ৩৮৯১ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • পাতা :
  • bozo | 68.239.77.54 | ২৫ জুন ২০০৭ ০২:৩৯389331
  • আপনি কি নাথুলা পাস-এর কথা বলছেন?
    রোহটাং তো কুলু থেকে লাহুল স্পিটি যাবার রাস্তা।
  • dear | 203.145.188.131 | ২৫ জুন ২০০৭ ১৩:২৯389332
  • ছি ছি,
    খুবই অন্যায় ভুল !....... কোনও অজুহাত দিচ্ছি না।

    ধন্যবাদ বৈজ'দা , ওটা নাথুলা পাস ই হবে। ....... দু:খিত !
  • dear | 203.145.188.131 | ২৫ জুন ২০০৭ ১৫:৫১389333
  • ( না গো অপ্পনদা, নিম-বেগুন আমি যথেষ্টই আহ্লাদে খাই ! ......এটা লেখার কারণ , আমার মধ্যে একটা ক্ষীণ আশা রয়েছে নাথুলা ছাড়াও লেখাটা তোমরা পড়বে!)
  • S | 61.95.167.91 | ২৫ জুন ২০০৭ ১৭:০৪389334
  • দ্রিকে আরো চাগিয়ে দিতে পারি।

    শুরু করব নাকি উত্তরবঙ্গ নিয়ে আরেকটা সুতো? পোচুর পোচুর স্মৃতি ওখানকার রাস্তাঘাটে।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৬ জুন ২০০৭ ১২:৪৩389335
  • পাহাড়ি পথের বিপদসঙ্কুলতার কথা আর নতুন করে কিছু বলার নেই। চরাই পথে হঠাৎ হঠাৎ বুক ছাঁত্‌ করে ওঠা বাঁক, বাঁপাশে খাড়া পাহাড় আর ডান পাশে খাড়া নেমে গেছে অতল অস্পষ্ট উপত্যকায়। মাঝে মাঝে বাঁদিকের পাহাড় থেকে নেমে আসা খরস্রোতা ঝরণাধারা।.... পাহাড়ি পথের বাঁকে বাঁকে BRO ( Border Roads Organisation---- ভারত সরকারের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের অধীন একটি বিভাগ ) -এর অভিনন্দন, শুভেচ্ছাবানী এবং পার্বত্য পথের জন্য ড্রাইভারদের ও পর্যটকদের জন্য লেখা আচরণবিধি। কোথাও পাহাড়ি ধ্বসে ভেঙে যাওয়া রাস্তা সদ্য সারানো হয়েছে। তার সতর্কতাবানী।......তবে জলপাইগুড়ি-গ্যাংটক পথের চেয়ে অন্য রকম অভিজ্ঞতাও আছে। কখনও দেখছি অনেক সবুজ পর্বত শিখরকে নিচে ফেলে এসেছি। আবার আরও অনেক পর্বত শিখর আমাদের চেয়ে অনেক উচুতে। তাদের মধ্যে কারো কারো উন্নতশির অহঙ্কারে সাদা (-- বরফে সাদা! )। মজার ব্যাপার হ'লো , কত মেঘের দল আমাদের নিচে ফেলে আসা পাহাড়ের গায়ে গায়ে ম্লান মুখে ভেসে যাচ্ছে! --- এখানে নিজেকে বেশ অহঙ্কারী মনে হয় মেঘকে উপর থেকে দেখছি ব'লে। আর কিছু মেঘ আপনার কাছেপিঠে হাতের নাগালে ঘোরাফেরা করছে...... সে এক অদ্ভুত মজার অনুভুতি! আর যারা অল্প উপরে ঘোরা ফেরা করছে তাদের ছায়া পড়ছে পাহাড়ের গায়ে, পথের 'পরে! ভাবুন তো কখনও মেঘের ছায়া দেখেছেন!

