আমি দিন দিন দেখি,তুমি কি অপূর্ব হয়ে ওঠো!পলে পলে আঘাতে আঘাতে, পলকাটা সব হীরে
তোমার অঙ্গ জুড়ে বসত বসায় ;ভুবনপারের ঘর-
সেথায় কন্না করো অমরার কন্যে:ঝুমঝুমি পায়জোড়-
আহা,ঝনর ঝনর মল বাজছে বাহির-অন্দর।
নাগরি ভরা গুড় আর মৌচাকেতে নিমফুল মধু,
তাই নিয়েই খেলনাবাটি সংসার পাতো নৈঃশব্দ্যের বধূ।
পাথর করো চেরিপাপড়ি , পায়ে তোমার ডাইনিবেড়ি,
রক্তে ভেজাও শক্ত নুড়ি,ফোটাও গোলাপফুল-
আহা,হলদে,লাল,গোলাপি,সাদা-কত্ত গোলাপফুল।
নাগর আসে,নগর আসে,দুয়ার ধরে দাঁড়ায় খানিক,
নাচ 'পরে রাখে পা,থুতু ফেলে ,ছেটায় লাল পানের পিক-
তারপর ঢিল ছোঁড়ে,ইঁট খসায়,বোমা,গালি,গুলিবর্ষণ...
ফিরে যায় বীরপুঙ্গবরা,ব্যর্থ সব ধর্ষকের দল-
আহা,পুরুষপ্রবর মহাবল,ধন্য সব বীরের দল।
ভীরু পায়ে দোর খোলো,ঝনাৎ করে খিল,
কব্জা মচমচ,পাল্লা ভাঙা-কবজিতে লেগেছে ঢিল।
সেই কব্জিই মুঠো করে আকাশপানে তোলো,
লুকানো সব গহ্বরে, অথই জলে ,আগুন জ্বালো-
আহা,লকলকে সব সর্বনাশী সর্বগ্রাসী শিখা জ্বালো।
ওগো বঁধু,ডাক পড়েছে,ডাকের সাজটি পরো,
পথের 'পরে ডাক পড়েছে,এবার তুমি অস্ত্র ধরো।
গুছিয়ে নাও রংতুলি,কলমপুঁথি,খাতাপত্তর,গান,
পথে অনেক দৈত্য আছে,কাড়তে হবে জান-
আহা,কত আঁধার,বন-বাদাড়ে লুকোনো দৈত্যের প্রাণ।
ঘর খুলে বাইরে এসো,বসত তুলে তেপান্তরে,
আমার মাঝে বাস করেছ কত না যুগ ধরে;
এবার ছড়াও মুঠোরং,সুর,পাখোয়াজের বোল,
ভোল পাল্টে,এবার জনস্রোতে তোলো কলরোল-
আহা,বিশ্বমাঝে রক্তে রক্তে জাগুক কল্লোল।
পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।