এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  খ্যাঁটন  খানা জানা-অজানা  খাই দাই ঘুরি ফিরি

  • রসুইঘরের রোয়াক (দ্বিতীয় ভাগ) - ১

    স্মৃতি ভদ্র
    খ্যাঁটন | খানা জানা-অজানা | ২১ এপ্রিল ২০২২ | ১৭৫০ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৪ জন)
  • শুরু হল রসুইঘরের রোয়াক - দ্বিতীয় ভাগ। প্রথম পর্বটি বই হয়ে বেরিয়েছে এবং আদৃত হয়েছে এবছর, ভারতে ও বাংলাদেশে। ভারতে বইটি প্রকাশ করেছে গুরুচণ্ডা৯। বিশদে জানতে যান এই লিঙ্কে
    ছবি - লেখিকা


    পাতায় মোড়া ইলিশ, লাউপাতায় সর্ষে মাখা ইলিশ ভাপা



    লাল রোয়াকের সেই বাড়িটা ছেড়ে চলে এলেও কারণে-অকারণে ঠিকই ডাক আসে সেখানে ফেরার। হোক তা অল্প সময়ের জন্য অথবা লম্বা ছুটির অবসরে।

    আর সে সুযোগ আসা মানেই আমার অসংখ্য আবদারের লম্বা তালিকা,
    ‘মা, এবার কিন্তু শহরে ফেরার সময় মনিপিসিকে সঙ্গে নিয়ে ফিরব।’

    অথবা

    ‘এবার চড়কপূজার মেলা থেকে আমার নতুন খেলনাবাটি কিনতে হবে কিন্তু। ঠাকুমার কিনে দেওয়া মাটির কড়াইটা সেই কবে ভেঙে গেছে!’

    আবার কখনো অসম্ভব কিছু চেয়ে সবাইকে বিব্রতও করে দিতাম নিজের অজান্তেই।
    ‘মা, এবার আমি আর ফিরব না এখানে। এখানকার স্কুল আমার ভাল লাগে না। আমার কোনো খেলার সঙ্গী নেই তো এখানে।’

    আসলে ঘুরতে যাওয়া নয়, সুযোগ পেলেই ফিরে যাবার অদম্য ইচ্ছা আমার।

    রোজার ছুটিতে বাড়িতে যাবার ফুরসত এল।

    যতই আমি ফিরে যেতে চাই না কেন, তা যে অসম্ভব মা ঠিকই জানে। এজন্য আমার কথাতে হুঁ/হ্যাঁ করে তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নেওয়ার তাড়া দেয়। আর বাড়িতে ফেরার গোছানো তো আর খুব অল্পতে হয় না, সে এক বিশাল আয়োজন।

    আমি নতুন পেন্সিলখানা নিয়ে নিই ইতুর জন্য, অমলদার দোকান থেকে নাবিস্কো বিস্কুটের প্যাকেটের বেঁচে যাওয়া কয়েকখানা বিস্কুট মনিপিসির জন্য, মসজিদের মাঠে কুড়িয়ে পাওয়া কাঁচামিঠে আমটা শুক্লার জন্য আর নতুন লাল চিরুনিটা ঠাকুমার জন্য।

    মা যতই বলুক – ‘ওগুলো রেখে দাও, ওদের জন্য বাবা বসাক স্টোরস্ থেকে সবকিছু আজই কিনে আনবে’ – আমি তা শুনলে তো!

    সে তো বাবা দেবে, তাই বলে কি আমি ওদের জন্য কিছু নেব না?
    আমি শুধু জিনিসই গোছাই না, শহরের কতশত গল্পও মনে মনে গুছিয়ে নিই ওদের বলার জন্য।

    আমায় বলতে হবে তালুকদার চাচির মেহেদিরাঙা চুলের গল্প, বলতে হবে মসজিদের বারান্দায় সারাদিন বসে থাকা সাদা চুল আর দাঁড়ির সামাদ দাদুর গল্প। ও হ্যাঁ, আরও বলতে হবে কবিতা আর শিল্পী নামের জমজ ওই দুই আপার কথা, যারা দেখতে হুবহু এক – শুধু পার্থক্য মুখের ভাষায়।

    একজনের মুখে সারাদিন কতরকম শব্দ আর আরেকজন শব্দের অভাবে বড্ড শান্ত।
    এতসব গল্প যুগিয়ে আমি অধীর হয়ে অপেক্ষায় থাকি কবে আসবে ছুটি।

    শীত ফুরিয়ে গেলেও, এখনো বাতাসে রোদের হলকা লাগেনি। প্রতিদিন সকালে স্কুলে যাবার সময় রহিম চাচা তাঁর রিক্সায় আমাকে বসিয়ে দেয় যত্ন করে। এরপর প্রশ্ন করে,
    ‘মা, যামু?’

