এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • এক কাপ চা - পর্ব ৩

    কল্যানী ঘোষ
    আলোচনা | শিক্ষা | ২০ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮১১ বার পঠিত | রেটিং ৪ (১ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩


    এদেশে ছেলে মেয়েরা ১২ বছর পূর্ণ করলেই তাদের ১৫ বছর বয়স হওয়ার আগে HPV (Human Papillomavirus) ভ্যাকসিন দিতে হয়। ধরে নেওয়া হয় এই সময়ের পর থেকেই তারা যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হতে পারে, সেই জন্য যৌনাঙ্গ এবং আরও অন্যান্য কয়েকটি অঙ্গে ক্যান্সারের প্রতিষেধক হিসেবেই এটি দেওয়া হয়।এই সব অঙ্গের ক্যান্সার গুলি যৌন সংসর্গের ফলে হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়।

    এই সময়েই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় Family Planning এবং contraception নিয়ে শিক্ষা ও আলোচনা। আবার একটি রূপক গল্পের অবতারণা করা হল:

    মিসেস রডরিগেজ তাঁর ১২ বছরের যমজ ছেলে আর মেয়ে, মার্কাস আর রেনি কে নিয়ে ডাক্তারের ক্লিনিকে গেলেন তাদের বাৎসরিক শারীরিক পরীক্ষার জন্য।
    ডক্টর মিসেস এলেনা প্যাটেল তাদের আলাদা করে ভালোভাবে পরীক্ষা করার পর ওয়েটিং রুমে পাঠিয়ে দিলেন যাতে তিনি মিসেস রডরিগেজ এর সঙ্গে গোপনে কিছু আলোচনা করতে পারেন।
    ডক্টর প্যাটেল বলেন, " আপনার দুটি ছেলেমেয়েই সুস্থ এবং বুদ্ধিমান। কিন্তু এখন ওরা যে বয়সটাতে পা দিলো সেখানে ওদের বন্ধু বান্ধবদের কাছ থেকে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করার ব্যাপারে খুব চাপ আসবে। আপনি কী কখনো ওদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা বিষয়ে আপনাদের পারিবারিক মূল্যবোধ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছেন?"
    মিসেস রডরিগেজ চুপ করে শুনছিলেন, তারপর আস্তে আস্তে ডানদিক বাঁদিক মাথা নেড়ে জানিয়ে দেন, "না"। সত্যি বলতে কি, এই সম্পূর্ণ আলোচনার সময়টাতেই তিনি খুব অস্বস্তি বোধ করছিলেন।
    ডক্টর প্যাটেল আরও বলে চলেন, " শুধু যৌন সম্পর্ক সংক্রান্ত আলোচনা নয়, আমি বলবো আগামী কয়েক বছরে ওদের সঙ্গে বিভিন্ন জন্ম নিরোধক পদ্ধতি নিয়েও খোলাখুলি কথা বলা দরকার।"
    মিসেস রডরিগেজ যেন কথা বলার শক্তিই হারিয়ে ফেলেছেন, কিছু পরে উনি মুখ খুললেন, " হ্যাঁ , আপনি ঠিক ই বলেছেন, এটাই সঠিক সময় আমার সন্তানদের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করার।"
    কিন্তু সেই সঙ্গে তিনি কীভাবে এই কথোপকথনটি তাঁর স্বামীর সঙ্গে ভাগ করে নেবেন এই নিয়ে গভীর চিন্তায় আচ্ছন্ন হন।

    এই গল্পের পর ছাত্র ছাত্রীদের জিজ্ঞেস করা হয়, বলতো কীভাবে মার্কাস আর রেনি তার মা বাবার জন্য এই বিষয় নিয়ে আলোচনাটা অনেক সহজ করতে পারে?
    অনেকেই উত্তর দিলো," এই তো আজই বাড়ী গিয়ে আমরা যা শিখলাম সেটা বলবো",
    কেউ বলল," আমাদের এ ব্যাপারে আরও কিছু প্রশ্ন থাকলে ওদের জিজ্ঞেস করবো", ইত্যাদি।

    আমরা বললাম, খুব ভালো, এখন থেকে মনে রাখবে তোমার অভিভাবক তোমার বন্ধু, এই বিষয়ে তোমাদের থেকে অনেক বেশি অভিজ্ঞ ওনারা, কাজেই কিছু যদি গোপন করো তাতে তোমাদেরই ক্ষতি। অবশ্য যখন ইচ্ছা আমাদের সঙ্গেও আলোচনা করতে পারো, তোমাদের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হবে না।

    তাদের হাতে একটি লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া হল, Birth control choices for Teens যেগুলো অবাঞ্ছিত মাতৃত্ব এবং HIV/STI প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে। সেগুলো কোথায় পাওয়া যাবে এবং কোনটা শতকরা কত ভাগ সুরক্ষিত সেই সবও বিশদে সেই চার্ট এ বলা থাকলো।