    আমরা যখন ছাঙ্গু লেক পৌছুলাম তখন প্রায় ১২টা বাজে । পরিস্কার আকাশ। এই ১২হাজার ফুট উচুতে যে পরিমান শীত তার সঙ্গে মানানসই উপভোগ্য রোদ। যদিও আমি ফুলহাতা সোয়েটার এবং তার উপর পুরো হাতা জ্যাকেট চাপিয়েছিলাম, গলায় মাফলার আর মাথায় কানঢাকা টুপি পরেছিলাম এবং গাড়িতে চরাই ভেঙে আসার পথে ঠান্ডা হাওয়া লেগে বেশ শীত শীত লাগছিলো--- তবুও, রাস্তার ধারে দূরবিস্তৃত ছাঙ্গুলেকের টলটলে জলের পাশে খোলা আকাশের নিচে দাড়িয়ে রোদের মিঠে আঁচ গায়ে নিতে নিতে লেক সংলগ্ন এলাকাটিকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত মনে হচ্ছিলো। আকাশের গায়ে পেঁজা তুলোর মতো ধবধবে সাদা মেঘ অলস গতিতে ভেসে যাচ্ছে। আর তারই প্রতিবিম্ব মনে হচ্ছে লেকের জলে ভাসমান বরফ যা কিনা দূরের কিনারা থেকে জমতে জমতে জলের মধ্যে নেমে এসেছে।

    আমাদের ড্রাইভার বলল, ফেব্রুয়ারীতে পুরো লেকের 'পরে বরফের আস্তরণ পরে যায়। তখন নাকি বরফ খুড়লেই একমাত্র জলের দেখা মেলে। তবে আমরা নাকি ভাগ্যবান, কারণ এই অক্টোবরে একেবারেই বরফ থাকার কথা নয়! অথচ আমাদের জন্য অনেক বরফ অপেক্ষা করে ছিলো! গত তিনদিন এ-অঞ্চলে নাগাড়ে বরফপাত (snow fall) এর ফলেই এতা হয়েছে। এজন্যই আগে বলেছিলাম তুষারপাতের খবরটির ভালো দিকও আছে। তবে ভাগ্য আমাদের জন্য আরো চমক নিয়ে অপেক্ষা করছিলো।

    ড্রাইভার ভাই বলল, এখানে বেশিক্ষন না দাড়াতে। কারণ, যখন তখন ওয়েদার খারাপ হতে পারে! বরং ফেরার পথে (বাবা-মন্দির থেকে ) এখানে আবার দাড়ানো যাবে। রাস্তার বাঁ-দিকে (ডানদিকে লেক) সারি দেওয়া দোকান। প্রতিটা দোকানই বাবামন্দির যাওয়ার জন্য গামবুট,পশমের পোশাক, মোজা, দস্তানা ইত্যাদি ভাড়া দেয়। খাবার-দাবার, ড্রিংক ও পাওয়া যায়। আমি অবশ্য শুধু গামবুট পরলাম। শপ নং ২৪। এখানে একটা মজা হয়েছে। জুতো-মোজা খুলে একটা পা বুটে যেই না ঢুকিয়েছি---- আআআআ! উফ, মনে হলো যেন ০ কেলভিন টেম্পারেচার আমার পা কামড়ে ধরলো! সবাই ঘুরে তাকিয়েছে। তখন সিকিমিজ দোকানি ষোড়শীটি মিষ্টি হেসে বসে পড়লো , হম পহ্‌না দেতে হ্যাঁয়, অভ্‌ভি প্যায়্‌র্‌ গরম হো যায়েগা!---কোনো বারণ করার আগেই। বৌদি মুখ টিপে হেসে চলে গেলো। কিন্তু, ষোড়শীর অপূর্ব দেহ-বিহঙ্গ বা আবেদনময় চোখ ও ঠোটের দুষ্টু ভঙ্গিমায় আমার পা গরম হ'লো না! ভাবুন।