    আমি রিক্সার হুড শক্ত করে ধরে হ্যাঁ বলতেই রহিম চাচা প্যাডেলে পা চালায়।
    সাথে সাথেই বাতাস কেটে এগুতে থাকি আমি। সে বাতাসে গা শিউরে না উঠলেও কোথাও যেন একটু হিম মিশেই থাকে। তবে স্কুল থেকে ফেরার সময় কিন্তু রোদ বেশ তেড়েফুঁড়েই ওঠে। গাছের নতুন পাতাগুলো যেন সেই রোদের তেজে খানিকটা মিইয়ে যায়।

    আমাদের ভাড়াবাসার কলঘরটা লম্বাটে উঠোনের শেষ মাথায়। উঠোনে সারাদিনই রোদের আনাগোনা থাকলেও কলঘরটায় সারাসময়ই ছায়া লেপ্টে থাকে। উঁচু মাথার জামরুল আর জামগাছে ঘেরা কলঘরটায় প্রচণ্ড গরমেও স্নান করতে কেমন গা শিনশিন করে। চৌবাচ্চায় ধরে রাখা টাইমকলের জল সবসময়ই খুব ঠান্ডা।

    কিন্তু আজ আমার সে জলের দিকে খেয়াল নেই। স্নান করে খেতে না খেতেই বাবা চলে আসবে অফিস থেকে। দুপুর পড়ার আগে বাস ধরতে পারলে বেলা বুজে আসার আগেই আমরা বাড়ি পৌঁছে যাব।

    তাই আমি কোনোরকমে চৌবাচ্চা থেকে কয়েক ঘটি জল মাথায় ঢেলে বেরিয়ে আসি। মা বারান্দায় নকশা করা চটের আসন পেতেছে। তার সামনে কাঁসার জলের গ্লাস আর ভাতের থালা। আজ দুপুরের পদে হাঁসের ডিম কষা, আলুর ঝুড়ি ভাজা আর পাঁচফোড়নে লাউঘণ্ট।

    পাতের ভাত ফেলেছেড়ে শেষ করি আমি।

    এখন কি আমার খাবার সময় আছে? ব্যাগে পেন্সিলখানা, আমটা আর চিরুনিখানা ঠিকঠাক উঠল কিনা দেখতে হবে তো। সেসব খুঁজে দেখতে ব্যাগ খুলতেই চোখে পড়ে ম্যানোলা স্নো, মিল্লাত পাউডার, রবিন লিকুইড ব্লু আর বল সাবান। সাথে বেলা বিস্কুটের প্যাকেট। বাবা সব এনেছে বাড়ির জন্য।

    সে সবের ভিড়ে অবশ্য উঁকি দিচ্ছে আমার আধা ফুরানো নাবিস্কো বিস্কুটের প্যাকেট, নতুন পেন্সিলটা আর কাঁচামিঠে আমটাও।
    সেসব নিয়ে আমরা যখন বাসে করি ছুটছি বাড়ির দিকে, তখন সূর্য মাঝ-আকাশ থেকে সরে গেছে অনেকটাই। বাস ছুটছে দু’পাশে সদ্য গজিয়ে ওঠা পাটগাছ ভরা মাঠগুলোকে পিছনে রেখে। আর পথের দু’পাশে কিছুসময় পরপরই লাল কৃষ্ণচূড়ায় নিজেকে সাজিয়ে এক ঠায় দাঁড়িয়ে রয়েছে ডালপালা ছড়ানো গাছ।

    তবে সেসবে আমার মন ভরে না। আমি অপেক্ষায় কখন দেখা যাবে সেই প্রাচীন বটগাছটা।




    দুপুরের ভাতঘুমে আমার চোখ জড়িয়ে আসছে। সাথে ছুটে চলা বাসের দুলুনি। বাসের খোলা জানালা দিয়ে হুড়মুড়িয়ে ঢুকছে বাতাস।
    সেই বাতাসে সুতার রঙের ঘ্রাণ ভেসে আসতেই বুঝি – আর বেশিদূর নয় আমার কাঙ্খিত গন্তব্য। বাস কন্ডাক্টর হাঁকে,
    ‘তালগাছি, তালগাছি।’

    আমার চোখ লেগে আসে। ঘুম ভাঙে মায়ের ডাকে,
    ‘মনি, ওঠো। আমরা চলে এসেছি।’

    হ্যাঁ, তাই তো! ওই তো বটগাছটা। আর ঢালু বাজারের রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে আমাদের বাড়িতে জায়গির থাকা সঞ্জীবকাকু।

    বাজারের ঢালু রাস্তা গিয়ে শেষ হয় রূপবাণী সিনেমা হলের সামনে। এরপর কালিবাড়ির মোড় পেরোলেই দেখা যায় দেবদারু বাগানের মাথা।

    এই তো, আরেকটু এগোলেই বাইরবাড়ি।
    সেখানে মাড়হীন কাপড়ে ঘোমটা টেনে দাঁড়িয়ে ঠাকুমা।
    আমি রিক্সা থেকে নেমে ছুটে যাই।
    ‘ও দিদি, আস্তে আসো, পড়ে যাবে তো।’
    তাতে কি আমার ছুটে যাওয়া থামে!
    ‘ও ঠাকুমা তুমি এখনো গা ধোওনি?’

