এই সাইটটি বার পঠিত
ভাটিয়ালি | টইপত্তর | বুলবুলভাজা | হরিদাস পাল | খেরোর খাতা | বই
  • বুলবুলভাজা  আলোচনা  রাজনীতি

  • ফেসবুকের অন্দরে পচন

    পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা
    আলোচনা | রাজনীতি | ০১ ডিসেম্বর ২০২১ | ২২৯২ বার পঠিত
  • ফেসবুকের (অপ)ব্যবহার নিয়ে দীর্ঘদিন লেখালিখি করছেন পরঞ্জয় গুহঠাকুরতা। 'ফেসবুক মুখ ও মুখোশ' শীর্ষক সাম্প্রতিক বাংলা প্রকাশনাটিরও অন্যতম লেখক তিনি। সাম্প্রতিক পেগাসাস কান্ডেও তাঁর উপর নজরদারি চলেছিল বলে সংবাদ। ফেসবুক সম্পর্কিত সাম্প্রতিক ঘটনাবলী নিয়ে লিখলেন তিনি।
    ঘৃণায় উস্কানি দিতে ব্যবহার করা হচ্ছে তাদেরই মঞ্চ, দেখেও দেখেননি ফেসবুকের কর্তাব্যক্তিরা। ফ্রান্সিস হাউগেন মুখ খোলার পরে এ কথাটা প্রথম সামনে এল, এমনটা কিন্তু নয়। এমনকী হাউগেন আরও যেসব অভিযোগ এনেছেন, যেমন ফেসবুক যে মুনাফাকেই অগ্রাধিকার দেয়, নরেন্দ্র মোদী-সহ দেশবিদেশের দক্ষিণপন্থীদের নানা ভাবে সাহায্য করে এবং পক্ষান্তরে মুসলিম ভীতিকে চাড়িয়ে দেয়- এ বিষয়েও ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা একপ্রকার ছিলই। তথাপি হাউগেনের আন্তঃতথ্য যাচাই এবং ফাঁস করে দেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বহু কারণে। এই উন্মোচনের জেরেই হয়তো মার্কিন প্রশাসন বিশ্বের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত মালিকানাধীন কংগ্লোমারেট ফেসবুক তথা মেটা নিয়ন্ত্রণ বিষয়ে কিছু কঠোর বিধিনিষেধ আনতে পারে।
    নিরন্তর জাতীয়তাবাদী মেরুকরণ প্রচার, অপতথ্য, হিংসা ও রক্তস্নানের যে নব্য ইতিহাস ফেসবুকের হাত ধরে রচিত হয়েছে তা আমাদের জানা ছিল। হাউগেনের তোপে তাতে নতুন করে কোনও সংযোজন হয়নি। তবে তিনি ক্রোধে ফেটে পড়ার ফলে মার্কিন প্রশাসন যদি সত্যিই এগিয়ে আসে, নিঃসন্দেহে বলতে হবে সাধু উদ্যোগ।
    প্রাগুক্ত দোষে দুষ্ট এমন একটি ছবির কথা মনে পড়ছে শুরুতেই। দিন কয়েক আগের কথা, ফেসবুকে প্রচারিত ছবিটিতে দেখা যায় পাকিস্তানের পতাকা মোড়া একটি ধড়হীন কাটা মাথা। ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ এক গবেষক স্মারকলিপিতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে মত দিতে গিয়ে লেখেন, "এই বিশেষ ছবিটি যিনি শেয়ার করেছেন, তার নিউজ ফিড অনুসরণ করে আমি গত তিন সপ্তাহে যে পরিমাণ মৃতদেহ দেখেছি, সারা জীবনেও তা দেখিনি। " (বিশদ বিবরণের জন্য পড়ুন এই নিবন্ধটি)
    ফেসবুক অপব্যবহারের প্রবণতা সবচেয়ে বেশি লাভজনক হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্য, তাদের আদর্শগত অভিভাবক রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের জন্য এবং ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