    এর পরদিন স্বাভাবিকভাবেই এসে গেলো,Teen Pregnancy : Choices and Responsibilities এর ক্লাস। প্রতি বছরই টুকটাক খবর ভেসে আসে কে কবে হাই স্কুলে গর্ভবতী হয়ে পড়েছিল। স্কুল ডিস্ট্রিক্ট গুলি চেষ্টার ত্রুটি রাখেনা এই বিষয়ে ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়িয়ে তুলতে, তবুও অঘটন ঘটে। ড্রাগ ও সেক্স এই দুই এর কু প্রভাব এদেশের যুব সমাজের ভিত অনেকটাই নাড়িয়ে দিয়েছে।

    আবার একটি গল্পের অবতারণার প্রয়োজন হল:
    মিশেল ওর দাদা লিও কে নিয়ে একটু চিন্তিত থাকে। লিও রাত হলেই ক্লাবে যায় ভোর না হওয়া পর্যন্ত বাড়ী ফেরেনা, আর ফিরে এসে কত জনের সঙ্গে কীভাবে যৌন সম্ভোগ করেছে এই নিয়ে বড় বড় কথা বলতে থাকে, বেশ গর্বিত ভাবেই। মিশেল ভয় পায় যে দাদা হয়তো এ ভাবে HIV র মত কোনো যৌন সংক্রমণের শিকার হবে অথবা কোনো মেয়ে কে গর্ভবতী করে ফেলবে। ও যখন এই আশঙ্কার কথা লিও কে বলল, সে উত্তর দিলো, "আমি নিরাপদ আছি, (being safe)!"
    এর ক' মাস পরেই একটি মেয়ে তাদের বাড়ীতে ফোন করে জানায় সে গর্ভবতী এবং লিও সেই বাচ্চার বাবা!
    এটা শোনার পর লিও বেমালুম বলে দেয়, "এটা আমার সমস্যা নয়!"

    এইখানেই গল্পটি শেষ....এবার ছাত্র ছাত্রীদের প্রশ্ন করা হয়, তোমরা কী একমত যে এটা লিও র সমস্যা নয়?
    উত্তর সমস্বরে, "না!"

    ঠিক আছে, লিখে জানাও কেন এ কথা বলছ। আরও লেখো , আগের ক্লাসের শিক্ষা থেকে জেনেছ এরকম অন্তত তিনটি উপায় বলো যাতে লিও বা তার বান্ধবী এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়িয়ে চলতে পারতো। এরপর ওদের লেখা উত্তর গুলো নিয়ে ছোটোখাটো আলোচনা হয়।

    সব শেষে ওদের অবগত করা হয় যে, এদেশে The safe surrender law বলে একটি আইন আছে যার দ্বারা বাবা মা সদ্যজাত শিশুটিকে নিরাপদে হাসপাতাল বা ফায়ার ডিপার্টমেন্ট এর হেফাজতে দিয়ে দিতে পারে, কোনো জবাবদিহি ছাড়াই।
    এটা শুনে আমার গোটা নবম শ্রেণীর চোখে জল, "কেন দিতে হবে? বেবি মা বাবার কাছেই থাকবে! "আমারও চশমার কাঁচ ঝাপসা হয়ে আসে, এই নিষ্পাপ প্রশ্নের কি উত্তর দেবো?





    অবাধ যৌনতা এবং যথাযথ যৌন শিক্ষার অভাব (যদিও মানুষ আরও অন্যান্য ভাবেও সংক্রামিত হতে পারে,কিন্তু প্রাথমিক কারণ ওই একটাই) ডেকে আনে HIV নামক মহামারী, যেটা থেকে সম্পূর্ণ সুস্থ কখনোই হওয়া যায়না, তবে প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে আর ঠিক মত চিকিৎসা করালে বহুদিন রুগীকে মোটামুটি একটা স্বাভাবিক জীবন দেওয়া সম্ভব হয়।

    আজকের ক্লাস ঠিক HIV সম্পর্কে বলা নয়, বিষয়বস্তু হচ্ছে Myth and Stereotypes about HIV Infection. এই সব সদ্য কিশোর কিশোরীদের কাছে এই অসুখটা শুধুই একটা নাম, যার সঙ্গে কিছু ভুলভাল ধারণা জড়িয়ে আছে, ঠিক এই রূপক গল্পের মতই :

    টেরেল আর জেফ দুজনে স্কুলে বাস্কেটবল খেলছে, তখন টেরেল হঠাৎ জিজ্ঞেস করলো,
    "এ্যাই তুই কাউকে চিনিস যার এইডস হয়েছে?"
    "No way!" জেফ শট টা দিয়েই হাঁপাতে হাঁপাতে বলল।
    "কিন্তু তুই জানছিস কী করে কারোর এইডস আছে কী নেই?" টেরেল আবার প্রশ্ন করে।
    " আরে বাবা, এতো খুব সোজা ব্যাপার .... খুব ভালো করে ওদের দিকে লক্ষ্য করবি, যদি মোটামুটি পরিষ্কার দেখায় আর "গে" (gay) বলে মনে না হয়, তাহলেই জানবি চিন্তার কোনো কারণ নেই।" জেফের বিজ্ঞ উত্তর।
    এরপর টেরেল আর কোনো প্রশ্ন করেনা, দু'জনে চুপচাপ খেলায় মন দেয়।
    এবার আবার প্রশ্নোত্তরের আসর শুরু হয়,
    জেফের উত্তর কী সঠিক?
    তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দিয়ে বোঝাও।
    টেরেল ই বা হঠাৎ এই প্রশ্ন করলো কেন?
    তোমাদের কী মনে হয় টেরেল তার পরিবারের কারোর অসুস্থতার কথা জানতে পেরে উদ্বিগ্ন? তাই যদি হয় তবে তার কার কাছে এ নিয়ে আলোচনা করা উচিৎ?

