এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • হরিদাস পাল  গপ্পো

  • সীতা, বনবাস এবং 'ঈশ্বর'

    তামিমৌ ত্রমি লেখকের গ্রাহক হোন
    গপ্পো | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৫৩ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • সীতা, বনবাস এবং ঈশ্বর 
    তামিমৌ ত্রমি 

    প্রস্রাবের বেগ বড় বালাই। শোক তাপ বঞ্চনা সব সহ্য করা যায় কিন্তু এই পূর্ণগর্ভা অবস্থায়  প্রস্রাবের বেগ কোনমতেই সামলানো যায় না। যত প্রসবের দিন এগিয়ে আসছে, তলপেটের উপর চাপ যত বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই ক্ষণে ক্ষণে মূত্রবেগ উপস্থিত হচ্ছে। সীতা একটি ঝোপাবডালে প্রকৃতির বেগ মোচন করতে বসলেন। 

    মোচন বড় স্পর্শকাতর। একটি মোচন আরেকটি নিষ্ক্রমণকে টেনে আনে। প্রস্রাবের প্রথম তপ্ত মোক্ষণ যে মুহুর্তে তৃণভূমির বুকে একটি স্রোতোধারা রচনা করার উপক্রম করল, সেই মুহুর্তেই টপ করে দুটি জলের ফোঁটা সীতার দুই নয়ন বেয়ে বুকের গভীরে ফল্গুনিভ তৎপরতায় অদৃশ্য হল।
    প্রসাবের বেগ আর অশ্রুর বেগের যে সঙ্গত সেই প্রভাতে ভাগীরথীতীরের নির্জন অশ্রুত সভাকক্ষে
    পরিবেশিত হল, তার সংবাদ জানে কয়েকটি জলপক্ষী, নীলাভ ছত্রধারী আকাশ, নির্মল আর্দ্র বাতাস আর চুপকাতর সীতার হৃদয়।

    অথচ পরশু বিকেলের গোলাপিত্বেও কত মনোরম ছিল!  যখন তার শ্লথ ক্লান্ত শরীরে নিদ্রাদেবী এসে আশ্রয় নিলেন, সীতা রামের বাহু- বালিশে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়লেন।   তিলতিলে তুলোপেলব নিদ্রাকালের একফাঁকে রাম তাকে ছেড়ে কখন যে উঠে পড়লেন, সে- ই শেষ। আর কি কখনো আর্য্যপুত্রের দেখা পাবেন তিনি? সেদিন যদি সীতার আর ঘুম না ভাঙত? ঐ স্বপ্নিল আবেশের মোহমাধুর্য্যেই যদি মোহিনীমরণ ঘটত, তাহলে সংসারের এমন কি ক্ষতি হোত।

    না তিনি এখনই নিদ্রিত?এখন, এই যে ভাগীরথীতীরে বসে বসে সীতা রোদন করছেন,  চৈতন্য হারাচ্ছেন, পুনরায় সংজ্ঞাপ্রাপ্ত হচ্ছেন,  কপালে করাঘাত করে করে স্বর্ণবলয়ের কঠোর আঘাতে রক্তপাত ঘটাচ্ছেন, আবার মাঝেমধ্যে  মূর্তিমতী নিথর হয়ে পড়ছেন, এসব স্বপ্ন নয়তো?

    লোকাপবাদের ভয়ে রাম তাকে পরিত্যাগ করেছেন। অবশ্য সীতার একটা মন জানে, রাম লোকানুরঞ্জনের জন্য কতদূর যেতে পারেন; জানেন তিনি। কিন্তু সমস্যাটা অন্য জায়গায়। সমুদ্রের যে অংশ দিয়ে জাহাজ যায় শুধুমাত্র সেই অংশই বিচলিত হয়। বাকি যে সামুদ্রিক পরিব্যাপ্ত  সত্ত্বা, সে অস্তিত্বের খবর জাহাজ জানলেও তার কাছে সমুদ্রের আবেদন শুধু তার দ্বারা সংঘটিত নীলান্দোলনটাটুকুই। এইটুকুই যে তার গর্বের জায়গা।
    সীতা রামের রাজসত্ত্বার খবর জানতেন নিশ্চিত কিন্তু প্রেমিক রামকে চোখে চোখে হারিয়েই তিনি জীবন কাটিয়ে দিতে চেয়েছিলেন। কোনদিন যে প্রেমিক রাম রাজা রামের প্রতিদ্বন্দ্বী বা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, সে পরিস্থিতি যে তৈরি হবে নিষ্ঠুর নিয়তির এতাদৃশ প্রবঞ্চনায়, কে ভাবতে পেরেছিল?