    দলমত নির্বিশেষে আজ সকলেই মানেন অতিপ্রচারে বা অপতথ্য বর্ষণে ফেসবুক অমোঘ অস্ত্র। সার্বিক ভাবে বললে সংখ্যলাঘুর বিরুদ্ধে, নির্দিষ্ট ভাবে বললে মুসলিম সমাজের বিরুদ্ধে ঘৃণার বিষ ছড়াতে এই অস্ত্র ব্যবহারই সবচেয়ে জরুরি, তা সব বিরোধীদের অনেক আগে বুঝতে পেরেছিল অমিত মালব্যর নেতৃত্বাধীন বিজেপির আইটি সেল। এই বাস্তুতন্ত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছে "ট্রল-আর্মি' তথা নরেন্দ্র মোদির তথাকথিত অনুসারীদের। এই অনুগামীদের কখনও আনফলো বা আনফ্রেন্ড কোনওটাই করতে চাননি মোদি।
    ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে আমরা 'রিয়েল ফেস অব ফেসবুক ইন ইন্ডিয়া' বইটিতে দেখিয়েছিলাম (পরে বইটি বাংলায় ফেসবুক মুখ ও মুখোশ নামে প্রকাশিত হয়) ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া অপতথ্য, ভুয়ো খবর প্রেরণের আখড়া হয়ে উঠেছে। এখানেই শেষ নয় আমরা সুনির্দিষ্টভাবে দেখাই ফেসবুকের বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ আধিকারিকের সঙ্গে মোদি সরকারের শীর্ষপদাধিকারীদের গভীর যোগাযোগ রয়েছে। রাজনৈতিক অভীপ্সাকে ফলপ্রসূ করতে ফেসবুকে হোয়াটসঅ্য়াপকে এক নাগাড়ে যে ভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল তার উপর আমরা আলো ফেলতে চেয়েছিলাম।
    আমাদের কাজ আলাদা করে স্মার্তব্য এমনটা বলতে চাইছি না। এটুকুই বলতে পারি, আমাদের অনুমান অক্ষরে অক্ষরে সত্য হয়েছে। হাউগেনের দেওয়া তথ্যগুলি স্পষ্ট দেখাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আগে এবং নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দিনগুলিতে, দিল্লি দাঙ্গার সময়ে অপতথ্য প্রেরণ হু হু করে বেড়ে গিয়েছিল। সেই ভূত মার্চে লকডাউনের সময়েও তাড়া করেছে আমাদের দেশকে।
    ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল, টাইম, বাজফিড, ওয়াশিংটন পোস্ট, রয়টার্স এবং অন্যান্য সংবাদসংস্থাগুলির পরবর্তী তদন্তে এই মুহূর্তে আরও একবার প্রশ্ন উঠছে আঁখি দাসের (তৎকালীন ভারতীয় ফেসবুকের নীতিনির্ধারক) ভূমিকা নিয়ে। এই উন্মোচন আরও একবার বলছে ভারতের শাসক এবং ডানপন্থীদের মদত দিয়েছে ফেসবুক। এমনকী যখন ফেসবুকের নিজস্ব নীতি ভঙ্গ করা হয়েছে তখনও কেউ কিচ্ছুটি বলেনি।
    আঁখি দাস ব্যক্তিগত কারণে হয়তো সংস্থা ছেড়েছিলেন তবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায় বহু মানুষকে বোকা বানানো হয়েছিল এই মেয়াদে। সে কথা ৬০০০ শব্দের নোটে স্পষ্ট করে বলেছিলেন সোফি ঝ্যাং। ফেসবুকে ডেটা সায়েন্টিস্ট হিসেবে কাজ করা সোফির আত্মোপলব্ধির শিরোনাম ছিল- আমার হাতে রক্তের দাগ
    অভ্যন্তরীণ রেকর্ড ফাঁস করে অপ্রত্যাশিত বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছেন হাউগেন। তাঁর সমালোচকরা দেখাতে চাইছেন কী ভাবে তাঁকে ইবে-র প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্টারসেপ্টের প্রকাশক ধনকুবের পিয়েরে ওমিডিয়ার সমর্থন করেছেন। তাঁরা মনে করাচ্ছেন পিয়েরে বর্তমানে ফেসবুকের মতো বড় ডেটা কোম্পানির তীব্র প্রতিপক্ষ৷ আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টাফ্টস ইউনিভার্সিটির দ্য ফ্লেচার স্কুলের গ্লোবাল বিজনেস ডিন ভাস্কর চক্রবর্তীর মতো ব্যক্তিরা যুক্তি দিচ্ছেন যে পশ্চিমে ফেসবুকের সমালোচকরা "তাদের নিজস্ব উত্তর-ঔপনিবেশিক উপনিবেশ-ত্রাতা মানসিকতা" এবং অ-ইংরেজি ভাষা বিষয়ে বোঝাপড়ার অভাবে দিশেহারা হয়ে রয়েছেন।
