এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • হোটেল ম্যানেজার - ১১

    Anjan Banerjee লেখকের গ্রাহক হোন
    ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২ | ৩৮০ বার পঠিত
  • মনীষা আবার বলল, ‘ চিনতে পারছেন তো ? লজে আপনার উল্টোদিকের ঘরে আমরা ছিলাম। আমার ছেলে বান্টি ....’
    এই ফোনটা অমিতাভর কাছে সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত । 
    সে বলে, ‘ হ্যাঁ হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি, বলুন .... ‘
    — ‘না.... মানে, আমরা চলে যাওয়ার সময় আপনার সঙ্গে দেখা হল না তো .... তাই .... ‘
    — ‘ ও আচ্ছা , আপনারা কি এখন মেচেদায় ?’ অমিতাভ বেশ বিব্রত বোধ করতে থাকে। কি বলবে ভেবে পায় না।
    — ‘ হ্যাঁ মেচেদায়। আবার কবে দেখা হবে কে জানে। লজে বেশ ভাল লাগছিল। আপনার কথা খুব মনে পড়ছে। দেখি এর মধ্যে সময় পেলে একবার কাঁথিতে যাওয়ার ইচ্ছে আছে । ‘
    অমিতাভ দায়সারা ভাবে বলল, ‘হ্যাঁ নিশ্চয়ই । ‘
    মনীষা কথা চালিয়ে যায়— ‘ পুজো তো এসে গেল । পুজোর সময় কি প্রোগ্রাম ? নিশ্চয়ই কলকাতায়.... ফ্যামিলি নিয়ে বেড়াবেন । আমারও একদিন কলকাতায় যাবার ইচ্ছে আছে.... ওই দেওরের বাড়িতে। তবে সত্যি কথা বলতে কি অত ভিড় ভাট্টা আমার সহ্য হয় না।আপনাদের সঙ্গে ঘুরতে পারলে বেশ মজা হবে। যাক,  সে এখনও দেরি আছে .... তার আগে কাঁথি গেলে আপনার সঙ্গে দেখা হবে । মাসের মাঝামাঝি যাব ঠি ক  করেছি। যাবার আগে আপনাকে ফোন করে নেব। থাকবেন কিন্তু .... হ্যালো .... হ্যালো .... ‘
    — ‘ হ্যাঁ বলুন শুনছি । ‘
    এইভাবে মনীষা পাল স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গীতে অনর্গল কথা বলে যেতে থাকে । ভদ্রমহিলার সঠিক ধরণটা অমিতাভ এখনও মোটেই বুঝে উঠতে পারেনি। 
    মনীষা একতরফা বকে চলেছে। সাঁঝের আঁধার ঘনিয়ে আসছে। চাষীরা চাষের জমি থেকে উঠে আসছে রাস্তার ওপরে নিজেদের মধ্যে কথা বলতে বলতে। অমিতাভ কানে মোবাইল চেপে হাঁটতে শুরু করল ফেরবার জন্য।অনেকটা রাস্তা চলে এসেছে এদিকে। শুভঙ্কর পালের ব্যাপারে বাপির আগুনে প্রতিক্রিয়া মনে পড়ে গেল হঠাৎ।
    অমিতাভ মনীষার বকবকানি থেকে রেহাই পাবার জন্য বলল, বলল, ‘ আচ্ছা ঠিক আছে , চলে আসবেন একদিন। আচ্ছা রাখছি এখন । আবার পরে কথা হবে । ভাল থাকবেন। ‘ বলে অমিতাভ লাইন কেটে দিল এবং নম্বরটা সেভ করে রাখল।একটা দীর্ঘশ্বাস পড়ল অমিতাভর। ভাবল, তিলোত্তমার মায়া  কাটাবার সময় তো  হয়েই এল। এসব মাখামাখি করে আর কি লাভ ! এরা নয় স্মৃতিতেই থেকে যাবে। আর তো একমাস ।

       কিন্তু মনীষাদেবীর হাত থেকে অত সহজে রেহাই পাওয়া গেল না। অমিতাভর মোবাইল আবার বেজে উঠল রাত নটা নাগাদ। 
    নম্বরটা সেভ করা ছিল তাই সে বুঝতে পারল যে, মনীষা পালের ডাক। সাড়া দিতেই মনীষা যথারীতি কলকলিয়ে উঠল — ‘হ্যাঁ , এই যে..... আবার একটু বিরক্ত করলাম । তখন বলা হয়নি ..... আমি সামনের বুধবার কাঁথি যেতে পারি। দুপুরের দিকে যাব। আপনি অফিস থেকে ফেরার পর আপনার সঙ্গে দেখা হবে। এ..ই এমনি । কাজ কিছু নেই। সবার সঙ্গে দেখা হবে এই আর কি । আপনি থাকবেন তো ?’