    রাবণের গৃহে দীর্ঘদিন বাস করেছিলেন সীতা। তাই সীতাকে দুশ্চরিত্রা বলে মনে করে অযোধ্যাবাসীরা। অগ্নিপরীক্ষাকে তারা গল্প গুজব বলে উড়িয়ে দেয়। তাদের গৃহবধূরা চরিত্রদোষ ঘটিয়ে যদি সীতার উদাহরণ দেয়, তাহলে তারা কী উত্তর দেবেন? তাই তো। সেই মহাবিনষ্টির প্রতিবিধান- মানসেই সীতা আজ ভাগীরথী তীরে বাল্মীকী আশ্রম - সমীপে নির্বাসিতা। বেলাটি হেলিতেছে। সীতার শাড়ির রক্তাম্বর হৃদয়ের সদ্য জাগরুক ক্ষত থেকে বিন্দু ও বিষণ্ণতা পেয়ে পেয়ে আরও গাঢ়, আরও আর্দ্র 

    বায়না ধরেছিলেন সীতা। তপোবনে বেড়াতে যাবেন, মুনিকন্যা ও সখীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। রাম ও লক্ষ্মণ তার ভ্রমণসঙ্গী হবেন।মনে ভয় ছিল, রাম তাঁকে এ অবস্থায় হয়তো যেতে দেবেন না কিন্তু আর্য্যপুত্রের সানন্দ সম্মতিতে সীতার আনন্দের পরিসীমা ছিল না। রাত্রে তার ঘুমই আসেনি। অরণ্য-সইদের জন্য বসন- ভূষণ সামগ্রী সহকারে সজ্জিত হয়ে অপেক্ষা করছিলেন ভোর ভোর।  লক্ষ্মণ বার্তা নিয়ে এল।  সুমন্ত্র রথ নিয়ে প্রস্তুত। প্রভাতী পাখিদের কলতানে তখন শঙখনাদের পবিত্রতা। আকাশকে যেন সদ্য সদ্য মার্জনা করা হয়েছে, এমন স্ফটিক নীলাভ।  
    আদরের দেবরটিকে নিয়ে রথে উঠলেন সীতা। রথ চলতে লাগল। প্রকৃতিদেবী যেন তাদের যাত্রাপথের দুদিকে চিত্রপ্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন। কীই যে অপরূপ সব প্রদেশ, তাদের শোভা!  
    তবু এর মধ্যেই সীতার ডান চোখ কেন কাঁপছে। সারা শরীর থরোথরো কম্প্র উদবেলে বিচলিত হচ্ছে। কারোর কি কোন অনিষ্ট হয়েছে, রামের কোন ক্ষতি হয়নি তো? ভরত, শত্রুঘ্ন সবাই ঠিক আছে তো? ঋষ্যশৃঙ্গ- আশ্রমের যজ্ঞস্থলে কোন বিপদ ঘটেনি তো। কৌশল্যা প্রমুখ রাজমাতারা, বশিষ্ঠদেব সবাই তো সেই যজ্ঞের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গেছেন। লক্ষণের মুখও কেমন শুষ্কচাতক। আচ্ছা, রাম তো তার সঙ্গে এলেন না। যদিও লক্ষ্মণকে জিজ্ঞেস করেও কোন সদুত্তর পাওয়া গেল না। 

    এইরকমই দোলাচলে ভাসতে ভাসতে এক সময়ে তারা গোমতীর তীরে উপস্থিত হলেন। সর্বভুবন প্রকাশক কমলিনী নায়ক সূর্য্য তখন গিরিশিখরে অস্ত যাচ্ছেন, তাঁর আসন্ন নিদ্রার অন্তরে যে সুখস্বপ্নগুলি সুপ্ত ছিল এতক্ষণ তা এইক্ষণে রক্তাভ,নীলা,কমলা, হরিদ্রা প্রভৃতি বর্ণের ছটায় সর্ব চরাচরে বিকশিত হয়ে উঠতে লাগল।। বিশ্বরাজের এই অপার্থিব মহিমায় সীতার সমস্ত উৎকণ্ঠা দূর হয়ে গেল। তিনি, তারা.. অনিমেষ নয়নে বন্দনা করতে লাগলেন গোমতী নদীর স্রোতোধারায় বিচিত্র বর্ণিল আলোকাল্পনার প্রতিভাস। 

