এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • খেরোর খাতা

  • ছোট গল্প 'লক্ষ্মীমেয়ে'

    Sarmistha Roy লেখকের গ্রাহক হোন
    ১৬ ডিসেম্বর ২০২১ | ৬১৬ বার পঠিত | রেটিং ৪.৩ (৩ জন)
  • আমার বয়স দশ। হলে কি হবে আমার এই দশ বছরের অনন্ত কাহিনী। বলতে গেলে ইতিহাস হয়ে যাবে। সব তো বলতে পারবো না। important কথাগুলো বলবো।
    দাদুর বাড়ি থেকে আজ সকালেই এলাম। ওখানে আমায় 'জানচক্কু' (জ্ঞানচক্ষু) না কি একটা বলে, সেইটা খুলে গেছে।
    একটু ভেঙে বলি, না বললে তোমরা বুঝতে পারবে না।
    ইস্কুলে যেমন শুরুতেই প্রেয়ার হয়, তারপর ক্লাসের পড়া চলে, আমাদের বাড়িতে সকালে তেমন প্রভাতী সঙ্গীত শুরু করে বাড়ির বড়োরা। 'লক্ষ্মীমেয়ে! মাগো এক গ্লাস জল দাও!' এই বাক্যগুলো দিয়ে শুরু। আমি তো রেডি সারাদিনের হুকুম তালিমের এর জন্য।
    খেতে বসে কারো গলায় খাবার আটকে গেলো, আর অমনি 'মাগো তাড়াতাড়ি জল দাও তো।'
    এনে দিলাম জল।
    ফ্যানের স্পিডটা কমিয়ে দাও তো-
    light টা জ্বেলে দাও তো-
    পা'টা একটু টিপে দাও তো-
    পিঠটা চুলকে দাও তো -
    ছুঁচে সুতো ঢোকানো তো আছেই।
    এসব অর্ডার করার লোক বাড়িতে ৫ জন আর কাজ করার লোক আমি একা। এই একটা ছোট্ট মেয়ে।
    খেতে বসে জেঠু বললো 'আমায় পটল দিও না ছোটবৌমা। মা জেঠুর পাতে পটল বাদ দিয়ে বড় বড় আলুর দমের মতো আলুগুলো দিলো। বাবা বললো আমাকে রোজ রোজ করলা-সেদ্ধ দিও নাতো, ভালো লাগেনা। মা বাবাকে শুধু আলুপটলের তরকারি দিলো। ঠাকুরমার দাঁতে ব্যাথা বলে ঠাকুরমাকে মা এত্তো বড়ো একটা পোস্তর বড়া দিলো। এবার হিন্দি ছবির নায়কের মতো দাদা এলো, হাত-মুখ কিচ্ছু ধোয়ার নাম নেই, ঝাঁকড়া-ঝাঁকড়া চুল-দাড়ি নিয়ে এসে চেয়ারটাকে দড়াম করে টেনে বসলো।
    পাতে করলা, আলুপটল সব ফটাফট উঠিয়ে দিলো মায়ের পাতে, বললো --- ধুর, ওসব সবজি খাবো না, রাবিশ। তুমি খাও। আমাকে মাছভাজা দাও। পারলে একটা ওমলেট করে দাও।
    এবার আমার থালাটা দেখো -- করলা-সেদ্ধ, ঘ্যাঁট-ঘ্যাঁট আলুপটল, একটা বাজে মাছের ঝোল, তাতে একটা তিনকোনা মাছ।
    আমি যদি বলি 'মা আমি মাছ খাবোনা', আমিও একটা ওমলেট খাবো।
    মা বলে "দাদা তো বুঝতে চায়না, তাই অমন জেদ করে, তুমি কি দাদার মতো দুষ্টু? তুমি তো লক্ষীমেয়ে!"
    যদি বলি - বাবা তো করলা খাচ্ছে না, আমাকে কেন খেতে হবে ?