    যাইহোক, আমরা ওখান থেকে বাবামন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। পিছনে রেখে গেলাম (অথবা নিচে ) রোদ ঝলমল ছাঙ্গু লেক-কে।
  • dear | 123.236.103.46 | ২৬ জুন ২০০৭ ১৪:৩৪389336
  • ছাঙ্গু অবধি রাস্তার চেয়ে বাবামন্দির যাবার রাস্তার রূপ একটু আলাদা।
  • sra | 123.236.103.46 | ২৬ জুন ২০০৭ ১৪:৩৮389337
  • লেখা ভালো হোচ্চে,চালিএ জান।
  • sra | 123.236.103.46 | ২৬ জুন ২০০৭ ১৪:৪৪389338
  • স্যরি, পাশে বাংলা আসছে না ।
  • Blank | 65.82.130.9 | ২৬ জুন ২০০৭ ১৯:৪৩389339
  • বিচুটি পাতার স্যুপ খাও নি?
  • dear | 203.145.188.130 | ২৬ জুন ২০০৭ ২০:১৭389341
  • বাবামন্দিরের পথের দু'ধারে দ'টি জিনিসই মাত্র চোখে পড়ল । এক, বরফ আর বরফ! রাস্তায় বরফ। উপরে পাহাড়ের গায়ে বরফ। নিচে পাহড়ের নেমে যাওয়া ঢালে বরফ। গুটি কতক যা কুটীর আছে তার চালেও বরফ। যেন গোটা অঞ্চলকে বরফের চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছে। আর দ্বিতীয়ত, প্রায়ই রাস্তার বাঁকে বাঁকে সশস্ত্র সেনা ছাউনি। এখানে ড্রাইভারভাই দূর থেকে বোফর্স কামান দেখালেন। তবে কামান নয় যা দেখে অপ্রত্যাশিত মনে হল তা হল : এয়ার-টেলের লাল-সাদা প্ল্যাকার্ড আর এস বি আই- এ টি এম।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৬ জুন ২০০৭ ২০:২১389342
  • ব্ল্যাংক,

    না তো, বল বল ব্যাপারটি কিরকম?
  • Blank | 65.82.130.9 | ২৬ জুন ২০০৭ ২০:৫৪389343
  • ওটা সিকিমের খাবার, একটু লোকাল গ্রামের দোকানে পাওয়া যায়। ঘাস ঘাস গন্ধ, খেতে কিছুই না। কিন্তু পাতা টা বিচুটি বলে, খেতে বেশ একটা মজা লাগে।
  • d | 122.162.106.160 | ২৬ জুন ২০০৭ ২০:৫৭389344
  • সেরেছে!! মুখ গলা চুলকোয় না? অবশ্যি তুই তো কেন্নোও খেয়েছিস, কাজেই ...........
  • Blank | 65.82.130.9 | ২৬ জুন ২০০৭ ২১:১১389345
  • হ্যা কেন্নো জিনিস টা খুব ঝাল। তাই আমি কাউকে ওটা রেকমেন্ড করছি না। কিন্তু যে সিকিমে যাবে সে বিচুটির স্যুপ খেয়ে দেখো।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৬ জুন ২০০৭ ২৩:২০389346
  • শুনেছি, কচু শাকে একটা কেন্নো দু'টো তেজ পাতা ফোঁড়ন দিলে খেতে ব্যা-প-ক লাগে!
  • dear | 203.145.188.130 | ২৭ জুন ২০০৭ ০০:৪৬389347
  • বাবামন্দির গিয়ে এক কথায় পাগল হয়ে গেলাম। চারিদিকে শুধু সাদা বরফ। বৈচিত্রহীন ধবধবে সাদা! এ রং-য়ের কোনও উপমা হয় না। এ শরতের কাশফুল আর পেঁজা তুলোর মতো মেঘ'এর চেয়েও সাদা, রাতের রজনীগন্ধা'র চেয়েও সাদা। ......""আমি তখন নবম শ্রেণী , আমি তখন শাড়ী''--- সেই নবম শ্রেণীর শাড়ী এবং সদ্য শাড়ী পরিহিতার মনের চেয়েও সাদা এ বরফ !

