এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  শিক্ষা

  • এক কাপ চা - পর্ব ২

    কল্যানী ঘোষ
    আলোচনা | শিক্ষা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১৫২ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩


    এদেশে পরিসংখ্যান অনুযায়ী টিনএজারদেরই সব থেকে বেশি নিপীড়িত হবার সম্ভাবনা তাও আবার তাদের অন্তরঙ্গ সঙ্গীর দ্বারা। মূলতঃ ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী মেয়েরাই তাদের সঙ্গীর দ্বারা অত্যাচারিত। হাইস্কুলে গড়ে প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে এক জন মেয়ে শারীরিক অথবা যৌন নিগ্রহের রিপোর্ট করে।
    "হ্যাঁ মানে হ্যাঁ" (YES means YES)!

    পরবর্তী ক্লাসে ছাত্র ছাত্রীদের খুব ভালো ভাবে বোঝানো হল যে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের আগে সঙ্গীর পূর্ণ সম্মতির প্রয়োজন। সে যদি "না" কথাটা উচ্চারণ না করে তাহলে সেটাকে "মৌনং সম্মতিং লক্ষ্মণম" বলে যেন কিছুতেই ধরে না নেওয়া হয়। যদি কেউ মত্ত অবস্থায় অথবা ড্রাগ নিয়ে যৌন মিলনের সম্মতি জানায়, তবে তা ও গ্রাহ্য করা উচিৎ নয়, কারণ এর ফল পরে খারাপ হতে পারে, সে অস্বীকার করতে পারে।

    এই ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীরা তো আর সাধারণ নয়, তাই এই বিষয়টিও তাদের রূপক গল্পের ছলেই বোঝানো হল।
    মনে করো চা এবং সেক্স সমার্থক। তুমি কাউকে চা খাওয়ানোর আগে জিজ্ঞেস করো তো? এটাও অনেকটা সেই রকম। চলো শুনে নিই চা খাওয়ার ব্যাপারে কতরকমের পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে:

    ১. "এই তুমি চা খাবে?"
    "হ্যাঁ, I would love to, খাবো"!
    তখন তুমি জেনে গেলে যে এ ব্যাপারে তার সম্পূর্ণ মত আছে। তখন তাকে চা খাওয়াতে পারো।
    ২.  কিন্তু কেউ হয়তো বলল,
    "উম্, আমি ঠিক নিশ্চিত নই।"
    তখন তুমি চা বানালে, কিন্তু জেনে গেলে হয়তো সে খাবে না, যদি সে চা না খেতে চায়, তাহলে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ কথাটা মনে রাখবে, খবরদার তাদের জোর করে চা খাওয়াবেনা। তুমি চা বানিয়েছ বলেই যে জবরদস্তি তাদের খাওয়াতেই হবে তা কিন্তু একেবারেই নয়।
    ৩.  এবার সে যদি স্পষ্ট বলে,
    "না, আমি চা খাবো না।"
    তাহলে চা বানাবেই না, জাস্ট বানাবে না। জোরাজুরিও করবে না অথবা চা খেলনা বলে তাদের ওপর রেগেও যাবেনা।
    ৪.  এবারে কেউ বলল,
    "হ্যাঁ আমি চা খাবো, থ্যাংক ইউ!"
    তুমি তখন তাড়াতাড়ি চা বানাতে গেলে, কষ্ট করে জল ফুটিয়ে, দুধ ,চা পাতা দিয়ে দারুণ করে বানিয়ে চা নিয়ে এলে, কিন্তু ততক্ষণে সে তার মত পাল্টে ফেলেছে,বলল,
    "না , আমার আর চা খেতে ইচ্ছে করছে না"।
    স্বাভাবিক ভাবেই তুমি এই মত পরিবর্তনে মনঃক্ষুণ্ণ হবে, কিন্তু কোনো ভাবেই তাকে জোর করে তার মুখে গরম চা ঢেলে দেবে না। তার ইচ্ছে হচ্ছে না, সে চা খাবেনা, ব্যাস।
    ৫.  কেউ যদি অজ্ঞান অবস্থায় থাকে, চা খাওয়াবে না, কারণ অচৈতন্য অবস্থায় সে মতামত প্রকাশ করতে পারেনা।
    ৬.  কেউ হয়তো বলল চা খাবে, কিন্তু যখন তুমি চা বানিয়ে নিয়ে এলে তখন সে অজ্ঞান হয়ে গেছে, অথবা চা খেতে খেতে হঠাৎ সে আর খেতে চাইলো না, তখনও কোনো ভাবেই তাকে জোর করবে না।
    ৭.  এবারে ধরো কেউ হয়তো গত সপ্তাহে খুশী মনে তোমার সঙ্গে চা খেয়েছে, তার মানে কিন্তু এই নয় যে তুমি যখন তখন তার বাড়ী চলে যাবে আর বার বার তাকে চা খাওয়াতে চাইবে। অথবা সে রাজী না হলে বলবে, "কেন গত সপ্তাহে তো দিব্যি আমার সঙ্গে চা খেলে!" এক্কেবারে না, কখনই জোর করবেনা।