    মা বলে - ছিঃ মাগো, বাবা বড় না? তাঁর সাথে তুলনা করতে নেই।
    দাদা কিছুর মধ্যে নেই, খাবার টেবিলে যেন মহিষাসুরের মতো হুংকার ছাড়ে - 'কি বলছে ও? ঐটুকু বয়সে আমি কিছু বলতাম? সব খেতাম। খা, খেতেই হবে'।
    আমার যদিও বিশ্বাস হয়না দাদা কোনোদিন সবজি খেতো বলে।
    পিসিমা এসে মাথায় হাত বুলায় আর বলে 'তুমি আমাদের সোনা মেয়ে -- কি সুন্দর সব খেয়ে নাও, সবার কথা শোনো - কত লক্ষ্মীমেয়ে!'
    আমার আর লক্ষ্মীমেয়ে হতে ভালো লাগে না। কি লাভ আমার লক্ষ্মীমেয়ে হয়ে? আমার পছন্দ মতো আমি কিছু পাই না। দাদা দুষ্টু হয়েই ভালো আছে।
    দুপুরে মা-বাবা আমি শুলাম। বিছানায় সবার চেয়ে আমার শোবার জায়গা কম।
    মাকে বলি - মা সরো -
    - কোথায় সরব? তুমি আমার গায়ে পা চাপিয়ে শোও।
    বাবা খেয়েই শুয়ে পড়ে আর শুয়েই নাক ডাকে। বাবা তো সরবেই না।
    দাদার তো আলাদা ঘর, পড়েও না, কিছুই না, শুধু বলে আমাকে ডিসটার্ব করবে না কেও, আমি পড়বো। ঘন্টা পড়ে! আমি একদিন ওই ঘরে শুয়ে দেখেছি দাদা কম্পিউটারের এর আওয়াজ টাকে বন্ধ করে গেম খেলে।
    আমি মাকে বলে দিয়েছিলাম বলে আমার ক'টা চুল ছিঁড়ে নিয়েছিলো, আর কোনোদিন ওর ঘরে শুতেই দেয়না।
    একটা ফুটো আছে দাদার দরজায়। ওখান দিয়ে সোজা দাদার পড়ার টেবিলটা দেখা যায়। একদিন আমি চুপি-চুপি ফুটো দিয়ে মাকে ডেকে দেখাচ্ছিলাম যে দাদা পড়ার টেবিলের কাছে নেই, ওমা দাদা এতো চালাক, আমার পায়ের নুপূরের আওয়াজ পেয়ে দড়াম করে দরজা খুলে কি বকা দিলো! আমি তো কোনোরকমে বাঁচলাম, মাকে দাদা বললো 'আমার ওপর এতো অবিশ্বাস? পড়বোই না যাও।'
    যাই হোক, শুয়ে মা আমার দিকে পেছন ফিরে ঘুমাতে লাগলো। আমি ইস্কুল থেকে এসে একদফা ঘুমিয়ে নিই। তাই দুপুরে আমার ঘুম আসে না। তাই, একটা পুতুল নিয়ে সেটাকে বাবার পেটের উপর রেখে আস্তে আস্তে ওকে গল্প বলছি।
    হঠাৎ ঝেঁপে বৃষ্টি। মা আমাকে কোমর দিয়ে এক ঠ্যালা মেরে বলে - মাগো তোমার ইস্কুলের জামাটা ছাদে মেলে দেয়া আছে, অর্ধেক শুকিয়ে গেছে, যাও, ছুট্টে গিয়ে নিয়ে। আমার পায়ে খুব ব্যথা করছে।'
    কি বলবো!
    মায়ের আর ঠাম্মার সবসময় পায়ে ব্যথা করে, আর জেঠুর আর বাবার পিঠে। শুনে শুনে আমার বিরক্তি ধরে গেছে।
    বললাম  'না, আমি যাবো না।'
    - 'ঠিক আছে থাকো শুয়ে, কাল ইস্কুল যেতে পারবে না' - বলে মা পাশ ফিরলো।
    - কেন আর একটা আছে তো!