    বিকেলে সবসময়ই ঠাকুমা গা ধুয়ে মাড় দেওয়া টানটান শাড়ি পড়ে। মুখে তিব্বত স্নো মেখে লাল সিঁদুরের টিপ পড়ে কপালে। আজ তো সেসব কিছুই করেনি।
    ‘আমার দিদিকে দেখব, সেজন্য সেই কোন দুপুর থেকে বাইরবাড়ি দাঁড়িয়ে আছি’।

    কথা শেষ করেই ঠাকুমা আমার হাত টেনে ভেতর বাড়িতে নিয়ে গেল। হাতমুখ ধুইয়ে লাল বারান্দায় পিড়িতে বসিয়ে দিল। মনিপিসি নিয়ে এল গন্ধরাজ লেবুপাতা আর গুড় মেশানো যবের ছাতুর শরবত। সঙ্গে খইয়ের বড়া।

    মনিপিসির এ’ক’দিনে আরেকটু গিন্নিপনা হয়েছে! আমাকে কেমন বারবার বলছে, ‘এমন শুকিয়ে গেছিস কেন? খাওয়া-দাওয়া কেন ঠিকমত করিস না? কেন চুলগুলো এমন রুক্ষ হয়ে গেছে? মাকে কেন তেল দিতে দিস না?’

    কীভাবে বলি, শহরে কোনোকিছু করতেই আমার ভালো লাগে না। মা তো তেল দিয়ে চুল বেঁধে দিতে দিতে ঠাকুমার মতো গল্প শোনায় না, ভাত খাবার সময় কেউ বলে না, ‘গিন্নি তাড়াতাড়ি খেয়ে নাও, আজ বিকেলে আইনুল আসবে গুড়ের নই নিয়ে’।

    সেসব কথা নিজের মধ্যে রেখেই আমি লাল বারান্দা থেকে উঠোনে নেমে আসি। ঢেঁকিপাড়টা এ’ ক’দিনে কি আরেকটু উঠোনের এপাশে সরে এসেছে? নাকি বেদানা গাছের একপাশ শুকিয়ে উঠোনটা বড় হয়ে গেছে?

    এসব ভাবনা মনে জেঁকে বসার আগেই মনিপিসির ডাক,
    ‘মনি, বাগানে আয়।’
    ঠাকুমা ততক্ষণে রান্নাঘরে চলে গেছে।

    আজ বাঘকাকু হাট থেকে অবেলায় ইলিশ নিয়ে এসেছে আমরা আসব বলে। লাউপাতায় ইলিশ ভাপা হবে। বাগানের লাউয়ের মাচা থেকে কচি কয়েকটি লাউপাতা ছিড়ে আনি আমরা।

    মা শিলপাটায় কাঁচামরিচ লবণ মিশিয়ে রাইসর্ষে বাটছে।
    ঠাকুমার কথায়, ভাপা ইলিশের স্বাদ রাইসর্ষেতে আরোও খোলে।

    উনুনে ফুটছে লাল আউশ চালের ভাত। বড় বৌমা মাছটা কেটে ধুয়ে ততক্ষণে ঠাকুমার হাতের কাছে রেখে দিয়েছে।

    উঠোনের রোদে পেয়ারা গাছের ছায়া ততক্ষণে ফুরিয়ে গেছে।
    লালচে রোদটুকু দেবদারু বাগানের মাথায় একটু জিরিয়ে নিচ্ছে একটু। খানিকপরেই তো সেই রোদটুকু তলিয়ে যাবে দেবদারুর সবুজ বাগানের গহীনে।

    লাউপাতার শিরা ফেলে দু’হাতে পাত্রগুলো একটু ঘষে নরম করে নেয় ঠাকুমা। এরপর মিহি করে বাটা রাইসর্ষের ভেতর অল্প একটু হলুদ গুঁড়ো আর অনেকটা সর্ষের তেল মিশিয়ে দেয় ঠাকুমা। তাতে পড়ে লবণ মাখানো ইলিশের পেটিগুলো। ভালো করে মেখে মাছগুলোকে লাউপাতায় মুড়ে দেয় ঠাকুমা। বেঁধে দেয় লাউপাতার লম্বা শাল দিয়েই।