    এক কথায় বললে, হাউগেনের তোপ আমাদের বহু অনুমানকে প্রতিষ্ঠা দিয়েছে। যেমন ফেসবুকের অ্যালগরিদম বা তথাকথিত মেশিন-লার্নিং পদ্ধতি এবং এর কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার সবই দুর্ভাগ্যজনকভাবে অপর্যাপ্ত যখন হিন্দি ও বাংলা সহ ভারতীয় ভাষায় আপত্তিকর বিষয়বস্তু শণাক্তকরণের প্রশ্ন আসে। হাউগেন দেখিয়ে দিয়েছেন মানুষের হস্তক্ষেপ ছাড়া, এই ধরনের প্রচেষ্টা বিশ্বে পুরোপুরি ব্যর্থ হবে।
    হাউগেন দেখিয়েছেন, ফেসবুক অপতথ্য শনাক্তকরণের ক্ষেত্রে মোট বরাদ্দের ৮৭ শতাংশই ফেসবুক খরচ করেছ উত্তর আমেরিকায়। বাকি ১৩ শতাংশ খরচ হয়েছে বিশ্বের অন্যান্য অংশে যার মধ্যে ভারতের মতো সর্বাধিক গ্রাহকের দেশও রয়েছে।
    আমরা হাউগেনের সৌজন্যে বুঝতে পেরেছি যে এই সংস্থার অন্দরে পচন এতটা গভীর হয়েছে যে মুনাফাকেই একমাত্র অভীষ্ট ধরছেন সংস্থার কর্ণধার। বিষয়বস্তুকে যাচাই না করেই ভাইরাল কন্টেন্ট নির্বিচারে বিতরণ করা হচ্ছে আকছার। আর তার ফলাফলই হল সামাজিক ঐক্যের মূলে আঘাত, মেরুকরণ, ঘৃণা আর হিংসার বিস্তার।
    এখন প্রশ্ন হল, ফেসবুকের বিরুদ্ধে কি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে? সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রতিবেশ বিঘ্নিত করে এমন ঘৃণ্য তথ্য বিতরণে সক্রিয়ভাবে সহায়তার প্রমাণ হাতে নিয়ে কী করণীয়? ফেসবুকে বহুল প্রচারিত বিকৃত তথ্য যদি ভারতের আইন লঙ্ঘন করে, সরকারি সংস্থা বা এদেশের কোনও সাধারণ মানুষ কি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত একটি বহুজাতিক সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারে? এই প্রশ্নটা যত সহজ, উত্তরটা ততটা জলভাত নয়।
    ভারতের পার্লামেন্টের একটি কমিটি এবং দিল্লি সরকার কর্তৃক গঠিত অন্য এক কমিটি হিংসায় উস্কানিতে ফেসবুকের ভূমিকা পরীক্ষা করছে। ফেসবুকের কার্যনির্বাহকরা সংস্থার বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়ার পাল্টা প্রতিরোধের নানা ফন্দিফিকির খুঁজে চলেছেন। সম্প্রতি বিধানসভা কমিটির তরফে ফেসবুক প্রতিনিধি শিবনাথ ঠুকরালকে দিল্লি হিংসা নিয়ে একগুচ্ছ প্রশ্ন করা হয়েছিল। শিবনাথ সেখানে বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তরই এড়িয়ে গিয়েছেন।
    মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কিন্তু দলমত নির্বিশেষে সকলে চাইছেন, ফেসবুকই তার মঞ্চে প্রকাশিত তথ্যের দায়িত্ব নিক। মার্কিন কংগ্রেস ও সেনেট ফেসবুককে নিয়ন্ত্রণের জন্য কিছু জোরালো বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে। কিন্তু এর কোনও প্রভাব কি ভারতে পড়বে? আমরা খুব ‌একটা নিশ্চিত নই।