    - 'এতো তর্ক করিস নাতো, যা।'
    মা সবসময় এটা করে, একটা কথা না শুনলেই তুই বলতে শুরু করে। তুই শুনলেই আমার ভয় হয় মা আমাকে আর ভালোবাসে না। বড়োদের ভালোবাসা, ভালোভালো খাবার, বাড়ির জায়গা সব দখল করার জন্য তো একজন আছেই -- আমার দৈত্যের মতো দাদা।
    মুখটা ব্যাজার করে ছাদে যাই, জামাটা তুলি কিন্তু তখনই নীচে আসি না। ছাদের মধ্যে আর একটা ছোট্ট ঘর আছে। ওখানে আমার কয়েকটা রান্না-বাটি খেলার জিনিস থাকে। ওদের কেন এই গ্রীষ্মের রোদে-তাতে ছাদে পড়ে থাকতে হয়েছে, বলছি ।
    মা আর পিসি মিলে প্রায়ই বাড়ি পরিষ্কার করতে শুরু করে। তখন বাড়িতে আর লাগবে না, এমন জিনিসগুলোকে ফেলে দেয়া হয়। সেরকম একদিন মা বাড়ি পরিষ্কার করতে গিয়ে আমার রান্না-বাটির খেলনাগুলো ফেলে দিয়েছিলো।
    আশামাসি ভাগ্গিস ওগুলো এনে আমাকে দেখালো  'এই দেখ, এগুলো ফেলে দিলাম।'
    আমি পড়ি-মরি করে ওগুলোকে তুলে এনে খাটের তলায় রাখছি, পিসিমা বললো - 'একদম খাটের তলায় রাখবি না, যা, ওই ভাঙা হাড়ি-কড়াইগুলো ফেল, আমি আবার এবারকার রথে নতুন কিনে দেব।'
    সব্বাইকে আমি চিনে গিয়েছি - নতুন খেলনা হাতে না পেয়ে আমি এগুলো ফেলবোই না।
    এই পিসিমাই সন্ধ্যেবেলা পড়াতে বসে কোনো পড়া না পারলে বলবে - 'কিছু কিনে দেবোনা তোকে, যাহ।'
    যাই হোক সেদিন থেকে ওদের ঠাঁই ছাদের এই জায়গায়। আমি আমার ইস্কুলের জামাটা তুলে সিঁড়ির উপর রেখে ওখানে বসে ১০-১৫ মিনিট খেলেছি কি খেলিনি, মা এসে হাজির। চল, নীচে, সেই আমাকে টেনে আনলি?'
    মুখ কাচু-মাচু করে নীচে এলাম। দাদা সারাদিন দরজা বন্ধ করে খেলছে, মা জেনেও কিছু বলেনা আর আমার্ এই দশা।
    এ বছর শীতকাল এলো আর আমি নাকি বড়ো হয়ে গেলাম। কারণটা কি জানো? আমার জন্মদিন মাঘ মাসে, জানুয়ারির ২২ তারিখ, এবার আমি ১০ পেরিয়ে ১১ হলাম। বড়ো হলাম বলে আনন্দ করে লাভ নেই। আমার কষ্ট আরো বাড়লো।
    হ্যাঁ, যা সন্দেহ করছিলাম, তাই হলো। পিসি-কাকার কাছে খেলনা-পাতি চাইলে ঠাকুমা বলছে 'ওসব আবার কি, বড় হয়েছে, কাজ-কম্ম শেখাও ওকে, ও আর কতদিন খেলবে? কদিন পর বিয়ে হবে!'
    হ্যাঁ, যা বলছিলাম শীতকালেই আমি বড়ো হলাম আর আমার সন্দেহ সত্যি হলো। মা সকালে উঠেই আমাকে ঠেলাঠেলি--ওঠো, ওঠো, চট করে ঠাকুরমাকে চা দিয়ে এস।
    'কেন আমি কেন? আমি তো সব চাইতে ছোট বাড়িতে?'