    ওদের উত্তর পড়ে বোঝা গেলো যে ওদেরও অনেকের মতই আবছা ধারণা এই অসুখ সম্পর্কে। এই অসুখ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা ওদের ১৪ বছর বয়সের শারীরিক পরীক্ষার সময় ডাক্তারই করবেন, বাকি দায়িত্ব অভিভাবকদের।

    আমরা শুধু এটুকুই বললাম, এই যে এর আগের ক্লাস গুলোতে বিভিন্ন ধরনের কন্ট্রাসেপটিভ এর কথা বলা হল সেগুলো র মধ্যে যেটা সব থেকে কার্যকরী বলে তোমাদের চার্টে দেওয়া আছে, সেটা একাধারে যেমন অবাঞ্ছিত মাতৃত্ব থেকে রক্ষা করে তেমনি এই মারণ অসুখকেও দূরে সরিয়ে রাখে। কাজেই কোনোরকম প্ররোচনাতেই অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হবে না, এতে জীবন বিপন্ন হতে পারে। শুধু মাত্র যে সব পুরুষ তাদের পুরুষ সঙ্গীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে তারাই কেবল HIV আক্রান্ত হতে পারে এ ধারণাও সর্বৈব মিথ্যা। এ রোগ রক্তবাহিত হয়েও আসতে পারে, ড্রাগের নেশায় মত্ত হয়ে একই সিরিঞ্জ দিয়ে অনেকের শরীরে মাদক প্রবেশ করালেও হতে পারে, বহুগামিতার ফলেও আক্রান্ত হবার সমূহ সম্ভাবনা আছে।

    আমরা এ কদিন ধরে এত সব গম্ভীর বিষয় নিয়ে আলোচনা করলাম তোমাদের ভয় দেখাবার জন্য নয়, তোমাদের সুস্থ জীবন ই আমাদের একমাত্র কাম্য। এই বিষয়ে ক্লাস শেষ হল কিন্তু আমাদের কাছে বা কাউন্সিলরের কাছে যেকোনো প্রশ্ন নিয়ে যেকোনো সময়ে আসতে দ্বিধা করোনা।

    যখন আমরা ক্লাস টা শুরু করেছিলাম আর আজ যখন শেষ করলাম মনে হল যেন ওরা অনেকটাই বড় হয়ে গেল, আজ আর কেউ হাসল না, বরং ক্লাসটা শেষ হল বলে যেন একটু মন খারাপ!
    আমাদেরও।


    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • আলোচনা | ২০ জানুয়ারি ২০২৩ | ৮১১ বার পঠিত
  • আরও পড়ুন
    অশ্রু - Sarthak Das
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 2601:14a:500:e780:4474:c5a1:f96b:bdc6 | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ২০:৫৭515916
  • খুবই ভালো লেখা। অনেক জরুরী তথ্য সমৃদ্ধ।
  • Esha Kar | 2405:201:8027:481e:7172:76a8:b290:4b64 | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৯:১৯516502
  • Ei lekha ta bhishon proyojoniyo ebong asomvob bhalo. Ei lekha boi hisebey prokashito hawya uchit. 
  • Sima Ghosh | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৭:৩৮516519
  • আমার ছেলে তখন ক্লাস টেনে পড়ছে, জিজ্ঞেস করলাম,স্কুলে সায়েন্সের সিলেবাস কি শেষ হয়েছে ? ছেলের উত্তর ছিল, "সায়েন্সের একটা চ্যাপটার শুধু পড়ানো হয় নি "। স্বাভাবিক প্রশ্ন ছিল আমার, " কোন চ্যাপটার  ?
    How do organisms reproduce ? 
    কেন ? " স্যার, এই চ্যাপটারের গাছপালার বিষয়টা পড়িয়ে বলে দিয়েছেন,বাকিটা তোমরা ঘরে পড়ে নিও  "। 
     
    এটা যেন শিক্ষক ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে নীরব বোঝাপড়া হয়ে গেছে। 
     
    এই লেখাটি পড়তে পড়তে ভাবছি , বিজ্ঞান শিক্ষকদের এই লেখাটি পড়া কত জরুরি।পড়া জরুরি মা বাবারও।
    উপকৃত হলাম। এই লেখাটি পুস্তকাকারে নিশ্চিত একদিন হাতে পাব ।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। কল্পনাতীত প্রতিক্রিয়া দিন