    এবারে বুঝে দেখো, কেউ যদি তোমাকে জোর করে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে চা খাওয়ায়, তাহলে তুমি কীরকম রেগে যাও বা বিরক্ত হও.... এবার চা না হয়ে যদি সেটা সেক্স (যৌনতা) হয় তবে তা কতখানি কঠিন এবং অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে বলতো!
    অতএব মনে রেখো, চাই হোক অথবা যৌনতা, পারস্পরিক সম্মতিই শেষ কথা।
    "Whether it is tea or sex, CONSENT is everything"!





    যৌন সম্পর্ক বোঝাতে গিয়ে ছাত্রছাত্রী দের ধর্ষণ এর ব্যাপারেও সাবধান করে দেওয়া হল, ওই জোর করে চা খাওয়ানোর মতই, কিন্তু আরো মারাত্মক অঘটন এটি, বলপ্রয়োগ করে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের নামই ধর্ষণ।

    এদেশে দুই তৃতীয়াংশ টিনেজ মাতৃত্বের জন্য ১৯ বছর ও তার ঊর্ধ্বের পুরুষ রাই দায়ী। অপরাধ প্রমাণিত হলে ৪ বছর অবধি কারাবাস হতে পারে, জরিমানা প্রায় ২৫০০০ ডলার।
    ধর্ষিতা ছাত্রী (সে যেখানেই ধর্ষণ ঘটে থাকুক) এ ব্যাপারে নির্দ্বিধায় স্কুলের নার্স, কাউন্সিলর অথবা সোশাল ওয়ার্কারের এর কাছে রিপোর্ট করতে পারে। নিজের শহরের পুলিশকেও জানাতে পারে।

    পইপই করে ছাত্রছাত্রী দের ইন্টারনেট সেফটির ব্যাপারে অবহিত করা হল।
    • কোনো পর্ণ সাইটে ঢুকবে না
    • এমন কোনো চ্যাট রুমে যাবে না যেখানে যৌনতা ও যৌন অঙ্গ বিষয়ক আলোচনা চলছে।
    • যে কোনো অচেনা অজানা লোকের সঙ্গে অনলাইন চ্যাট একেবারেই করবে না।
    • সেক্সটিং নৈব নৈব চ। কোনো নগ্ন ছবি কাউকে পাঠাবে না বা কেউ পাঠালে সেটা গ্রহণ করবে না।

    এরপর ওদের একটি প্রশ্নোত্তরের লিস্ট ধরিয়ে দেওয়া হল, এটা ভর্তি করতে করতেই ওরা নিজেকে কোন কোন পরিবেশ থেকে কিভাবে রক্ষা করবে সে সম্পর্কে একটা মোটামুটি ধারণা পেয়ে যাবে সেই সঙ্গে আমরাও জেনে যাবো ওরা কতটা সুরক্ষিত। উত্তরের অপশন গুলো এই রকম:

    • কিছুই করবোনা (মানে মেনে নেবো)
    • ঐরকম ব্যবহার প্রশ্রয় দেবোনা
    • কারোর কাছ থেকে সাহায্য চাইবো
    • ওই ব্যক্তির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করবো
    এবার দেখা যাক প্রশ্নগুলো, যে গুলোর মধ্যে অনেক গুলোই চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে না দিলে ঠিক বোঝা যায়না কতটা ক্ষতিকারক।ওদের বলা হল, তুমি কল্পনা করো তোমার ঘনিষ্ঠ সঙ্গী অথবা পরিবারের কেউ তোমার সঙ্গে নিম্নলিখিত আচরণ গুলো করছে, তখন তুমি কোন উত্তর গুলো বেছে নেবে?