    'তুমি অনেক বড়ো হয়ে গেছো এখন। ওঠো।'
    'পিসিই তো দেয় রোজ!' আজকে আমাকে কেন যেতে হবে?
    'পিসির শরীর খারাপ, এতো তর্ক করিস নাতো।'
    এই তুই বলাটা মানেই আমার মনে একটা ভয় ঢুকিয়ে দেওয়া - মা বোধহয় আর ভালোবাসবে না।
    এবার চশমা ।
    দাদা বাদে বাড়ির কেও চশমা ছাড়া দেখতে পায় না, অথচ কেও নিজের চশমার দায়িত্ব নিজে নেবে না। বাড়িতে আমিই আছি এক চশমার খোঁজনদার।
    এ রাখে বালিশের নিচে, ও রাখে বইয়ের তাকে, ঠাকুরমা বাথরুমে, বাবারটা উঁচু আলমারির মাথায়, পিসিরটা বাথরুমে, মায়েরটা তেজপাতার কৌটোর মধ্যে।
    চশমার সাথে মোবাইলও আছে।
    কেও একজন মোবাইল ফোন পাবে না খুঁজে, বলবে - মাগো বাবার মোবাইল থেকে একটা রিং করতো, আমার মোবাইল ফোনটা পাচ্ছি না।
    আমাদের বাড়িটা দোতলা। যেই বাড়ি থেকে বেরোবে, অবশ্যই তারা কিছু না কিছু নিতে ভুলে যাবে। নীচে থেকে চেঁচিয়ে মাকে বলবে 'বৌদি, ওকে দিয়ে পাঠাও না গো।'
    এই 'ও' মানে আমি! সঙ্গে সঙ্গে মা বলবে-যাও যাও, লক্ষীমেয়ে, ছুটে দিয়ে এস।
    আমি একা কত ছুটবো?
    তাই এখন কেও যদি বাড়ি থেকে বেরোয়, আমি দরজায় দাঁড়িয়ে থাকি - মোবাইল, চশমা আর টাকার ব্যাগ নিয়েছ কিনা দেখে নাও, আমাকে আবার যেন ছুটতে না হয়।
    আমার শৈশবটা গেলো এভাবে ছুটে ছুটে !
    কয়দিন আগে আমি দিদার বাড়ি গেলাম মায়ের সাথে। আমাদের বাড়ি দেবগ্রাম আর দাদুর বাড়ি কলকাতা, শহর।
    ওমা, দিদা-দাদুর কাছে মায়ের রূপ আলাদা। এখানে মা বসে বসে দাদু দিদার সাথে গল্প করে আর টিভি দেখে। কাজের লোকে সব কাজ করে। মাকে কোনো কাজ করতে হয়না। আমাকে তো কেও কোনো order করে না। আমাকে তো দিদা খাইয়ে দেয়। মামা-মামিমা পাশের একটা ফ্ল্যাটে থাকে। সন্ধ্যেবেলা মামা অফিস থেকে ফেরার সময় সিঙ্গারা নিয়ে আসে। মামিমাও পুচকু একটা ভাই নিয়ে এখানে আসে। দিদার ২৪ ঘন্টার কাজের লোক আমাদের সবাইকে বাটিতে বাটিতে সিঙ্গারা দেয়, নিজেও একটা সিঙ্গারা নিয়ে বসে বসে খায়। এখানে এসে থেকে মায়ের কোনো কাজ নেই, পায়ে ব্যথা নেই।
    সন্ধ্যেবেলা আমি আর মা অটো চেপে অনেকগুলো মাসি, মায়ের পিসি, ভাই বোন - কাদের কাদের বাড়ি ঘুরি। সবাই আমাকে আদর করে! মাকেও আদর করে। আমার কি হাসি পায়! মা এতো বড় তাও বাচ্চার মতো আদর খায়। সবাই বলে আমি নাকি মায়ের মতো লক্ষ্মী।
    কাল রাতে দেখছি মা হাপুস নয়নে কাঁদছে। মা তো কোনোদিন কাঁদে না। আমি ভয় পেয়ে গেছি। আমি ভাবছি নিশ্চয় মায়ের পেটে বা পায়ে খুব ব্যথা করছে।
    দিদা বলল -- না, মায়ের মন খারাপ করছে দিদাদের ছেড়ে যেতে।
    আমি বললাম - আমরা তো নিজেদের বাড়ি ফিরে যাচ্ছি। মন খারাপ কেন?