    লাল আউশের ভাত প্রায় হয়ে এসেছে। ঢাকনা তুলে আলগোছে ফেলে দেয় মাছের পুটুলিগুলো। খড়ি ঠেলে উনুনের আঁচ বাঁড়ায় ঠাকুমা। কিছুসময় ফুটিয়ে ভাতের হাঁড়ি পেতলের গামলায় উপুড় দেয় মাড় ছেঁকার জন্য।

    বেলা ডুবে এসেছে।

    ঠাকুমা দেরি করে না। কলঘরে চলে যায়। সন্ধ্যার পূজা শেষ হলেই বড়ঘরের মেঝেতে আজ অনেকদিন পর চায়ের আড্ডা বসবে। চলবে কতশত গল্প। কার বাড়িতে ইনতুল্লাহর বাচ্চা হয়েছে, কোন বাড়ির মেয়ের বিয়ে ঠিক হল, কার বাড়িতে হাঁড়ি ভাগ হল – গল্পের ভাঁড়ারে টান পড়বে না আজ। আর দাদুর রেডিওতে যতই ভয়েস অফ আমেরিকা চলুক না কেন, এর মাঝেই কারণে অকারণে দাদু ডাকবে, ‘গিন্নি ও গিন্নি!’

    আর আমি এসবের মাঝেই গা ঘেঁষে বসব ঠাকুমার। হাকিমপুরী জর্দা, সন্ধ্যার ধূপধুনো সবকিছুর ঘ্রাণ সরিয়ে খুঁজে নেব তিব্বত স্নো’র সুবাস।
    যে সুবাস আমাকে শহরেও অনেকবার চমকে দেয় ঠাকুমার উপস্থিতির মিথ্যে জানান দিয়ে। আর দু’হাত ঠাকুমার কোলে গুঁজে বায়না ধরব,
    ‘ও ঠাকুমা এবার কিন্তু আমি তোমার কাছে থেকে যাব’।


    ক্রমশ...

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • খ্যাঁটন | ২১ এপ্রিল ২০২২ | ১৭৫০ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • N | 49.206.56.199 | ২১ এপ্রিল ২০২২ ২৩:৩০506758
  • স্মৃতি কী সততই সুখের !!!!!!! 
    এনার ঠাকুমার তিব্বত স্নো , আমার মার্বেল , ঘুড়ি লাটিম , ডাংগুলি , হোমিওপ্যাথি ওষুধের প্যাকেটে চিনি মেশানো আমূল গুঁড়ো দুধ ( যা দুপুরে মায়ের মিটসেফ থেকে দুপুরে চুরি করা আর সন্ধ্যায় পড়তে বসে একটু  করে খাওয়া .............) 
  • দীপক দাস | 103.220.16.205 | ২২ এপ্রিল ২০২২ ১৩:৩২506770
  • লাল আউশ চালের ভাত। দারুণ স্বাদ। ইলিশ তো স্বভাব স্বাদু। 
  • Swati Ray | 117.194.47.220 | ২২ এপ্রিল ২০২২ ১৭:২০506772
  • সুস্বাদু সুবাসিত লেখা নিয়ে ফিরে আসার  জন্য  অনেক ধন্যবাদ। 
  • | ২২ এপ্রিল ২০২২ ১৭:৪৪506774
  • আহা চমৎকার। কিছুটা দয়াময়ীর কথার সুর লাগল যেন। 
  • R.K | 103.248.16.154 | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০২:২৬506850
  • জানিনা এই লেখা এতো দুঃখ জাগানিয়া কেন? এই যে ​​​​​​​ধর্ম ​​​​​​​জাত পাত নির্বিশেষে ​​​​​​​একসাথে জড়িয়ে বেঁচে থাকা সেটাই অতীত হয়ে যাওয়াতে কি ? এতো ​​​​​​​সুন্দর ​​​​​​​ছবি ​​​​​​​শেষ ​​​​​​​কবে ​​​​​​​দেখেছি ​​​​​​​জানিনা। 
    ধন্য আপনার কলম ( কী বোর্ড ). 
    লিখতে থাকুন। 
  • raju Sengupta | ২৪ এপ্রিল ২০২২ ০৫:৪১506851
  • আপনার লেখার পরম ভক্ত আমি। কি অসম্ভব মায়াবী লেখা আপনার। মুহুর্তে পৌছে যাই আপনার সাথে সাথে আপনার ঠাকুমা ও দাদুর সাথে লাল রোয়াকের সেই বাড়ীটায়। 
  • reeta bandyopadhyay | ০২ মে ২০২২ ১২:২৭507106
  • ফিরে এসে বাঁচালেন, আপনার হাত ধরেই না মেয়েবেলায় ফিরে যাওয়া। 
  • অনসূয়া | 103.140.205.209 | ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:১৬516178
  • ,
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। লাজুক না হয়ে প্রতিক্রিয়া দিন