    অমিতাভ ভাবল, ভাল জ্বালা হল। এ একেবারে নাছোড়বান্দা দেখছি । একে নানারকম চিন্তাভাবনায় জর্জরিত, তারপর এইসব উটকো আপদ। বিরক্তি ও হতাশার মিশ্র প্রতিক্রিয়ার ধাক্কায় তার মুখ দিয়ে অনিচ্ছাসত্ত্বেও বেরিয়ে গেল, ‘ আমার সঙ্গে দেখা হয়ে কি বা হবে। আমি এখানে আর কদিনই বা আছি । কটা দিন একটু শান্তিতে থাকতে চাই।’
    এ কথায় মনীষার মনক্ষুন্ন হবার  কোন লক্ষ্মণ দেখা গেল না। সে অম্লান চিত্তে বলল, ‘ ওমা ! কেন কি হল ? ‘
    — ‘ আমি খুব টেনশানে আছি।ওই নানা ব্যাপারে .... ‘
    — ‘ কি ব্যাপারে শুনি ‘ 
    এত স্বল্প সময়ের পরিচয়ে এরকম অধিকার ফলাতে দেখে অমিতাভ অবাক হয়ে গেল। অবশ্য মনীষার মতো অদ্ভুত চরিত্র সম্বন্ধে তার বিস্ময়বোধ ক্রমশ: কমে আসছে। 
    অমিতাভ বলে ফেলল, ‘ আমার আর চাকরি থাকছে না। আমাদের কোম্পানিতে ভি আর এস হয়ে যাচ্ছে । অবশ্য এটাকে ভিআরএস না বলে সি আর এস বলাই ভাল — কম্পালসারি রিটায়ারমেন্ট স্কীম।’
    এ কথা শুনে মনীষাকে আদৌ বিচলিত মনে হল না। সে বলল, ‘ ও:  এ..ই কথা ? এতে মন খারাপ হওয়ার কি আছে। অন্য কোন কাজ করবেন।কাজ কি দেশে ওই একটাই আছে নাকি ? এই তো আমার মাসতুতো ভাইয়ের কোম্পানিতে ভিআরএস হয়েছে। তাতে কি হয়েছে ? সে একটা সাইবার কাফে খুলেছে। দিব্যি আছে ।’
    এসব কথা শুনে অমিতাভ তাৎক্ষণিকভাবে মনীষার বশ হয়ে পড়ল — ‘ হ্যাঁ সেটা ঠিক। কিন্তু সবার পক্ষে তো ওসব .... ‘
    মনীষা অমিতাভর মুখের কথা কেড়ে নিয়ে বলল, ‘ না না আপনি ওটা করবেন কেন ? আপনি অন্য কিছু ট্রাই করবেন যেটা আপনার পক্ষে সুটেবল হয় ।’
    কথাগুলোর আদৌ কোন বাস্তব গ্রহণযোগ্যতা আছে কিনা জানা নেই।কিন্তু কথাগুলো শুনে অমিতাভর মনের মধ্যে ওঠা ঢেউগুলো এখনকার মতো একটু স্থির শান্ত হল সে ব্যাপারে সন্দেহ নেই। তার চোখের সামনে আবার একবার ভেসে উঠতে লাগল লালচে রঙা ফাইবারের চশমা পরা দুটো বাঙ্ময় চোখ।
     
       পরদিন সকাল নটায় দুলালের সঙ্গে দেখা হল নিখিলের ক্যাশ কাউন্টারের সামনে। রাত্রে নিখিলের ভাল ঘুম হয়নি নানা চিন্তায়। তবে বুকের ধড়ফড়ানি এখন আর নেই।
    দুলাল বলল, ‘ কি ব্যাপার, এত সকাল সকাল নেমে এলি ! তুই তো দশটার আগে আড়ামোড়া ভাঙ্গিস না ।’
    নিখিল হাতের সিগারেটে একটা টান দিল।ছাই ঝাড়ল। কাউন্টারে কনুইয়ের ভর দিয়ে দাঁড়াল। কোন কথা না বলে সিগারেটে আর একটা টান দিল। সোজা তাকিয়ে রইল রাস্তার দিকে। গতিক সুবিধের ঠেকল না দুলালের। সে বলল, ‘ কি ব্যাপার ! আবার কিছু ক্যাঁচাল বাঁধিয়েছিস না কি ? তোকে কতবার বলেছি ওসব বাজে অভ্যেস ছাড়। জড়িয়ে পড়লে আর বেরোতে পারবি না ..... ‘
    — ‘ আরে.... আমি থোড়াই নিজে থেকে জড়াচ্ছি । ওই মালটা ...’ নিখিলের মেজাজ যে তিরিক্ষে হয়ে আছে তা ভালই বোঝা যাচ্ছে।
    — ‘ ওই কাব্যরসিকা অনিন্দিতা কেস .... নাকি , অন্য কোন কেস।নিখিল তুই এতদিনেও বুঝলি না, কোন ভাল মেয়েকে এত সহজে পাওয়া যায় না। আর যারা সহজলভ্য তাদের মধ্যে কিছু গড়বড় থাকবেই । যাই হোক , কেসটা কি শুনি । ‘