    রাত্রে ঘুম খুব ভালো হল। বোধহয় গোমতীর সে অপূর্ব প্রশান্ত লাবণ্যে বুক জুড়িয়ে গিয়েছিল। রথ যখন ভাগীরথীতীরে এসে পা রাখল, তখন যেন প্রভাত সদ্য স্নান সেরে পট্টবস্ত্র পরিধান করে স্তবে বসেছে। একমাত্র যত বাদল ঝরঝর,  নিগূঢ় গুমোট গাম্ভীর্য ও বিমর্ষতা জমাট  বেঁধেছে লক্ষ্মণের মুখে। জানকী কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। লক্ষ্মণের নাকি মনে পড়ছে ভগীরথের গঙ্গা আনয়নের কথা, সগর বংশ উদ্ধার হয়েছিল ভাগীরথীর দাক্ষিণ্যে। এইসব স্মৃতিতে আচ্ছন্ন হয়েই লক্ষ্মণের এই বিষণ্ণতা। সরলহৃদয়া সীতা তাকে সান্ত্বনা দিয়ে  অপর পারে নিয়ে যেতে বললেন। 
    একটি ক্ষুদ্র তরণী সীতাকে এপার থেকে ওপারে নিয়ে গেল। তিনি টেরও পেলেন না ঐপার থেকে এই পারে আসতে আসতে একটি রামায়ণগাথা সম্পূর্ণ হয়ে যাবে। 

    এর পরের গল্প সামান্যই। যে মেঘ সীতার প্রিয় দেবরটির মুখ একটি বিষণ্ণ রেকাবিতে জড়ো করে রেখেছিল, তাতে আকস্মিক বজ্রপাতে শুরু হল ঝরঝরশ্রাবণ।সীতা এক্ষণে জানতে পারলেন সব কথা।  ছিন্নতরুর মতো মূর্ছিতা হয়ে পড়লেন ভূতলে। 

    বেলা বাড়িল। দুজনেরই ভিতরের ক্ষতপুঁজ ফেটে গিয়ে সমূহ দরদর গরল হিংস্র হিল্লোলে ভাগীরথী অভিমুখে ধাবিত হয়ে মিশে গেল পুন্যজলে।
    শোক কথঞ্চিত স্তিমিত হল।

    লক্ষ্মণ.. একটি চলন্ত শব.. যন্ত্রচরণে নৌকোয় গিয়ে উঠল, নৌকা মুমূর্ষ রোগীর অন্তিম শ্বাসের মতো মিলিয়ে গেল ওপারে..

    সবই দিব্য আছে। কোথাও গাছ থেকে অতিরিক্ত একটি পাতাও পড়েনি। নিয়তির নির্বন্ধ, লোকাপবাদ, চরিত্রদোষ.. সবাই যে যার জায়গায় সুঠাম সমীচীন কিন্তু এই অবস্থায় প্রকৃত গুরুত্বপূর্ণ কর্মটি হল প্রস্রাবের বেগ মোচন করা- যা এই মুহুর্তে সম্পাদিত হয়েছে।

    সীতা একটি বটবৃক্ষতলে পা ছড়িয়ে বসলেন, শরীর মনের উপর এতক্ষণের অত্যাচারের  প্রতিশোধ নিতে এবার বুঝি উদ্যত হয়েছেন বসুন্ধরা মাতা। 

    সীতার বড় ঘুম পাচ্ছে। যা ঘটার তা তো ঘটে গিয়েছে। ঘটনা যা-ই হোক, তা যখন ঘটে যায় তখন তাকে মন:শক্তি অনুযায়ী অল্প অল্প করে কেটে ছড়িয়ে শুকিয়ে তোরঙ্গে তুলে রাখা যায়। নইলে মানুষ বাঁচে কেমনে। 