    প্রশ্ন গুলো এই ধরণের:
    ১. সব সময় তোমার চেহারা,সাজপোশাক,চুল ইত্যাদি সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য করে।
    ২. সব সময় নির্ধারণ করে দেয় তোমরা একসঙ্গে কোথায় যাবে অথবা তুমি কী করবে।
    ৩. সকলের সামনে সবসময় তোমাকে হেয় প্রতিপন্ন করে।
    ৪. তোমার নগ্ন ছবি চেয়ে পাঠায়।
    ৫. তুমি যে কাজ ই করো সেটা পাত্তাই দেয় না বা সম্মান করেনা।
    ৬. তুমি অন্যদের সঙ্গে সময় কাটালে রেগে যায়।
    ৭. তোমাকে সব সময় সব কিছু গোপন রাখতে বলে।
    ৮. তোমাকে মারধোর করে, আবার পরে ক্ষমা চায়।
    ৯. তোমার অনুমতির অপেক্ষা না নিয়েই সবসময় তোমার সঙ্গে যৌন সম্ভোগ করে।
    ১০. তোমাকে বাধ্য করে টাকার জন্য অন্যের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে। (Sex trafficking)

    যখন ওরা এই উত্তর গুলো নিজের মত করে লেখে তখন তা থেকে আমাদের মোটামুটি একটা ধারণা তৈরি হয় যে তারা কতটা নিরাপদ অথবা আদৌ কেউ এরকম সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে কিনা, এবং সেরকম আন্দাজ পাওয়া গেলে স্কুল কাউন্সিলর অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে তাদের এ ব্যাপারে সাহায্য করেন।





    এবার ছাত্র ছাত্রী দের তাদের ডেটিং রাইটস্ সম্পর্কে অবগত করানো হয়। এটা হল -The Teen's Dating Bill of Rights। এটা পড়তে পড়তে আমার মনে হচ্ছিলো শুধু টিন কেনো, যে কোনো বয়সে যে কোনো ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ক্ষেত্রেই এগুলো প্রযোজ্য। এদেশে নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই অধিকার গুলো প্রযোজ্য, পুরুষও সমানভাবেই যৌন নিগ্রহের শিকার, পুরুষ বা নারী সঙ্গীর দ্বারা।
    ওদের বলি, মনে রেখো এই নিম্নলিখিত বিষয়গুলো তোমার অধিকার এবং তোমার প্রাপ্য। নিজের ওপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখবে এবং কোনো অবস্থাতেই এ বিষয়ে সন্ধি করবেনা।

    • আমার অধিকার আছে অন্য সকলের থেকে নিজেকে বেশি বিশ্বাস করার
    • যার সঙ্গে আমি ডেট এ যাবো সে আমাকে সম্মান করবে
    • আমি ডেট এ যাবার প্রস্তাব নাকচ করতে পারি
    • নিজের নিরাপত্তার অধিকার
    • আমি আমার নিজের অংশের ব্যয়ভার গ্রহণ করতে পারি।
    ( এটা খুব জরুরী, কোনো দায়বদ্ধতা থাকেনা)
    • ডেট এ গিয়ে আমি যৌন সংসর্গ বা ঘনিষ্ঠতার প্রস্তাবে না বলতে পারি।
    • "না" বলার পূর্ণ অধিকার আমার আছে।
    • আমার জীবনে কোনো সঙ্গীর সঙ্গে অথবা সঙ্গী ছাড়াই নিজেকে সুখী রাখার অধিকার।
    • কার সঙ্গে ডেট এ যাবো তার সম্পূর্ণ পরিচয় জানার অধিকার।
    • আমার নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থা ব্যবহার করার অধিকার
    ( এটাও খুব জরুরী, হয়তো বাড়ীর কেউ ছেড়ে দিয়ে এলো এবং নিয়ে এলো,যেটা এদেশে অনেক মা বাবাই করে থাকেন, বা নিজেই গাড়ী নিয়ে গেলো, সেক্ষেত্রে অন্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমে যায়, এবং অনেক সময় পৌঁছে দেবার নামে অন্য কোথাও নিয়ে যাবার দুরভিসন্ধি কার্যকরী হয়না।)
    •  ডেটিং চলা কালীন যে কোনো সময় আমার সহজাত প্রবৃত্তি (instincts) যদি বলে সে জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে আসতে তাহলে বেরিয়ে আসার অধিকার।
    • আমার একটা স্বাস্থ্যকর ডেটিং সম্পর্কের অধিকার আছে।
    • আমার ভালোবাসা পাবার অধিকার আছে।
    (যেটা আমরা প্রায়শই ভুলে যাই)
    • আমারও যত্ন পাওয়ার অধিকার আছে
    (এটাও মনে থাকে না)
    • আমারও উচ্চ আত্মসম্মানের অধিকার আছে।(high self esteem)
    • সর্বোপরি যদি মনে হয় উপরোক্ত অধিকার গুলি লঙ্ঘিত হচ্ছে তাহলে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার অধিকার আছে।

    এই গুলি একটা একটা করে ওদের বুঝিয়ে দেবার পর বলা হল, তোমাদের যদি আরো কিছু যোগ করার প্রয়োজন থাকে যেটা তোমাদের ডেটিং এর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে সেটাও এখানে লিখে রাখতে পারো এবং এগুলো নিয়ে তোমার ডেটিং পার্টনারের সঙ্গে বিশদে আলোচনা করে রেখো। আশাকরি তোমাদের ভবিষ্যৎ ডেটিং গুলো সুখের এবং নিরাপদ হবে।
    কি লাজুক আর মিষ্টি হাসি ফুটে ওঠে ওদের মুখে!