    দিদা বললো - না, এটাই মায়ের নিজের বাড়ি।
    আমি বললাম 'তাহলে ওটা ?'
    -ওটা শ্বশুর বাড়ি। ওখানে সারাদিন কত দায়িত্ব আর কাজ, কারো কি ভালো লাগে?
    আমি ভাবছি মা তো ওখানে সবার সাথে গল্প করে, হাসে, টিভি দেখে, সাজে, বাবার সাথে আমাদের নিয়ে বেড়াতে যায়, কাঁদে নাতো, ভালোই থাকে! কষ্ট কিসের?
    দিদা বললো 'নারে দিদুন, কোনো স্বাধীনতা নেই যে ওখানে! ও ছোট্ট থেকে লক্ষ্মী মেয়ে, তাই এখন হাসিমুখে সব কষ্ট মেনে নেয়। স্বাধীনতা না থাকলে কি আর ভালো থাকা যায়?
    বললাম - মা তাহলে লক্ষীমেয়ে আর স্বাধীনমেয়ে দুটোই হবে।
    দিদা-দাদু হাসে, মাও কান্নার মধ্যে হেসে ফেলে।
    দিদা বলে - এই দুটো যে একসাথে হয়না দিদুন -
    মা আমাকে বলে 'লক্ষ্মী মেয়ে, এসব কথা বলে না।'
    পরদিন সকালে দিদা দাদুকে প্রণাম করে আমরা একটা ট্যাক্সিতে উঠলাম শিয়ালদা স্টেশন যাবো। মা কেঁদে কেঁদে দুটো রুমাল ভিজিয়ে ফেললো।
    আমি এক নতুন চিন্তায় পড়লাম।
    আমাকেও তো সবাই লক্ষ্মীমেয়েই বলে। তাহলে-----?

    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক। লেখক চাইলে অন্যত্র প্রকাশ করতে পারেন, সেক্ষেত্রে গুরুচণ্ডা৯র উল্লেখ প্রত্যাশিত।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • kk | 68.184.245.97 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০১:৫৩502154
  • সত্যি, এই 'লক্ষ্মীমেয়ে' করে রাখাটা কত বড় যে একটা টোপ! কিম্বা একটা সোনার খাঁচা! হতে হবেনা লক্ষ্মী। দুষ্টু মেয়ে হয়ে যাও। কেউ ভালো না বাসুক!
  • &/ | 151.141.85.8 | ১৭ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৪৬502159
  • একটা ছোট্টোমেয়েকে জানতাম, সেও বোকার মতন লক্ষ্মীমেয়ে হতে গিয়ে দেখতে পেল সব হারাতে হয়, সবাই সব ভালোটুকু কেড়ে নেয়। ব্যস, তারপর থেকেই সে রণচন্ডী হয়ে উঠল, যুদ্ধ করে অর্জন করে নিল বা করবার চেষ্টা করল যা সে চায়। বাকীরা সবাই তখন অবাক, কারুর মুখে আর কথাটি নেই।
  • অমিতাভ চক্রবর্ত্তী | ১৯ ডিসেম্বর ২০২১ ০৯:২২502212
  • একদম ঠিক কথা, লক্ষ্মীমেয়ের আর স্বাধীন মেয়ে হওয়া হয় না। খুব ভালো লাগল লেখা।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। বুদ্ধি করে মতামত দিন