    ভারত সরকার হোয়াটসঅ্যাপকে যখন অপতথ্যের প্রথম উৎস শনাক্ত করার জন্য চাপ দেয়, পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে হোয়াটসঅ্যাপ বলেছিল আমাদের অ্যাপটি এন্ড টু এন্ড এনক্রিপ্টেড। ফলে এই কাজ করা সম্ভব নয়। ফলে বোঝা যাচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে যত গুরুতর অপরাধই করা হোক, পরিশেষে হোয়াটসঅ্যাপ বলবে তাদের পক্ষে প্রযুক্তিগত নকশায় আমূল বদল আনা সম্ভব নয়। নরমেগরমে কথা চালাচালি হবে এসব নিয়ে। এ কোর্ট থেকে সে কোর্টে বল ছোড়াছুড়ি চলবে। কিন্তু এর শেষ কোথায়, এ প্রশ্নটা মনে নিয়েই ইতি টানতে হচ্ছে।
    পরিশেষে জনসচেতনা বাড়াতে বারবার যে কথা বলার, সাধারণ মানুষকেই বুঝতে হবে পারিবারিক ছবি ভাগ করা, ছুটির বিশেষ মুহূর্তের কথা জানান দেওয়া বা প্রিয়জনের জন্মদিনে পালনের বন্দোবস্ত কর দেওয়ার জন্যেই স্রেফ ফেসবুকের মতো মাধ্যমগুলি তৈরি হয়নি। গ্রাহককে বুঝতে হবে এই একচেটিয়া দানবীয় সংস্থাগুলির অন্ধকারময় কুৎসিত দিকটার কথা।
    পুনঃপ্রকাশ সম্পর্কিত নীতিঃ এই লেখাটি ছাপা, ডিজিটাল, দৃশ্য, শ্রাব্য, বা অন্য যেকোনো মাধ্যমে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে প্রতিলিপিকরণ বা অন্যত্র প্রকাশের জন্য গুরুচণ্ডা৯র অনুমতি বাধ্যতামূলক।
  • আলোচনা | ০১ ডিসেম্বর ২০২১ | ২২৯২ বার পঠিত
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • Somenath Guha | ০১ ডিসেম্বর ২০২১ ১৯:০০501597
  • লেখক এই ফেসবুকের দানবীয় রূপ সম্পর্কে আমাদের নিরন্তর সমৃদ্ধ করছেন। ফব ঘৃণা বিদ্বেষ ছড়িয়ে পয়সা লুটছে এটা তো সত্যি। কিন্তু মানুষের পছন্দ অপছন্দ নিয়েও তো সংশয় জাগে। রক্ত, হিংসা, মৃতদেহ, বিকৃত চিন্তা, খুনখারাপি এসবই কেন মানুষকে বেশি আকৃষ্ট করে। এসব পোস্ট কেন বেশি লাইক পায়, শেয়ার হয়? মানুষ কি বেসিকালী স্যাডিস্ট, জীবনের কুৎসিত দিকগুলি বেশি পছন্দ করে? ফব কি সেটারই সুযোগ নিচ্ছে? মানুষের মনস্তত্ব জটিল।  ফব র রমরমা এই প্রশ্নগুলোকে সামনে নিয়ে আসছে।
  • মতামত দিন
  • বিষয়বস্তু*:
  • কি, কেন, ইত্যাদি
  • বাজার অর্থনীতির ধরাবাঁধা খাদ্য-খাদক সম্পর্কের বাইরে বেরিয়ে এসে এমন এক আস্তানা বানাব আমরা, যেখানে ক্রমশ: মুছে যাবে লেখক ও পাঠকের বিস্তীর্ণ ব্যবধান। পাঠকই লেখক হবে, মিডিয়ার জগতে থাকবেনা কোন ব্যকরণশিক্ষক, ক্লাসরুমে থাকবেনা মিডিয়ার মাস্টারমশাইয়ের জন্য কোন বিশেষ প্ল্যাটফর্ম। এসব আদৌ হবে কিনা, গুরুচণ্ডালি টিকবে কিনা, সে পরের কথা, কিন্তু দু পা ফেলে দেখতে দোষ কী? ... আরও ...
  • আমাদের কথা
  • আপনি কি কম্পিউটার স্যাভি? সারাদিন মেশিনের সামনে বসে থেকে আপনার ঘাড়ে পিঠে কি স্পন্ডেলাইটিস আর চোখে পুরু অ্যান্টিগ্লেয়ার হাইপাওয়ার চশমা? এন্টার মেরে মেরে ডান হাতের কড়ি আঙুলে কি কড়া পড়ে গেছে? আপনি কি অন্তর্জালের গোলকধাঁধায় পথ হারাইয়াছেন? সাইট থেকে সাইটান্তরে বাঁদরলাফ দিয়ে দিয়ে আপনি কি ক্লান্ত? বিরাট অঙ্কের টেলিফোন বিল কি জীবন থেকে সব সুখ কেড়ে নিচ্ছে? আপনার দুশ্‌চিন্তার দিন শেষ হল। ... আরও ...