    ক্রমশ…
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
    পর্ব ১ | পর্ব ২ | পর্ব ৩
  • আলোচনা | ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ | ১১৫২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Mayukh Datta | ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ০৮:০২515549
  • খুব ভাল লাগল দুটো পর্ব পড়ে। বিশেষ করে চা খাওয়ার সাথে তুলনা টায়... শুধু অটিস্টিক কেন, পুরো চর্চাটাই গোটা সমাজের জন্য প্রযোজ্য!! 
  • Abak Chittri | ২০ জানুয়ারি ২০২৩ ১১:২৪515551
  • দুটি  পর্ব  ই পড়লাম ।সত্যি  খুবই  সমযাচিত  এবং মানবিক ও  বাস্তব সম্মত লেখা ।কিন্তু  আমাদের  দেশে  এই ধরণের  শিক্ষা ব্যবস্থা কি হবে? 
     
  • জয়ী | 103.242.22.255 | ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ ০৯:০৬515857
  •     খুব ভালো লাগলো।  শিক্ষনীয়।
  • স্বাতী রায় | 2402:3a80:1cd0:b9a3:f7a0:8583:ba7:8bd7 | ২৯ জানুয়ারি ২০২৩ ১২:৩৯516055
  • সম্প্রতি কিছু ভারতীয় কিশোর - প্রাপ্ত বয়স্ক  এর সঙ্গে কথা হচ্ছিল এই সব বিষয়ে। যে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি তা হল তোমরা সারাক্ষণ বলে যাও নগ্ন ছবি দেবে না। কিন্তু আমি তোমাকে আমার নগ্ন ছবি পাঠাচ্ছি মানে তো এই নয় যে আমি তোমাকে share করার অনুমতি দিচ্ছি। তুমি যদি আমার explicit permission ছাড়া সেটি অন্যের সঙ্গে share করো সেটা তোমার অপরাধ। কিন্তু এই কথাটা তোমরা বড়রা শেখাও না। উল্টে আমাদের খালি এটা করবে না সেটা করবে না বলে restrict করতে চাও কেন? উত্তর দিলাম বটে, নিজের সাবধানতা নিজের কাছে, আমাদের সমাজ এখনো matured হয়নি ইত্যাদি বলে টলে, কিন্তু খুব ভাবনায় পড়লাম। 
     
    মনে পড়ল যখন প্রথম প্রথম সোশ্যাল মিডিয়া চালু হল তখনও পাবলিকলি নিজের ছবি দেওয়া নিয়ে অনেক ট্যাবু ছিল। মেয়েদের ছবি নিয়ে দুষ্ট লোকে কত কিছু করতে পারে, মর্ফ করে একের মুখ অন্যের নগ্ন শরীরে বসিয়ে কত সোশ্যাল স্ক্যান্ডাল তৈরি হবে এই সব সাবধান বার্তা খুব ঘুরত। আজ বছর কুড়ি পঁচিশ পরে, যখন বোধহয় প্রতি সেকেন্ডে দশ লক্ষ ছবি / সেলফি আপলোড হয়, তখন সোশ্যাল মিডিয়ায় মেয়েদের আর ছবি না দেওয়ার কথা বলে উঠতে পারবেন কি কেউ? আর কেউ ছবি নিয়ে কোন কারিগরি করলে সেটা সাইবার ক্রাইম বলে হল্লা করার সচেতনতা তৈরি হয়েছে অনেকেরই। 
     
    এমনকি মোবাইল নম্বর নিয়েও একই সমস্যা । একজনের মোবাইল নম্বর অন্য কাউকে দিয়ে দেওয়ার আগে তার সম্মতি নিতে হয় এই বেসিক সামাজিক এটিকেট কজন মানেন? আর সেই সূত্র ধরে উল্টো পাল্টা লোকের হাতে ফোন নং চলে গিয়ে মাঝে মাঝে সমস্যাও হয়। কিন্তু তাও কি আমরা মোবাইল নম্বর আর গোপন রাখি? 
     
    নতুন নতুন টেকনোলজি আসছে, আর তার প্রভাবে নতুন নতুন সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তার সমাধানের পথ restrictive হওয়া নাকি constructive হওয়া সেটা ভাবতে বসলে গুলিয়ে যায় খুব। 
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট মতামত দিন