    সব শুনে দুলাল নিখিলকে বলল, ‘ ভালো ঝামেলা বাঁধিয়েছিস। শোন তুই এক কাজ কর। কিছুদিনের জন্য ছুটি নিয়ে কাঁথি থেকে হাওয়া হয়ে যা। ফোন সুইচ অফ করে রাখবি যতটা সম্ভব। তোর বারাসাতের অ্যাড্রেস ওকে দিসনি তো ? ‘
    — ‘ না ‘  নিখিল জানায়।
    — ‘ ঠিক আছে। তা’লে তুই দুচারদিন অন্য কোথাও গিয়ে থাক। ব্যাপারটা পুরোপুরি অন্যদিকে গড়াতে আরম্ভ করলে তুই আবার ফিরে আসিস।’
    —‘ প্ল্যানটা অবশ্য মন্দ বলনি। তবে বারাসাতে এখন যেতে চাই না আমি। ওখানে আর এক ক্যাঁচাল হয়ে আছে। শান্তিনিকেতনে আমার একটা ঠেক আছে। প্রান্তিকের কাছে। ওখানে গিয়ে কিছুদিন থাকা যেতে পারে। ভাল খরচ আছে অবশ্য .... সে হোক , কি আর করা যাবে।’
    দুলাল বলল,  ‘ সেটাই কর। আজকেই বেরিয়ে যা এখান থেকে। ‘
    দুপুর বারোটার সময় নিখিল বোলপুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিল।

      পিনাকপাণি রায় আর অর্নাশ্রী ব্যানার্জী কাঁথি বাসস্ট্যান্ডে নেমে দেখল বেশ বড় বড় ডাব বিক্রি হচ্ছে । তারা দুজনে দুটো ডাব খেল। শরীর জুড়িয়ে গেল যেন। ডাবওয়ালা ডাব কাটতে কাটতেই বলল, তিলোত্তমা লজে যাবেন তো ? ওই রাস্তায় সোজা গিয়ে ডানদিকে ঘুরে যাবেন। তারপর একটু গিয়ে বাঁ হাতে রাস্তার ওপর .... তবে  এখন পাবেন না। ওয়েট করতে হবে। ওখানে অর্জুন লস্কর আছে।’ লোকটা এতগুলো কথা বলল পিনাকপাণিদের দিকে মুখ তুলে না তাকিয়ে। 
    পিনাকপাণি কোন কথা না বলে তার মোবাইল বার করে একটা নম্বরে কল দিল। ডাবওয়ালার বুকপকেটে মোবাইল বেজে উঠল একটা হিন্দী ফিল্মী গানের আওয়াজে। পিনাক মোবাইলের সুইচ অফ করে দিল। তার নিজের নেটওয়ার্ক যে এত মজবুত হয়ে উঠেছে তাতে তার আনন্দের সীমা রইল না । পিনাক ডাবের পয়সা মিটিয়ে দিল।
    একটা রিক্শা ডেকে দুজনে উঠে বসল তিলোত্তমায় যাবার জন্য।ডাবওয়ালার বলা ‘তবে এখন পাবেন না .... ওয়েট করতে হবে’ কথাটা মনে পড়ল পিনাকপাণির।
    লোকটা যে শুভঙ্কর পালের কথা বলছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। 
       বাইশ নম্বর ঘর, যে ঘরে সেই কল ব্যবসায়ী দুজন ছিল সে ঘরটা খালি আছে এখন।  পিনাককে সেই ঘরটাই দিল দুলাল। আপাতত: দুদিনের জন্য, আই ডি কার্ডের জেরক্স জমা রেখে। পিনাকপাণি রেজিস্টার বুকে অর্ণাশ্রীর সম্বন্ধে লিখল ‘অফিস কলিগ’। কাঁথি আসার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে লিখল  ‘অফিসিয়াল জব ‘
    অর্ণাশ্রীকে দেওয়া হল দোতলায় সাত নম্বর ঘরটা যে ঘরে শুভঙ্কর মনীষারা ছিল।অন্য অ্যাটাচড বাথওয়ালা ঘর খালি নেই।

       দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেল। বিকেল গড়িয়ে সন্ধে। টি ভি-র চ্যানেলে চ্যানেলে প্রাত্যহিক সিরিয়াল প্রদর্শন শুরু হল। নিখিল দাস এতক্ষণে শান্তিনিকেতনে পৌঁছে গেছে। প্রান্তিকে তার চেনা জানা ছোট্ট রিসর্টে একতলায় একটা ঘরে জায়গা পাবার পর উকিল  সৌম্যশেখর দিন্দাকে একটা ফোন করে বলে দিল যে, মামলা সম্বন্ধে এর পরবর্তী কাজকর্মের ব্যাপারে তিনি যেন অনিন্দিতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার সঙ্গে যেন যোগাযোগ না করেন। শুনে উকিলবাবু বললেন, ‘ দেখুন, বিনা প্রয়োজনে আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করার তো কোন প্রয়োজন নেই। অামি তো সেদিন বললামই যে, আমি চাই না আপনি এই কেসে পার্টি হোন। আপনি অ্যালুফ থাকুন। কিন্তু মামলায় আপনার ইনভলভড হওয়া না হওয়া অনেকটাই ডিপেন্ড করছে অনিন্দিতা দেবীর ওপর। উনি যদি কোর্টে জাজের সামনে কোনভাবে আপনার সঙ্গে ওনার প্রক্সিমিটির কথা মেনশান করেন, সেটা উপকারি বন্ধু হিসেবে হলেও , 
    কোর্ট কিন্তু আপনাকে ডাকবে অ্যাজ সারকামসট্যান্সিয়াল উইটনেস। তবে আপনি অত টেনসড হবেন না। আমি জানি আপনি সরকারি চাকরি করেন। কোনভাবে ইমপ্লিকেটেড হলে সিরিয়াস হ্যাজার্ড অ্যারাইজ করতে পারে। আমি সব দিক সামলেই কাজ করব। কিন্তু অনিন্দিতাদেবীর ট্র্যান্সপ্যারেন্ট কো-অপারেশানটা খুব দরকার।আমার মূল চিন্তার বিষয় সেখানেই। আমার নিজস্ব এক্সপিরিয়েন্স থেকে মনে হয়েছে যে, উনি এক্সট্রাম্যারিটাল অ্যাফেয়ারে বহুদিন ধরেই অভ্যস্ত। উনি অ্যাট এনি কস্ট সবার আগে নিজেকে বাঁচাবার চেষ্টা করবেন। এমনকি ওনার হাসব্যান্ডেরও আগে। আমার মেন কনসার্ন সেখানেই। যাই হোক, আপনি এত টেনশান নেবেন না।লেটস সি হাউ থিং প্যানস আউট। লেটস হোপ ফর দা বেস্ট।
    ওক্কে .... গুড নাইট। টেক কেয়ার।’
       লাইন কেটে গেল।
    ..............        ............     ............     ............
    মদন বেরার মেয়ে এক পূর্ণিমার আগের দিন চলে গেল। আর এক পূর্ণিমা আকাশপারে দাঁড়িয়ে। দিগন্তের দোরগোড়ায় একটু একটু করে মুখের ঘোমটা সরাচ্ছে।
    শঙ্করীবাবা কোথা থেকে এসে কোথায় যেন উধাও হয়ে গেল। বলে গিয়েছিল প্রতি পূর্ণিমায় সাঁঝবাতি ফিরে ফিরে আসবে। মদন মাঝে মাঝেই ভাবে শঙ্করীবাবা এলই বা কিভাবে আর হঠাৎ উবে গেলই বা কিভাবে। কথাটা যতই আজগুবি হোক মদন কিন্তু আশায় বুক বেঁধে বসে আছে পূর্ণিমার দিন শিউলি গাছের তলায় সাঁঝবাতির দেখা পাবে। সে ঠি ক  করে রেখেছে দুলালবাবু আর নিখিলবাবুকেও থাকতে বলবে আগের দিন থেকে। ওদের সামনেই তো শঙ্করীবাবা কথাটা বলল। মদন ভাবল— কাল সকালেই কাঁথি যাই। বলে আসি ওদের। আর দুদিন বাদেই তো পূর্ণিমা। শরিকী ঝামেলা আপাতত: চাপা পড়ে আছে ছাইচাপা আগুনের মতো। জ্ঞাতিরা সদর আদালতে যাবার তোড়জোড় করছে খবর পেয়েছে মদন । তারপর আরো কত জায়গায় গিয়ে ঠোকাঠুকি করতে হবে ভেবে পায় না মদন। মদন কষ্টের দীর্ঘশ্বাস ফেলে— উ: .... আর পারিনা ..... মাগো !
     ( ক্রমশ: )
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। খারাপ-ভাল প্রতিক্রিয়া দিন