    এ হেন উপমাহীন, বৈচিত্রহীন সাদা বরফের যে কি অমোঘ, অলঙ্ঘনীয় মাদকতা তা স্বয়ং ঐ তুষার-প্লাবনে হারিয়ে যেতে না পারলে অনুভবই করা যাবে না।.... আমাদের বয়স ঝপ করে কমে গেলো। সীমাহীন আবেগে , এবং শিশু সুলভ আবিলতায় মত্ত হয়ে উঠলাম। বরফ হাতে নিয়ে খুশিতে বিহ্বল হলাম। একে অন্যের গায় ছুড়লাম। বরফের উপরে লাফালাম। ঝাপালাম।...বাচ্চাদের বকতে ভুলে গেলাম।... প্রচুর ছবি তুললাম।...আরও কত কী!

    বরফ: http://www.esnips.com/doc/44c5e962-cb82-4fe8-ae57-258ec45b4746/baabaa-mandire...-bhaipo
  • dear | 203.145.188.131 | ২৭ জুন ২০০৭ ১৩:৩৩389348
  • বাবামন্দির প্রকৃত পক্ষে কোনও মন্দির নয়। এটি একটি স্মৃতিসৌধ । যুদ্ধে মৃত (বোধহয় চীনযুদ্ধ ) সেনাদের উদ্দেশ্যে নির্মিত। ছাঙ্গু লেক থেকে আরও ৪০০ ফুট উচুতে অবস্থিত এই সৌধ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের জন্য অন্যতম ট্যুরিষ্ট আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। তাপমাত্রা মোটামুটি - ৫ থেকে ৫ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে।--- স্থানীয় লোকের মুখে মুখে বাবামন্দির নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে। এর পাশেও একটা লেক আছে--- কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে ঘেরা। সেনা পরিচালিত একটি ক্যান্টিনও আছে। ট্যুরিষ্টরা চাইলে সেখানে খেতে পারেন।.... এই ভয়ানক ঠান্ডায় তো জমে যাওয়ার মতো অবস্থা! আমি তড়িঘড়ি দু'পেগ "সাদা দুষ্টুমি' গলায় ঢাললাম--- আর উদাত্ত কন্ঠে মেয়েদের এবং বাচ্চাদের জন্যও "প্রেসক্রাইব' করলাম ! ওরাও বিনা বাক্য ব্যয়ে খেয়ে নিলো ! ( এখানে মনে রাখতে হবে অমাদের বাড়ির মেয়েরা এই গরম পানীয়'র ব্যাপারটা খুব একটা সুবিধের নজরে দেখে না ! )

    বরফের প্রতি আমার মুগ্‌ধতার পরিচয় তো পেয়েছেনই। আরেকটা কথা, আমরা যখন পৌছুলাম তখন আকাশ ছিলো পরিস্কার, রোদ ঝলমল করছে। রোদ তখন বরফে প'ড়ে ঠিকরে আসছে। বেশিক্ষন রোদের দিকে তাকানো যাচ্ছে না-- চোখ ঝলসে যাচ্ছে। .....চোখের সামনে এই ব্যাপারটা বদলে গেলো। নীল আকাশ সাদা মেঘে ছেয়ে গেলো, মনে হচ্ছে বরফ-আভরিত পাহাড় আর আকাশ মিশে গেছে। (ছবিতে দেখুন)। এ অবস্থাও বেশিক্ষন থাকলো না। সাদা মেঘ আরও ঘন হলো, কালো হলো...... এই পুরো পরিবর্তনটা চোখের সামনে হলো। আমি বলে বোঝাতে পারবো না সে কি অদ্ভুত দৃশ্য! ...তাপমাত্রাও কমে যাচ্ছিলো---

    আমাদের ড্রাইভার-ভাই ভয়ানক ডাকাডাকি করতে লাগলো। এখুনি ফিরতে হবে! নইলে নাকি ফেরার রাস্তা বন্ধ হয়ে যেতে পারে! .... শেষ পর্যন্ত পথে আটকে পড়তে না হলেও ড্রাইভারের ভয় কিন্তু অমূলক ছিলো না।
  • kd | 66.31.246.203 | ২৭ জুন ২০০৭ ২৩:৩৭389349
  • যতদূর মনে পড়ে এই বাবা মিলিটারীতে kitchen dutyতে ছিলেন, কাজ ছিলো ছাগল চরানো - তা এই ছাগল চরাতে গিয়ে পাহাড় থেকে পড়ে শহীদ হন - ঐ মন্দিরের মধ্যে একটি plaqueএ মনে হয় লেখা আছে - শুধু কিলিয়ার হলো না ওনার আর কী কোয়ালিটি ছিলো যার জন্যে এই honor