  • বুলবুলভাজা
  • এ হল ক্ষমতাহীনের মিডিয়া। গাঁয়ে মানেনা আপনি মোড়ল যখন নিজের ঢাক নিজে পেটায়, তখন তাকেই বলে হরিদাস পালের বুলবুলভাজা। পড়তে থাকুন রোজরোজ। দু-পয়সা দিতে পারেন আপনিও, কারণ ক্ষমতাহীন মানেই অক্ষম নয়। বুলবুলভাজায় বাছাই করা সম্পাদিত লেখা প্রকাশিত হয়। এখানে লেখা দিতে হলে লেখাটি ইমেইল করুন, বা, গুরুচন্ডা৯ ব্লগ (হরিদাস পাল) বা অন্য কোথাও লেখা থাকলে সেই ওয়েব ঠিকানা পাঠান (ইমেইল ঠিকানা পাতার নীচে আছে), অনুমোদিত এবং সম্পাদিত হলে লেখা এখানে প্রকাশিত হবে। ... আরও ...
  • হরিদাস পালেরা
  • এটি একটি খোলা পাতা, যাকে আমরা ব্লগ বলে থাকি। গুরুচন্ডালির সম্পাদকমন্ডলীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই, স্বীকৃত ব্যবহারকারীরা এখানে নিজের লেখা লিখতে পারেন। সেটি গুরুচন্ডালি সাইটে দেখা যাবে। খুলে ফেলুন আপনার নিজের বাংলা ব্লগ, হয়ে উঠুন একমেবাদ্বিতীয়ম হরিদাস পাল, এ সুযোগ পাবেন না আর, দেখে যান নিজের চোখে...... আরও ...
  • টইপত্তর
  • নতুন কোনো বই পড়ছেন? সদ্য দেখা কোনো সিনেমা নিয়ে আলোচনার জায়গা খুঁজছেন? নতুন কোনো অ্যালবাম কানে লেগে আছে এখনও? সবাইকে জানান। এখনই। ভালো লাগলে হাত খুলে প্রশংসা করুন। খারাপ লাগলে চুটিয়ে গাল দিন। জ্ঞানের কথা বলার হলে গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ ফাঁদুন। হাসুন কাঁদুন তক্কো করুন। স্রেফ এই কারণেই এই সাইটে আছে আমাদের বিভাগ টইপত্তর। ... আরও ...
  • ভাটিয়া৯
  • যে যা খুশি লিখবেন৷ লিখবেন এবং পোস্ট করবেন৷ তৎক্ষণাৎ তা উঠে যাবে এই পাতায়৷ এখানে এডিটিং এর রক্তচক্ষু নেই, সেন্সরশিপের ঝামেলা নেই৷ এখানে কোনো ভান নেই, সাজিয়ে গুছিয়ে লেখা তৈরি করার কোনো ঝকমারি নেই৷ সাজানো বাগান নয়, আসুন তৈরি করি ফুল ফল ও বুনো আগাছায় ভরে থাকা এক নিজস্ব চারণভূমি৷ আসুন, গড়ে তুলি এক আড়ালহীন কমিউনিটি ... আরও ...
গুরুচণ্ডা৯-র সম্পাদিত বিভাগের যে কোনো লেখা অথবা লেখার অংশবিশেষ অন্যত্র প্রকাশ করার আগে গুরুচণ্ডা৯-র লিখিত অনুমতি নেওয়া আবশ্যক। অসম্পাদিত বিভাগের লেখা প্রকাশের সময় গুরুতে প্রকাশের উল্লেখ আমরা পারস্পরিক সৌজন্যের প্রকাশ হিসেবে অনুরোধ করি। যোগাযোগ করুন, লেখা পাঠান এই ঠিকানায় : [email protected]


মে ১৩, ২০১৪ থেকে সাইটটি বার পঠিত
পড়েই ক্ষান্ত দেবেন না। চটপট প্রতিক্রিয়া দিন