    এতকিছুর পরেও তাই সীতার ঢুলুনি আসে আর কি  আরাম হয় যখন কেউ মাথায় এমন পরম মমতায় হাত বুলিয়ে দেয়? কে? পিতা জনক? হাতের প্রতিটি শিরা থেকে যেন বাৎসল্য গড়িয়ে গড়িয়ে সীতার তপ্তমাথায় ভাগীরথীর জলসিঞ্চন করছে। কে? সীতা ক্লান্ত চোখ দুটি চেষ্টা করেও ফাঁক করে উঠতে পারলেন না। আঠায় জড়িয়ে গেছে দিঠি। 
    তবু মৃদু নিদ্রাকাতর কন্ঠ একটুখানি উসকে জিজ্ঞাসা করলেন, 
    'কে? পিতা?'
    ' হ্যাঁ, তা বলতে পারো মা। আমি তো ঈশ্বর। ঈশ্বর তো জনকও বটেন, তাই না?'
    'বড় ঘুম পাচ্ছে। বড় ক্লান্ত বোধ করছি । আমার এমন কেন হল পিতা।'
    ঈশ্বরের হাত আরেকটু স্নেহার্দ্র হল।
    'আমার তো একটা কথাই মাথায় ঢুকছে না ঈশ্বর ,আজ আমাকে সে যদি এইভাবে পরিত্যাগ করবে, তাহলে অত ঢাকঢোল পিটিয়ে সমুদ্র পেরিয়ে আমাকে উদ্ধার করতে গিয়েছিল কেন?'

    ঈশ্বরের বিলি আরো কোমল ও দীর্ঘায়িত হল।

    'রে অদৃষ্ট, আমার যদি আজ এই অবস্থা না হোত, তাহলে কখন জাহ্নবীর জলে জীবন বিসর্জন করে জ্বালা জুড়োতাম।

    ঈশ্বরের হাত স্তব্ধ হল।

    'আমি আর বাঁচতে চাই না পিতা..'

    'তা বললে তো চলবে না মা, 'ঈশ্বরের গলায় কমণ্ডলু বেজে উঠল..'তুমি মহাকাব্যের বলি।তোমার শেষ রক্তবিন্দু অবধি শোষণ না করে তো মহাকাব্যের শেষপাতা লিখিত হবে না। জগতকে জন্ম জন্মান্তরে যুগ যুগান্তরে দু:খে নিমজ্জিত করার জন্য তোমাকেই যে নির্বাচন করা হয়েছে মা। ওঠো, জাগো, যতক্ষণ না লক্ষ্যে পৌঁছোও ততক্ষণ বসে কালাতিপাত কোর না। কাঁদো, জোরে জোরে কাঁদো। তবে তো বাল্মীকী আশ্রমের তাপসরা এই পথে এসে তোমাকে আবিষ্কার করবে। শীঘ্র আদিকবিকে গিয়ে খবর দেবে। তাঁর আশ্রমে তুমি তনয়ার মর্যাদায় গৃহীত ও লালিত হবে। এরপর যুগ - যুগান্তরের কবিরা তোমাকে নিয়ে লিখবে আরও কতকিছু তার কি অন্ত আছে..'
    -'সীতা কি শুধুই আপনাদের মতো মহাকবিদের মূলধন? তার কোন স্বকীয় কান্না নেই?'

    ঈশ্বর কিছুক্ষণ মৌন হয়ে রইলেন। 

    অত:পর মলমমথিত কন্ঠে বললেন- 'বেশ। নাহয় একটু পরেই কেঁদো মা। মহাকাব্যের বেলা অত সহজে বয়ে যাবে না। তুমি বরং একটু ঘুমিয়ে নাও। ততক্ষণ ঈশ্বর বসে আছে তোমার শিয়রে। তারপর যে তার আর ফুরসৎ নেই। তোমার  বনবাসের দু:খকথা লিখতে হবে তাকে। আরও কত জনমদুখিনীর দু:খ দূর করতে হবে। তার কি বসে থাকার জো আছে। তবু, এইটুকুনি অবসর তোমারও প্রাপ্য; তারও অধিকারে।'

    সুতরাং..  এবে অবসর যাপিত হইতে লাগিল। সীতা অকাতরে ঘুমোচ্ছেন। ঈশ্বর তার মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন। 

    ঠিক এই সময়ে কমলিনী নায়ক অস্ত গেলেন। মহাকাব্যের এই ফাঁকিটুকু অন্ধকারের অন্তরালে চিরকালের মতো মিলিয়ে গেল।

     
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • গপ্পো | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | ৬৫৩ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    ইঁদুর  - Anirban M
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • তামিমৌ ত্রমি | ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২১:২৬523956
  • 'সত্ত্বা' বানানটি সত্তা হবে। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। আলোচনা করতে প্রতিক্রিয়া দিন