    আমরা ২০০৩ সালে নভেম্বরে সিকিম গিয়েছিলুম - আমার বউ এই ছবিগুলো পিকাসায় তুলেছিলো, লেবেল করা (বা বাজে ছবিগুলো পুঁছে দেওয়া) আর হয়ে ওঠেনি। ইচ্ছে হলে কোনোদিন করবো হয়তো।
    http://picasaweb.google.com/papurma/Sikkim2003
  • d | 122.162.104.228 | ২৮ জুন ২০০৭ ০৯:২৫389352
  • এই "বাবা'কে নিয়ে একটা জব্বর ভুতের গল্প প্রচলিত আছে। দীয়ারের জানা উচিৎ। কেউ না জানলে বোলো আমি বলে দেবো।
  • dear | 203.145.188.130 | ২৮ জুন ২০০৭ ১১:১৭389353
  • দ -দি,
    বলুন বলুন ,
    শুনি..... আমার জানা নেই ! :-((
  • S | 61.95.167.91 | ২৮ জুন ২০০৭ ১১:৩৬389354
  • ওখানে নাথুলা পাসের কাছে থাকা ইন্ডিয়ান আর্মির কাছে বাবা হরভজন সিং দেবতাবিশেষ। আর্মি বিশ্বাস করে এই বাবা বছর বছর ধরে চীন ভারত সীমান্তকে পাহারা দিয়ে আসছেন। ইন্ডিয়ান আর্মির তরফ থেকে এখনও বাবার নামে স্যালারি জেনারেট করা হয় (সে টাকা কে পায়, আমি জানি না), আর বছরে একটা করে সামরিক উর্দি বাবার জন্য অ্যালট করা হয়। সেটা ঐ মন্দিরেই রাখা হয়।
  • Suddhasheel | 115.184.129.119 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ১৯:৩৬389356
  • বারাণসী বেড়ানোর একটু প্রিভিউ চাই।
    এনিবডি?
  • Blank | 59.93.254.224 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৪৮389357
  • ১) ভোর বেলা বাবা বিশ্বনাথের মন্দিরে পুজো দিয়ে আসুন। যত বেলা হবে লোক বাড়বে।
    ২) একটা গাড়ি ভাড়া করে আশ পাশে চক্কর মারুন। এটা সেটা অনেক কিছু ঘুরিয়ে দেখিয়ে দেবে। রামনগরের রাজবাড়ি আর মিউজিয়ামটা গাড়িতেও যেতে পারেন, নৌকাতেও যেতে পারেন।
    ৩) বিকেলে নৌক চড়ে গঙ্গা বক্ষে ভাসুন। একটু দর দাম করে উঠবেন নৌকা তে, শ দুই তিনের কমে হবে না। একদম হরিশ্চন্দ্র ঘাট থেকে মনিকর্নিকা ঘাট অব্দি ঘুরিয়ে ফের আপনি যে ঘাট থেকে উঠেছিলেন, সেখানে নামিয়ে দিয়ে যাবে। আর পায়ে হেঁতে মানসিংহের মানমন্দির দেখে নিন। ঘাটের পাশেই।
    ৪) সোন্ধ্যের মুখেই গঙ্গা আরতি দশাশ্বমেধ ঘাটের পাশে, দুটো গ্রুপে। দেখতে দারুন লাগবে। একদিন পাশ থেকে দেখুন, আর একদিন নৌকায় উঠে নৌকা থেকে দেখুন। নৌকে থেকে আরতি দেখাতে পার হেড মনে হয় খান পনেরো টাকা নেয়।
    ৫) দিনের বেলা খাওয়া দাওয়া করুন যা ইচ্ছে, আমিষ পাওয়ার চান্স কম।
    ৬) রাতে খেয়ে দেখুন রুটি আর রাবড়ি। বিশ্বনাথের গলিতে ঢুকেই কয়েকটা দোকান পরে বাদিকের রাবড়ির দোকানের রাবড়ি আর প্যাঁড়াটা ব্যপক লেগেছিলো।
    ৭) হোটেলে ফেরার আগে ভাঙের শরবত খান নিয়ম করে, ও জিনিস বেনারস ছারা পাবেন না। সবচেয়ে ভালো শরবত করে বিশ্বনাথের গলির ভেতরের দু একটা দোকান। কিন্তু অত গোলকধাঁধা বলে বোঝানো মুশকিল, ওগুলো খুঁজে না পেলে, বড় রাস্তার মোড়ে, SBI ATM এর পাশের দোকান থেকেই খান। বলে দেবেন যে ভাঙ যেনো দেয়।
    ৮) আমিষ খেতে ইচ্ছে হলে এই ATM এর চার মাথার মোড়ে যে রিক্‌শা পাওয়া যায়, তাদের বলুন চিকেন এর কোথা। ওরা নিয়ে যাবে, সন্ধের পর মেলে।
    ৯) সারাদিন পান খান। নানা রকম পান মেলে, কিন্তু কোনো মশলা ছারা বেনারসী পানের তুলনা নেই। একদম আলাদা স্বাদ।
    ১০) একদিন গাড়ি ভাড়া করে এলাহাবাদ চলে যান। জওহরলাল নেহরুর বাড়ি আর ত্রিবেনী সঙ্গম দেখুন, এলাহাবাদ ফোর্ট ও দেখে নিন। ফেরার পথে সীতা মাইয়ার মন্দির না দেখে চুনার ফোর্ট টা দেখে ফিরে আসুন।
    ১১) বাড়ি আসার আগে পান মশলা, হজমী গুলি এসব কিনুন। বিশ্বনাথের গলির উল্টো দিকে বড় রাস্তার ওপরের পান মশলার দোকান গুলো বেশী ভালো। বহু পুরনো বাঙালী দোকান আছে ওখানে। ওগুলো ই সবচেয়ে ভালো। মন্দিরের গলি থেকে কিনবেন না।
  • Blank | 59.93.254.224 | ২৮ নভেম্বর ২০০৯ ২০:৫১389358
  • আর যদি মনে একটু ভক্তি বেশী থাকে, আমার মতন পুন্য বান সাঙ্কিÄক মানুষ হন (আশা করছি তা নন আপনি, তাও আর কি ...), তো রাত্তিরে বাবার পুজো শেষ হওয়ার সময় বিশ্বনাথের গলিতে যান। বা আপনার পান্ডা কে বলে রাখুন। রাতের পুজো হয় বাবার গায়ে ভাঙের মিক্স মাখিয়ে। সেই মিক্স প্রসাদ হিসেবে দেওয়া হয়। পান্ডা রা সব দোকানে দিয়ে যায়। আপনিও একটু খেয়ে দেখুন। এক্কেবারে কৈলাশে পৌঁছে যাবেন।
    জিনিসটা থাকেও অনেকদিন, আমার জন্য কয়েকটা টুকরি নিয়েও আসতে পারেন :)

  • Suddhasheel | 115.184.253.238 | ২৯ নভেম্বর ২০০৯ ২৩:৫৩389359
  • আহা! ব্ল্যান্‌কভায়া। প্রভূত ধন্যবাদ।
    এইরকম-ই চাইছিলাম। :-)
    ফিরে এসে জানাব।
  • তমাল ব্যানার্জী | 125.240.136.181 | ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ১৮:১৬389360
  • কি সুন্দর.....
    আর কোনো কথা নতুনভাবে বলছি না।
    এককথায় আরএকবার নতুনভাবে অনেককিছু স্মৃতিনিয়ে আপনাক কথাগুলিির সাথে সাথে গ্যংটক, ছাঙ্গো, বাবাজীর মন্দির ঘুরে এলাম।
    আমার প্রাণপ্রিয় তিনটি জায়গার একটি 'সিকিম'।

    অনেক ধন্যবাদ।
  • পাতা :
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। ঝপাঝপ প্রতিক্রিয়া দিন